এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বিগত কয়েক বছর ধরে শ্রমিকঅঞ্চল গুলিতেই  দাঙ্গা লাগার পেছনের মুখ্য কারণগুলি আসলে কী?

    Bhattacharjyo Debjit লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১২১২ বার পঠিত
  • গেলো কয়েকবছর ধরেই “দাঙ্গা” পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বারংবার। তবে তা পার্কিং লটে গাড়ি রাখা বড়লোক বাবু'দের অঞ্চলগুলি'তে নয়। বেশির ভাগটাই হচ্ছে –শ্রমিক অঞ্চল, নিম্ন মধ্যবিত্ত-ক্ষুদ্র ব্যবসাদার’দের এলাকা গুলিতে। সেখানেই মূলত সৃষ্টি হচ্ছে যত ধরনের ধর্ম-জাত’ময় কূটকচালি থেকে শুরু করে দাঙ্গাবাজি। ধসে যাচ্ছে সব। দীর্ঘদিনের শ্রম দিয়ে গড়ে তোলা শ্রমজীবী মানুষের সম্পদগুলি। জ্বলছে দোকান-পাট, পুড়ছে একের পর এক ঘর বাড়ি। শেষে গিয়ে দুই দিক দিয়ে সব দায় পড়ছে সেখানকার সংখ্যালঘু মানুষ গুলোর উপর; ক্ষতিও হয়ে চলছে তাঁদের বেশি আবার সমাজে বদনামটাও বেশি। কেউ বলছে এই দাঙ্গার পরিবেশ তৈরির পেছনে দায় তাঁদের। আবার কেউ বলছে, না-না এই দাঙ্গা’য় সবচেয়ে বেশি সাফারার ওরাই! কিন্তু এর মূল কারণ গুলি ঠিক কী কী? এসব যেন কেউ কেউ ভয় পেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বলতে চাইছে না আবার কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতও মূল কারণ গুলিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। হয়তো তা কেবল কিছু মুষ্টিমেয় বড়লোকদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্বার্থেই। সত্যি তো এই পরিবেশ ওই অঞ্চল গুলিতে সৃষ্টি হওয়ার কারণ তবে কী? কোন বেহায়া চাইতে পারে রুজিরুটির বারোটা বাজিয়ে দাঙ্গার পর পেটে গামছা বেঁধে গোটা এক থেকে তিন মাস বাড়িতে বসে থাকি!   
     
    আমি লক্ষ্য করে দেখেছি – যে অঞ্চল গুলিতে দাঙ্গা হয়েছে কিংবা দাঙ্গার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেখানেই রয়েছে ছোট-বড় কারখানা। যেগুলি আগে বন্ধ হয়েছে। সাথে সাথে গুটিয়েছে সেখানকার আশেপাশের ক্ষুদ্র পুঁজির দোকান-পাট গুলি। আইসিইউ তে গিয়ে কপাল ঠুকেছে সেই অঞ্চলের অর্থনীতি, সাধারণ মানুষের পকেট গুলি তারপর দীর্ঘদিন জটলা পাকিয়ে বেধেছে সেখানে “দাঙ্গা”। যে দাঙ্গার পেছনে মুখ্য ভূমিকায় কাজ করেনি নবমী, দশমী কিংবা ষষ্ঠী; কাজ করেছে কেবলি ভুখা পেটের রাগ-ক্ষোভ এবং একরাশ হতাশা ও শাসকশ্রেণীর দেখানো ভুয়ো লোভ প্রতিশ্রুতি মাফিক জন্মানো প্রত্যাশা। তারপর বেধেছে দাঙ্গা। যেমন – ভাটপাড়া। সেখানেও দাঙ্গা বেধেছে কখন? যখন পাশাপাশি তিনটি জুটমিলের গেটে তালা ঝুলিয়েছে মালিকশ্রেণী। রিলায়েন্স, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল -জুটমিল। এরফলে পকেট ফাঁকা হয়েছে কয়েকশো শ্রমিকের। পথে বসেছে তাঁদের পরিবার গুলি। তারপর তাঁরা কিছু অংশ গ্রামে ফিরেছে। কিছু অংশ আঞ্চলিক শাসকের নেতা ধরে অন্য কাজ খুঁজেছে এবং আরো কিছু অংশ মদ-গাঁজা সহ যাবতীয় অন্ধকারের পথ বেছে নিয়ে পুরোপুরি ধর্মের কোলে গিয়ে পিঠ ঠেকিয়েছে। কারণ তাঁদের মনের ভেতরে তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিনের দানা বাধা এক তীব্র হতাশা ও তার থেকে ধীরে ধীরে আগত জমাট বাঁধা রাগ-ক্ষোভ-হিংসা। একমাত্র যার কেন্দ্র স্থায়ী রুজীরুটির অভাব। যারফলে মরে গেছে সেখানকার আঞ্চলিক অর্থনীতি। এঁদের পরিবারের সন্তানেরাও অভাবের স্বীকার হয়ে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়ে – নেশা-পাতি, চুরি-ডাকাতি করে আঞ্চলিক নেতার খাস গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। তাঁদের দিয়েই নেতা-গণ একসময় নিজেদের যাবতীয় কাজ হাসিল করেছে। যখন নেতাদের কাছে এঁদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে তখন তাঁদের মনে রাগ-ক্রোধ-হিংসার মাত্রা বেড়েছে আর তখন তাঁদের কেই আবার আইনি জটিলতায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে – শাসকশ্রেণী।
     
    এই দাঙ্গায় অংশ নেয়নি কখনোই আঞ্চলিক শাসকের বাড়ির ছেলে। অংশ নিয়েছে কেবল শ্রমিক বাড়ির সন্তান এবং খেটেখাওয়া নিম্নবিত্ত বাড়ির মানুষ জনেরা(জাত-ধর্ম নির্বিশেষে)। কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে যাদের বন্ধ হয়ে গেছে আশেপাশের ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসাগুলি। এ পথে যাওয়ার কারণ -এ ছাড়া তাঁদের হাতে আর কোন বিকল্প উপায় নেই। বন্ধ রুজীরুটি’র জায়গা। তারা খাবে কী? আর নেতার খাস লোক হতে পারলে কিংবা কমসে কম চ্যালা চামুণ্ডা হলেও রয়েছে শুধু খাওয়া নয়; সাথে প্রতিদিন এলাহী মদ-মাংস সহ দামী বাইক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর তো রয়েইছে নেতা-মন্ত্রীর গা-জোয়ারি’র, ক্ষমতার আস্ফালনের সদ্ব্যবহার করে এরিয়া কাঁপানোর নিয়ম-নীতি। সুতরাং আর কোন টেনশন নেই। জীবন এগোবে মস্তি ভরেই, অন্তত কয়েকটি দিন। টান নেই আর পেটের। শুনতে হবেনা আর ঘরে মা-বাবা কিংবা বিয়ে করা বউ'য়ের প্যাচপ্যাচানি। উল্টে তারাও ভয়ে থাকবে, ভয়ে হয়তো শ্রদ্ধাও করবে আঞ্চলিক বড় নেতা কিংবা মন্ত্রীর খাস লোক “আমার স্বামী কিংবা পুত্র” এই ভেবেই। অর্থাৎ তাহলে এই দাঙ্গাবাজ আঞ্চলিক নেতা-মন্ত্রীদের উত্থানের মূল কারণ হলো সেখানকার সংখ্যালঘু শ্রমজীবী মানুষের রোজগার হারানোর রাস্তাগুলি। 
     
    এরপর তো রয়েছেই কারখানার মালিকশ্রেণীর স্বার্থ; যারা আঞ্চলিক নেতাদের সাথে আঁটঘাট কষেই ভেঙে দেয় শ্রমিকশ্রেণীর দাবিদাওয়ার আন্দোলনগুলি। এই দাঙ্গার পর ফাঁকা হয়ে যায় এক কামরার ঘর কে ঘর সাজানো বস্তিগুলি। ভয়ে-আতঙ্কে সাধারণ মানুষেরা পালায় আত্মীয় বাড়ি কিংবা সব্বাই ফেরত যায় দূরের কোন এক গ্রামে। আর যাদের ক্ষমতায় কুলায় না যাওয়ার তারা থেকে যায় চ্যালা হয়ে। এবার চলে যাওয়া মানুষ গুলোর থাকবার জায়গা দখল হয় ধীরে ধীরে আঞ্চলিক নেতার চ্যালা’দের হাত হয়ে শেষে মালিকশ্রেণীর হাতেই। আর নয়তো গড়ে উঠে সেখানে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক শাসক তথা নেতৃত্বের মোচ্ছব কেন্দ্র। এরপর যখন বছর খানেক বাদে কারখানা গুলি খোলে তখন আর সেখানে থাকেনা কোন পিএফ-গ্র্যাচুইটি ভুক্ত শ্রমিক। ফলে কারখানায় বাড়তে থাকে স্বল্পমূল্যে খাটা ‘ভাউচার' শ্রমিকের সংখ্যা। যাঁদের মাহিনাপত্তর বাকিদের(স্থায়ী-অস্থায়ী) থেকে অনেক কম আবার এঁদের প্রতি মালিকের কোন দায়-দায়িত্বও নেই। এরা ভারী ভারী মেশিন টানতে টানতে বিপদ ঘটে মারা গেলে মালিকের হয় বেশ ভালো; দিতে হয়না আর সেদিনের কাজের টাকা। ফলতঃ লাভ করে কাঁড়িকাঁড়ি মুনাফা। সুতরাং এই অঞ্চল গুলিতে ঘটতে থাকা দাঙ্গার ফলে বৃহত্তর ভাবে লাভবান হয় মালিকশ্রেণী। তাছাড়াও, এই কারখানার মালিক’দের ব্যবসার কোন স্থায়ীত্ব নেই। তারা সেদিকেই ঝোঁকে যখন যেটায় ফাটকা মুনাফা চান্স বেশি। এদের নজর বর্তমানে শ্রমিকের থাকবার জায়গায়-জমির উপরেই। সেগুলো দখল করে এরা সেখানে বানাতে চায় – বড় বড় মাল্টিপ্লেক্স, শপিংমল, আবাসন-রিসোর্ট। এ প্রক্রিয়া গেলো বহু বছর যাবৎ এই অঞ্চল গুলিতে চলছেই। বহু জায়গায় বহু কারখানা ভেঙেই গড়ে উঠেছে এগুলি। এমন অভাগার দেশ আর নেই -যেখানে শাসকশ্রেণী তার দেশের সাধারণ জনগণের পকেট মেরে ধর্ম-জাত এর নেশায় মাতিয়ে ভুলিয়ে দেয় তাঁর মূল সমস্যাগুলি। যেখানে স্থায়ী সংগঠিত ক্ষেত্রের শিল্প ভেঙে গড়ে উঠে ফুটানির ফ্ল্যাট বাড়ি। আর অফুরন্ত উন্নয়নের ফাউ-ফাউ বুলি।
     
    ঠিক এই একই চিত্র হাওড়ার; শিবপুর থানা থেকে শুরু করে হাওড়া জুটমিল, অলোকা সিনেমা, কাজীপাড়া, প্রভৃতি যে যে অঞ্চল জুড়েই দাঙ্গার পরিবেশ গত কয়েকবছর ধরে ক্ষণে ক্ষণে তৈরি হচ্ছে। কখনো তা শিব কোঁদনের দিনে আবার কখনো তা রাম-নাচনের দিনে। গত বছরও এই অঞ্চল গুলিতে এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এবছর জ্বললো অঞ্চল গুলি। এর কারণ সেই একই! প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো বন্ধ হাওড়া জুটমিল। ছোট ছোট কারখানা গুলি এই খোলা তো এই বন্ধের দৌড় লেগেই আছে। তাছাড়াও বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অথচ সঠিক রোজগার পাতি নেই। ফলত: এইরকম বেকায়দায় দৈনন্দিন খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই দায়। তাই পেটের টানে সেখানকার মানুষের উগ্রতাও বেড়েছে চড়চড় করে এবং সাথে সাথে বেড়েছে বিকল্প রোজগারের পথের খোঁজ ও ধর্মের প্রতি মনোযোগ। যা কেবলই রুজিরুটি'র অভাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার ফলেই। ফলতঃ ফের যা হওয়ার তাই হয়েছে আর কী! সবথেকে মজার বিষয় – কারখানা বন্ধ হলেই শ্রমিক’রা যখন কারখানা খোলার দাবিতে উত্তেজিত থাকে তখন এই অঞ্চলে খুল্লাম খুল্লা উদ্ভব হয় দুই গোষ্ঠীর; এক, উগ্র ধর্ম-বাজ। আরেক, বাঙালি-বিহারী ক্যাচাল পাকানো ছুটকো’দের। একদল বোঝায় মুসলমান’রা সব শেষ করে দিচ্ছে আরেকদল বোঝায় ‘বিহারী শ্রমিক‘ হটলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। একদল গরীব মুসলমান মেরে ভয় ছড়ায়; আরেকদল গরীব বিহারী ফুচকা ওয়ালা কে চর মেরে বাঙালির নেতা হয়ে উঠতে চায়। আর পাছে দূরে সরে যেতে থাকে শ্রমিকের রুজিরুটি তথা পেট চালানোর মূল প্রশ্ন গুলি। তারপর জাত-ধর্ম ধরে বাইরে থেকে দীর্ঘদিনের হিংসা-বিদ্বেষের প্রয়োগ ঘটে কোন এক বিশেষ নাচোন-কোঁদনের দিনেই। যেদিন থাকে সব্বাই ফুল মুডে। আর যেখানে যাদের সংখ্যা বেশি, জোর বেশি তারা সেদিন দাপাতে থাকে সেখানে শাসকশ্রেণীর আঞ্চলিক নেতা-মন্ত্রীদের ছায়াতলে দাঁড়িয়ে।
     
    অতএব মানুষের রুজিরুটি তথা মৌলিক চাহিদা গুলি দিন দিন তলানিতে ঠেকবার –সহজ সরল সত্যগুলিকে আড়াল করতেই ব্যবহার করা হয় ধর্ম-জাতের নেশা’কে। আর তার সাথে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে'র মতন ভক্ষম মদ-গাঁজা, জুয়ার নেশা -লুম্পেনসি সংস্কৃতির উপদ্রব বাড়ছে সাম্রাজ্যবাদীদের রাজনীতি-অর্থনীতি পালন করা নেতা- মন্ত্রীদের হাত ধরে। যা দিয়ে মূলত সাধারণত মাতিয়ে রেখে ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে মূল প্রশ্ন গুলিকে। গতকালের নির্মম ঘটনার পরে কেতাবি পণ্ডিতগণ, নবীন ও পুরাতন –বাংলাবাদী’দের মুখ দিয়ে শোনা যাচ্ছে রামনবমী সাথে দুর্গাপুজোকে তুলনা করতে। তারা বলতে চাইছে দুর্গা পুজো ভালো তাতে হয় না এমন; আর তাই গুড়িয়ে দেওয়া উচিৎ সেখানকার বাকি জাতির মানুষ'দের। কিন্তু তারা বুঝতে অক্ষম দুর্গাপুজো হয় ও সেই উৎসবের উন্মাদনা থাকে মূলত কলকাতার শহুরে মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও বড়লোকদের অংশে কিংবা অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। যেখানে এইসব হলে, গোটা মাস খানেক ব্যবসাপাতি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকলে সব থেকে বড় ক্ষতি হবে শাসকশ্রেণীর। ক্ষতি হবে বৃহৎ পুঁজির। ফ্ল্যাট-গাড়ি কেনবার লোক কমে যাবে। প্রতি মাসে সেলের শতাংশ বাড়িয়েও বিক্রি হবে না একটিও ফ্ল্যাট-গাড়ি। তাই সেখানে এসব হওয়ার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন ওই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও পুরোপুরি তলানিতে ঠেকবে। একে একে কলকাতার ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসার জায়গা গুলি বন্ধ হয়ে যেতে থাকবে। অধিকাংশ মানুষ কাজ হারিয়ে পথে বসবে, কেবল তখনই(যদি না শ্রেণী লড়াই গড়ে উঠে)। আর তখন দুর্গা পুজোর পাঁচদিনেই অচল অবস্থার সৃষ্টি হবে। আর তাছাড়াও যে দেব-দেবী এতো বছরেও দেশের এতো পুজো আছড়ার পরেও দেশের সংখ্যাগুরু শ্রমজীবী মানুষ’কে রুটি-জমি-শান্তি'র মতন মৌলিক অধিকারগুলি দিতে ব্যর্থ তখন এঁরা সব্বাই মিলেই সমাজের এই ঝুট-ঝামেলা-অশান্তির জন্য দায়ী। দায়ী নয় কী? আসলে রাম -বর্তমানে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার যারা বসে আছে ক্ষমতার চূড়ায়। বিশ্বের উঠতি সাম্রাজ্যবাদী'দের এদেশীয় প্রধান ম্যানেজার গোষ্ঠী। যাদের রয়েছে একটি হিন্দুত্ববাদী -কট্টরপন্থী আদর্শ, এক সুদীর্ঘ খুনোখুনির ঐতিহাসিক রাজনীতি। তাই রামের নামে এতো বদনাম। যা অযথাই বাকিদের থেকে আমাদের অজান্তেই হয়ে উঠে বহুগুণে বেশি। এই দেব-দেবী কুলের বাকিরাও আদেও ‘ভালো' কী? স্বয়ং -দেবী দুর্গা’র মূর্তিটি একটি জ্বলন্ত ব্রাহ্মণ্যবাদী হিংসার প্রতীক। যা ছোট থেকে আমাদের পাঠ দেয় একটি জাতি’কে হত্যা করতে হয় কীভাবে। আসলে এ-বাংলার ইতিহাস আলাদা। রামের উত্তরভারতের থেকে। তাই কলা-কৌশল আলাদা রামরাজ্যের বাপেদের। আর দেবী দুর্গার বাঙলার -বাঙালী জাতীয়তবাদী’দের। কিন্তু হিংসা বরাবার ক্ষেত্রেই সমান ভাবে আছে বৈকি। যেহেতু এখানের ইতিহাস আলাদা সেহেতু এখানে জটলা পাকবে কিংবা পাকচ্ছে এক অন্য রকম বিচ্ছিরি ভাবে। ইতিমধ্যে দুর্গা-অসুর থেকে আজকের পরিস্থিতিতে বাঙালি-বিহারী’তে পৌঁছিয়েছে। যার খুবই ভয়ংকর পরিণতি হতে পারে ভবিষ্যতে। এখনি লোকাল ট্রেনে কয়েকশো মধ্যবিত্ত 'শিক্ষিত' বাঙালির দাদাগিরি দেখা যায় কোন ক্রমে একজন বিহারী পেয়ে গেলে। যা দিল্লির বিশেষ দলটির লিঞ্চ'রাজনীতি সূত্রই তুলে ধরে আমাদের চোখের সামনে। মনে করিয়ে দেয় সেই বিভৎস-বিভৎস ঘটনাগুলি। আর আমাদের রাজ্যের শাসকদল এগুলিকে আরো খুব সুন্দর ভাবে রাজনীতির রঙিন চাদরে মুড়িয়ে ব্যবহার করে চাগিয়ে তোলে। হিন্দুত্ববাদী'দের দেখানো উল্টো দিকের পথ ধরে। যদি না এখনি আমরা এইরকম ভুয়ো বিদ্বেষগুলোকে নিজেদের মন থেকে কাচি করি তাহলে আগামীতে আরো ভয়ানক জটিল দ্বন্দ্ব ও ধন্ধ জন্ম নেবে আমাদের মনে। সর্বপরি গোটা সমাজের বুকে। বলাই বাহুল্য গতকালের ঘটনা কেউ একদল ইচ্ছাকৃত ঠেলে দিতে চাইছে এই দ্বন্দ্বে। যাতে দিল্লির ক্ষমতার চূড়ায় থাকা খেঁকশিয়াল’দের উত্তরভারতীয় রাজনীতির নাম মাত্র বিরোধিতা করে আড়াল করে দেওয়া যায় দাঙ্গায় বিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষ গুলির মুখ্য সমস্যা গুলি। আমাদের বোঝা উচিৎ - অরাজকতা ভরা সংস্কৃতিক পরিস্থিতি তৈরির পেছনে সবসময়ই শাসকশ্রেণীর রাজনীতি-অর্থনীতি কারসাজি থাকে। জড়িয়ে থাকে আঞ্চলিক নেতা-মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত মতলুবি স্বার্থগুলি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১২১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dip | 42.110.139.92 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:১৩518091
  • স্বয়ং -দেবী দুর্গা’র মূর্তিটি একটি জ্বলন্ত ব্রাহ্মণ্যবাদী হিংসার প্রতীক। যা ছোট থেকে আমাদের পাঠ দেয় একটি জাতি’কে হত্যা করতে হয় কীভাবে।
     
    I directly ask you to show proper documents regarding your demand. Otherwise it will be proved that actually you want to spread communal tension in our state. Either you are B- team of BJP-RSS or you are the agent of Islamic communalism.
    I shall wait for your proper documents.
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২৭518093
  • মা দুর্গা যে "অসুর" কে বধ করছেন - সেই অসুর আসলে কে?
  • দীপ | 42.110.139.92 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৩২518094
  • আমি আপনার কাছে উত্তর চেয়েছি, প্রতিপ্রশ্ন চাইনি।
    হয় নিজের দাবির সপক্ষে তথ্য দিন, আর নয়তো মিথ্যাচার স্বীকার করুন।
    কোনো কিছু নিয়ে সামান্যতম পড়াশোনা না করে কথা বলা উচিৎ নয়!
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪৩518096
  • অসুর - হলেন আদিবাসী জাতির রাজা। বড় বিষয় বর্তমানেও আদিবাসীদের মধ্য অসুর সম্প্রদায় রয়েছে। আদিবাসী সমাজের মানুষ মনে করেন, তাঁদের রাজা অসুর কে হত্যা করেছে বিদেশী আর্য্য জাতির মা দুর্গা। সেই কারণে এই বড়সড় লেখালেখি আছে। বই-পত্র রয়েছে। দুর্গা পুজোর পাঁচদিন আদিবাসী সমাজে শোক দিবস পালিত হয়। তাঁদের রাজা কে হত্যা করবার কারণে। আর আদিবাসীরা হলেন এদেশের বহ পুরানো অনার্য্য জাতি। এটি হলো - অস্ট্রিক, দ্রবিডিয়ান "ফ্যামিলি" মিশ্রিত জাতি। বিশেষত সিন্ধু সভ্যতার হাত ধরেই এদের উদ্ভব। তারপর ইউরোপিয়ান বৈদিক সভ্যতায় আর্য্য জাতির। আর দেবী দুর্গা হলেন আর্য্য'দের দেবী।
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৪৭518097
  • শুনুন এগুলো তো "মিথ" তাই এই বিষয় নিয়ে বহু মতামত আছে। আপনি আপনার টা মানেন। আবার অন্যেরা অন্যদের টা। এটাই স্বাভাবিক। তাই অযথা মিথ ঘেঁটে লেখাটির মূল বিষয় এড়ানোর মানে নেই। ক্যামন? আর আপনার মনে হওয়া টা বাস্তবে মনে হওয়া ওটার কোন ভীত নেই। তথ্য নেই। যুক্তি নেই। প্রমাণ নেই। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাই আপনার মনে হওয়া কেউ সন্মান করি। ভালো থাকবেন। 
  • দীপ | 42.110.139.92 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫৬518100
  • আপনি কিস্যু পড়েননি, বেশি বিপ্লব দেখাতে গিয়ে সব ঘেঁটে ফেলেছেন।
    আদিবাসী, দ্রাবিড়, সিন্ধুসভ্যতা সব এক হয়ে গেল! 
    পুরো উটের পাকস্থলী!
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:৫৯518101
  • আচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর আপনি পড়াশোনা করবেন। বেশি বেশি পড়বেন। এবং প্রতি লেখায় কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ
  • দীপ | 42.110.139.92 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০২518102
  • শক্তিসাধনার উৎস ও ক্রমবিকাশ নিয়ে কোনো একটা ব‌ইও আপনি পড়েননি! কিছু না পড়েই পাণ্ডিত্য প্রদর্শনে বড়োই আগ্রহী হয়ে পড়েছেন! 
     
    হরিবংশে দুর্গাস্তবে বলা হয়েছে এই দেবী পুলিন্দ, শবর, বর্বর, ম্লেচ্ছ- সবার দ্বারা পূজিতা। মহিষাসুরমর্দিনী স্তোত্রমেও দেবীকে শবরকন্যাদের দ্বারা পূজিতা বলা হয়েছে।
    আর্য-অনার্য গপ্পিবাজি কোথায় পেলেন? 
    আর আর্য বলে কোনোদিনই কোনো জাতি ছিলনা, ছিল ইন্দো-ইউরোপীয়ান ভাষাগোষ্ঠী। আর অসুর সম্প্রদায় এই ইন্দো-ইউরোপীয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত,যাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে বসতি স্থাপন করেছিলেন। 
    বুলি না কপচিয়ে একটু ব‌ইপত্র ঘাঁটুন! 
  • এইত্তো | 113.21.78.16 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:০৬518103
  • শুরু হয়ে গেল রেকারিং দীপ  দীপ দীপ  
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:১২518104
  • আপনি ঘুমাতে যান দাদা। শুভ রাত্রি।
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::7e:9544 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৬518110
  • অহ দিপচাড্ডি নেমে পড়েছে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্যের কৌলিন্য রক্ষায়। খ্যা খ্যা।  হয়ে গেল ভুষ্টিনাশ। এবারে যত আল বাল গোরুর ছাল এখানে এনে ডাম্প করতে থাকবে। একটা আস্ত প্যারা লেখার ক্ষ্যামতা নেই হেগে হেগে ভাল লেখাগুলোর ভুষ্টিনাশ করে চাড্ডিরপো
  • Bhattacharjyo Debjit | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪২518119
  • উপরে জয়রাজবাবু এই লেখাটিতে সবই ঠিকাছে। কিন্তু মোদ্দা বিষয় হলো - দাঙ্গা শাসক করেনা। করায়। মরে গরীব বাড়ির লোক। তারাই মূলত এই সাম্প্রদায়িকতায় গা ভাষায়। কিন্তু এই গা ভাসাচ্ছে কেন? আর এর রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমাধান টাই বা কী? কোথা দিয়ে এই সমস্যা তৈরির মূল উৎস যেখান দিয়ে সমাধান আসবে! এইগুলো না ক্লিয়ার হলে দাঙ্গা বিরোধী কোন সঠিক গঠনমূলক কাজও করা যাবে না। খালি দোষারোপ আর লেখালেখি বাড়বে হয়তো।
  • Ranjan Roy | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:০৪518131
  • লেখাটিতে অতিসরলীকরণের ঝোঁক রয়েছে।
     ভারতে আদিবাসী গোষ্ঠী (যাদের সংখ্যা কয়েক হাজার) সবাই নিজেদের অসুররাজের অনুগামী মনে করেন আর দুর্গাকে  আর্য আক্রমণোকারী? ব্যাপারটা এত সহজ নয়। 
     
     আমি ছত্তিশগড়ের গোণ্ড আদিবাসী অঞ্চলে চল্লিশ বছর কাটিয়েও ওদের মিথ বা পুরাণকথায় অসুরের খোঁজ পাই নি। ওদের নিজস্ব লোককথা  এবং দেবী দেবতা রয়েছে। 
    আবার দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়্গোষ্ঠীর একটি অংশ রাবণকে তাদের নায়ক  এবং রামচন্দ্রকে উত্তর ভারতের আগ্রাসনের প্রতীক হিসেবে দেখে। অসুর ো দুর্গা নিয়ে ওদের কোন মাথাব্যথা নেই। 
    হুদুরদুর্গা  এবং অসুররাজের পুরাণকথা ঝাড়গ্রাম-রাঢ়বাংলায় অল্প অঞ্চলেই সীমিত।
     আবার তন্ত্রের সঙ্গে লৌকিক সম্পর্ক নিয়ে দেবীপ্রসাদ  এবং নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বড় গবেষণা রয়েছে। মধ্যবিত্ত বাঙালীর জন্যে হিমালয় দুহিতা দুর্গা যেন বাঙালীর ঘরের মেয়ে,  রামপ্রসাদ দাশরথি রায়কে বাতিল করে দেওয়া যায় কি?
  • guru | 103.135.229.183 | ০১ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩৫518132
  • অনেক ধন্যবাদ লেখককে একটি অত্যন্ত বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য | 
     
    আমি গত বছর একটি প্রয়োজনে কোলকাতার ট্যাংরা অঞ্চলের এক বস্তিতে একটি NGO সংক্রান্ত কাজে গেছিলাম | সেখানে বেশির ভাগ মানুষ মুচি মেথর প্রভৃতি সম্প্রদায়ের শুওরের মাংস এদের প্রিয় খাওয়া | এবার তাদের পাশের বস্তির মানুষ মূলতঃ মুসলমান | দুই পাশাপাশি বস্তির মানুষের মধ্যে বেশ ভালো রকম মেরুকরণ দেখলাম | তখনি মনে হলো সামনের দাঙ্গা এইরকম এলাকাতেই হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক |
     
    আরো বড়ো সমস্যা হলো এর কোনো প্রতিকার নেই | হয়তো প্রতিকারের থেকে অনেক দূরেই চলে এসেছি আমরা | কি বলেন ?
  • অভিভূষণ মজুমদার | 2402:3a80:1c88:2bc7:178:5634:1232:5476 | ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৪৮518151
  • বেশ ভালো লেখা, আসলে ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি, ক্ষমতার রাজনীতি, কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত বাজার সংষ্কৃতি, যেখানে সমাজের শেষের সারির মানুষের অধিকার অবহেলিত হবে। ব্রাহ্মণ্যবাদের ইতিহাস সেই সতীদাহ থেকে সতীপিঠের মাহত্ব্য, রামায়নের বেদপাঠের সাজাপ্রাপ্ত অন্তজ্য থেকে মহাভারতের একলভ্য এসবের বিপরীতে বৌদ্ধ ধর্ম, চৈতন্য মহাপ্রভু কিন্তু আজকের ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি বুদ্ধদেব কেও দশম অবতার রূপে হাজির করে এভাবেই অতীতের বৈষম্যের ইতিহাস অপসৃত করা হয় পরিকল্পিত রাজনৈতিক নক্সা মেনেই। সেখানে দুর্গা থেকে ফকির দরবেশ সব মিলে মিশে একাকার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন