এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফুলবিলাসীর ঝামেলাসমূহ

    অনিকেত পথিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ | ১২৩১ বার পঠিত
  • শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা, আমি তিনমাস ঘুমিয়ে থাকব ইত্যাদি বলে যতই আদিখ্যেতা করুন ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন এই তিনমাস ঘুমিয়ে থাকা তো নয়ই বরং কতরকম চ্যালেঞ্জ, টেনশন, নজরদারি, আর এই ক’টাদিন একটু হাসিখুশি থাকতে হলে তার আগের তিনমাস কি খাটাখাটুনি আর কি উদ্বেগে থাকতে হয়। এখানে ভুক্তভোগী বলতে যারা এই শীতকালে একটু ফুলটুল ফোটান তাদের কথা বলা হচ্ছে। পৃথিবীতে এত গাছ আর ফুল থাকতেও যাঁদের নিজের পা ফেলার রাস্তার ধারে, জানলার পাশে, বারান্দার কার্নিশে চাট্টি ‘নিজের হাতের গাছ’ না দেখলে ঘুম হয়না, এমনিতেই তাদের (পাগলা) দাসু-লক্ষণ অতি প্রবল তার ওপর এই তিনমাস তাদের হাবভাব আরও গোলমেলে হয়ে ওঠে। যেমন কোনও অপরিচিত লোকের বাড়িতে ঢুকে ‘আপনার তাজমহল(গোলাপ)এই সাইজের কি করে হল’ বা ‘আপনি ভার্বিনার এই লাল রঙটা কোথায় পেলেন বলুন তো আমার তো শুধু বেগুনি আর সাদা' এইসব বলে বিচিত্র শব্দসহযোগে দুরুহ আলোচনা-বিনিময় ও জ্ঞান বিতরণ যে শুরু করা যেতে পারে সেটা আপনার কল্পনাতেই আসবে না কিন্তু ফুলোতুত সম্পর্কের লোকেদের কাছে তা একেবারেই স্বাভাবিক। তার ওপর কিছু কিছু ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আদেখলেপনা করা ও কিছু বীজ বা চারা, নিদেনক্ষে একটা ভাঙ্গা ডাল আদায় করে বেরিয়ে আসা দেখলে আপনি লজ্জায় লাল থেকে বেগুনি হয়ে যাবেন কিন্তু ওই দাসুরা নির্বিকার !

    চালচিত্র
    এহেন 'ফুল'-পাগলদের জীবনে শান্তি এমনিতেই কম কারণ তাদের সন্তান-সন্ততি অগণিত আর তাদের তাদের দেখভাল একটা ৫২ গুন ৭ দিনের দায়িত্ব। কোথাও থেকে বেড়িয়ে এসে নিজের কোলের ছেলেকে না খাইয়ে যে আগে গাছে জল দিতে দৌড়োয়, এমনকি কয়েকদিন পরে বাড়ি ফিরে মাঝরাতেও যে টর্চ নিয়ে ছাদে কিম্বা বাগানে ভূতের মত ঘুরে বেড়ায়, বুঝবেন সে নির্ঘাৎ ফুল-পাগল। শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা বলে বসে থাকলে তাদের এমনিই চলে না তার ওপর আবার শীতকালে তো জরুরী অবস্থা, খুব অল্প সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর করার মত চাপ নিতেই হয়। কিরকম একটু বলি। বর্ষা গেল কি না গেল চন্দ্রমল্লিকার দেখভাল শুরু হয়ে গেল, পুরনো চারা থেকে কেটেকুটে গুছিয়ে বসানো, মাটি তৈরী, সে বড় সুখের সময় নয়! কারণ মাটি তৈরী মানে খোল, গোবর ইত্যাদি সুগন্ধি ব্যবহার করা, ঘরে বাইরে গালাগালি খাওয়া আর নির্বিকার মুখ করে থাকা; এই ট্রেনিং যে এরা কোথায় পান কে জানে ! এমনিতে সাধারণ মানুষের ফুলপ্রীতি কিন্তু স্রেফ দর্শন-সর্বস্ব। মানে ওই ফুল দেখে ‘কি দারুণ !(বা সোও-ও খিউট!)’ অবধি। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা ফুল ফোটাবার জন্য বচ্ছরভর নানাধরনের উৎপাত সহ্য করতে রাজী নয়। কপালদোষে(উভয়তঃ)প্রত্যেক পরিবারে এই রকম ২/১ জন পুস্পান্ধ পিছু গোটাকয়েক পুস্পনির্বিকার বা পুস্পউদাসীন মানুষ থাকেই। সুতরাং ফুল ফু্টুক না ফুটুক ফুল-পাগলের বাড়িতে গাছে সার দেওয়া নিয়ে জল দেওয়া নিয়ে নানাধরনের ঝামেলা লেগে থাকবেই যা মোটামুটি সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত বলেই ধরা হয়। ফ্ল্যাটবাড়ি হলে এই ঝামেলা কিঞ্চিৎ উচ্চগ্রামে হয়। গাছ এবং টব রাখার দরুণ ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সামগ্রিক সুস্থতা কিভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, কিভাবে ফুলগাছের ৬ ইঞ্চি ব্যাসের টবে মশা-মাছি-বিছে-সাপ গিজগিজ করছে এমনকি ছাদের টব থেকে জল বসে ফ্ল্যাটের ছাদটাও কিভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, প্রত্যেক শীতের শুরুতে তাই নিয়ে মাঝে মাঝেই উচ্চকন্ঠে আলোচনা থেকে জ্ঞানবিতরণ শোনা যায় তবে বিশেষ ট্রেনিং থাকার জন্য ফুল-পাগলদের কানে সেসব বিশেষ ঢোকে না।

    আর একটা সমস্যা হল ফুলের নাম নিয়ে। ফুল দেখে যতই আহা-উহু করুন বেশির ভাগ মানুষ ফুলের নামের চেয়ে ফুলের মত সুন্দর মানুষদের নাম মনে রাখাই বেশী পছন্দ করেন। কবি নাহয় বলেছেন গোলাপ যে নামে ডাকো ইত্যাদি কিন্তু আপনি কয়েকমাসের জন্য যাদের ‘ফস্টারিং’ করবেন তাদের নাম জানবেন না তা কি করে হয় ! কিন্তু এই বিষয়ে আপনি কাউকে বিশ্বাস করেছেন তো মরেছেন। কেন তার একটা দুটো উদাহরণ পেলেই বুঝবেন। এক লতানো গাছে থোকা থোকা কমলা ফুল দেখে চারাগাছের দোকানিকে নাম জিগিয়েছিলাম, তিনি বলেছিলেন ‘ভেনেস্তারা’। ফুলের কমলা রঙের সঙ্গে নিজের বুদ্ধি মিশিয়ে ভাবলাম নামটা হনে ‘ভেনাস অফ স্টার’ (ব্যাকরণে একটু আটকাচ্ছিল কারণ ভেনাস আদৌ কমলা নয়, কিন্তু অত দেখলে কি আর চলে !), সেই নামই লোককে বলে এলাম বহু বছর। তারপর এই সেদিন গু্গলের কল্যাণে জানা গেল ওই ফুলের ডাকনাম ‘ফ্লেম ভাইন’আর বিজ্ঞানসম্মত নাম আসলে পাইরোস্টেগিয়া ভেনাস্তা, সেই থেকে ‘ভেনেস্তারা’ ! মানে ফুলের নামের ব্যাপারে কেউ পুরোপুরি ঠিক বলছে না, জানিনাও বলছেনা, সবাই কিছুটা মনের মাধুরী মিশিয়ে দিচ্ছেন এমনকি আমিও ! ফুল পাগল এক ভদ্রলোককে জানতাম দিব্য বানিয়ে বানিয়ে ইংরেজী নাম দিতেন ফুলের, যেমন হেভ্‌ন্‌স্‌ ব্লু, প্যারাডাইস পিঙ্ক, এইসব, কেউ টুঁ শব্দটি করত না ! তবে স্বয়ং ‘গুরুদেব’ যদি সাদামাটা টগরকে ‘মহাশ্বেতা’ নাম দিয়ে থাকেন তাহলে কাকে আর দোষ দেবেন !

    অতঃপর ময়দানে !
    এইসবের মধ্যে দিয়ে ধরুন নভেম্বর এসে গেল গেল আর ‘ম্যান্ডেটরী ওভার’এর সিরিয়াসনেস নিয়ে বৃক্ষরোপণে নেমে পড়লেন ফুলবিলাসীরা। বীজ যদি ছড়ানো হল তো কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে দেখে আসা যে চারা বেরোচ্ছে কিনা। এবং টেনশন। যেমন একবছর বীজ থেকে এত চারা বেরল যে তাদের নিয়ে কি করা যায় তাই ভেবে হয়রান হতে হল, পরের বছর সেই একই ফুলের চারা আদৌ বেরোলই না ! তার ওপর চন্দ্রমল্লিকার যে চারাগুলো আগের বছরের গাছ থেকে বেরিয়েছিল, সারা বছর রোদে-জল দিব্য সহ্য করে ঠিক অক্টোবরের শুরুতে তাদের কয়েকটা দেহ রাখল ! এইসব আর কি ! আর যদি শিশু চারা কিনে বসানো হয়ে থাকে তো সে আর এক জ্বালা।।।জ্বালা না বলে তাকে চ্যালেঞ্জ বলাই যায়। একেবারে বীজতলা থেকে আসা ছোট্ট চারা, এই এত্তটুকু টবে বসানো, তার পুনর্বাসন সহজেই হয়, মানে সে বেশ খুশীমনেই টবান্তরটা মেনে নিয়ে নতুন মাটিতে বসে যায়, কিন্তু তারপর তার বৃদ্ধি কেমন হবে তা আন্দাজ করা সহজ নয়, সহজ নয় ! সেই দলে আমাদের চিরচেনা শ্রীমতি ডালিয়াও আছেন। আবার যদি একটু বড় চারা বসালেন, তো সেই যে মাথা ঝুঁকিয়ে থাকল, তার মাথা সোজা করা এক চ্যালেঞ্জ। সেই আই সি ইউ পর্বে নিত্যই তাদের রাতে শিশির (আর চাঁদের আলো !) খাওয়ানো আর দিনে চড়া রোদের হাত থেকে বাঁচাতে ছায়ায় রাখা এই ‘ডিউটি’ পালন করা চলা। যদি নাম করতে হয়, তো বলব এই দলের পুরোভাগে আছেন শ্রীমতি অ্যাস্টর, যাঁর নত মাথা সোজা করে তোলা সত্যিই এক চ্যালেঞ্জ। তার জন্য তার অভিভাবকদের টানা কয়েকদিনও আই সি ইউ ডিউটি করতে হয় !
    ওদিকে সেই অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে যিনি কুঁড়ি দেখিয়ে রেখেছেন, সেই চন্দ্রমল্লিকা দেবীও আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে চলেছেন; এই নভেম্বরের শেষেও ফুল তো ফোটেইনি কুঁড়ির মুখ দেখেও বোঝার উপায় নেই কি রঙের ফুল হবে। ওদিকে পিটুনয়া আর অ্যাস্টর, তাদেরও মুখ খোলার নাম নেই, কেবল কুঁড়িটি বেড়ে চলেছে। কসমস গাছগুলো দেখলে মনে হবে কি নিরীহ, কোনও ঝামেলা ছাড়াই হৈ হৈ করে বেড়ে চলেছে, কিন্তু জ্বালা কিছু কম নয়। ঠিক সময়ে হয় দেখবেন কচি ডগাটিতে পোকার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, নইলে স্বাস্থ্য বেশি ভালো হয়ে মাথাভারী হয়ে চলেছে, ফুলের কোনও সন্ধান নেই। গাছেরও যে মাথামোটা হওয়া চলবে না সে কেউ ভেবেছিল বীজ ছড়াবার সময় ! এক যদি নস্টাশিয়াম লাগিয়ে থাকেন তো জীবনে কিছুটা শান্তি পাবেন; গোল গোল পদ্মপাতার মত পাতায় গাছটাই চমৎকার দেখতে, বাড়েও তাড়াতাড়ি আর একবার বসে গেলে পুরো সিলেবাস শেষ না করে ছাড়ে না, ঠিক সময়ে ফুল ফুটবেই, যতগুলো ফোটার ততগুলোই ফুটবে সে মাঝখানে বৃষ্টি পড়ুক বা গরম পড়ে যাক ! কিছুটা দোপাটি ফুলের মত দেখতে, তবে রঙের অত বৈচিত্র্য নেই, ওই হলুদ-কমলা-বড়জোর মেরুন ! সেই সঙ্গে যদি মাঝে মাঝে এক আধটা প্যানজি লাগিয়ে থাকেন, সেও চমৎকার হবে, একেবারে যেন হলুদ-বেগুনী প্রজাপতি বসে আছে। আকারে যদি খুব বড়ো নাও হয়, রূপেই মাত করে দেবে।
    খেয়াল করবেন রঙবেরঙের বড় বড় ফুল ফুটিয়ে মন ভরায় যারা, ঝামেলা কিন্তু তাদের নিয়েই বেশি। ছোট ছোট থোকা থোকা ফুল যাদের তারা কিন্তু তুলনায় নিরীহ, যেমন ফ্লক্স, আর ভার্বেনা। সাদা-ম্যাজেন্টা-বেগুনী-গোলাপির বিভিন্ন শেড; একবার ফোটা শুরু হলে ফুটেই চলে, সাইজ নিয়ে ভাবতে হবে না, সবাই রাজা সবাই ছোট্ট। সালভিয়ার লম্বা চূড়োয় লাল টকটকে ফুল, বৃতিও লাল আর অ্যান্টিনিয়ামের চূড়োয় রঙবেরঙের ফুল। ইম্পেসেন্সও এই দলেই পড়ে, তবে একটু সুখী, রঙের বাহারও বেশি। আর আছে পিটুনিয়া। একটু বেশী বিনিয়োগ যদি করতে পারেন মানে গাছপিছু একটা করে গামলা টব, আর ভাল জাতের ‘হাইব্রিড’ চারা, তো দিনের শেষে ‘ওনার্স প্রাইড, নেইবারস্ এনভি’ তকমা সেঁটে ঘোরা নিশ্চিৎ। আপনার ব্যালকনি জুড়ে রঙের বন্যা বইবেই। আর ঘরোয়া ফুল গাঁদা যদি লাগাতেই হয়, ওই ইনকা টিনকার ঝামেলায় না গিয়ে সেরেফ দেশি গাঁদাই লাগান যত্ন করে, ফুল পাবেন হাতে হাতে।
    তাই বলে শীতকালের মরসুমি ফুলেদের পাল্লায় পড়ে সারাবছরের সুখ-দুঃখের সাথি গোলাপসুন্দরীকে যদি অবহেলা করেন সে পাপের কোনও ক্ষমা নেই। কারণ উনিও এই শীতেই আসল খেলাটা খেলেন, যদিও অঁকে খুশী করা সেও এক চ্যালেঞ্জ আর উনি মাঝে মাঝেই সবরকম যত্ন সার-জল-ওষুধ হজম করে চ্যালেঞ্জ নিবি না শালা ভঙ্গীতে স্রেফ চুপ করে বসে থাকেন। এখানেও ছোট ছোট ফুলের ‘দেশি’ গোলাপ হলে ঝামেলা কম, শীত পড়লেই তাদের গাল লাল হয়ে ওঠে, একটু যত্নেই গাছভরা ফুল। কিন্তু বেশি কায়দার ‘কলম’ মানেই তিনি মাঝে মাঝেই লেখা বন্ধ করে দেবেন, মাঝে মাঝেই তাঁর গোড়া থেকে বুনো জাতীয় অঙ্কুরটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে আর ওপরতলার সব উন্নয়ন বন্ধ। তখন নির্মম হাতে গোড়ার নধর শিশু ডালটিকে উৎপাটন করে দিতে হবে। মোটকথা আপনার নজরদারিতে যেন ফাঁক না থাকে, কারণ যাই বলুন সাফল্যের পথটা কাঁটা বিছানো হলেও (বাগানবিলাসীর) সাফল্যের আরেক নাম গোলাপ !

    হাতে হাতে ফুল !
    এইসব ‘থিয়োরি’ পর্বের মধ্যে দিয়ে দিন তো এগিয়েই চলেছে, ডিসেম্বর শেষ হব হব। একদিন খেয়াল করবেন আপনার বারান্দাটা আলো আলো লাগছে, কবে যেন রঙ ধরে গেছে আপনার লিকলিকে চন্দ্রমল্লিকায় আর আট ইঞ্চি লম্বা (!) অ্যাস্টরের কুঁড়িতে। এতদিন ধরে এত গালাগালি, টেনশন, অপেক্ষার পর হাতে কিছু এসেছে। একটি-দুটি করে ফুটে চলেছে।।।ওই তো যা যা লাগিয়েছেন, কেউ পুরোপুরি হতাশ করে নি। এমনিই দেড় মাস কেটে গেছে আর মাত্র দেড় মাস হাতে সময়। দেখতে দেখতে সূর্য উত্তরায়ণে যাবেন আর আপনার বাগানেও হোলিখেলা শেষ করে রঙিন ফুলেরা যেপথ দিয়ে এসেছিল সেই পথে বা অন্য কোন পথে হাঁটা লাগাবে। তবে আপনার ছুটি নেই, তখন আবার বেল-জুঁই-গন্ধরাজের খবর নিতে হবে। আপাততঃ হর্টিকালচার বাড়ির ফুলের কথা ভেবে কি প্রতিবেশীর বাগানের কথা ভেবে মন খারাপ না করে নিজের হাতে ‘মানুষ’ করে তোলা গাছ আর তার ফুলের দিকে মোহিত হয়ে তাকিয়ে থাকুন আর ঝপাঝপ ছবি তুলুন।

    বিধিসম্মত সতর্কীকরণ ঃ এই লেখা পড়ে যদি কোনও সম্ভাব্য পুষ্পবিলাসী ‘ফুল ফোটাবার যাতনাসমূহ’ জেনে হতাশ হয়ে ইস্তফা দেন তো সে বড় অন্যায় হবে। এই লেখা নেহাৎ একজন ফাঁকিবাজ, ‘শর্টে’ মারা, ফুলবিলাসীর ছ্যাবলামির অভিজ্ঞতা। নাহলে যথাবিহিত যত্নআত্তি করলে গাছপালা যে বেইমানি করে না তার বহু উদাহরণ আছে। তাই দুর্জনের কথায় কান দিবেন না কভু।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ | ১২৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 233.176.52.245 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২০69026
  • বেশ লাগলো।
  • শঙ্খ | 127.194.250.181 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৪:১১69027
  • বাঃ খুব সুন্দর ফুরফুরে লেখা। একটানে পড়ে ফেলা গেল।
  • kk | 117.3.196.87 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩১69028
  • বাঃ, দিব্য লেখা! এরকম লেখা আরো পড়তে চাই।
  • Abhyu | 34.248.33.194 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:৪৫69029
  • কেকেদির পোস্ট দেখে তাড়াতাড়ি টইটা খুললাম - কে জানে এও দমুদির মতো ফুলের রেসিপি দেবে নাকি :)
  • অনিকেত পথিক | 125.118.148.2 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:৫৮69030
  • এটাই ভেনেস্তারা তো? এইবার কুশলনগরে দেখে এলাম। চারা এনে বারান্দায় বসাতে হবে।

  • Suhasini | 213.99.205.105 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৪৯69021
  • দিব্যি লাগলো। ভেনেস্তারার বাংলা নাম কি অগ্নিশিখা?
  • Debprosad Biswas | 212.142.78.23 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:০৬69031
  • আমার খুব ভাল লাগ লো লেখা তা/
  • hu | 188.91.253.22 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:০৯69022
  • চমৎকার লেখা
  • kumu | 11.39.32.169 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:২৪69023
  • অতি সুন্দর।এত্তদিনে একজন বারান্দাফুলপ্রেমীর দেখা পেলাম।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৩৯69024
  • আহা চমৎকার একটা ঝরঝরে সরস ব্লগর ব্লগর। পড়ে আরাম।

    আমি পরে কখনও সারা বছরের দেশী ফ্হুলের একটা তালিকা দিয়ে যাবখনে। আর এই গুচর লোকজন হেব্বি বকুনি শুরু না করলে বিভিন্ন ফুলের কিছু রেসিপীও। ;-)
  • Abhyu | 34.248.33.194 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:১৩69025
  • অতি সুন্দর।
  • sosen | 212.142.95.84 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৬69032
  • রূপদর্শীর নকশা মনে পড়ে গেলো।
  • arindam | 213.99.211.132 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৪৮69033
  • আপনার গাছ গুলি নিশ্চয় ই আপনার বর্ণনা মাফিক বেয়াড়া নয় ! ঃ)
  • শিবাংশু | 127.201.156.10 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:৫৬69034
  • ফুলকুমারী, ঘোমটা ছিঁড়ি, বাহিরে আসিলো...শীতের রোদে, সূর্যমল্লিকা যাহার নাম ...
  • nina | 83.193.157.237 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫১69035
  • বাহ !!
  • Arindam Chakrabarti | 127.194.61.226 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৪:১৬69038
  • সমনামী...সমস্যা ...:)
  • অনিকেত পথিক | 24.139.222.45 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:৩৫69036
  • কাজে যারা ফাঁকিবাজ, তারা সাধারণতঃ কথায় (এখানে লেখায়) বেশ দড় হয়। এই ফাঁকিবাজ ফুলবিলাসীও তেমন। তার সংক্ষিপ্ত ফুলবিলাসের বিস্তারিত উপাখ্যান এত জনের ভালো লেগেছে জেনে সে উল্লসিত হয়ে কাজে আরও ফাঁকি দেওয়ার কথা ভাবছে।
    সমনামী অনিকেত পথিকের দেওয়া ছবিই সেই ভেনেস্তারা, তার অন্য নাম অগ্নিশিখা কিনা জানা নেই, তবে সেটা হলে খুবই উপযুক্ত নামকরণ হবে।
    অরিন্দমকে জানাই নিজের সন্তান আর নিজের হাতে লাগানো গাছ একই মাত্রার বেয়ারাপনা করিয়া থাকে, তাহা উহাদের জন্মগত অধিকার ! ঃ-(
    একটু সন্দেহের সঙ্গে 'দ' এর রেসিপির জন্য অপেক্ষা করছি, বিভূতি মুখো-র একটা গল্পের কথা মনে পড়ছে...
    আর শিবাংশুদা। সত্যি রঙবেরঙের ঝকঝকে ফুলের নাম কেন যে সূর্যমল্লিকা না হয়ে চন্দ্রমল্লিকা হল !
  • Arpan | 125.118.164.120 (*) | ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০৮:৫৪69037
  • ভেনেস্তারার ছবিওলা পোস্টটি আমার। তবে একই নাম দেখানোটা অনিচ্ছাকৃত।

    মোবাইলে কারো প্রোফাইল ভিজিট করে তারপরে গুরুর ব্লগে কমেন্ট করতে গেলে এই সমস্যাটা হচ্ছে। একেবারেই প্রযুক্তিগত সমস্যা।
  • nina | 83.193.157.237 (*) | ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৫৩69039
  • ফুল দেখলেই কেমন যেন এক স্নিগ্ধতা মনে আসে ---চাঁদের আলোর মতন---ফুটফুটে স্নিগ্ধ আলোয় ঝলমল ---তাই কি চন্দ্রমল্লিকা নাম ?! ভাবছি ---
  • Tim | 188.91.253.22 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০৭:৪৪69040
  • ভালো লাগলো
  • dd | 132.171.118.188 (*) | ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:০৪69041
  • দ্যাখেন।

    আমি কিছু ফুলবিলাসী নই। মানে কুমড়ো ফুল বা বকফুল ভাজা ছাড়া। খুবি তামোসিক পাবলিক। ক্ষি ক্ষরবো ?

    কিন্তু অনিকেত মহায়ের এই ল্যাখা পড়ে বেদম ভাল্লাগ্লো। এই গুচর পাতায় বড্ডো খাই খাই ভাব। প্লাস মদোগিরি। অ্যান্ড কঠিন সাহিত্যচর্চা। তারপরে গিয়ে নীরেট পোলিটিস্ক।

    সব মিলিয়ে একটা, বুঝলেন্না,মানে, ক্ষি বলে গিয়ে, ক্ষি করে বুঝাই, একটা হাঁপ ধরা ইয়ে টাইপের ব্যাপার,

    এই টইটা একটা - একটা ফুরফুরে হু হু করে বসন্তো বাতাস, প্লাস সুগন্ধো, চন্দন টন্দন। যুঁই ফুল। ইঃ।
  • Arindam | 213.132.214.156 (*) | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:২১69042
  • তবে আমার গাছ্গুলি এখনও পর্যন্ত ততোটা বেয়াড়া হয়ে ওঠেনি ঃ)

    ছবি দিলাম (লিন্ক যদিচ) ।

  • জসিম উদ্দিন জয় | 53.245.118.21 (*) | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১১69043
  • ফুলের প্রতি ভালোবাসা । চমৎকার শব্দের কারুকাজ ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন