এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটের ছেলেটি - নবম পর্ব

    Rajkumar Mahato লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৬ জুন ২০২২ | ১০৯৭ বার পঠিত
  • বাঁশবাগানের এদিক ওদিক দেখেও শিবরামকে খুঁজে পাওয়া গেলনা। তলতলে কাদায় পা পুঁতে যাচ্ছে শিবরানীর। সে সাধারণত এভাবে ছেলেকে খোঁজে না কোনদিন। খোঁজার চেষ্টাও করেনা। সে জানে ছেলেরা এদিক ওদিকেই আছে। খেলছে হয়ত। তার দুর্গা নাম জপে সময় পাবেনা এসব ছেলেদের খোঁজ করতে থাকলে। কিন্তু কয়েকদিন থেকে তার বড় জ্বালা হয়েছে। শিবরামকে পাঠাশালায় দেওয়া হয়েছে। আর প্রতিদিন এই পাঠাশালা যাওয়ার সময় তাকে খুঁজে পাওয়া দায়। কোনও দিন খাটের তলায়, কোনও দিন চিলেকোঠার ঘরে, আবার কোনদিন পায়খানা থেকে চ্যাংদোলা করে আনতে হয় তাকে। পাঠশালা যেতে ওর এত ভয়ের কারণ কেউ জানেনা।

    রামনাথ পন্ডিতের পাঠশালার এই এলাকায় অনেক নাম। পন্ডিত হিসেবে তার খ্যাতিও অনেক। তার পাঠশালায় নামতা না শিখে, হাতেখড়ি না করে স্কুলে যাওয়া যাবেনা। ভর্তিই নেবে না সেখানে। স্কুলের হেড মাষ্টারের কড়া নির্দেশ সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশন এ পড়তে গেলে আগে রামনাথ পন্ডিতের থেকে হাতেখড়ি করিয়ে আসতে হবেই। বাধ্যতামূলক।

    অন্য দিন এতক্ষন খুঁজতে হয়না ছেলেটাকে। আজ যেন বড় বেশি সময় ধরে সে বেপাত্তা হয়ে রয়েছে। খাটের তলা থেকে শুরু করে পায়খানা অবধি দেখা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছেলের টিঁকিটি পাওয়া যায়নি। শেষে দস্যি দিদা বলল “যা দিকিনি বউ একবার ঘোষেদের বাঁশবাগানটায় দেখে আয় দিকি। ছোঁড়া ওখানেও থাকে মাঝে মাঝে। আমি দেখেচি।“

    তাই শিবরানী এই কাদা জলের মধ্যে বাঁশবনে ঢুকেছে ছেলেকে খুঁজতে। তা না হলে কলকাতার মেয়েরা সাধারনত এসব কাদা জলে অভ্যস্ত নয়। আর সে তো একেবারেই নয়। হ্যাঁ, জল জমত অবশ্য মাঝে মাঝে তাদের এলাকায়। তবে সেই জলে পা পরত না শিবরানির। আর আজ ছেলের জন্য তাকে এসব পচা পাঁক মাখতে হচ্ছে পায়ে। কোথায় কি থাকে, পায়ে গিঁথে যায়। সেসবের ভয় আছে মনে। কিন্তু ছেলেটাকে পড়াশোনা শেখাতে না পারলে, মানুষ করতে পারবে না। সেই ভয়ে এখানে আসা।

    ঝরে যাওয়া বাঁশের পাতাগুলো জলে ডুবে পচে গিয়ে যে পাঁকের সৃষ্টি করেছে তাতে দুর্গন্ধ ছাড়া আর কিছু নেই। কাপড়ের আঁচলটা নাকে চাপা দিয়েছে শিবরানী। পুকুরের ধারে এসে এদিক ওদিক দেখতেই নজরে এল শিবরামের ধুতি। একটা ঝোপের উপর শুকাতে দেওয়ার ভঙ্গিতে রাখা হয়েছে সেটি। কিছুটা শুকিয়েও গিয়েছে। কিন্তু শিবরামকে কোথাও দেখা গেলনা।

    শিবরানির মনটা যেন একবার ছ্যাঁত করে উঠল। ছেলের ধুতি এখানে। ছেলে কোথায়? জোড় হাত করে মা দুর্গাকে স্মরণ করে সে বলল “মাগো, ছেলেটাকে রক্ষে কোরো।“

    তারপরেই জোড়ে ডাক দিল “শিবু, ও শিবু। বাবা কই তুই? কোথায় বাবা। মানিক আমার।“

    কোন সাড়াশব্দ পেলনা সে। তার ডাকে পাশের বাঁশবন থেকে দুটো পাখি উড়ে চলে গেল। শান্ত পুকুরের জলে কোথাও কোন আলোড়ন নেই। বাঁশবনটাও আজ যেন বড্ড শান্ত হয়ে রয়েছে। শিবরানী আবার ডাক দিল “শিবু, সোনা আমার। এখানে আছিস? তোর ধুতি এখানে তুই কোথায়? বাপ আমার বেরিয়ে আয়।“

    পুনরায় কোন সাড়াশব্দ নেই। শিবরানীর মনটা যেন কেমন একটা কু গাইতে লাগল। সে মনে মনে মা দুর্গাকে স্মরণ করতে লাগল। আর এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকল। কান্না পেল তার। ধুতিটা না দেখলে হয়ত এত দুশ্চিন্তা হতনা। ধুতি এখানে ছেলে কোথায়? এই ভেবে তার চোখ জলে ভরে গেল।

    আবার ডাক দিল শিবরানী “ ও শিবু বাবা আমার, বেরিয়ে আয়না বাপ। তোকে পাঠাশালা যেতে হবেনা। তুই খালি বেরিয়ে আয়।“

    পাশের ঝোপ থেকে যেন একটা কিছু সরে যাওয়ার আওয়াজ পেল শিবরানী। সেদিকে তাকিয়ে দেখল ঝোপটা নড়ে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু সেখানে কোন মানুষ নেই। আবার ডাক দিল সে “আচ্ছা বাপ, মা দুর্গার দিব্যি বলছি তোকে পাঠশালায় যেতে হবেনা। এবার আয় বাবা।“

    কিছুটা দূরে একটা ঝোপ থেকে আওয়াজ এল “ মা দুর্গার দিব্যি কেটেছ মা। মনে থাকে যেন।“

    শিবরানী বুকে একটু বল পেল। তবে মাথাটাও আগুন হয়ে গেল। তার মানে ওই ঝোপের আড়াল থেকে সব দেখছে পাজিটা। তবুও সাড়াশব্দ করছে না। যেই কিনা সে মা দুর্গার দিব্যি খেয়েছে অমনি সাড়া করেছে।

    রাগ না দেখিয়ে শান্ত গলায় শিবরাণী বলল “হ্যাঁ। তুই বেরিয়ে আয় এবার।“

    ঝোপের আড়াল থেকে উত্তর এল “অন্য দিকে তাকাও। এখানে আসতে গিয়ে পুকুরে পরে গেছিলাম। ধুতি ভিজে গেছে। খুলে শুকাতে দিয়েছি। তোমার সামনে এই অবস্থায় বেরোতে পারবনা মা।“

    শিবরানী পিছন ঘুরে দাঁড়াল। ঝোপ থেকে বেরিয়ে এল শিবরাম। ধুতিটা জড়িয়ে নিয়ে বলল “ মা দুর্গার দিব্যি কিন্তু মা।“

    শিবরানী বলল “ কি কান্ড করে এসছিস তুই? বাড়ি চ।“

    শিবরাম ধীরে ধীরে এল মায়ের কাছে। শিবরানী তার কানটা ধরে মলে দিল। একবার দুইবার তিনবার। শিবরাম আঁ আঁ আঁ করে তিনবার আওয়াজ করল। কিন্তু এর প্রত্যুত্তরে সে পাঠাশালায় যেটা করে এসেছে সেটা করল না।

    বাড়িতে একটা ছোটখাটো বিচার সভা বসেছে। উঠোনের নিম গাছের তলায় একটা কাঠের চেয়ারে বসেছে শিবপ্রসাদ। তার পাশে বসে দস্যি দিদা। সামনের বাম দিকে শিবরাম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আর ডান দিকে শিবরানী কোলে করে শিবসত্যকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে দাঁড়িয়ে ডাক্তার কাকিমা, নানু আর রিনি। এই আদালতের বিচারপতি শিবপ্রসাদ আর আসামি শিবরাম।

    শিবপ্রসাদ গম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করল শিবরামকে “ তোমাকে পাঠশালায় কেন পাঠানো হয়েছে জানো তুমি?”

    শিবরাম মাথা ডান দিক থেকে বাঁ দিকে মাথা নাড়ল। মুখটা তার নিচের দিকেই।

    শিবপ্রসাদ স্বরের পরিবর্তন না করেই বলল “ রামনাথ পন্ডিতের পাঠাশালায় না পড়লে তোমাকে কোন স্কুলে ভর্তি নেবেনা। জানো?”

    শিবরাম আবার ডান দিক থেকে বাম দিকে মাথা নাড়ল। মুখটা তুলে একবার মায়ের দিকে আর একবার রিনির দিকে তাকিয়ে দেখল।

    শিবপ্রসাদ বলল “ তুমি পণ্ডিত মশাইয়ের কান মলে দিয়েছ কেন?”

    এইবার শিবরাম মাথা তুলে গড়্গড় করে বলতে লাগল “ আমি প্রতিদিন পড়া করে যাই বাবা। আজ পড়াটা হয়নি। কাল রারণ বধ খেলতে গিয়ে পড়তে বসা হয়নি। তাই পন্ডিত মশাই আমার কান মলে দিল। খুব লেগেছিল আমার। তাও কিছু বলিনি। কিন্তু তিনি আরও একবার…” কথাটা থামিয়ে একবার মাথা চুলকে নিয়ে কিছু একটা মনে করে বলল “ না না, একবার নয়। আরও দু-বার আমার কান মলে দিল। তাই আমিও তার কান মলে দিয়েছি।“

    শিবপ্রসাদ এবার একটু রাগী স্বরে বলল “ পন্ডিত তোমার কান মলেছে বলে তুমিও তার কান মলে দেবে? এ কিরকম শিক্ষা হয়েছে তোমার? রামনাথ নেহাত ভালোমানুষ তাই তোমায় কিছু বলেনি। আমি হলে তোমার পিঠে গোটা কঞ্চি ভেঙ্গে ফেলতাম।“

    কথাটা বলেই শিবপ্রসাদ বেশ রাগের সাথেই শিবরামের দিকে এগিয়ে গেল। শিবরাম তখন বলে উঠল “মায়ের কাছেই ভালো পড়তাম আমি।“

    শিবপ্রসাদকে এভাবে এগিয়ে যেতে দেখে শিবরানী এগিয়ে গিয়ে শিবরামকে আগলে ধরল। শিবপ্রসাদ শিবরানীর উদ্দেশ্যে বলল “ তোমার আসকারা পেয়েই ছেলেটা উচ্ছন্যে গেল।“

    শিবরাণী মুচকি হেসে উত্তর দিল “সবই ওর রক্তের দোষ। এই বংশের কে ভালো পথে থেকেছে। সবাই ওই উচ্ছন্যেই গেছে।“

    শিবপ্রসাদ এই কথাটা শোনার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলনা। মাথাটা আগুন হয়ে উঠল তার। মনে পরে গেল আজ থেকে কয়েক বছর আগেই সেই রাগের মাথায় করা ভুলের কথাটা। তার ক্রোধের বলি হতে হয়েছিল হেমাঙ্গিনীকে। আর সেই একই ভুল সে করবে না। কখন‌ই নয়।

    বিচারপতি রায় শোনাল। আজ থেকে এই দুই ভাইকে পড়ানোর দায়িত্ব তাদের মায়ের অর্থাৎ শিবরানির। পাঠশালা গিয়ে আর কাজ নেই। শিবরামের মাষ্টারকে কান মলে দেওয়ার কারনে শিবসত্যের‌ও একটা হিল্লে হয়ে গেল। তাকেও আর কোনদিন পাঠশালা যেতে হবেনা। তাদের শিক্ষা তাদের মায়ের হাত ধরেই শুরু হবে।

    (চলবে)
     
    কৃতজ্ঞতা স্বীকার ঃ ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা আনন্দবাজার ইন্টারনেট

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৬ জুন ২০২২ | ১০৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amitabha Haldar | ০৯ জুন ২০২২ ১৫:২৪508684
  • চমৎকার এগোচ্ছে। ভাল লাগছে।
  • Rajkumar Mahato | ০৯ জুন ২০২২ ২১:৩৬508708
  • ধন্যবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন