এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে কলকাতা পথে নামলে স্লোগান উঠত ‘বয়কট মারি বিস্কুট’ 

    Dipankar Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ জুন ২০২২ | ১৪১৪ বার পঠিত
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১০০ দিন ছাড়াল। যুদ্ধাবসানে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা ক্ষীণ।  ইউক্রেনের সেনানী ইউরোপে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেনকে আর ফ্রান্স পাঠাতে শুরু করেছে স্বয়ংক্রিয় সিজার হাউইৎজার কামান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমি সামরিক সাহায্য আগুনে ঘি ঢালছে।  সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। কিন্তু যাবতীয় অশান্তি এবং বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর মুলে তো গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আচমকা রুশ আগ্রাসন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত গুঁড়িয়ে দিতে অভ্যস্ত কলকাতা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পথে নামেনি। যদি নামত তাহলে রোজকার চায়ের সঙ্গে পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে, গোপালদার চায়ের দোকানের ঠেকে বা বাড়ির বৈঠকখানায় বসে নিরীহ মারি বিস্কুট চিবানো বোধহয় সহজ হত না। তখন হয়ত রুশ দূতাবাসের সামনে জনতার বিক্ষোভে স্লোগান উঠত "বয়কট মারি বিস্কুট।" সাদামাঠা মারি বিস্কুটের সঙ্গেই যে জড়িয়ে রয়েছে রুশ রাজকীয় দম্ভের ইতিহাস!

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যখন মাসখানেক ধরে চলছে তখন একদিন সকালে মারি বিস্কুটে কামড় বসিয়ে চায়ের গেলাসে চুমুক দিয়েই কাগজে দেখি, 'চিকেন আ লা কিয়েভ' নিয়ে বিস্তর গোল বেধেছে। শেক্সপীয়র যদিও লিখেছেন, “What’s in a name?” কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নামের গেরোয় অনেক কিছুই উথাল পাথাল। পার্ক স্ট্রিটের নামী রেস্তোঁরার এই সুখাদ্যে যাঁরা মজেছেন, তাঁরাই জানেন এর মাহাত্ম্য। মুরগির মাংসের কিমা থেঁতো করে মাখনের মোটা প্রলেপে জড়িয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ডুবো তেলে মুচমুচে করে ভাজলেই সমঝদার রসিকের সামনে এসে হাজির হত প্লেটে সাজানো পুরে ঠাসা বড়সড় ডিম্বাকৃতি অনবদ্য সুখাদ্যটি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার সঙ্গে আম বাঙালির আত্মিক সংযোগের নস্টালজিয়ার প্রতীক এই চিকেন আ লা কিয়েভ। কারণ, চিকেন কাটলেট আর ফ্রাইয়ের মাঝামাঝি এই স্বর্গীয় বস্তুটির সৃষ্টি হয়েছিল অষ্টাদশ ও উনিশ শতকের গোড়ায় রাজকীয় রুশ হেঁশেলে সসম্মানে ভাড়া করে আনা ফরাসি পাচকদের হাতযশে। তবে পশ্চিমি দুনিয়া সহ সারা বিশ্বে পূর্বতন সোভিয়েতের অন্তর্গত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নামে 'ডিশ'টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মোটামুটি ১৯৭০ সাল থেকে। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক ভাঙনের ঠিক আগের বছর ১৯৯০ সালের মে মাসে ওয়াশিংটন, ডিসিতে সোভিয়েত দূতাবাসের এক নৈশভোজেও তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেভের জন্যে ছিল চিকেন আ লা কিয়েভ। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের আবহে এখন এহেন এক 'ডেলিকেসি'কে ঘিরে তীব্র জাতীয়তাবাদী অস্মিতার সঞ্চার হয়েছে। সোভিয়েতের যাবতীয় গন্ধ গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে স্বাধীন ইউক্রেন রাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তর আদতে ২০১৮ সালে শুরু করেছিল ‘KyivNotKiev’ প্রচার। রুশ ভাষায় যা Kiev, ইউক্রেনের রুথেনিয়ান ভাষায় সেটিই Kyiv. কিংবদন্তি রয়েছে এই নামের উৎপত্তি শহরটির প্রাচীন প্রতিষ্ঠাতা Kyi-র নামানুসারে। ইউক্রেন সরকারের দাবি মেনে পরের বছর থেকেই আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এপি নিজেদের পাঠানো সব খবরে লিখতে শুরু করে দেয় কিয়েভের বদলে কিভ। এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি 'চিকেন কিয়েভ'কে এবারে 'চিকেন কিভ' বলাই সঙ্গত? তাহলে তো আবার নামের বদল ঘটলে ওই ডিশের ঐতিহ্যের তকমাটিও ক্ষুন্ন হবে! তবু পশ্চিমি দুনিয়ায় টুইটারের বান ডেকেছে। অনেকেই বলছেন ডিশটির নাম পাল্টে 'কিভ' করে রেস্তোঁরায় বিক্রির কিছু অর্থ পাঠানো হোক ইউক্রেনের ত্রাণে। ব্রিটিশ বা আইরিশ রেস্তোঁরা ছাড়াও দুবাইতেও রুশ বানান বদলে ফেলা হয়েছে। কানাডার বৃহৎ সুপারমার্কেট চেন লোবলজ তাদের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টস চয়েস ব্র্যান্ডের ফ্রোজেন চিকেন কিয়েভের বানান বদলে সিরিলিক বর্ণমালা অনুযায়ী ইউক্রেনে প্রচলিত বানান অনুসরণ করবে বলে জুনের গোড়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের কলকাতা অবশ্য ইউক্রেনের প্রতি সহমর্মিতা জানালেও নাম বদলের বিপ্লবে আস্থা রাখেনি। মার্কিন কালো হাত গুঁড়িয়ে দিতে অভ্যস্ত বাংলা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পথেও নামেনি। ভাগ্যিস পথে নামেনি! তাহলে বোধ হয় চায়ের ভাঁড় হাতে নিয়ে নিশ্চিন্তে মারি বিস্কুট চিবনোও সমস্যা হত। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলকাতা সত্যিই ফুঁসে উঠলে আর মারি বিস্কুট তৈরির নেপথ্যের ইতিহাস জানা থাকলে রুশ দূতাবাসের সামনে জনতার বিক্ষোভে অবশ্যই স্লোগান উঠত -- "মারি বিস্কুট মুর্দাবাদ! বয়কট মারি!"


    রানি ভিকটোরিয়ার দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স আলফ্রেড ও মারিয়া আলেকজান্দ্রভনার বিবাহ অনুষ্ঠান।  সেন্ট পিটার্সবার্গের উইন্টার প্যালেস।  ২৩ জানুয়ারি ১৮৭৪।  ব্রিটিশ ও রুশ রাজ পরিবারের ঐতিহাসিক মিলন। রানি ভিকটোরিয়ার ফরমায়েশে রুশ চিত্রশিল্পী নিকোলাস কেভেলিয়ারের আঁকা তৈলচিত্র। ছবিটি ১৯০১ সাল থেকে টাঙানো রয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেসের দেওয়ালে। 
    ছবি: ব্রিটেনের রয়্যাল কালেকশন ট্রাস্টের সৌজন্যে।      
     
     
    ইতিহাসের কী অদ্ভুত পরিহাস! রুশ আগ্রাসনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রাইম মিনিস্টার বরিস জনসন ম্যাকবেথের ঢঙে পুতিনের উদ্দেশে বলে উঠেছিলেন, ইউক্রেনের রক্তের দাগ তিনি কোনদিন হাত থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না। আজ বিলেত, ইউরোপ, আমেরিকা জুড়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধিক্কারের তীব্র গর্জন শোনা গেলেও এবং রুশ বয়কটের জিগির উঠলেও অতীতে ব্রিটেন ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে উঠেছিল গভীর মিত্রতার সম্পর্ক। ১৮৭১ সালে ডেনমার্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে রাশিয়ার ৎজার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের কন্যা মারি আলেকজান্দ্রভনার সঙ্গে প্রেম ঘনিয়ে ওঠে ব্রিটেনের রানি ভিকটোরিয়ার দ্বিতীয় পুত্র ও ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স আলফ্রেডের। ব্রিটিশ রাজপুত্রের সঙ্গে রুশ রাজকন্যার এই প্রেমের কাহিনী বিরাট সাড়া ফেলল দুই দেশেই। স্বর্গ থেকে নেমে আসা ডানা-কাটা পরী হিসেবে আলেকজান্দ্রভনার রূপের সুখ্যাতি থাকলেও তিনি ছিলেন ঘোর উন্নাসিক। তা নিয়ে দুই পরিবারে সংশয় ও আশঙ্কা থাকলেও ১৮৭৪ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজকীয় সমারোহে দুজনের বিবাহ সম্পন্ন হল সেন্ট পিটার্সবার্গের উইন্টার প্যালেসে। সেই অসাধারণ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে আর আলেকজান্দ্রভনার অহংবোধ তৃপ্ত করতে লন্ডনের পিক ফ্রিন্স বেকারি বানিয়ে ফেলল রুশ রাজকন্যের নামাঙ্কিত বিশেষ বিস্কুট -- 'মারি'।

    এতকাল পরে এই যুগে আমাদের মনে হওয়া স্বাভাবিক, এমন এক নাক-উঁচু, অপরূপা রাজকন্যার জন্যে কিনা এতই এক সাদামাঠা বিস্কুট! তখন মনে রাখতে হবে, সেটা ছিল ব্রিটেনে শিল্প বিপ্লবের স্বর্ণযুগ। আর বিস্কুট ছিল এক অপ্রত্যাশিত উদ্ভাবন। বিস্কুটের নামে তখন ঢালাও যা চলত তা ছিল প্রায় অখাদ্য, বিস্বাদ এক বস্তু যাতে ছিটেফোঁটা লবণও থাকত না। মূলত তা বানানো হত জাহাজের যাত্রীদের রেশন হিসেবে যা অনেকদিন রাখলেও নষ্ট হত না। পরে এয়ারটাইট মেটাল বক্স উদ্ভাবন হওয়ায় আর ট্রেন পরিবহন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্কুটের প্রয়োজনীয়তা বাড়তে থাকল। দূর দূরান্তে বিস্কুট সরবরাহ করাও সহজ হল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রসারের হাত ধরে যে সব পণ্য প্রথম 'গ্লোবাল ব্র্যান্ড' হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, বিস্কুট ছিল তার অন্যতম। পূর্ণাঙ্গ আহারের মাঝে দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় বা অন্যত্র কাজের ফাঁকে জনপ্রিয় হয়ে উঠল 'বিস্কুট ব্রেক'। কাজেই সেই প্রেক্ষাপটে 'মারি' কখনোই আটপৌরে ছিল না, বরং হালকা নোনতা ও মিষ্টি স্বাদের ওই বিস্কুট ছিল রীতিমত এক 'ফ্যান্সি' দ্রব্য যা রাজকীয় উৎসবের সঙ্গে যথেষ্ট মানানসই। আর একথাও ভুললে চলবে না যে মারি বিস্কুটের সঙ্গে তাই আদতে জড়িয়ে রয়েছে রুশ রাজকীয় দম্ভ।

    বিয়ের পরে লন্ডনের রাজ পরিবারে বধূ হিসেবে প্রবেশ করে তাঁর ওই প্রবল দম্ভের জন্যেই কিন্তু আলেকজান্দ্রভনা কখনও মানিয়ে নিতে পারেন নি। জাঁকজমকপূর্ণ রুশ রাজপ্রাসাদের কাছে ব্রিটিশ প্রাসাদের জৌলুস তাঁর মনে হত নিষ্প্রভ। শুধু তাই নয়, তাঁর বড় জা আলেকজান্দ্রা ছিলেন রানি ভিকটোরিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র এডোয়ার্ডের স্ত্রী এবং ডেনমার্কের রাজার কন্যা। আলেকজান্দ্রভনা ভাবতেন ৎজারের কন্যা হিসেবে তাঁর মর্যাদা মামুলি এক রাজার কন্যার চেয়ে অনেক ওপরে কিন্তু তাঁর মেজাজ মর্জিকে রানি পাত্তাও দেননি। কিছুদিন বাদে ঘটনাচক্রে ইউরোপীয় রাজপরিবারের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত জটিলতায় আলেকজান্দ্রভনার স্বামী আলফ্রেড জার্মান দেশীয় রাজ্য স্যাক্স-কোবার্গ অ্যান্ড গোথার সিংহাসনের অধিকারী হন। রানির দাপট থেকে মুক্তি এবং ব্রিটিশ প্রাসাদ ত্যাগ করার সুযোগে আলেকজান্দ্রভনা নেচে ওঠেন। তবে জার্মানিতে তাঁর সুসময় স্থায়ী হয়নি। রাশিয়ার বলশেভিক বিপ্লবে তাঁর সব আত্মীয় নিহত বা নির্বাসিত হন। বিবাহের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে পুত্রের আত্মহত্যা, পরের বছর স্বামীর মৃত্যু তাঁকে বিপর্যস্ত করে। ক্ষমতার বলয় থেকে ভ্রষ্ট হয়ে জার্মানি ছেড়ে তিনি সুইটজারল্যান্ডের জুরিখে আশ্রয় নেন। কিন্তু তীব্র অহংবোধ তাঁর পিছু ছাড়েনি। শোনা যায়, একদিন তাঁর কাছে একটি টেলিগ্রাম আসে। তাতে তাঁকে সম্বোধন করা হয়েছিল 'ফ্রাউ কোবার্গ'। জার্মান ভাষায় 'ফ্রাউ' শব্দটির অর্থ হল বিবাহিতা মহিলা। অর্থাৎ মোদ্দা অর্থ -- কোবার্গের মহিলা। এমন মামুলি সম্বোধনে আলেকজান্দ্রভনা এত তীব্র মানসিক আঘাত পান যে তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    মারি বিস্কুট খাবার সময় এবার রাশিয়ার আগ্রাসন ও রাজকীয় দম্ভের বিষয়টি মাথায় রাখবেন।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ জুন ২০২২ | ১৪১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ০৫ জুন ২০২২ ০০:০৮508492
  • "তাতে তাঁকে সম্বোধন করা হয়েছিল 'ফ্রাউ কোবার্গ'। জার্মান ভাষায় 'ফ্রাউ' শব্দটির অর্থ হল বিবাহিতা মহিলা। অর্থাৎ মোদ্দা অর্থ -- কোবার্গের মহিলা। "
     
    উঁহু, কোবার্গের মহিলা নয়, কোবার্গের স্ত্রী বা শ্রীমতী কোবার্গ।
     
  • পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:92d5:20f0:213e:2e53 | ০৫ জুন ২০২২ ০২:৪২508494
  • এটা ইউক্রেন নিয়ে ভারত সরকারের পজিশন।
     
  • পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:92d5:20f0:213e:2e53 | ০৫ জুন ২০২২ ০২:৪৪508495
  • ইরাক আক্রমণের সময় আইফোন বয়কট করিনি। আজকে মারি বিস্কুট বা চিকেন আ লা কিভ কেন বয়কট করব মাথায় ঢুকছে না। এমনিতেই তেলের দাম গায়ে লাগছে। খাবারের দাম ও।
  • পলিটিশিয়ান | 2600:6c52:6000:138d:92d5:20f0:213e:2e53 | ০৫ জুন ২০২২ ০২:৪৬508496
  • আইফোন নয়, বোয়িং প্লেন।
  • যোষিতা | ০৫ জুন ২০২২ ০৩:১৫508498
  • "উত্তরাধিকার সংক্রান্ত জটিলতায় আলেকজান্দ্রভনার স্বামী আলফ্রেড জার্মান দেশীয় রাজ্য স্যাক্স-কোবার্গ অ্যান্ড গোথার সিংহাসনের অধিকারী হন।"
    ওঁর বাবার নাম আসেকসান্দার, কিন্তু ওঁকে আলেকসান্দ্রোভনা বলে উল্লেখ করাটা ভুল। মারিয়া আলেকসান্দ্রোভনা বলে উল্লেখ করলে ঠিক।
  • Emanul Haque | ০৭ জুন ২০২২ ০৯:১২508568
  • বাহ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন