এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৈঠকি আড্ডায় ৮ ভোটাভুটি ও খরচাপাতি 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • বৈঠকি আড্ডায় ৮

    ভোটাভুটি ও খরচাপাতি

    একটি পারিবারিক আখ্যান

    দ্বিতীয় পর্ব

    পৌরসভার ভোট হবে ছ সপ্তাহ বাদে , মে মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার।  ব্রিটিশ ভোটাররা গুরু বারে মতদান করে থাকে (রবিবার প্রভুর ভজনার দিন)  হল্যান্ড বাদে বাকি ইউরোপ শনি অথবা রবিবারে- ছুটির দিনে -ভোট দেয়। উওকিং তথা সারেতে বসবাস করছি দেড় দশক,  যারা এই শহরের পুরশ্রী বিসর্জন দেওয়ার জন্য বদ্ধ পরিকর তাঁদের  দফতরে নিয়মিত ট্যাক্স জমা করি । কিন্তু ওয়েসটমিনস্টারের নির্বাচনে যতটা মনোযোগ এবং শ্রমদান করেছি সে  তুলনায়  কাউন্সিলের ব্যাপারে করি নি।  পারিবারিক কারণে সে প্রচেষ্টা শুরু করলাম।

    উওকিঙ্গের জনসংখ্যা এক লক্ষ , ভোটারের  সংখ্যা প্রায় বাহাত্তর হাজার , বাস করেন দশটি ওয়ার্ডে । প্রতি ওয়ার্ডে তিন  জন কাউন্সিলার- একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন চার বছরের মেয়াদে ।  ফলে প্রত্যেক বছর ভোটরঙ্গ চলতে থাকে , চতুর্থ বছরে বিরতি তখন সারে কাউনটি কাউন্সিলের নির্বাচন। বিগত পাঁচ বছরে উওকিঙ্গের অন্যন্য এলাকায় শক্তি বর্ধন করলেও আমাদের ন্যাপহিলে কনজারভেটিভ পার্টির মৌরসি পাট্টা আছে বহু বছর – তিনটে সিটই তাঁদের দখলে। লেবার, গ্রিন পার্টি মাঝে মধ্যে লম্ফ ঝম্ফ করে, পাঁচ শতাংশ ভোট জোটে না তাদের।  

    পরের সপ্তাহে মায়া বাড়ি এসেছে।  ইলেকশন প্রসঙ্গ তুললাম
     
    •  তোমাদের ক্যান্ডিডেট লিস্ট কবে বেরুবে ? তুমি কি ঠিক জানো তোমার লড়াই কার কার সঙ্গে ?


    লেখা পড়ার মতন এ ব্যাপারেও দেখলাম তার হোম ওয়ার্ক খুব খারাপ।  পার্টি অফিসে খোঁজ খবর নিয়েছে।
     
    • একটা ভালো এবং একটা খারাপ খবর আছে । ভালো খবর – যেমন আশা করা গিয়েছিল তেমনি প্রার্থী তালিকায় তিনটি মাত্র দলেরই  প্রতিনিধি থাকবে, আগের বছরের মতন চার পাঁচ জন ভিড়ে যাবে না ।
    • খারাপ খবর?
    • কনজারভেটিভ ক্যান্ডিডেট , সাদা মার্সিডিজ চালিকা , মেলানি হোয়াইটহ্যান্ড নন, তাঁর টার্ম ২০২৩ অবধি। সিটিং কাউনসিলার ডেবি হারলো (  এক লজিস্টিক বিজনেসের আধিকারিক,  তিনি ২০১৪  সাল থেকে পুরসভায় আছেন) এ বছরে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াবেন।  ডেবি হারলো খুব শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী , তিনি পর পর দু বার পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়িনী হয়েছেন।
    • তোমাদের কৌশলটা তাহলে কি ? যে ভাবেই হোক কনজারভেটিভ পার্টির ক্যান্ডিডেটকে হারানো ? ভোট হবে তিন  মুখি – তোমাদের বন্ধু স্থানীয় ডক্টর আকবর  আলি , ডাকসাইটে লজিস্টিকস অফিসার ডেবি হারলো আর তোমার মধ্যে। মাঠে আরও কয়েকটা খেলোয়াড় থাকলে বরং  ভোট কাটাকাটির হয়তো সুবিধে হতো ।

    মায়ার মুড ভালো ছিল সেদিন।  আমাকে বসিয়ে বোঝাল পার্টির আপাত  লক্ষ এই কেন্দ্রে দীর্ঘকাল যাবত সিটিং কনজারভেটিভ কাউনসিলারকে হেলানো । নির্দলীয় এক ডাক্তারের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে -ন্যাপহিল কনজারভেটিভ মুক্ত হলে আমাদের ক্ষেত্র প্রস্তুত । মায়া জিতবে এমন কেউ স্বপ্নেও ভাবেন না কিন্তু সে কিছু ভোট পেয়ে  আকবর আলির জেতার রাস্তাটা পরিষ্কার করে দিতে পারে । পরের বছরের ইলেকশানে লিব ডেম শক্ত পোক্ত ক্যান্ডিডেট দিয়ে ঐ মার্সিডিজ ড্রাইভারের সঙ্গে মোকাবিলা করবে।

    আমার জ্যাঠামশায় পদুমায় ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন একশ বছর আগে । সেটা অর্থের, লাঠির  না ভোটের জোরে কিনা জানা নেই । তবে আমাদের বংশে আর কেউ কখনো ভোটে দাঁড়িয়েছে বলে জানি না । মায়া বললে এ নিয়ে ঢাক পেটানোর কোন প্রয়োজন নেই- আই অ্যাম ওনলি এ পেপার ক্যান্ডিডেট।

    ঠিক কথা তবে  সেটা তার পার্টির সিদ্ধান্ত কিন্তু পাবলিক তো তা জানে না !

    ক্যান্ডিডেট লিস্ট বেরুলো – ন্যাপহিলের আসন্ন নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী – জনপ্রিয় ডাক্তার আকবর আলি (৬৫) গত নির্বাচনে বিজেতা ডেবি হারলো ( ৫২) মায়া সিংহরায় ( ১৯)।  

    একটি স্টেটমেন্ট দিতে হলো মায়াকে – সে আয়কর দেয় না কারণ তার কোন আয় নেই এবং সে  দেউলে নয়।

    দু দিন বাদে মায়ার নামে একটা চিঠি এলো;  একজন ভোটার জানতে চেয়েছেন  ভোট দেওয়ার আগে জেন্ডার ইকুয়ালিটির বিষয়ে মায়ার  অবস্থান কোথায় সেটা তিনি বুঝতে চান। মায়াকে বললাম এবার বুঝলে তো ? তুমি যে প্রপার নও, পেপার ক্যান্ডিডেট সে জানে তোমার পার্টি কিন্তু ভোটার তো জানে না। রয়্যাল হলওয়ে ফিরে যাবার আগে এ চিঠির জবাব লিখে দিয়ো ।

    বর্ডার খুলে যাওয়ার আগে জার্মানি থেকে চেক রিপাবলিক যাওয়ার সীমান্তে দেখেছি জার্মান সীমান্ত প্রহরী নয়, ব্যাভেরিয়ান সীমান্ত পুলিশ ( বায়ারিশে গ্রেন্তস পোলিৎসাই -ব্যাভেরিয়ানরা এখনও নিজেদের স্বতন্ত্র দেশ বলে মনে করতে ভালবাসে)।  উত্তর জার্মানিতে এ নিয়ে নানান পরিহাস চালু ছিল – ব্যাভেরিয়ান সীমান্ত পুলিশের কাজ কি ? উত্তর: যতক্ষণ না সত্যিকারের জার্মান সৈন্য এসে পৌঁছুচ্ছে ততক্ষণ শত্রু বাহিনীকে ঠেকিয়ে  রাখা। মায়াকে এই গল্পটা বললাম।

    রোদিকা পোস্টাল ভোটের খাতায় নাম লিখিয়েছে । নির্বাচনের বেশ  কয়েক দিন আগেই জবাবি খাম সহ তার মতদানের কাগজ চলে আসে - সেখানে টিক দিয়ে  খামটি পোস্ট করে দিলেই হলো। পোলিং স্টেশনে যেতে হয় না ।ফ্রান্স ফিনল্যান্ড বেলজিয়াম এবং এস্টোনিয়া ছাড়া বাকি ইউরোপে কাগজে টিক মেরে মতদানের প্রথা চালু আছে । এস্টোনিয়াতে ইলেকট্রনিক ভোটের ঝাঁপ খোলে সাত দিন আগে - আপনি আজ কোনো  পার্টিকে ইলেকট্রনিক ভোট দিয়ে পরের দিনে টেলিভিশনে নেশন ওয়ানটস টু নো প্রোগ্রাম দেখে মত পরিবর্তন করে  অন্য কাউকে আপনার মূল্যবান মত  দিতে পারেন। তবে নির্ধারিত ভোটের দিনে সেটা করা যায় না।  

    গণতন্ত্র নিয়ে আমরা যতোই চেল্লা মেল্লি করি না কেন , আমাদের মধ্যে কতজন সাংবিধানিক কর্তব্য পালন করি ?  ভোট কজন দেয় ? ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতাশটি দেশে নাগরিকদের অর্ধেক মাত্র মতদান করেন । বিশাল ব্যতিক্রম লুকসেমবুরগ;  সেখানে নিয়ম করে আশি শতাংশ মানুষ ভোট দিয়ে থাকেন । ছোটো দেশ,  অল্প মানুষ,  পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ফ্রি আর রবিবারে কোন কাজকর্ম নেই তাই হয়তো ভোট বুথে গজল্লা করতে যান।  চেক রিপাবলিকে তিরিশ শতাংশ ভোট দিয়ে থাকেন।
    শুধু সারেতে নয়, ইংল্যান্ডে স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচনে মতদানের গড়পড়তা হার চল্লিশ শতাংশের কম । কিন্তু তাতে কি ? দশটা লোক ভোট দিলেও পুরো সিস্টেম চালু থাকে – কোন স্পোর্ট হলে লম্বা টেবিলের ওপরে ভোট বাকসো রাখা হবে, পেন্সিল হাতে নিয়ে গণনাকারিরা সেগুলো আলাদা করবেন, পার্টি অনুযায়ী থাকে থাকে সাজাবেন ।  মাঝ রাত নাগাদ রিটার্নিং অফিসার যুদ্ধ বিজয়ী  জেনারেলের মতন মঞ্চে উঠে ফলাফল ঘোষণা করবেন । পৌরসভার নির্বাচনে এই জৌলুস কম কিন্তু পারলামেনটের ভোটের সময়ে নাটকীয়তা তুঙ্গে ওঠে – সকল প্রার্থী লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রেজাল্ট শোনেন।  পাস করেছেন একজন ; কিন্তু দু গণ্ডা প্রার্থী একেবাদে ডাহা ফেল। তবু সোনামুখ করে দাঁড়িয়ে শুনতে হয় – বিজয়ী পেয়েছেন বিশ হাজার আর মনস্টার রেভিং লুনাটিক পার্টির লর্ড হ হ পেলেন কুল্লে আটটা ভোট ।



    মনস্টার রেভিং লুনি পারটি চিফ প্রয়াত লর্ড হ হ। ভোটের ব্যাপারটা তাঁর কাছে ছিল একটা অট্টহাসি 
     
    কোন প্রকারের ক্যানভাসিং মায়া করবে না, পড়াশোনায় ব্যস্ত । দুয়োরে দুয়োরে ঘোরার শক্তি এবং ইচ্ছে কোনটাই আমার নেই । পনেরোশো পাউনড অবধি সে খরচা করতে পারে, ইস্তেহার ছাপতে , যাতায়াতের খাতে কিন্তু নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোন সম্ভাব্য ভোটারকে নিজের পয়সায় চা পর্যন্ত খাওয়ানো চলবে না – মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট!  

    মে মাসের পাঁচ তারিখে ভোট , চমৎকার দিন । রোদিকার ভোট ডাক বাকসে নিক্ষিপ্ত হয়েছে , আমি প্রতিবেশী আলেক্সের সঙ্গে ভোট দিতে গেলাম লোকাল স্কাউট ক্লাবে । বিকেলে মায়ার ক্লাসের শেষে তাকে নিয়ে গেছি  পোলিং স্টেশনে , সে বললে ডাক্তারকে ভোট দিয়েছে ।

    ভোট গণনায় আমরা কেউ যাচ্ছি না , অতএব ভোরবেলা অবধি অপেক্ষা। তার স্কুলের কিছু ছেলে মেয়ের ভোট মায়া পেতে পারে, মানে কুল্লে গোটা কুড়ি ! ভোটরঙ্গ শেষ,  তারপর ছাত্রানাং অধ্যয়নং তপ:  

    আর নয় নয় এ মধুর খেলা । 
     
    ফল 
     

    অফিসিয়াল রেজাল্ট 
    কাগুজে প্রার্থী বা শিখণ্ডিকে সামনে রেখে নিখুঁত ভাবে ভোট কাটিয়ে  লিবারাল  ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সমর্থিত নির্দলীয় প্রার্থী আকবর আলি  দু বারের বিজয়ী কনজারভেটিভ কাউনসিলারকে হটাতে সক্ষম হলেন।  পরের বছরের নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী স্টিভ গ্রিনট্রি  আগের দু বারের বিজয়িনী মেলানিকে হারিয়ে ন্যাপহিলের প্রথম লিব ডেম আসন নিশ্চিত করেন ।  
     
     

    আগের বারে মেলানি ২০৪৮ ভোট পেয়েছিলেন 

    উওকিং কাউনসিলে এখন লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের আসন সংখ্যা কুড়ি, কনজারভেটিভ দশ ।

    পু : বিশ্ববিদ্যালয়ে মায়ার রেজাল্ট আশানুরূপ হয়েছিল , পার্টি পলিটিক্সের কোন ছায়া তার ওপরে পড়ে নি । এ বছরটা সে বিরতি নিয়েছে । আগামী সেপ্টেম্বরে কিংস কলেজে তার মাস্টার্স শুরু কিন্তু ইতিমধ্যে লিবারাল ডেমোক্র্যাট  পার্টি তাকে মনোনয়ন দিয়েছে উওকিঙ্গের  বাইফ্লিট ওয়ার্ডে , যেখানে তারা বহুদিন জিততে পারে নি। আবার সেই পেপার ক্যান্ডিডেট রোলে মায়ার অভিনয় ।

    ভোটের তারিখ ২ মে, ২০২৪ !

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tapan Kumar SenGupta | ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১০530150
  •  মায়ার ইচ্ছে পূরণ হোক! 
  • Kishore Ghosal | ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৪৪530158
  • মায়াকে অনেক অভিনন্দন - হারলো ২০১৪ থেকে কারও কাছে হারলো না, মায়ার ভোট কাটাকুটির মায়ায় হারলো !!!   অসাধারণ। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:323c:d36c:b897:7f90 | ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১৭530186
  • রক্তপাত, পড়ন্ত বেলায় – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    আজকের মতো খেলা তো প্রায়
    খতম হতে চলল।
    আর মাত্র মিনিট পাঁচেক বাকি।
    যাও বাছা, মাঠে গিয়ে
    এই পাঁচটি মিনিট তুমি কোনোক্রমে দাঁড়িয়ে থাকো।
    চেয়ে দ্যাখো,
    আলো পড়ে এসেছে।
    চেয়ে দ্যাখো,
    ওদের বোলারদের চোখ।
    লোভে চকচক করছে।
    মনে হচ্ছে, ওদের তেষ্টা এখনও মেটেনি।
    মনে হচ্ছে,
    এই শেষবেলায় ওরা অন্তত আর-একজনের
    রক্ত না-দেখে ছাড়বে না।
    বলো, আমার নামজাদা ব্যাটসম্যানদের
    কাউকেই কি এখন আমি
    মাঠে পাঠাতে পারি?
    আজকের মতো তারা বেঁচেবর্তে থাক।
    সকাল হোক
    রোদ্দুর উঠুক,
    তখন তারা খেলা দেখাবে।
    তুমি যাও।
    তুমি গিয়ে ওদের তেষ্টা মেটাও।
    তুমি আমার এগারো-নম্বর খেলোয়াড়;
    কিন্তু প্রমোশন দিয়ে তোমাকে আমি
    তিন-নম্বরে তুলে আনলুম।
    তোমার স্বার্থে নয়,
    দলের স্বার্থে।
    বাছা, তুমি ধরেই নাও যে, এই পড়ন্ত বেলায়
    দলের স্বার্থে তোমাকে আমরা
    খুন হতে পাঠাচ্ছি।
  • দেবব্রত মণ্ডল | 2409:40e0:4a:3926:dc32:2fff:fe92:78cc | ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৬530200
  • এ  এক অচেনা ভোটযুদ্ধ। অসাধারণ সাবলীল গদ্যে লেখা। নিজের অজান্তেই অপ্রাসঙ্গিক ভাবে লিব ডেম এর সমর্থক হয়ে গেছি। কিংস কলেজে যাওয়ার পরও যেন এ লড়াই জারি থাকে। আর একটা অধ্যায়ের জন্য উদগ্রীব অপেক্ষা। 
     
    তাঞ্জানিয়া ও ভারতের  বাণিজ্য সম্পর্ক সুপ্রাচীন। সুদূর বিদেশে তার প্রতিফলন সত্যি অভাবনীয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন