এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৬৩৯৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৬৩৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.110.145.42 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৩:৫২521599
  • বিবেকানন্দ রকে দুতিনবার ঘুরতে গেছি, ফেরি করে যাওয়ার সময়ে মনে হয়েছিল অতোটা সমুদ্রপথ সাঁতরে গিয়ে পাথরে ওঠাটা বেশ টাফ, বিশেষ করে বিবুদা যেখানে রেগুলার সমুদ্রে সাঁতার কাটতেন না, সমুদ্রের স্রোত বা ঢেউ সামলানোর খুব একটা এক্সপি বোধায় ওনার ছিল না (আন্দাজ করে নিয়েছিলাম)। কয়েকদিন প্র‌্যাক্টিস করে নিলে তাও কথা ছিল, কিন্তু তা তো না, ওনার নাকি হঠাত বাই উঠেছিল আর সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। 
     
    সেতো এখানে বাতেলা মারা পার্টিদের মধ্যে কেউ শচীন-সৌরভের মতো  ক্রিকেট খেলেনি, তেনজিং নোরগের মতো এভারেস্টে ওঠেনি, মিহির চৌধুরীর মতো ইংলিশ চ্যানেল পার হয়নি! অত‌এব বাতেলাবাজদের মতে এগুলো সম্ভব নয়!
    ভাগ্যে  এগুলোর প্রমাণ আছে!
  • | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৬521600
  • আমার এট্টা অন্য প্রশ্ন আছে। স্বামীজি বা যে কোনও সাধুটাধুর ক্ষেত্রেই ভক্তরা তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করে বা করতে চেষ্টা করে অন্তত। তো বিবেকানন্দর মত ধ্যান করা, ইলিশমাছ ভালবেসে খাওয়া, জীবেপ্রেম ইত্যাদির ফলোয়ার  তো দেখতে পাই। কেউ এই সাঁতারটা করে দেখে না কেন? সে শিলাও আছে, কন্যাকুমারীও আছে একবার সাঁতরে দেখলেই তো হয়। ২০৩০ এ তো নাকি সুনামী এসে আর্ধেক জায়গা ডুবে টুবে যাবে, তা বছর সাতেক মত হাতে আছে। এখানে যাঁরা নানারকম খিস্তিখেউড় করছেন তাঁদের মধ্যেই কেউ বা একাধিকজন একবার সাঁতরে ফেলুন না। অন্তত আর্ধেকটাও হলে বলতে পারবেন বিবেকানন্দের পথে গেছেন। সঙ্গে ভ্লগার  নিয়ে যেতে পারেন, বাজারে প্রচুর ভ্লগার এখন। বললেই কেউ না কেউ রাজী হয়ে যাবেন। দেখুন বিরাট সাড়া পড়ে যাবে। 
    ইন দ্য ফুটস্টেপস অব মার্কো পোলো, হিউয়েন সাঙ, ইবন বতুতা এমনকি গৌতম বুদ্ধও আছে, লোকে যায় টায়। 'বিবেকানন্দের পথে সাঁতরে'টাও কেউ করে ফেলুন। 
     
     
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৮521601
  • আরেসেসের সাধারণ সম্পাদক একনাথ রানাডে যে বিকৃত ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন, তার প্রমাণ হাজির করতে এবং তাকে নিঃশর্তে বিশ্বাস করতে নিষ্ঠাবান চাড্ডিদের ঠিক মিনিটখানেক লাগে। আর আরেসেসের এই কর্মকাণ্ডকে নিঃশর্ত সমর্থনকারী মিশনের এই 'ঘটনা'-র প্রমাণ হাজির করতে ওই ঠিক মিনিটখানেকই লাগে। চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা প্রবাদটা তো আর আজকের নয়।
  • দীপ | 42.110.145.224 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:১১521602
  • আর বিবেকানন্দ সাঁতার জানতেন। কুস্তি, বক্সিং শিখেছিলেন। প্রাইজ পেয়েছিলেন। অর্থাৎ শারীরিক সক্ষমতা ছিল। আর তার চেয়েও ছিল অনেক বেশি মনের জোর। সেজন্যই কপর্দকহীন অবস্থায় বেরিয়ে পড়তে পেরেছিলেন।
    বিবেকানন্দের সাঁতারের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল। জল দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন নি!
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৩521603
  • ডাঁহা মিথ্যা এতটাই পল্লবিত হয় যে শেষ পাথর টুকরোটা বেছেবুছে ওই টুকরোতেই হয় যেখানে কুমারী আম্মার পায়ের ছাপ না কী এক ঢপের চপ আছে। কিছুতেই পাশের পাথরের টুকরোটায় হয় না।
     
  • দীপ | 42.110.145.224 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩২521605
  • দীপ | 42.110.145.224 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৩৫521606
  • এখানে শাস্ত্রী মহাশয় বলেছেন তিনি বিবেকানন্দের মুখে এই ঘটনা শুনেছেন।
  • এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৬521607
  • ১২.৪৭-এ অলরেডি লেখা হয়েছে --- এদিকে আমি বছর-সহ তৃতীয় এক ব্যক্তিরও খোঁজ পেলাম। ১৯৫৩-তে কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী যাঁর উল্লেখ অবশ্য আপনার বিশাল বম্ফাই করা পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকাটিতে নেই। তবে সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে, ওই সদাশিবম পিল্লাই-এর গুল্পটা ১৯৫৩ সালের আগেই হবে।
     
    তিনজনকেই হাজির করা হয়েছে ওই মন্তব্যে। তারপর ১৯৭৯-তে আরেসেস-এর অর্ডারমাফিক সাপ্লাই।
  • ধুর | 2405:8100:8000:5ca1::152:eb60 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫১521608
  • সাঁতারটা তো খুব হাতিঘোড়া কিছু না,বিবেকানন্দ সেন্টিনারি নাগাদও হামেশাই লোকে যেত। বিবেকানন্দ অত কিছু আতুপাতু খোকা ছিলেন না। পাঁচজনে করে যাহা উনিও পারেন তাহা। একটা নন ইস্যু নিয়ে সমুদ্র ঘোলা করে ফেলল।
  • * | 43.251.171.57 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৫521609
  • ২১ জুলাই ২০২৩ ০১:৩৯
  • দীপ | 2402:3a80:196b:de75:678:5634:1232:5476 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩০521611
  • দীপ | 2402:3a80:196b:de75:678:5634:1232:5476 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩১521612
  • বিবেকানন্দ ননীর পুতুল ছিলেন না মনে হয়।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:de75:678:5634:1232:5476 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৪521613
  • ওদিকে বিরিঞ্চিবাবা নাচ দেখিয়েই চলেছেন। জিও বিরিঞ্চিবাবা!
  • * | 43.251.171.57 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৬521614
  •  আর্কাইভের পাতাটায় রাইট ক্লিক করে সেভ করলে যে পিডিএফ টা পড়া হচ্ছে তার গোটা পাতাটা সেভ হবে, তারপর যেভাবে অন্য ছবি চিপকানো হচ্ছে সেটা দেখিয়ে দিলেই হবে। 
  • (:) | 2402:3a80:1983:2f9c:278:5634:1232:5476 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৯521615
  • নতুন যাত্রাপালা :-
    উঠল বাই শিলায় যাই
    প্রয়োজক : দীপ অপেরা
     
  • // | 213.162.246.193 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৮521618
  • এহে, গুরু একেবারে গাধাটে ইউজারে ভরে গেচে। নইলে একটা সার্চ করলেই এই ভিডিও মেলে।
     
    All India Swimming Rally on Swami Vivekananda 150 Birth Anniversary
  • // | 213.162.246.193 | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৯521619
  • All India Swimming Rally on Swami Vivekananda 150 Birth Anniversary held on 17th December 2013 8:30am at Kanyakumari from Seashore to Vivekananda Rock Memorial. 
     
    Vivekananda Kendra is a Spiritually Oriented Service Mission working on Swami Vivekananda twin objectives "Man Making - Nation Building"
  • মুচকি | 117.223.222.223 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০১:০১521637
  • // একেবারে কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছেন। সমুদ্রতীর থেকে ৩৫০ মিটার সাঁতরানো এমন কিছু বিশাল ব্যাপার নয় (যারা সাঁতার জানে না তাদের কাছে অবশ্য বিশাল কিছু হতে পারে)। সুতরাং এ দিয়ে বিবেকানন্দের কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতার ভ্যালিডেশন করিয়ে নেওয়া হচ্ছে, এমন মোটেও নয়। তাতে কি? বিবেকানন্দ তো! পারলে 'তিনি মন্দিরসংলগ্ন সমুদ্রতীর থেকে দ্বীপ পর্যন্ত হেঁটে যেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন' ও লিখে দেয় আর কি।
     
    -------------------------------------------------------------------------
     
    "এই যে, এই ব্যাপারে মিশনের প্রামাণ্য ও চমস্কিদের প্রণম্য ইতিহাসবিদ শঙ্করীপ্রসাদীদের পেসাদি ফুল। অ্যাকাডেমিক আলুচানার হদ্দমুদ্দ। কপালে ঠেকিয়ে পকেটে পুরে রাখুন।" (এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৫)
     
    "ইনি আবার অ্যাকাডেমিক আলুচানা করতে গিয়ে এক কাঠি ওপরে উঠেছেন। মাঝি এক আনা পয়সা চেয়েছে সেটা উনি দেখতেও পেয়েছেন। জোর সে বল ভক্তোওওওওওওওও।" (এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৮)
     
    শঙ্করীপ্রসাদ বসুর দিকে ছোড়া থুতু। উপরের দিকে ছোড়া তো, নিজের মুখেই এসে পড়ল ধরা যেতে পারে। কিংবা মাটিতে পড়লে চেটে খেতে হবে --- ১৯৫৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবুদ্ধ ভারত-এ প্রকাশিত চিঠি। পুরোটাই রইল। লাস্ট দুটো পাতা পড়লেই হবে। (ও হ্যাঁ, তখনও মন্দির তৈরি হয়টয়নি বা হবেটবে বলে গুজবও নেই, RSS ও পিকচারে নেই কেমন তো?)
     
     
     
    ------------------------------------
     
    এবার লজিক। ১৯১৯-এ প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া গেল। তার কয়েক বছর পরেও। ১৯৫৩তে প্রবুদ্ধ ভারতে চিঠি দিয়ে আরেকজন ভ্যালিডেট করলেন। কিন্তু যুক্তি হল--- ১৯৬২-তে মেমোরিয়াল কমিটি তৈরি হবে বলে, ১৯৬৩তে দ্বীপের গায়ে tablet declaring that the rock was associated with Swami Vivekananda লাগানো হবে বলে, ১৯৭০-এ সেখানে Vivekananda Rock Memorial Committee-র Organising Secretary একনাথ রানাডে মন্দির বানাবে বলে--- টাইম ট্রাভেল করে ১০ বছর বা তেতাল্লিশ বছর আগে গিয়ে এইসব সাক্ষী প্ল্যান্ট করে আসা হয়েছিল। এ মানে, যাকে বলে--- হাসতেও লজ্জা লাগে।
     
     
  • এলেবেলে | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:০৯521667
  • ১. //পলিটিশিয়ান আরও জিজ্ঞেস করতে পারতেন, মা-কুমারীর মন্দিরে বসে তিনি একটা কথা ভেবেছেন বললেই কীভাবে প্রমাণ হয় যে সেই ভাবনামুহূর্তের আগে বা পরে তিনি সাঁতার কেটে সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা শিলাখণ্ডটিতে মোটেও যাননি, গিয়ে দুদিন বসে ধ্যান করা তো দূরের কথা?//
    তাই? ওই শিলাখণ্ডে তিনি দুদিন বসে ধ্যান করেছিলেন? থুতু গেলার ফেটিশ কাজ করতে পারে!
     
    ২. //যে লেখা ১৯১৩-র পর ১৯৩৩-এ শোধরানো হয় আর তারপরে শুধু রিপ্রিন্টই হয়ে চলেছে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই//
    পরিবর্তন যে হয়েছে, তার উদাহরণ সবাই দেখেছেন। এই থুতু কি গেলা হবে? 
     
    ৩. //কোন বর্ণনা কেন উড়ে গেল কেন ফিরে এল-র ধাঁধা বুঝতে দ্বিতীয় আর পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকা দেখে নিলেই হবে।//
    তাই? ভূমিকাতে এ ব্যাপারে কিস্যু নেই। থুতু গেলার ফেটিশ আবারও কাজ করতে পারে!
     
    ৪. //Shri Iyer told him that he had himself seen the Swami meditating on the rock for hours together, for three days consecutively. This came as a surprise to Swami Virajananda. In 1914, when he published Volume II of the first edition (in four volumes) of the present Life of Swami Vivekananda, he had not known it; hence he had there been unable to give definite information about the length of time the Swami was on the rock.//
     
    এখানে সাঁতার কাটার প্রসঙ্গ নেই কিন্তু শিলাখণ্ডে তিন দিন ধ্যান করার প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যাচ্ছে। সত্যিই তো, ১৯১৯ সালে এ কথা জানা গেলে স্বামী বিরজানন্দ গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণে তা কেমনভাবে জানাবেন? কিন্তু দ্বিতীয় সংস্করণ তো এই ঘটনার ১৪ বছর পরে ছাপা। অথচ সেখানেও বিবেকানন্দের তিন দিন ব্যাপী ধ্যানের কথা নেই কেন? 
     
    ৫. এবারে দ্বিতীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান --- Years later, another eye-witness, Shri Sadashivam Pillai, told an admirer of Swami Vivekananda that the Swami had remained on the rock for three nights
    এখানেও সাঁতার কাটার প্রসঙ্গ নেই কিন্তু টানা তিন দিন ধ্যানের কথা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কী আশ্চর্য, চতুর্থ সংস্করণে দু-দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎ পাওয়া গেলেও ওই তিন দিন ধ্যানের বিষয়টা আসছে না!
     
    ৬. অবশেষে পাওয়া গেল রামস্বামী শাস্ত্রীকে। তিনি ত্রিবান্দমে ন'দিন বিবেকানন্দের  সঙ্গ পেয়েছিলেন বটে কিন্তু কন্যাকুমারীর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নন। এবারে খাপে খাপ পঞ্চুর বাপ করে হাঙরে ভর্তি সমুদ্রে সাঁতার কাটার গপ্পোটা পাওয়া গেল (প্রত্যক্ষদর্শী নন তাতে কী আছে, কাঙ্ক্ষিত গুল্পটি তো পাওয়া গেছে! আর এই গুল্পের সাহায্যে শঙ্করীপ্রসাদ মাঝিকে এক আনা পয়সা চাওয়াতে সক্ষম হয়েছেন)। 
    যদিও এখানে একটি খটকা থেকে গেল। হাজার চেষ্টা করেও তিনি ওই শিলাখণ্ডে বিবেকানন্দকে এক রাতের বেশি রাখতে পারলেন না।  
     
    এবারে গুল্পটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হয় কারণ রামস্বামী শাস্ত্রী প্রত্যক্ষদর্শী নন। অতঃপর আসরে নামলেন স্বামী গম্ভীরানন্দ। যুগনায়ক বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড, ১৩৭৩) গ্রন্থে তিনি জানালেন, "...তাঁহাকে [রামস্বামী] পত্র লিখিয়া জানা গিয়াছে যে, স্বামীজীরই মুখে তিনি কন্যাকুমারীর এই বিবরণ শুনিয়াছিলেন।" খোদ স্বামীজির মুখে শোনা কথার ওপরে কথা বলে কোন আহাম্মক? সব মিলিয়ে তিন দিন ধ্যান ও সমুদ্রে সাঁতার কাটার জব্বর ঘ্যাঁট বানানো হল যদিও একটা মিললে অন্যটা না মেলারই কথা। গম্ভীরানন্দের বই প্রকাশিত হওয়ার পাক্কা ৬ বছর আগে থেকে শুরু হয় একনাথ রানাডের কাজকর্ম। কেই আজ পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করেননি এত বড় একটা ঘটনার কথা বিবেকানন্দ কোত্থাও কাউকে না বলে বা না লিখে কেন বেছেবুছে ওই ষোড়শ বর্ষীয় বালককেই বলেছিলেন?
     
    সব শেষে যেটা দাঁড়াল এর মুড়ো আর ওর ল্যাজা যাহোক করে জুড়ে দিয়ে চোখের সামনে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটি কাল্পনিক মাছ! 
     
    ভক্তদের লেখা জীবনীগ্রন্থে ভক্তির আতিশয্য না-থেকে ঐতিহাসিকের পুঙ্খানুপুঙ্খতার আশাই বা লোকে কেন করে কে জানে!!!
  • দীপ | 42.110.145.60 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:১৫521668
  • ঠাকুরমশায়ের শ্রাদ্ধ থামবে না! 
    বিরিঞ্চিবাবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। নিজের চোখে সব দেখেছেন! বিরিঞ্চিবাবাই সত্য, আর সব মিথ্যা!
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:f2fe:504f:1794:779f:711e | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:২৯521672
  • "এত বড় একটা ঘটনার কথা বিবেকানন্দ কোত্থাও কাউকে না বলে বা না লিখে কেন বেছেবুছে ওই ষোড়শ বর্ষীয় বালককেই বলেছিলেন"
     
    মানে বিবুদা সত্যি সত্যিই নিজে সাগরসঙ্গমে সাঁতার কাটার কথা ওনার কোন বইতে লিখে যান নি? বোঝ অবস্থা!  
  • এলেবেলে | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৩২521674
  • খবর পেলাম, মিশন নাকি বাণী ও রচনার দশ খণ্ডতে ফের এক দফা কাটছাঁট করে বাজারে ছেড়েছে কিংবা ছাড়তে চলেছে। কেউ জানলে একটু জানাবেন তো। 
  • মুচকি | 103.76.82.83 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২২:১৫521676
  • "শেষ পাথর টুকরোটা বেছেবুছে ওই টুকরোতেই হয় যেখানে কুমারী আম্মার পায়ের ছাপ না কী এক ঢপের চপ আছে। কিছুতেই পাশের পাথরের টুকরোটায় হয় না।" (এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৩)
     
    --- মুশকিল হল ভারতের ম্যাপটার লেজের দিক একটু বেশি জুম করে দেখলেই বোঝা যাবে "তার পাশের পাথরের টুকরোটা" কে ভারতবর্ষের শেষ বলা যায় না, বড় জোর শেষের আগেরটি বলা যায়। বিবেকানন্দ রক-ই তীর থেকে বেশি দূরবর্তী, তথা 'শেষ পাথর টুকরো'। একে "কিছুতেই" অন্যথা করতে গেলে পাথরপাহাড়গুলোকে ঠেলেঠুলে স্থান পরিবর্তন করাতে হয়।
     
    পায়ের ছাপ না ঢপের চপ বিষয়ে :
    • According to tradition, the temple was built, maybe a couple of thousand years ago or more, on the rock, which was then a part of the mainland, and now known as the Vivekananda Rock (“the last bit of Indian rock”). The temple was rebuilt on the mainland when sea erosion transformed the rock to an islet. A natural footprint-shaped indent found on the rock is believed to be that of the Devi Herself, and is revered as a symbol of the “Sripadam.” (https://indianmandirs.blogspot.com/2013/11/ sri-kanyakumari-amman-temple.html.) If this is true, and if Swamiji was aware of the compelling Puranic history of the rock where the Divine Mother performed intense austerities as Devi Kanya to win the hand of Lord Shiva, then it explains why he wanted to go there to meditate.
    টুকতে গিয়ে ১৯১২, ১৯১৩, ১৯১৪, ১৯৩৩, ১৯৩৬, ১৯৬০, ১৯৬৩, ১৯৭০, ১৯৭৯ সব একাকার হয়ে যাচ্ছে। -- এইটে বলে নিয়ে শেষ করি। এ বিষয়ে আর কিছু বলার বাকি নেই সম্ভবত।
     
    মূল সমস্যা হল উনি এই আলোচনার আগে অদ্বৈত আশ্রম প্রকাশিত মূল "THE LIFE OF SWAMI VIVEKANANDA BY HIS EASTERN AND WESTERN DISCIPLES" বইটা দেখেনইনি। নিজের কাছে বইটির কোনো হার্ড কপি সংস্করণই তো নেইই, এমনকি সফট কপি খুঁজে দেখারও দরকার বোধ করেননি।  কারণ রাজাগোপাল ইত্যাদিদের  উপর অগাধ ভক্তি। (আপাতত রাজাগোপাল-ইত্যাদিই বলব, কারণ অন্য লেখকের লেখা থেকে একই (টার্শিয়ারি !!) রেফারেন্স দেওয়ার হুমকি দিলেও সেটা উনি এখনও দিয়ে উঠতে পারেননি।)
     
    মূল লেখাতে লেখা হয়েছে --- "১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’ (এবার থেকে TL বলব)। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, ..."
    -- এটা ভুল তথ্য। কোট করা লাইনটা রয়েছে TL-এর দ্বিতীয় খণ্ডে, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৩তে। 
     
    এমনকি ১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:২৮ তে উনি যখন এখানের তক্কাতক্কিতে ব্যস্ত হয়ে চট করে আর্কাইভ হাতড়ে একটা TL খুঁজে বের করেছেন, তখনও অরিজিনাল প্রথম সংস্করণ পাননি। পেয়েছেন একটা সাল জালি করা "১৯৬০ ষষ্ঠ" লেখা সংস্করণ। ফলে তখনও তিনি প্রথম কোটেশনটিকে ১৯১২-র বলে দাবি করে চলেছেন।
     
    প্রথম সংস্করণের সফট কপি উনি খুঁজে পান সবে ২১ জুলাই ২০২৩ ২০:০১, কিন্তু সেই সঙ্গে আবার অন্যের বইয়ের ঝাল খেয়ে ১৯৮৯ সংস্করণের উল্লেখ করে বসেন যেটা তাঁর কাছে নেই। নিজে দেখেনওনি।
    (১৯৬০-এর ব্যাপারে ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭-তে স্বীকারোক্তির কারণে আর ওটি নিয়ে নাপানাপির প্রসঙ্গ তুলে লজ্জা বাড়ালাম না।)
     
    মূল লেখায় তিনি এও লিখেছিলেন "কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, ..." সেই ১৯৭৯-র সংস্করণ নিশ্চয় এখনও খুঁজে পাননি। কারণ  ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭-এ স্বীকার করেছেন ওটি তাঁর কাছে নেই। ১৯৭৮ এর পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকাটি, যদি কোনো ১৯৭৯ প্রিন্ট থেকে থাকে, তাতেও থাকত, ১৯৮৯ প্রিন্ট-এও থাকত। কারণ সেসব এমনকি লেটেস্ট সংস্করণের বইতেও রয়েছে, যা বাজারে ক্রয়লভ্য। অর্থাৎ TL এর কোনো হার্ড কপিই, এমনকি নতুন প্রিন্টও তাঁর কাছে নেই, কখনও ছিল না। পুরো লেখার বিষয়টাই রাজাগোপাল ইত্যাদিদের বই থেকে চোতা করে নামানো।  তাদের নাম না-উল্লেখ করার অসততা তো আছেই।
     
    যাকগে, আশ্চর্যের কিছু নেই। রাজাগোপালের বইতেও ১০০ পাতার পরের পাতায় (পেজ নাম্বার হীন) প্রথম সং ১৯১৪ আবার ১২৯ পাতায় ওই চ্যাপ্টারেরই রেফারেন্স পাতায় সেটা ১৯১৩ বলা আছে। গুরুশিষ্যক্রমে পরম্পরা চলমান আরকি।
    (১)
    (২)
     
     
    এই বইটির যে একটি ১৯৩৩ দ্বিতীয় সংস্করণ হয়েছিল, তাতে এ প্রসঙ্গে যে ঠিক কী সংশোধন হয়েছিল মূল লেখার (১৭ জুলাই, ফেসবুকে আরও আগে) সময়েও তা লেখক জানতেন না। ১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:২৮ সেই "তথাকথিত ১৯৬০" এডিশন দেখেই সে বিষয়ে প্রথম জানেন। ২২ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭ সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হন। যদিও দাগা বুলিয়ে ২২ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৬-তে বুঝিয়ে দেওয়া অবধি বুঝেছিলেন কিনা সন্দেহ, কারণ তার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত "ঢপ গিলে ফেলা ঢপ উসকে দেওয়া" --- এই বুক চাপড়ানো চলছিলই।
     
    আর ১৯৩৬-এ কী হয়?  কে বি হেড়গেওয়ার এর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে গেলে অখণ্ডানন্দ কাটিয়ে দেন। এর সত্যমিথ্যা যাচাই করতে যাইনি, কারণ এ থেকে মিশনের সাথে RSSএর "আঁতাত" বা "মাখামাখি" কিসুই প্রমাণ তো হলই না, বরং কাটিয়ে দেওয়ায় উলটোটাই সাব্যস্ত হল। কন্যাকুমারী বা বিবেকানন্দ রক-এর সাথেও এ ঘটনার কোনোই সম্পর্ক নেই। কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে হঠাৎ এই টুকরো বাক্য জুড়ে দেওয়া আর তারপরে আবার সাঁতারে ফিরে যাওয়ার অর্থ কী? এমনকি লেখা যেখানে শেষ হচ্ছে ১৯৬৩ তে রক-এ মন্দির বানানো বিষয়ে, সেখানেও এর প্রাসংগিকতা নেই। "কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত"  করা ১৯৬৩ তে সম্ভব ছিল না, কারণ সেই মন্দির বানানো, তথা তীর্থে রূপান্তরণ শেষ হয় ১৯৭০ এ। 
     
    হঠাৎ এই হচপচ লেখাটির অর্থ অনুধাবন করা গুরুচণ্ডা৯-তে বসে করা একটু কঠিন। আসলে জুন ১১, ২০২৩, রবিবার, "জেগে আছি" নামক একটি ওয়েবজিন-এ (অনলাইন সাহিত্যপত্র) "ইসকন : শুরুই হচ্ছে জালিয়াতি দিয়ে" নামে দেবোত্তম চক্রবর্তীর লেখাটির প্রথম অংশটুকু প্রকাশিত হয়। এরপর ইসকনের অমোঘ লীলা দাস-এর সেই বিতর্কিত বক্তব্যের জের-এ তিনি এটিকে খানিক এডিট করে তার সাথে খানিক রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দকে গালি দিয়ে মিড-জুলাইয়ে ফেসবুকে ছাড়েন ফ্রেন্ডস-অনলি করে। তাতে কেউ কেউ শুধু ইসকন অংশটা কপি করে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি আবার বলে কয়ে সে-লেখার বাকি অংশটাও জুড়ে দেওয়ান, যদিও সেই বাকি অংশে প্রায় পুরোটাই ছিল ইসকনের জমি হাতানোর সঙ্গে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দকে আক্রমণ। গুরুতে সে-লেখা পোস্ট করার সময় দ্বিতীয় অংশটা বদলে তিনি বিবেকানন্দ শিলা প্রসঙ্গ আনেন। বিভিন্ন সময়ে তৈরি নানারকম লেখাকে একটা লেখায় মেশানোর চেষ্টায় স্বভাবতই এইসব খিচুড়িঅনুচ্ছেদ বা পারম্পর্যহীনতা ঢুকে গেছে।
     
    লেখাটার মূলভাবে গোলমাল ছিল না। ইসকন যেমন নানাভাবে জমি হাতাচ্ছে RSS এর ক্ষেত্রে সেরকম একটা অন্তত ইন্সট্যান্স এই কন্যাকুমারিকার Islet টাকে প্র্যাকটিকালি অধিগ্রহণ করে মন্দিরটা বানানো। সে কাজের প্রধান রূপকার RSS-এর একনাথ রানাডে। ইতিহাসটা উইকি থেকে সংক্ষেপে এরকম :
     
    The teachings of Swami Vivekananda deeply influenced Ranade. In 1963, during the centenary year of Swami Vivekananda's birth, he published a selection of Vivekananda's writing under the title Rousing Call to Hindu Nation, as a personal tribute.[1]The same year, Ranade conceived the idea of building a monument in honor of Vivekananda at the mid-sea rock location near Kanyakumari, where Vivekananda had meditated for three days in December 1892.
    After receiving enthusiastic responses to the scheme from RSS chief M. S. Golwalkar and others, Ranade established the Vivekananda Rock Memorial Organising Committee and became its Organizing Secretary. Various committee branches were established across the country (with future BJP leader L. K. Advani serving as the organising secretary of the Delhi branch) to build support and later raise funds, for the memorial. When the idea was initially rejected by the (Minister of Education and Culture) -Humayun Kabir, Ranade drummed up support from over 300 members of the Indian Parliament, which led to the project receiving approval from (Prime Minister) -Indira Gandhi. Ranade also managed to win endorsement for the project from a diverse section of the political and spiritual community, including sections traditionally in opposition to RSS.[2]
    After the project was approved, Ranade led a cadre of volunteers to raise funds for construction from donors across the country; state governments and the central Government of India also contributed towards the Rs.12.5 million fund total. The Rock Memorial was completed in 1970 and inaugurated by (President of India) -V. V. Giri on 2 September.[2]
     
    লেখাটা এইদিকে ফোকাস করে থাকলে গোলমাল ছিল না, বরং সুপ্রযুক্তই হত। কিন্তু সমস্যা হল, বিবেকানন্দ ও মিশনকে এই সুযোগে চাট্টি গালাগাল না দিলে ভাত হজম হবে কী করে। ফলে ফোকাস চলে গেল সাঁতার কেটেছে না কাটেনি, জীবনীগ্রন্থে কী লেখা হয়েছিল বা হয়নি;  আর সেসব লেখার জন্য দু-এক দিনের মধ্যে আর বিশেষ 'গবেষণা"র সুবিধে হয়নি বলে এই ছড়িয়ে ছত্তিরিশ কেস।
     
    যাকগে, বেটার লাক নেকস্ট টাইম।
    ----------------------------------------------
     
     
    এখনই দেখলাম আরো অনেক কিছু লেখা হয়েছে। এমনকি পঞ্চম সংস্করণের ভূমিকা পড়েও কিসু বোঝা যায়নি।  দাগা বুলিয়ে না বোঝালে হয়তো বোঝা যাবেও না। কী আর করা...
    much new published as well as unpublished material about the Swami's life has come to our hands. All significant new information has, therefore, been incorporated in this edition in the light of these archives. No pains have been spared to make it informative, up to date, and authentic. Secondly, some material that was omitted in the abridged second edition has been restored in appropriate places for the sake of fuller account. ... ...
    Furthermore, an effort has been made to make the earlier text read more simply and smoothly, and make the added matter all of a piece with it. Some factual errors, which occurred in the earlier editions owing to the scanty resources available then, have been rectified wherever possible in the light of the recently discovered material. ... ...
    Besides these, numerous quotations from many hitherto unpublished letters of Swamiji, of his friends and disciples, and some hitherto unknown information about the Swami, have been added, ... ... 
     
     
    নতুন কিসু নয়, আগেও বহুবার একই মচকাবো-না সিন্ড্রোম দেখা গেছে।  গ্যাস খাওয়ানোও নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। যাকগে, নতুন কিসুই আর বলার নেই।
     
    * বালকের বয়স ১৮৯২ আর ১৮৯৭ দুটোই ধরে গোনা হচ্ছে তো? প্রবুদ্ধ ভারতের লেখাটার দ্বিতীয় পার্ট দিইনি। লাগলে খুঁজে নিতে হবে।
    ** যুগনায়ক বিবেকানন্দ দিয়ে খুব বেশি লাভ বোধহয় হবে না, বরং "অতীতের স্মৃতি" বইটা নিয়ে একটু চর্চা করলে কাজে দিতে পারে। সাল তারিখ সংস্করণ ইত্যাদি। অবশ্য মোল্লা নাসিরুদ্দিন বলে গেছেন, যেখানে আলো পড়ছে হারানো মুদ্রা সেখানেই খুঁজিও।
  • এলেবেলে | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৫521678
  • হুরিবাবা! পুরো সত্যান্বেষীর সত্যান্বেষণ।
     
    ১. //মুশকিল হল ভারতের ম্যাপটার লেজের দিক একটু বেশি জুম করে দেখলেই বোঝা যাবে "তার পাশের পাথরের টুকরোটা" কে ভারতবর্ষের শেষ বলা যায় না, বড় জোর শেষের আগেরটি বলা যায়। বিবেকানন্দ রক-ই তীর থেকে বেশি দূরবর্তী, তথা 'শেষ পাথর টুকরো'।//
     
    এই নিয়ে এখানে যে লিঙ্ক দিয়েছেন সেখানে সামান্য একটি যতিচিহ্ন নিয়ে প্রচুর হ্যাজ আছে। 'মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে' বাক্যাংশের অর্থ যে মা কুমারীর মন্দিরে বসে অর্থাৎ ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে নয়, বরং নির্ঘাৎভাবেই মা কুমারীর মন্দিরে বসে এবং ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে না হয়েই যায় না, তার কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে --- One noticeable fact is that Swamiji never mentioned the word ‘swim’ in that letter, but there was a subtle hint in it that he did go to the rock. A part of the letter said: ‘In view of all this, specially of the poverty and ignorance, I had no sleep. At Cape Comorin sitting in Mother Kumari’s temple, sitting on the last bit of Indian rock, I hit upon a plan: We are so many sannyasins wandering about, and teaching the people metaphysics—it is all madness. Did not our Gurudeva use to say, “An empty stomach is no good for religion”? That those poor people are leading the life of brutes is simply due to ignorance. We have for all ages been sucking their blood and trampling them underfoot.’
    In the above excerpt, the two significant phrases with a comma in between are: ‘At Cape Comorin sitting in Mother Kumari’s temple, sitting on the last bit of Indian rock.’ These are two separate phrases. Some may think that the second phrase is an appositive for the first, but it is not, because the temple was not built on rock (moreover, the word ‘sitting’ has been used in both). Swamiji meant that he sat in both places. If he had used a conjunction, and instead written, ‘At Cape Comorin sitting in Mother Kumari’s temple, and sitting on the last bit of Indian rock…,’ that would have made it clearer. But that was not his style; in his Bengali letters, he frequently used commas or other forms of punctuation between phrases—instead of conjunctions.
    এই হচ্ছে শেষ পাথরের টুকরোর কষ্টকল্পিত ব্যাখ্যা। এই হিন্ট কেবল তাঁরাই পান, অন্যরা পান না।
     
    ২. //মূল লেখাতে লেখা হয়েছে --- ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’//
    এখানে কোনও খণ্ডের উল্লেখ করা হয়েছে? তাহলে তো প্রতিটি খণ্ড কোন কোন সালে প্রকাশিত হয়, তার নাড়িনক্ষত্র হাজির করতে হত। যাক গে, টেকনিক্যাল কচকচি টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষরা করবেন - এটা জানা কথা।
     
    ৩. //আবার অন্যের বইয়ের ঝাল খেয়ে ১৯৮৯ সংস্করণের উল্লেখ করে বসেন যেটা তাঁর কাছে নেই।//
     
    একবারের জন্যও আছে বলে দাবি করিনি। যে লিঙ্কটা দিয়েছেন সেখানেই মুল উদ্ধৃতিটা আছে।
     
    ৪. //আর ১৯৩৬-এ কী হয়?  কে বি হেড়গেওয়ার এর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে গেলে অখণ্ডানন্দ কাটিয়ে দেন।//
     
    হ্যাঁ, মূল লেখাতে এই ভুলটা আছে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হল গোলওয়ালকর স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নেন।
     
    ৫. //আসলে জুন ১১, ২০২৩, রবিবার, "জেগে আছি" নামক একটি ওয়েবজিন-এ (অনলাইন সাহিত্যপত্র) "ইসকন : শুরুই হচ্ছে জালিয়াতি দিয়ে" নামে... লেখাটির প্রথম অংশটুকু প্রকাশিত হয়।//
     
    এটা চরম হাস্যকর। সবার অবগতির জন্য জানাই সার্চ করলে এ বিষয়ে গুরুতেই হুবহু একই লেখা পাওয়া যাবে এবং তার সঙ্গে মূল ফেবু পোস্টের ফারাক আছে। এখানে ইসকন সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে ওখানেও অবিকল তাই ছিল। 
     
    ৬. //গুরুতে সে-লেখা পোস্ট করার সময় দ্বিতীয় অংশটা বদলে তিনি বিবেকানন্দ শিলা প্রসঙ্গ আনেন।//
     
    এটায় খিলখিলিয়ে হাসি পাওয়া ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। কারণ ইসকন ও রাকৃমি নিয়ে এটা ছিল ফেবুতে আমার দ্বিতীয় পোস্ট। সন্দেহ হলে বলবেন, চেষ্টাচরিত্তির করে তার লিঙ্ক সেঁটে দেব।
     
    ৭. ১৯৭৯-র সংস্করণ আমার কাছে আছে সে দাবিও করিনি। গাঁজাগোপাল থেকেও নিইনি। নিয়েছি মকরন্দ পরাঞ্জপের বই থেকে। এই যে
    ১৯৭৯ এবং ১৯৮৯-এর সংস্করণের উদ্ধৃতিতে যখন ভুল নেই, তখন সেটার তথ্যসুত্র উল্লেখ করে কী লাভ যেখানে আগের দুটি প্রবন্ধে তথ্যসূত্র ব্যবহার করা হলেও এখানে একটাও করা হয় না?
     
    ৮. //বালকের বয়স ১৮৯২ আর ১৮৯৭ দুটোই ধরে গোনা হচ্ছে তো?//
     
    ফের টেকনিক্যাল কচকচির আড়ালে মূল প্রসঙ্গকে চাপা দেওয়া। বালকের বাবা বলেছেন ১৮৯২-তে তাঁর বয়স ১২। তাতে ১৬/১৭/১৮/১৯/২০ হলেও কিছু এসে যায় না কারণ বিবেকানন্দের এই মোক্ষম স্বীকারোক্তিটি দ্বিতীয় কেউ শুনেছেন, এমন ব্যক্তি ধরাধামে আসেননি। 
    যে লোক ত্রিবান্দমে থেকে কন্যাকুমারীর গপ্পো ঝাড়েন, তাঁকে শঙ্করীপ্রসাদ বা অন্য কেউ বিশ্বাস করতে পারেন, তিন পাতার পোবোন্দোও সাঁটিয়ে দিতে পারেন কিন্তু মাছটার ল্যাজা আর মুড়ো এক হয় না।
  • nila | 2405:8100:8000:5ca1::3a:75c6 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৭521679
  • @মুচকি,উলুবনে মুক্তো ছড়িয়ে কি লাভ হচ্ছে? গামছা মাথায় তুলে নাচাই যাঁর ইউএসপি, তাঁকে এবং তাঁর রসিকদের শোধরাতে পারবেন বলে মনে হয়? শুধু এক পাতার লেখাটা এবার দশ পাতা হয়ে নামবে আপনার উদ্ধৃত অংশগুলি সমেত এবং নানা অজুহাতে সেগুলিকে নস্যাৎ করে। এদের দৌড় বোঝার ক্ষমতা আপনার আছে আশা করি, তাই দুকথা।
  • খিকখিক | 37.235.49.61 | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৯521680
  • রন্টির ন্যাংটা নাচ হেব্বি জমেছে গুরু। চলুক চলুক।
  • হিজি-বিজ-বিজ  | 149.142.103.12 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:১০521683
  • যা বোঝা যাচ্ছে এলেবেলে রাকৃমি আর বিবুদা কে নিয়ে  বলায় মুচকির  একেবারে কুঁচকিতে লেগেছে। শুধু ইস্কন কে টিস্ করলে ঠিক ছিল। 
  • m | 2405:8100:8000:5ca1::1bc:3f3e | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:২১521684
  • এলেবেলের জন্য এটা কাজের হতে পারে।
    বাংলারটা খুঁজে পেলে দিচ্ছি।
  • এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৩৪521685
  • //লেখাটার মূলভাবে গোলমাল ছিল না। ইসকন যেমন নানাভাবে জমি হাতাচ্ছে RSS এর ক্ষেত্রে সেরকম একটা অন্তত ইন্সট্যান্স এই কন্যাকুমারিকার Islet টাকে প্র্যাকটিকালি অধিগ্রহণ করে মন্দিরটা বানানো।
    লেখাটা এইদিকে ফোকাস করে থাকলে গোলমাল ছিল না, বরং সুপ্রযুক্তই হত। কিন্তু সমস্যা হল, বিবেকানন্দ ও মিশনকে এই সুযোগে চাট্টি গালাগাল না দিলে ভাত হজম হবে কী করে।//
     
    অবিকল পরবাসের গ্রন্থ সমালোচনার ধারা অব্যাহত। এখানেও! 
     
  • ইয়ে | 2405:8100:8000:5ca1::153:857c | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৩৭521687
  • পরবাস কি এলেবেলের সব সাবমিশনই রিজেক্ট করেছে? নাকি কিছু পাবলিশ করেছিল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন