এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা...

    অনিকেত পথিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১১ মে ২০১৮ | ১১৩৮ বার পঠিত
  • কথাটা হচ্ছিল চুরি নিয়ে। কে না জানে ‘না বলিয়া পরের দ্রব্য...’ বা ‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা...’। কিন্তু সব দ্রব্যও সোনার গয়নার মত সোজাসাপ্টা ব্যাপার নয় আর সব ক্ষেত্রে আপন-পর হিসেবও এমন সহজ-সরল নয় যে একরকমের ধারণা দিয়েই যে কোন বিষয়কে চুরি বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে আর একরকমের পুলিশবাহিনী দিয়ে তার মোকাবিলা করা যাবে। ঝামেলা এটাই।
    কথাটা উঠেছিল একটা লেখার বিষয়ে। কোন লেখা কার লেখা সেসব আপাততঃ উল্লেখ করলাম না কারণ কথাটা প্রায়ই ওঠে, তাই আগে বিষয়টাতেই ঢুকে পড়ি। একটা বিষয়ের ওপর বাঙলায় লেখা একটা প্রবন্ধ পড়ে একজন ফেসবুকে জানিয়েছেন সেই লেখাটার সমস্ত তথ্য একটা ইংরেজী বই থেকে নেওয়া কিন্তু লেখায় তার ‘ঋণস্বীকার’ নেই অর্থাৎ লেখাটা ‘টোকা’ বা ‘চুরি করা’। উদাহরণস্বরূপ তিনি ইংরেজী বইটা থেকে একটা অংশ তুলে দিয়েছেন, কিন্তু বাংলা লেখাটার সেই অংশটুকু তুলে দেন নি, সেটা পাঠকের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। আর কে না জানে ‘বাবু যত বলে পারিষদ গণ বলে তার শতগুণ !’ অতঃপর সম্মিলিত পাঠক বর্গের ‘চোর চোর’ রব এবং ‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা’ ইত্যাদি আপ্তবাক্যের ছড়াছড়ি। যিনি এই চোর ধরেছেন তিনি (ধরুন তিনি ‘ক’ বাবু) একটি বিকল্প প্রস্তাবও রেখেছেন যে লেখাটি ‘পুস্তক সমালোচনা’ বিভাগে প্রকাশ করা যেত। যাঁরা তাঁকে সমর্থন করেছেন তাঁরাও নানারকম প্রস্তাব রেখেছেন যেমন হুবহু অনুবাদ অংশগুলো ব্র্যাকেটে রাখা যেত ইত্যাদি। মানে পুরো কালাচাঁদের ছবির কেস।
    দুটো লেখা মিলিয়ে দেখতে গিয়ে প্রথমেই যেটা দেখলাম যে বাংলা লেখাটা কোনওভাবেই ইংরেজী লেখাটার ‘হুবহু অনুবাদ’ নয়, (একটা গোটা বই বা একটা অনুচ্ছেদও মেরেকেটে ২০০০ শব্দের মধ্যে ধরাতে হলে সেটা সম্ভবই নয়, সোজা হিসেব)। সেটা উল্লেখ করাতে পারিষদগণ বললেন ‘ও ভাবানুবাদ হলে বুঝি ঋণস্বীকার করতে হয় না !’ কিন্তু আসলে তো লেখাটা ঠিক অনুবাদই নয়, তথ্যগুলো লেখকের নিজের ভাষায় নিজস্ব মন্তব্য সমেত সাজানো। সেটা ‘ক’ বাবুর লেখাতেও কিন্তু বলা ছিল। লেখকের নিজের ভাষা ও সম্পাদনার কথা তিনিও উল্লেখ করেছেন কিন্তু তা সত্বেও ‘টোকা’ বা ‘চুরি’ কেন বলেছেন আর সেটা কতটা (অ)সঙ্গত তাই নিয়েই এই লেখা। মজা হল এরপর যখন সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলাম যে বাংলা লেখাটা তুলে কোন জায়গায় কি রকম হুবহু অনুবাদ আছে তুলনা করে দেখান, তখন অনেকেই চুপ করে গেলেন। মানে এতক্ষণ জাস্ট কিছু না পড়ে না জেনেই চেঁচিয়ে যাচ্ছিলেন এঁরা। চোর ধরা পড়লে সেটাই সবচেয়ে বড় আমোদ, কি চুরি করেছে, সত্যি চুরি করেছে কিনা সেসব খতিয়ে দেখায় সময় কই, আগে তো দু ঘা বসিয়ে দিই ! সেই ব্যাপার।
    এখান থেকে মনে হল কয়েকটা কথা পরিস্কার করা দরকার। তথ্যসূত্র আর ঋণস্বীকার কিন্তু সমার্থক নয়। কোনও মৌলিক রচনার ক্ষেত্রে ঋণস্বীকার অবশ্যকর্তব্য, তাতে যদি অন্য মৌলিক রচনার সাহায্য নেওয়া হয়। যেভাবে একটি কবিতা বা গল্পের ‘ছায়া অবলম্বনে’ ছবি তৈরী হয়, বা অন্য একটি গল্প / কবিতা / গান লেখা হয়, একটি সুরের অনুপ্রেরণায় আর একটি গানে সুর দেওয়া হয়, সেইরকম। বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও যদি কোনও মৌলিক ভাবনা / মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হয়, সেখানেও আগে এইধরণের ভাবনার কথা জানা থাকলে তার কথা উল্লেখ করা জরুরী। তেমনি কোনও মৌলিক গবেষণার ফলাফল ব্যবহার করে কোনও মতামত প্রতিষ্ঠা করতে গেলে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা দরকার। পত্রপত্রিকায় লেখার সময় সাধারণতঃ এইরকম ক্ষেত্রে আলাদা করে তথ্যসূত্র না জুড়ে লেখার ভেতরেই আগের কাজের উল্লেখ করা থাকে।
    কিন্তু আমরা একটা লেখা পড়ার সময় রেফারেন্স খোঁজ করি কেন ? নিশ্চই এটা জানার জন্য নয় যে লেখক কোথা থেকে টুকেছেন বা কতটা টুকেছেন। যারা সেই বিষয়ে আরও জানতে চান তারা যাতে পড়ে নিতে পারেন, সেইজন্য। কিন্তু লেখকের দিক থেকে দেখলে কিন্তু লেখাটা কি ধরণের বা কোথায় ছাপা হচ্ছে সেটা একটা বিরাট বড় বিষয় কারণ বিভিন্ন লেখায় তথ্যসূত্র বা রেফারেন্সের গুরুত্ব সম্পূর্ণ আলাদা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বা খবরের কাগজে প্রবন্ধ লেখা আর বই বা গবেষণা পত্রে লেখা এক কথা নয়। গবেষণামূলক ‘জার্নালে’ পেপার বা রিভিউ লিখতে গেলে এই রেফারেন্স দেওয়া শুধু বাধ্যতামূলকই নয়, যত বেশি রেফারেন্স লেখার মান তত বেশি। সেখানে বরং লেখক অনেক রেফারেন্স না পড়েও উল্লেখ করে থাকেন, সেটা আটকাতে রেফারেন্সের আঙ্গিক বার বার বদলাতে হয়। কাগজে বা সাধারণ পত্রিকায় সাধারণ পাঠকের জন্য যা লেখা হয় সেখানে লেখকের মূল লক্ষ্য থাকে কতটা সহজ ও প্রাঞ্জল করে লেখা যায়। তথ্যনির্ভর প্রবন্ধের ক্ষেত্রে কোনো একটা বিষয়ের ওপর তথ্য যোগাড় করে লেখক তা নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখেন। এটা খুবই সম্ভব যে কোনও একটা বই বা প্রবন্ধে একটা বিষয় পড়ে বা জেনে লেখক সেই বিষয়ের ওপর কিছুটা পড়াশোনা করে কখনও বা নিজের ভাবনা কিছুটা মিশিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখলেন। কিন্তু এটা তিনিও দাবী করেন না বা পাঠকেরও মনে করার কোনও কারণ নেই যে এই প্রবন্ধের সব গবেষণা লেখকের নিজের করা। তাই মৌলিক রচনা না হলে রেফারেন্স না দেওয়ায় লেখকের সরাসরি কোনও স্বার্থসিদ্ধি হয় না, সম্মানও কিছু বাড়ে না, বরং তথ্যসূত্র দেওয়ার সুযোগ থাকলে লেখক কিছুটা নিশ্চিন্তই থাকেন যে তাঁর লেখার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কেউ সন্দেহ করবে না (বরং ভাববে অনেক পড়াশোনা করেই লিখেছে !)। কিন্তু সব সময় যে একটিই উৎস থেকে তথ্য নেওয়া হয় তা নয়; যে বই থেকে লেখক তথ্যসংগ্রহ করেছেন সেই বইয়ের সব তথ্যও কোনও না কোনও জায়গা থেকেই নেওয়া। বইয়ের ক্ষেত্রে সেই সব রেফারেন্স দেওয়ার মত পর্যাপ্ত অবকাশ থাকে জায়গার অভাব থাকে না, পত্রিকার ক্ষেত্রে যেটা একেবারেই অসম্ভব। দুটো-তিনটে রেফারেন্স দিতে যে জায়গা লাগে সেই জায়গায় আরও কিছুটা তথ্য দেওয়া যেতে পারে, যা পাঠকের পড়তে ভালো লাগবে। বেশি আগ্রহী পাঠক এমনিই লাইব্রেরী / ইন্টারনেট থেকে আরও তথ্য বা রেফারেন্স খুঁজে পেতে পারেন। তাই তথ্যসূত্র দেওয়া যে সবসময় খুব জরুরী এমন নয়, বরং বেশি রেফারেন্স, ব্র্যাকেট কন্টকিত হলে লেখার সহজ-পাঠে বাধা পড়ে। এই কথা পড়ে পারিষদগণের কেউ কেউ বলেছেন, দরকার হলে লেখা ছোট করেও রেফারেন্স দিতে হবে। আচ্ছা, বলুন তো লেখাটার উদ্দেশ্য কি বিষয়টা জানানো, না রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করা যে আমি কত পড়েছি !
    এই পর্যন্ত পড়ে যাঁরা ভাবছেন আমি চুরিকে সমর্থন করছি তাঁদের মনে করিয়ে দিই ব্যাপারটা হল যেটা চুরি নয় সেটা কে চুরি বলাটাতে আপত্তি জানাচ্ছি। যদি বলেন ‘টোকা’ তাহলে বলব তথ্য তো কোথাও তা কোথাও থেকে টুকতেই হবে, বানিয়ে তো লেখা যাবে না, বরং কতটা ঠিকঠাক টুকেছে সেটা মেপে দেখা যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, এই তথ্য তো কোনও না কোনও নথি থেকেই নিতে হবে, মানে টুকতে হবে আর কি। এই তথ্য কোথাও লেখা দেখলে আপনি টুকেছে টুকেছে বলে তো রাগারাগি করেন না। তাহলে অন্য ক্ষেত্রে একটা প্রবন্ধের সঙ্গে আরেকটা প্রবন্ধের বিষয়গত মিল পেলেই (বিশেষ করে একটা ইংরেজীতে আর একটা বাঙলায় লেখা যদি হয় !) কেন ‘টুকেছে’ ‘চুরি করেছে’ বলে লেখককে ছোট করেন ! কেন ভাবতে পারেন না যে দুজন লেখক হয়ত একই জায়গা থেকে তথ্য নিয়েছেন। ফেসবুকে এই আলোচনার সময় দুজন পাঠক দুটো উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন একজন বিজ্ঞানী (বিকাশ সিংহ) আর একজন সাংবাদিক (গৌতম চক্রবর্তী) কিভাবে লেখা চুরি করেছেন। এমনকি তাঁরা সংশ্লিষ্ট কাগজ (আ বা প) কে দিয়ে ‘চুরি করিয়ে নেওয়ার’ অভিযোগ করতেও ছাড়েন নি। যে দুজন লেখকের নামে এই অভিযোগ তাঁরা নিজের নিজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত, আর যে দুটো লেখার রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে মূল বাঙলা লেখা দুটির আংশিক মিল মাত্র পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলে দুজনেই যাথারীতি নীরব হয়ে গেছেন।
    তাই লেখার নীচে তথ্যসূত্র বা ঋণস্বীকার থাকলে ভাল, কিন্তু না থাকলেই চুরি চুরি বলে চেঁচানো অন্যায়। তথ্যসূত্র উল্লেখ না থাকলে একটা প্রবন্ধকে অসম্পূর্ণ বলা যেতেও পারে কিন্তু এক কথায় চুরি বলা যায় না। সেটা হলে পত্রপত্রিকায় রোজ রোজ এত লেখা ছাপাই হত না। আর প্ল্যাগিয়ারিজ্‌ম্‌ বা ‘ঝেঁপে দেওয়া’ আটকাতে যেসব নিয়মকানুন তাও গবেষণা প্রবন্ধের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কারণ রিভিউতে যেখানে অন্যের কাজের কথাই লেখা থাকে সেখানে অন্যের গবেষণাপত্রের ভাষার সঙ্গে কোথাও কোথাও মিল থাকতেই পারে। ইংরেজী থেকে পড়ে বাঙলায় লিখতে গেলে এমনিই ভাষা একটু বদলে যায়, তাকে আর তখন প্ল্যাগিয়ারিজ্‌ম্‌ বা টুকে মারা বলে দেগে দেওয়া যায় না।

    পুনশ্চ ঃ এই লেখার শিরোনাম থেকে শুরু করে ভেতরের অঙ্গশে আমি রবিবাবু ও সুকুমার রায়ের বহু আইডিয়া ‘ঝেঁপেছি’।

    # এই লেখাটা লিখেছিলাম প্রায় দু'বছর আগে। আনন্দবাজারে প্রকাশিত একটা প্রবন্ধের বিষয়ে এই যাবতীয় আপত্তি জানিয়ে যিনি আলোচনা শুরু করেছিলেন তাঁর নাম অশোককুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি আবাপ'র কর্মী বলে মনে হয়নি। সে যাই হোক, তখন ওঁর অভিযোগের উত্তরে এই লেখাটা লিখেছিলাম। আজ উনি নিজেই এক্কেবারে একইরকম অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু 'টোকা' বিষয়ে আমার বক্তব্য বদলায়নি। তাই লেখটা এইবেলা প্রকাস করলাম। আলোচনা চলুক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১১ মে ২০১৮ | ১১৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন্দম | 113.50.83.192 (*) | ১২ মে ২০১৮ ০১:১৮62526
  • লেখক এক জায়গায় লিখেছেন, "কেন ভাবতে পারেন না যে দুজন লেখক হয়ত একই জায়গা থেকে তথ্য নিয়েছেন। "
    না ভাবার কি আছে, এই লাইন দেখা মাত্র মনে এল, একবার বু ব ও প্রেমেন্দ্র মিত্রর মধ্যে দুজনেরই কোন একটি লেখা নিয়ে তরজা লেগেছিল।
    তাতে প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছিলেন, ও যেখান থেকে নিয়েছে, আমিও সেখান থেকেই নিয়েছি...
    (এই মুহূর্তে আবছা এই ঘটনাই মনে আছে, কোথায় পড়েছিলাম, মনে নেই)

    তা ব্যাপারটা যেরকম দাঁড়াচ্ছে, মৌলিক লেখা টেখা বলে কিছু নেই(ব থাকলেও একটি দুটি) অথবা সন্দীপন মতে 'নিরক্ষরের কাছে সবই মৌলিক' এ ব্যাতীত যার কাছে যেটা না-পড়া সেটাই তার কাছে মৌলিক বাকীদের কাছে তা নাও হতে পারে।
    ব্যাক্তিগত রাগটাগ থাকলে একটু হল্লাগল্লা করবে, তারপর আবার...ঠান্ডা।

    যাকগে প্রবন্ধ লেখাই সব'চে সেফ দেখছি। গল্প টল্প হলে থিমের মিল পেলে লোকে বলে চুরি। মনে আছে 'চ্যাপলিন' সিনেমা দেখে দেশ পত্রিকার এক লেখক চুরির অভিযোগ এনেছিল, যে তার থিম চুরি করেছেন পরিচালক।
  • অনিকেত পথিক | 182.58.37.236 (*) | ১২ মে ২০১৮ ০২:৩১62527
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন