এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টাটকা খবর

  • মানবাধিকার কর্মীর হেনস্থা

    admin লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | টাটকা খবর | ১০ এপ্রিল ২০১০ | ৩৬৩ বার পঠিত
  • বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ( MASUM )এর সেক্রেটারী শ্রী কিরীটি রায়কে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট বিভাগ গ্রেপ্তার করে গত সাত ই এপ্রিল। এখন ছাড়া পেলেও এই গ্রেপ্তার এর পটভূমি ও যাথার্থ্য নিয়ে উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। সেই নিয়ে মাসুম ও এশিয়ন হিউম্যান রাইটস কমিশনের বক্তব্যের অংশবিশেষ অনুবাদ করেছেন সুদেবী রায়।

    গত সাতই এপ্রিল প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী কিরীটি রায়কে পিপল্‌'স ট্রাইবুনাল অন টর্চার এর জড়িত থাকার অপরাধে বেআইনী ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রী রায় বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)এর সেক্রেটারী এবং প্রোগ্রাম এগেইনস্ট কাস্টোডিয়াল টর্চার অ্যান্ড ইম্পিউনিটির ( PACTI ) জাতীয় কনভেনার। এই গ্রেপ্তার শুধু বেআইনীই নয়, ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটিও রীতিমতো হাস্যকর।

    পটভূমি :

    ২০০৮ সালের নয় ও দশই জুন 'মাসুম'এর সদস্যরা ন্যাশনাল প্রোজেক্ট অন প্রিভেন্টিং টর্চার ইন ইন্ডিয়া ( NPPTI ) প্রোগ্রামের এক অংশ হিসেবে কলকতার মৌলালীতে একটি পিপল্‌স ট্রাইবুনাল অন টর্চার আয়োজন করেন। এখানে প্রায় বারোশো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও তাঁদের পরিবার যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৮২ জন অত্যাচারিত মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা সভ্যদের কাছে খুলে বলেন। এখানে বলে রাখা দরকার যে এই সভ্যদের মধ্যে অনেকেই জাতীয় স্তরে বিখ্যাত ও সমাজে রীতিমতো সন্মানিত।

    এই ধরণের প্রোগ্রামে সারা পৃথিবীর মানুষ যে নিয়মে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে কাজ করে আসছেন সেই একই কাজে নামার পরে কলকাতা পুলিশ 'মাসুম' এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

    এই এফ্‌আইআর কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে যে কেস চলছিলো মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট আটই এপ্রিল, ২০১০ তার শুনানির তারিখ দিয়েছিলেন।

    আজকের (সাতই এপ্রিল, ২০১০) হেনস্থা :

    আজ সকাল পৌনে দশটা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে শ্রী রায়ের বাড়িতে ইনস্পেক্টার এস ঘোষাল, ইনস্পেক্টার বিশ্বাস ও সাব-ইনস্পেক্টার পারভেজের নেতৃত্বে রাইফেল ও রিভলভার সহ পুলিশের একটি বিরাট দল হানা দেয়। এই দলে প্রায় পঁচিশজন সাদা পোশাকের পুলিশ ছিলেন। দলের মধ্যে মাত্র তিনজনই উর্দিধারী পুলিশ ছিলেন, তাঁরা স্থানীয় থানার কর্মী । এঁরা তালতলা থানার ৯/৬/২০০৮ তারিখের কেস নাম্বার ১৩৪/২০০৮ ও জি আর ১৪৮৭/০৮ এর সূত্রে শ্রী রায়কে গ্রেপ্তার করেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি টেররিস্ট দপ্তর শ্রী রায়কে ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০বি,১৭০ ও ২২৯ ধারায় অভিযুক্ত করেন।
    গ্রেপ্তার করা কালীন উর্দি না পরে ছদ্মবেশে গিয়ে পুলিশ ডি কে বসু জাজমেন্ট গাইডলাইনের নিয়ম ভেঙেছে। শুধু তাইই নয়, শ্রী কিরীটি রায়কে গ্রেপ্তার করার সময় যে 'মেমো অফ অ্যারেস্ট' দেওয়া হয় তাও আগে থেকেই তৈরী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। এটাও ডি কে বসু জাজমেন্ট গাইডলাইনের নিয়মের বিরুদ্ধে। 'মেমো অফ অ্যারেস্ট'এ গ্রেপ্তার করার জায়গার ঠিকানা প্রথমে দেওয়া হয়নি। পরে বন্দী জোর করলে একজন ঐ মেমোয় ঠিকানাটা লিখে দেন। কিন্তু আদতে তিনি এই মেমো তৈরীই করেননি।'মেমো অফ অ্যারেস্টের' মত অফিসিয়াল নথি এভাবে নিজের ইচ্ছে মত পাল্টানো আইন-সম্মত নয়। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবার আগে শ্রী রায়কে এমনকী বাথরুমেও যেতে দেওয়া হয়নি। আবার পরে ওঁকে ওঁর উকিলের সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করতেও দেওয়া হয়নি। এতে ভারতীয় সংবিধানের ২২ নম্বর আর্টিক্‌ল্‌ অনুযায়ী বন্দীর অধিকারের নিয়ম ভাঙা হয়। এই কেসের তদন্তের ভারপ্রাপ্ত অফিসার শ্রী এস ধর এই গ্রেপ্তারের সময় অকুস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

    পরে প্রায় দুপুর পৌনে দুটোর সময় শ্রী রায়কে চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের (CMM) সামনে পেশ করার জন্য কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টের লক্‌আপে নিয়ে আসা হয়। এতক্ষণ পর্যন্ত সময়ে বারবার অনুরোধ করা সত্বেও ওঁর উকিলের সাথে ওকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোর্টের কাছে কোনো কাগজপত্রও দাখিল করা হয়নি। এই কারণেই শ্রী রায়ের জামিনের শুনানিরও অনেক দেরি হয়ে যায়। প্রায় বিকেল চারটে পঁয়ত্রিশে ওঁর পক্ষের অ্যাডভোকেট এসে এই দিকে কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরে প্রসিকিউশনের তরফ থেকে রেকর্ড ও নথিপত্র দাখিল করা হয়েছিলো। পাব্লিক প্রসিকিউটার খুব জোরের সাথে দাবী জানান যেন বন্দীর জামিন মঞ্জুর না করা হয়। কিন্তু ডিফেন্স পক্ষের কাগজপত্র দেখার পরে সিএমএম বন্দীর জন্য অ্যাড ইন্টেরিম জামিন মঞ্জুর করেন।এই পুরো ঘটনা ঘটার সময় শ্রী রায়কে সিএমেম এর সামনে সশরীরে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। এটাও ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী বন্দীর অধিকারের নিয়মের ঘোরতর বিরুদ্ধে।
    এর পরে সই সাবুদ মিটিয়ে শ্রী রায়কে প্রায় সন্ধ্যে ছটা'র সময় জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।এখানে বলে রাখা দরকার যে এই কেসে পুলিশ যে চার্জশীট জমা দেয় তাতে আট জন অভিযুক্তর নাম ছিলো -- এনপিপিটিআই এর স্টেট ডিরেক্টর শ্রী কিরীটি রায়,অ্যাডভোকেট ও এনপিপিটিআই এর সিনিয়ার লিগাল অফিসার শ্রী অভিজিৎ দত্ত,এনপিপিটিআই এর জাতীয় ডিরেক্টর অ্যাডভোকেট শ্রী হেনরী টিফেন, এনপিপিটিআই এর সিনিয়ার লিগাল অ্যাডভাইসার অ্যাডভোকেট শ্রী শুভাশীষ দত্ত,এনপিপিটিআই এর এসপিএ শ্রী শুভ্রাংশু ভাদুড়ী ও এনপিপিটিআই এর ডিএইচ্‌আরএম শ্রীমতি সুস্মিতা রায়চৌধুরী, শ্রীমতি তনুশ্রী চক্রবর্তী ও শ্রীমতি অদিতি কর। এঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয় তা হল ভারতীয় দন্ডবিধির দফা ১২০বি (ক্রিমিন্যাল কন্সপিরেসী), ১৭০( পার্সোনেটিং এ পাব্লিক সার্ভেন্ট),২২৯ (পার্সোনেটিং অফ অ জুরর),৪৬৭ (ফোর্জারী অফ এ ভ্যালুয়েব্‌ল সিকিউরিটি .... অর টু রিসিভ মানি),৪৬৮(ফোর্জারী ফর দি পার্পাস অফ চিটিং) ও ৪২০ (চিটিং)।
    এর পরে সই সাবুদ মিটিয়ে পুলিশ প্রথমে এফ্‌আই আর এ যেমন বলা আছে সেই তিনটে দফার অভিযোগই এনেছিলো (১২০বি,১৭০ আর ২২৯) কিন্তু পরে চার্জশীটে বাকি তিনটি দফাও জুড়ে দেওয়া হয় (৪৬৭,৪৬৮,৪২০)। আদালতকে আগে থেকে কিছু না জানিয়ে, কোনো অনুমতি ছাড়াই এভাবে বাকি তিনটি দফা চার্জশীটে জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অবশ্য কোর্ট জুডিশিয়াল অবসার্ভেশনে রাখেন।

    'মাসুম'এর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী শ্রী অভিজিৎ দত্তকে গত চৌঠা এপ্রিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অ্যান্টি টেররিস্ট বিভাগ ১৬০সি ধারায় সমন ধরায়। শ্রী দত্ত, যিনি নিজে একজন আইনজীবি এই সমনের উত্তরে অফিসে হাজিরা দেন এবং তাঁর সম্পর্কে অফিসার শ্রী এস ধর নানা তদন্তও করেন। তা সত্বেও এই চার্জশীটে ওঁকে 'ফেরার' বলে লেখা হয়। শুধু ওঁকেই নয়, অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি ছ'জনকেও 'ফেরার' বলে চিহ্নিত করা হয়।

    এই গ্রস প্রসিজিওরাল ভায়োলেশন ও জুডিশিয়াল মিস্‌অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনের দিকে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই :-

    ১। পুলিশী তদন্ত যদিও ছ'মাসের মধ্যে শেষ হওয়া উচিৎ ছিলো, তবু লেগেছে এক বছর দশ মাস।

    ২। হাইকোর্টের শুনানির ঠিক একদিন আগে সাতই এপ্রিল শ্রী রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এই কেসকে পন্ড করতে চেয়েছে।

    ৩। এই পুরো ব্যাপরাটাই পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও সরকারের মতের বিরুদ্ধে কেউ গলা তুললেই তাকে চুপ করিয়ে দেবার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। মাসুম যেহেতু অত্যাচারিতদের কথা তুলে ধরছে সেই জন্য এই ভাবে তাদের দাবিয়ে রেখে মানুষের আইনী অধিকার আদায়ের রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

    ৪। এই ঘটনার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানবাধিকার কর্মীদের মোকাবিলা করতে চান পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট দপ্তর দিয়ে।

    ৫। অ্যাপেক্স কোর্টে ডি কে বসুর কেসের যে সমস্ত নিয়ম পুলিশী গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে রয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মেনে চলেনা।

    ৬। ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সরকার মানুষের অধিকার নিয়ে, মানুষের আইনী দাবি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রাস্তা বেছে নিচ্ছেন। আর অত্যন্ত অ-গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সমস্ত গণতান্ত্রিক মুল্যবোধকে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে।

    এশিয়ন হিউম্যান রাইটস কমিশন:

    কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট বিভাগ আজ সকালে বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ( MASUM )এর সেক্রেটারী শ্রী কিরীটি রায়কে গ্রেপ্তার করেছে। এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্‌স (ACHR) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। ওঁরা বলেছেন যে এটা প্রতিবাদকে চাপা দেবার একটা মরিয়া প্রচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

    ২০০৮ সালের নয় ও দশই জুন একটি পিপল'স ট্রাইবুনাল অন টর্চার গড়ে তোলার জন্য এই কেসটি দায়ের হয়।
    কিরীটি রায় শুধুমাত্র এই পিপল'স ট্রাইবুনাল অন টর্চারের আয়োজকদের মধ্য একজন ছিলেন। এঁদের মধ্যে আরো যাঁরা ছিলেন তাঁরা হলেন -- উইমেন'স ফীচার সার্ভিসের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর শ্রীমতি পামেলা ফিলিপোস,এনএইচ্‌আরসি'র (NHRC)প্রাক্তন সিনিয়ার ডিরেক্টর শ্রী অশোক চক্রবর্তী,সিকিম হাইকোর্টের প্রাক্তন চীফ জাস্টিস জাস্টিস মলয় সেনগুপ্ত,ন্যাশন্যাল কমিশন ফর উইমেনের প্রাক্তন চেয়ার ড: মোহিনী গিরি,প্রাক্তন ডিস্ট্রিক্ট ও সেশন জাজ শ্রী আশুতোষ মুখার্জী, 'মন ফাউন্ডেশন'এর এমডি সাইকায়াট্রি ড: তাপস ভট্টাচার্য্য ও ড: সত্যজিৎ আশ,সাইকায়াট্রিস্ট ড: শ্রীমন্তি চৌধুরি,কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড: এ কে গুপ্ত ও আরো অনেকে।

    শ্রী রায় কলকাতা হাইকোর্টে এফ্‌আই আর নাম্বার ১৩৪/২০০৮ এর যাথার্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন (কিরীটি রায় ভার্সেস স্টেট অফ ওয়েস্টবেংগল অ্যান্ড আদার্স ভাইড ডাব্লুপি নাম্বার ২৫০২২(ডাব্লু) অফ ২০০৮। ২০০৯ সালের ছাব্বিশে অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের জাস্টিস সঞ্জীব ব্যানার্জী 'শ্রী রায় কোনো প্যারালাল জুডিশিয়ারি সত্যিই গড়ে তুলেছেন কিনা সেইই নিয়ে আরো পুলিশি তদন্ত হওয়া দরকার' এই মর্মে এই রিট পিটিশন খারিজ করেন। শ্রী রায় ডিভিশন বেঞ্চে চীফ জাস্টিস মোহিনী রঞ্জন শাহ ও জাস্টিস পিনাকী চন্দ্র ঘোষের কাছে একটি আপিল করেন (খঅঝ ১২১৯/২০০৯) সঙ্গে একটি স্টে অ্যাপ্লিকেশন দেন (ই.অ.গ ১০৫১১/২০০৯)। আগামী কাল অর্থাৎ ২০১০ সালের আটই এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই কেসটির শুনানি আছে।

    এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস এর ডিরেক্টর শ্রী সুহাস চাকমা বলেছেন --" এই যে শুনানির ঠিক একদিন আগে কিরীটি রায়কে এভাবে গ্রেপ্তার করা হলো এর থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে যাঁরা সুবিচার চান দেশের মানবাধিকার রক্ষা করতে চান তাঁদের দাবিয়ে রাখা হবে। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যাঁরা দ্বিমত পোষণ করেন তাঁদের চুপ করিয়ে রাখার একটা মরিয়া চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।'

    ১১ই এপ্রিল, ২০১০

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১০ এপ্রিল ২০১০ | ৩৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন