এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সিনেমা

  • বঙ্গবন্ধু বায়োপিক, সুন্দর শুরু ও শেষ, মাঝে ম্রিয়মাণ

    মোহাম্মদ কাজী মামুন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সিনেমা | ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৪৮ বার পঠিত
  • আমি খুব একটা সিনেমা হলে যাই না। আমার বাবা-মা তো মনে হয় কত যুগ আগে সিনেমা হলে এসেছেন, তা মনেই করতে পারবেন না। সেই বাবা-মাকে নিয়েই আজ মধুমিতার সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলাম যখন তাদের মুখটা খুব গুরুগম্ভীর দেখাচ্ছিল, সে 'মুজিব, একটি জাতির রূপকার' সিনেমার মধ্য দিয়ে মুজিবকে পাওয়ার আবেগে, না কি, মধুমিতায় তৈরী হওয়া স্মৃতির ঝাপ্টানিতে, তা বলা দুষ্কর। তবে সিনেমাটি দেখা শেষে আমরা যখন আবার সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছিলাম, তখন পুরো সময়টায় একটা কথাও না বলা মায়ের মুখ থেকে বেরিয়ে এল, "নতুন কি দেখাইল! যা আইল, তার থাইকা তো আমরাই বেশি দেখছি, হুনছি! যুদ্ধের টাইমে আমাগো ঘাটেই তো মুক্তিযোদ্ধাগো নাও বান্ধা আছিল, আমার মায়ে রানছে আর আমরা প্রাণের মায়া না কইরা দিয়া আইছি।"

    আসলে মায়ের এ কথাটা থেকেই বোঝা যায়, সিনেমাটি মুজিব, মুজিবের বাংলা, তাঁর একাত্তর, তাঁর অবর্ণনীয় কষ্ট সংগ্রাম - সেই উত্তাপকে ধরতে পারেনি, যা আমার মা ও বাবা তাদের অন্তরে এতদিন ধরে ধারণ করে এসেছেন এবং পুনরাবিষ্কারের আকাংখায় ছুটে গেছেন হলের পানে এই বয়সেও! ছবিটিতে সব কিছুই দেখানো হয়েছে, আবার যেন দেখানো হয়নি কিছুই। একটার পর একটা ঘটনা ট্রেনের মত ছুটেছে, দর্শক কোনটিতে একাত্ম হওয়ার আগেই নতুন ট্রেন এসে হাজির হয়েছে। ছবিটিতে বড় বড় সিন রয়েছে, তবে তা দর্শকের মনে বড় জায়গা করে নিতে পারেনি।

    ছবিটি শুরু হয়েছিল কিন্তু বেশ সুন্দর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই সময়, ইতিহাসের সেই সন্ধিক্ষণের সেই উত্তাপ ভালমতই ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। এরপর ছোট্র রেনুকে যখন গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও খুব হৃদয়গ্রাহী হয়েছিল, বিশ্বাসযোগ্যতার কোন ঘাটতি ছিল না চিত্রগ্রহণ ও অভিনয় শৈলিতে। কিন্তু এরপর যতই এগুতে থাকে ছবিটা, পাঠকের মনে আক্ষেপের কণা সঞ্চিত হতে হতে এমন স্ফীত আকার ধারণ করে যে, মুক্তিযুদ্ধের সিনে এসে দর্শক মুভিটা থেকে চোখ সরিয়ে নিজের স্মৃতিতে জমা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে ভাবতে থাকে।
     


    শ্যাম বেনেগালের মত একজন নির্মাতা, দু'টি দেশের যৌথ প্রযোজনা, বিরাটাকারের বাজেট - এমন যখন একটি সিনেমার টাইটেলে শোভা পায়, তখন দর্শকের ক্লান্তি ও চোখ সরানো নিশ্চয়ই তার প্রাপ্য হতে পারে না! কিন্তু সবার ঐকান্তিক চেষ্টা সত্বেও এমনটাই ঘটেছে। ছবিটাকে ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কিছু দুর্বলতা ছবিটিকে বিশ্বখ্যত 'গান্ধী' ছবিটির ধারেকাছে তো পৌঁছুতে দেয়ইনি, এমনকি ভারত ও বাংলাদেশের অনেক স্মরনীয় মুভির থেকেও পিছিয়ে দিয়েছে।

    ছবিটার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ, টিভি ও সিনেমার একজন জনপ্রিয় নায়ক। শুভ সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন যে, তিনি সাধ্যের বেশী দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া তিনি সমালোচকদের শ্যাম বেনেগাল নামটি স্টাডি করারও পরামর্শ দিয়েছেন। ছবিটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে, শুভ মিথ্যা বলেননি। তিনি তার সাধ্যের থেকে বেশী দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তার সাধ্য কতটুকু? তার সাধ্য কি গান্ধী চরিত্রে রূপদানকারী বিশ্ব বিখ্যাত অভিনেতা 'বেন কিংসলে' এর সমতুল্য? আচ্ছা অতদূর যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের শক্তিশালী অভিনেতাদের কথা বলা যায়, যেমন, মুম্বাইয়ের অমিতাভ বচ্চন, বা, ওপার বাংলার সব্যসাচী চক্রবর্তী - শুভর অভিনয় সামর্থ্য কি এদের সমতুল্য? আচ্ছা, ইন্ডিয়াতে যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশেও তো রয়েছেন অনেক শক্তিশালী অভিনেতা, যেমন, চঞ্চল চৌধূরী, মোশারফ করিম, জাহিদ হাসান, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, আফজাল হোসেন, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ। আরেফিন শুভ কি এদের মত সামর্থ্যবান? বাংলাদেশের সিনেজগত বা মিনিপর্দা বা মঞ্চনাটক উপরে উল্লিখিতদের যে অভিনয় প্রতিভার সাক্ষী হয়ে আছে, তার কতটা কাছে আরেফিন শুভ? হ্যাঁ, উচ্চতায় হয়ত শুভ এদের সবার থেকেই লম্বা, যা মুজিবকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু অভিনয় উচ্চতায় তার পরিমাপ কতটুকু করা হয়েছে?

    বলা যেতে পারে, ছবিটার সব থেকে বড় দুর্বলতা হল আরেফিন শুভর কাস্টিং। মূল চরিত্রটা সব ছবিতেই বাদবাকী চরিত্র ও পারিপার্শ্বিক সিনগুলোতে প্রভাবিত করে, কারো দুর্বলতা থাকলেও তা ঢেকে ফেলে। কিন্তু আরেফিন শুভ নিজে দুর্বল হওয়াতে অন্যদের শক্তিশালী অভিনয়, যেমন, সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে তৌকির আহমেদ, ভাসানি চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, বাবার চরিত্রে চঞ্চল চৌধূরি, তাজউদ্দিন চরিত্রে রিয়াজ, মোশতাক চরিত্রে ফজলুর রহমান বাবুর অভিনয় - সিনেমার পর্দাকে ঝলসে দেয়ার সুযোগ পায়নি।

    পুরো ছবি জুড়েই শুভ দ্বিধান্বিত ছিলেন মনে হয়। হয়ত পরিচালকের নির্দেশ নিয়েই এই দ্বিধা। মুজিব সত্যের পথে যেমন কঠোর ছিলেন, তেমনি পারিবারিক বাহুডোরে কোমল স্বভাবের ছিলেন। অকল্পনীয় সাহসের আড়ালে তার মধ্যে ছিল একান্তই নির্ভেজাল সাদামাটা সহজ সরল মানুষের প্রতিচ্ছবি। পরিচালক হয়ত সেই কোমলতাকে ফুটিয়ে তুলতে বলেছিলেন। আর তাই শুভ পুরো ছবিতেই ভয়ানক কোমল, তার হাঁটা, চলা, কথা বলার স্টাইলে কেমন নতজানু, অবনত মস্তকের একটা ভাব। হ্যাঁ, মুজিব কোমল স্বভাবের ছিলেন, একদম অজপাড়াগাঁর খেটে খাওয়া শ্রমিক মজুর বাঙ্গালীদের মতই। কিন্তু বুঝতে হবে, তিনি সাড়ে সাত কোটি মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, ইতিহাসের সন্ধিক্ষণগুলোতে তার চোখে-মুখে সেই সাত কোটি মানুষের আবেগ, উত্তেজনা,  আশংকা, ক্ষোভ, চাপ-তাপ ফুটে উঠতে হবে  না?  শুভ কি পেরেছেন? পঁচিশে মার্চের গণহত্যার পূর্ব মুহূর্তে মুজিবের সাথে যখন নেতাকর্মীদের বৈঠক হয়, তখন বিদায়কালে শুভ  'জয় বাংলা' বলার সময় যেভাবে হাতটা উঁচু করেন, তা উদাহরণ হতে পুরো ছবিতে শুভর অভিনয়ের সংকেত হয়ে, ওরকম দুর্বল দেহভঙ্গিমা স্বাধীনতার আগুন-মন্ত্র পরিয়ে দেয়া একজন নেতার হয় কখনো? সাতই মার্চের ভাষণটিও দেখা যেতে পারে নমুনা হিসেবে; মঞ্চে আসীন ঐ মুজিবকে জাতির সবাই দেখেছে অনেকবার, সুতরাং, মেলাতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে শুভর চোখ, মুখ, স্বর প্রক্ষেপণ কতটা দূরে ছিল বাস্তবতা থেকে!

    ছবিটাতে আরো দুর্বলতা ছিল। যে ছবি বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরাগুলোর একটি হবে, যার রয়েছে এত বাজেট ইতিহাসকে তুলে আনতে বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে, তাকে কেন মুক্তিযুদ্ধ দেখানোর জন্য চেনা ভিডিও ফুটেজগুলোর আশ্রয় নিতে হবে, যা ছোট থেকেই দেখে আসছে বাংলাদেশের মানুষ? বঙ্গবন্ধুর অনশনের সেই করুণ দশা, জেলে অসহনীয় যন্ত্রনাকাতর সময় - এসবের যে টুকরো ছবিগুলো বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠের  সময় পানি এনে দেয় পাঠকের চোখে,  সিনেমা দর্শকদের কাঁদাতে ব্যর্থ হয়েছে। বস্তুত ঐ পর্বগুলোকে খুব সংক্ষেপেই বিদায় জানানো হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুকে বুঝতে হলে তো তার ত্যাগ ও কষ্টটাকেও ইলাবোরেট করা দরকার ছিল, তাই না?

    এদিকে অত গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, শেখ কামাল ও জামালের বিয়ে পর্ব, শেখ হাসিনার, এমনকি মুজিবের বিয়ে পর্ব - ইত্যাদিকে খুব সময় দেয়া হয়েছে। এমনি আরো অনেক উপাদান নিয়ে আসা হয়েছে, যা হয়ত অসত্য নয়, কিন্তু একটি সময়-মাপা বায়োপিকে সব কিছু আনতে যেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো মিস্‌ হয়ে গেছে মনে হয়। গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যাওয়ার সময়টুকুতেও তাড়াহুড়ো হয়েছে, দর্শকেরা রিলেইট করতে পারেননি পুরো। ফজিলাতুন্নেসা রেনু চরিত্রে তিশার অভিনয় ভাল হলেও তাকে ছেলেরমেয়ের বিয়ের আসরে সন্তানদের থেকেও তরুণী লাগছিল। মূল চরিত্র অভিনেতার ব্যর্থতার পাশাপাশি প্লট বিন্যাস ও সম্পাদনায় অগোছালো কাজের ছাপ ছবিটির দৃশ্যে দৃশ্যে!

    ছবিটার প্রথম দিকের মত শেষ দিকটাও ভাল হয়েছে, দর্শকদের হৃদয় ছুঁতে পেরেছে মনে হয়। গানগুলো সুন্দর হয়েছে। নজরুলের 'চল চল' গানটা একটু দীর্ঘায়িত করা যেত। দৃশ্যায়ন ওভারঅল সুন্দর, বিশ্বমানের মনে হয়েছে কোথাও কোথাও।

    'গান্ধী' ছাড়া আরও অনেক স্মরণীয় বায়োপিক আছে, কিন্তু 'গান্ধী' সিনেমাটাই বাংলাদেশের মানুষ সব থেকে বেশী দেখেছে, এবং তাদের অনেকেই অনেক দিন ধরেই মনে মনে চাইত যে, তাদের স্বাধীনতার নেতাকে নিয়েও এমন একটা ছবি হবে একদিন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেই একদিনটা মনে হয় এখনো আসেনি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৯524548
  • @হীরেন সিংহ রায় দাদা,
    বাংলাদেশের অনেক হলে চলছে। ইন্ডিয়াতেও আসবে। লন্ডনেও যাবে হয়ত। 
    আপনি বরং বাংলাদেশে দেখুন ছবিটা। ভাল লাগবে। ছবিটা ভাল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুভি হলে আমাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হয়ে যায়। আমি হয়ত একটি বেশিই সমালোচকের চোখে দেখেছি। অনেকের কিন্তু ভাল লেগেছে। আমারো ছবির গানগুলি,চিত্রগ্রহণ, কয়েকজনের অভিনয়,কয়েকটা দৃশ্য দুর্দান্ত লেগেছে, শ্যাম বেনেগালের জাত চিনিয়ে দেয়ার মত অনেকগুলো জায়গা আছে মুভিতে। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২১:০১524587
  • আমি দ্বিধায় রয়েছি এখনও। মুজিব নাম দেখেই ঝাঁপিয়ে পরে দেখাটা ঠিক হবে কি না বুঝতেছি না। অনেকেই কিন্তু খুব প্রশংসা করছে। ক্রিপটিক ফেইথের সাকিব ভাইও দেখলাম ভাল রিভিউ দিছে। আপনে যেটাকে দুর্বলতা বলছেন অনেকেই সেটাই শক্তি বলছে, মানে শুভ দুর্দান্ত কিছু করেছে এমন আর কি! আমি দ্বিধায় আছি মূলত ট্রেইলার দেখে। কোনমতেই মান সম্মত কিছু মনে হয়নি। শ্যাম বেনেগালের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বয়স : ফরগোটেন হিরো দেখছিলাম, ভাল লাগছিল। তাই শ্যাম বেনেগাল পরিচালক দেখে অনেকেই আপত্তি করেছিল কিন্তু আমি করি নাই। এখন মনে হচ্ছে সব লেজেগোবরে করে ফেলছেন উনি! 
     
    @হীরেন দা, বাংলাদেশ আসবেন না কি! 
  • | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২৭524588
  • কলকাতায় ২৭ তারিখ রিলিজ হচ্ছে।  
  • হীরেন সিংহরায় | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৭524590
  • শরিফ ভাউ
     
    হ্যাঁ । জানুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহে 
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫৮524591
  • @সাদেকুজ্জামান শরিফ ভাই 
     
    ''ক্রিপটিক ফেইথের সাকিব ভাইও দেখলাম ভাল রিভিউ দিছে।''  
    খুবই স্বাভাবিক যে মুভি বা বই নিয়ে কেউ ভাল রিভিউ কেউ অতৃপ্ত রিভিউ দেবে। স্বতঃসিদ্ধ হলে তো আর্ট হত না সায়েন্স হয়ে যেত। 
     
    "আপনে যেটাকে দুর্বলতা বলছেন অনেকেই সেটাই শক্তি বলছে, মানে শুভ দুর্দান্ত কিছু করেছে এমন আর কি! " 
    আমি যখন সাতই মার্চের ভাষণে শুভকে দেখছিলাম ও শুনছিলাম তখন স্বভাবতই মেলাচ্ছিলাম সত্যিকারের মুজিবের সাথে। এখন যদি কেউ বলেন আমার এভাবে মেলানো উচিৎ নয় যেহেতু এটা তো সিনেমা আর শুভ তো আর সত্যি মুজিব নয়।..  তাহলে আর আমার কিছু বলার নেই । বলতে কী ছবি দেখতে বসে আমি দর্শক হিসেবে অনেক কিছুই চাইব.-কোন অভিনেতা কতটুকু পারবেন আর পারবেন না সে বিচার তো করতে বসার সুযোগ নেই। 
     
    মুজিব কোমল ছিলেন অবশ্যই। কিন্তু মোরাল কারেজ থাকা লোকদের বেলায় যা হয়, কোমলতার মাঝেও দাউ দাউ করে জ্বলতে সত্যের চাপা আগুন ...দ্রোহের দহন ....তা আমি পাইনি মূল চরিত্রে রূপদানকারীর চরিত্রে। আর এ আমার একান্তই পর্যবেক্ষণ। কারো সাথে সংঘর্ষ করার ইচ্ছে নেই এই ব্লগের।  আমি মুভির কোন কোর্স করিনি যদিও প্রচুর মুভি দেখিছি। তাই আমার ভুল হতেও পারে। আর দর্শকের সেই ভুলকে অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ সকলকে। 
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:০০524592
  • @ দ দিদি 
    দেখুন ছবিটি। ভাল লাগবে আশা করছি। ছবিতে কিছু জায়গা আছে যা অবশ্যই মোচর দেবে। আছে অসাধারণ কিছু সিন। শান্তনুর মিউজিক জাস্ট অসাম। ভুলতে পারবেন না অনেকদিন গ্যারান্টি। ছবির শেষে চোখে পানিও চলে আসতে পারে।
  • | ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১৬524593
  • সুযোগ পেলেই দেখে নেব ভাই, ইচ্ছে আছে খুবই। 
  • Aranya | 174.229.210.217 | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০১:২৭524598
  • ভাল লেখা। দেখতে হবে, সিনেমাটা। আশা করি, আমেরিকায় রিলিজ করবে 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৩৪524608
  • @হীরেন দা, সাধু সাধু! অপেক্ষায় থাকলাম। 
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৫524658
  • এই খোপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও "মুজিব" সিনেমার দুই প্রধান চরিত্র শুভ - তিশার প্রতিক্রিয়া রেখে গেলাম
     
     
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২০:২৭524760
  • @ দ দিদি,
    দেখুন ভাল লাগবে। কয়েকটি জায়গা আছে চোখে পানি আনবে। শান্তনুর গানগুলি অসাম। যারা ইতিহাস পরিক্রমাটি জানে না যেমন বাচ্চারা তাদের জন্য কিন্তু একটি আদ্যোপ্যান্ত ইতিহাস আছে। 
    @ অরণ্য 
    অশেষ ধন্যবাদ। দেখুন। ভাল লাগবে আশা করছি।
    @বিপ্লব রহমান 
    আপনার সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ। পোস্টটিকে নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ করেছে। তবে একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি আমার অনেক বেশী প্রত্যাশা ছিল। আর শুভ সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি আমার। এখন যদি বলা হয় যে যেমন একজনকে ফেইসবুকে লিখতে দেখলাম শুভ তো আর মুজিব নয় যে পুরো মুজিবকে পুরো ফুটিয়ে তুলতে পারবে তা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন দর্শক সময় ও অর্থ ব্যয় করে হলে গিয়েছে মুজিবকেই দেখার জন্য,শুভকে উৎসাহ দেয়ার জন্য নয় যা তার পরিবারের জন্য একান্তই স্বাভাবিক হলেও দর্শকের জন্য নয়। শুভ সামর্থ্যের বেশী দিয়েছে তা পোস্টেই বলেছি। কিন্ত সামর্থ্যের পরিমাপে তো আরো সামর্থ্যবান ভারত ও বাংলাদেশ দুদেশেই ছিল যারার পরীক্ষিত তাই না? 
    মুজিব একটি আবেগের নাম আমাদের জাতির জন্য। সেজন্যই আমার বৃদ্ধ বাবা মা ছুটে গিয়েছেন হলে। সেজন্যই এত কথা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন