স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বাংলাদেশ পালন করছে আজকে। এই মাইলফলক আমাদের জন্য অসাধারন একটা ব্যাপার। আমাদের নানান অপূর্ণতা, আমাদের কত না পাওয়ার বেদনা, আমাদের কত অপ্রাপ্তি, তবুও এই কথা আজকে বলতেই হয় আমাদের হিসেবে আমরা কী দারুণ অবস্থায়ই না আছি। আমাদের স্বল্প সক্ষমতা নিয়ে আজকে কই থেকে কই চলে আসছি। পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে আমরা এর জন্য গর্ব করব না? আজকে সমস্ত বাঙালির জন্য গর্বের দিন, সমস্ত বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য গর্বের দিন।
বহুকাল আগে থেকেই আমাদেরকে একটু ভিন্ন চোখে দেখা হত। কত দোষ আমাদের। এই বাংলার আবহাওয়ায় কী জানি ছিল, যার কারণে এদিকে যে যখন এসেছে সেই মাতাল হয়ে গেছে। এসেছে দিল্লি থেকে শাসন করতে, এসে দুই দিন পরে নিজেই শাসক হয়ে বসেছে। দিনের পর দিন বিদ্রোহ লেগেই ছিল। বাংলার মানুষও এক আজব প্রাণী। কে কোথা থেকে এসে শাসন করছে তার দিকে বিন্দুমাত্র নজর নাই। সহজেই মেনে নিচ্ছে সেই শাসককে। আবার কেউ একজন যখন তাকে সরিয়ে নিজে শাসক হচ্ছে তখন তাকেও একই ভাবে মেনে নিচ্ছে! বাবর লিখেছেন, ''বাংলাদেশর একটি অনন্য প্রথা হলো সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে এখানে স্বল্প ক্ষেত্রেই বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকার অনুসরণ করা হয়। যে কেউ রাজাকে হত্যা করে নিজেকে রাজা ঘোষণা করলে আমিররা, সৈনিকরা ও কৃষকরা তাঁকে তাৎক্ষনিক ভাবে মেনে নেয় - তার বশ্যতা স্বীকার করে এবং পূর্ববর্তী রাজার মতোই তাঁর অধিকার মেনে নেয় এবং তাঁর হুমুম তামিল করে। বাংলার লোকেরা বলে আমরা সিংহাসনের প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত থাকি।" আরও অনেকেই লিখেছেন এই অঞ্চলের মানুষের প্রতারণার কথা। মেকলে লিখেছিলেন, ''what the horns are to the buffalo , what the sting is to the bee, what beauty according to the song is to woman, deceit to the Bengalees."
কিন্তু এই সমস্ত নিয়েও আজকে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি তা আমরা ভাবব না? আমাদের দোষ, সমস্যা আমাদের থেকে কে আর ভাল জানে? যত রকমের প্রতিকূলতা সম্ভব তার প্রায় সবই তো আমাদের কপালে লেখা আছে। বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ৯৫ তম রাষ্ট্র আর জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম! আমাদের প্রতিকূলতা সম্পর্কে আরও কিছু বলার আছে? বিশ্বের ২% মানুষ বাংলাদেশে বাস করে। প্রতি ৫০ জনে একজন বাংলাদেশী! এগুলা গর্বের না, এগুলা হচ্ছে আমাদের প্রতিকূলতা। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নাই, জায়গা কম,বন্যা দুই দিন পরে পরে এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, আমাদের জনসংখ্যা বিস্ফোরণ করে বসে আছে। কোন হিসেবেই আমাদের দাঁড়ানোর কথা না। কিসিঞ্জারের কথা সবাই জানে। কিন্তু শুধু কিসিঞ্জার না। এমন আরও অনেকেই বলেছে আমাদের দাঁড়ানোর কোন সুযোগ নাই। Just Faaland ও Jack R. Parkinson নামের দুইজন অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশকে বলেছেন বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের অগ্নিপরীক্ষা। বেশিদিন আগে না, ২০০৩ সালে তাঁরা এই মন্তব্য করেছেন। তাদের কথা হচ্ছে বাংলাদেশের মত দুর্দশাগ্রস্ত কোন দেশ যদি উন্নতি করতে পারে তাহলে যে কোন দেশ উন্নতি করতে পারবে!
এই যে এত এত সমস্যা, তবুও উন্নয়ন যে হয়েছে তা তো অস্বীকার করার উপায় নাই। আমি নানান তথ্য উপাত্ত দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারি আমরা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছেছি। আমি ১৯৭০ শাসলের হিসাব এনে দেখাতে পারি তখন আমাদের কত টন খাদ্য শস্য উৎপাদন হত আর এখন কত হয়। এর মাঝে কৃষি জমি কমেছে, মানুষ বেড়েছে কয়েক গুণ। আমি দারিদ্রসীমার নীচের জনগোষ্ঠীর হিসাব এনে দিতে পারি যেখানে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে আমার দেশ। গড় আয়ুর কথা বলতে পারি, শিশুমৃত্যুর হারের কথা বলতে পারি, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সূচকের কথা বলতে পারি। এমন অনেক কিছু বলা সম্ভব। কালকের দৈনিকে হয়ত এই সব ছক করে প্রকাশ করবে কেউ। কিন্তু আমি যে উন্নয়ন দেখছি আমার চোখে তা কেউ বলবে কিনা আমি জানি না। আমি বরং সেই সব কথাই বলি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে সবচেয়ে বড় উদাহরণ এখন হচ্ছে বর্তমান সময়। এই কোভিড পরিস্থিতি। যারা আমরা একটু আগের খবর জানি তাদের কাছে এ এক বিস্ময়। আজকে থেকে বিশ বছর আগে যদি এই দিন আসত তাহলে আমাদের অবস্থা কী হত? হাটে ঘাটে মানুষ মরে পরে থাকত। ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ করত না এমন কোন কাজ থাকত না। মোড়ে মোড়ে লঙ্গরখানা খুলে মানুষকে খাওয়াতে হত। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, লক ডাউন, নানান বিধি নিষেধ সত্তেও আমাদের দেশে অন্তত এমন হাহাকার তৈরি হয়নি। মধ্যবিত্ত বিপদে পড়েছে কিন্তু যে নিম্নবিত্ত মানুষের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা তারা টিকে গেছে দারুণ ভাবে। আমার কাছে একে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে হয়।
আমার ছোটবেলায় আমি নিয়মিত দেখতাম বিদ্যুৎ নাই। এটা একেবারে অবধারিত বিষয় ছিল। দৈনিক রুটিন ছিল আমার সন্ধ্যার আগে হারিকেনের চিমনি মুছে পরিষ্কার করে কেরোসিন তেল ভরে রাখা। কুপি বাতিও একই রকম করে প্রস্তুত করা। তেল নাই হেঁটে গিয়ে তেল নিয়ে এসে সব তৈরি করে বসে থাকতাম আমরা। গরমের দিনে গরমে ছটফট করতে হত কারণ বিদ্যুৎ ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকত না। আমার এক খালার এমন অভ্যাস ছিল যে উনি ঘুমের মধ্যে হাত পাখা চালাতে পারতেন। ঘুমাচ্ছেন কিন্তু হাতে পাখা ঘুরছে! সুযোগ পেলে আমরা চেষ্টা করতাম খালার কাছে ঘুমাতে। বিদ্যুৎ এমন এক দুর্লভ জিনিস ছিল তখন। আর আজকে ক্ষণিকের জন্যও যদি বিদ্যুৎ যায় আমাদের নিজেদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগে যে কেন গেল বিদ্যুৎ? বিদ্যুৎ নাই এটাই মেনে নিতে ইচ্ছা করে না।
আমাদের বাড়িতে পরবর্তীতে আমাদের বোনদের, আত্মীয় স্বজনদের সংসারে একটা সময় দেখতাম নিয়মিত কাজের মানুষ কাজ করত। ওরা নিজেরাই এসে কাজ করে, খাবার নিয়ে বাড়ি চলে যেত। কোন বেতন নাই, চুক্তি নাই কিচ্ছু নাই। আম্মার কাজে হাত লাগাচ্ছে, কেউ চুলার জন্য গাছের পাতা জোগাড় করে আনছে, কেউ কাঠ চিড়ে লাকড়ি প্রস্তুত করছে। মাছ বাছা, ঘর মুছা কেউ না কেউ করছেই। এই কাজ গুলো যারা করত তাদের জীবন অনেকাংশেই আমাদের মত বাড়ির উপড়ে নির্ভর করে ছিল। বাড়ি ফেরার সময় রাতের জন্য খাবার নিয়ে চলে গেল। যদি বাড়িতে বাচ্চাকাচ্চা থাকে তো তার জন্যও নিয়ে গেল। এই শ্রেণীটা জাস্ট নাই হয়ে গেছে। এখন যখনই কেউ বলে কাজের লোক খুঁজে পাচ্ছে না তখনই আমি খুশিতে নেচে উঠি। আরেকজনের ঘরে কাজ করে জীবন চালাতে হয় না মানুষের। এর চেয়ে বড় মুক্তি কী? যারা এখন ঘরে বাড়িতে কাজ করে তারা চড়া বেতনে মাথা উঁচু করে কাজ করে। কিছু এদিক সেদিক হলে ব্যাগ ঘুছিয়ে চলল বাড়ির দিকে! করলাম না আপনের ঘরে কাজ! এ যে কত বড় অর্জন তা আমি বুঝাতে পারলাম কিনা জানি না।
আমার ছোটবেলায় আমরা থাকতাম ঢাকা শহরে। আমার জন্ম ঢাকা সিএমএইচে। খুব বেশি মনে নাই ঢাকার তখনকার স্মৃতির কথা। খুব অল্প করে যা মনে আছে তা হচ্ছে ঈদে বা কোন ছুটিছাটায় আমাদের বাড়ি ফেরার কথা। আম্মা খুব ভোরে উঠে প্রস্তুতি শুরু করত। ফজরের আজানের সময় রউনা হতে হত। অন্ধকার থাকতে থাকতে দ্রুত চলা। কিন্তু অবিশ্বাস্য কাণ্ড হচ্ছে যত ভোরেই রউনা দিতাম না কেন আমরা, আমরা কোনদিন দিনের আলো থাকতে শেরপুর পৌঁছাতে পারতাম না! অন্ধকার হয়ে যেত, জোনাকি পোকা ঝিকমিক করত। জোনাকি পোকা দেখা ছাড়া আমরা কোনদিন শেরপুরে আসতে পারতাম না। এখন জানি দুইশ কিলোমিটারের কম দূরত শেরপুর থেকে ঢাকা। যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিপ্লব করেছে বাংলাদেশ। আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে আমাদের পাশের জেলা জামালপুরে। মাত্র চৌদ্দ কিলোমিটার দূরে জামালপুর। মুশকিল হচ্ছে মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদী! একটা লক্কড় ঝক্কর বাসে করে নদীর ঘাট পর্যন্ত যেতাম। এরপরে বসে থাকো ফেরির জন্য। তখন এমনেই বয়স কম আমার। গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছা করত শুধু। বসে আছি তো আছি। হয়ত আমরা যাওয়া মাত্র ফেরি আমাদের এই ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে। ওই পাড়ে যাবে, এদের নামাবে, সম্পূর্ণ ফেরি ভরার জন্য অপেক্ষা করবে। যখন সম্পূর্ণ ফেরি ভরবে তখন আবার রউনা দিবে এই পাড়ের দিকে। এই যন্ত্রণা বলে বুঝানো যাবে না। এখন ভাবি আমি এই ছোট নদীর পাড়ে বসে ছটফট করছি। যারা যমুনার পাড়ে গিয়ে এমন পরিস্থিতে পড়েছে তাদের কেমন লাগছে? এখন পনেরো বিশ মিনিটে যাওয়া যায় জামালপুরে!
১৯৯৮ বিশ্বকাপের সময় পিচ্চি একটা সাদাকালো টেলিভিশন কেনা হয় আমাদের। উত্তেজনায় ছটফট করতেছি আমরা। আমাদের ঘরে টেলিভিশন! দুই এক বছর পরে আমাদের মহল্লায়, সম্পর্কে আমাদের মামা হয়। তারা একটা রঙিন টিভি কিনে আনলেন! সাথে ক্যাবল লাইন! উনারা কী মনে করল না করল তা দেখার চিন্তা করতাম না। রঙিন টিভি দেখতে যেতাম প্রায়ই। এখন, এই কিছুদিন আগে খুব দুর্গম এক এলাকায় গিয়েছিলাম একটা কাজে। দোকানে চা খেতে বসেছি। দেখি রঙিন টেলিভিশন চলছে দোকানে! পাঁচ টাকা কাপ চা দশ পনেরো টাকা দামের সিগারেটের সাথে বসে বসে খাচ্ছে মানুষ! মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্রুত কই থেকে কই চলে গেছে না দেখলে বিশ্বাস হত না কোনদিন।
আমি এমন টুকরো টুকরো আরও অনেক কিছুই বলতে পারব যা আমাদের এই পঞ্চাশ বছরের অর্জন। নতুন করে সব করতে হয়েছে আমাদের। পাকিস্তানীরা যাওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থেই সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছিল। একটা জাতি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করছে, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কত বড় অর্জন তা আমাদের বুঝা উচিত। কত শঙ্কা, কত বাধাবিপত্তি পারি দিতে হয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে, ভারত নিয়ে নিবে, পাকিস্তানের হাত থেকে ভরতের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ঋণের তলেই অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে, এরা খেলাধুলা পারে না, দুর্বল জাতি, অপুষ্টিতেই বেশি ভুগে এরা, বন্যায় শেষ করে দিবে এদের, এত জনসংখ্যা এদের যে এর চাপেই শেষ হয়ে যাবে এমন হাজারো কথা বলা হয়েছে আমাদের নিয়ে। পঞ্চাশ বছর, কী অপূর্ব একটা মুহূর্ত! আমরা আমাদের পরিচয় দিতে পারি এখন। কত কমতি আছে তার হিসাব না হয় আজকে আর নাই নিলাম। কোথা থেকে কোথায় আসছি তার দিকে কি নজর দিব না আমরা? ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত উত্থান না আমাদের? যুদ্ধ পরবর্তীতে আমাদের কী ছিল? কিচ্ছু না, একেবারে খাটি বাংলায় বললে বলতে হবে যে আমাদের কিচ্ছু ছিল না, সোজা কিচ্ছু ছিল না। অর্থনীতি বলতে কিছু ছিল না। আজকে আমরা কই? আমাদের অর্জন গুলা আমরা আজকে গর্ব করে বলব না? হানাহানি, দলাদলি তো করছিই প্রতিনিয়ত, আজকেও কেন আমরা তাই করব? আজকে তো গর্বের দিন। বেঁচে থাকলে আবার হীরক জয়ন্তী করব, প্লাটিনাম জয়ন্তী করব, আজকে সুবর্ণ জয়ন্তী পেয়েছি আমরা আমাদের মাঝে, তা আমরা উদযাপন করব না?
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা সকলকে।
বেশ কিছু উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে। আমি বাঙালী হিসেবে গর্বিত, শুভেচ্ছা নিরন্তর।
সুবর্ণ জয়ন্তীর অভিনন্দন। জীবনযাত্রার মান বদলের ছবি খুব সহজ আর সুন্দর ভাষায় আঁকা হয়েছে। যদিও এই জাতীয় অভিজ্ঞতা মোটামুটিভাবে সমগ্র উন্নয়নশীল দুনিয়ার, তবু বাংলাদেশ বিশেষ কৃতিত্বের দাবী রাখে একাত্তরের নিরীখে। গবেষকরা বলছেন, এর মূলে আছে শিক্ষা আর নারী উন্নয়ন। বাংলাদেশ মডেল আরো সফল হোক। শুভেচ্ছা।
সুবর্ণ জয়ন্তীর অভিনন্দন।বাঙালি হিসেবে খুব গর্বিত বোধ করি আপনাদের সাফল্যে | সবচেয়ে বড়ো স্বীকৃতি এসেছে আপনাদের প্রিয় শত্রু পাকিস্তানের তরফ থেকেই যেখানে সবাই এখন বলে "খুদা কে লিয়ে হামে বাংলাদেশ বনা দিজিয়ে |" এর থেকে বড় সাফল্য আর কি হতে পারে ? এপার বাংলা তো শেষ আর কিছুদিন পরে বাঙালি বলতে আপনারাই থাকবেন আপনাদের অভূতপূর্ব জ্বীবনীশক্তি নিয়ে | আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ |
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের সকল জনগণকে অনেক শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। সোনার বাংলাদেশ তৈরী হোক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সফল হোক।
আমার পরিবার বাংলাদেশ থেকেই এসেছে। তাই হয়তো টান অনুভব করি। তার কাঁটা দিয়ে জমি ভাগ করা যায়, মন ভাগ করা যায় না।
তবে এই সুন্দর সময়ে আমন্ত্রিতদের লিস্ট একটু বেছে বেছে তৈরী করলে আরো খুশি হতাম।
খুবই প্রিয় বাংলাদেশ, নিজের দেশ বলেই মনে হয়। শুভেচ্ছা
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কমেন্টে রিয়েক্টা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে সকল কমেন্টের নিচে লাভ রিয়েক্ট দিতাম। একজন আমন্ত্রিত অতিথিদের কথা বলেছেন। তিনি কোন দিকে ইংগিত করেছেন বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু আপনি এটা বুঝতেছেন না আসলে এর সাথে মোদিকে মিলানোর যুক্তি নেই। আজকে যদি প্রধানমন্ত্রী অন্য কেউ হত ভারতের তবুও একই কাণ্ড হত। আমাদের দায় ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করার। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হবে আর মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবে না তা হয় না। সমস্যা করেছে ভারতীয় জনগণ, এমন একজনকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন যে ক্ষোভের আগুন জ্বলতেই আছে মানুষের মনে। সকলকে আবারও ধন্যবাদ। সুখি সমৃদ্ধি বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হোক আমাদের।