এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাতৃরূপেণ

    Sutapa Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৩৩৭ বার পঠিত
  • আমার বাবাকে জীবনকালে , আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে, থানায় যেতে হয়েছিলো একবারই। কোনো অপরাধ করায় পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো তা নয়, নিছক স্নেহের আকুল টান বাবাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো 'মামা'দের মাঝে।
    2007 সাল। তখন এপ্রিল মাস। 14ই মার্চ ঘর ছেড়ে মাসতুতো বোনের বাড়ী চলে আসবার পর, 17 তারিখ আমার বড়কন্যেকে তার ইচ্ছাক্রমে আমার কাছেই আনতে , জলপাইগুড়ি যাই বাবার বাড়ীতে, যেখানে তারা দুইবোন অ্যানুয়াল পরীক্ষা শেষে অভয়ারণ্যে বিচরনের আনন্দ উপভোগ করছিলেন। তো, বড়মেয়েকে নিয়ে আমি বেড়োলাম উকিলের সাথে দেখা করতে, আর ছোটোমেয়ে কে বলে গেলাম সাবধানে থাকতে, সে তখন সাড়ে আট মোটে!! ফিরছি যখন কোর্ট থেকে, করলা নদীর ব্রিজের ওপর পাশ কাটিয়ে গেলো এক বাইক আরোহী (মেয়ের বাবা) আর পিছে জাপটে বসা আমার প্রানভোমরা, ছোটমেয়ে। আমার সাময়িক অনুপস্হিতিতে, আমার বাবামায়ের ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে, গৃহত্যাগিনী স্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দিতে, ছোটমেয়েকে আদর করে ভুল বুঝিয়ে আমারই বাবার বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গেছে তাদের 'বায়োলজিক্যাল ফাদার'।
    শুরু যন্ত্রণার, শুরু লড়াইয়ের, শুরু নিজের সহ্যশক্তিকে প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করানোর। ছোট ছিলো এপিলেপ্সির পেশেন্ট, একা উপার্জন করে, এমনকি ধারদেনা করেও তাকে নিয়ে সেসময়েই দুবার চেন্নাই পাড়ি দেওয়া হয়ে গেছে পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্টের পরামর্শ ও চিকিতসা পেতে, যে বিশেষজ্ঞ তখনো কোলকাতায় অমিল। তার ঔষধ একদিনও বাদ পড়বার যো ছিলো না, আর যে মেয়ে কখনো মা ছেড়ে অথবা উল্টোটাও সত্যি, তাদের পরস্পরকে ছেড়ে থাকার কষ্ট ঠিক কি কি শব্দ সাজালে বোঝানো যায় আমার জানা নেই। মেয়েদের রেজাল্ট মার্চের শেষে, জলপাইগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে নেমে শুনলাম ছোটমেয়ে এসেছে মামাবাড়ীতে রেজাল্ট দেখাতে, আমি পৌঁছানোর আগেই তাকে সরিয়ে নেওয়া হলো যাতে দেখা না হয়। আজও, আজও, এটুকুর বেশী,সে সময়কে ফিরে দেখতে গেলে আমার শরীর খারাপ করতে থাকে, সেই রাতের পর রাত এগারোটায় ফোন করে 45 সেকেন্ডের আওয়াজ যেন শুনতে পাই , 'খাইনি এখনো' , আগুন ছড়িয়ে দেয় আমার শিরায় শিরায়। এমন সব শেকড়-ছেড়া অভিজ্ঞতাই পেশাদার খুনী হবার প্রথমপাঠ দেয় মানুষকে, মনে হয় আমার।
    কেন আমি খুনীও হয়ে উঠতে পারিনি তবে?
    25শে এপ্রিল,বেলা এগারোটা। আমাদের স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শেষে অ্যাকাডেমিক ইয়ারএন্ডিং চলছে। আমার সন্তানদের বাবাকে ফোন করে জানতে পারি, ছোটমেয়ে অসুস্হ। তার সাথে কথা বলতে পারা যাবে না। আমি অনুরোধ করলাম, আমার তো ছুটি চলছে কয়েকদিন মেয়ে আমার কাছে এসে থাকুক , সেরে উঠুক আমি ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আসবো। বলা দরকার, এর আগেই বুকে পাথর চেপে মিউচুয়াল ডিভোর্সের একটা এগ্রিমেন্ট সই করেছি আমি, যেখানে ছোটমেয়ের কাস্টোডি থাকবে তার বাবার, আর মা ভিজিটিং রাইট পাবে বলা হয়েছে। বেশ কয়েকবার বলেও মেয়েকে কথা বলতে তো দেয়া হলোই না, অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সঙ্গে সেই বছর ষোলো আমার অন্নে প্রতিপালিত জীবটি বললেন, ওকে(মেয়েকে) যেতে টেতে দেওয়া যাবে না!! নিজের শিক্ষা দীক্ষা, রুচিবোধ সব একঝটকায় সরিয়ে ফেলে, ভয়েই থাকা আমার ভেতর থেকে লাফ দিয়ে যেন বেরিয়ে এলো সেই মা বাঘিনী, কেটে কেটে, স্পষ্ট উচ্চারনে শ্লীলতার সব সীমা পার করে ফোনেই বিষাক্ত তীরের মত, তপ্ত শীশার বুলেটের মত, শব্দ গুলো উগরে দিয়েছিলাম মুঠোফোনেই, "আমার মেয়েকে আমার কাছেই নিয়ে আসবো আমি, তোর বাপেরও যদি দম থাকে, আটকে দেখায় যেন"! শ্রাবনজাতার সহ্যের বাঁধ সদর্থেই ভেঙ্গেছিলো সেদিন, প্লাবন তো ছিলো সময়ের অপেক্ষা।
    'বলা যত সহজ, কার্যক্ষেত্রে করে দেখানো তার কয়েকগুণ বেশী কঠিন', জীবনের সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শিলিগুড়ির উকিলবাবু বুদ্ধি দিলেন, থানায় গিয়ে তার পরিচিত অফিসারকে অ্যাপ্রোচ করতে, এ ব্যাপারে সাহায্য করবার জন্যে। যদি কাজ না হয় সেজন্যে প্ল্যান 'বি', 'সি' সব ভাবাও হলো। সর্বশেষ বুদ্ধি হিসেবে মিডিয়াকেও ইনভলভ করতে হবে ঠিক হলো। তো, সেদিনই পাড়ি দিলাম জলপাইগুড়ি, সোজা সদর কোতয়ালীতে, যেখানে মাসখানেক আগেই নিজের ও সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছি আমি, ঘর ছেড়ে চলে আসবার ঠিক পরপর। উকিলবাবুর অফিসার বন্ধু সমস্ত সমস্যা মন দিয়ে, সময় নিয়েই শুনলেন। তারপর কার্যকরী সুবুদ্ধি দিলেন। রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকায় আমার শ্বশুরবাড়ী পুলিশ দিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে আসা রুখে দেবেই, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি পরামর্শ দিলেন এস ডি এম কোর্টে মেয়েকে কাছে চেয়ে আবেদন জানাতে।সেদিন ফিরতে হলো খালিহাতে, কিন্তু মনের জোর রইলো অটুট। রাতেই উকিলবাবু, জলপাইগুড়িতে যে শিখন্ডী উকিলকে দিয়ে ফাইল করা হবে স্যুট তার খোঁজখবর নিলেন। পরদিন বেলা দশটায় বড়কন্যে আর মাসতুতো বোন, যে আমার লড়াইটায় আগাগোড়া নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে গেছে, চললো আমার সাথে জলপাইগুড়ি। সারাবেলা শেষে সে আবেদনের বয়ান সারা হলো, ঠিক হলো পরদিন, 27 তারিখ শুক্রবার তা পেশ হবে এস ডি এম কোর্টে। আপাত-শান্ত মুখে , বাবা মায়ের কাছে সেরাত তিনজনেই থেকে গেলাম আমরা। হালকা হাসির আড়ালে আমার জ্বলতে থাকা তুষ-আগুনের আঁচ বোধহয় সে রাতে টের পেয়েছিলেন এক সত্তরোর্ধ যুবক, আমার বাবা।
    পরদিন, আইনি পদক্ষেপ। খুব সাবধানতায় , যাতে প্রতিপক্ষ কোনোভাবে বুঝতে না পারে ঠিক কি করতে চলেছি আমি, তাই অন্যসূত্রে খবর নিচ্ছি মেয়ের, মানে ঐ কিছু স্বজন থাকেন কিনা, যাদের ভালোবাসার সবটুকুতেই থাকে প্রতিপক্ষ, তাদের মাধ্যমে, নিমতিতো ভাবকে লুকিয়ে সুগারকোটেট হয়ে অযাচিত আলাপ বাড়িয়ে। জানা কথা তারা আমায় মেয়ের খবর শুনিয়ে বিমল আনন্দ পাবেন! মহামান্য আদালত অর্ডার দিলেন, পরদিনই মেয়েকে তার বাড়ী থেকে 'উদ্ধার' করে কোর্টে উপস্হিত করবে পুলিশ। সেদিন শুক্রবার, পরেরদিন, পরের কার্যদিবস, মানে সোমবার, 30 শে এপ্রিল।
    জানা ছিলো, এবার শিখন্ডী উকিলের সাহায্যে হবে না, আসরে নামতে হবে শিলিগুড়ির উকিলবাবুকেই, কারন স্হানীয় প্রতিপত্তি খাটিয়ে আমার স্হানীয় উকিলকে 'ম্যানেজ' করা তেমন বড় ব্যাপার নয় আমার শ্বশুরবাড়ীর পক্ষে। কিন্তু এই উকিলবাবুর ফী, যাতায়াতের গাড়ীভাড়া!! হাতের নোয়া বাঁধানো, শৃঙ্খলিত বিবাহসম্পর্কের প্রতীক কাজে এলো। বিক্রি করে জোগাড় হলো টাকা, শণিবার, 29শে এপ্রিল। এবার শুধু প্রহর গোনা,অপেক্ষা। রবিবারের শেষ বাস ধরে শিলিগুড়ী থেকে জলপাইগুড়ী । রাতে পিত্রালয়বাস। ভোরবেলা নিজে থেকেই ঘুম ভেঙে গেলো, কেমন এক প্রশান্তির নির্লিপ্তি মনে! আসল লড়াইটা যে এখনি শুরু হবে, এখনই অমন শান্তি অনুভবের সময় নয়। দ্রুত নিজেকে গুছিয়ে নিতে শুরু করি, আমি , বড়মেয়ে, তার মাসি সকলে ছটার মধ্যেই থানায়। বাবা উতকন্ঠিত, কিন্তু প্রকাশ্যে নিরুত্তাপ, অপেক্ষমান বাড়ীতে।

    পুলিস সেদিন যে সাহায্য করেছিলো তা না স্বীকার করলে অন্যায় হবে। অর্ডার ছিলো আমার ফেলে আসা ‘নিজের’ বাড়ী থেকে ছোটমেয়েকে নিয়ে এসে কোর্টে তুলতে হবে, বিচারক তার সাথে কথা বলবেন।30 তারিখ সোমবার, এপ্রিল 2007 আমার ছেড়ে আসা বাড়ীতে পুলিস সহ মেয়ে খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেলো না। আমরা জানতাম, পুলিসকেও জানিয়েছিলাম পাওয়া যাবেও না। মেয়ে তো হাকিমপাড়ায় তার বড়পিসির বাড়ী থাকে, তার বাবা জোর করে নিয়ে গেছে বটে, কিন্তু তার দেখভাল , স্কুলের দায়িত্ব তার ঠাকুর্দা ঠাকুমা নেয়নি, বাবার তো সে যোগ্যতাই নেই, তাই মাকে ফিরিয়ে আনতে মেয়েকে অনাথের মত থাকতে হয়েছে পিসির বাড়ীতে। পুলিসভ্যান ঘুরে রওনা হলো পিসির বাড়ী, অর্ডার নেই কিন্তু সেখান থেকেই মেয়েকে তুলে সোজা থানায়। পুলিসকাকুদের অনুমতি নিয়ে জানানো হলো দাদুকে। বাবা , সরভাজা আর পনীরের ঝোল দিয়ে ভাত মেখে টিফিনবক্স নিয়ে জীবনে প্রথমবার, একমাত্রবার, থানায় প্রবেশ করলেন তার ছোট নাতনীকে দেড়মাস পর নিজের হাতে খাইয়ে দেবেন বলে। ছোটমেয়ে কাঁদছে দাদুকে দেখে, দিদিকে পেয়ে সে কি খুশী, কিন্তু এমন মগজধোলাই হয়েছে, মায়ের কাছে আর ঘেঁসে না!! একটি সাড়ে আট বছরের বাচ্চা মেয়ে ,শারীরিকভাবে অসুস্হ, তার মানসিক নির্যাতিত অবস্হা পুরোপুরি ম্যাপ করার মানসিক স্হিরতা আমার সেদিন ছিলো না, স্বীকার করি।
    সে পর্ব থাক, পরবর্তী ঘটনাক্রমে ফিরে আসি। বেলা আড়াইটে, এস ডি এম কোর্ট। নিয়মমাফিক পুলিস ‘প্রোডিউস’ করলো মেয়েকে কোর্টে।তার অসুস্হতার সব প্রমাণ দাখিল হোলো, মা তাকে প্রতিপালনে সক্ষম ও ইচ্ছুক প্রমান দাখিল হোলো। তাকে জিজ্ঞেস করা হোলো সে কার সাথে থাকে, মায়ের কাছে সে থাকতে চায় কিনা । মেয়ে নিশ্চুপ, তার বাবা আসন্ন জয়ে উতফুল্ল, আমার শিলিগুড়ির উকিলবাবুর কপালে তিনছড়া গভীর রেখা , আমার হার্টবিট শুধু আমি কেন, সব্বাই শুনছে, বিচারক শেষবার জানতে চাইছেন ‘তবে তুমি কার সাথে থাকবে?’ রিনরিনে স্পষ্ট গলায় এতক্ষন চুপ করে থাকা ‘রোমি’ এবার উত্তর দিলো , ‘আমি দিদির সাথে থাকবো’। দ্রুত সিদ্ধান্ত শোনালেন ম্যাজিস্ট্রেট, মেয়ের শারীরিক অবস্হা বিবেচনায় তাকে একমাস মায়ের কাছে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।ফিরলাম সে সন্ধ্যায় মেয়ে কোলে প্রথমে পিত্রালয়ে, তারপর শিলিগুড়ির বাসায়।

    পরবর্তী গল্পটি আরও মজাদার। মাসশেষে উকিলের পরামর্শে নিউরোলজিস্টের বেটার ট্রীটমেন্টের সার্টিফিকেটসহ কোর্টে গিয়ে শুনি সেদিন তিনি অনুপস্হিত, দিনদশেক পরে উপস্হিতি আবার। পরদিন গিয়ে শুনি মেয়ের বাবা কেসটি ‘পুট আপ’ করে আবার নিজেরাই ‘ড্রপ’ করে গেছে। সন্তানের দায়িত্ব সে বহন করতে অনিচ্ছুক সে আজ, যেমন সন্তান জন্মের আগেই মেয়ে জন্মাবে এই অভিমানে কথা বন্ধ করেছিলো হবু মায়ের সাথে আচমকা, এবারও আচমকাই তার দাবী ছেড়ে দিয়ে আমার জীবন আমায় ফিরিয়ে দিয়ে গেছে সে।
    আর ডানা মেলতে দুবার ভাবতে হয়নি আমায়, আমার দুটি মেয়ে, আমার দু ডানা,তাতে ভর করে উড়ানে সামিল আমি আজও, বুক ভরে নিচ্ছি মুক্ত বাতাস।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৩৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | 121.65.39.116 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২৩64759
  • এই রকম কাছাকাছি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেলাম সম্প্রতি। এখনও যাচ্ছি। উকিল পুলিশদের পয়সা খাওয়া, কোর্ট কাছারির অসম্ভব ডিলে, বিবিধ মামলা মোকদ্দমা, আত্মীয় পরিজনদের একাংশের ষড়যন্ত্র ইত্যাদি। নিস্তার পেয়েছেন এ এক বিশাল বিজয়।
  • স্বাতী রায় | 127.223.217.19 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৬64760
  • ওড়ার জন্য সারা পৃথিবী থাক আপনার জন্যে। লেখাটা অনবদ্য। পুরোন কষ্টরা যেন মনেও ফিরে না আসে, এই চাই।
  • dc | 57.15.178.154 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৯64761
  • অসাধারন। শেষটা পড়ে খুব ভাল্লাগলো।
  • Sutapa Das | 57.11.1.231 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫১64762
  • ধন্যবাদ সবাইকে, আমার আবেগের ভাগীদার হওয়ার জন্যে। এই লড়াইগুলো আমাকে 'আমি' হয়ে উঠতে শিখিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে কুশলী লড়াকু করে তুলেছে। ঘর ছেড়ে না বের হলে তো জানতেও পারতাম না আমি রান্না আর বাচ্চা মানুষ করা ছাড়া একটা সংসারও চালানোর ক্ষমতা রাখি!!
  • kihobejene | 208.27.197.50 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৭:৫৩64763
  • khub bhalo laglo ... thank you for sharing ... apnar experience onnoder sahajyo koruk
  • nabanita | 162.79.255.200 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৮:২৯64764
  • বাপরে, কী সাংঘাতিক লড়াই। সাহস আর ক্ষমতা দুই মিলিয়ে সফল উড়ানকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
  • Sutapa Das | 52.110.134.230 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৩৪64756
  • Udan dirghojibi hok !
  • de | 24.139.119.175 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৩৮64757
  • দমবন্ধ হয়ে যায় আপনার লেখা পড়লে -
  • বিপ্লব রহমান | 113.231.160.188 (*) | ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৪৪64758
  • সেল্যুট!

    আর কিছু লেখার ভাষা নেই। শুভ ♥
  • Arindam | 213.132.214.84 (*) | ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৪২64765
  • অজস্র অভিনন্দন আপনাকে! আপনার মেয়েরা ভাগ্যবতী - আপনাকে আদর্শ হিসেবে সামনে পাচ্ছে - তাদের ও অভিনন্দন! আপনার ছোটকন্যার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি!
  • | 116.193.187.227 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৯64766
  • অনেক ভালবাসা আর শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। আগের পরবও পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয় নি। লিখে যান, আপনার লড়াই জানুক সবাই। অন্যায় যে মেনে নিতে নেই এটা অনেকেই বোঝে না। '
    আবারও অনেক শুভেচ্ছা।
  • Swati | 60.93.104.244 (*) | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২২64767
  • খুব ভালো থাকুন মেয়েদের নিয়ে..... এই শুভেচ্ছা রইলো।
  • Sutapa Das | 57.15.184.133 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৩64769
  • নিজে চোখে এমন লড়াই আমি দেখেছি।
  • Sutapa Das | 52.110.139.49 (*) | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৫০64768
  • দুই ডানায় ভর দিয়ে মনের আনন্দে আপনি উড়ে চলুন সব বাধাকে অতিক্রম করে | সমতলে দাঁড়িয়ে আপনার উড়ানকে কুর্ণিশ জানাই |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন