এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফারহা জারীনের কথা

    রাণা আলম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ মার্চ ২০১৮ | ৭৭৫ বার পঠিত
  • আপনি ফারহা জারীন কে চিনবেন না।চেনার কথাও নয়।তিনি একডাকে চিনে ফেলার মতন কোনো কেউকেটাও নন। এবার যদি আপনি এন্টালি’র বাসিন্দা হয়ে থাকেন বা ওই চত্বর দিয়ে যাতায়াত থাকে তাহলে দেখে থাকতেও পারেন।মেরেকেটে পাঁচফুট উচ্চতা, ক্ষয়াটে চেহারা,কাঠির মতন হাত পা, মাথায় ওড়না। আর কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ।তালতলা থানা থেকে ডানদিকে যে রাস্তাটা ঢুকে গেছে,তার কিছু অলিগলি পেরিয়ে একটা গলির ভিতরে তিনতলায় একটা দুকামরার ফ্ল্যাটে উনি থাকেন।

    দাঁড়ান। এই ‘থাকেন’ শব্দটা সর্বার্থে সত্য নয়। উনি ওই ফ্ল্যাটে থাকেন রাত আটটা থেকে সকাল আটটা অব্দি। তাহলে কি উনি নটা-সাতটার চাকরি করেন? না সার, তা নয়। ওনার ফ্ল্যাটে থাকার মেয়াদ ওই রাত আটটা থেকে সকাল আটটা অব্দি। রাত আটটায় ফ্ল্যাটের চাবি তার জন্যে খুলে দেওয়া হয় আর সকাল আটটায় তাকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেওয়া হয়। সারাটা দিন ফারহা জারীন কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরেন। পার্কে বসে থাকেন।বন্ধ বাড়ির দরজার সামনে বসে থাকেন। রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুর বেড়াল যেভাবে বসে থাকে, উনিও সেভাবেই বসে থাকেন।

    এতটা পড়ে আপনার মনে হতেই পারে, কলকাতা শহরটায় অগুন্তি গরিব,তাদের অনেকের মাথায় ছাদটুকুও নেই। এনার জন্যে তো একটা আস্ত ফ্ল্যাট রয়েছে। দিনের বাকি সময়টুকু তো কাজ করলেই পেট চলে যায়। তাই না?
    এখানে একটু ব্যখ্যান দেওয়া দরকার। তিনতলার ঘুপচি খাড়া সিঁড়ি বেয়ে যে ফ্ল্যাটে ফারহা জারীন রাত কাটান, তাতে ইলেকট্রিক কানেকশন নেই। জলের লাইন নেই।নিচের কল থেকে জল তুলতে হয়।ফারহা জারীন শারীরিকভাবে খুব দুর্বল।ঠান্ডার ধাত। আর পেটে সেরম বিদ্যে নেই যাতে আপিসের চাকরি জুটবে।ফলে কাজের লোক হিসেবে বিভিন্ন বাড়িতে কাজের চেষ্টা করেন নি তা নয়, কিন্তু কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বারংবার।

    যদি অ্যাদ্দূর আপনি ক্ষমাঘেন্না করে পড়ে থাকেন, তাহলে প্রশ্নটা আসে এরম, যে থাকার জন্য যেরমই হোক একটা ফ্ল্যাট রয়েছে, অথচ এত খারাপ অবস্থা। কি করে?

    উত্তরটা দিই।বছর বত্রিশের ফারহা জারীন একটি আপাত স্বচ্ছল বাড়ির সন্তান। ক্লাস সেভেন এইটে পড়ার সময় বাড়ি থেকে তার বিয়ে দেওয়া হয় উত্তরবঙ্গের এক চাষী বাড়িতে। ছেলেটি কলকাতায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতো। বিয়ের শর্ত ছিল ফারহার বাড়ির লোক একটা মোটা টাকা পাত্রকে পণ হিসেবে দেবেন যাতে সে ব্যবসা করে দাঁড়াতে পারে।দয়া করে চোখ কপালে তুলবেন না সার, খুব শিক্ষিত বাড়িগুলোও আজ অব্দি টাকা পয়সা না হোক,টিভি, ফ্রিজ, আলমারি ইত্যাদি পণের ধারণা থেকে বেরোতে পারেনি।কিন্তু সে পণ দেওয়া হয়নি পরবর্তীকালে। আর পণের দাবীতে ফারহার উপর অত্যাচার চলতে থাকে। ইতিমধ্যেই জন্ম হয় একটি কন্যা সন্তানের। অভাবের সংসারে ঝামেলা বাড়তেই থাকে। ফারহাকে একদিন পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।বাবা-কাকার হাত ধরে ফারহা ফিরে বাপের বাড়িতে। তার কন্যাসন্তানটি থেকে যায় শ্বশুর বাড়িতেই। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে।এবং ফারহাকে বাড়িতে ফেরাতে অস্বীকার করে।

    কিছুকাল পর ফারহাকে তার বাপের বাড়ি থেকে জানানো হয় যেন সে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায় কারণ এখানে সে অন্যের সংসারে ভিড় বাড়াচ্ছে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি তো আগেই ফারহাকে ফেরাতে অস্বীকার করেছে। এক রাত্তিরে ফারহাকে রাস্তায় বের করে দেওয়া হয়।স্থানীয় লোকজন আর তালতলা পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের তালতলার ফ্ল্যাটে ফারহা রাতটুকু কাটানোর অনুমতি পায়।তার বাড়ির লোকজন দক্ষিণের দিকে নতুন বাড়ি করে চলে যান।
    সেদিন থেকে ইলেকট্রিক কানেকশন আর জলের লাইন বিহীন ফ্ল্যাটে নিঃস্ব ফারহা জারীন দিন কাটাচ্ছেন। প্রথমে ব্যাগের কারখানায় দৈনিক ভিত্তিতে সেলাই-এর কাজ করতেন।ছোটো থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন।সঠিক খাবারের অভাব আর মানসিক চাপে শরীর ভাঙ্গতে থাকে। উনি কাজটা হারান।লোকের বাড়িতে কাজ করার চেষ্টা করেন।সেটাও কন্টিনিউ করতে পারেন না। প্রায় না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে দিন কাটছিল তার।এরমধ্যে বারবার গিয়েছেন নিজের বাবা-মা’র কাছে। ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মারধোর জুটেছে।উচ্চবিত্ত স্বচ্ছল মামাদের কাছে গিয়েছেন। সেখানেও গলাধাক্কা জুটেছে।দক্ষিণের শহরতলিতে নিজের বাড়ির দরজার সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেছেন। কেঁদেছেন। চিৎকার করে বাবা-মাকে ডেকেছেন, ভাই কে ডেকেছেন। দরজা খোলেনি কেউ।

    এভাবেই একদিন তার পাশে দাঁড়ান কিছু শুভানুধ্যায়ী। ফারহা জারীনের এক দূর সম্পর্কের প্রবাসী আত্মীয় তার অবস্থার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। খাবারের অভাবটা দূর হয়।তাকে বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তার বাবা-মা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তারা ফারহা কে বাড়িতে রাখতে চান না।সে যেন তার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যায়।শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করা হলে সেদিক থেকেও কোনো পজিটিভ রেস্পন্স আসেনি।জোর করে পাঠানো যেতে পারে সেক্ষেত্রে আবার অত্যাচারের সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে। খোরপোষের কথা ভাবা হয়েছিল, ফারহা জানাচ্ছেন যে শ্বশুরবাড়ি খুব গরিব,তারা খোরপোষ দিতে পারবেনা।

    এমতাবস্থায়, যোধপুর পার্কের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হয়।তাদের সাহায্যে ফারহা জারীনের জন্যে হোমের ব্যবস্থা হয়।

    এবার আপনার মনে হতেই পারে যে একটা সুরাহা তো হয়েই গেছে,তাহলে এতকথা লিখছি ক্যানো?

    লিখছি তার কারণ ফারহা জারীন খুব অসুস্থ। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ডক্টর জয়ন্ত দাস যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।তারপর অধ্যাপিকা জয়ন্তী সেনের সুবাদে যাওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে হেমাটলজি’র ডক্টর শর্মিষ্ঠা দে যথেষ্ট সাহায্য করেন। ফারহা জারীন সিভিয়ার অ্যানিমিক।ফুসফুসে জল জমেছে।খেতে পারছেন না।বমি হয়ে যাচ্ছে।কিছু টেস্ট করা হয়েছে আর কয়েকটা টেস্ট বাকি রয়েছে।

    চিকিৎসা না হয় কোনোভাবে হয়ে যাবে। সুস্থ হলেই তাকে হোমেও পাঠানো হবে।যদিও যেপরিমাণ যত্ন তার দরকার সেটা এখনও হয়ে উঠছেনা। কিন্তু তাতেই কি সব ঠিক হবে?

    প্রায় হাফ-দশকের বেশি সময় ধরে ফারহা জারীন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। এই প্রবল একাকীত্বের ট্রমা, একমাত্র কন্যাকে ছেড়ে থাকার ট্রমা, সব সেরে যাবে কি?

    ফারহা জারীন এখনও আশায় আছেন যে একদিন তারা বাবা-মা তাকে ফিরিয়ে নেবেন। নিজের মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে পারবেন।তাকে আবার দেখতে পাবেন।সেই আশায় তিনি মেয়েকে দেখবেন বলে উত্তরবঙ্গের বাস ধরতে যান। পাগলের মতন বাবা-মা’র কাছে ছুটে যান। নিষ্ঠুর প্রত্যাখান জোটে কপালে।আত্মীয়রা মুখ ফিরিয়ে নেয়।জন্মদাতা বাবা-মা প্রকাশ্যেই বলেন যে এত কষ্ট করে বাঁচার কি দরকার? মরে গেলেই তো পারে।

    সত্যিই তো। ফারহা জারীন রা মরে গেলেই পারেন।কি দরকার ছিল মেয়ে হয়ে জন্মে সংসারের বোঝা বাড়াবার?

    একটা দিনের কথা বলি। ফারহা জারীন চুপ করে বসে আছেন।গিয়ে দেখি,সামনে কটা পুরোনো ছবি রাখা। তার ছোটোবেলার ছবি। পাঁচ বছরের ফারহা জারীন।সঙ্গে বাবা-মা। সুখী পরিবারের ছবি। আরেকটা ফারহার মেয়ের ছবি।বছর সাতেকের একটা মিষ্টি মেয়ের ছবি। ফারহা জারীনের দুচোখ দিয়ে জলের ধারা নামছে। কোনো শব্দ নেই। আমাকে দেখে বললেন,
    ‘ভাইয়া, মেয়েটাকে নবছর দেখিনি। কতবড় হয়ে গেছে এখন।তাই না?ও কি জানে ওর মা এখনও বেঁচে আছে। ওর মা এখনও ওকে দেখতে চায়’।

    সব প্রশ্নের উত্তর থাকেনা।আমার কাছেও ছিলনা।

    এন্টালির রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ফারহা জারীন।মেরেকেটে পাঁচফুট উচ্চতা, ক্ষয়াটে চেহারা, ফ্যাকাশে চোখ,কাঠির মতন হাত পা, মাথায় ওড়না। আর কাঁধে একটা পুরোনো ব্যাগ।অপেক্ষা করছেন কখন ফ্ল্যাটের দরজাটা খুলবে।অন্ধকার ফ্ল্যাটে মোমবাতি জ্বালিয়ে বসবেন তিনি।সেটাও তাকে হিসেব করে জ্বালাতে হবে।যাতে অন্তত দুদিন সেটা চালানো যায়।তারপর কিছু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।রুটি আর তরকারি।মুখে দিলেই বমি আসবে তার।অগত্যা জল খেয়ে শুয়ে পড়বেন।অন্ধকার ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দেবে রাতের আকাশ।অসহায় বিপন্ন চোখে ফারহা জারীন নিভে যাওয়া তারাদের মধ্যে খুঁজবেন তার মেয়ের মুখ।কালকের দিনটা বাঁচার কারণ।

    আমার শহর কলকাতা, আমরা কি কিছুই করতে পারিনা?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ মার্চ ২০১৮ | ৭৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০৬:৫৭64132
  • কী করা সম্ভব, রাণা?
  • কালকেতু | 57.11.162.157 (*) | ২৪ মার্চ ২০১৮ ০৭:১৭64133
  • দেশে আইন-আদালত সব বোধহয় অন্ধ হয়ে গেছে। এইভাবে যারা অত্যাচার করে, সেই শয়তানগুলোকে ধরে জেলে পুরতে পারে না?
  • | 116.193.210.21 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০২:৫৮64134
  • কী করতে পারি জানাবেন রাণা।
  • T | 121.65.60.45 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০64135
  • কী করা যায় জানাবেন।
  • রাণা আলম | 55.250.244.205 (*) | ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৬:০৯64136
  • আগামীকাল নীলরতন সরকার মেডিক্যালে ফারহা জারীন কে দেখানো হবে। রিপোর্ট দেখে লোকাল ডাক্তার বললেন পালমোনারি টিবি হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন