এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে – উত্তরপূর্বের টুকটাক

    লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২৪৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • | | | | | |
    ১ 
    কথা ছিল তিনজনে যাবো,হাফলঙ প্রথমেই। সেখান থেকে ত্রিপুরা ভাবলাম আমি, অন্যরা বললেন মিজোরাম। অমনি আমিও নেচে উঠলাম হ্যাঁ হ্যাঁ মিজোরাম। খ্রীস্টমাসে গোটা মিজোরাম অপরূপ সাজে সেজে ওঠে পড়েছি কোথায় যেন, অতএব চলল প্ল্যানিং। তা হাফলং থেকে আইজল সড়কপথে বহুউ দূর, কাজেই ট্রেনে করে শিলচর এসে তারপর যাওয়া হবে। হোটেল হোমস্টে বুকিং চলছে, নভেম্বরে দেখা গেল মিজোরাম সরকারের গেস্ট হাউস, ট্যুরিস্ট লাজ ইত্যাদির অনলাইন বুকিংও খুলে গেল,  ইনার লাইন পারমিটও দেখাচ্ছে দিন দশেক আগে অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। তো এই সময় জানা গেল বাকী দুজন বিশেষ ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারছেন না।

    তা পারছেন না ত পারছেন না কি আর করা যাবে! মূলত একাকী পর্যটক আমার  মাঝখানের  লক ডাউনের সময় থেকে  ঠিক পুরোপুরি একলা ঘোরা, যাকে বলে সোলো ট্রিপ তা হয় নি। এযাত্রা হয়ে যাক। তারপর তো আধাআধি টিকিট ক্যান্সেল করাও রে, হাফলঙের হোটেলে জানাও রে। গৌহাটি থেকে হাফলঙের জন্য ভিস্তাডোম কোচে বুক করা আছে, কি ভাগ্যিস আমার নামের সিটটা জানালার পাশে ছিল। তো এ যাত্রায় পরিকল্পনায় যা ত্রুটি ছিল বা যে সব ব্যপারগুলো এড়ানো যেত বেড়ানোর গল্পের সাথে সেগুলো লিখে রাখব। ঠিক ছিল ২৩ তারিখে বিকেলে কলকাতা থেকে গৌহাটী উড়ে গিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি চড়ে স্টেশানে পৌঁছে রিটায়ারিং রুমে রাত্রিবাস।  

    ভিস্তাডোমের টিকিট কাটার সময় একসাথে তিনজনের কাটায় একটাই পিএনয়ার তৈরী হয়েছে, ফলে দুটো রুম বুক করতে দেয় নি IRCTC system । তিনজনকে একসাথে দিয়েছে ডর্মিটরিতে পরপর তিনখান বিছানা। এবার এমনিতে তাতে খুব সমস্যা নেই যদি তিনজন থাকে। কিন্তু একদম একলা একজন মহিলার পক্ষে ডর্মিটরিতে ঘুমানোটা একটু অস্বস্তিকর ঠেকল আমার। তা ছুটির আগে এমনই কাজের চাপ যে ভ্রমণ গ্রুপগুলোতে  এই সম্পর্কিত প্রশ্ন করার সুযোগই পেলাম ২২ তারিখ নাগাদ, তথ্য পাবার সময়টা খুবই কম ছিল। তাতেই এক গ্রুপে একজন ফোন করে গৌহাটী স্টেশানে এসি/ ননএসি রিটায়ারিং রুম বুক করার যোগাযোগের বৃত্তান্ত দিয়েছিলেন বটে,তবে তখন আর লাভ নেই জেনে। ধন্যবাদ তাঁকে, থাক পরে কাজে লাগবে।

    সেই গ্রুপে অনেকেই জানিয়েছিলেন স্টেশানের কাছাকাছি প্রচুর হোটেলের কথা, একজন পুরো ডিরেকশানও দিয়ে দিয়েছিলেন। যাই হোক বুকিং ডট কম থেকে স্টেশানের ২০০ মিটারের মধ্যে একটা হোটেল নাম প্রিন্স হোটেল বুক করে রাখলাম একরাতের জন্য। তা সেখান থেকে ২৩ দুপুরে ফোন করে জিগ্যেস করে আপনি কি আসছেন, না আসবেন না? বললাম ফ্লাইট নামার সময় রাত সাড়ে আট, ধরুন রাত দশটা নাগাদ পৌঁছাবো। তখন দিব্বি হ্যাঁ হ্যাঁ করলেন। ওব্বাবা রাত দশটায় খুঁজে খুঁজে পৌঁছানোর পরে বলেন বুকিং ডট কমের সব বুকিং তো আমরা সন্ধ্যে ছটায় ক্লোজ করে দিই তারপরে আর কোনো গেস্ট বুকিং ডট কম থেকে নিই না। বুঝুন অবস্থাখানা!ওই রাতে আমি যাবোটা কোথায়? অবশ্য স্টেশানে গিয়ে বসে থাকাই যায়, ভোর ছটা পঁয়তাল্লিশেই ট্রেন।

    তা ঘর অবশ্য তারা দিল, তবে সে যা ঘর! তবে তার আগে এয়ারপোর্টের গল্পটা বরং করে নিই। কলকাতায় বসে বসে এয়ার ইন্ডিয়ার বোর্ডিং দেখছিলাম, আমার আরো আধঘন্টা মত বাকী  ইতোমধ্যে এক মহিলা পাশে বসে উসখুস করছেন। আমি তাকাতে খানিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললেন ওঁর স্বামীরত্ন হুউই দূরে গিয়ে বসেছেন আমি ওঁর সাথে সিট বদলাবো কী? আমি অবাক হয়ে বললাম এ তো নিতান্তই আধাঘন্টা অপেক্ষার জায়গা আর সে ভদ্রলোকের দুইপাশের সীটই তো খালি, মহিলা চাইলেই গিয়ে ওখানে বসতে পারেন তো। এরকম অদ্ভুত অনুরোধের কারণ কী? তিনি একটু অপ্রস্তুত হয়ে আচ্ছা না আমার মিস্টার তো প্রেশারের রুগী তাই আর কি...

    এরপরে গল্প শুরু হল টুকটাক। আমার সাথে আর কে কে আছে ইত্যাদি জিগ্যেস করে যখন জানলেন আমি একাই যাচ্ছি এবং মোটেই কোনও কাজে নয় নিতান্তই বেড়াতে, তাও আবার হাফলং ইত্যাদি তখন বিস্ময়ের প্রাবল্যে তাঁর মুখ খুলে চোয়াল  প্রায় হাঁটু অবধি ঝুলে গেল। বারেবারে বলতে লাগলেন আমি আগে এরকম একেবারে একলা কোনও মেয়েকে বেড়াতে দেখি নি। বললাম আমার কিছু বন্ধুও দিব্বি একলা বেড়ায়, অনেকেই বেড়ায় খুব অস্বাভাবিক অভূতপূর্ব কিছু নয়। তাই শুনে বললেন বন্ধুরাও যখন একলা বেড়ায় এবং আরো অনেকেই যখন একলা বেড়ায় তখন আমরা সব একসাথে গ্রুপ করে যাই না কেন? তাতে  নাকি আমাদেরই ভাল।

    কে জানে হবেও বা! তবে স্মরণকালের মধ্যে এত বিস্মিত হতে আর কাউকে দেখি নি। পরে বাকী ভ্রমণকালে অবশ্য আরো কাউকে কাউকে দেখব। কে জানে উত্তরপূর্বে মেয়েরা তো খুবই স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরি করে বলে জানতাম। এবারে ফিরি হোটেলের কথায়। ঘর রাখে নি বলা সত্ত্বেও আমি নির্বিকার মুখে রিসেপশান কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। তো বাকীদের ছেড়ে দিয়ে আমাকে চারতলায় একটা ঘর দিল। দশটা পনেরো নাগাদ সে ঘরে পৌঁছে জানলাম ডিনার পাবার কোনও সম্ভাবনাই নেই, রাত নয়টায় ওদের রান্নাঘর বন্ধ হয়ে যায়। আশেপাশে কোনও দোকানও সম্ভবত এখন খোলা নেই, একশো মিটার মত হেঁটে থানার সামনে গেলে একটা চায়ের দোকান খোলা পাওয়া যেতে পারে, তারা কিছু দিলেও দিতে পারে।

    অতরাতে আর সে এনার্জি ছিল না।  বাড়ি থেকে আনা দুটো রুটি আর ফ্লাইটে পাওয়া একবাক্স কাজু খেয়েই ঘুমানোর তোড়জোর করি। কিন্তু ঘরটা যে কি নোংরা! লাগোয়া বাথরুম থেকে বাথরুমের গন্ধ আসছে দরজা চেপে বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও, বিছানার চাদর কালচে একদিকে আবার তেলচিটে দাগ হয়ে আছে সুন্দরবনের ম্যাপের মত। আমার অনেক বান্ধবীই এক্ষেত্রে হয়ত এককোণায় বসেই রাত কাটিয়ে দিত, কিন্তু আমি বাপু ঘুমকাতুরে মানুষ। পিরপিরে পাতলা কম্বলটা টেনে শুয়েই পড়লাম নাকে মাফলার চাপা দিয়ে। ঘুমিয়েও পড়লাম খানিক বাদে।

    ভোর পাঁচটায় উঠে তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিলাম, যত তাড়াতাড়ি বেরোন যায় এখান থেকে। মুখ ধোবার বেসিন ঘরের মধ্যেই এবং এটা একমাত্র সাদা পরিস্কার। রাতে জামাকাপড় বদলাই নি, সোজা হাফলঙের হোটেলে পৌঁছে দুই পরত পলিথিনের প্যাকেটে পুরো সেট ভরে ব্যাগের কোণায় চালান। বাড়ি এসে সাবান ডেটলজলে ধুয়ে শান্তি। ৫.১৫তে হোটেল থেকে বেরিয়ে দেখি ঘুটঘুটে অন্ধকার এবং  অটো টোটোর কোন চিহ্নই নেই। ব্যাগ গড়গড়িয়ে একটু এগোতেই কোত্থেকে এক সাইকেল রিকশা হাজির। স্টেশানে পৌঁছে অবশ্য লোকজনে বেশ গমগমে দেখলাম।

    সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্যুরিস্ট স্পেশ্যাল ভিস্তাডোমের সামনে পৌঁছে দেখি ট্রেনের দরজায় দরজায় তালা মারা। অগত্যা প্ল্যাটফর্মেই অপেক্ষা। দরজা খুলল ছটায়। প্রথম যাত্রী আমিই, আধা অন্ধকারে টর্চ জ্বেলে সীটে পৌঁছে আরাম করে বসে স্বস্তি। যাত্রাপথের গল্প কাল বলব আজ  একটা অন্য গল্প বলি। ট্রেন চালু হতে না হতেই প্রাতরাশের অর্ডার নিতে এলো। কফি আর পাঁউরুটি টোস্ট + চিকেন কাটলেটের অর্ডার দিলাম। কফিটা কিটকিটে মিষ্টি এইটুকুনি কাগজের কাপ, চিনিছাড়া নাকি নেই। এর দাম ২৫ টাকা আলাদা করে বানিয়ে দিলে ৪০টাকা লাগবে। চিকেন কাটলেটে আলু পেঁয়াজ সবই আছে বটে তবে চিকেনের নামোনিশানা নেই।
     
     

    খেয়েদেয়ে নেট থেকে আইয়ারসিটিসির মেনু বের করে দামটাম দেখে রাখলাম, মেনুতে চিকেন কাটলেট নেই নেইই। ট্রেন মাইবং ছাড়ানোর পরে এলো দাম নিতে, আমার বিল ১৭৫/- টাকা। আমি বললাম বিল নিয়ে আসুন দিচ্ছি। বলতেই ম্যাজিক, বাচ্চা ছেলেটি কাঁচুমাচু হয়ে বলল বিল নেই, দিয়ে দিন না আপনি খেয়েছেন তো। আমি বিল না নিয়ে দাম দেব না, এবার একজন এলেন বোধহয় ম্যানেজার ট্যানেজার কিছু। বললেন এই মুহূর্তে বিল শেষ হয়ে গেছে আপনার ইমেল আইডিটা দিয়ে যান আমি বিল পাঠিয়ে দেব। বললাম  ভাল কথা যখন মেলে বিল পাঠাবেন সাথে পেমেন্টের উপায়ও দিয়ে দেবেন সে কিউ আর কোড হোক কি অন্য কিছু আমি দাম দিয়ে দেব।
     
     

    ভদ্রলোক তো অবাক আপনি এখন খেয়েছেন  দাম দেবেন না? আমি ততোধিক অবাক রাস্তার ধারের ধাবাও তো হাতে লিখে বিল দেয় আর আপনি আইয়ারসিটিসির প্রতিনিধি একটা বিল দিতে পারছেন না?? ট্যুইটারে দিই নাকি? ‘দেখছি’ বলে তিনি গেলেন, অল্পবয়সী ছেলেটা আবার এলো, ম্যাডাম চিকেন কাটলেটের বিল হবে না ব্রেড অমলেটের হবে নিয়ে আসবো? বললাম আমি ব্রেড অমলেটের দামই দেব তাহলে, আর এটাও ট্যুইটারে দেব। সে খোকা আবার চলে গেল, এবারে ফিরে এসে বলে টাকা না দিলেও চলবে কিন্তু কমপ্লেন করবেন না। আপনার যা মনে চায় তাই দিন। আমি অনড়, আপনাদের যা বিল আছে তাই নিয়ে আসুন।

    ট্রেন যখন শেষ টানেল পেরিয়ে ওই এস অক্ষরের মত ঘুরে আবার নীচে নামছে হাফলঙে ঢোকার জন্য তখন দেখি একটা কোত্থেকে টাইপ করে এনেছে যাতে ব্রেড অমলেট ১৫০/- আর কফি ২৫/-। এইবারে ফোন খুলে আইয়ারসিটিসির মেনু দেখালাম  কফি ১০/- আর ব্রেড অমলেট ৫০/-। ১ এর আর কতই বা মূল্য তাই পাশে একটা ১ জুড়ে দিয়েছে আর কি!  আমতা আমতা করে বলে তাহলে তাইই দিন। তা ৬০/- ই দিলাম। কিন্তু বিলটা আর আমাকে দিল না, দিলে ওইটে নিয়ে অভিযোগ করা যেত। যাকগে আর অত লড়তে পারি না, আইয়ারসিটিসির ক্যাটারিং বিভাগটা পুরো চোরের আড়ত হয়ে উঠেছে। যা দেখছি ট্রেনে খাবার পরিকল্পনা থাকলে আগে একটা ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বানিয়ে তাতে সড়গড় হয়ে নিতে হবে যাত্রীদের।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | |
  • ভ্রমণ | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১২৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৩515078
  • বাপ্রে!
    আমার খিভা থেকে বুখারা যাত্রা মনে পড়ল। ট্রেনে ডিনার করেছিলাম। পরে কখনও লিখব।
  • সন্তোষ বন্দোপাধ্যায় | 2401:4900:3ee4:1297:0:5e:b2b:f101 | ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০২515081
  • সবচেয়ে নচ্ছার পার্টি হচ্ছে এই আই আর সি টি সি। এরা চরম দেশপ্রেমিক এক সরকারের হয়ে কাজ করে। আমি বহুবার রেলওয়ে যাত্রা কালীন এদের সঙ্গে বাওয়াল করেছি। বদের হাড়ি এরা। নাহলে, দিল্লি থেকে শেয়ালদা রাজধানীতে একজনের খাবারের মূল্য ৪০০ টাকা ?? কি দেয়? ১৫০ টাকার প্লেট। কমপ্লেন করেছিলাম।কেউ সাড়া দেয়নি। যেমন চুতিয়া সরকার তেমন বদমাশ হয়েছে ঐ আই আর সি টি সি!! আর নর্থ ইস্ট এর কথা যতো না বলা যায় তত ভালো। ওরা এখনও টুরিজিম ব্যাপারটা শেখেনি। ভীষনভাবে রাফ অ্যান্ড টাফ। ম্যানারস জানেনা। গেয়ো ভূত হয়ে আছে আজো। নর্থ ইস্ট এর ছিলাম তো। তাই জানি।
  • স্বাতী রায় | 117.194.37.249 | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৪৩515089
  • পড়ছি এখানেও। যথাস্থানে ছবি দেখতে পাওয়ার মায়া ত্যাগ করা কঠি্ন। 
  • | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১৭515101
  • যোষিতা, আপনি মশাই পরে লিখবো করে সব ঝুলিয়ে রাখেন। লিখুন লিখুন। 
     
    স্বাতী, হা হা হ্যাঁ নিচ্চয় নিচ্চয়।
  • | ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৮515102
  • সন্তোষ ব্যানার্জি, 
    আপনি কি অগাধ তিক্ততা আর  খিস্তির হাঁড়ি নিয়ে ঘোরেন! কমপ্লেন করে কাজ হয় নি কিরকম? রেল মদত এর অ্যাপ বা সাইটে করেছিলেন? ট্যুইটারে? ট্যুইটার কিম্বা রেল মদত এ অভিযোগ করে ফল পেতে আমি বহু লোককে দেখেছি।  ট্যুইটারেও অভিযোগ করলে ফল হয়ই। আর Irctc বহুদিন ধরেই রেলের সাথে কাজ করছে,  এই সরকার শুধু না আগের সরকারের সময়ও। 
     
    আপনার নর্থ ঈস্ট সম্পর্কে বক্তব্য নোংরা রেসিস্ট। কুৎসিৎ।  ছছিহ!  আমি গতবছর অরুণাচল আর আসামের কিছু অংশে গেছি, এবার আসাম আর মিজোরাম। অতি স্বল্প অভিজ্ঞতায় আমার কলকাতার অসভ্য খিস্তিবাজ বাঙালির তুলনায় আসাম মিজোরাম বা অরুণাচলের লোকেদের অনেক বেশী ভাল লেগেছে। 
     
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:adc8:f57f:c75c:ce79 | ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০০:৫৬515109
  • বেশ লেখা। শেষের ছবিটা  কোন নদীর ? 
  • Aparna Dutta | 2409:4060:2d8a:2d48:68e4:758b:7568:573 | ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৫৭524498
  • Di আমি  অপর্ণা  ... Spiti tour এর Vista dome এর সেই  কোচ এর তোমার আসে পাশের seat এ নিজেকে কল্পনা করে নির্ভেজাল  মজা পেলাম
  • | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২৮524517
  • হ্যাঁ অপর্ণাদি বুঝেছি তো। 
    ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন