এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভুলে যাওয়া বইদের কবরখানা

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ৭২২১ বার পঠিত
  • খাটের ডিভান আমার কাছে সর্বদাই একটা ম্যাজিক প্লেস ছিল যেখানে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে লুকিয়ে রাখা যেত নিজের সমস্ত সিক্রেট। আমার সেমেট্রি অফ ফরগটেন বুকস ছিল আমার খাটের ডিভান। গত কুড়ি বছর ধরে নিজের প্রত্যেকটা দিন একটু একটু করে রেখে দিয়েছিলাম ওখানে। কাল খাট শিফট করার সময় যখন ডিভান খোলা হল বুকটা ছ্যাঁত করে উঠল। মনে হল এক মৃত সভ্যতার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যে বই খাতা হারিয়ে গেছে, মরে গেছে-সেই সব নিভে যাওয়া দিনগুলোকে কবর দিয়ে রেখেছিলাম ওখানে। একে একে বেরতে থাকল সবকিছু। মার্সেল প্রুস্ত বলতেন তাঁর পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় বিশেষ বিশেষ গন্ধের মাধ্যমে। কিন্তু প্রুস্ত এটাও লিখে গেছেন যে মরে যাওয়া বইদের গন্ধ হয়না। মরে যাওয়া বইয়ের থাকে শুধুই স্মৃতি। তা নিরাকার, গন্ধহীন এবং অব্যয়।

    মায়ের সাথে ডিভান পরিষ্কার করছিলাম। প্রথমে বেরোল পুরনো যুগের রাশি রাশি আনন্দমেলা। সংখ্যাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল একের পর এক। কমান্ডো, যেখানে প্রথম চে গুয়েভারার নাম শুনেছিলাম। ফরেনসিক নিয়ে একটা সংখ্যা ছিল। একটা সংখ্যা ছিল ডিটেকটিভ নিয়ে। তেণ্ডুলকরকে নিয়ে একটা সংখ্যা হয়েছিল বিস্ময় বালক নামে। মনে আছে সেখানে তেন্ডুলকরের একটা পোস্টার বেরিয়েছিল যেটা কেটে দেওয়ালে টাংগিয়েছিলাম। এছাড়া ছিল অ্যাস্টেরিক্সকে নিয়ে একটা সংখ্যা। অ্যাসটেরিক্স নামটাও ওখানেই শোনা প্রথম, এবং প্রথম কমিক্সটাও ওখানেই পড়া। গল-যোদ্ধা অ্যাসটেরিক্স নাম। মনে আছে, টিনটিনের পোস্টারটা না পেয়ে আনন্দমেলায় চিঠি লিখেছিলাম। ওরা পরে বাড়িতে ডাকযোগে পাঠিয়েছিল। গুলিট, মারাদোনা আর ওয়াসিম আক্রমের-ও পোস্টার ওখান থেকেই টাংগিয়েছিলাম। এখন সেই সব সংখ্যার পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে। খুলে খুলে পড়ছে। কয়েকটা উলটে দেখলাম। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘শিউলি’ ধারাবাহিক বেরত। একটায় দেখলাম সুনীল গাংগুলীর ‘অন্ধকারের বন্ধু’ ধারাবাহিকটা। পলাশী যুদ্ধের পর সিরাজের সেনাপতি মোহনলালকে নিয়ে লেখা। শিশিরকুমার দাসের লেখা একটা উপন্যাস দেখলাম, ‘চিংড়ি’ নাম। পুরো অ্যাবসার্ড ঢং-এ লেখা। জানি না ইনি-ই গ্রীক ভাষা বিশেষজ্ঞ শিশিরকুমার কি না। আর একটায় দেখলাম একটা স্কুলের পটভুমিকায় লেখা উপন্যাস যেটা পড়ে তখন দারুণ লেগেছিল। আবার পড়লাম। ম্যাড়মেড়ে লাগল। বুঝলাম, বনফুলের গল্পের সেই পাঠকের মৃত্যু ঘটে গেছে।

    মা তারপর হাতে ধরিয়ে দিল একগাদা ম্যানিফেস্টো। সেই ছাত্র রাজনীতির সময়কার সব। নিউ ডেমোক্রাসির সংখ্যাগুলো, মার্ক্সবাদ লেনিনবাদের অনেক বই, প্যাম্ফলেট, পিডিএসএফ-এর মুখপত্র, পিপলস ওয়ার গ্রুপের ছোট ছোট অনেকগুলো সংখ্যা যেগুলো এক দাদা দিয়ে বলেছিল “খুব সাবধানে রাখিস। গোপন ও ষড়যন্ত্রমূলক বই সব”। আজকাল মনে হয় এসব কেউ ছুঁয়েও দেখবে না। দেবাশীষ ভট্টাচার্য্যের লেখা সত্তরের স্মৃতিচারণা দেখলাম। এখন প্রায় ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। পার্টির হয়ে লেভি তোলার স্লিপবুকটা দেখলাম এক কোণে অনাদরে পড়ে আছে। হাতে নিয়ে একটু হাত বুলোলাম। এই লেভি তুলতে গিয়ে যত গল্প সব ইতিহাস হয়ে আছে এখানে। স্মৃতির রঙ মনে হয় সর্বদাই হলদেটে, ছেঁড়া খোঁড়া।

    একগাদা লিটল ম্যাগাজিন ছিল। সব ভুলে যাওয়া লেখকদের গল্প উপন্যাস। বেশিরভাগ-ই এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সৃজন বলে একটা লিটল ম্যাগ বেহালা থেকে বেরোত। হরিণা হরিণীর, উবুদশ, জারি বোবাযুদ্ধ, সুবিমল মিশ্র সংখ্যা, অয়ে অজগর বলে একটা লিটল ম্যাগের কয়েকটা সংখ্যা, গল্পকার, চতুর্থ দুনিয়ার সাহিত্য, আন্তর্জাতিক ছোটগল্প সংখ্যা, পরিকথা অনেকগুলো, আর প্রচুর ভাষাবন্ধন। ভুলে যাওয়া হারিয়ে যাওয়া নাম না জানা লেখকদের ভিড়। পুর্ণেন্দূ ঘোষ বলে একজনের লেখা পড়তাম বিভিন্ন লিটল ম্যাগে। অসাধারণ ছোট গল্প লিখতেন। কোথায় হারিয়ে গেলেন। আরেকজন ছিলেন, শাশ্বত শিকদার। শুনেছি খুব অল্প বয়েসে মারা গেছেন। মুর্শিদ এ এম, যাঁর জাড়কাঁটা বলে একটা গল্পের বই-ও বেরিয়েছিল। উত্তরবংগের অলোক গোস্বামী। সুকান্তি দত্ত যাঁর একটা বই-এর রিভিউ আমি নিজেই ভাষাবন্ধনে করেছিলাম। কেউ নেই আর। এদের কোনওদিন এলিজি লেখা হবে না। পৃথিবীর সমস্ত খাটের ডিভানের অন্ধকারে মশাদের গুনগুন আর ঝুলের আদর শুধু স্পর্শের উত্তাপ ছড়িয়ে রাখবে আমৃত্যু।

    দুম করে হাত ফসকে একটা পুরনো ডায়রি পড়ে গেল মাটিতে। তুলে দেখলাম, ভেতরে অনেক চিঠি চাপাটি রাখা। ভুলে যাওয়া এক প্রেম, যার জন্য আমি প্রতিদিন কলেজ থেকে বেরিয়ে হাজরা মোড়ে আসতাম। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে হাজরা থেকে আনোয়ার শাহ প্রতিদিন। সেই হাঁটাগুলো থেকে গেছে। বিড়লা মন্দিরের পাশের গলিতাও থেকে গেছে যেখানে দুজন একসাথে ঘুরতাম। রিচি রোড, বৃষ্টির গন্ধ মাখা লাভলক সরণী, ম্যাডক্স স্কোয়ার বা ট্রায়াংগুলার পার্কের কুয়াশা, বিবেকানন্দ পার্কের মধ্যে উড়িয়ে দেওয়া বেলুনের মধ্যে সেই প্রেম থেকে গেছে। অনেক চিঠি, কয়েকটা আঁকা ছবি, আমার লেখা কয়েকটা কবিতা সে মুক্তোর মতন হাতের লেখায় তুলে রেখেছিল, যাতে হারিয়ে না ফেলি। সব থেকে গেছে। একটা হার্ট শেপড বাক্স, যার মধ্যে তুলোর বিছানায় শুইয়ে রাখা একটা ছোট্ট ভাল্লুক। আমায় দেওয়া সবকটা গিফটের মধ্যে ওটা সবচেয়ে যত্ন করে রেখেছিলাম, জানি না কি ভেবে। একদম অবিকৃত রয়ে গেছে। ডায়রিটার স্পাইন আলগা হয়ে এসেছে, সুতো বেরিয়ে পড়েছে। চিঠিগুলো আবার যত্ন করে রেখে দিলাম ভেতরে। ঘুমোক।
    মা বলল, “এত এত বইখাতা, কি করবি?” আমি জানতাম না, কি করব। মা বলল, “ফেলে দে”। ফেলতে গিয়েও হাত উঠল না। একটা ছেঁড়া পাতাও ফেলতে পারলাম না। খাটটাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল দোতলায়। সেখানে ডিভানের ভেতর আবার সন্তুপর্ণে ঢুকিয়ে রাখলাম সব কিছু। আবার কুড়ি বছর বাদে পঞ্চাশের এই আমি যখন ডিভান খুলব, আবার ধাক্কা দেবে এদের প্রেতাত্মা। এই সব পুরনো ই পি ডবলিউ, নক্সাল আন্দোলনের বই, আনন্দমেলা, পূর্ণেন্দু ঘোষ, ভুলে যাওয়া লিটল ম্যাগ, গুলিটের পোস্টার, এই কোনওকিছুর এলিজি হয় না। এদের মৃত্যু ঘটে যাবে সবসময়েই চুপি চুপি একা একা। কেউ জানবে না। শুধু কোনো এক লুকিয়ে রাখা কবরখানায় এদের সকলের প্রেতাত্মা ঘুমিয়ে থাকবে আজীবন। চিলছাদ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবে। কোনও একদিন পুড়ে যাবে শংকর গুহনিয়োগীর ম্যানিফেস্টো। হারবার্ট সরকার জ্বরের ঘোরে মৃত বইদের ভূত একে একে আসতে দেখবে। আর তাদের পরম মমতায় আগলে রাখবে আমার খাটের ডিভান। বুলগাকভের শয়তান বলে গেছিল, ‘পাণ্ডুলিপি পোড়ে না’। পৃথিবীর সব প্রত্যাখ্যাত মরে যাওয়া পান্ডুলিপির জন্যই অপেক্ষা করে থাকে আগুন নয়, কবরখানা। থাকুক সব। ভাল করে ঘুমোক, ঘুমোলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৫ নভেম্বর ২০১৫ | ৭২২১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • রোবু | 113.10.210.142 (*) | ২১ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:২৩66785
  • তা কেসিদা কি আমাকে হোমেজ টু কাতালুনিয়া পাঠাতে পারে?
  • h | 127.194.251.163 (*) | ২১ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:২৫66786
  • প্রহম প্যার র 'লোক' বোলানো অর্থে, আমি নই ঃ--))))
  • শাক্যজিৎ | 116.51.24.117 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০১:২৪66787
  • আমি আবার হেমিংওয়ের সিভিল ওয়ার সম্পর্কিত জার্নালগুলো পরে ওই সম্বন্ধে প্রভূত উৎসাহী হয়েছিলাম এবং কিছু পড়াশোনা করেছিলাম যদিও পরে কেন লোচ ইত্যাদি ঘুরে এসে এবং বেশ কিছু রিপাবলিকানদের মেমোয়ার্স পড়ে দেখলাম স্তালিনিস্তদের ভূমিকা সেই সময় নক্কারজনক ছিল। লজ্জায় আর সেই জন্য সিভিল ওয়ার নিয়ে জনসমক্ষে ভাট করতে যাই না। মাকু পরিবারে জন্ম এবং মাকু সমর্থক হবার যন্ত্রণা হল দিকে দিকে দেশে বিদেশে ভুল ঠিক সব কাজকে ডিফেন্ড করে যেতে হয়। :)

    আমি আপাতত ফুএন্তেস পড়ছি। তেরা নস্ত্রা। মহাকাব্য প্রায়। ওটা শেষ করে বোলানো নিয়ে ল্লিখব। স্যাভেজ আর ২৬৬৬ দুটোই
  • h | 127.194.254.17 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০১:৫৮66788
  • কমরেড ভগবান তোমার মঙ্গল করুন ঃ-)
  • রোবু | 233.29.204.2 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০২:১২66789
  • ভাগবানকেও কমরেড বলছে!
  • শাক্যজিৎ | 116.51.24.117 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২৯66790
  • :)
  • h | 127.194.254.17 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:২২66791
  • ;-) এর মধ্যে যে কি পরিমাণ সুফিজম লুকিয়ে আছে কল্পনা করতে পারবে না ;-)

    বাই দি বাই, অকারণে স্তালিন কে ডিফেন্ড করার কি দরকার বুঝি না। বয়স তো হলো। তবে টুসকি দের ও বেশি পকর পকর করতে দিয়ো না। ক্রনস্টাড এর ঘটনায় ট্রটস্কি ভূমিকা খুব সুবিধের না।
  • sosen | 184.64.4.97 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৫১66792
  • হানুদাও থ্রিলার ও ফিকশন পড়েছেন শুনে হীনমন্যতা কিঞ্চিৎ কমলো
  • kc | 198.70.11.46 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৪:৫১66793
  • ট্রটস্কির ভূমিকা ওই দুটো অসম্ভব রকমের ভালো বইয়েই সীমাবদ্ধ। স্ট্যালিন জিন্দাবাদ।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:০৭66794
  • অ রোবু, ন্যান।

    http://www.george-orwell.org/

    খাওয়াতে ভুলবেন না তো?
  • robu | 11.39.38.145 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১৫ ০৫:২৩66795
  • কেসিদাও তো পাঠিয়ে দিয়েছে ঃ-) দুজনকেই খাওয়াব।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 212.78.235.241 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৫ ১০:১১66796
  • শাক্যজিত

    দুর্দান্ত লেখা হয়েছে আপনার ! এই যে বইদের গোপন কবর - এটা প্রায় সবারই আছে এক বা একাধিক করে ! - বাড়ি বিক্রি হয়ে যাক, ফ্ল্যাট পালটানো হোক - গোপন কবরগুলো কিন্তু আমাদের সঙ্গেই যেতে থাকে ! - কারুর নিজস্ব কবিতা, কারুর গল্প আবার প্রেম পত্র - সব যায় সঙ্গে সঙ্গে !

    আমি অনেক সময় ভাবি - আমার নিজের কবরে তো এঁরা স্থান পাবে না । কারন এদের কথা তো কেউ জানবেই না ! কী হবে এদের ভবিষ্যৎ ! - যে আসবে আমার ঘর দখল করে - সে যে কবি, গল্পকার, কিম্বা আমার মতো পুরনো স্মৃতির কারবারি - নাও তো হতে পারে ! '- এত জঞ্জালও জমিয়ে রাখতে পারে' !

    কার হৃদয়ের তন্ত্রী কাঁপবে - সামান্য কো লাইনের একটা পঞ্চাশ ষাট বছরের পুরনো কবিতার জন্যে !

    মনোজ
  • saikat | 212.54.74.119 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১৫ ১০:১৪66797
  • তেরা নস্ত্রা প্রায় 'অপাঠ্য'। আমার লেগেছিল, জয়েসের লেখার চেয়েও। হনুর থেকে নিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু পুরো পড়তে পারিনি। হনু মনে হয় জানেও না । ঃ-) অপাঠ্য বলতে লেখকের দিকেই ইঙ্গিত করছি যে যা তিনি করতে চেয়েছেন, সেটা বই হিসেবে দাঁড় করতে গেলে বৃহদাকার কিছু দঁড়িয়ে যায়, সভ্যতা আর ইতিহাসের সব কিছু বইয়ের মধ্যে আনার প্রাণান্তকর চেষ্টা, একটা grand conception আর সেই জন্যই grand failure যেন। খেই রাখা যায় না, এক সময়ে।
  • h | 127.194.238.31 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৫৮66798
  • সোসেন মাইরি প্যাক দিলো দ্যখো আমার কিছু পোড়ার উত্তেজোনা জা পড়াশ্য়্নো আসলে তার কাছাকাছিও হোলে মানুষ হোয়ে জেতামঃ-))) জাক একজন কে ঘুম থেকে তোলা গ্যাছে তোবে পোস্ত দেখে মোনে হছে অএ আবার ঘুমাতে গেলো;-)
  • শাক্যজিৎ | 23.17.125.9 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৫ ০৯:১৬66799
  • তেরা নস্ত্রা আমারো এখন আর পোষাচ্ছে না
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন