২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ -- নিজের চোখে যা দেখলাম। আমেরিকা ডুবে যাচ্ছে, আক্ষরিকভাবে। ... ...
এগারোই সেপ্টেম্বর, দুহাজার এক সাল। যাঁরা এখনো মনে রেখেছেন, তাঁদের জন্যে। আমরা কখনো ভুলতে পারিনি, কারণ বড্ড বেশি রিয়েল, র আর রাফ ছিল সেই দিনটা। এখানে এই নিউ ইয়র্কে। ... ...
আমাদের দেশে -- ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি জায়গায় -- শিক্ষা হলো প্রধানতঃ চাকরিবাকরি, কাজকর্ম পাওয়ার একটা রাস্তা। এবং মালিকদের ও শাসকদের নির্ধারিত পথ অন্ধভাবে অনুসরণ করার যোগ্যতা অর্জন করা। কিন্তু এ শিক্ষা কোনো শিক্ষাই নয়। ... ...
জনগণেৱ ভোটাধিকাৱ প্ৰয়োগে সীমাবদ্ধ যৌক্তিকতা বা বাউন্ডেড ৱ্যাসনালিটি ত্বত্তেৱ ভূমিকা ... ...
উত্তরপ্রদেশে তৃপ্তা ত্যাগী বলে যে শিক্ষিকা এক মুসলমান ছাত্রকে ক্লাসরুমে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে হিন্দু ছেলেদের দিয়ে চড় খাইয়েছেন, তার তাৎপর্য অনেক গভীর। ... ...
ৱ্যাগিং'এর শিকার হয়ে যাদবপুরে একটা বাচ্চা ছেলে মরে গেলো। তাই নিয়ে একদিকে রাজনীতি চলছে, আর একদিকে মিডিয়ার কুৎসিত মুনাফাবাজি ও বেআইনি ভাবে যার তার নামে তালিবানি প্রচার চলছে। সবকিছু দুদিন পরেই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। মিডিয়া তখন নতুন একটা ইস্যুতে আবার মুনাফাবাজি করবে। কিন্তু সমাজের অনেক গভীরে লুকিয়ে রাখা এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কখনো হবেনা। ... ...
আসলে কেমন ছিল ১৯৪৭-এর আগস্ট? কেউ উদযাপন করছিল সদ্য পাওয়া স্বাধীনতা দিবস বিনা পয়সায় বাসে চড়ে আর ফ্রিতে সিনেমা দেখে, আর কারও কাছে সে দিন ভরা ছিল জন্মভূমি হারানোর বেদনায়। এমন একটা সময় ঘিরে কাজ করেছে নানা ধরনের আবেগ, কাউকে মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে তুলতে হয়েছে পাকিস্তানের পতাকা, আবার কেউ কেউ আনন্দিত হয়েছে কিছু অসামান্য গুজব শুনে আর তাকে সত্যি ভেবে। ... ...
কিছুই বলার নেই ... ...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়াবহতা ... ...
মুশকিল হচ্ছে এই সব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়! আর এখানেই রোমানিয়া পিছিয়ে গেছে পশ্চিম ইউরোপ থেকে। গেম মারা চলছে, এখন গরমের সময়, এখনও চলছে, শীত আসলেও চলবে। সমস্যার গোরায় হাত না দিলে গেম মারা থামান যাবে না। গেম মারার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে। আর সাথে সাথেই আছে ভারত পাকিস্তান। ( এখানে কিন্তু ভারত পাকিস্তানে কোন ভেদাভেদ নাই। পাকিস্তানি দালাল ধরে ভারতীয়রা হরহামেশা গেম মারছে। পাকিস্তানি নাপিতের জন্য সবাই বসে থাকে, কখন আসবে আর সস্তায় চুল কাটাবে! ) নেপালের বেশ সুনাম রোমানিয়ায়। তারা গেম মারে না বা খুব কম মারে। যতদূর জানি সামনে এই তিন দেশ থেকে আর লোক নিবে না রোমানিয়া। কিন্তু যদি শ্রমিক বান্ধব না হতে পারে তাহলে আসলে কোন কাজই কাজে আসবে না। কেন যায় এইটার উত্তর বের করতে পারলেই গেম মারা বন্ধ হবে। আমি একজন ইথুইপিয়ার নাগরিককে চিনি, তার সঙ্গী সাথী সব গেম মেরে চলে গেছে, তিনিও যাবেন। কাজেই গেমের দোষ শুধু আমাদের দিয়ে আমাদেরকে ব্ল্যাক লিস্ট করে আসলে কোন কাজ হবে না। সমস্যার গোরায় যেতে হবে। ... ...
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি এই সেদিন কলকাতা এসে ঘুরে গেলেন। আসার আগে দিল্লির বঙ্গভবনে গিয়ে তিনি মোচার চপ, মাছের ঝোল খেলেন। কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেন, রাস্তার পাশে ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিলেন। অলি-গলিতে হেঁটে বেড়ালেন। বিবিধ সংস্কৃতির পীঠস্থান লস এঞ্জেলেস শহর। গার্সেটি আগে ছিলেন সেখানকার মেয়র। দিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের দায়িত্ব নেবার পরে বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার রান্নার বৈশিষ্ট্য, বাংলার মন বুঝতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টায় বোধ হয় একটা ফাঁক থেকে গেল। মল কালচার, দেশি-বিদেশি রেস্তোঁরা, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ আর বিলীয়মান ঘরোয়া রান্নার এই যুগে আমেরিকান সাহেব দুপুরের আহারটা কলকাতার কোন একটি পাইস হোটেলে সারলেই পারতেন। কারণ, এই পাইস হোটেলগুলিই কলকাতার আসল হেরিটেজ ইটারি। মেনুতে থাকত সদ্য ধোয়া কলাপাতার ওপরে লেবু-লঙ্কা সহ ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, সুক্তো, পাঁচফোড়ন দেওয়া পাতলা মসুরির ডাল, কুমড়ো ফুলের বড়া আলু-পোস্ত এবং আলু-পেঁপে-কাঁচকলা সহ মাছের কবিরাজি ঝোল, হাঁসের ডিমের ডালনা, আলুর বড় টুকরো দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল এবং কাঁচা আমের চাটনি। সঙ্গে রাখা যেত মাটির খুড়িতে মিষ্টি দই, একটা নরম পাকের সন্দেশ ও রসগোল্লা। বেরিয়ে আসার সময় একটা মিঠে পাতার পান। বাঙালির ইটিং আউটের প্রায় শতবর্ষের বিবর্তনের সঙ্গে জড়িত এই রাজ্যের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, পারিবারিক আচার, জাতীয়তাবাদের উন্মেষ এবং ব্যবসার বর্তমান হাল হকিকতের একটা পরিষ্কার চালচিত্র তাহলে তিনি পেয়ে যেতেন। তিনি আরও উপলব্ধি করতেন, এই সব পাইস হোটেলে একটা সময় সাধারণ মানুষ মাত্র এক পয়সার বিনিময়ে ঠিক বাড়ির মতো রান্না খেয়ে পেট ভরাতেন। কলকাতার আসল বাঙালিয়ানার হদিস পেতে হলে এই পাইস হোটেলগুলিতেই আসতে হবে। বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির ইতিহাসে পাইস হোটেলের হেরিটেজ কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। সেখানে বসে সাবেকি রান্নার আস্বাদ গ্রহণ তারিয়ে তারিয়ে ভিনটেজ ওয়াইন উপভোগ করার মতোই অতুলনীয়। ... ...
সোমবার ফ্লাইট। তাই আমাকে বিদায় জানাতে ক্যাম্পে তেমন কেউ ছিল না। যারা ছিল তাদের মধ্যে একজনের চোখ কী ছলছল করে উঠেছিল? না কি আমারই চোখ ভিজে যাচ্ছিল? কিন্তু কেন? এই সেই কুখ্যাত ক্যাম্প, যেখানে বৃষ্টিতে আমাদের রুমে নোংরা পানি ঢুকে সয়লাব হয়ে গেছিল। এখানেই বদমায়েশ কোম্পানি দুই মাস ধরে গরম পানি বন্ধ করে রেখেছে। এখানেই শীতের সময় হিটার বন্ধ করে দিত। এই ক্যাম্পের একটা স্ক্রুরর প্রতিও কোন প্রেম থাকার কথা না আমার। অথচ বুকের ভিতরে মোচড় দিয়ে উঠল কয়েকবার! অদ্ভুত মানুষের মন। ... ...
আড় চোখে দেখি পাশের যাত্রী ঘাড় বেঁকিয়ে মেসেজ পড়ার চেষ্টা করছে। তাড়াতাড়ি উত্তর দিতে গেলাম “পরে কথা হবে।” মানে পি-এ-আর-ই (পরে) কে-এ-টি-এইচ-এ (কথা) ইত্যাদি। কিন্তু পি-কিউ-আর-এস এক বোতামে, জে-কে-এলও তাই। ‘আর’ পেতে তিন বার বোতাম টিপতে হবে। জ্বালাতন!! পি-এ-আর-ই লিখতে চাইছি, কিছুতেই আসছে না। আর-এর জায়গায় পি কিম্বা কিউ চলে আসছে। ডিলিট করতে গিয়ে পি-টাও মুছে গেল। একটা শব্দ লিখতে মিনিট দেড়েক চলে গেল। বন্ধ করে দিই ফোন? ছিছি, তাই করা যায়? লোকে তো এখনও তাকিয়ে আছে, ভাববে আমি মেসেজ করতে পারি না। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কেমন হবে? ... ...
একজন কোন কাজকেই পাত্তা দেন না। আরে সাদেক ভাই, আমি এই কাজ করার লোক? কোম্পানি আমার যে ট্রেড তার বাহিরে কোন জায়গায় আমাকে কোনদিন কাজ করাতে পারবে না। যেখানেই পাঠাবে, আমি এমন কাজ করব যে আমাকে ফেরত পাঠাবে। বলবে এই লোক দিয়ে চলবে না। আমিও চলে আসব, এসে রুমে ঘুমাব। অথচ আমরা সবাই জানি উনি খুব পরিশ্রমী। যে কাজেই লাগায় দেওয়া হোক তিনি একটুও গাফলতি না করে কাজ করেন। আমি যে ওষুধ কোম্পানিতে ছিলাম ওইখানে এখন উনি কাজ করেন। যাওয়ার সময় বললেন, কালকেই চলে আসব, দেইখেন! দুই মাস হতে চলল, ভাই এখনও একই কথা বলেন। দেইখেন, বেতন নিয়েই এমন কাজ শুরু করব যে আমাকে ফেরত দিয়া কুল পাবে না। আমি আর কী, শুনি শুধু! ... ...
বঙ্গ সম্মেলন নামক হট্টমেলা ও ঘেঁটে ঘ'এর গল্প। এই আমেরিকায়। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
এসে গেলো আবার এই "শ্রেষ্ঠ দেশের" স্বাধীনতা দিবস -- ফোর্থ অফ জুলাই। আহা, কী দেশপ্রেম! অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ মানুষ অভুক্ত, অসুস্থ, অশিক্ষিত। এই আমেরিকাতেই। ... ...
আমি রুমে ফিরে যাব। কারণ এই ভেজা শরীরে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু এমন একটা প্রস্তাব আসল যে আমি বললাম চলুন, যাওয়া যাক। আমাদের মানে আমরা পাঁচজন ছিলাম তখন। আমাদের এই পাঁচজনের মধ্যে একজন একটু সিনিয়র। তিনি বেশ দুনিয়া ভেজে খাওয়া লোক। দুবাই থেকে এসেছেন কত বছর। এখন এখানেও হয়ে গেছে কয়েক বছর। তিনি বললেন তিনি ক্যাসিনতে যাবেন। এই জায়গাটা কেমন তা আমার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। এর আগের অভিজ্ঞতা তো সব বইপত্র আর পর্দায় যা দেখছি তা। তবুও আমি হয়ত রাজিই হতাম না। আমাকে বলা হল ৫০ রোন দিয়ে ঢুকতে হবে। এরপরে সারারাত থাকা যাবে। এতে লাভ? লাভ হচ্ছে সারা রাতই খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে! আপনি যত খুশি যা ইচ্ছা খান! আমি জানি না, সত্য মিথ্যা। হয়ত একটা মাত্রা আছে, এর বেশি গেলে হয়ত কেউ এসে না করবে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তার আগ পর্যন্ত আমাকে ফেরায় কে? আমি বললাম রাজি। ... ...