এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  কাব্য  তর্জমা

  • অঁতনা আতো'র শ্রুতিনাটক : ঈশ্বরের বিচারকে বাতিল করা বিষয়ক

    Malay Roychoudhury লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | তর্জমা | ২৬ জুন ২০২৩ | ৩৮১ বার পঠিত
  • 103 | 104 | 105 | 106 | 107 | 110 | 113 | 114 | 119 | 120 | 121 | 123 | 124 | 124 | 125 | 125 | 126 | 127 | 127 | 128 | 129 | 131 | 133 | 134 | 135 | 136 | 138 | 139 | 140 | 141 | 143 | 144 | 145 | 147 | 148 | 149 | 149 | 150 | 151 | 152 | 153 | 154 | 155 | 156 | 157 | 158 | 159 | 160 | 161 | 162 | 163 | 164 | 165 | 167 | 168 | 169 | 170 | 171 | 172 | 173 | 174 | 175 | 176 | 176 | 177 | 178 | 179 | 180 | 181 | 182 | 183 | 184 | 185 | 186 | 187 | 188 | 189 | 190 | 191 | 192 | 192 | 193 | 194 | 195 | 196 | 198 | 199 | 200
    অঁতনা আতোর শ্রুতিনাটক : ঈশ্বরের বিচারকে বাতিল করা বিষয়ক
    মলয় রায়চৌধুরীর অনুবাদ
    **** ****

    টীকা : বিভিন্ন মানসিক হাসপাতালে তাঁর শেষ বছরগুলো কাটাবার পরে, অঁতনা আতো ১৯৪৭ সালে এই শ্রুতি নাটক “ঈশ্বরের বিচারকে বাতিল করা বিষয়ক” লিখে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেয়েছিলেন। যদিও কাজটি তাঁর ‘থিয়েটার অফ ক্রুয়েলটির’ পর্যায়ে পড়ে, মানেহীন শব্দ, কান্না, চিৎকার এবং কণ্ঠস্বর ব্যবহার করার কথা ছিল। ফরাসি রেডিও এই শ্রুতিনাটককে দোসরা ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে সম্প্রচার করার কথা ঘোষণা করে। অঁতনা আতোর এই শ্রুতিনাটক ছিল তাঁর শেষ কাজ। এটা সেই সময়ের অন্তত কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোকের কাছে সমানভাবে অপ্রিয় বলে প্রমাণিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ফরাসি রেডিওর নাটকীয় এবং সাহিত্যিক সম্প্রচারের প্রধান ফার্দিনান্দ পাউয়ের দ্বারা পরিচালিত, কাজটি অঁতনা আতো সেই সময়ে লিখেছিলেন যখন তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছুটা সময় একটা মানসিক হাসপাতালে কাটিয়েছিলেন যেখানে তাঁকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে খারাপ চিকিৎসা পদ্ধতি সহ্য করতে হয়। শ্রুতিনাটকটা ততটাই খোলামেলা আর আবেগগতভাবে নগ্ন যতটা পাঠক অঁতনা আতোর কাছে আশা করতে পারেন - সমাজের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ। স্ক্যাটোলজিকাল চিত্র, চিৎকার, বাজে শব্দ, আমেরিকাবিরোধী আর ক্যাথলিকবিরোধী কথাবার্তায় ভরা লিখন-উন্মাদনা। কিন্তু তার আগের দিন অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়া হয়। স্টেশন ডিরেক্টর ভ্লাদিমির পোর্শে শেষ মুহুর্তে এটিকে প্রোগ্রাম থেকে ছাঁটাই করে দিয়েছিলেন। স্পষ্টতই, তিনি মলত্যাগ এবং বীর্য বা আমেরিকাবিরোধী আক্রমণ প্রসঙ্গ মোটেই পছন্দ করেননি। কিন্তু পোর্শের প্রত্যাখ্যান প্যারিসীয় বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একটা প্রতিষ্ঠানবিরোধী উৎসাহ সৃষ্টি করেছিল। রেনে ক্লেয়ার, জাঁ ককতো এবং পল এলুয়ারসহ অন্য কবি-লেখক-শিল্পীরা জোর গলায় এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন যার ফলে পাউই এমনকি প্রতিবাদে তাঁর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যদিও কোন লাভ হয়নি। এটি তখন প্রচারিত হয়নি। অঁতনা আতো প্রত্যাখ্যানটি খুব ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করেছিলেন, আর এক মাস পরে মারা যান।

    --- ---

    Kré ক্রে

    puc te
    পুক তে
    kréক্রে

    সবকিছু অবশ্যই
    .
    প্রস্তুত থাক
    .
    একটি চুলের পরিমাপের
    .
    পরিপূর্ণতার
    .
    শৃঙ্খলার মধ্যে
    .

    puk te
    পুক তে
    pekপেক

    li le
    লি লে
    kréক্রে

    pek ti le
    পেক তি লে


    Kruk
    ক্রুক
    প্টে

    .

    আমি গতকাল জানতে পারলুম
    (আমি হয়তো সময় থেকে পিছিয়ে আছি, কিংবা সম্ভবত এটা শুধুমাত্র অলীক গুজব, সেইসব কটূ মন্তব্যগুলোর মতন যা প্রস্রাবঘর আর পায়খানার মাঝে চালাচালি করা হয় যখন হজমকরা খাবারগুলো আরও একবার ঢালু বালতিতে ফেলে দেওয়া হয়)
    আমি গতকাল জানতে পারলুম
    আমেরিকান পাবলিক স্কুলের সেই সরকারি অনুশীলনের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার
    নিঃসন্দেহে এই সত্যের জন্য দায়ী যে ওই দেশ নিজেকে প্রগতির এগিয়ে থাকা দূত বলে বিশ্বাস করে।
    দেখা গেছে যে, প্রথমবার সার্বজনীন স্কুলে প্রবেশ করার জন্য
    একটি শিশুর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা বা পরীক্ষাগুলোর মধ্যে,
    একটা হলো ধাতুরস বা শুক্রাণু পরীক্ষা,
    যার জন্য স্কুলে প্রবেশকারী ছোটো শিশুটিকে বলা হয় তার ধাতুরস
    একটা বয়ামে জমা করতে
    যাতে পরবর্তীকালে তা কৃত্রিম প্রজনন প্রচেষ্টার জন্য হাতের কাছে থাকে।
    .
    কারণ আমেরিকানরা আরও বেশি বুঝতে পারছে
    যে তাদের পেশীশক্তি এবং সন্তানের অভাব রয়েছে,
    অর্থাৎ শ্রমিক নয় চাই সৈনিক, এবং তারা যেকোনও মূল্যে এবং সম্ভাব্য সব উপায়ে
    সৈন্য তৈরি করে রাখতে চায় যাতে সমস্ত গ্রহগুলোর ভবিষ্যৎ যুদ্ধে পরবর্তীতে কাজে লাগে
    আর তা আমেরিকান পণ্যের শ্রেষ্ঠত্ব, এবং সমস্ত কার্যকলাপের ক্ষেত্রে
    আমেরিকান ঘামের ফলাফল দর্শানো যাবে
    এবং শক্তির সম্ভাব্য গতিশীল বলপ্রয়োগের অপ্রতিরোধ্য গুণাবলী প্রদর্শন করা হবে।.
    .
    কারণ প্রত্যেককে অবশ্যই উৎপাদন করতে হবে,
    সবাইকে অবশ্যই সমস্ত সম্ভাব্য ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে
    প্রকৃতিকে যেখানে-যেখানে সম্ভব সরিয়ে দিতে হবে,
    একজনকে অবশ্যই মানব জড়তার জায়গায়
    একটা প্রধান কর্মোদ্যম খুঁজে বের করতে হবে,
    শ্রমিকদের অবশ্যই সবসময় ব্যস্ত রাখার জন্য কিছু থাকা দরকার,
    কাজকর্মের নতুন এলাকা তৈরি করতে হবে
    যেখানে আমরা শেষ পর্যন্ত সমস্ত নকল পণ্যের রাজত্ব দেখতে পাব,
    সমস্ত জঘন্য কৃত্রিম বিকল্পগুলো পাবো যেখানে সুন্দর বাস্তব প্রকৃতির কোনও অবদান নেই,
    আর সেই সমস্ত নকল বিজয়ীদের সামনে অবশেষে
    এবং লজ্জাজনকভাবে পথ ছেড়ে দিতে হবে
    যেখানে সমস্ত কৃত্রিম প্রজনন কারখানার শুক্রাণু একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটাবে
    যা থেকে পয়দা হবে সেনাবাহিনী এবং অগুন্তি যুদ্ধজাহাজ।
    আর ফলফুল দরকার নেই, আর গাছপালা দরকার নেই,
    আর শাক-সবজি দরকার নেই, আর কোনো ওষধি চারাগাছ দরকার নেই
    ফলে আর কোনো খাদ্যবস্তু দরকার নেই,
    কিন্তু তৃপ্তির জন্য নকল জিনিস, ধোঁয়ার মধ্যে,
    বায়ুমণ্ডলের বিশেষ হাস্যরসের মধ্যে,
    বায়ুমণ্ডলের বিশেষ অক্ষে হিংস্রভাবে আঘাত করে
    কেড়ে নেয়া প্রকৃতির প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে যা ভয় ছাড়া যুদ্ধের কিছুই জানে না।
    আর যুদ্ধ কতো বিস্ময়কর, তাই না?
    কেননা যুদ্ধের জন্যই তো, তাই না,
    আমেরিকানরা ধাপে ধাপে এইভাবে নিজেদের তৈরি করছে আর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    এই বুদ্ধিহীন উৎপাদনকে সমস্ত প্রতিযোগীতা থেকে আড়ালে রাখার জন্য,
    যে প্রতিযোগীতা চারিদিক থেকে দাঁড়ালে তাকে ব্যর্থ করা যায়,
    একজনের অবশ্যই সৈন্য, সেনাবাহিনী, বিমান, যুদ্ধজাহাজ থাকতে হবে,
    আর তাই এই শুক্রাণু সংগ্রহ মনে হয়
    আমেরিকার সরকারগুলিকে চিন্তা করার দুঃসাহস যুগিয়ে ছিল।
    কারণ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে একাধিক শত্রু, আমার ছেলে,
    আমরা, জন্মগত পুঁজিবাদী আর এই শত্রুদের মধ্যে স্টালিনের রাশিয়া,
    যেখানে সশস্ত্র লোকেদের অভাব নেই।
    এই সব খুবই ভাল, কিন্তু আমি জানতাম না আমেরিকানরা এমন যুদ্ধবাজ মানুষ।
    যুদ্ধ করার জন্য একজনকে অবশ্যই গুলি খেতে হবে
    আর যদিও আমি অনেক আমেরিকানকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখেছি,
    তাদের কাছে সবসময় ট্যাঙ্ক, বিমান, যুদ্ধজাহাজের বিশাল বাহিনী ছিল
    যা তাদের ঢাল হিসাবে কাজ করছিল।
    আমি মেশিনগুলোকে অনেক লড়াই করতে দেখেছি
    কিন্তু তাদের অনেক পেছনে আমি তাদের চালনা করার লোকগুলোকে দেখেছি।
    যে সমস্ত লোক তাদের ঘোড়া, গবাদি পশু এবং খচ্চরকে
    তাদের ছেড়ে যাওয়া শেষ বিশাল ওজনের
    আসল মরফিন খাওয়ায় আর ধোঁয়া থেকে তৈরি বিকল্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করে,
    তাদের চেয়ে আমি তাদের পছন্দ করি যারা খালি মাটিপৃথিবীর প্রলাপ খায়
    আমি বলতে চাই যেখান থেকে তাদের জন্ম হয়েছিল,
    অর্থাৎ ‘তারাহুমারা’ জন্মের সময় মাটি থেকে পিয়োট তুলে খাচ্ছে
    আর যারা কালো রাতের রাজত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সূর্যকে হত্যা করেছে,
    এবং যারা ক্রুশকাঠকে আছড়ে ভেঙেছে
    যাতে ফাঁকা জায়গাগুলোর জায়গার সঙ্গে আর ক্রুশকাঠের দেখা না হয়।
    আর তাই আপনি টুটুগুরির নাচ শুনতে পাবেন।
    .
    টুটুগুরি
    কালো সূর্যের অনুষ্ঠান
    আর নীচে, যেন তেতো ঢালের একেবারে তলায়,
    হৃদয়ে নিষ্ঠুর হতাশায়,
    ছয় ক্রুশকাঠর বৃত্তের ফাঁকা মাঝখানে,
    খুবই নীচের দিকে
    যেন মাতা-পৃথিবীতে গেঁথে আছে,
    মায়ের অশ্লীল আলিঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন
    তারা ঝিমোচ্ছে।
    কালো কয়লার পৃথিবীই
    একমাত্র স্যাঁতসেঁতে জায়গা
    এই ফাটলধরা পাথরে।
    অনুষ্ঠানের নিয়ম হল যে নতুন সূর্য পৃথিবীর চূড়ায় জ্বলে ওঠার আগে সাতটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে যায়।
    আর ছয়জন পুরুষ আছে,
    প্রতিটি সূর্যের জন্য একটি,
    আর সপ্তম পুরুষ
    যে নিজেই সূর্য
    কাঁচা অবস্হায়
    কালো আর লাল মাংস পরে আছে।
    .
    কিন্তু, এই সপ্তম মানুষ
    একটা ঘোড়া,
    একটা ঘোড়া যাকে নিয়ে যাচ্ছে একজন লোক।
    .
    কিন্তু এই ঘোড়াটাই
    আসলে সূর্য
    মানুষটা নয়।

    .
    একটা ড্রাম এবং একটা ট্রাম্পেটের দীর্ঘ সময়ের কাতরতায়,
    অদ্ভুত,
    সেই ছয়জন পুরুষ
    যারা শুয়ে ছিল,
    মাটিতে গড়াগড়ি দিচ্ছিল,
    সূর্যমুখী ফুলের মতন এক এক করে লাফিয়ে উঠে,
    সূর্যগুলোর মতন নয়
    কিন্তু ঘুরন্ত পৃথিবীর মতন,
    শাপলাগুলোর মতন,
    এবং প্রতিটি লাফ
    ক্রমশ মৃদু বিষণ্ণতা
    আর সংযতের মতন হয়ে উঠছিল
    .
    ড্রামের ঢমঢম আওয়াজ
    যতক্ষণ না সে হঠাৎ টগবগিয়ে ছুটে আসে, ঘুর্নির গতিতে,
    শেষ সূর্য,
    প্রথম মানুষ,
    কালো ঘোড়ার সঙ্গে একজন
    উলঙ্গ মানুষ,
    একেবারে ল্যাংটো
    এবং চিরকুমার
    ঘোড়াটায় চেপে যাচ্ছে
    .
    তারা লাফিয়ে ওঠার পরে, তারা ঘুরতে থাকা বৃত্তের চারিধারে এগিয়ে যায়
    এবং ঘোড়ার পিছনে মাংসের রক্তক্ষরণ
    আর না থেমে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে
    শিলাপাথরের চূড়ায়
    যতোক্ষণ না ছয়জন পুরুষ
    ছটা ক্রুশকাঠকে
    ঘিরে রেখেছে
    পুরোপুরি।
    এখন, এটাই অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত সারবস্তু
    ক্রূশকাঠের বিলোপ
    যখন তারা বাঁক না নিয়ে থেমেছে
    তারা উপড়ে ফেললো
    পৃথিবীর সমস্ত ক্রুশকাঠ
    এবং উলঙ্গ মানুষটা
    যে ছিল ঘোড়ার ওপরে
    তুলে ধরলো
    ঘোড়ার একখানা বিশাল নাল
    যা সে নিজের জখমের রক্তে চুবিয়ে দিলো।
    সুবিধার সাধনা
    যেখানে সেখানে বিষ্ঠার দুর্গন্ধ
    সেখানেই অস্তিত্বের গন্ধ।
    মানুষ না হাগলেই ভালো হতো,
    পোঁদের গর্ত না খোলা থাকলেই ভালো হতো,
    কিন্তু সে হাগা বেছে নিয়েছে
    যেমনভাবে সে বাঁচতে চেয়েছে
    তার বদলে বেঁচে মরে থাকার সম্মতি দিয়েছে।
    .
    কারণ হাগবার জন্য,
    তাকে সম্মতি দিতে হবে
    যাতে তার অস্তিত্ব না থাকে,
    কিন্তু সে অস্তিত্ব খুইয়ে ফেলার ব্যাপারে
    মনস্থির করতে পারেনি
    অর্থাৎ বেঁচে থেকে মরে যাওয়া
    তার অস্তিত্ব। .
    মলত্যাগ ( এখানে আওয়াজ শোনানো হবে )
    অস্তিত্বের জন্য কেবল নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে,
    কিন্তু বাঁচতে হলে,
    একজন কেউকেটা হতে হবে,
    কেউকেটা হবার জন্য,
    একটি হাড় ধাকা জরুরি,
    যে হাড় দেখাতে ভয় পাবে না,
    আর সেই প্রক্রিয়ায় মাংস হারিয়ে ফেলবে।
    মানুষ সবসময় মাংস পছন্দ করেছে
    হাড়ের পৃথিবী তুলনায়
    কারণ আগে থাকতে শুধু মাটি আর হাড়ের লাঠি ছিল,
    আর তার খাবার মাংস রোজগার করতে হয়েছিল,
    সেসময়ে শুধু লোহা আর আগুন ছিল
    এবং কোনও গুগোবর ছিল না,
    আর মানুষের গু হারানোর ভয় ছিল
    কিংবা হয়তো মানুষ নিজেই গু চেয়েছিল
    এবং, সেই জন্য, এই রক্ত বলিদান।
    হাগবার জন্য,
    অর্থাৎ মাংস চাই,
    যেখানে শুধু রক্ত ছিল
    এবং হাড়ের আঁস্তাকুড়
    এবং যেখানে জেতার জন্য কেউই ছিল না
    কিন্তু যেখানে জীবন ছিল হারাবার জন্য
    শূন্য অনুসন্ধান মোড
    সম্পাদনা করতে
    ৎসা বলুন
    তাউ-দারি
    পেদে মলত্যাগ করো
    এই সময়ে লোকটা উঠে পড়ে আর পালায়।
    তারপর জন্তুগুলো তাকে খেয়ে ফ্যালে।
    .
    ব্যাপারটা ধর্ষণ ছিল না
    ও নিজেই নিজেকে অশ্লীল খাবার হিসেবে ছেড়ে দিলো।
    .
    খেয়ে ওর তৃপ্তি হলো,
    সে নিজেই শিখেছিল
    পশুর মত কাজ করতে
    আর ইঁদুর খেতে
    বেশ মজায়।
    .
    আর এই নোংরা অবজ্ঞা কোথা থেকে আসে?
    .
    ঘটনা হলো যে পৃথিবী এখনও গড়ে ওঠেনি,
    কিংবা জগতসংসার সম্পর্কে মানুষটার কেবল যৎসামান্য ধারণা আছে
    আর তবু চিরকাল আঁকড়ে থাকতে চায়?
    .
    এই সত্য সেই তথ্য থেকে এসেছে যে মানুষ,
    আচমকা এক দিন,
    জগতসংসার সম্পর্কে চিন্তা করা
    বাতিল করে দিলো।
    .
    তার জন্য দুটি পথ খোলা ছিল:
    একটা ঘেরাটোপহীন অসীম,
    অন্যটার ভেতরে অনন্ত।
    .
    আর ও বেছে নিলো যার ভেতরে অনন্ত।
    যেখানে একজনকে শুধু মোচড়াতে হবে
    প্লীহা,
    জিভ,
    মলদ্বার
    কিংবা শিশ্নমুণ্ড।
    আর ঈশ্বর, ঈশ্বর নিজেই মোচড়খানা দিলেন।
    .
    ঈশ্বর কি কোন সত্তা?
    সে যদি তাই হয় তবে সে গুগোবর।
    যদি সে তা না হয়
    তাহলে তার অস্তিত্ব নেই।
    .
    কিন্তু তার অস্তিত্ব আদপে নেই,
    কেবল শূন্যতা ছাড়া যা তার সমস্ত রূপ নিয়ে এগিয়ে আসে
    যার সবচেয়ে নিখুঁত চিত্রকল্প হলো
    অসংখ্য চামউকুনের একটা এগোতে থাকা দল।
    .
    “তুমি উন্মাদ না কি মসিয়ঁ আতো ? গির্জায় জনসমাবেশের কী হবে ?”
    .
    আমি গির্জার পবিত্র জল আর জনসমাবেশ অস্বীকার করি।
    মানুষের এমন কোনও কাজ নেই,
    অভ্যন্তরীণ কামদ স্তরে,
    তথাকথিত যীশু-খ্রিস্টের
    বেদীর ওপর
    নেমে আসা।
    .

    কেউ আমাকে বিশ্বাস করবে না
    আর আমি দেখতে পাচ্ছি জনসাধারণ তাদের কাঁধ নাচিয়ে আমার কথা বাতিল করছে
    কিন্তু তথাকথিত খ্রিস্ট তিনি ছাড়া আর কেউ নন
    যারা চামউকুন দেবতার উপস্থিতিতে
    দেহ ছাড়া বাঁচতে সম্মত হলো,
    যখন পুরুষদের একটা সৈন্যবাহিনী
    ক্রুশকাঠ থেকে নেমে এলো,
    ঈশ্বর ভেবেছিলেন যে তিনি তাদের পেরেক দিয়ে গেঁথে ফেলেছেন
    তারা বিদ্রোহ করেছে,
    আর ইস্পাতের মোড়কে সজ্জিত,
    রক্ত দিয়ে,
    আগুন দিয়ে, আর হাড় দিয়ে,
    এগোতে থাকে, যা অদৃশ্য তাকে প্রকট করে
    ঈশ্বরের বিচারকে বাতিল করার জন্য।
    তাহলে প্রশ্ন ওঠে…..
    যা একে গুরুতর করে তোলে
    যে আমরা জানি
    এই বিশ্বের
    শৃঙ্খলার বাইরে
    আরেকটি আছে।
    .
    সেটা কেমনতর ?
    .
    আমরা তা জানি না
    .
    সম্ভাব্য অনুমানের সংখ্যা এবং ক্রম
    এই এলাকায়
    মোটামুটিভাবে
    অনন্ত !
    .
    আর অনন্ত কী ?
    .
    সেটা আসলে আমরা জানি না !
    .
    এটা একটা শব্দ
    যা আমরা ব্যবহার করি
    আমাদের চেতনাকে
    উদ্বোধন করার জন্য
    নির্দেশ করি
    সম্ভাবনার দিকে
    পরিমাপের বাইরে,
    অক্লান্ত আর পরিমাপের বাইরে।
    .
    আর নির্দিষ্টভাবে চেতনা বলতে কী বোঝায় ?
    .
    প্রকৃতপ্রস্তাবে তা আমরা জানি না।
    .
    তা শূন্যতা।
    .
    একটা শূন্যতা
    যে আমরা ব্যবহার করি
    নির্দেশ করতে
    যখন আমরা কিছুই জানি না
    কোন দিক থেকে
    আমরা এটা জানি না
    আর তাই
    আমরা বলি
    চেতনা,
    চেতনার দিক থেকে,
    কিন্তু এক লক্ষ অন্যান্য পক্ষ আছে.
    .
    নয় কি ?
    .
    মনে হয় সেই চেতনা
    আমাদের মধ্যে আছে
    জড়িয়ে
    যৌন লোভের দিকে
    আর খিদে
    কিন্তু এটা পারে
    ঠিক তেমনি
    তাদের
    নেয়া হবে না
    .
    একজন বলেন,
    কেউ বলতে পারে,
    যারা বলেন
    যে চেতনা
    একটা খিদে,
    বেঁচে থাকার খিদে;
    আর সময় নষ্ট না করে
    বেঁচে থাকার খিদের পাশাপাশি,
    এটা খাবার জন্য খিদে
    যেটা প্রথমেই মনে আসে;
    যেন খাওয়ার লোক নেই
    কোনো রকম খিদে ছাড়াই;
    আর যারা খিদেতে মরছে।
    এর জন্যও
    রয়েছে
    খিদে
    খিদে না থাকলেও লোকে খায়;
    .
    নয় কি ?
    .
    আমরা হব
    সম্ভাবনার উৎস
    আমাকে একদিন দেওয়া হয়েছিল
    একটা জোরে পাদার মতন করে
    আমি তৈরি করব;
    কিন্তু কোনও জায়গা নয়,
    সম্ভাবনাহীনতা,
    আমি কি ঠিক জানতাম এটা কী ?
    আর আমি এটা কী তা জানার দরকার মনে করিনি,
    ওগুলো ছিল নিছক শব্দ
    যা আগে থাকতে ছিল
    কিংবা ছিল না
    প্রয়োজনের
    তাড়াহুড়োর মাঝে :
    ধারণাটাকে নির্মূল করার প্রয়োজনীয়তা,
    ধারণা আর তার কিংবদন্তি,
    আর তার জায়গায় সিংহাসনে বসাবার
    বজ্রপাতের মতন
    এই বিস্ফোরক প্রয়োজনীয়তা:
    আমার অভ্যন্তরীণ রাতের শরীরকে প্রসারিত করতে
    ভেতরকার শূন্যতা
    আমার নিজের
    যা রাত্রিকাল,
    শূন্যতা,
    চিন্তাহীনতা,
    .
    কিন্তু যা বিস্ফোরক নিশ্চিতকরণ
    আছে
    কিছু
    এর জন্য জায়গা তৈরি করতে:
    .
    আমার দেহ।
    .
    আর সত্যিই কি
    পাদের এই বিটকেল গন্ধকে অবশ্যই কমাতে হবে,
    আমার দেহের ভেতর ?
    বলতে গেলে আমার দেহ আছে
    কারণ আমার দুর্গন্ধযুক্ত পাদ আছে
    সেটা কি আমার
    ভেতরে গড়ে ওঠে ?
    .
    আমি ঠিক জানি না
    কিন্তু
    আমি জানি যে
    .
    পরিসর,
    সময়,
    আকার,
    হয়ে ওঠা,
    ভবিষ্যত,
    নিয়তি,
    অস্তিত্ব,
    অনস্তিত্ব,
    অহং,
    অহংহীনতা, আমার কাছে কিছুই নয় ;
    কিন্তু একটা জিনিস আছে
    যা আসলে একটা ব্যাপার,
    শুধু একটাই জিনিস
    যা কিছু একটা,
    এবং যা আমি অনুভব করি
    কারণ এটা
    বেরিয়ে যেতে চায় :
    যা কিনা আমার শরীরের
    যন্ত্রণা,
    একখানা হুমকি,
    ক্লান্ত হয় না
    আমার
    দেহের
    উপস্থিতি ;
    .
    যদিও বজ্জাত লোকেরা প্রশ্ন তুলে আমাকে চাপ দেয়
    আর যদিও আমি দৃঢ়ভাবে সমস্ত প্রশ্ন অস্বীকার করি,
    একটি সময়-বিন্দু আছে
    যখন আমি নিজেকে বাধ্য মনে করি
    নাআআআআআ বলতে
    নাআআআআআ
    তারপর
    অস্বীকার করার জন্য ;
    আর ঠিক এই সময়টা
    আসে যখন তারা আমাকে চাপ দেয়,
    যখন তারা আমাকে চাপ দেয়
    আর যখন তারা আমাকে ঠেলে নিয়ে যায়
    বেরোবার রাস্তা অব্দি
    আমার থেকে
    পুষ্টির,
    আমার পুষ্টির
    আর তা পোষনের দুধ,
    আর তাহলে কী অবশিষ্ট থাকে ?
    .
    আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে
    .
    আর আমি জানি না এটা একটা কাজ কিনা
    কিন্তু এইভাবে প্রশ্ন দিয়ে আমাকে কোনঠাসা করে
    অনুপস্থিতি পর্যন্ত
    এবং শূন্যতা পর্যন্ত
    প্রশ্নের
    তারা আমাকে কোনঠাসা করে
    যতক্ষণ না দেহের ধারণা
    আর একটা দেহ হয়ে ওঠার ধারণা
    আমার ভেতরে
    গলাটিপে শ্বাসরোধ করা হচ্ছে
    .
    আর ঠিক তখনই আমি অশ্লীলতাকে অনুভব করলুম
    .
    আর আমি পাদলুম
    ভুলবশত
    অতিরিক্ত জমেছিল বলে
    আর বিদ্রোহ হিসেবে
    যখন আমার শ্বাসরোধ করা হচ্ছিল।
    .
    কেননা ওরা আমাকে কোনঠাসা করছিল
    আমারই দেহের সঙ্গে
    দেহের জন্য
    .
    আর ঠিক তখনই
    আমি সবকিছু ফাটিয়ে বেরোলুম
    যাতে আমার দেহ
    আর ছোঁয়া না যায়।
    উপসংহার
    –আর এই সম্প্রচারের উদ্দেশ্য কী ছিল মসিয়ঁ আতো ?
    —মোটামুটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত এবং স্বীকৃত কিছু সামাজিক অশ্লীলতার নিন্দা করা। ভ্রূণের কৃত্রিম প্রজননের জন্য শিশুদের দান করা শুক্রাণুর এই নির্গমন এখনও জন্মায়নি আর যা এক শতাব্দী বা তারও বেশি সময়ের পরে জন্মাবে।
    —নিন্দা করার জন্য। এই একই আমেরিকান জনগণের মধ্যে যারা প্রাক্তন রেডইনডিয়ান মহাদেশের সমগ্র ভূপৃষ্ঠ দখল করে আছে, প্রারম্ভিক আমেরিকার সেই যুদ্ধবাদী সাম্রাজ্যবাদের পুনর্জন্ম যা পূর্বোক্ত লোকদের দ্বারা প্রাক-কলম্বিয়ান রেডইনডিয়ান উপজাতিদের অধঃপতনের কারণ হয়েছিল।
    —আপনি তো অদ্ভুত কথাবার্তা বলছেন, মসিয়ঁ আতো।
    ১- হ্যাঁ, আমি কিছু উদ্ভট কথা বলছি। যে সমস্ত ব্যাপার আমাদের বিশ্বাস করানো হয়েছিল, তার উল্টো আসল ঘটনা হলো যে প্রাক-কলম্বিয়ান রেডইন্ডিয়ানরা এক অদ্ভুত সভ্য মানুষ ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে তারা একচেটিয়াভাবে নিষ্ঠুরতার নীতির উপর ভিত্তি করে সভ্যতার একটি রূপ জানত।
    ২- আর নিষ্ঠুরতা বলতে কী বোঝায় তা কি আপনি সঠিকভাবে জানেন?
    ৩- এভাবে জিগ্যেস করলে বলব, না, আমি করি না।
    ৪- নিষ্ঠুরতা মানে রক্তের মাধ্যমে নির্মূল করা এবং যতক্ষণ না রক্ত প্রবাহিত হয়, দেবতা, যে কিনা মানুষের অচেতন পশুত্বের দুর্ঘটনা, যেখানেই এটি পাওয়া যায় নির্মূল করতে হবে।
    ৫- মানুষ, যখন সে সংযত থাকে না, তখন সে একটি কামোত্তেজক প্রাণী,
    তার মধ্যে একটি অনুপ্রাণিত শিহরন আছে,
    এক ধরনের স্পন্দন
    যেটি সংখ্যা ছাড়াই প্রাণী উৎপন্ন করে যার জন্য পৃথিবীর প্রাচীন উপজাতিরা সর্বজনীনভাবে ঈশ্বরকে দায়ী করে।
    এটি একটি সৃষ্টি বলা হয় কি আত্মা।
    শুনুন, আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ানদের মধ্যে উদ্ভূত এই চেতনা আজ সারা বিশ্বে বৈজ্ঞানিক ভঙ্গিতে আরেকবার আবির্ভূত হচ্ছে যা কেবল তার অসুস্থ সংক্রামক শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে, তা হলো অযাচারের লক্ষণীয় অবস্থা, কিন্তু তা একটা অযাচার যা রোগের সাথে খলবল করে,
    কারণ, ভালো লাগলে আপনি হাসুন,
    যাকে জীবাণু বলা হয়
    তা দেবতা, আর আপনি কি জানেন যে আমেরিকানরা আর রাশিয়ানরা তাদের পরমাণু তৈরি করতে কী ব্যবহার করে?
    তারা ঈশ্বরের জীবাণু দিয়ে তা তৈরি করে।
    - আপনি পাগলামি করছেন, মসিয়ঁ আতো।
    আপনি উন্মাদ।
    - আমি পাগলামী করছি না।
    আমি উন্মাদ নই।
    আমি আপনাকে বলছি, বিশ্বাস করুন, তারা ঈশ্বরের একটা নতুন ধারণা আরোপ করার জন্য জীবাণুগুলোকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছে।
    তারা দেবতাকে বের করে আনার আর তাকে তার জীবাণুর বিষে বন্দী করার একটা নতুন ফন্দি খুঁজে পেয়েছে।
    তা হলো তাঁর হৃদয় পেরেক দিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করা,
    যেখানে মানুষ তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে,
    অস্বাস্থ্যকর যৌনতার মুখোশের আড়ালে,
    অসুস্থ নিষ্ঠুরতার তাঁর সেই অশুভ চেহারায়
    যখনই তাঁর ইচ্ছা হয় মানবসমাজকে পাগল করে দেন
    ঠিক এখন যেমন করছেন।
    .
    তিনি বিশুদ্ধতার চেতনা এবং চেতনাকে কাজে লাগিয়েছেন যা আমার মতই অকপট থেকে গেছে সব মিথ্যা দিয়ে গলা টিপে মারার জন্য আবির্ভাব হয়েছে তাঁর যা তিনি মহাকাশের মাধ্যমে সর্বজনীনভাবে ছড়িয়ে দেন আর এই কারণেই হ্যালুসিনেশনে ভুগছেন এমন ব্যক্তির জন্য অঁতনা আতো’র ‘মোমো’ নেওয়া যেতে পারে।
    —আপনি কী বলতে চাইছেন মসিয়ঁ আতো ?
    —- আমি বলতে চাইছি যে আমি এই বনমানুষকে চিরকালের জন্য শেষ করার উপায় খুঁজে পেয়েছি এবং যদিও কেউ আজকাল ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না কিন্তু সবাই এখন মানুষকে আরও বেশি করে বিশ্বাস করে। সুতরাং এখন মানুষ হিসাবে আমাদের নির্ণয় নিতে হবে কেমন করে তাকে হীনবীর্য করা যায়।
    —কেমন করে ?
    —কেমন করে মানে কী ?
    কেউ আপনাকে যেভাবেই নিয়ে যাক না কেন আপনি উন্মাদ, লোহার শেকলে বেঁধে ফেলার জন্য প্রস্তুত।
    — তাকে আবার ময়নাতদন্তের টেবিলে শেষবারের মতন রেখে, তার দেহকাঠামো নতুন করে গড়তে হবে।
    আমি বলতে চাই, তার অ্যানাটমি ভেঙে গড়তে হবে।
    মানুষ অসুস্থ কারণ সে খারাপভাবে নির্মিত।
    মরণশীল প্রাণীদের যে চুলকানিতে সে ভোগে, তার সেই আস্তরণ ছিঁড়ে ফেলার জন্য তাকে খুলে ফেলতে হবে আর তার জন্য আমাদের মনকে তৈরি করতে হবে,
    ঈশ্বর
    আর ঈশ্বরের সাথে
    তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
    কারণ তুমি চাইলে আমাকে বেঁধে রাখতে পারো,
    কিন্তু একটি অঙ্গ ছাড়া আর কিছুই অকেজো নেই।
    যখন তুমি তাকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গবিহীন শরীরে পরিণত করবে,
    তখন তুমি তাকে তার সমস্ত স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি দেবে
    এবং তাকে তার প্রকৃত স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবে।
    .
    তুমি তাকে আবার ভুল ছন্দে নাচতে শেখাবে
    নাচঘরের উদ্দাম হইহুল্লোড়ে
    আর এই ভুল হবে তার আসল জায়গা।
    —-----------XXXXXX—-------------
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    103 | 104 | 105 | 106 | 107 | 110 | 113 | 114 | 119 | 120 | 121 | 123 | 124 | 124 | 125 | 125 | 126 | 127 | 127 | 128 | 129 | 131 | 133 | 134 | 135 | 136 | 138 | 139 | 140 | 141 | 143 | 144 | 145 | 147 | 148 | 149 | 149 | 150 | 151 | 152 | 153 | 154 | 155 | 156 | 157 | 158 | 159 | 160 | 161 | 162 | 163 | 164 | 165 | 167 | 168 | 169 | 170 | 171 | 172 | 173 | 174 | 175 | 176 | 176 | 177 | 178 | 179 | 180 | 181 | 182 | 183 | 184 | 185 | 186 | 187 | 188 | 189 | 190 | 191 | 192 | 192 | 193 | 194 | 195 | 196 | 198 | 199 | 200
  • কাব্য | ২৬ জুন ২০২৩ | ৩৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন