এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • সেপিয়া টোনের চালচিত্তির

    Parthasarathi Giri লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৬২৩ বার পঠিত
  • আমার শিক্ষক জীবনটি নয় নয় করে আট দশ বছর জিইয়েছিল। কাজ পাচ্ছি না তো শিক্ষাদান কর। সুতরাং প্রাইভেট টিউশন নামক জীবিকায় ক্ষুন্নিবৃত্তি, কলাটা মুলোটা এবং সন্ধ্যের টিফিন।

    যেহেতু গণিতশাস্তর পড়াতাম, তাই অধিকাংশের কাছে বেহ্মদত্যির মতো ছিলাম। আমাকে দেখামাত্তর ছাত্র-ছাত্রীর মা-বাবা যতটা নিশ্চিন্ত, খুদে নাগরিকটি ততোধিক মর্মাহত হত। মুখের আলোটি তৎক্ষণাৎ ঘনমেঘে অবলুপ্ত। কী মুশকিলেই না পড়তাম!

    মুশকিলের আসান তো চাই।

    প্রথমে ফাঁদ পাতলাম। তারপর চাঁদ পাতলাম।

    সঙ্গে বিষয় বাংলা পড়ানো শুরু করলাম। বিষয় বাংলা!
    ক্রমশ সে এক কান্ড হল বটে!

    কোনো কিছু না বলেই ছাত্র ছাত্রীর আবদার, স্যার, তারপর বিভূতিভূষণ কি ম্যানেজারি ছেড়েই দিলেন? নাকি তাপ্পরও ঘোড়া ছুটিয়ে জঙ্গল পার হতেন?

    শিক্ষা, স্বপ্ন, কল্পনা, গল্প, গুল, গুল্প এবং কীর্তিকে এক পাত্রে ঘেঁটে দধিকর্মার মতো রোজ খাওয়াতে থাকলাম। মাঝে মাঝে খেলাচ্ছলে ঐকিক নিয়ম কাকে বলে বদমাইশ বল।

    1 টাকা = একশ পয়সা
    1/2 টাকা=?

    1/2 উল্টে যাবে নাকি সোজা বসে যাবে?

    1/2 টাকা = পঞ্চাশ পয়সা
    1টাকা =?
    এখানে হাফ উল্টে যাবে নাকি সোজা বসবে?

    অঙ্ক একটা খেলা। জীবনের আর পাঁচটা খেলার মতোই। কখনও মেলে কখনও ধ্যাড়ায় কখনও অসীম।

    অঙ্ক কোনো বিষয় নয়। অঙ্ক একটি মেডিটেশন। অঙ্ক ধাপে ধাপে সিঁড়ি দিয়ে গভীর সুড়ঙ্গে নামার একটি পথ মাত্র। আমি অঙ্ককে এভাবে দেখেছি। সেই সুড়ঙ্গ যা খুশি হতে পারে। সম্পর্ক, উৎকণ্ঠা, জীবিকা। খুব মন খারাপ হলে দাঁত-ভাঙা একটি মাল বার করে ডুব দিতাম। সময় কাবার। মাথা দমপোক্ত। একদম পাক্কা বন্দোবস্ত।

    তো, শিক্ষার আপাত বারোটা পাঁচ। ছাত্র-ছাত্রী ক্রমশ পাগলের মতো, স্যার গল্প বলুন গল্প শুনি। সে সব গল্পের শুরু নেই শেষ নেই। চ্যাপলিন দিয়ে শুরু হল, শেষ হচ্ছে জীবনানন্দয়। মাঝে অস্কার ওয়াইল্ড ভৈকম বশির, যাকে পেরেছি ইচ্ছে মতন পেড়ে ফেলেছি। সিনেমা লড়াই কবিতা সবকিছুকে দেখতাম ঐ নবীন খুদে খুদে চোখের তারাগুলোয় জ্বাল দেওয়া দুধের সরের মতো পাক খাচ্ছে। নবীন ক্ষুধা জাগছে। স্বপ্ন পা ঠুকছে ঠকঠক করে বাগদাদি ঘোড়ার মতো। গতি চাই গতি দাও। আর রসদ দাও।

    তখন আমিও তো বেমক্কা যুবক। আমারই ম্যারাথন শুরু হয়নি তো তায় আমার জ্ঞানদান। ধুস, ঠিকই আছে। কী থেকে কী মেলে কে বলতে পারে।

    একসময় খুব সমস্যায় পড়লাম। টিউটোরিয়াল হোমের মালকিন বললেন, স্যার আপনি কী জাদু করলেন, আপনার দুটি দিনে ঘর ভর্তি। বাকি দিনে সব কোথায় পালাচ্ছে। কী জ্বালা!

    আমার সহকর্মীরা ঈর্ষা করে কথা বলা বন্ধ করলেন। একসময় বলতে লাগলেন, আমি প্রেম-শিক্ষক।

    আমি নয়নজলে ভাসিলাম। আহা রে! এ তো মেঘ না চাইতে একঘড়া জল। চৈতন্যের দেশে এ সেই জগাই-মাধাই কেস। তবে তাই হোক মহাপ্রভূ। ছাত্র-ছাত্রীরা গুচ্ছের জ্ঞান বয়ে বয়ে গর্দভ না হয়ে প্রেমিকই হোক তবে।

    একদিন ভরা ক্লাসে বললাম, কাল থেকে আর আসছি না। বুঝলি?

    সবক'টা বদমাশ আমার দিকে তাকিয়ে থ।

    সে তো যা তা ব্যাপার। ধেড়ে ছেলেদের চোখে জল। কুচে মেয়েগুলো ধুপধাপ করে প্রণাম করতে আসছে।
    ধমক দিলাম। খবরদার মাথা নোয়াবি না কারোর কাছে। এত প্রণামের ঘটা কিসের? বাবা মা ছাড়া আর সবাইকে কেবল নমষ্কারের শিষ্টতা দেখাবি। ক্ষণে ক্ষণে মাথা নোয়ালে ঘাড়ে ব্যথা হবে। মাথা উঁচু রাখলে কোনোদিন স্পন্ডিলাইসিস আর পরনির্ভরতা আসবে না।

    এবার গণক্রন্দন। একটি মেয়ে, বোধহয় আমার প্রেমেই পড়েছিল, সে হাপুস বৃন্দাবন।

    এমন হয়। আমি তার দেওয়ালের বাইরে প্রথম মানুষ, যে তার হাতে সোনার চাবি এনে দিচ্ছি। নবীন প্রাণের বিস্ময়কে একটা ভাঁড়ার ঘরের দরজার সামনে এনে ফেলছি। অনুভূতি সব চেনা স্বাদ পেরিয়ে উপচে নিজের অস্তিত্বের নাম জানতে চাইছে। কোনো অর্থ তৎক্ষণাৎ না পেলে সেটিই প্রেমে কনভার্টেড। নিজেকে বুঝতে পারিনি বলে ভালোবেসেছি। তোমাকেও বোঝাতে পারিনি বলে অগত্যা ভালোবেসেছি। সে তুমি যেই হও। অসম বিষম যা খুশি হতে পারো।

    আমি ছাত্রাবস্থায় কলেজে এক দিদিমণির ডানকাঁধে প্রলম্বিত বিনুনীর ছবি রোজ চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে ইলাস্ট্রেট করতাম। কপালের বিঘৎ টিপটি যথাস্থানে রেখে। রোজ নানা ভঙ্গিতে। একদিন সেই সুন্দরী যুবতী দিদিমণি আর না পেরে বলেই ফেলেছিলেন, "এই অযাচিত শিল্পীটি কে একবার উঠে দাঁড়াও। আমি কিচ্ছু বলব না। খুব সুন্দর ছবি। টিপটা আরেকটু ছোট হবে। আমার টিপ এতটা বড় নয় মোটেও।"

    আমি চিরকালের ব্যাকবেঞ্চার। উঠে দাঁড়ালাম। কিচ্ছু বললেন না। একটি ভুবন-ভাসান নিঃশব্দ হাসির ভান করলেন মাত্র। পরের দিন স্টাফরুমে দেখা করতে বললেন। গোটা ক্লাস সেদিন আমাকেই ব্ল্যাকবোর্ডে ছবি করে দিল।

    পরের দিন যেতেই, সুন্দর বিনুনী আমার হাতে একটি বই দিলেন। মৃণাল সেনের 'আমার চ্যাপলিন'। আর গোলপার্কের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে যেতে বললেন। তার বাবা বিমল মুখোপাধ্যায়। রেডিওতে সেতার বাজাতেন 'এ' ক্যাটেগরিতে।
    একটি সন্ধ্যের ডাইনিং রুমের কার্পেটে মৃদু বেগনি আলোয় মারুবেহাগের সপাট তান, অদ্ভুত সুস্বাদু এঁচোড়ের চপ এবং ফেরার সময় পিছু ফিরে দেখা, সিঁড়ির মুখে সুন্দরী দিদিমণির পুনর্বার একটি ভুবন-ভেসে-যাওয়া নির্জন সুরভিত হাসি। সে নির্জন হাসিটিকে ব্ল্যাক মাম্বার বিষও মারতে পারবে না মাসাইমারার বুকে।

    অদিতিদি বহুদিন নেদারল্যান্ডে। আফটার ডিভোর্স একা এবং একদম একা। স্থানীয় ইউনিভার্সিটিতে এখনও একটি চাকরি করেন। আমাকে বলেছেন, "জীবনের সব কাজ ফুরিয়ে গেলে আমার কাছে আসিস। তোর প্রথম প্রেমিকা যখন আমি, আসিস। আমার বরের জন্য বুনে রাখা আনইউজড্ নতুন সোয়েটারটা আর তোর প্রিয় নির্জন হাসি তোর জন্য জমিয়ে রাখব ফোকলা দাঁতের ফাঁকে। মেপল পাতা দিনরাত ঝরবে। দেখবি আমার বাড়ির লনে আমি শীতে ছড়িয়ে রয়েছি।

    টেরেসে বসে কফি খেতে খেতে তোর জীবনের গল্পের সঙ্গে মিথ্যে মিথ্যে আমার গল্প সাজাব। আমি তোর চেয়ে বয়সে বেশ কিছুটা বড়। তাই তোর আগে মরে যাব। সেটা খেয়াল রেখে আসিস।"

    আজ দেখছি, সেদিন সেইসব নবীন ঘোড়াদের একই কথা বলে এসেছিলাম।

    সব ক'টা গল্পকে অসমাপ্ত রাখাই বেঁচে থাকার রসদ। নইলে হঠাৎ চোখ তুলে দেখলে পথের আসন্ন চড়াই দেখার বিস্ময় হারাবে তো! আমার জন্য সাজানো চিতাখানিও তো আমার বিস্ময়। আমি চড়ে বসব, শুয়ে পড়ব। এতদিন যে সর্বগ্রাসী পাবককে এড়িয়ে গিয়েছি ভয়ে সম্ভ্রমে, তার অন্তরের অন্তরঙ্গ পিকনিকটি যদি দেখে যাওয়া যেত, পুনর্বার মাটিতে অঙ্কুর খোলার সময় মনে পড়ে যেত অজস্র সূর্যসম্ভব আবাহন।

    যে-গল্প ইচ্ছে করে অসমাপ্ত রেখে দিয়েছি, তার কী হল? সেই জমাট বরফের ঝাপসা অন্ধকার হ্রদটার সামনে যদি সঙ্গী ঘোড়া শেষ নিঃশ্বাস ফেলে, ভোর হতে অনেক দেরী, সামনের সরাইখানা বরফে ঢেকে হারিয়ে গেছে, সামারের আগে তার চূড়ো দেখা যাবেনা, তবে কি আবার ফিরে যাব নাকি আরেকবার চকমকি ঠুকব; সেই সব গল্প তাদের সামনে ছড়িয়ে দিয়েছি। তোরা নিজেরাই শেষ গড়ে নিবি নিজের মতন করে। সবার সামনে কাঁদবি না কক্ষণও। জাস্ট ফাইট অ্যান্ড ওয়াক এহেড।

    সে কথায় কি আর ভবী ভোলে? একটি মেয়ে গম্ভীর হয়ে পাকা বুড়ির ভাষ্যে বলল, আমরা কী এতই খারাপ?

    আমি হো হো। এবার আমি দুর্বল হচ্ছি। নবীন কিশোরীর চোখভর্তি জল। সেও আবার আমার মতো পঁচিশ ছাব্বিশের যুবকের জন্য। বালির বাঁধে ভরসা কম!
    আমি চোখ ফিরিয়ে নিলাম।

    সেলুনওয়ালার ছেলে কানে কানে কিছু বলতে এল। আমি আন্দাজ করতে পারলাম কী বলবে। কিন্তু এবার আমি তবে মারা পড়ব বেঘোরে।

    শিক্ষক-জীবন তারপরও কিছুদিন ছিল। তারপর ট্র্যাক চেঞ্জ। অন্য জীবনীর মুসাবিদা।

    এই একটু আগে জিজ্ঞেস করছিলাম, কোথায় চললি বুবলা?
    --টিউশন।
    -- টিফিন দেয়?
    --কঞ্জুস। দুটো বিস্কুট আর চা।
    --এহ্ আমি তো ভরপেট পেতাম রে! পৌষে পায়েস, গরমে লাল টুকটুকে তরমুজের ফালি।

    মনে পড়ে গেল বদল তো সবখানে ঠাঁই নিয়েছে। এ আর নতুন কথা কী! আমার খুদে খুদে টাট্টু ঘোড়াগুলো নিশ্চয়ই ডার্বিতে ঢুকে পড়েছে। কে কেমন আছে কে জানে চিরচঞ্চল প্রবাহে।

    তোরাও কি এখন গল্প বলিস?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | ১৬২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 52.106.196.86 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:৫৬64212
  • অপুর্ব
  • Paramita | 118.217.227.153 (*) | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:১১64213
  • বেশি বিশ্লেষণ করতে ইচ্ছে করছে না। এক মায়াবী, রূপকথা পার্সপেক্টিভ।
  • dd | 193.82.16.135 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৭64214
  • বাঃ বাঃ
  • pi | 57.15.233.78 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৪64215
  • উফ্ফ!
  • কল্লোল | 233.191.54.224 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪১64216
  • "টেরেসে বসে কফি খেতে খেতে তোর জীবনের গল্পের সঙ্গে মিথ্যে মিথ্যে আমার গল্প সাজাব।" - এমনতরো প্রাণের আরাম বহুদিন পাইনা।
  • lcm | 109.0.80.158 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১২64217
  • বা! কলম তো না, যেন মেসির বাঁ পা ...
  • সিকি | 158.168.40.123 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮64218
  • এমনি করে সকাল সকাল ফ্ল্যাট করে দিলেন দাদা? আমি যে আর উঠে বসতেই পারছি না!
  • robi | 126.206.222.181 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৩৩64219
  • blank | 116.203.140.233 (*) | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৮:০২64220
  • দারুন, অপুর্ব
  • Titir | 138.210.107.26 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৫৮64222
  • বড় সুন্দর লেখা!
  • de | 69.185.236.56 (*) | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:৫৩64221
  • এটা একদম ঠিক কথা - কোন ভালো জিনিস কমপ্লিট হতে নেই, ইচ্ছে করে অসমাপ্ত রেখে দিতে হয়! খুব ভালো লাগলো লেখা -
  • রিভু | 114.191.245.191 (*) | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৬64223
  • ভীষণ ভালো। তা আর বলতে।
  • বিপ্লব রহমান | 47.111.202.78 (*) | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৬:৪৯64224
  • আলাদা আলাদা খোপে একাধিক লেখা হতে পারতো, কেন যেন মনে হচ্ছে, এইবার খুব ঠকে গেলাম।

    লেখাটি সেরাম!
  • Kaktarua | 106.45.202.34 (*) | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৯:১০64225
  • অপূর্ব !
  • ঝর্না | 24.97.172.107 (*) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৩১64226
  • কি দারুন লেখা...! দিদিমণিটি বড্ড প্রিয় হয়ে রইল... সাথে অঙ্ক মাস্টারও...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন