এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  স্মৃতিকথা

  • মেটিরিয়া মেডিকার কাব্য – ( পর্ব - ১৯ ) 

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | স্মৃতিকথা | ২৯ জুন ২০২২ | ৫৪২ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  

    দুহাজার সাল সম্ভবত। সালটা ঠিকঠাক মনে না থাকলেও ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমার মেমারিতে উজ্জ্বল।

    নতুন ছেলেপিলে ঢুকল আমাদের অফিসে। চার-চারজন। হৈ হৈ করা ছেলেপুলে সব। নতুন মুখ দেখে আমরাও সবাই আরো যুবক হয়ে গেলাম। ওদের চাকরি পাকা হ’ল। তারপর একে একে সংসারজীবনে এন্ট্রি নিতে শুরু করলো ওরা। এক এক করে ওদের বিয়ের নেমন্তন্নও খেয়ে এলাম কব্জি ডুবিয়ে। ততদিনে ওরাও অফিসপাড়ার এক একটি নক্ষত্র হয়ে উঠছে। এমন সময় একটি ছেলের সদ্য বিবাহিত বৌ’কে নিয়ে পড়লো মহা-ফাঁপরে।

    বাচ্চা মেয়েটি তখন সদ্যই সন্তানসম্ভাবা। মেয়েটির গোটা শরীর জুড়ে শুরু হ’ল অসহ্য ব্যথা আর যন্ত্রণা। এপাশ থেকে ওপাশ ফিরতে পারে না সে এমন প্রলয়ঙ্করী ব্যথা। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার ব্যানার্জি, মুখার্জি, পাল, চৌধুরী ইত্যাদি নামী নামী ডাক্তারবাবুদের চেম্বারে ছুটোছুটি শুরু হ’ল। কিন্তু ব্যথা আর কমেই না। বরং অযথা ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে খেয়ে সে মেয়ে প্রায় নিস্তেজ। কিছুদিনের মধ্যেই বিছানা হ’ল তার আশ্রয়।

    এদিকে তরতাজা যুবক ছেলেটির অবস্থা আর চোখে দেখা যায় না। বছরখানেক মাত্র বিয়ে হয়েছে। নতুন বউ। তার সাথে জীবনের আরেকটি সুখবরের প্রস্তুতি সব কিছুই ম্লান হয়ে যেতে থাকল দিন-কে-দিন। অফিসেও কাজে ভুল হতে লাগল। এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন এমন করতে করতে কলকাতার প্রথিতযশা আর নামী একজন ঔষধ চিকিৎসকের দরজায় পরলো তাদের পা।      

    এই সব চিকিৎসা করতে করতে ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। এর মধ্যে এক  চিকিৎসকের পরামর্শে মেয়েটির গর্ভপাত করানো হ’ল। কিন্তু মেয়েটির অবস্থার কোনোরকম উন্নতি ঘটলো না।

    আমি তখন বাধ্য হয়ে চেঁচামেচি করে ওদের দুজনকে দক্ষিণ ভারতের ভেলোরে যাবার জেদ ধরলাম। তখন মেয়েটির ব্যথা ইত্যাদি তুঙ্গে। চোখে দেখা যায় না তার ছটফটানি। কাঁড়ি কাড়িঁ ওষুধ, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গর্ভপাতের ফলে তার মানসিক ভারসাম্যেও ঘাটতির আশা করেই আমি চিঠিপত্র লিখে এ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে দিলাম। মনে রাখবেন তখনো ইন্টারনেট আমাদের কাছে প্রায় মঙ্গলগ্রহে জল খোঁজার সামিল। আর ছেলেটিরও নতুন চাকরিতে মাইনেও বেশ কম। মাসের গোটা মাইনে গিয়েও ধারদেনা আরম্ভ হল প্রায়।

    ছোট্ট করে ইতিহাস লিখে পাঠানোর পর যখন দেখানোর জন্য আবেদন জানালাম, এ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেল যথারীতি। টিকিট কাটা হ’ল। সাধারণ স্লিপার ক্লাসেই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। ব্যথার ইঞ্জেকশন সঙ্গে নিয়ে ওরা দুজন আর মেয়েটির ভাই এই তিনজনে যাত্রা করলো ভেলোরের উদ্দেশে।

    আমরা সবাই যখন হন্যে হয়ে ভাবছি কিভাবে মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হবে এই সাধারণ স্লীপার ক্লাসে, কিভাবেই বা দেওয়া হবে ইঞ্জেকশন – তখন যেন ভগবান দেখা দিলেন। আমাদেরই এক কলিগ রিষড়ায় থাকতেন। তার পরিচিত একটি ছেলে তখন করোমণ্ডল এক্সপ্রেসের ক্যান্টিন ম্যানেজার। তার সাথে যোগাযোগ করা হ’ল।

    কি করে যে ছেলেটি ওর স্ত্রী’কে ওই অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল, তাও আবার সাধারণ স্লীপার ক্লাসে তার ঘটনা শুনলে এখনো আমার লোম খাড়া হয়ে ওঠে। ভেলোর আবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস যায় না। বস্তুত সরাসরি কলকাতা থেকে ভেলোর যাওয়ার কোনো গাড়িই ছিল না সে সময়। চেন্নাই’তে নেমে আবার ট্রেন পালটে ভেলোর যেতে হয়। মোটামুটি পৌনে দুঘন্টার রাস্তা। এছাড়া এখন অবশ্য হাওড়া থেকে সম্ভবত তিনখানা ট্রেন সরাসরি ভেলোর পৌঁছে দিচ্ছে। সেসময় তা ছিল না।

    ভাগ্যক্রমে সেদিনের ওই করোমণ্ডলে এক্সপ্রেসের ক্যান্টিনের দায়িত্বে সেই রিষড়ার ছেলেটিই ছিল। এবং সারাক্ষণ ধরে মেয়েটির খবাখবর নিয়েছে। বারবার এসে দেখে গিয়েছে। এমনকি যখন মেয়েটি ব্যথায় প্রায় কাবু, ইঞ্জেকশন দিতেই হবে এমনতর অবস্থা, সেই সময়ে বিজয়ওয়ারা স্টেশনে ডাক্তার কল করিয়ে ইঞ্জেকশন দিইয়েছে – যাতে বাকি রাস্তা মেয়েটি একটু সহজ হয়ে যেতে পারে। একে ভগবানের আশীর্বাদ ছাড়া আর কি বলি !

    ভেলোর পৌঁছে কার্ড করাতে হ’ল। তখনো জেনারেল আর প্রাইভেট এই দু-ধরণের ব্যবস্থা ছিল ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজের আউটডোরে। জেনারেলে হয়তো পঞ্চাশ টাকায় টিকিট হ’লে প্রাইভেটে ছিল তার দশগুণ। এই সিস্টেম আমি মুম্বাই-এর টাটা ক্যানসার মেমোরিয়াল হাসপাতালেও দেখেছি। এতে করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অল্প পয়সায় সাধারণ রুগীদের অনেক কম খরচায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে। চিকিৎসার কোনোরকম তফাৎ থাকে না এই পদ্ধতিতে – তফাৎ শুধু সময়ের, এই যা।

    যাই হোক সে ছেলেটির কাছে তখন সময় সত্যিই দামী। প্রাইভেটে টিকিট কেটে প্রথমেই দেখাতে পারলো সাধারণ মেডিসিনের এক উড়িষ্যাবাসী ডাক্তারকে। ডাক্তার দেবাশিষ দাণ্ডা’কে। সব ইতিহাস জেনে নিয়ে তারপরে খুঁটিয়ে পড়তে শুরু করলেন কলকাতার নামজাদা সেই ঔষধ চিকিৎসকের নিদানপত্র। নিজের মনেই বলে ফেললেন – ‘স্যার কেন এই ইঞ্জেকশনটা দিতে গেলেন। আমরা তো এতো সহজে এই ইঞ্জেকশন দিই-ই না’। আর বললেন যে এ রোগ কিন্তু খুব সাধারণ রোগ নয়, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হবে। 

    এর পরে কুড়ি দিন থাকতে হ’ল ওদের ভেলোরেতে। বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এবং আরো কিছু অন্যান্য বিভাগে দেখানোর পরে ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ডাক্তারেরা নিদানপত্রে ডায়গোনিসিস লিখলেন ‘রিওময়েড আর্থারাইটিস সেরোনেগেটিভ’। আর লিখলেন একখানা মাত্র ওষুধের নাম, যার দাম হয়তো তখন এক টাকা ছিল।

    আর কি সেই ওষুধ জানেন ? ক্লোরোকুইনের বড়ি। আজব কাণ্ড। ওষুধ খাওয়ানো শুর হলেও ছেলেটির মনের মধ্যে খচ্‌খচ্‌ করছিল ওই ম্যালেরিয়ার ওষুধ কেন দিল ওখানকার ডাক্তার। আর সেই বড়ি কয়েকটা মেয়েটির পেটে পড়তেই খুব তাড়াতাড়ি কমতে লাগল যন্ত্রণা আর ব্যথা। ওদের পাড়ার একজন প্রোফেসর ডাক্তারকে প্রেসক্রিপশন দেখালে তিনি বলেছিলেন একদম ঠিক ওষুধ এ রোগের। নো চিন্তা। আমরাও জানলাম যে ম্যালেরিয়ার ওষুধ বাত সারানোর কাজেও লাগে। ধন্য হে Hans Andersag

    এর পরে কলকাতায় ফিরে ক্লোরোকুইন বড়ি খেতে হ’ল মাস তিনেক। হপ্তাদুয়েক পরেই মেয়েটির গায়ের রঙ বেশ কালো হয়ে উঠলো। ভেলোরে ফোন করাতে জানা গেল যে এমনটা হলেও ভয়ের কিছু নেই। চামড়ার ওই কালো স্তর উঠে গিয়ে আবার নতুন চামড়া গজাবে। হলোও তাই।

    যাই হোক, মেয়েটি সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠে। এখন সে একটি ফুটফুটে মেয়ের মা।

    উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে যে পেরুতে, আদিবাসীরা সিনকোনা গাছের ছাল বা বাকল (সিনকোনা অফিসিসনালিস) আহরণ করত এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে ঠাণ্ডা ও জ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর নির্যাস ব্যবহার করত। ১৬৩৩ সালে এই ভেষজ ওষুধটি ইউরোপে চালু করা হয়েছিল, যেখানে এটি একইভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল এবং ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। ১৮২০ ‘তে এই নির্যাস থেকে কুইনোলিন অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ড্রাগ কুইনাইন আলাদা করা হয়েছিল।

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, জার্মান সরকার কুইনাইনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। ১৯৩৪ সালে ক্লোরোকুইন এর কাজ করার এক পদ্ধতি সহ একটি সিন্থেটিক অ্যানালগ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যা করেছিলেন হান্স অ্যান্ডারসাগ এবং বেয়ার ল্যাবরেটরির সহকর্মীরা। তাঁরা এটির নাম দিয়েছিলেন ‘রেসোচিন’। যেহেতু এটি মানুষের ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত বিষাক্ত বলে বিবেচিত হয়েছিল তাই এটি এক দশক ধরে উপেক্ষিতই ছিল। অন্যদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, জার্মান আফ্রিকা কর্পস এর মানুষজনেরা ‘ক্লোরোকুইন অ্যানালগ 3-মিথাইল’-- ক্লোরোকুইন ব্যবহার করেছিল, যা সন্টোচিন নামে পরিচিত ছিল। মিত্র বাহিনী তিউনিসে আসার পর, সন্টোচিন আমেরিকানদের হাতে পড়ে। তারা এটির বিশ্লেষণের জন্য উপাদানটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠায়, যার ফলে ক্লোরোকুইনের প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখা দেয়। ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধের বিকাশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার-স্পন্সর করা ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলি দ্ব্যর্থহীনভাবে দেখিয়েছে যে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ হিসাবে ক্লোরোকুইনের একটি উল্লেখযোগ্য থেরাপিউটিক মূল্য রয়েছে। আর তাই  ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধী চিকিৎসার জন্য এটি ১৯৪৭ সালে ক্লিনিকাল অনুশীলনে চালু হয়।

    উইকিপিডিয়া আরো জানাচ্ছে যে ক্লোরোকুইন মাঝে মাঝে অন্ত্রের বাইরে ঘটতে থাকা অ্যামিবিয়াসিস , রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং লুপাস এরিথেমাটোসাসের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

    ……চলবে……পরের পর্বে…
    #
    ©গৌতমদত্ত

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ২৯ জুন ২০২২ | ৫৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ayantika | 2400:1a00:b040:5f37:b83b:f65f:2a14:43f0 | ০১ জুলাই ২০২২ ১২:৩৪509533
  • দারুন লাগছে এই series টা yes
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন