এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • বিনায়ক সেনের বিচার - কিছু কাটাছেঁড়া

    খবরোলা লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ০৪ জানুয়ারি ২০১১ | ১০১৭ বার পঠিত
  • বিনায়ক সেন মামলার রায় নিয়ে নানা মহল থেকে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। রইলো সেরকম ই কিছু বিশ্লেষণ :

    ইলিনা সেন, সুধা ভরদ্বাজ এবং কবিতা শ্রীবাস্তবের নোট থেকে

    রায়পুর, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

    আপনারা সকলেই জানেন যে রায়পুরের সেকেণ্ড অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাণ্ড সেশনস জাজ বি পি ভার্মা গত ২৪ ডিসেম্বর বিনায়ক সেন, পীযূষ গুহ এবং নারায়ণ সান্যালকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। জাস্টিস ভার্মা ৯২ পাতার এক রায় শুনিয়েছেন। এই মামলা এবং রায়ের একটি বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হল।

    মামলা সংক্রান্ত কয়েকটি জরুরী তারিখ:

    এফ আই আর দায়ের করা হয় ৬ মে, ২০০৭-এ, যেদিন পীযুষ গুহকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। ডাক্তার সেন অ্যারেস্ট হন ১৪ মে, ২০০৭-এ, বিলাসপুর থেকে; আর নারায়ণ সান্যালকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয় জুলাই ২০০৭-এ। সান্যাল তখন বিলাসপুর জেলেই ছিলেন, অন্য একটি মামলায় বিচারাধীন বন্দী হিসেবে।
    চার্জশিট ফাইল হয় অগাস্ট ২০০৭-এ। চার্জ ফ্রেম করা হয় ২৭ ডিসেম্বর ২০০৭, আর তারপর শুরু হয় বিচার। দু বছর ধরে চলল বিচার। বাদী পক্ষের ৯৭ জন এবং বিবাদী পক্ষের ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাদী পক্ষের অনেক সাক্ষীই ছিলেন পুলিশের লোক। দু বছরের এই মামলায় মোট বিচারক ছিলেন তিনজন: বিচারক সালুজা, বিচারক গণপত রাও এবং শেষ পর্যন্ত বিচারক বি পি ভার্মা। ২০১০ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট যদি তিন মাসের মধ্যে এই মামলা শেষ করার নির্দেশ না দিত, তাহলে এই রায় বেরোতে হয়ত আরও অনেক দেরি হত। পীযূষ গুহর ফাইল করা একটি জামিনের আবেদনের প্রসঙ্গে সুপ্রীম কোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছিল।

    রায়ের বিশ্লেষণ:

    ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪অ এবং ১২০আ ধারায়, ছত্তিসগড় বিশেষ জনসুরক্ষা অধিনিয়মের ৮(১), ৮(২), ৮(৩), ৮(৫) ধারায় এবং আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট-এর ৩৯(২) ধারায় ডাক্তার বিনায়ক সেন, কলকাতার ব্যবসায়ী পীযূষ গুহ এবং মাওবাদী তাত্ত্বিক নারায়ণ সান্যালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কম সময়ের আরও কয়েকই দণ্ড দেওয়া হয়।

    ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪অ এবং ১২০আ ধারায় দেশদ্রোহিতা এবং সে সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রের জন্য দণ্ড দেওয়া যেতে পারে। ছত্তিসগড়ী অধিনিয়মটির ধারাগুলি অনুযায়ী নিষিদ্ধ কোনো দল বা গোষ্ঠীকে কোনো সাহায্য করা বা তার/তাদের সঙ্গে কোনো রকমের কোনো সম্পর্ক রাখা বে-আইনি। ১৯৬৭ সালের আইন ইউ এ পি এ অনুসারে সন্ত্রাসবাদী কোনো দল বা গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া বা তাদের সাহায্য করা আইনবিরুদ্ধ কাজ।

    এই আইনগুলোতে যদি অভিযুক্ত তিনজনকে শাস্তি দিতে হয় তাহলে নি:সন্দিগ্‌ধ ভাবে প্রমাণ করা প্রয়োজন যে অভিযুক্তরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হয় কোনো দেশদ্রোহী বা বে-আইনি গোষ্ঠীর সদস্য বা দেশদ্রোহিতায় কোনো না কোনোভাবে ইন্ধন যুগিয়েছেন। সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে কিন্তু বিচারপতি ভার্মার বক্তব্যে বেশ কয়েকটি ফাঁক লক্ষ্য করা যায়।

    ভার্মা সাহেবের বক্তব্য মূলত কয়েকটি পয়েণ্টের ওপর নির্ভর করছে:

    * নারায়ণ সান্যাল নিষিদ্ধ সংগঠন সি পি আই (মাওবাদী)-র পলিটব্যুরো সদস্য। সেটা প্রমাণ করার জন্য কয়েক কপি তথাকথিত মাওবাদী মুখপত্র কোর্টে পেশ করা হয়েছে এবং অন্ধ্র প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী কার্যকলাপের জন্য সান্যালের বিরুদ্ধে যে সব মামলা করা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ পত্র পত্রিকাগুলি সহ অভিযুক পীযূষ গুহর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পীযূষবাবু বার বার বলেছেন যে এ সবই পুলিশের সাজানো গল্প। বিচারক কিন্তু আদালতে পেশ করা ঐ কাগজ-পত্র এবং সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার সময় যিনি সাক্ষী ছিলেন, সেই অনিল সিং-এর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বক্তব্যই মেনে নিয়েছেন। পীযূষ গুহ এবং বিনায়ক সেন বার বার বলেছেন যে অনিল সিং পুলিশ এবং গুহর কিছু কথাবার্তা শুনেছিল বলে দাবি করেছে, কিন্তু সময়ের হিসেব করলে দেখা যায় যে সময় অনিল সিং এই কথাবার্তা শুনেছে পীযূষবাবু তখন পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। কারণ গুহকে গ্রেফ্‌তার করতে পুলিশ যখন এসেছিল এবং খানাতল্লাসি করে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল তখন অনিল সিং পুলিশের সঙ্গে ছিল না। আদালতে যা বলা হয়েছে সেই দাবি অনুযায়ী, সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল, এবং পুলিশ সেই সময় তাকে দাঁড় করায়। লক্ষ্য করার বিষয়, তখন কিন্তু পীযূষবাবু অলরেডি পুলিশের হেফাজতে। এবং ইণ্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় বন্দী পুলিশের কাছে যা বলবে তা আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হবে না। কিন্তু এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের বক্তব্যে বিচারক কর্ণপাত করেননি।
    দ্বিতীয়ত, অন্য রাজ্যে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে নারায়ণ সান্যালকে বিচারক সি পি আই (মাওবাদী) দলের সদস্য বলে ধরে নিয়েছেন। অন্য রাজ্যের সেই সব মামলার কিন্তু এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

    * এই গ্রেফতার এবং বাজেয়াপ্ত করা কিছু জিনিসপত্রের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা তৈরি করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত কাগজপত্রগুলির মধ্যে রয়েছে তথাকথিত কিছু মাওবাদী মুখপত্র, এবং তিনটি চিঠি। চিঠিগুলি নাকি সান্যাল লিখেছিলেন তাঁর পার্টি কমরেডদের উদ্দেশ্যে, এবং বিনায়ক সেন তাঁর সঙ্গে যখন জেলে দেখা করতে এসেছিলেন তখন তিনি নাকি সেগুলি সেনের হাতে দিয়ে দেন পীযূষ গুহকে দেওয়ার জন্য, যাতে নাকি গুহ ঐ চিঠিগুলি পার্টির লোকেদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এইগুলিই এই তিন অভিযুক্তকে এক ষড়যন্ত্রের সূত্রে বেঁধে রেখেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই তথাকথিত ষড়যন্ত্র সূত্রে নারায়ণ সান্যাল হচ্ছেন দেশদ্রোহী এক নিষিদ্ধ দলের নেতা, বিনায়ক সেন তাঁর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছেন যাতে পীযূষ গুহর মাধ্যমে সান্যালের চিঠিগুলি তাঁর কমরেডদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এইভাবে সেন এবং গুহ এক নিষিদ্ধ এবং দেশদ্রোহী দলের কাজে সাহায্য করছেন।

    এই ষড়যন্ত্র সূত্র নির্মাণ করতে গিয়ে বিচারক ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণের ওপর নির্ভর করেছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে চিঠিগুলি সান্যালেরই লেখা। কিন্তু চিঠিগুলি পীযূষ গুহর কাছে ছিল কিনা তা জানার জন্য তিনি নির্ভর করছেন পুলিশ অফিসার এবং বাজেয়াপ্ত করার ঘটনার সাক্ষী অনিল সিং-এর বক্তব্যের ওপর। অনিল সিং-এর সাক্ষ্যের ব্যাপারে অভিযুক্তরা আগেই তাদের প্রতিবাদ পেশ করেছে, যা বিচারক গ্রাহ্য করেননি।

    ২০০৭ সালের ৭ মে তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর জবানবন্দীতে পীযূষ গুহ বলেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ১ । ৫। ২০০৭ তারিখে মাহিন্দ্রা হোটেল থেকে, চোখ বেঁধে বে-আইনি ভাবে পুলিশ তাঁকে ছ' দিন বন্দী করে রেখে অবশেষে ৭ তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করেছে। গুহর এই জবানবন্দী জজ সাহেব ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন নি। বিচারক ভার্মা তাঁর রায়ে বলেছেন গুহ তাঁর বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি। অর্থাৎ, বিচারক প্রমাণের দায় অভিযুক্তর ওপরেই চাপিয়েছেন, বাদী পক্ষের ওপরে নয়। ইউ এ পি এ বা ছত্তিসগড়ের যে অধিনিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে, কোনোটিতেই কিন্তু প্রমাণের দায় অভিযুক্তর ওপর বর্তাতে পারে না।

    * বিনায়ক সেনের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করা পুলিশের এফিডেভিটে যা বলা হয়েছে এবং সেশনস কোর্টে পেশ করা পুলিশের চার্জশিটে যা বলা হয়েছে, তার মধ্যে যে তথ্যগত ফারাক রয়েছে, বিচারক তাকে কোনো গুরুত্ব দেননি। সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ বলেছ্‌হিল পীযূষ গুহকে ধরা হয়েছে মাহিন্দ্রা হোটেল থেকে (গুহ নিজেও তাঁর জবানবন্দীতে এই অভিযোগই করেছেন)। কিন্তু সেশনস কোর্টে পুলিশ বলল গুহকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্টেশন রোড থেকে এবং তখনই নাকি সাক্ষী অনিল সিং-এর সামনে ঐ সব চিঠি এবং কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের হাস্যকর যুক্তি (সুপ্রিম কোর্টে ফাইল করা এফিডেভিটে ছাপার ভুল ছিল বলে স্টেশন রোড সেখানে মাহিন্দ্রা হোটেল হয়ে গেছে) বিচারক মেনে নিয়েছেন। যে পুলিশ অফিসার এর জন্য দায়ী তারই বিচার হওয়া উচিত -- হয় সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যে এফিডেভিট দাখিল করার জন্য, বা সেশনস কোর্টে ভুল সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য।

    গুহর জবানবন্দী যদি মেনে নেওয়া হত তাহলে বাজেয়াপ্ত করার ঘটনার কোনো সাক্ষী থাকার কথা নয়। তা হলে অনিল সিং -এর বক্তব্যও মিথ্যা হয়ে যায়। কিন্তু মূলত সিং-এর সাক্ষ্যের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে বিচারক ভার্মার বক্তব্য। সে সাক্ষ্য মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেলে পুরো মামলাই ধ্বসে পড়ে, বিশেষ করে গুহ এবং ডাক্তার সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলির কোনো ভিত্তি-ই থাকে না আর। কারণ এঁদের বিরুদ্ধে সি পি আই (মাওবাদী)-দের সঙ্গে জড়িত থাকার বা নারায়ন সান্যালের সঙ্গে (ভার্মার বক্তব্য অনুযায়ী যিনি নাকি মূল মাওবাদী অভিযুক্ত) কোনো "ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার' কোনো তথ্য প্রমাণেরই অস্তিত্ব থাকে না আর।

    http://kafila.org/2010/12/26/a-critique-of-binayak-sen%E2%80%99s-judgment/

    মাসুম

    বাংলার মানবা¢ধকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ®¾ডর আদালতের রায়ের কঠোরভাবে ¢নন্দা করছে। এই কাজের মাধ্যমে আরো একবার ভারতীয় রাষ্টÐ যন্ত্র আরো একবার আইনের মান¢বক ¢দক¢টর প্র¢ত শ্রদ্ধাহীনতা প্রকাশ করেছেন।

    রায়ের সম্বন্ধে ক¢তপয় গুরুত্বপূর্ণ পর্য্যবেক্ষণ -

    ১। জনৈক দীপক চৌবে তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন ¢ত¢ন নারায়ণ সান্যালকে পু¢লশ গ্রেপ্তার করার ¢কছু¢দন আগে ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর সুপা¢রশক্রমে ¢নজের বা¢ড়তে ভাড়া থাকতে ¢দয়ে¢ছলেন।
    ¢বচারপ¢ত এই তথ্য¢ট উপেক্ষা করেছেন যে দীপক চৌবে আদৌ ঐ বা¢ড়র মা¢লক নন এবং বা¢ড়¢ট ¢ত¢ন ভ¢গ্নপ¢তর হয়ে ভাড়া ¢দয়ে¢ছলেন। ¢ত¢ন বা¢ড়র মা¢লক না হওয়া সত্ত্বেও পু¢লশ বা¢ড়র মা¢লক ¢হসেবে তাঁর সাক্ষ্য ন¢তভুক্ত করেছে।

    ২। রায়ে প্রকাশ, ডাক্তার ¢বনায়ক সেন মাওবাদী নেতা নারায়ণ সান্যাল-এর সঙ্গে গত ১৮ মাসে ৩৩ বার দেখা করে¢ছলেন, ¢কন্তু এই তথ্য অনু¢ল্ল¢খত থেকে ¢গয়েছে যে প্র¢ত¢ট সাক্ষাৎই জেল কত«Ñপক্ষের আগাম অনুম¢তর ¢ভ¢ত্ততে হয়ে¢ছলো। ¢বচারপ¢ত একজনও জেল কর্মচারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ¢ন।

    ৩। ¢বচারপ¢ত প্রশ্নাতীতভাবে পু¢লশের ¢ববরণী গ্রহণ করেছেন জব্দকালীন সাক্ষী অ¢নল ¢সং-এর বয়ানের ¢ভ¢ত্ততে। এ¢বষয়ে পীযূষ গুহ ও সহ-অ¢ভযুক্ত ডাক্তার ¢বনায়ক সেন-এর আপ¢ত্ত - যে পু¢লশ পীযূষ গুহকে গ্রপ্তারের পরে গুহ এবং পু¢লশের এক¢ট কথোপকথন সাক্ষীর কণর্গোচর হয়ে¢ছলো এবং পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন পীযূষ গুহ-র সমع বক্তব্য ভারতীয় প্রমাণ আইন, ১৮৭২ অনুসারে প্রমাণ ¢হসাবে বে-আই¢ন - তা সম্পূর্ণত: অস্বীকার করা হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে সাক্ষী অ¢নল ¢সং তল্লা¢শ ও ধরপাকড়-এর সময়ে পু¢লশের সহগামী ¢ছলেন না, ও ¢ববরণানুযায়ী একজন ¢নকটবর্তী ব্য¢ক্ত, যাঁকে পু¢লশ গুহ-র গ্রেপ্তারের পরে থা¢ময়ে সক্ষক্ষী করে¢ছলো। আসামী পদ্ধ¢ত ¢ব¢ধ-র ১৬২ ধারা অনুসারে কোন অ¢ভযুক্ত / সাক্ষী পু¢লশী হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর সমع বক্তব্য সাক্ষ্যপ্রমাণ ¢হসেবে ব্যবহার করা যায় না - ¢কন্তু এই ¢বচারে তা সর্বতোভাবে উপে¢ক্ষত হয়েছে।

    ৪। ¢বচারপ¢ত পীযূষ গুহ-র আবেদন - যে চার ¢দন তাঁকে বেআই¢নভাবে আটকে রাখা হয়ে¢ছলো ও হেফাজতে অত্যাচার করা হয়ে¢ছলো - পুরোপু¢র উপেক্ষা করেছেন। ¢বচারের এই উপেক্ষা পু¢লশী অত্যাচারকেই আড়াল করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ০৪ জানুয়ারি ২০১১ | ১০১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anonymous | 192.193.171.215 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ০৭:৩৭89176
  • Bangla lekha aaschhe na. IE7 use korchhi. Please Check.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন