এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • পাপ হে

    Arundhati Sarkar Santra লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২২ নভেম্বর ২০২২ | ৯৪৮ বার পঠিত
  • রমেশ যে ভাবে হাত কচলাচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে ভিমলা বেহেনজীর কথায় ও রাজী। 
    সুষমা ভাবে এই আবাসনে অন্য কোন ফ্ল্যাটে কি ভিমলা বেহেনজী এই আবদার নিয়ে যেতে পারতেন? কেউ কি এই দুকামরার ঘরে ওঁদের ঐ বিশাল কুকুরটিকে রাখতে রাজী হতো?
    ওঁদের নিজেদের ফ্ল্যাটটি অনেক বড়। কুকুরটিকে রাখার জন্যই একটি আলাদা ঘর ও ব্যালকনি রেখেছেন। কিন্তু সুষমাদের তো এই দুটি ঘর।
    “দশ, বারা দিন কা হি বাত হ্যয় রমেশ ভাই। অচানক বেটিকে ঘর জানা পড় রহা হ্যয়।” বলেই টাকার বাণ্ডিলটা টেবিলে রাখলেন সুসজ্জিতা ভিমলা চৌহান। 
    “দশ বারা দিন কে লিয়ে ইস কি ক্যায়া জ্রুরত থা?” রমেশের চোখ চকচক করছে। নিজের ব্যবসায় আর তেমন মন নেই রমেশের। তাই এরকম খুচরো লাভে লোভ খুব বেড়েছে ওর।  
    ভিমলা বেহেনজী ও জানেন রমেশকে। তাই টোপ দিয়েই শুরু করেছেন। 
    এবার তিনি সুষমার দিকে ফিরে মিষ্টি হাসি দিলেন। মহিলা অভিজ্ঞ। তিনি জানেন রাখার মালিক রমেশ হলেও, প্রাণীটিকে দেখসুন করবে সুষমাই। 
    “উস কি খানা ভি তো হ্যায় না”।
    কথাবার্তা চলতে থাকে ওদের মধ্যে। এখানে সুষমার কোন ভূমিকা নেই। এই চব্বিশের দুই এর ফ্ল্যাটে রমেশের কথাই শেষ কথা।  
    রমেশ নিজের বৌকে প্রথম থেকেই শাসনে রেখেছে। চড়, থাপ্পড়, টুকটাক মাথা ঠুকে দেওয়া এইরকম। এতে খুব বেশি শারীরিক আঘাত লাগে না বটে কিন্তু বারবার  প্রয়োগ করলে আত্মসম্মান বোধটুকু ভেঙে দেওয়া যায়।
    বিয়ের পর পর কেবল সুষমার একবার পায়ের একটা আঙ্গুল মেরে ভেঙে দিয়েছিল রমেশ। 
    শাশুড়ি বলেছিলেন, “ইসস একেবারে অলক্ষ্মীর মত লাগছে।” 
    এরপর থেকে রমেশ আর তেমন ভাবে মারেনি। 
    ভিমলা বেহেনজী কুকুরের থাকার বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে পরের স্টেপে চলে গিয়েছেন। এখন ওদের মধ্যে খাবার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।      
    কুকুরটার খাবারে নাকি পিঁয়াজ রসুন দেওয়া চলেনা। ভিমলা বেহেনজী আবার খাঁটি গুরুভক্ত। ওঁদের বাড়িতেই রসুন পেয়াজের চল নেই।  
    গুরুজি বলেছেন, “পেঁয়াজ লহসুন মে ক্যায়া রাখা হ্যায়? হ্যায় তো ওহ বদবুদার হি। খানে সে পহলে ঘর মে বদবু, খানে কে বাদ রূহ মে বদবু।”
    তাই ভিমলা বেহেনজী আত্মায় পিঁয়াজ রসুনের গন্ধ যাতে না ছড়ায় তা অক্ষরে বর্ণে মেনে চলেন। কুকুরের খাবারও তাতে বাদ পড়েনি।
    কাজল ধেবড়ানো বেঁটে ভুরু নাচিয়ে, লালি লিপস্টিকে ঢেউ তুলে ভিমলা বেহেনজী বলেছিলেন,“ ইতনা মত শোচো ভাবিজি, বাচ্চা মেরা বিলকুল ভেজ হ্যায়, বস উসে হররোজ থোড়া মিট চাহিয়ে।” 
    রমেশ ও একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছিল বটে, পালতু কুত্তা একই সঙ্গে ভেজ আবার মিটখোর এর ধাঁধাটা সে বুঝে উঠতে পারছিল না। কিন্তু মুখে বোকা হাসি টেনে রেখেছিল। চোখে লালি লিপস্টিকের দিকে একটা আলতুসি চাউনি।  
    সুষমা বুঝতে পারছিল কিছুতেই এই আলগা টাকার মওকাটা হাতছাড়া করতে চায়না রমেশ। 
    তবে ভিমলার কুকুরের খাবারের আবদারটি তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরেছিল সে। লালি লিপস্টিকের ঠোঁট থেকে কথাটা খসে পড়া মাত্রই সুষমার নাকে ঘা মেরেছিল সেই গন্ধ, সেই শুদ্ধ শাকাহারি মাংসের তীব্র ঘ্রাণ। 
    চোখের সামনে দুলে উঠেছিল- বিকেলের কমলা আলো, দেহাতি গ্রামের ঝকঝকে নিকনো উঠোনে কয়েকটা প্রিয়মুখ, উঠোনের একধারে পাতা উনুনে লোহার আদিম কড়ায় লালচে সোনালী ঝোলে ভেসে থাকা টুকরো টুকরো খণ্ড মাংসের উথাল পাতাল। বাতাসে সেই রান্নার আবেশি ঘ্রাণ।
    বড়কি দিদিকে মনেই নেই সুষমার। তাকে কবেই শাদি করিয়ে সসুরাল পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মাঝেমাঝে দু একটা খত আসা ছাড়া তার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ নেই। মঝলি দিদি রেশমির সঙ্গেই আদরে গোবরে একসঙ্গে বড় হয়েছে সুষমা। 
    তাই যখন পাশের গাঁও এর সতীশ জিজাজির সঙ্গে রেশমি পালিয়ে বিয়ে করল, সুষমার যেন অর্ধেক বুকটাই খালি হয়ে গেছিল। 
    তবে রেশমিদিদি শাদি করে হারিয়ে যায় নি। ফিরে এসেছিল মাথা ভর্তি সিঁদুর, হাতে লাল চুড়ি পরে। 
    সতীশ জিজাজির সেলাই দুকান। 
    সতীশ দুকানে মেপে, কেটে, ঠিকঠাক জুড়ে দিত ছিটের কাপড়ের শার্ট, কুর্তা, ব্লাউজ। রেশমি তার সঙ্গে সঙ্গত করে কেটে জুড়ে নিত ঘরকন্না ও স্বপ্ন। 
    সতীশ জিজাজিই খেতে ভালবাসত ঐ পেঁয়াজ রসুন ছাড়া ‘মাস’। শুদ্ধ নিরামিষ মাংস। মাইকে এসে পিঁয়াজ রসুন ছাড়াই রেশমিদিদি উঠোনের উনুনে মাংস রান্না করত আদা, জিরে, ধনে বাটা দিয়ে। উপর থেকে ছড়িয়ে দিত ঘি, সাবুদ গরম মশলা, তারার মত দেখতে কি যেন একটা আনোখা মশালাও ।          
    মাঝেমধ্যেই আসত ওরা। 
    সতীশ জিজাজি সুষমার জন্য বানিয়ে আনত হাঁটুঝুল, লালনীল ফুলতোলা, ছিটের ফ্রক। রেশমিদিদি ওতে বসিয়ে দিত দোকানের বেঁচে যাওয়া লেসের বর্ডার, বুকের কাছে টুকটুকে বোতাম।  
    সুষমার গরিব বাবা মায়ের ঝুলে পড়া চামড়ায় খেলা করত আনন্দের ঢেউ। 
    এরকমই একদিন সুষমাদের বাড়িতে জিভে জল আনা ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলে ওরা চলে গিয়েছিল লাল মোপেডে চড়ে। সেইদিন সুষমার মা, মেয়েজামাই এর জন্য খানিকটা মাংসের ঝোল দিয়ে দিয়েছিল ওদের সঙ্গে। 
    তারপরেই তো সেইদিন নিষ্কর্মা পঞ্চায়েত,  দৈত্যের মত ট্রাক,  ট্রাক চলার রাস্তার গভীর গর্ত, এলোমেলো জটলা, চিৎকার সব কিছু একসঙ্গে পাক খেতে খেতে ঢুকে পড়েছিল সুষমাদের ছোট্ট উঠোনটায়।
    সে কি শোরসরাবা! সে কি রোনাধোনা!  
    তখনো কি নিরামিষ মাংসের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছিল ওদের ঘরের আনাচে কানাচে? কে জানে! 
    তবে যখন সুষমারা হেলাবটতলার মোড়ে বড় রাস্তায় এসে পৌঁছেছিল, ট্রাকে ধাক্কা খাওয়া দিদি, জিজাজির রক্ত মাংস ঘিলুর সঙ্গে রাস্তার  একধারে তখনো পড়েছিল  সেই নিরামিষ মাংসের কৌটোটা। 
    এরপর সুষমারা আর কখনো মাংস খায়নি। 
    শাদি হয়ে যাবার পরে রমেশ কে পিঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করে দিলেও সেই শুদ্ধ মাংসের গন্ধ কখনো আর শুঁকতে হয়নি সুষমাকে। 
    আজ বহুদিন পরে সেই সাত্ত্বিক মাংসের কথা শুনে, সুষমার সমস্ত অস্তিত্বকে মথিত করে যেন বহুযুগের ওপার থেকে বুক ফাটা কান্না নয়- উঠে এলো টক টক বমিভাব। 

    রাত্রে খেতে বসে রমেশকে একবার বলতে চেষ্টা করল সুষমা। কুকুরের মাংসটা যদি বাইরে কোন দোকানে বলে আনানো যায়। খেতে না হয় যাই হোক করে সুষমাই দিয়ে দেবে।
    মঝলি দিদির কথাও বলেছিল একটু ইতস্তত করে। 
    রমেশকে বলতে বলতে এতক্ষণে দু চোখ দিয়ে গরম জলের স্রোত উপচে পড়ছিল সুষমার।  
    খানিকটা শুনে হো  হো করে হেসে উঠেছিল রমেশ। চোখে একটা অশ্লীল ইঙ্গিত করে বলেছিল, “ওহ তো কবকা মর গ্যায়া। সচ মে জিজাজি থে না কি সাঁইয়াজী?”
    তারপর চিবিয়ে চিবিয়ে বলেছিল, “বুরবক অউরত, ফির তো কুত্তেকে পিছহে হি সারা পয়সা খতম। মেরা ফয়দা ক্যা? জাদা ফরফরাইগি তো এক এক রোজ তেরা  হি ইয়ে বদন মে তেলমশালা  ডালকে খিলা দেঙ্গে কুত্তেকো।”
    সুষমা চুপ করে খেয়ে উঠে গিয়েছিল।  
    একদিন পরে ভিমলা বেহেনজির ড্রাইভার এসে কুকুরটাকে বেঁধে দিয়ে গেল সুষমাদের বাড়িতে। সকালে একবার সে এসেই বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবে কুকুরটাকে। মাংস রান্নার মশলা লেখা কাগজটার সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভার বলে গেল, একবার খিদে পেলে জ্ঞান থাকেনা কুকুরটার। খাবার দেওয়ার সময় হাতে মশলার গন্ধ থাকলে একেবারে হাত শুদ্ধু কামড়ে দিতে পারে। 
    খিদে একেবারেই সহ্য হয় না ওর, তাই ওর খাবারের ঘড়ির কাঁটার সঙ্গেই যেন তাল মিলিয়ে চলে সুষমারা। যাতে কোন মতেই ওর চেন আলগা না করে সেই সম্পর্কে সাবধান করে গেল ছেলেটি। সুষমাদের মত অচেনা সংস্রবে খিদের সময় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে প্রাণীটা। 
    বিশাল আকারের মিশকালো কুকুরটাকে দেখেই সুষমার ভয়ে বুক কেঁপে উঠল। 
    প্রথম দুতিন দিন রমেশই খেতে দিল কুকুরটাকে। নাকে রুমাল বেঁধে সুষমা ঠিকঠাক রান্না করল কিনা কড়া নজর রাখল ওর ওপর। কিন্তু কোন বিষয়েই দীর্ঘদিন মনোযোগ ধরে রাখা ওর ধাতে নেই। তার ওপর হাতে যখন রয়েছে কাঁচা টাকা। 
    কয়েকদিন পর থেকেই মাংসের থলিটা ‘থ্যাস’ করে রান্নাঘরের মাটিতে ফেলে দিয়ে শিস দিতে দিতে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে দেখা গেলো না তাকে।
    সুষমা রান্না করে দূর থেকেই লাঠি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে দিচ্ছিল খাবারটা।
    এমনিতে গলা দিয়ে একটা গরগর আওয়াজ ছাড়া আর খুব একটা উচ্চগ্রামে চেঁচায়না কুকুরটা। হয়তো নিজেও একটা অচেনা পরিবেশকে মেপে নিচ্ছে।       
    কিন্তু সত্যিই খাবার সময় চোখদুটো কেমন যেন ঘোরালো তীক্ষ্ণ লোভাতুর হয়ে ওঠে। 
    একা ঘরে অতিকায় প্রাণীটার সামনে ভয়ে বিবশ হয়ে যায় সুষমা।
      
    সাতদিন হয়ে গেল কুকুরটা সুষমাদের বাড়িতে রয়েছে। 
    আজ ড্রাইভার ছেলেটি এসে কুকুরটাকে পরিষ্কার করে দিয়ে গেছে ভোরবেলায়। অতিকায় প্রাণীটা ঝিমোচ্ছে বসে বসে।
    রমেশ এখনো ঘুমোচ্ছে। আজ ও বেলা পর্যন্ত ঘুমোবে। কাল ইয়ারদোস্তদের সঙ্গে অনেক রাত অব্দি পার্টি করেছে।
    কিন্তু আজ একবার সুষমাকে হেলথ সেন্টারে যেতেই হবে। 
    কাল রাত্রে দরজা খুলতে দেরি হয়েছিল বলে রমেশ চড়ে ঠোঁটটা অনেকটা কেটে গেছে। মুখ খুলতেই কষ্ট হচ্ছে ওর। 
    হেলথ সেন্টারে যাবে বলে, আজ সকালেই কুকুরের মাংসটা মন দিয়ে রান্না করে নিয়েছে সুষমা।
    রান্নার হাতমোছার কাপড়টায় মাংসের রসটা ভালো করে মাখিয়ে দিয়ে রমেশের গলার ওপর আড়াআড়ি ফেলে দিল ও। বাকি মাংসটা একটা প্যাকেটে ভরে নিয়েছে, হেলথ সেন্টারে যাওয়ার পথে কোথাও ফেলে দিলেই হবে। 
    আজ অলক্ষ্মী আঙ্গুলটায় একটা আংট পড়েছে সুষমা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল, বেশ লাগছে। 
    নিঃশব্দে কুকুরের গলার বকলসের হুকটা দেওয়াল থেকে খুলে দিয়ে, বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়ে বেরিয়ে পড়ল রমেশের বৌ
    কুকুরের মত উপরের দিকে নাক তুলে ঘ্রাণ নিল কিছুক্ষণ। নিরামিষ মাংসের গন্ধ তার চব্বিশের দুই এপার্টমেন্ট ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিবর্ণ আবাসনের গলিঘুঁজির ভুল্ভুলাইয়ায়। 
    ওর মনে হল মদ টেনে লোকটা ঘরের ভিতর জন্মের ঘুম ঘুমোচ্ছে, বোধহয় মরণের ঘুমও।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২২ নভেম্বর ২০২২ | ৯৪৮ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    চিরুনি - Rashmita Das
    আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২২ নভেম্বর ২০২২ ২০:৩৯514046
  • ভালো লেগেছে. 
  • Kuntala Lahiri-Dutt | ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৩:২৫514066
  • মেয়েদের  যে  কি  ভয়ানক  অত্যাচার  সহ্য  করতে হয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন