এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ  শনিবারবেলা

  • ইহুদি রসিকতা ১২: ওষুধে ডাক্তারে

    হীরেন সিংহরায়
    ধারাবাহিক | সমাজ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৭১৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ওষুধে ডাক্তারে


    পাইক পাড়ার বাড়িতে কারো বিশেষ অসুস্থতার হবার খবর দেওয়া হলে রানি ফরমাশি থেকে ডাক্তার রমেশ বাবু টানা রিকশ চড়ে আমাদের বাড়ি এসেছেন। তিনি পুরনো আমলের এলো এম এফ পাশ ( লাইসেনসিয়েট অফ মেডিকাল ফ্যাকালটি ) যাকে আজকের হিসেবে ডাক্তার বলেই মান্য করা হয় না। তিনি ছিলেন আমাদের গৃহ চিকিৎসক, বদ্যি, ধন্বন্তরি। দু রকমের ওষুধ দিতেন – দুটি মিক্সচার । সর্দি কাশিতে লাল রঙ্গের , পেটের অসুখে সবুজ রঙ্গের। কম্পাউন্ডার বিমলদা সেই মিক্সচারের শিশির গায়ে ছোট ছোট চৌকোনা লেবেল এঁটে বলে দিতেন - দিনে তিন বার!

    তারপরে এলাম জার্মানি। সেখানে বাড়িতে ডাক্তার আসেন না। হালত যাই হোক না কেন, রোগীকে ট্রামে বাসে ট্যাক্সিতে গাড়িতে চড়ে ডাক্তার খানায় গিয়ে প্রতীক্ষালয়ে বসতে হয়। শনি রবিবারে ডাক্তার অমিল। তাঁর দপ্তরের ঝাঁপ বন্ধ।অগতির গতি নিকটবর্তী হাসপাতাল। খাতায় নাম লিখিয়ে অপেক্ষা। অবস্থা সঙ্গিন হলে অবশ্য লাল আলো এবং ভেঁপু বাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসে বাড়িতে। সরকারের খরচায়।

    আটের দশকে জার্মানি থেকে ইংল্যান্ডে এসে আশ্বস্ত হলাম- রুগী দেখতে বাড়িতে ডাক্তার আসেন। মনে হল যেন পাইক পাড়ায় ফিরে গেছি। তবে এই সর্দি কাশি, গাটা কেমন যেন ম্যাজ ম্যাজ করছে অথবা গলা খুস খুস করছে এ সংবাদে নয় । ফোনে অবস্থা জেনে, ব্যাপারটার গুরুত্ব বিবেচনা করে তবেই ডাক্তার আসেন। গল্প গুজব করেন– বেড সাইড ম্যানার প্রতিপন্ন করেন! প্রেসক্রিপশন লেখেন। মহারানির সরকার সেটির খরচ খরচা দেন, আমারই করের পয়সায়।

    এদেশের সকল নাগরিক জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ( ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ) প্রকল্প দ্বারা সুরক্ষিত। চিকিৎসা খাতে নাগরিকের ব্যয় নেই। ওষুধ এককালে সবার জন্য ফিরিতে পাওয়া যেতো এখন একটা বয়েসের পরে। এদেশে এলেই স্থানীয় ডাক্তারখানায় নাম পাতা লেখাতে হয়। পাঁচ জন ডাক্তার মিলে যেখানে বসেন তার চলতি নাম প্র্যাকটিস। যখনই সেখানে নাম লেখাবেন, সেই জনা পাঁচেকের একজন আপনাকে দেখবার দায়িত্ব নেবেন। তিনি আপনার জি পি- জেনারাল প্রাকটিশনার। কেউ ছুটিতে গেলে সাময়িক ভাবে অন্য কেউ তার কাজ করেন। তাঁকে বলে লোকুম। কেন যে বলে জানি না। আমাদের জি পি মাইকেল হ্যারিস, লিথুয়ানিয়ার ইহুদি। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আগে তাঁরা ইংল্যান্ডে এসেছেন। আমি এই লেখার চতুর্থ পর্বে ( নামাবলি) ইহুদি নাম করনের যে থিওরিটি ছেড়েছি , সেটি ইংল্যান্ডে তেমন প্রযোজ্য নয়। এ দেশের ইহুদিরা ফিঙ্কেলস্টাইন বা হালবগেওয়াকস নামে পরিচিত হতে চাননি। তাঁরা স্মিথ হ্যারিস বা রিচারডস পদবি নিয়েছেন। যেমন আমাদের মাইকেল হ্যারিস। ইন্দ্রনীলের স্কুলের বন্ধুর বাবা ডক্টর স্মিথ।

    সাদা সাপটা মুখে হাসির গল্প করার একটা অনবদ্য ক্ষমতা ছিল ডাক্তার হ্যারিসের। যাকে ইংরেজিতে বলে উইথ এ স্ট্রেট ফেস। নিজে না হেসে আপনাকে লুটোপুটি খাইয়ে দিতে পারতেন। আমাদের জার্মান ওয়াইনের গুণগ্রাহী ছিলেন। অবশ্য প্রত্যেকবার বলেছেন আঃ, ওটার কোন প্রয়োজন ছিল না।

    হাতে পায়ে গায়ে যে কোন ব্যথার জন্য ভল তারোল এবং অন্য যন্ত্রণার জন্য প্যারাসিটামল বরাদ্দ ছিল- সেই রমেশ বাবুর লাল সবুজ মিক্সচারের মত। একই গতে বাঁধা।

    চাকরির দায়ে আমি সে সময়ে বিভিন্ন দেশের বায়ু কলুষিত করে নিত্য হাওয়াই জাহাজ চড়ি। সেটি তিনি নিতান্ত অপছন্দ করতেন। স্বাস্থ্যের পক্ষে নাকি হানি কারক। একদিন বুঝিয়ে বললেন: প্লেনের ভেতরে একটা বদ্ধ হাওয়া কেবল ঘুরপাক খায়। তার পরিমাণ একই থেকে যায়। তাজা হাওয়া যোগ হয় না। ফলে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরের এগারো ঘণ্টার ফ্লাইটে আমি নিশ্বাস নিচ্ছি যে হাওয়াতে সেটি বারে বারে ঘুরে ফিরে আসছে। তাতে যারা প্রশ্বাস ছাড়ছেন তাঁদের কার যে কি রোগ আছে আমার জানার কথা নয় কিন্তু নাকের ভেতর দিয়ে সেটি মরমে পশিয়ে যায়! সংক্রমণের আড়ত।

    আমার দুনিয়া ঘোরা পেশার খাতিরে।সেটিকে মুলতুবি রাখা যায় না। তবে ডাক্তার হ্যারিসের সতর্কবাণী মনে রেখেছি। আর মনে রেখেছি কিছু গল্প গাছা !

    **********

    আমাদের স্কুলের পাঠ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও স্নানের উপযোগিতা পড়ানো হতো। গ্রামে কখনো কোনো বন্ধুর জ্বর হয়েছে সে খোঁজ খবর করতে গিয়ে কখনো শুনেছি – ‘ ভাল হয়ে গেছে গো, কাল চান করেছে, ভাত খেয়েছে।’

    রোগ থেকে আরোগ্যের এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণের পরাকাষ্ঠা শুনে ডাক্তার হ্যারিস মৃদু হাসলেন। বললেন, ‘আপনাদের মতো গ্রীষ্ম প্রধান দেশে শুধু নয়, স্নান সবার পক্ষেই একটি আবশ্যিক প্রাত্যহিক অনুষ্ঠান। তবে ইহুদিদের কাছে নয়! তাদের একটা ঐতিহাসিক জলাতঙ্ক আছে! আমি যদি রুগীকে স্নান করতে বলি, সে খুব চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করবে, স্নান করতে হবে কেন? আমার অসুখটা কি এতোই কঠিন?’

    এ নিয়ে গল্পের শেষ নেই ।

    কারলসবাদ (কারলোভি ভারি, আজকের চেক)

    সেখানে মাটি ফুঁড়ে উঠে আসে খনিজ জল। জলের দ্বারা স্বাস্থ্য – সানুস পের আকুয়াম । এস পি এ - স্পা !
    ইলান গেছে জল চিকিৎসার টিকিট কাটতে ।
    কাউন্টারের মহিলা : একটা কেন, একসঙ্গে যদি বারোটা টিকিট কাটেন, সস্তা হবে। এগারোটার দামে বারোটা পাবেন ।
    ইলান (দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে ) :আমি কি আর বারো বছর বাঁচবো ?

    **********

    মতান্তরে
    ইলান: আবার জলে নামা! একটা বছর কেমন করে ঘুরে গেলো !
    **********


    স্কুল শিক্ষক : হের সাউয়ারতাইগ , আপনার ছেলে মরিতসের পাশে কেউ বসতে চায় না। ওকে স্নান করিয়ে স্কুলে পাঠাতে পারেন না ?

    সাউয়ারতাইগ : ছেলেকে স্কুলে পাঠাচ্ছি লেখা পড়া শেখার জন্য। মরিতস কি ফুল নাকি যে তাকে অন্যেরা শুঁকবে ?

    **********

    লাইবোভিতস গেছে ডাক্তার দেখাতে। নানা পরীক্ষা করলেন ডাক্তার গোল্ডবেরগ ।

    গোল্ডবেরগ : আপনার লিভারটি গেছে। খুব নেশা করেন?

    লাইবোভিতস : দিনে দেড় লিটার ভদকা পান করি।

    গোল্ডবেরগ : আপনার লাংসেও সমস্যা দেখছি। ধূমপান করেন?

    লাইবোভিতস : দিনে চার প্যাকেট সিগারেট চলে।

    গোল্ডবেরগ : ভদকা এবং সিগারেট দুটোই বন্ধ করুন। ভালো হয়ে যাবেন।

    লাইবোভিতস কোন কথা না বলে চেয়ার থেকে উঠে চেম্বারের দরোজা খুলে বেরুতে যাচ্ছে।

    গোল্ডবেরগ : দাঁড়ান। কোথায় যাচ্ছেন ? আমার উপদেশের ফি ৪০ রুবেল। সেটা দিয়ে যান।

    লাইবোভিতস: আমি আপনার উপদেশ নিলে তবে তো ফি দেব।

    **********


    ডাক্তার সিলবারস্টাইন নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন রাপাপোর্টের। তবু ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।

    সিলবারস্টাইন : আচ্ছা আপনার শরীরে কি অস্বস্তি হচ্ছে বলুন তো?

    রাপাপোর্ট : আপনি তো এত রকম টেস্ট করলেন , আপনারই সেটা জানা উচিত।

    সিলবারস্টাইন : ঠিক কোনখানে ব্যথা করছে বলুন তো?

    রাপাপোর্ট : কোথায় করছে না জিজ্ঞেস করুন?

    সিলবারস্টাইন : কখন থেকে সেটা শুরু হয়েছে?

    রাপাপোর্ট : দেখুন, কবে থেকে ব্যথা শুরু হয়েছে , তার দিন ক্ষণ মুহূর্ত জেনে আপনার কি হবে? যন্ত্রণাটা কবে শেষ হবে সেটা জানবার জন্যে আপনার ফি দিচ্ছি।

    **********


    মিসেস কামিন্সকি ফোন করেছেন ডাক্তার ফিঙ্কেলস্টাইনকে

    কামিন্সকি : আপনি কি পাগলের ডাক্তার?

    ফিঙ্কেলস্টাইন : আজ্ঞে না আমি মনোবিদ । মানসিক অসুখের চিকিৎসা করি।

    কামিন্সকি : আপনার ফি কত?

    ফিঙ্কেলস্টাইন : ঘণ্টায় একশ রুবেল।

    কামিন্সকি : ঘণ্টায় একশ রুবেল ? আপনি নিজের চিকিৎসা করান আগে।

    **********


    হালবগেওয়াকসের আপাদ মস্তক পরীক্ষা করেছেন ডাক্তার মানডেলবাউম। মুখ গম্ভীর।

    মানডেলবাউম : আমি যদি আপনার একটা অপারেশন জরুরি মনে করি তার খরচা দিতে পারবেন ?

    হালবগেওয়াকস : আমি যদি সে খরচা না দিতে পারি তাহলেও কি আপনি সেই অপারেশন জরুরি মনে করবেন?

    **********

    মনোবিজ্ঞানী আসলে একজন ইহুদি ডাক্তার যিনি রক্ত দেখলে ভয় পান।
    **********

    বেরকোভিতস লেমবেরগের বিখ্যাত চিকিৎসক ওয়াইলবেরগের কাছে গেছে।

    নানা রকম পরীক্ষার পরে ডাক্তার দুঃসংবাদ দিলেন।

    ওয়াইলবেরগ : চিকিৎসা আমি করবো, তবে খরচা আছে। অন্তত ৫০০ রুবেল।

    বেরকোভিতস : অত পয়সা আমার নেই ডাক্তার।

    ওয়াইলবেরগ : আচ্ছা ৩০০ রুবেল দেবেন। পারবেন তো?

    বেরকোভিতস : সেটাও অনেক বেশি হয়ে হচ্ছে। পাঁচটা ছেলে মেয়ে, বউ নিয়ে এমনিতেই সংসার চালানো শক্ত।

    ওয়াইলবেরগ (বিরক্ত) : কি ভেবে আমার কাছে তাহলে এলেন বলুন দিকি ? আমি লেমবেরগের নামকরা চিকিৎসক। আমার ফি যে বেশি তা জানেন না ?

    বেরকোভিতস : সেটা জানি। কিন্তু আমার নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমি কার্পণ্য করি না।

    **********


    ডাক্তার গোল্ডফারব ফোন করছেন স্টাইনবেরগকে।

    ডাক্তার গোল্ডফারব : আপনার দেওয়া চেকটা ফেরত এসেছে।

    স্টাইনবেরগ : আমার পিঠের ব্যথাটাও।

    ***


    দাঁতের ডাক্তারের চেম্বারে কুপফারস্টাইন।

    কুপফারস্টাইন : ডাক্তার বাবু, আপনি আনাস্থেটিক না দিয়ে দাঁত তুলতে পারেন?

    ডাক্তার : হ্যাঁ পারি।

    কুপফারস্টাইন : তাতে সস্তা পড়বে তো?

    ডাক্তার : হ্যাঁ। কিন্তু আপনি ব্যথা সহ্য করতে পারবেন?

    কুপফারস্টাইন : আমি ব্যথা সহ্য করব কেন? দাঁত তুলবেন তো আমার বউয়ের। ও বাইরে বসে আছে।

    **********


    অনেকক্ষণ ধরে ময়শের পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন ডাক্তার মানডেলবাউম। মুখে ক্রমশ মেঘ জমে উঠেছে।

    ময়শে : কি হয়েছে বলুন তো আমার? কোনটা সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার? বলতে পারেন?

    মানডেলবাউম : পারি। আমার বিল।

    **********


    বৃদ্ধ আবেনডরোট কানের ডাক্তারের চেম্বারে।

    আবেনডরোট : ডাক্তার বাঁ কানে কম শুনছি।

    ডাক্তার শাউকেলবেরগ নানা পরীক্ষা করলেন।

    শাউকেলবেরগ : ওটা বয়েসের জন্যে। কিছু করার নেই।

    আবেনডরোট : বাঁ কানটার বয়েস কি ডান কানের চেয়ে বেশি?

    **********


    গোল্ডম্যান : আচ্ছা আমার চিকিৎসায় খরচা কি খুব বেশি হবে?

    ডাক্তার আবেনডরোট : উইল করেছেন?

    গোল্ডম্যান : হ্যাঁ।

    ডাক্তার আবেনডরোট : খরচার চিন্তা আপনার উইলের স্বত্বভোগীদের ওপর ছেড়ে দিন।



    অনলাইন কিনতে এখানে ক্লিক করুন

    **********


    খাবার টেবিলে আলোচনা।

    নাফতালি : ডাক্তার গিনসবেরগ, ধরুন আপনার মতো কোনো মনস্তাত্ত্বিক যদি ভ্যান গঘের চিকিৎসা করতেন তাহলেও কি ভ্যান গঘ তাঁর কান কেটে ফেলতেন?

    ডাক্তার গিনসবেরগ : হ্যাঁ। কিন্তু কান কেন কাটছেন সেটা জেনেই কাজটা করতেন।

    **********


    মরগেনগ্রাউ : ডাক্তার, আমি আর পারছি না। রোজ রাতে ভয়ানক সব স্বপ্ন দেখি।

    মনোবিদ : স্বপ্নে কি দেখেন?

    মরগেনগ্রাউ : রক্ত আর মাংস পিণ্ড।

    মনোবিদ : তাহলে তো ব্যাপারটা খুঁটিয়ে দেখতে হচ্ছে। আপনার পেশা কি?

    মরগেনগ্রাউ : কষাই।

    **********


    ১৯১৮। পোল্যান্ড। কলেরা এপিডেমিক চলছে।

    হোটেলের ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বাথরুমের চলন হয় নি। ভাগাভাগি করে নিতে হত।

    গভীর রাতে ব্লমবেরগারের হোটেলের দরোজায় তুমুল করাঘাত। খুলে তিনি দেখেন স্ট্রেচার নিয়ে দুজন হাসপাতাল কর্মী উপস্থিত।

    হাসপাতাল কর্মী হোটেলের রিসেপশনিসট আমাদের খবর দিয়েছেন কাল সন্ধ্যে থেকে আপনি এ যাবত বারো বার টয়লেটে গেছেন। আপনি সংক্রামক কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন এই আশঙ্কায় আমরা আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে এসেছি।

    ব্লমবেরগার হ্যাঁ গেছি বারো বার ঠিকই। কিন্তু এগার বার টয়লেটের দরোজা বন্ধ পেয়েছি।

    **********

    মরগেনশাইন : কোথায় ছিলে এতদিন?

    গ্রুনস্পান : বোলো না। দু মাস অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম কিয়েভে। এক হাজার রুবেল খরচা হল, ওষুধে ডাক্তারে।

    মরগেনশাইন : এক হাজার রুবেল? সে খরচায় তুমি আমাদের বেলতস শহরে দু বছর অসুস্থ থাকে পারতে।

    **********


    বয়স্ক ইহুদি ফয়াররোট এসেছেন ডাক্তার নাখটব্লাউএর কাছে চোখ দেখাতে। ডাক্তার দূরের দেয়ালে লেখা গুলো পড়তে বললেন। সেটা রোমান অক্ষরে। ফয়াররোট কেবল হিব্রু অক্ষর চেনেন। ডাক্তার ইহুদি। তাঁর সহকারীকে বললেন হিব্রুতে লেখা একটা পাতা দেয়ালে ঝোলাতে।

    ডাক্তার নাখটব্লাউ : হের ফয়াররোট, এবার পড়ুন।

    ফয়াররোট গড় গড় করে পড়ে গেলেন। ডাক্তার অবাক।

    ডাক্তার নাখটব্লাউ : আপনার চোখের তো কোন সমস্যা নেই। আপনি এতো দূরের লেখা দিব্যি পড়লেন!

    ফয়াররোট : হের ডক্টর, আমার চোখের জ্যোতি কম। কিন্তু আমাকে আপনি হিব্রুতে যেটা পড়তে বললেন তার বড়ো অক্ষরে লেখা প্রথম চারটে শব্দ দেখেই চিনেছি সেটা শেমা ইজরায়েল প্রার্থনা। ওটা তো আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি!

    **********


    কুগেলরোট কাছের শহরে গেছেন চিকিৎসার জন্যে। ডাক্তার ফাইনস্টাইন তাঁকে বললেন ইউরিন টেস্ট করতে হবে। কুগেলরোট গ্রামে ফিরে গেলেন। দু দিন বাদে কুগেলরোট একটা সাড়ে সাতশো মিলিগ্রামের ওয়াইন বোতল ভর্তি করে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে এসেছেন। ডাক্তার ক্ষিপ্ত।

    ফাইনস্টাইন - এ কি করেছেন? যাক, একটা ট্যাঙ্ক ভরে যে আনেন নি সেটাই আমার ভাগ্য।

    কুগেলরোট চুপ করে বসে রইলেন। টেস্টের ফল জানার পরে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা না করে তৎক্ষণাৎ টেলিগ্রাম পাঠালেন গিন্নি- আমাদের পরিবারের সবাই সুস্থ। তুমি, আমি, ছেলেমেয়েরা এমনকি কুকুরটা অবধি।

    **********

    শেয়ার বাজারের বৃদ্ধ ব্রোকার সালিঙ্গার মৃত্যু শয্যায়। একাশি বছর বয়েস। পরিবার পরিজন পাশে বসে নানা সমবেদনার কথা বলছেন। শিগগির ভালো হয়ে যাবেন। সালিঙ্গার নিশ্চয় নব্বুই বছর অবধি বাঁচবেন।

    সালিঙ্গার : কি যে বল তোমরা! একাশিতে পাওয়া গেলে ঈশ্বর নব্বুইতে কিনবেন কেন?

    **********


    প্রথম বার কোন গায়নাকোলজিসটের কাছে গেছে রিফকা।

    ডাক্তার গোল্ডবেরগ : আপনার জামা কাপড় খুলে শুয়ে পড়ুন।

    রিফকা : তার আগে আমার একটা প্রশ্ন আছে।

    ডাক্তার গোল্ডবেরগ : বলুন।

    রিফকা : আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়েরা কি জানেন আপনি এই চেম্বারে কাজটা কি করেন?

    **********


    ডাক্তার রাউবেনস্টক : আপনার ইনফ্লুয়েঞ্জা সেরে গেছে। এবার আমার ফি দিয়ে যাবেন।

    ফাইগেনব্লাউ : সেকি? আমি যে গোটা গ্রামে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে দিলাম? লোকে আপনার চেমবারের দরোজায় লাইন দিচ্ছে।
    আপনারই তো পোয়া বারো । আমাকে ফি দেবেন আপনি।

    **********


    গোল্ডকুগেলের ব্যবসা খারাপ চলছে। নানা দুশ্চিন্তায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে মনোবিদের চেম্বারে গেছে।
    ডাক্তার ফাইনগেলড : আপনি এই কাউচে শুয়ে পড়ুন আর আপনার মনে যা আসছে আমাকে বলুন।

    গোল্ডকুগেল নিশ্চুপ।

    ডাক্তার ফাইনগেলড :আপনাকে মনে করিয়ে দিই আমার ফি ঘণ্টায় ষাট ক্রোনার। মিনিটে এক ক্রোনার।
    গোল্ডকুগেল চুপ। এক ঘণ্টা বাদে উঠে ষাট রুবেল দিয়ে চলে গেল। পরের দিন আবার এলো গোল্ডকুগেল । কোন কথা না বলে এক ঘণ্টা বাদে কাউচ থেকে উঠে ষাট রুবেল দিলো ডাক্তারকে।

    তৃতীয় দিন ।
    একই ঘটনা। এবার গোল্ডকুগেল ডাক্তারের ফি দেবার সময় কথা বলল।

    গোল্ডকুগেল : ডাক্তার ফাইনগেলড আমার একটা আর্জি আছে। আমাকে আপনি আপনার ব্যবসায়ে পার্টনার করবেন?

    **********


    গিনসবেরগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন ডাক্তার ।

    ব্লুমবেরগ : ডাক্তার ব্লুমেনথাল, আমার কি হয়েছে বলুন তো?

    ডাক্তার ব্লুমেনথাল : কিছুই হয় নি।

    ব্লুমবেরগ : কিছুই হয় নি? এই যে মাথার ব্যথাটা?

    ডাক্তার ব্লুমেনথাল : আঃ, আপনার মাথা ব্যথাটা নিয়ে আমি কোন চিন্তার কারণ দেখি না।

    ব্লুমবেরগ : দেখুন ডাক্তার ব্লুমেনথাল, এই মাথা ব্যথাটা আপনার হলে আমিও চিন্তার কোন কারণ দেখতাম না।

    **********


    ইয়াকব ডাক্তারের চেম্বারে।

    ইয়াকব : ডাক্তার গোল্ডসানড, আমার বউয়ের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করাতে হবে।

    গোল্ডসানড : সে কি, এই তো গত বছরে তোমার বউয়ের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করেছি। কারো দ্বিতীয় অ্যাপেন্ডিক্সের কথা তো কখনো শুনিনি।

    ইয়াকব : কারুর দ্বিতীয় বউয়ের কথা কখনো শুনছেন?

    **********


    সিমখের মাথা ব্যথা। বন্ধু ইলানকে বলল চলো ডাক্তার শাউকেলবেরগের কাছে যাই।

    ইলান : মাথা ধরেছে বলে ডাক্তার দেখাবে কেন ? সে তো এমনি সেরে যায় ।

    সিমখে : তুমি কিছু বোঝো না। ডাক্তার আমাকে দেখবে। নাড়ি চোখ মাথা। দুটো কথা ভাববে। তারপর একটা প্রেসক্রিপশন লিখবে। আমি তার ফি দেব। শোনো নি বদ্যির কড়ি না দিলে রোগ সারে না? ডাক্তার শাউকেলবেরগকে বাঁচতে হবে।

    ডাক্তারের প্রেসক্রিপশোন নিয়ে সিমখে গেল ফারমাসি। তার মালিক মরগেনভাইস।

    ইলান : এখনো বলছি , মাথা ধরা সারাতে ওষুধ কিনে খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

    সিমখে : চুপ করো দিকি। ফারমাসির মালিক মরগেনভাইসকে দুটো ওষুধ বেচে বাঁচতে হবে।
    এবার দুজনে বাড়ি যাবে।

    রাস্তার ধারে প্রথম ডাস্টবিন পেয়েই সিমখে সেই ওষুধের প্যাকেটটি তার গর্ভে নিক্ষেপ করলো।

    ইলান : এতো দামি ওষুধ আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিলে?

    সিমখে : আমাকেও তো বাঁচতে হবে!

    **********


    শেয়ার বাজারের নামজাদা ব্রোকার ব্লুমফেলডের দারুণ জ্বর। বউ রেচেল জ্বরের হিসেব রেখেছে। সকালে ডাক্তার এলে তাঁকে জানাল সারা রাতে জ্বরের তাপমাত্রা পঁচাশি আর পঁচানব্বুই ডিগ্রীর মধ্যে তার ওঠা নামা।

    ব্লুমফেলড আচ্ছন্নের মতো বিছানায় শুয়ে আছেন কিন্তু রেচেলের কথা গুলো শুনতে পেলেন।

    ব্লুমফেলড : আশিতে পেলে বেচে দাও।

    **********


    পিনটশোয়ার ডাক্তারের চেম্বারে

    ডাক্তার : কোথায় আপনার ব্যথা?

    পিনটশোয়ার : ডাক্তার বাবু, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে একটা হাত খাড়া উঁচু করে অন্য হাতটা পেছনে ঘুরিয়ে পিঠের দিক থেকে যখন সামনে আনবার চেষ্টা করি তখন সারা শরীরে ভীষণ যন্ত্রণা হয়।

    ডাক্তার : তা এমন ধারা জিমনাস্টিক করার আপনার কি প্রয়োজন?

    পিনটশোয়ার: জিমনাস্টিক মনে হচ্ছে? আচ্ছা, তাহলে এখানে দাঁড়িয়ে ওভারকোটটা কিভাবে আমার গায়ে গলাবো একটু দেখিয়ে দেবেন?

    **********


    স্টেটেল।

    অত্যন্ত দরিদ্র এক ইহুদি জনপদের রাবি ভাসারযুগের অসম্ভব দাঁত ব্যথা। খ্রিস্টান ডাক্তার দুটো দাঁত তুলে দিলেন। রাবির আর্থিক অবস্থা বুঝে কোন ফি নিলেন না।

    ডাক্তার : রাবি ভাসারযুগ, আপনাকে কোন ফি দিতে হবে না। সামনে আপনাদের কি একটা পরব আসছে আসছে মনে করুন সেই উপলক্ষে এটা আমার উপহার।

    রাবি :অশেষ ধন্যবাদ ডাক্তার বাবু! আপনি কিন্তু দয়া করে এ কথা আমাদের ইহুদি জমায়েতকে জানাবেন না। তাহলে ইওম কিপ্পুরে সিনাগগে কোনো উপহার আনার বদলে ওরা আমার বাকি দাঁত গুলো উপড়ে নেবে।

    **********


    ইয়েঙ্কেলের স্ত্রীর সম্পূর্ণ পরীক্ষা করেছেন ডাক্তার বিয়ারবাউম। ভীষণ চিন্তিত।

    ডক্টর বিয়ারবাউম : আপনার স্ত্রীর চেহারাটা আমার মোটে ভালো লাগছে না।

    ইয়েঙ্কেল : ভালো কি আমারও লাগে ডাক্তার বাবু? তবে দেখুন, সে আমার ছেলে মেয়েদের খুব যত্ন করে আর রাঁধেও ভালো।

    *********



    ছবি : র২হ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৭১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 203.0.3.2 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:০৮497636
  • এতটাই ভাল লাগলো পড়ে যে কপি পেস্ট করে বন্ধুদের সাথে হোয়াটস্যাপ শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আপনার নাম ও লিখে দিয়েছি নিচে। 
     
    :) :) 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৩০497652
  • আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ! আড্ডার আসরের দ্বার উন্মুক্ত করে দিলেন। 
  • kk | 68.184.245.97 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৫১497655
  • ভালো লাগলো। যথারীতি। সবথেকে যাচ্ছেতাই হেলথ সার্ভিস সম্ভবত ইউ .এস. এ'র!
  • হীরেন সিংহরায় | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৫৯497656
  • ধন্যবাদ । 
    আমার অভিজ্ঞতায় ঠিক তাই। ইউরোপ থেকে আমেরিকায় গেলে সেই পার্থক্য  খুব চোখে পড়ে । 
  • Indranil ghosh dastidar | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৩৮497661
  • সি কি! লোকে যে বলে সবচে বাজে হেল্থ সার্ভিস কলকেতার!
  • Ramit Chatterjee | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:৪৯497662
  • দুর্দান্ত লাগল। এই সম্পর্ক গুলো সত্যিই চিরন্তন। যতক্ষন না এ আই এসে স্মার্টফোন এর মাধ্যমে ডায়াগনসিস না শুরু করে দিচ্ছে আশা করি ততদিন এই অম্ল মধুর সম্পর্ক টা টিকে থাকবে।
  • Surajit Ghosh | 2409:4060:407:577e::16f6:e0b0 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৫০497667
  • Enjoyed
  • শান্তা সান‍্যাল (ভাদুড়ী) | 2409:4060:28e:6ee7::144a:c0a5 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫৭497674
  • খুব মজার। বেশ উপভোগ করলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় র‌ইলাম।
  • দিব্যজ্যোতি রাহা | 113.21.65.50 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:১৭497678
  • খুব ভালো লাগলো। গুমোট গরমের পরে এক পশলা বৃষ্টির মতো উপভোগ্য। 
  • নাসের আলী | 2409:4061:58f:9a01:2e74:2b9f:2333:8370 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪৯497685
  • তারমানে এই mixture ব্যবস্থা বহুকাল চলেছে l ছোটবেলায় প্রতি বছর উৎসবের মতো নিয়ম করে অসুস্থ হতাম আর মা নিয়ে যেতেন সুধীর ডাক্তার এর কাছে l সেই কাঁচের শিশিরের কাগজ দিয়ে দাগ দেওয়া ওষুধের গন্ধ আজও নাকে লেগে আছে l পড়ছিলাম আর শুধুই হাসছিলাম l খুব সুন্দর লেখা l 
  • Ranjan Roy | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫৩497775
  • গোটা টেবিল জুড়ে এত সব সুস্বাদু পদ! এই লেখাটি পড়তে গিয়ে আজ মর্নিং ওয়াক বাদ দিলাম। আমাকেও তো বাঁচতে হবে!
  • Kalpana Sarkar | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩৫497798
  • lekha jatharity valo. tobe ekta katha bola proyojan mone korchhi .kathata holo amader ekhane  je sab LMF daktar der ekhan daktar bole gannya kora hoina tanra kintu khub limited medicine er sahajjyei anek org sarabar khamata rakhten . ar ekhan ? 
     
     
     
  • Kalpana Sarkar | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০১497799
  • @ kalpana org na hoe org hobe.
  • শিবাংশু | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:০৬498642
  • উমদা দাওয়ত , ক্যা খুব ....
  • Ab Utsho | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩১498658
  • বাহ
  • হীরেন সিংহরায় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৪৬498661
  • দীর্ঘ দিন সংগে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন