এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • খবর্নয়? (৯ই আগস্ট) -- রাজনৈতিক বন্দী দেশে বিদেশে

    খবরোলার প্রতিবেদন লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ০৯ আগস্ট ২০০৯ | ১২৬২ বার পঠিত
  • আমেরিকা থেকে ইরানে যে বিনায়ক সেনরা মুক্তি পেলেন না তাঁদের নিয়েই এবারের খবর্নয়?
    গুয়ান্তানামোয় সাত বছর
    সাত বছর একটানা বন্দী থাকার পর অবশেষে এতদিনে গুয়ান্তানামো থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন আব্দুল রহিম রজ্জাক। ত্রিশ বছর বয়সী আব্দুলকে গুয়ান্তানামো তে নিয়ে যাওয়া হয় ২০০২ তে। তার পর সাত সাতটা বছর তাঁর কেটে গেছে অন্ধকারে। বিচারের নামে চলেছে প্রহসন আর অত্যাচার। অবশ্য আব্দুলের বন্দী জীবনের শুরু কিন্তু এখানে নয়। এর আগে ২০০০ সালে প্রথম বার বন্দী হন আব্দুল। তখন অবশ্য পশ্চিমী দেশগুলোর গুপ্তচর সন্দেহে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আল-কায়দা বাহিনী। অকথ্য অত্যাচারের পর আব্দুলকে বন্দী রাখে তারা জেলে। সেখানে কেটে যায় দুটো বছর। তারপর মঞ্চে আবির্ভাব আমেরিকার। গণতন্ত্র 'রক্ষার' খাতিরে তারা আল-কায়দার জেল থেকে তুলে আনে আব্দুলকে। আর শুরু হয় তার গুয়ান্তানামোর জীবন। অভিযোগ যে আব্দুল আল-কায়দার সাথে যুক্ত ছিল বহুদিন।
    সম্প্রতি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট জাজ রিচার্ড লিওন আমেরিকা সরকারের অভিযোগ কে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন। তাঁর মতে সরকারের এই অভিযোগ “defies common sense” । তার পরেই তোড়জোড় শুরু হয় আব্দুলের মুক্তির জন্য। যদিও সমস্য এখনো আরো গভীর। আব্দুলের নিজের দেশ সিরিয়া তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজী নয়। আবার আমেরিকা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয় তাকে আমেরিকার মাটিতে জায়গা দেওয়ার। 'উদার' ওবামা প্রশাসন তাই ব্যস্ত আব্দুলের জন্য একটা দেশ খোঁজার।
    প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে এই সমস্যা শুধু মাত্র আব্দুলের ক্ষেত্রে নয়, প্রায় সমস্ত Uyghur দের ক্ষেত্রেই হচ্ছে যারা নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তি পাচ্ছে একে একে। কোনো দেশ তাদের জায়গা দিতে রাজি নয়। আমেরিকার মাটিতেও স্থান নেই তাদের। সব হারিয়ে ফেলা এই মানুষ গুলোকে নিয়েই অনেকদিন ধরে কাজ করে চলেছেন বৃটিশ সাংবাদিক Andy Worthington । তাঁর লেখা The Guantanamo Files: The Stories of the 774 Detainees in America’s Illegal Prison ইতিমধ্যেই আলোড়ন তুলেছে চারদিকে। এখানে রয়েছে অজস্র নিরপরাধ মানুষদের গল্প, গণতন্ত্রের খাতিরে যাদের জীবনের সব কিছু হরিয়ে গেছে।
    আরো জানতে চান ?
    পড়ুন,
    http://www.democracynow.org/2009/6/23/judge_orders_release_of_guantanamo_prisoner
    অথবা নিয়মিত চোখ রাখুন Andy র ব্লগে,
    http://www.andyworthington.co.uk

    ইরান
    এবার আসুন একটু ইরানের দিকে চোখ ফেরানো যাক। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে যেখানে প্রথম মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি সুস্পষ্ট নীতিনির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এখনো ইরানের সংবিধানের ৩৮ তম অধ্যায়ে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে " all forms of torture for the purpose of extracting confession or acquiring information' Hhw "compulsion of individuals to testify, confess or take an oath ' সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ঐ একই অধ্যায়ে বলা হয়েছে " any testimony, confession, or oath obtained under duress is devoid of value and credence '। তা এহেন দেশটিতে বর্তমানে রাজনৈতিক বন্দীদের অবস্থা কেমন? কিছু নমুনা।

    ছাত্রনেতা ও মানবাধিকার কর্মী বেহরোজ জাভিদ-তেহরানীর কথাই ধরুন। দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অপরাধে ১৯৯৯ সালে প্রশাসন প্রথমবার যখন তাঁকে গ্রেপ্তার করে, তখন তাঁর বয়স ঊনিশ। মধ্যে কয়েকমাসের জন্য ছাড়া পেলেও ২০০৫ এ তিনি আবার গ্রেপ্তার হন। এবার অভিযোগ একটি "বেআইনি' সংগঠনের ( Iranian Democratic Front ) সদস্য হওয়া। সেই থেকে একটানা তিনি কুখ্যাত গোহরদস্ত জেলে বন্দী। জেলে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। অর্ধেক দৃষ্টিশক্তি খুইয়েছেন। নানারকম শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এসব সত্ত্বেও বেহরোজের সুচিকিৎসার কোনো বন্দোবস্ত করা হয়নি। জেলে তাঁকে কোনো আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে অচিরেই বেহরোজের মৃত্যু হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

    বেহরোজের ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইরানের রাজনৈতিক বন্দীদের আরও কিছু খবরে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। সরকারী নীতির সমালোচনা করার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৮ এ নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যান প্রাক্তন মন্ত্রী দারিয়ুস ফোরোহার ও তাঁর স্ত্রী। ২০০৬ এর জুলাইয়ে অনশনরত ছাত্রনেতা আকবর মোহাম্মদির মৃত্যু হয় এভিন জেলে। একই জেলে মৃত্যু হয় অনশনরত রাজনৈতিক বন্দী ফইজ মহদভীর। একটি সরকার বিরোধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার রেজা রাজাভির মৃত্যু হয় গত বছরের অক্টোবরে। অন্য আর একটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা হেশমত শরণ পাঁচ বছর বন্দী থাকার পর সন্দেহজনক পরিস্থিতে মারা জান এ বছরের মার্চে। রাজবন্দীদের হত্যা ও সন্দেহজনক মৃত্যু সংক্রান্ত খবর ছাপার দায়ে সাংবাদিক আকবর গঞ্জি কে ছয় বছর জেলে কাটাতে হয়।

    সংবিধানের আইনকানুন যে সব খাতায়কলমেই রয়ে গেছে, তা কি আর আলাদা করে বলতে হবে ?

    সূত্র:
    http://www.amnesty.org/en/news-and-updates/deaths-custody-iran-highlight-prison-authorities039-disregard-life-20090320
    http://www.hrw.org/en/news/2009/05/23/iran-political-prisoner-s-life-danger
    http://www.ihrv.org/inf/?p=2063

    বার্মা
    ১৯৯১ সালে মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে জয়ী হয় আং সান সু কি-র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্‌র্‌যাসি। অব্যবহিত পরেই মায়ানমারের সামরিক শাসকরা সু কি কে গ্রেফতার কঞ্চরে নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে। তারপর থেকে গত ১৯ বছর সময়কালে অন্তত ১৩ বছর গৃহবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন সু কি। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের আবেদন স্বত্তেও নোবেলজয়ী এই গণনেত্রী মুক্তি পান নি। সম্প্রতি গৃহবন্দী থাকাকালীন এক অ্যামেরিকান নাগরিক সু কি-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েন এবং সেই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সু কি-কে ৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করার চেষ্টা চালায় মায়ানমারের সামরিক শাসকরা। সম্প্রতি সু কি-র বিচার শুরু হয়েছে
    এবং বিচারের প্রায় পুরোটাই হচ্ছে জেলের ভিতর লোকচক্ষুর অন্তরালে এমনকী মিডিয়া বা সাংবাদিকদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)। অভিযোগ উঠেছে অনেক সাক্ষীকে বিচারস্থলে পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছেনা।
    এর পরিপ্রেক্ষিতে মায়ানমারের সামরিক শাসনের আমলে রাজনৈতিক বন্দীদের প্রসঙ্গেও একটু আসা যাক। এই মুহূর্তে জেলে বন্দী রাজনৈতিক কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২১০০, যাদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জন গত দুবছরে জেলে গেছেন। এদের মধ্যে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্‌র্‌যাসীর সদস্য ছাড়াও অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণী আছেন। ১৯৮৮ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষভ দমন করতে প্রায় ৩০০০ লোককে হত্যা করা হয়।
    রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবীতে সবস্তরের অ্যাক্টিভিস্ট রা গড়ে তুলেছেন ঊক্ষনন আয়ক্ষলতঞ্চড় ঙষরভঢ়ভদতর ঙক্ষভড়ষশনক্ষড় গষং! (ঊআঙঙগ) , যাদের লক্ষ্য মে মাসের মধ্যে এক মিলিয়ন লোকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা। আশা,এই উদ্যোগের মাধ্যমে মায়ান্মারের সবধরনের মানুষ হয়তো হয়ে উঠবেন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার।
    সূত্র :
    http://edition.cnn.com/2009/WORLD/asiapcf/05/25/myanmar.suu.kyi.trial/?iref=mpstoryview
    http://www.ipsnews.net/news.asp?idnews=46118

    ভারত
    নজর ফেরাই আমাদের দেশে। আমচি মুম্বই।
    ১৭ জুলাই রাত ৯ টা। মুম্বাই-এর বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং মানবাধিকার-কর্মী ফিরোজ মিথিবরওয়ালাকে তাঁর বাসভবন থেকে আন্ধেরি (পূর্ব) থানার তিনজন পুলিশ-কর্মী আটক করে নিয়ে যান। কারণ যা দর্শানো হয়, তা এইরূপ। যাতে তিনি US Secretary of State হিলারি ক্লিন্টনের মুম্বাই পরিদর্শনের সময় কোনো রকম বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে না পারেন। গ্রেপ্তার করার মতন ই কারণ বটে। ওনার সঙ্গে গ্রেপ্তার হন কিশোর জাগ্‌তপও। দুজনেই আওয়ামি ভারত নামক একটি NGO -এর সঙ্গে যুক্ত। গ্রেপ্তারের লিস্টি অবিশ্যি এখানেই শেষ নয়। কুর্লা থানায় একই দিনে একই কারণে গ্রেফতার হন আসিম গজি, তিনি যুক্ত ছিলেন জামাত-এ-ইসলামি হিন্দির সঙ্গে। তিনজনই প্রায় ২০ ঘণ্টা বন্দী থাকেন। এই সময় তাঁদেরকে নিজস্ব আইনজীবীর সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতে দেওয়া হয়নি। জাগ্‌তপের বয়ান অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি। গাজীকে আবার থানায় বলা হয় যে, তাঁর জীবনের আশঙ্কা আছে এবং সেই কারণে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার উপদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এঁরা তিনজনেই ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবনং ইজরায়েলি গুপ্তচর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মুম্বাই উগ্রপন্থী আক্রমণের (২৬/১১) এক মাস পর আওয়ামি ভারত একটি প্রতিবাদের আয়োজন করে। সেখানে তিনজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তদন্তের দাবি জাননো হয়। তাঁদের মতে এই ঘটনার পিছনে ভারতের কিছু রাজনৈতিক দল, ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা Mossad এবং CIA এর হাত আছে । ভারত-মার্কিন অসামরিক পারমাণবিক চুক্তি এবং ভারত-ইজরয়েল নিরাপত্তা চুক্তির বিরুদ্ধেও এঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। মিথিবরওয়ালার মতে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা এবারের অভিযোগটি একেবারেই অমূলক। আইনজীবী এবং মানবাধিকার-কর্মীরা তীব্র ভাবে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। অবশ্য তাতে এধরণের অকারণ গ্রেপ্তারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে হবে না, তা নিয়ে কেউ ই নি:সন্দেহ নন।*
    http://www.twocircles.net/2009jul18/lawyers_rights_activists_condemn_arrest_mithiborwala_demands_apology.html

    ভূটান
    একবার ঘুরে আসা যাক প্রতিবেশীর ঘর থেকেও।
    ভূটানের চেংমাং সে¾ট্রাল জেলে শুরু হয়েছে অনশন। শান্তিরাম আচার্য্য এবং আরও নয়জন মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করা রাজনৈতিক বন্দী গত মার্চ মাসের শুরুর দিকে আমরণ অনশন শুরু করেন। এর আগে ৬৯ বছরের এক বন্দী, এন.এল.কাতওয়ালও আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন, তবে সরকারের পক্ষ থেকে জোর করে তাঁকে অনশন ভাঙতে বাধ্য করা হয়। কেন এই অনশন ?এনারা সবাই সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবীতে আন্দোলন করছেন।

    প্রায় দুই দশক ধরে ১০০,০০০ ভূটানী নিজ দেশ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব ভূটানের একটি রিফিউজি ক্যাম্পে। শান্তিরাম আচার্য্য, সেই রিফিউজি ক্যাম্পে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন নিজ দেশ থেকে বহিষ্কৃত ঐ ভূটানীদের মানবধিকারের দাবীতে। শ্রী আচার্য্য,''দ্য রিপোর্টার' নামক একটি ভূটানী দৈনিকের সাংবাদিক, ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাসে দক্ষিণ ভূটানের একটি সেনা ছাউনির ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়েন সেনাবাহিনীর হাতে। তখন থেকে উনি জেলে। এই আমরণ অনশনে ওনার সাথী বাকী নয়জনের দীর্ঘকালীন জেল হয় ভূটানের বিদ্রোহের সময়।
    ওনাদের দাবী হল সরকার যেন ওনাদের মামলা আবার শুরু করে। গত জুলাই মাসে ভূটান সরকার সংবিধানে মানবাধিকার নিয়ে নতুন সংযোজন করলেও এনাদের ন্যূনতম মানবাধিকারের কথাও ভাবা হচ্ছে না। নতুন রাজা আগের তুলনায় অনেক গণতান্ত্রিক হলেও এনাদের অবস্থা যেমন কে তেমন।
    যে খবরের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তা প্রকাশিত হবার পরে তিনচার মাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু আর কোনো খবর ওনাদের সম্বন্ধে পাওয়া যায় নি।

    http://twocircles.net/2009mar09/prisoners_begin_fast_unto_death_bhutan.html
    http://blog.taragana.com/n/prisoners-begin-fast-unto-death-in-bhutan-15755/


    *সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী ফিরোজ মিথিবরওয়ালা এবং অন্য কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে|।

    আগস্ট ৯, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ০৯ আগস্ট ২০০৯ | ১২৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন