এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টাটকা খবর

  • লকডাউন(মে, ২০২১) নিয়ে দু-চার প্রশ্ন

    স্বাতী রায়
    খবর | টাটকা খবর | ১৫ মে ২০২১ | ৩০৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • আবার লকডাউন। আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ই মে সকাল ছ’টা থেকে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, ৩০শে মে অবধি। ইমার্জেন্সি আর এসেনসিয়াল সার্ভিস ব্যতীত সরকারি/ বেসরকারি দপ্তর, স্কুল-কলেজ, শপিং মল, পার্ক ইত্যাদি ইত্যাদি সব বন্ধ। সাধারণের জন্য গণপরিবহন বন্ধ। হাসপাতাল, ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার ইত্যাদি জায়গায় যাওয়া-আসা বা চিকিৎসা সংক্রান্ত দরকারে ছাড়া প্রাইভেট গাড়ি, অটো, ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ। বাজারহাট- মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে শুধু নির্দিষ্ট সময় মেনে। রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি নাইট কারফিউ থাকবে।
    লকডাউন ভাল কি মন্দ সে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। নিশ্চয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত। তবু নিতান্ত সাধারণ নাগরিক হিসেবে, মানে যাদের ফুটো জনতা বলে, সেই হিসেবে কটা কথা মনে হচ্ছে।
    প্রথম কথা লকডাউন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এই রাজ্যের একটা বড় জনভারের অংশ ইতিমধ্যেই গত লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপর রাজ্যের উপর দিয়ে গেছে আম্ফানের মতন বড় দুর্বিপাক। গ্রামে-গঞ্জে দিকে দিকে কোভিড ছড়িয়ে পড়েও রুটি-রুজি মার খেয়েছে অনেকের। তার উপর এই আচমকা একদিনের নোটিসে লকডাউন। পেটের ভাত জুটবে তো সকলের? উপোষী পেটে কোভিড সংক্রমণ কিন্তু প্রায়-নিশ্চিত মৃত্যুর প্রেসক্রিপশন। কেন “দুয়ারে রেশন” এর মত সুবিধার কথা ভাববে না সরকার? আর শুধু তো রেশন নয়, বেঁচে থাকতে লাগে আরও কিছু জিনিস। যেসব মানুষ লকডাউনের চক্করে সাময়িক জীবিকাহারা হলেন বা আগেই জীবিকা হারিয়ে অসহায় বিপন্নতার দরজায়, সেই অজস্র অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত / একদা-জড়িত মানুষদের জন্য কেন সরাসরি সাময়িক আর্থিক ভাতা দেওয়া হবে না? এবং কেন নিশ্চিত করা হবে না যে সেই অর্থ বিপন্ন মানুষ পাবেন ‘দাদা’ না ধরে, কাউকে তার থেকে ভাগ না দিয়ে?
    এছাড়াও গত লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে একা সরকার কিছুই করতে পারে না যদি না পাশে সাধারণ মানুষও দাঁড়ায়। বয়স্কদের দেখভাল থেকে দুঃস্থদের খাবার জোগান। এবছর তো আরও করুণ অবস্থা। সারা রাজ্যে অগুনতি স্বেচ্ছাসেবী রাতদিন এক করে আতুর মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন। যতই বলা থাক আপদকালীন পরিস্থিতিতে পথে বেরোন যাবে, তবু যে দেশে ডিএমের নেতৃত্বে বিয়েবাড়িতে গিয়ে পুলিশ বিনা-প্ররোচনায় লোকের গায়ে হাত তোলে, লাঠি চালায়, সেদেশে অক্সিজেন-সিলিন্ডারের সন্ধানে রাতবিরেতে ছোটাছুটি করা, কোভিদ-রুগীর বাড়ি বাড়ি খাবার ওষুধ পৌঁছে দেওয়া বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েরা যাদের কোন আই ডি নেই, তারা কতখানি নিরাপদ? এই প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রসঙ্গত এটাও জানিয়ে রাখা যাক যে এই বিষয়ে তন্ময় ভট্টাচার্য ব্যক্তিগত পরিচয়ের সূত্রে জেনেছেন ও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যে ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে একটা প্রমাণপত্র থাকা খুবই জরুরী। অক্সিজেন প্রয়োজন বা প্রেস্ক্রিপশনের ছবি বা পুলিশ আটকালে পেসেন্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি কথা বলিয়ে দেওয়া এগুলো তাদের নিরাপত্তার ঢাল হতে পারে।
    দ্বিতীয়ত আমরা নিরীহ নাগরিক। গতবছর আমাদের ( কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ) থালা-বাটি বাজাতে বলা থেকে গোবর খাওয়া অবধি যাই বলা হয়েছে, আমরা, অনেকখানি খিল্লিসহকারে হলেও, মোটের উপর মেনে নিয়েছি। তেমন একটা ত্যান্ডাই ম্যান্ডাই করিনি। কারণ আমাদের ভরসা ছিল যে লকডাউন হল সময়-কেনার উপায়। এই সুযোগে সরকার স্বাস্থ্যপরিষেবার ইনফ্রাস্ট্রাকচারে তাপ্পি মারবেন, নিজেদের শক্তি বাড়াবেন যাতে পরের ঢেউএর সঙ্গে যুঝতে সুবিধা হয়। কিন্তু তারপরেও আমরা দেখলাম, রাজা উলঙ্গ। স্বাস্থ্যপরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে এখন সামনে তৃতীয় ঢেউ এর জুজু। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, সরকারের থেকে জানতে চাই যে তারা ঠিক কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন অতিমারি প্রতিরোধের, পরীক্ষার , চিকিৎসার এবং সামগ্রিক ম্যানেজমেন্টের জন্য। জেলাওয়ারি পরিকল্পনার খতিয়ান দিন। Immediate, short term আর long-term plan জানার অধিকার আছে নাগরিকদের। যে জায়গা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারের ভিতরে সেখানে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বলুন। আর যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, সেখানে আপনারা কী করতে চাইছেন যাতে তাদের সাহায্য চাই সেটাও নাগরিকদের জানান। আমাদের অনেক প্রশ্ন। জেলায় জেলায় ২৪*৭ ওয়ার রুম কই? কালোবাজারি রোখার কী ব্যবস্থা? লোকের সমস্যা শোনার কান কই? সমস্যা সমাধানের সদিচ্ছা? বেসরকারি ব্যবস্থায় অসুস্থ মানুষ যে ফকির হতে বসেছে, তার প্রতিকার কই? তৃতীয় ঢেউ এর মোকাবিলার প্রস্তুতি কই? ইত্যাদি ইত্যাদি। এই লিস্ট অনেক লম্বা। মেঠো রাজনৈতিক বক্তৃতা অনেক হয়েছে । এবার সেসব শিকেয় তুলে প্রত্যেকটা পয়েন্ট ধরে ধরে বলুন যে কোন খাতে আপনাদের কি প্ল্যান। এবং নিয়মিত আপডেট দিন যে কোন কাজ কতদূর এগোল। পরিস্থিতি অনুসারে কর্মসূচীর প্ল্যানিং এবং যথাযথ স্বচ্ছতার সঙ্গে তার ট্র্যাকিং ও কার্যকরিতার পর্যালোচনা এইগুলোই কিন্তু যে কোন নাগরিকের সরকারের উপর ভরসা বাড়ায়। ভরসা বাড়লে বিভিন্ন সরকারি সীমাবদ্ধতার প্রতিও সহানুভূতি বাড়বে।
    যেকোন সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইট খুললেই মুখ্যমন্ত্রীর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ডে টাকা দেওয়ার জন্য পপ আপ ভেসে আসছে। আমার ধারণা অনেকেই টাকা দিতে প্রস্তুত। দরকারে স্বেচ্ছাশ্রমও দিতে পারে অনেকে। কিন্তু টাকা বা শ্রম যাই হোক দিতে গেলেও তো জানতে ইচ্ছে হয়, আমার দেওয়া টাকা বা শ্রম কোন খাতে ব্যবহার হবে? সত্যি সত্যিই কাজে লাগবে তো? সেই ভরসাটুকু জোগানো সরকারের কাজ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১৫ মে ২০২১ | ৩০৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৬ মে ২০২১ ০৬:৪৬106061
  • খুব গোছানো স্পষ্ট চিন্তা। এই প্রশ্নগুলো বিভিন্ন ফোরামে নাগরিক পরিসরে উঠুক।

  • Sandip Datta | ১৬ মে ২০২১ ০৬:৫৬106062
  • রাজা রাণী দুই ই উলঙ্গ, ভাবতে খারাপ লাগে। এই তো আমার দেশ, যেখানে মুখ খুললেই শেষ। এই তো মোদের দেশ যেখানে লড়তে লড়তে শেষ।

  • amit | 203.0.3.2 | ১৬ মে ২০২১ ০৭:০০106063
  • প্রধান সেবক তো আম খাওয়া ছাড়া অন্য প্রশ্ন করার অবকাশ ই দ্যান না। শুধু মাঙ্কি দের বাত শোনাতেই ব্যস্ত। 

  • অরিন | 118.149.84.119 | ১৬ মে ২০২১ ০৮:০৮106065
  • আপনি যেটা লিখেছেন সেইটাই একেবারে ঠিক। লকডাউন সরকারকে ঘর গুছাতে সময় দেয়। এই সময় হু হু করে কনট্যাকট ট্রেসিং এর ব্যাকলগ কমানো, ভ্যাকসিন দেওয়া, বাবল তৈরী করা, এই সব না করে উঠতে পারলে কোন লাভ নেই। আর এখন মোটামুটি বোঝা যাচ্ছে indiscriminate লক ডাউন করলে হিতে বিপরীত। 

  • dc | 122.174.150.141 | ১৬ মে ২০২১ ০৮:৫৫106066
  • আমাদের দেশে  লকডাউনের মানে হয়ে দাড়িয়েছে সবার সব কাজ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকো। লকডাউনের দরকার যে মেডিকাল ইনফ্রা বানানোর জন্য, সেকথা আর কেউ বলেনা। 

  • শেখর সেনগুপ্ত | 45.251.233.136 | ১৬ মে ২০২১ ০৯:২১106067
  • আজ থেকে আবার লকডাউন শুরু হলো। গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে লকডাউন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো নাগরিকদের মধ্যে উঠে আসছে সেগুলো স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরার জন্য স্বাতীকে ধন্যবাদ। 


    লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য যদি হয় সরকারকে ঘর গোছাতে সময় দেয়া, তবে  নাগরিকদেরও জানার অধিকার আছে যে যে এই ঘর গোছানের  সময়ে স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রে সরকারের  স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো কী কী। গণপরিবহন বন্ধ রেখে কীভাবে টিকাকরণ, কোভিড নির্ণয়ের পরীক্ষা,  ইত্যাদি চলবে, কীভাবেই বা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সংকটাপন্ন রুগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে তার কোনও দিশা লকডাউন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনামায় নেই। ভোটের আগে যদি "দুয়ারে সরকার" যেতে পারে তবে লকডাউনের সময় অন্তত স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হবে না কেন? তাছাড়া, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষজন যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কাছে বিনামূল্যে রেশন কীভাবে পৌঁছাবে, চাল, গম ছাড়াও দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার টাকা-পয়সাও তাদের কীভাবে জুটবে তারও কোনও দিশা নেই। ব্যাংক ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলো চালু থাকবে, কিন্তু সেসব ক্ষেত্রের কর্মীরা কী করে কাজের জায়গায় পৌঁছাবেন তাও অজানা থেকে গেল। 


    এরকম হুট করে লকডাউন ঘোষণা না করে বরং জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীদের প্রস্তাব মতো টেস্ট ও টিকাকরণ বাড়ানো, সংক্রমিত এলাকাগুলোকে মাইক্রোকনটেন্টমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার পদক্ষেপ নিলে বেশি ফলপ্রসূ হতো বলে মনে হয়।

  • Anindita Roy Saha | ১৬ মে ২০২১ ১০:৪১106068
  • এতো প্রশ্ন করেন কেন আপনারা? সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা মিষ্টি খান আর দুপুর বারোটা থেকে তিনটের মধ্যে শাড়ী গয়না কিনতে যান। 

  • প্রতিভা | 115.96.108.5 | ১৬ মে ২০২১ ১০:৫৯106069
  • চাই তো অনেককিছুই। চাওয়া উচিতও। তবে আপাতত আর কিছু চাইছি না। লক ডাউনের ঘোষণার পর শুধু দু/তিনটে দিন সময় দেওয়া হোক। ঈদে যারা বাড়ি গেছিল, তারা তো স্বস্থানে ফিরুক। অন্যদের অসুবিধেও একটু কমুক। কাল পরিবহনে রেকর্ড ভিড় ছিল। করোনা ছড়াবে না !  

  • π | ১৬ মে ২০২১ ১১:২৯106074
  • এই ভয়টাই ছিল। লকডাউনের এই স্বল্প নোটিসে জেলায় জেলায় বাড়ি ফেরার জন্য বাসে গাড়িতে তুমুল ভিড় হবে, কতজন যে ফিরতে গিয়ে সংক্রমিত হবেন, তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে! 


    কোলকাতা থেকে এভাবে ফিরলেই আইসোলেশন, আর বড় হারে টেস্টিং কি কোনভাবেই সম্ভব নয়! টেস্টিং কেন বাড়ানো হচ্ছেনা?  গ্রামের দিকের সেন্টারগুলোতে শুনছি অনেক কম টেস্ট কিট।


    এখন তো স্বাস্থ্যকর্মী, আশা দের ঘরে ঘরে ঘুরে জ্বরের সার্ভে খুব বেশি করে দরকার!

  • অরিন | ১৬ মে ২০২১ ১১:৪৩106075
  • পাই: "এই ভয়টাই ছিল। লকডাউনের এই স্বল্প নোটিসে জেলায় জেলায় বাড়ি ফেরার জন্য বাসে গাড়িতে তুমুল ভিড় হবে, কতজন যে ফিরতে গিয়ে সংক্রমিত হবেন, তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে! "


    একেবারে সত্যি কথা | 


    যে কোন মহামারীতে এইটা হবে | মানুষ হয় পালাতে চান, না হলে লুকোতে চান। লক-ডাউন হলে তো কথাই নেই | যখন ইনফেকশন রেট কম থাকে, শুরুর দিকে এই ধরণের লকডাউনে এক রকম কাজ হয় | কিন্তু এখন, বিশেষ করে যখন জানা আছে যে, কিছু না হলেও ৪৫-৫০% (হয়ত আরো বেশী) Asymptomatic/Presymptomatic মানুষ বদ্ধ (3C: close contact, closed spaces, congestion) আবহাওয়ায় একে অপরকে সংক্রমিত করতে থাকেন, এবং এপিডেমিকটি ওভারডিসপার্সড, এই অবস্থায় অমনিবাস লকডাউন মানুষের পক্ষে বা দেশের পক্ষে খুব উপকারী নাও হতে পারে। ফোনে যে ভদ্রলোক কথা বলছেন তাঁকে দেখুন, মুখে মাসক নেই কিন্তু | এই ধরণের বাস ঘিঞ্জি হওয়াই স্বাভাবিক। 

  • π | ১৭ মে ২০২১ ০৮:৫৩106131
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন