এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সমাজ

  • র‌্যাগিং এবং প্রগতিশীলতা

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সমাজ | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১২১১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৭ জন)
  • কোনো অজ্ঞাত কারণে আমার ধারণা ছিল, যে, বিগত দশ-পনেরো বছরে র‌্যাগিং ব্যাপারটা কমে আসছে। যা পড়ছি, তাতে মনে হচ্ছে, কমে তো নিই, বরং বেড়েছেও কিঞ্চিৎ, তাও হতে পারে। ছাত্র সংগঠনদের চুলোচুলি, মিডিয়ায় হইচই, হঠাৎ একটা ঘটনার খবর হয়ে ওঠা, সবই অব্যাহত। এই পদ্ধতিটা এতই চেনা, যে, দু-লাইন না লিখে পারছিনা।
    ১। র‌্যাগিং একটা সিস্টেমিক এবং সিস্টেমেটিক ব্যাপার। বিচ্ছিন্নভাবে র‌্যাগিং হয়না। এবং কলেজের প্রতিটি ছাত্র সংগঠন ব্যাপারটা জানে। হ্যাঁ, প্রতিটা ঘটনা জানেনা, অংশগ্রহণ বা এনডোর্স করেনা, সবই সম্ভব, কিন্তু জানেনা, এটা হয়না। যদি কেউ বলে, জানতামনা, তাহলে হয় সেই সংগঠনটা নেই (সেটা হতেই পারে, সব কলেজে সব সংগঠন থাকেনা), অথবা গুল দিচ্ছে। বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আর যদি কোনো সংগঠন বলে, জানেনা, কারণ এটা "বিচ্ছিন্ন ঘটনা", তাহলে সেটাও গুল। "বিচ্ছিন্ন র‌্যাগিং" হয়না। বিচ্ছিন্ন খুন-জখম-রাহাজানি-গুন্ডামি-শ্লীলতাহানি সবই হতে পারে, কিন্তু র‌্যাগিং না। কারণ, আপনি কল্পনা করে দেখুন, অন্য একটা ছেলেকে আপনি বলছেন, "এই, প্যান্ট খুলে রাত বারোটায় ইন্ট্রো দিয়ে যাবি" - এটা চুপি-চুপি হয়না, এবং এটা আপনার মাথাতেই আসবেনা, যদি না একটা কালচার চালু থাকে, এবং সেটার একরকম মান্যতা থাকে।
    ২। র‌্যাগিং কতদূর যায়, সেটায় অনেকেই বিস্মিত হচ্ছেন। হবার কোনো কারণ নেই। শারীরিক পীড়ন, যৌন লাঞ্ছনা, যৌন হেনস্থা - এগুলো খুব সাধারণ অস্ত্র, এগুলো র‌্যাগিং এর খুব চেনা বিষয়। এবং নিশ্চিন্ত থাকুন, প্রতিটা ছাত্রসংগঠন সেটা জানে। হ্যাঁ, যারা প্রবল উদ্যোগে জেন্ডার সেনসিটাইজেশন করে এসেছে, তারাও জানে, যে ওগুলো টুকটাক হয়, এবং সহ্য করে নিতে হয়। নচেৎ ছাত্রদেরও সমস্যা। কারণ, চার বছর কলেজে থাকতে হবে, সিনিয়ারদের সাহায্য নিতে হবে। আর এই সমস্ত খুচরো জিনিস সামনে চলে এলে সংগঠনেরও সমস্যা, "বৃহত্তর" বিষয়গুলোয় মনঃসংযোগ করা যাবেনা, যেগুলো তাঁরা অন্য কোথাও শিখে এসেছেন। এই কারণেই খুব বিরাট কিছু ঘটনা না ঘটে গেলে কলেজে র‌্যাগিং কখনই কোনো ইস্যু হয়না। নইলে, সব কটা সংগঠন চাইলে, একসঙ্গে চাইলে, র‌্যাগিং ঘটেনা।
    ৩। অভিযোগ আসেনা কেন। কারণ, কেউ পাশে থাকবেনা। যে ভর্তি হচ্ছে, তাকে কলেজে টিকে থাকতে হবে, আমরা যারা সোশাল মিডিয়ায় বাণী দিচ্ছি, তারা তো সঙ্গে থাকবনা। তাকেই একঘরে হয়ে বেঁচে থাকতে হবে। আর র‌্যাগিং এর যে বড় অংশটা, যৌন হেনস্থা, সেটা নিয়ে বলতে গেলে লোকলজ্জা এবং পাবলিক হিউমিলিয়েশনের ভয় আছে। "তোর ** মেপেছে? হ্যা হ্যা হ্যা।" ইত্যাদি। আইন-কানুন তো নেইই। ছেলেদের যৌন লাঞ্ছনা, এবং ধর্ষণ, ভারতবর্ষে হয়না, কারণ আইনে নেই। ফলে এই সিস্টেমিক এবং সিস্টেমেটিক যৌনহেনস্থা মূলত আইনস্বীকৃত, বা বলা যায়, ওগুলো হয়না। আদতে সব্বাই জানেন, কী বিপুল এর প্রসার, সমকামীরা তো জানেনই, কিন্তু আইনগুলোকে ইউনিসেক্স করার কোনো দাবী শুনেছেন? নাঃ। দাবী তো নেইই, বরং বললে আপনি প্রগতিবিরোধী হয়ে যাবেন। যারা সেই স্ট্যাম্প মারবে, তারা প্রগতিশীলতার হোলসেলার, এবং ওই সংগঠনগুলোতেও আছে, যারা নাকি "কিছুই জানেনা"।
    ফলে এইগুলো আপাতত চলবে। হইচই হচ্ছে, কদিন একটু বন্ধ থাকবে। দুটো-তিনটে ছেলেকে তুলেছে, তারা বলির-পাঁঠা, না সত্যিই অপরাধী জানার উপায় নেই। যাই হোক, এখন হস্টেলে একটু ভয়ের আবহাওয়া চলবে। তারপর থিতিয়ে গেলে হস্টেল-সেন্টিমেন্ট আবারও ফিরে আসবে। তারপর আবার হেনস্থা হবে, কারণ ওগুলো হয়না, বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সমস্যা থাকলে সমাধান হয়। কিন্তু সমস্যাই না থাকলে আর সমাধান কীসের।
    লিখলাম কেন? কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই হস্টেলের ছাত্র বা ছাত্রী নন। তাঁদের জানা দরকার, বিষয়টা কী এবং কেমন।
     
    সংযোজনঃ 
    লেখাটা ফেবুতে দিয়েছিলাম। প্রগতিশীলতার হোলসেলারদের সম্পর্কে আমার মত শুনে কেউ কেউ শুনে আঁতকে উঠেছেন। তাই এই সংযোজন। এটা পরে ফেবুতেও দিয়ে দেব। ব্যাপার হল, আঁতকে ওঠার মতোই জিনিস হলেও কথাটা কিন্তু আদপেও অজানা নয়। যৌন লাঞ্ছনা নিয়ে নতুন আইন হয় নির্ভয়া কান্ডের পর। সেটা আমরা সবাই জানি, অনেকেই রাস্তায় হেঁটেওছি। এবং বেশিরভাগই ব্রিটিশ আমলের আইনের বদলে নতুন আধুনিক আইনের পক্ষে সওয়াল করেছি। আইন বদলানোর জন্য সে সময় তৈরি হয়েছিল ভার্মা কমিশন। তারা এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেয়। সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্রস্তাবিত বিলের খসড়া তৈরি করে ফেলে। সেই খসড়ায়, প্রত্যাশা অনুযায়ীই যৌন লাঞ্ছনা সংক্রান্ত আইনের খোলনলচে বদলানোর কথা ছিল। এবং জেন্ডার-নিউট্রালিটির কথা ছিল। অর্থাৎ কিনা, যৌন লাঞ্ছনা পুরুষ বা মহিলা, যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে, এবং আইন সব ক্ষেত্রেই এক (" ...replacing the word 'rape' wherever it occurs by the words 'sexual assault', to make the offence of sexual assault gender neutral and also widening the scope of the offence of sexual assault;") ।
    এইটাই আইন হয়ে যেত। সরকার এই মর্মে অর্ডিন্যান্সও করে ফেলেছিল। কিন্তু সমস্যা আসে দুই দিক থেকে। চরম দক্ষিণপন্থীদের একটা অংশ আপত্তি করে। "ছেলেদের আবার ধর্ষণ কী" বা "ভারতীয় সংস্কৃতি বিপন্ন হয়ে যাবে", এইসব দিক থেকে। তারা তখন বিরোধীপক্ষ। ফলে এই আপত্তিতে বিল পাশে গোলযোগ কিছু হতনা। কিন্তু সমস্যা আসে "প্রগতিশীল"দের দিক থেকেও। "গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মহিলা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং আন্দোলনকারীরা" লিঙ্গনিরপেক্ষতার প্রবল বিরোধিতা করেন। সরকারের কাছে এবং প্রকাশ্যে লিখিত বিবৃতি দেন। পড়তে নাটকীয় লাগে, তার প্রথম দাবীটিই, বোল্ডে, "The Accused Must Be Male."। অর্থাৎ অভিযুক্তদের পুরুষ হতেই হবে। আক্রান্ত কী পুরুষ হতে পারে? না, তাও পারেনা। কারণ, "There is no basis to the argument that gender neutral laws allow young boys to be protected from abuse, because all young boys and girls are fully protected by gender neutral laws in the Protection of Children from Sexual Offences Act 2012." অর্থাৎ কিনা, বাচ্চা ছেলেদের জন্যও আইনটা লিঙ্গনিরপেক্ষ করার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের জন্য পকসো আছে। অস্যার্থ, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের যৌনলাঞ্ছনা হয়না।
    আজকে যাঁরা যৌনলাঞ্ছনার প্রতিকার চাইছেন, তাঁদের বলার কিছু নেই, যে, কথাটা ভুল। কিন্তু ওই সময়ে ওটাই প্রগতিশীলতার মুখপাত্রদের বয়ান ছিল। তাতে সই করেছিলেন জনাকুড়ি সংগঠনের প্রতিনিধি। সই করেন কবিতা কৃষ্ণন, তিনি তখন এআইপিডাব্লুএর সম্পাদিকা, নিবেদিতা মেনন, বৃন্দা গ্রোভার ইত্যাদিরা। সবই দিল্লি এবং কিছু বোম্বে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যা হয়। বোম্বের বাইসেক্সুয়াল এবং লেসবিয়ানদের একটা সংগঠন ছিল, দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু পুং সমকামীদের কোনো সই নেই। সিপিএম বাদে বামপন্থী লিবারাল তৃতীয় ধারার অংশটা সবটাই এই ছাতায় চলে আসে। সিপিএমের কারো সই না থাকলেও, তাদের অবস্থানও এইটাই ছিলঃ "...rejects the Verma Committee recommendations on issues like making rape a gender specific crime in the law"।
    এর পিছনে যুক্তি ছিল মোটের উপর একটাই। পুরুষ ও নারীর অবস্থানের অসাম্য আছে সমাজে। কথাটা ঠিকই। কিন্তু তার জন্য অ্যাফার্মেটিভ অ্যাকশন না এনে, ফৌজদারি বিধিতে বৈষম্য আসবে কেন, পরিষ্কার না। এবং পুং দের পুংদের হাতেও আক্রান্ত হতে কী অসুবিধে সেটাও বোঝা যায়না। যাহোক, অন্যের মুখে ঝাল খাবার দরকার নেই, বিশদে পড়তে চাইলে বিবৃতিটা পুরোটা যে কেউ পড়ে নিতে পারেন। কিন্তু মোদ্দা কথা যা দাঁড়াল, ক্ষমতার সমীকরণ যাই থাক, এই "প্রগতিশীল" মতামতটাই শেষ পর্যন্ত থাকে। সরকার সমালোচনা অনুযায়ী আইনটাকে "কেবলমাত্র পুরুষ অপরাধী ও আক্রান্ত নারীদের জন্য" করে ফেলে। এটা ২০১৩ সালের কথা। মূলধারার প্রগতিশীলদের অবস্থান তার পর থেকে আর বদলায়নি।
    ফলে ব্যাপারটা এই যে, যৌন লাঞ্ছনার প্রতিকার যতই চান, লাঞ্ছনা যতই সুসংবদ্ধ হোক, আইনে ওটা স্বীকৃত না। কালকেই কাগজে বেরিয়েছে, স্বপ্নদীপের ক্ষেত্রে পকসো আইন প্রয়োগ করতে হচ্ছে, কারণ, কপালগুণে ছেলেটির বয়স ১৮র কম ছিল। যাদের ১৮ টপকেছে, এবং যারা মারা যায়নি, তাদের ক্ষেত্রে যৌন লাঞ্ছনার সুরাহা হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবং প্রগতিশীলরা, দেখবেন, তবু জেন্ডার-সেনসিটাইজেশন নিয়ে কথা বলছেন ঢোঁক গিলে, কিন্তু আইন বদলানোর দাবী তাঁরা তুলবেননা। এবং সেটা একেবারেই আপতিক না, ওটাই লাইন। এই লাইন কেন, কোন পশ্চাদপদতার হিসেবে হরিয়ানভি দক্ষিণপন্থা এবং দিল্লির প্রগতিশীলতা  এক বিন্দুতে এসে পৌঁছয়, সে অন্য বিষয়। কিন্তু এইটা তো জেনে রাখা দরকার, প্রথম বর্ষের ছেলেরা হস্টেলে খুন হলে সুবিচার-টুবিচার পেতেও পারে, কিন্তু স্রেফ যৌনলাঞ্ছনার কোনো প্রতিকার হবেনা। ব্যান্ডেজ লাগিয়েই চলবে। "ধুর, ওটা তেমন কিছু না, একটু তো ন্যাংটো করে ঘুরিয়েছে খালি" টাইপ। কারণ লাইন এটাই, যে, ওটা যৌন লাঞ্ছনা নয়।
    এই হল গপ্পো। এই লেখার ফলে গপ্পোটা কিছুই বদলাবেনা। কিন্তু তাও লিখলাম কেন? কারণ, আশা আছে, "প্রগতিশীল"রা এখনও প্রশ্ন করতে ভুলে যাননি। প্রশ্ন তোলার জন্যই লেখা। কোনো ন্যারেটিভ দিব্যজ্ঞানে মেনে নেবেননা। সব্বাইকে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন, "প্রগতিশীলতা"কে সমেত, আমাকে শুদ্ধু, নইলে আর বেঁচে থেকে লাভ কী? 
     
    সূত্রঃ 
    ১। সংসদে স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট-  https://prsindia.org/files/bills_acts/bills_parliament/2012/SCR_Criminal_Law_Bill.pdf 
    ২। "গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মহিলা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং আন্দোলনকারী"দের বিবৃতি -  https://kafila.online/2013/03/08/gender-just-gender-sensitive-not-gender-neutral-rape-laws/  
    ৩। সিপিআইএম পলিটবুরোর বিবৃতি - https://www.cpim.org/pressbriefs/ordinance-uncalled
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১২১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নাম জেনে কি হবে | 2600:8800:1719:8e00:a1a4:2919:413b:f056 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪৬522455
  • সিপিএমএর বিবৃতি পড়ে তার এমন ভূল মানে করলেন কি করে? সিপিএম তো ভার্মা কমিটির সঙ্গে একমত: "The ordinance rejects the Verma Committee recommendations on issues like making rape a gender specific crime in the law...." সিপিএম ভার্মা কমিটির বিরোধিতা করছে না, বরঞ্চ ভারত সরকারের অর্ডিনান্সের সমালোচনা করছে।
  • | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৭522464
  • প্রথম লিনকটা ৪০৪ দিচ্ছে খুলছে না। 
  • Ranjan Roy | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০৪522482
  • সৈকত
    আপনার দেওয়া লিংক থেকে সিপিএম পলিট ব্যুরোর বিবৃতি তুলে দিচ্ছিঃ 
     
    Ordinance: Uncalled For
    Date: 
    Saturday, February 2, 2013
    The Polit Bureau of the Communist Party of India (Marxist) has issued the following statement:
    Ordinance: Uncalled For
    The Polit Bureau of the CPI(M) disapproves of the ordinance issued by the Central Government on the issue of sexual violence against women, on both procedural as well as substantive grounds. When Parliament is scheduled to meet in three weeks, it is against democratic norms to issue such an ordinance. The ordinance rejects the Verma Committee recommendations on issues like making rape a gender specific crime in the law, on increasing the punishment to public servants guilty of dereliction of duty, of increasing the punishment and also guaranteed compensation for victims of acid attacks and is highly selective about the other recommendations. The ordinance has thus done injustice to the Verma Committee report and appears to be a diversion from the serious issues raised of State culpability including on issues such as inclusion of armed forces in the ambit of criminal law with a suggested amendment in the law.
    As far as the death penalty is concerned, the category of rarest of the rare cases is already part of the legal framework and would include cases of rape and murder also, which has been reiterated by Justice Verma.
    Tags: 
    ordinance
    Rape
    Sexual assault
     
    স্পষ্টতঃ সিপিএম পলিটব্যুরো অর্ডিনান্সের নিন্দা করছে এবং বর্মা কমিটির রেকমেন্ডেশনের সমর্থন করছে। 
    আপনার কোট  এ rejects the Verma Committee recommendations এর আগে The ordinance কথাটি না থাকায়  মনে হচ্ছে যে অর্ডিনান্স নয়, পলিটব্যুরোই reject  করছে।
    কিন্তু কাফিলা এবং অন্য "প্রগতিশীল" নারী সংগঠনের বিবৃতি একদম জেন্ডার নিউট্রাল আইনের বিরোধী--যেমন আপনি বলেছেন। 
    মূল লেখাটির যুক্তি ও ভাবনার সঙ্গে সহমত।
  • দীমু | 182.69.179.140 | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০০:৫৯522490
  • জিনিসটা কিছুটা আটকানোর উপায় ওই যদুবাবু বা তার অনুজ যেমন বলেছেন, বারবার রিপোর্ট করা। গার্হস্থ্য হিংসার মতই ৱ্যাগিংও আন্ডার রিপোর্টেড। একটা ব্যাচ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল পরের ব্যাচকে ৱ্যাগিং করবে না। তার মানে এটা নয় ৱ্যাগিং মুছে গেল চিরতরে। দু তিন বছর বাদেই আবার সদলবলে ফিরে আসার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই রিপোর্টিংয়ের সচেতনতা বাড়ানো উচিত। বাবা মা দেরও উচিত ছেলেমেয়েরা তাদের ফোনে কিছু বললেই রিপোর্ট করা। কুড়ি বছর আগের থেকে এখন রিপোর্টিংয়ের চ্যানেল অনেক বেশি। এবং মিটু অথবা শিক্ষাক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার কমিটির থেকে এন্টি ৱ্যাগিং কমিটি অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করে। অভিযোগ পেলে খুব বেশি হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়।  
     
    প্রসঙ্গত, অন্য অনেকে এখন ৱ্যাগিং নিয়ে লিখলেও নিজের ওপর কি হয়েছিল সেই বর্ণনা দিচ্ছেন। নিজে ৱ্যাগিং পিরিয়ড ওভার হবার পরে জুনিয়রদের সঙ্গে বাকি সময় কি করেছিলেন ক্ল্যারিফাই করেছেন না। তারা নিজেদের পোস্টে 'এক সিনিয়র দাদা /দিদি' লিখছেন , অজ্ঞাত কারণে তাদের কারুর নাম নিচ্ছেন না। এখানেই ৱ্যাগিং বুলিয়িং, গার্হস্থ্য হিংসা , কাজের জায়গায় হেনস্থার থেকে আলাদা। আপনাকে কেউ স্কুলে বুলি করলে, কাজের জায়গায় ম্যানেজার আপনাকে খিস্তি করলে তাদের নাম আপনার সারা জীবন মনে থেকে যাবে। তারা কোনওদিন আপনার বন্ধু হবে না। আপনি সুযোগ পেলেই তাদের মুখ দেখা বন্ধ করে দেবেন। ৱ্যাগিং আলাদা। ওটা একটা কাল্টে ঢোকার প্রবেশাধিকার। একমাস একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে দিয়ে দৌড়ে যাবার পর ফ্রেশার্স ওয়েলকামের যে সাদা আলোটা দেখা যায়, তা আসলে আরেকটা ট্রেনের আলো, বাইরের পৃথিবী নয়। সেই ট্রেন এবার দৌড়বে পরের বছরের জুনিয়রদের দিকে।
     
    সবাই যে ফ্রেশার্স শেষ হলেই ৱ্যাগিংয়ের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে তা নয়। অনেকেই প্যাসিভ হয়ে যান। নিজেরা করেন না। চোখের সামনে হলে খেয়াল ও করেননা। রিপোর্টও করেননা, নিজেদেরই বন্ধুরাই ৱ্যাগিং করছে। খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, একমাসের তো ব্যাপার। তারপর আপনি জানেন আপনার বন্ধু আর জুনিয়র ছেলেটার 'ব্রো কোড' মেনে গলায় গলায় ভাব হবে। জুনিয়রের জ্বরে রাত জাগবে আপনার বন্ধু। পরীক্ষার আগের রাতে মাইক্রো জেরক্স হাতবদল হবে।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০১:৩২522491
  • হ্যাঁ সিপিএমের পলিটব্যুরো জেন্ডার নিউট্রালিটির বিরোধিতা করেছে। একই গ্রাউন্ডে, যেটা বাকিরা করেছেন। কোটটা আরেকটু লম্বা দিলে ভাল হত। এই নিয়ে মহিলা সমিতিরও স্টেটমেন্টে বিশদ লেখা আছে। সেটাও দিয়ে দিই। 
     
    One crucial aspect on which the Verma Committee took a gender sensitive position was in recommending that rape and sexual assault should be a gender specific crime, with provisions for same sex sexual crimes being given separately. The Govt. ordinance has done great injustice by retaining gender neutrality, which is a dilution of the reality that rape is a heinous offence being committed against women.

    https://www.aidwaonline.org/aidwa-objects-selective-and-arbitrary-approach-government-verma-committee-recommendations
     
    এটা লোকজন একেবারেই জানেন না, দেখে আমি আশ্চর্য হচ্ছি। এগুলো তো ঘোষিত অবস্থান। এবং নতুন আইন চালু হবার সময় আর কেউ না লিখুক, আমি লিখেছিলাম। কেউ কান দেননি, বোঝাই যাচ্ছে।
     
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০৩:১৩522492
  • দী মু, অনেকেই জিনিসটা নর্মালাইজ করেন, বিপদ সেইখানেই। এই সাইটেই বছর পনেরো আগে এই নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। অনেকেই রীতিমতন জোর গলায় র‌্যাগিং সমর্থন করত। র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে যারা বলত তাদের নানাভাবে হ্যারাসও করত। আপনারা হয়তো বলবেন কাল্ট। কালচক্র ঘুরে এসে কাল্টের খাঁড়া নিজের সন্তানের উপরে যদি পড়ে, তখন কী হয়?
    অথচ নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের মায়ের দেহবর্ণনা করে স্মার্ট হতে হবে এমন কাল্ট আসলে কীরকম মানুষ তৈরী করে ভেবে দেখেছেন কী? আপাদমস্তক মিসোজিনিস্ট তৈরী করে। আরও ভয়ঙ্কর কিছুও তৈরী করে।
  • দীমু | 182.69.179.140 | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৯522503
  • হ্যাঁ, সে সতীদাহও এককালে নর্মালাইজড ছিল। রিপোর্টিং আরো বাড়ুক, এটুকুই চাই। কারণ কাল্টের সদস্যদের শুভবুদ্ধির উদয়ের আশা করে তো লাভ নেই। ওসব হবে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন