এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • একাকী  ভ্রমি  বিস্ময়ে - উত্তরপূর্বের টুকটাক ৩ 

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮০৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | |
    হাফলং, পার্বত্য উত্তর কাছাড়ে ডিমা হাসাও জেলার জেলাসদর, আসামের একমাত্র শৈলশহর। শান্ত ছোট্ট শহরে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের এর উপরে যায় না খুব একটা, গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ৮ ডিগ্রি দেন্টিগ্রেডের নীচে নামে না সাধারণত। ফলে বেশ একটা আরামদায়ক ঠান্ডা আবহাওয়া সারা বছরই থাকে প্রায়। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যথেষ্ট, চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি ছেয়ে রয়েছে হাফলঙকে ঘিরে ঢেউএর মত পর্বতশ্রেণীতে। যেদিকেই চোখ তুলে তাকাই সবুজ শুধু সবুজ।বেলা দুটো নাগাদ বেরিয়ে দেখি সূর্য্যের ভোল্টেজ ভালই, চিড়বিড়ে রোদ্দুর। সূর্যাস্ত বিকেল সাড়ে চারটেয়, দেখা যাক এই আড়াইঘন্টা সময়ে কতটা কি দেখা যায়।
     

    হাফলং শহর 

    স্টেশান থেকে আসার সময়েই দেখেছি গত মে মাসের বন্যায় নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট নতুন করে সারানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও পাহাড় কেটে বানানো হচ্ছে নতুন রাস্তাও।শুবজিৎ প্রথমেই নিয়ে গেল এক মস্ত গির্জায়,ফায়াংপুই প্রেজবিটেরিয়ান গির্জা।এখানে বলে রাখি হাফলঙে ক্যাথলিক, মোরাভিয়ান আর প্রেজবিটেরিয়ান তিনরকম  গির্জাই আছে। ২৪ ডিসেম্বর, মধ্যরাতের মাসের জন্য ব্যবস্থাপনা চলছে, প্রচুর জনসমাগম হবে। আপাতত গির্জার মূল কক্ষ বন্ধ। এই গির্জাটা একটা ছোটখাট পাহাড়ের মাথায়। বাইরের বাঁধানো চত্বরে দাঁড়ালে অনেকদূর অবধি চোখ যায়।


    ফিয়াংপুই চার্চ
     

    দূরে ঢেউ খেলে গেছে হালকা থেকে  গাঢ় সবুজ হয়ে কুয়াশায় মিশে যাওয়া পর্বতশ্রেণী। শুবজিৎ আঙুল দিয়ে দেখায় ওই যে জাটিঙ্গা নদী আর ওওওই পাহাড়ের কোলে এথনিক ভিলেজ। নেমে এসে চলি সার্কিট হাউসের দিকে। সেখানেও আরেকটি ভিউ পয়েন্ট। সার্কিট হাউসের সাআমনে কিছু নিজস্বীপ্রেমী বেঁকেচুরে লাফিয়ে নানারকম ভঙ্গীমায় নিজস্বী তুলে চলেছে। বিরক্ত হয়ে একটু নেমে বাঁধানো রেলিঙের ধারে দাঁড়াই। আবারোও চোখ যায় অবারিত মুক্ত উপত্যকা ছাড়িয়ে পাহাড়ে। নীচে দেখা যায় দিয়াং নদীর উপরে  রেলওয়ে ব্রিজ, ট্রেনে করে হাফলঙে ঢোকার পথ। শহরের ঠিক মাঝখানটিতে হাফলঙ লেক। যাই সেখানে।


    সার্কিট হাউস



    কিন্তু হায় লেকের জল প্রায় তিন চতুর্থাংশ শুকিয়ে ফেলে কিসব নির্মাণকাজ চলেছে। পর্যটকদের আনন্দবর্ধনের জন্য সরকার থেকে কিছু একটা বানাচ্ছে সেখানে। হায় রে উন্নয়ন! লেকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যের ওপরে বালি সিমেন্ট ঢেলে রেস্তোঁরা ইত্যাদি বানিয়ে এ কেমন আনন্দ!সার্কিট হাউসের পথে এক জায়গায় পাহাড়ের বাঁকে গাড়ি থামিয়ে এক ভিস্তা পয়েন্টে নিয়ে যায় শুবজিৎ, নীচে দেখায় অগাধ সবুজের মাঝে মাথা তুলে থাকা রঙচঙে একজোড়া গির্জা। অপার শান্তি চারিদিকে, ইচ্ছে হয় ওখানেই বসে থাকি আরো অনেকক্ষণ। শরীরে মনে শুষে নিই সবটুকু শান্তি। নাম বলে মুওলহোই গ্রাম।


    জোড়াগির্জা - মুওলহোই 
     
    কিন্তু এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা যাবে না, আর হাফলঙের সূর্যাস্তের কথা অনেক পড়েছি। অতএব খানিক দাঁড়িয়ে আবার রওনা। মুওলহোই গ্রামের জোড়া গির্জাকে ছেড়ে এবার গন্তব্য জাটিঙ্গার কাছে  এথনিক ভিলেজ। হু হু করে নীচে নামা, রাস্তা ভালই। যত নামছি তত অন্ধকার হয়ে উঠছে চারপাশ, অনেক উপরে হাফলঙ শহরে, পাহাড়ের মাথায় সূর্য্য তখনও দেদীপ্যমান। জাটিঙ্গায় সেই পাখীদের এসে দলে দলে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার গল্প তো ইন্টারনেটের আনাচে কানাচে পাওয়া যায়, তবে এখন অনেকেই জেনে গেছেন এটি আসলে পাখীদের মাংস বিক্রি ও খাওয়ার একটি কৌশলমাত্র।

     

    ডেকাচেং কটেজ মাজুলি - এথনিক ভিলেজ। 
     
    এথনিক গ্রাম ওই জাটিঙ্গার পাখীহত্যার অকুস্থলের বেশ কাছেই অনেকটা জায়গা নিয়ে ছড়ানো ছেটানো এক বড়সড় প্রদর্শনশালা বলা যায়। পর্যটন দপ্তর থেকে ডিমা হাসাওয়ের বিভিন্ন জনজাতির বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে এই গ্রামটি গড়ে তুলেছে। ঢোকার ফি মাথাপিছু ৩০/- টাকা আর গাড়ির জন্য আরো ২০/- টাকা। প্রতিটি জনজাতির নিজস্ব পদ্ধতিতে বানানো কুটির ও তার সামনে একটা করে সেই জনজাতির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পোশাক পরানো প্রতিনিধির মূর্তি। প্রতিটাই  পুরুষের মূর্তি, একটা কুটিরের সামনেও  কোনও মহিলার মূর্তি নেই। ঘুরে ঘুরে দেখছি, ইতোমধ্যে শুবজিৎ এক সুরক্ষাকর্মীকে সঙ্গে করে হাজির।


    ডিমাসা জনজাতির কুঁড়ে ও পুরুষ 


    জৈন্তিয়া জনজাতি 
     

    কার্বি পুরুষ 
     
    কার্বি নারী 
    ফোটো সৌজন্য - ঈপ্সিতা 
     
    কার্বি নারী 
    ফোটো সৌজন্য - ঈপ্সিতা 

    বিভিন্ন জনজাতির মহিলাদের কি আলাদা কোনও পোষাক নেই? সুরক্ষাকর্মীটি নিজের মোবাইল খুলে দুজনের ছবি দেখান একজন ওঁর মা আরেকজন প্রতিবেশী, ডিমাসা জনজাতি। শুবজিৎ তড়বড়িয়ে বলে মহিলাদের এই পোষাকই গোটা ডিমা হাসাও জেলার ঐতিহ্যবাহী জাতিগত পোষাক। আমার সন্দেহ যায় না, কিন্তু সন্দেহ মেটানোর কোনও উপায় দেখি না। মনে মনে নোট করি ফিরে এসে ঈপ্সিতাকে জিগ্যেস করতে হবে। করেওছি্‌ যা ভেবেছিলাম তাই, দিব্বি আলাদা আলাদা সব পোষাক আছে বিভিন জনজাতির মহিলাদের। সুজ্জিমামার ওদিকে ঘুম পেয়ে গেছে, বাড়ির দিকে দৌড়াচ্ছেন, আলো দ্রুত মুছে যাচ্ছে মাঝের পাহাড়ের গা থেকে। অতএব আমিও দৌড় দিই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছাতে হবে  অ্যাব্রাহাম ভিউ পয়েন্ট।  
     
    যেতে যেতে হঠাৎ একজায়গায় প্রায় থামিয়ে শুবজিৎ একটা রেস্তোঁরা দেখিয়ে বলে এখানে খুব উৎকৃষ্ট বিয়ার পাওয়া যায় আমি নিশ্চয়ই আগ্রহী, সেক্ষেত্রে আমরা কি এখন একটু থামব এখানে? আমি  একেবারেই আগ্রহী না, আদৌ থামার কোনও দরকার নেই জেনে কেমন যেন মুষড়ে পড়ে বেচারি। এর আগে বহুবার আমার ছবি তুলে দিতে চেয়েছে বিভিন্ন স্পটে, বেশিরভাগই মানা করেছি। নিজের মোবাইল  এগিয়ে দিয়ে বলেছে আমার পছন্দমত গান বেছে চালাতে, ফিরিয়ে দিয়ে বলেছি ওর যা ভাল লাগে তাই বাজাক শুধু আরেকটু আস্তে। এমনকি পেছনের সীটে আদৌ গানের আওয়াজ না এলেও হবে। বেচারি ভেবেই পাচ্ছে না এই বিচিত্র  পর্যটককে সে কীভাবে খুশী করবে!

    অ্যাব্রাহাম ভিউ পয়েন্ট লামডিং –হাফলঙ রোডে, প্রায় হাফলঙ শহরে ঢোকার মুখেই। এদিকটা প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে, টাওয়ারে উঠলে সূর্য্যের শেষ রশ্মিটুকু পাওয়া যাবে। সিঁড়ি আর রাস্তার মাঝে খানিকটা এবড়ো খেবড়ো পাথর,  আলো আঁধারিতে দেখতে খুব সমস্যা হয় আমার। শুবজিৎকে অনুরোধ করি হাতটা ধরতে। কিছু একটা সাহায্য করতে পেরে ভারী খুশী হয়, একগাল হাসে। জায়গাটুকু পেরিয়েই হাঁচড় পাঁচড় করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠি। উরেব্বাসরে কি ঠান্ডা হাওয়া হু হু করে বইছে চারদিক খোলা বারান্দাটায়। ইতস্তত দুটো টেবিল, খানকয় চেয়ার। চারপাশে বারান্দা, মাঝখানে এক রেস্তোঁরা, দ্য কিচেন রেস্ট্যুর‍্যান্ট।


    সূর্যাস্ত - অ্যাব্রাহাম ভিউ পয়েন্ট

    ব্যাস ব্যাস কোনোমতে সূর্যাস্তের শেষ কয়েকটা মিনিট ধরে ফেলা গেছে। বাতাসে দূষণ একেবারে না থাকায়  অপূর্ব সোনালী থেকে কমলা, গোলাপী, লাল, হয়ে গাঢ় লাল টুকটুকে সুজ্জিমামার টুপ্পুস ডুবটা দেখা গেল। গতবার  নামদাফা, রোয়িঙেও দেখেছি এবার হাফলঙেও দেখলাম সূর্য্য ডুবে যাবার একঘন্টা পরেও পশ্চিম আকাশ অপরূপ টকটকে লাল রঙে রাঙিয়ে সেজে থাকে। লক্ষ কোটিবার দেখেও সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য আমায় একইরকম মুগ্ধ, বিস্মিত করে, একঠায় বসে রইলাম যতক্ষণ আকাশে একফোঁটাও আলো রইল। আজ বেশ কয়েকটা ভিউ পয়েন্টই দেখা হল বটে তবে এইটা আমার সবচেয়ে পছন্দ হল।


    সূর্যাস্তের একঘন্টা পরে 

    অ্যাব্রাহাম ভিউ পয়েন্ট থেকে বরাইল পর্বতশ্রেণী আর হাফলং উপত্যকার প্যানোরামিক ভিউ পাওয়া যায়, দেখা যায় নিউ হাফলং রেলওয়ে স্টেশান, রেলওয়ে ব্রিজ, ন্যাশনাল হাইওয়ের বেশ খানিক অংশ। সূর্যাস্ত ছাড়াও এমনিই চুপচাপ বসে থাকার জন্য দারুণ জায়গা। ইতোমধ্যে নশরিং গেস্ট হাউসের ম্যানেজার ফোন করে জানতে চান রাতের খাওয়া নেব কিনা? সে এক বাঙালি ছেলে, সানি দত্ত, বলি অবশ্যই নেব। মেনুতে দেখেছিলাম ডিমাসা-চিকেন, ওইটে হবে কিনা জিগ্যেস করি। একটু ভেবে নিয়ে জানান হ্যাঁ হয়ে যাবে। রাতে  ভাত, ডাল আর ডিমাসা-চিকেন দিতে বলে আয়েশ করে বসে কফিতে চুমুক দিই।

    শুবজিৎ নাকি সকালে একবার ভাল করে খেয়ে বেরোয় আবার বাড়ি ফিরে খায়, মাঝে আর বিশেষ কিছু খায় না। আজ এদিক ওদিক যাতায়াত করে ওর পেয়েছে জব্বর খিদে অতএব সে রাইস ন্যুডলস নেয়। খাওয়াদাওয়া শেষ করতে করতে অন্ধকার  ঘুটঘুটে হয়ে যায়, এবারে ফেরার পালা। কিন্তু এদের সিঁড়িতেও আলো নেই, অগত্যা আবারো শুবজিৎএর হাত ভরসা। সে বিচলিত হয়ে বারবার বলে তোমার তো ভারী সমস্যা, একা একা ঘুরবে কী করে? আমি হেসে বলি এই তোমার মত কেউ না কেউ জুটেই যায় হাত বাড়ানোর জন্য। ঘাড় নেড়ে নেরে বলে ‘প্রবলেম হ্যায় রে’। বারেবারে বলে ওর বাইশ বছরের জীবনে এমন অদ্ভুত পর্যটক ও আর দেখে নি।

    গেস্ট হাউসে ফিরে দেখি নশরিং জমজমাট। প্রত্যেক ঘরেই একাধিক অতিথি, একতলাটা পুরোটাই বাঙালিতে ভর্তি। তারা বেজায় চেঁচিয়ে কথা বলে, খ্যাঅ্যাক করে গলা ঝাড়ে, গাঁকগাঁক করে টিভি চালায়। সানি ফোন করে জানালেন খাবার আসতে একটু দেরী হবে। কত দেরী? না এই মাত্র ঘন্টা দেড়েক মত। অগত্যা বই নিয়ে বসি। এদিকে পাশের ঘরে বিয়েবাড়ির মত হইচই চলছে। একজন ভিডিওকলে কাউকে ঘর দেখাচ্ছেন  "এই দ্যাখো এইটা গিজার। বাবু স্যুইচটা দে তো এই দ্যাখো আলো জ্বলছে --- জল গরম হচ্ছে।" খাবার এলো রাত দশটা, ঠিকই আছে সাড়ে আটটায় দিতে বলেছিলাম, দেড় ঘন্টাই লেট বটে। ডিমাসা চিকেন খেতে দিব্বি লাগল, নতুন স্বাদের। চালের গুঁড়ো দিয়ে গ্রেভি বানায়, ফলে বেশ গুরুপাক। খেয়েদেয়ে ঘুম, কাল যাবো মাইবং।            

    আজ  আটচল্লিশ বছর পরে কোথা দিয়ে কেটে গেল ২৪শে ডিসেম্বর, ভাল করে টেরই পেলাম না।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | |
  • ভ্রমণ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nirmalya Nag | ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৩৭515366
  • জোড়া গীর্জা আর সূর্যাস্তের প্রথম ছবিটা ভারি ভাল লাগল। ওই জনজাতির প্রদর্শনশালা কি নতুন হয়েছে? মহিলা মূর্তি না থাকাটা অদ্ভুত। সম্ভব হলে পর্যটন দপ্তরকে জানাতে পারেন। আর হ্যাঁ, ওই গাঁকগাঁক করে কথা বলা বাঙালির ভিড় দেখেছিলাম পশ্চিম সিকিমের খেচিপেলরি লেকে, আমার দ্বিতীয় ভ্রমণে। প্রথমবারের যাবতীয় সুন্দর স্মৃতি ওই লেকের জলে সেদিন ডুবে মরেছিল।
  • | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:৫১515374
  • হ্যাঁ এটা ভাল বলেছেন পর্যটন দপ্তরে মেল করব। 
     
    উফফ এই ডিজেবাহিনী  সভ্যতার অভিশাপ।
  • dc | 2401:4900:231c:128a:293c:2580:536b:b895 | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৫515375
  • তিনটে পর্বই পটাপট পড়ে ফেললাম। লেখাটাও ভালো, আর ছবিগুলো তো অসাধারন! ডিমাশা-চিকেন কি ব্যাপার? আশা করি দ দি রেসিপি পোস্ট করবেন। 
  • রেসিপি  | 14.139.196.16 | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৭515376
  • এই নিন । অবশ্য অন্য ট্রাইবের কথা বলেছে। একটু ইদিক উদিক থাকে । দিশি চিকেন দিয়ে করবেন। 
     
     
  • dc | 2401:4900:231c:128a:293c:2580:536b:b895 | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৬515377
  • রেসিপিকে অনেক ধন্যবাদ, বিশেষ করে দিশি মুর্গির টিপস এর জন্য। আমি আর বৌ মিলে বানিয়ে দেখব :-) 
  • সুদীপ্ত | ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২৪515381
  • হাফলং আর মুওলহোই এর ছবিগুলো দারুণ লাগল, আর এথনিক গ্রামের পোশাকগুলোও বেশ, সূর্যাস্তটাও!  নোট করে রাখছি ভবিষ্যতের জন্যে।
  • | ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৬515420
  • কার্বি নারীর ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিহিতাদের ছবি যোগ করলাম। 
     
    ডিসি, আমি রেসিপি জানতাম না। যেটা লিঙ্ক  দিয়েছেন এখানে সেটা বেশ সহজ দেখছি বানানো। তবে আমি যেটা খেয়েছি তাতে গোলমরিচ ছিল না বরং কাঁচালঙ্কা ছিল যথেষ্ট পরিমাণে। 
     
    রেসিপি কি বি বাবু নাকি? তাহলে আপনাকে একটা প্রশ্ন ছিল। 
  • প্রশ্ন  | 117.194.209.108 | ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩১515497
  • হ্যাঁ  হ্যাঁ  করুন  না। তবে আমি তখন ছিলাম রেসিপি, এখন  প্রশ্ন ।  হিজিবিজবিজ কেস 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন