এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • দুর্গা-বিসর্জনঃ কৃষ্ণ প্রসাদ

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১০৩২ বার পঠিত
  • আউটলুকের প্রাক্তন এডিটর, কৃষ্ণ প্রসাদ গতকাল (সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭) একটি লেখা (https://www.facebook.com/churumuri/posts/10154755236972301?pnref=story) শেয়ার করেছেন ফেসবুকে। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমি লেখাটার বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলাম। বন্ধু বোধিসত্ত্ব মাইতিকে বিশেষ ধন্যবাদ, অনুমতি জোগাড় করে দেবার জন্য।



    গৌরী লঙ্কেশ খুব নিয়মিত ফোন করতেন না। কিন্তু যেদিন করতেন, বেশ রাতের দিকে করতেন আর সহজে ছাড়তেন না।

    কথা বলতেন, যে সমস্ত লড়াই তিনি লড়ে চলেছেন – মনের মধ্যে কিংবা ম্যাগাজিনের পাতায়, সেই সব নিয়ে। আর সেই লড়াইগুলোর জন্য যে দাম তাঁকে দিতে হচ্ছে, সেসব নিয়ে বলতেন।

    এ বছরের ১৮ই এপ্রিল, উনি যখন ফোন করলেন, বড় বিপর্যস্ত লাগছিল ওঁর কণ্ঠ। কথায় কথায় উনি স্বীকার করলেন, ডিমানিটাইজেশন তাঁর ব্যবসাকে তছনছ করে দিয়েছে।

    তাঁর কাছে আর বড়জোর এক মাস টেনেটুনে চালাবার মত পয়সা আছে, জানালেন।

    “য়েনু মাদোধু, মুন্ধাক্কে য়েনু দারি?”
    “য়াভাগা বাদালাগাত্থে, য়েনারু গোত্থা-পা?”

    (কী করি বলো তো? এর পরে কী করা যায়? কবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলতে পারো?)

    তাঁর নামকরা, বিজ্ঞাপনমুক্ত সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পূর্ণভাবে নিউজস্ট্যান্ডের বিক্রির ওপর নির্ভরশীল ছিল। নামকরা অন্যান্য ইংরেজি পত্রিকাগুলো যেমন বার্ষিক, ৩ বছর বা ৫ বছরের সাবস্ক্রিপশনের ওপর ভিত্তি করে তাদের নিয়মিত লাভের পথ সুনিশ্চিত করত, তেমন কোনও স্কিমই তাঁর পত্রিকার জন্য ছিল না।

    নরেন্দ্র মোদীর সার্জিকাল স্ট্রাইকের খাঁড়া আম ভারতবাসীর পকেটের ওপর এসে পড়েছিল ৮ই নভেম্বর তারিখে, যার ফলে গৌরীর পত্রিকার পাঠকরাও, যাঁরা তথাকথিত উচ্চবিত্ত গোত্রের ছিলেন না এবং ধীরে ধীরে যাঁদের সংখ্যা কমে আসছিল, তাঁরাও পত্রিকার জন্য পয়সা খরচা করতে ক্রমশ অনীহা বোধ করছিলেন।

    কিন্তু ডিমানিটাইজেশনের পরে তিনি শুধুমাত্র আর পত্রিকার ওপর নির্ভর করে দিন চালাতে পারেন নি। তিনি পরীক্ষার গাইডবুক পাবলিশ করতেন, বেশির ভাগই ইংরেজি থেকে অনুবাদ করে।

    এই বইগুলো, সাধারণত তাঁর ট্যাবলয়েডের থেকে অনেক বেশি অঙ্কে প্রচ্ছদমূল্য ছাপিয়ে বিক্রি হত, যাতে লাভ বেশি হয়, আইএনএস গৌরী যাতে তাতে নির্ভর করে বেঁচে থাকতে পারে।

    লাভ না হলে, এই যুদ্ধজাহাজ হয় তো কবেই ডুবে যেত।

    আমি উপদেশ দিয়েছিলাম, গো ডিজিটাল ইত্যাদি, তার পরে আমি পত্রিকা প্রকাশনার অর্থনীতি বোঝা কয়েকজন সিইও-র সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম, যাঁরা এই টালটামাল সময়ে কীভাবে পত্রিকা চালিয়ে যেতে হয় সে ব্যাপারে কিছু অমূল্য উপদেশ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।

    ‘গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকে’ এর পরেও পাঁচ মাস চলেছে।

    আর গৌরী লঙ্কেশ?

    *****

    এইসব গল্পগাছা আমি এখানে লিখছি, স্রেফ চারটে জিনিস আপনাদের বোঝাবার জন্যে, যে যে বিষয়গুলো তাঁর মৃত্যুর পরেঃ কারেকশন, তাঁর নিজের বাড়ির দালানে তাঁর পরিকল্পিত খুনের পরে – কথার পিঠে কথার ভিড়ে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।

    একঃ যে অসম লড়াই এই সামান্য একলা মহিলাটি লড়ে গেছেন, সম্পূর্ণ নিজে নিজে এবং সম্পূর্ণ নিঃশব্দে। ‘আই অ্যাম গৌরী’ শুনলে মনে হয় রূপকথার মত এক জাজ্বল্যমান অকুতোভয় জার্নালিস্টের সমস্ত অন্যায়কে হারিয়ে দিয়ে জিতে আসার গল্প, বাস্তবটা কিন্তু সেরকম ছিল না, অন্তত শেষের দিকে।

    দুইঃ আত্মম্ভরিতায় পূর্ণ মূলধারার মিডিয়াগুলোর কেঁদো কেঁদো মালিকদের দাবি – যে ট্যাবলয়েডগুলো আসলে “রোল-কল”, পয়সা না দিলেই বন্ধ করে দেওয়া যায়, আর তাদের এডিটর আর জার্নালিস্টরা আদতে তোলাবাজি চালায় – সে সমস্ত প্রকাশিত হয়েছে।

    তিনঃ কোনও “নক্সাল সিমপ্যাথাইজারস”, “পীসনিকস”, “জেএনইউ প্রিকস”, “র‍্যাডিকালস”-এরই কোনওরকমের অন্তহীন বিদেশী মূলধনের জোগান নেই এবং তাঁরা কেউই বিলাস বৈভবে ভরা জীবন কাটান না। জীবনের শেষ সময়টিতে তিনি টয়োটার ভারতে বিক্রি হওয়া সবথেকে শস্তার গাড়িটি থেকে নেমেছিলেন।

    চারঃ শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত, তাঁর পরিস্থিতি, বিশেষত তাঁর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল সেই ব্যক্তিটির সঙ্গে যাকে তিনি সবরকম দিক থেকে অপছন্দ আর ঘৃণা করতেন।

    তাঁর পরিবারের সঙ্গে কর্ণাটকের বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচিতি ছিল, বিশেষত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এই অবস্থায় পত্রিকা চালানোর জন্য মূলধন জোগাড় করা তাঁর পক্ষে খুব কঠিন কাজ কিছু ছিল না, কিন্তু গৌরীর সাথে আমার ফোনে কথোপকথন থেকে এটা পরিষ্কার যে তিনি কখনওই সে রাস্তায় হাঁটেন নি।

    বেঙ্গালুরুতে তাঁর শেষকৃত্যের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইসর দীনেশ আমিন মাত্তু জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন গৌরী তাঁর শেষ লাইফ ইনশিওরেন্স পলিসিটুকুও সারেন্ডার করে দিয়েছিলেন দিনের খাবারটুকু জোগাড় করার জন্য।

    মাইসোরে একটি শোকসভায়, তিরিশ বছর ধরে লঙ্কেশ পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা স্বামী আনন্দ জানিয়েছিলেন, তিনি ইংরেজি প্রকাশনায় লিখতেন কেবলমাত্র কন্নড় জার্নালিজমকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য টাকার জোগাড় করতে।

    আরেকজন কেউ জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁর ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, সম্ভবত কয়েক হাজারের বেশি নয়।

    হয় তো তাইই হবে, স্বাধীনতার পরে এ দেশে নেওয়া এত ধ্বংসাত্মক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ধাক্কায় অসহায়ভাবে মার খেয়েছেন কৃষক, তাঁতী, ছোট দোকানদার, দিনমজুর – কারা নয়!

    ‘গৌরী লঙ্কেশ পত্রিকা’র কাহিনি শুনলে জানা যায় তার অস্তিত্ব কী মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল জার্নালিজমের ওপর – বিশেষত ছোট নিউজপেপার, যেগুলো স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত হত, তাদের ওপর।

    এবং সেই সমস্ত সংস্থা যাঁরা চালাতেন এবং সেখানে কাজ করতেন, জানা যায় তাঁদের দুঃখ দুর্দশার কথা।

    এবং অন্তঃসারশূন্য হয়ে যাওয়া গণতান্ত্রিক বিতর্কের পরিসরের কথা।

    একমাত্র সান্ত্বনার জায়গা এই যে, যে জানোয়ারগুলো তাঁর শরীরে বুলেট ফুঁড়ে দিয়েছিল, তারা, আরবিআই যখন #DemonetisationDisaster ট্যাগটিকে অফিশিয়াল সীলমোহর দেয়, তখন, সেদিন, গৌরীর আত্মপ্রসাদের হাসি তারা মুছে দিতে পারে নি।

    ****

    এক চক্রাকার আবর্তের মধ্যে দিয়ে, হয় তো সেটাই তাঁর শেষ অবদান হয়ে থাকবে জার্নালিজম পেশার কাছে, গৌরী লঙ্কেশ চিরভাস্বর হয়ে আলো দেখাবেন আধুনিক ভারতীয় জার্নালিজমকে।

    প্রতিবাদ মিছিলের এবং সভার কভারেজ দেখে একজন সাধারণ দর্শক বা পাঠক হয় তো ভাবছেনঃ

    কী করে, একজন সামান্য, অশ্রুত, আর্থিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত কন্নড় ট্যাবলয়েডের সম্পাদক, এই রকম ভাবে কাউকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলেন যে তারা শেষমেশ লোক পাঠাল তাঁকে শেষ করে দেবার জন্য, যাতে উনি আর কোনও পরবর্তী কাজ শুরু না করতে পারেন?

    উল্টোদিকে, এই হাঙরে ভরা সমুদ্রের মাঝে বাকি বড় বড় মিডিয়া হাউসগুলো কী করে আরামসে সাঁতরে চলেছে কোনওরকমের ক্ষতির আশঙ্কা না করে, যে ক্ষতি শোচনীয়ভাবে আক্রমণ করেছে গৌরী এবং ‘প্যাট্রিক’কে?

    এবং ল্যুটিয়েন্স ডেলহির মাঝখানে মূলধারার মিডিয়াদের সমাবেশে দাঁড়িয়ে, অনলাইনে আর অফলাইনে তাদের কথা শুনে তরুণ সাংবাদিকরা হয় তো ভাবতে পারেনঃ

    আমরা কেন স্বাধীনভাবে সেই সমস্ত স্টোরি কভার করতে পারছি না – অসাম্যের, বৈষম্যের, অবিচারের, দুর্নীতির, সাম্প্রদায়িক পোলারাইজেশনের স্টোরি – আর এইখানে এইসব বক্তারা এখন গৌরী লঙ্কেশের সম্বন্ধে বক্তৃতা ঝাড়ছে?

    আমেরিকান জার্নালিস্ট ডেভিড হ্যালবারস্ট্যাম একবার একটা বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন, জার্নালিজম বন্ধু বানাবার আর প্রশংসা কুড়োবার জায়গা নয়। যদি তোমার সেগুলোই লক্ষ্য হয়, অন্য কোনও পেশা বেছে নাও।

    ভারতীয় মিডিয়ার সিংহভাগই আজ বালিতে মাথা গুঁজে রেখে সাম্প্রদায়িকতার কুৎসিত প্রতিযোগিতার লেলিহান আগুনকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে করে চলে, আর সেই ফাঁকে ড্রাগনেরা এসে ঘৃণা আর ধর্মান্ধতার বীজ বুনে দিয়ে যায় আমাদের মননের ভেতরে। সবার ভূমিকা বদলে গেছে।

    শুধুমাত্র গৌরীরই হয় তো অন্য কোথাও পৌঁছবার ছিল।

    ****

    ১৯৮৪র নভেম্বর মাসে ইংলন্ডের ক্রিকেট টিম টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল।

    তার ঠিক কদিন আগেই ইন্দিরা গান্ধী তাঁর দেহরক্ষীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।

    বম্বের ব্রিটিশ হাইকমিশনার, পার্সি নরিস, যিনি ইংলিশ টিমের জন্য একটা অভ্যর্থনাসভার আয়োজন করেছিলেন প্রথম টেস্টের আগে, তিনি খেলা শুরুর প্রথম দিনেই আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

    তাঁর স্মৃতিচারণায়, ফক্সি, ইংলন্ডের ওপেনিং ব্যাটসম্যান গ্রিম ফাউলার লিখেছিলেন সেই খবর শোনার পরে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচে তাঁর ব্যাট করতে এগিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা।

    “স্টেডিয়ামে তখন ৫৫,০০০ লোক, তাদের যে কারুর পকেটে একটা রিভলবার থাকতেই পারে।”

    আজকের দিনে জার্নালিজম ঠিক সেই রকমের অবস্থায়।

    সংশোধন করে বলি। দৃঢ়চেতা, সাহসী নিউজ জার্নালিজম – যা ক্ষমতার সত্য রূপ তুলে ধরে, যা ধর্মান্ধতার চোখে চোখ রেখে দাঁড়ায়, যা ঘৃণার বেসাতিদের চিবিয়ে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে, যা দুর্নীতিবাজদের এক্সপোজ করে, অসৎ, সাম্প্রদায়িকদের জনসমক্ষে নগ্ন করে দেয় – সেই জার্নালিজম আজ ঠিক সেই রকমের অবস্থায়।

    তুমি জানো না, দরজা খোলার পরেই কে তোমার বুকে পর পর বুলেট ফুঁড়ে ঢুকিয়ে দিতে পারে।

    অথবা, ঠিক কখন।

    ফাউলার সেদিন ২৮ রান করতে পেরেছিলেন।

    গৌরী লঙ্কেশের ভাগ্য অনেক ভালো, তিনি ৫৫ ছুঁতে পেরেছিলেন।

    ****

    গত নভেম্বরে, গৌরি আমাকে মেসেজ করেছিলেনঃ “তোমার দলে ভিড়লাম। ‘ব্যাঙ্গালোর মিরর’এর এডিটর আমার কলাম বন্ধ করে দিয়েছেন।”

    আমি উত্তরে যখন আমার সান্ত্বনাবাক্য লিখে পাঠালাম, গৌরীর উত্তর এলঃ “ধুর বাল। আমরা টিকে থাকবই আর এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক জীবগুলোকে পিষে মারবই।”

    থাকব কি, গৌরী?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১০৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 192.69.203.15 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:৪৪59270
  • i | 212.159.161.169 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:০১59271
  • থ্যান্ক ইউ সিকি। থ্যান্ক ইউ থ্যান্ক ইউ থ্যান্ক ইউ
  • পিনাকী | 95.229.73.124 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:০২59272
  • এটা একটা ভালো কাজ করেছো সিকি।
  • pi | 57.29.251.3 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:১৯59275
  • সত্যিই খ্হুব জরুরি লেখা।

    এটা একটু বিস্তারিত জানা যাবে ?

    'দুইঃ আত্মম্ভরিতায় পূর্ণ মূলধারার মিডিয়াগুলোর কেঁদো কেঁদো মালিকদের দাবি – যে ট্যাবলয়েডগুলো আসলে “রোল-কল”, পয়সা না দিলেই বন্ধ করে দেওয়া যায়, আর তাদের এডিটর আর জার্নালিস্টরা আদতে তোলাবাজি চালায় – সে সমস্ত প্রকাশিত হয়েছে।'

    এগুলো প্রকাশিত হয়েছে বলতে ? এরকম দাবি এখন মূলধারার মিডিয়া করেছে ?
  • রুখসানা কাজল | 37.147.204.250 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২২59276
  • সময় বলছে , থাকাটা জরুরী।
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৪59274
  • সিকি যে এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো লিখছে/অনুবাদ করছে, সময় দিচ্ছে এগুলোর জন্য, খুবই ভাল লাগে দেখলে। খুব বেশি লোকের কাছে হয়ত পৌঁছয় না, তাও যেটুকু হয় ..
  • de | 192.57.114.91 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৯59277
  • সিনসিয়ার প্রচেষ্টা - ভালো লাগলো -
  • ভরসা হয় | 185.156.20.49 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৫:৩০59278
  • গৌরীদেবীদের দেখে। একদিকে এনাদের মত সাংবাদিক আর অন্যদিকে গরীবদরদী বামফ্রন্ট সরকারের ঋতব্রত, যিনি বিজনেস ক্লাসে ভ্রমন করে বছরে সরকারের ২৫ লক্ষ টাকা খরচা করেন।
  • সিকি | 192.69.203.15 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৬59279
  • অপ্রাসঙ্গিক। খরচাটা যদি সরকার অনুমোদিত হয় একজন এমপির জন্য, তা হলে সেটা অনৈতিক কিছু নয়।
  • aranya | 172.118.16.5 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:০৩59273
  • ভাল লাগল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন