সে ছিল এক অন্যরকম সময়। মুষ্টিবদ্ধ প্রতিবাদের , নিজেদের খুঁজে পাওয়ার, সৃষ্টির রক্তকরবী অঙ্কুরোদগ্মের ....। ★ মহাশ্বেতা দেবীর জন্মদিনে মানুষ আর অরণ্য যেন তাঁদের অধিকার ফিরে পায় । ... ...
এই গাছগুলো ... ...
ছোটবেলার বড়দিনের আর একটা স্মৃতির জলছবি রয়েছে এক্কেবারে নিভাঁজ....পষ্ট -- " ভেট "! বিলিতি কম্পানির বড় সাহেবদের জন্য সাপ্লায়ার সমূহ প্রেরিত " ডালা "। যত বড় সাহেব ততো বড়ো চ্যাঙারি। তাতে বাছাই করা ফল- বাদাম - বিস্কুট - চকলেট - রসে ডোবানো আনারসের " সুদর্শন " চক্র যেমনি থাকতো... থাকতো Gold Coin Apple Juice, সোডাপানি আর লাঠি হাতে বুড়ো ছাপ কালো বাক্সের লালজলের বোতল। কেন জানি সেটা দেখলেই আমার ' আবোলতাবোল 'এর 'কাঠবুড়োর' কথা মনে হতো ! ... ...
“কেন?” প্রশ্ন করা মানেই হল এর পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে তা জানতে চাওয়া। এই মহাবিশ্বের চলন গমনের পেছনে কোনও উদ্দেশ্য আছে ভাবার অন্তর্নিহিত অর্থ এই যে এই সৃষ্টি কারওর পরিকল্পনাপ্রসূত, অর্থাৎ এই সৃষ্টি পরিকল্পনা করার কেউ আছে। এই ভাবনা বিজ্ঞানের প্রমাণ তথা গণ্ডীর বাইরে। কোনও সৃষ্টিকর্তা (বা কর্ত্রী) আছেন কি নেই, এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে না। বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে “কীভাবে” প্রশ্নের উত্তর। শোওয়া থেকে হঠাৎ উঠলে যে অনেক সময় মাথা ঘোরে, তা কীভাবে হয়, তার পেছনে কী কী শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া আছে, তার বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। কিন্তু সেই বিবরণের পুরোটাই “হাউ”-এর উত্তর, “হোয়াই”-এর নয়। ... ...
হাসিমুখে বাইরে এলেন। হাতে দুখানি বই। ভারি মিষ্টি হেসে বললেন -- " এই দেখুন আপনার বই দুটো। আছে তো আমার কাছে । একটা সুশীল ( সাহা) দিয়ে গিয়েছিল... আর একটা আমি জোগাড় করে নিয়েছি। পেন্সিলে দাগ দিয়ে দিয়ে পড়েছি। এই যে...। " আমার বই ! ...দেবেশ রায় ! ... সেই ' লেখকের লেখক '! কথা বলতে পারিনি। বলুন তো , কথা বলা যায় ? ... ...
বিজ্ঞান গবেষণার অন্তর্লীন সুরটাই হল ক্রমাগত আত্মসংশোধন। বিজ্ঞান নিজের ভুল নিজেই শুধরে চলে। তাতে তার মহত্ব খর্ব হয় না, বরং আরও বাড়ে। আমরা যারা এই প্রসেসটার বাইরে তারা মধ্যে মধ্যে বিরক্ত হই। এ কি রে বাবা, আজ বলে ডিম খেও না, কাল বলে খাও। আজ বলে মানুষ থেকে মানুষে করোনা ছড়ায় না, কাল বলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখো।এরা বৈজ্ঞানিক না পাগল! আসলে এই ক্রমসংশোধনের নামই বিজ্ঞান। যদি পরিবর্তিত, সংশোধিত না হত, তবে সে আর স্বচ্ছতোয়া স্রোতস্বিণী থাকত না, সংস্কারের বদ্ধ জলায় পরিণত হত। ... ...
এই উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও একটা পাঁচিল খাড়া হয়ে গেল আড়াআড়িভাবে। ভারতবর্ষে এই দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিয়ের মধ্যে সামাজিক চোখ রাঙানি তো ছিলই,এবার তার সঙ্গে যোগ হল আইনি হাতিয়ার। ... ...
the UK has been decimated by COVID 19. It shouldn't have been the case for the 5th richest nation in the world. This article tries to look at the issue from the perspective of an emergency physician working in a major coronavirus hotspot in the UK. ... ...
প্রাণের মিত্র শিবরাম এসেছেন প্রেমেনের ( ভিয়েন সম্রাট বলতেন -- পেমেন) কালিঘাটের বাড়িতে। শিবরাম তখন চলেছেন নিদারুণ মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে। শরৎচন্দ্র - শিশির ভাদুড়ী মশাইয়ের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা করবেন ঠিক করেছেন.. আর্থিক অবস্থা তলানিতে...লেখায় মন নেই ! প্রেমেন - সতীকান্ত- অচিন্ত্যদের বলেন -- " কি লিখব ? লেখার মতো কিছু পাই না তো ! ' পাই ' না বলেই 'আনি ' কি ভাবে ? তাই 'টাকা' ও নাই !" সেদিন বিকেলে চা আর প্রফুল্ল ফুলুরি দিয়ে গেছেন শিবরামের 'বৌদিদি'। দুজনে গুছিয়ে বসেছেন। প্রেমেন বললেন -- " তুমি কাল -পরশু যেদিনই আসবে -- একটা গল্প লিখে আনবে। আনবেই। চোখের সামনে যা পড়বে -- গরু- মোষ- ইঁট -পাথর -- তাই নিয়েই লিখবে। লেখার বিষয়ের অভাব নেই। পাবে, বুঝলে... পাবে ! " মিত্রশ্রেষ্ঠকে অনুপ্রাণিত করতে সেই বিকেলে লিখেছিলেন এই অপূর্ব কবিতাটি। চা আর ফুলুরির অনুপ্রেরণা শক্তি প্রমাণিত হয়েছিল আরো একবার। ... ...
বিজ্ঞান গবেষণার আলোচনায় যে কয়েকটা শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাদের মধ্যে একটা হল এই হাইপোথিসিস। বেশীরভাগ গবেষণাই শুরু হয় এই হাইপোথেসিস নামক আমড়াতলার মোড়ের থেকে। তবে শুধু বিজ্ঞান গবেষণাই বা বলি কেন, আমাদের জীবনের প্রতিটা পদেই মিশে রয়েছে এই হাইপোথিসিস। ব্যপারটা কী রকম একটু বিশদে বলি। ধরুন, গতকাল রাত্রে আপনি আপনার সোনামনা বা সোনামণির সাথে মেসেজ চালাচালি করছিলেন। উনি আপনাকে ভালোবেসে লিখলেন “আমার সোন্টুমনা বিড়ালছানাটা ডিনারে কি খেয়েছে?” আপনারও মনে হল এর একটা সমান ভালোবাসাভরা উত্তর দেওয়া দরকার। আপনি লিখলেন, “আমি ভাত খেয়েছি। আমার গুল্লুগাল্লু হিপোর ছানা কি খেয়েছে?” তারপর এক চরম নৈশব্দ্য। সারা রাতে আর কোনও মেসেজ এল না। এমন কি সকালের গুড মন্নিং মেসেজও নয়। এইবার আপনি ভাবলেন যে আপনার গুল্লুসোনা হয়তো আপনার ওই হিপোর ছানা বলাটা খুব একটা ভালোভাবে নেন নি। এই যে আপনি ভাবলেন বা অনুমান করলেন, এটা হল আপনার হাইপোথিসিস। এখানে দুটো জিনিষ লক্ষ্য করার আছে। ... ...
বিজ্ঞানকে পছন্দ করি বা না করি, একে ছেড়ে থাকা আমাদের কারওর পক্ষেই সম্ভব নয়। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ঘুম, বারেবারেই আমাদের বিজ্ঞানের শরণাপন্ন হতে হয়। বিজ্ঞানের শরণাপন্ন বলতে আমি মাইক্রোওয়েভ টেকনোলজি বা স্মার্টফোন টেকনোলজির কথা বলছি না। আমি বলছি রোজকার জীবনের নানা সিদ্ধান্তের কথা, যার পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে বিজ্ঞানের নানা অন্ধিসন্ধি। কী রকম? ধরা যাক, আপনি সকালে জ্যাম-পাঁউরুটির বদলে ওটমিল খান। কেন? না, ছোটকাকুর ডাক্তার বন্ধু বলেছেন ময়দার জিনিষ না খেতে। কিন্তু তিনি এটা জানলেন কী করে যে ময়দা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর? কী করে আবার, ডাক্তার মানুষ, তাই জানেন। উঁহু, উত্তরটা হল না। তিনি জানেন, কেন না, কেউ কোথাও এটা নিয়ে গবেষণা করে উত্তরটা খুঁজে বার করেছেন। ডাক্তারকাকু সম্ভবত কোনও জার্নালে পড়ে এটা জেনেছেন। ... ...
মাথার মধ্যে নি:শব্দে ডানা ঝাপটায় পরিযায়ী স্মৃতির ঝাঁক। যেখানে স্নেহ মানে কাঁসার থালায় উষ্ণ সাদা ভাতে একটু ঘি, বাটিভরা লাল পায়েস, নারকেলের সাদা তক্তি।স্বপ্ন মানে আকাশে প্রাচীন শেড ট্রি র প্রশাখা বিস্তার আর দিগন্ত মানে বুকে ধ্বস চেপে রাখা নীল ভুটান পাহাড় ! ... ...
ধর্ম-কুকুরের মতো অত্যন্ত অনুগত ট্রাম অনুসরণ করে কবিকে। কবি হেঁটে চলেন। যুগ যুগান্তর, কাল কালান্তর পেড়িয়েও কবির চলা থামবে না। ... ...
গত শুক্রবারই ছিল সেই দিন। মহাশুক্রবার - ব্ল্যাক ফ্রাইডে। আমেরিকার যত দোকান কাকভোরে দরজা খুলে ডিসকাউন্ট সেল দিল আর মানুষ পতঙ্গের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে দরকারি-অদরকারি জিনিসে শপিংকার্ট বোঝাই করলো। মহাশুক্রবার-কথা অমৃতসমান। লাহিড়ী সংগ্রামী কহে, শুনে পুণ্যবান।। ... ...
ভগীরথ ... ...