এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • যৎকিঞ্চিত ...(পর্ব ভুলে গেছি)

    রাণা আলম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ এপ্রিল ২০১৭ | ৭৩৫ বার পঠিত
  • নিজের সঙ্গীত প্রতিভা নিয়ে আমার কোনোকালেই সংশয় ছিলনা। বাথরুম থেকে ক্যান্টিন, সর্বত্রই আমার রাসভনন্দিত কন্ঠের অবাধ বিচরণ ছিল।প্রখর আত্মবিশ্বাসে মৌলিক সুরে আমি রবীন্দ্রসংগীত গাইতুম।তবে যেদিন ইউনিভার্সিটি ক্যান্টিনে বেনারস থেকে আগত আমার সহপাঠীটি আমার গানের গলার প্রশংসা করে বসলেন সেদিন বিস্তর সন্দেহ জেগেছিল মনে।টাকা নাকি বই,কোনটা ধার নেওয়ার তালে আছে সে ভাবনাও মাথার মধ্যে উঁকি দিয়েছিল।

    দিনকতক পরে সেই সহপাঠীর ঘরে গেছি।আমায় বসিয়ে তিনি গান শোনালেন।পাক্কা চল্লিশ মিনিট। নাজিদের কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ইনিই বোধহয় হিটলারের গোপন অস্ত্র ছিলেন। আমি রাসভ সমতুল হলে ইনি অনায়াসে বায়স সমতুল।এবং এও বোঝা গেল যে ক্যানো ইনি আমার গলার প্রশংসা করছিলেন।

    এসবই বছর দশেক আগের কথা।তখন পোস্ট গ্রাজুয়েশন চলছে।মানে,পড়াশুনো ছাড়া সবই পুরোমাত্রায় চলছে। আমার সেই সহপাঠী এসেছিলেন উত্তর ভারতের একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেটির নামের সাথে ধর্মীয় ট্যাগ আছে।সহপাঠী বামুন ছিলেন। ইন্ট্রোর সময় বলেছিলেন যে তিনি হচ্ছেন অমুক ব্যানার্জিএবং ব্রামহিন। তখনও এরাজ্যে বানর সেনাদের দাপাদাপি শুরু হয়নি। আমার ইমিডিয়েট এক সিনিয়র সেই তমুক ব্যানার্জি ব্রামহিন এর ডিপার্টমেন্টাল নামকরণ করেছিলেন অতি সংক্ষেপে –“ব্রা”।ফলে পরবর্তী দুবছর সেই হতভাগ্য বামুন সন্তান কে ‘ব্রা’ নামকরণেই ক্যান্টিন থেকে লাইব্রেরি সকলে ডেকে যেত। এতে তার মেল ইগো আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু মেজরিটি কনসার্নে তার আপত্তি টুকু বিন্দুমাত্র গ্রাহ্য হয়নি।

    দশ বছরে সিরাজ আরসালানে প্লেটের পর প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে, কিছু বুর্জোয়া প্রতিবিপ্লবী চিকেন কে আমিষ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে গেছে,আমার ওজনও কেজি বিশেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি আমার এই স্থুলতা নিয়ে “ঈষৎ স্থুল” নামের সিরিজ অব্দি লেখা হয়ে গেছে। আর সামনের জানালার প্রতিবেশিনী হারমোনিয়াম ছেড়ে বেড়াল পোষা ধরেছেন।

    অনেককেই দেখি বেড়াল-পিরিত জাহির করতে। আমি তো আবার অ্যানিমাল প্ল্যানেটের প্রতি পিরিত বলতে খালি খাসির প্রতি ভালোবাসাই বুঝি। এই ভালোবাসার খাতিরেই মাঝে মধ্যে অনিচ্ছাসত্ত্বেও খাসি গিলতে হয়। যাকগে, বেড়াল নিয়ে কথা হচ্ছিল। বেড়াল সাধারণত দুরকম হয়। খারাপ বেড়াল আর খুব খারাপ বেড়াল।লীলা মজুমদারের গপ্পের সেই বড়োমাস্টারের দাদা বেড়ালের রোঁয়া থেকে হারমোনিয়াম বানাতে চেয়েছিলেন।তার কি দশা হয়েছিল সেটা গপ্পেই রয়েছে। আরেক মাস্টার বেড়ালের ভাষা বুঝতে চেয়ে নিজের গাড়িটাই বাঁধা দিয়েছিলেন।মোদ্দাকথাটা হল এই যে বেড়াল মোটেই সুবিধের নয়।ঘটনাচক্রে কিছু বেড়াল এদেশে বা বিদেশে ভালো থাকলেও থাকতে পারে, কেননা বেড়াল-সুমারির দায় আমার কাঁধে পড়েনি।কিন্তু আমার প্রতিবেশিনীর বেড়াল হল অতি বদখত বজ্জাত মার্কা বেড়াল, এ নিয়ে সংশয় নেই।রাশান রেভোল্যুশনে
    এ বেড়াল প্রতিক্রিয়াশীল য়ুঙ্কার ছিল। অতিশয় সাত্ত্বিক সন্যাসীর মতন জানালায় শুয়ে রোদ পোহালেও আমাদের ডাইনিং টেবিলে ঢেকে রাখা মাছের টুকরো হারালে তাকে ছাড়া আর কাউকে সন্দেহ করা যেত না। তবে আমার প্রতিবেশিনীর নিজের বয়স আর সখের বেড়াল, এই দুটো নিয়ে আদিখ্যেতা সিমপ্লি সহ্য করা যায় না। গ্যাস সিলিন্ডার দিতে আসা ছেলেটা তাকে দিদি না ডেকে আন্টি ডেকেছিল বলে তিনি পাক্কা আধঘন্টা চেঁচিয়ে ছিলেন। চ্যাঁচানিতে বিরক্ত হয়ে আমি বাইরে বেরোতেই উনি আমায় সাক্ষী মানলেন।বললেন,
    “দেখুন তো। এই অসভ্য ছেলেটা আমায় আন্টি বলছে। আপনিই বলুন আমার কি আন্টি হবার বয়স হয়েছে?”
    এখন অভিযুক্ত ছেলেটি গ্যাস সিলিন্ডার দিতে এসেছিল, খালি গ্যাস দিতে আসেনি।আর আমার প্রতিবেশিনী আন্টি হবার যোগ্য বললে যদি উনি আবার হারমোনিয়াম নিয়ে রোজ গাইতে বসেন সেই ভয়ে সত্যটা বেমালুম চেপে গিয়ে (অমিত মিত্র যেমনি করে বাজেট স্পিচে কোষাগারের হাল চেপে যান আর কি)দাঁত কেলিয়ে বললুম,
    “সেতো বটেই। আপনাকে তো এখনও স্কুল পড়ুয়াই লাগে”।
    আমার প্রতিবেশিনীর মুখের মতন মস্তিষ্কের ধূসর অংশটি ধারালো নয় ভাগ্যিস, তাই এই মোটা দাগের রসিকতাটা ধরতে পারেন নি। পারলে আমার কপালে কষ্ট ছিল।
    গত শীতের কোনো এক সকালে বেশ মিঠে রোদ উঠেছে। আমি বারান্দায় বসে চা মুড়ি খেতে খেতে কাগজে মূর্গ মোসল্লমের রেসিপি পড়ছিলাম, এমন সময় আমার প্রতিবেশিনী তার বেড়াল কোলে জানালায় হাজির হলেন। প্রতিবেশিনীর বেড়ালের সাইজটা বেশ দেখার মতন। তাকিয়ে মনে হল ইসস দিশি মুর্গি গুলো এই সাইজের হলে আরামসে রোস্ট করে খাওয়া যেত। তা প্রতিবেশিনী জিগালেন,
    “কি পড়ছেন সকাল সকাল?”
    আগের দিন এই বেড়াল আবার মাছের টুকরো হাতিয়েছে, কাজেই বেড়ালের প্রতি মনটা প্রসন্ন ছিলনা। হেসে বললুম,
    “পেপারে লিখেছে দূর্ভিক্ষের সময় মানুষ বেড়াল কেটে খেত। বেড়ালের মাংস নাকি বেশ ঝাল ঝাল লাগে ভালো করে রাঁধলে”।(এটা সত্যিই কোথাও একটা পড়েছিলাম।)
    রাহুল গান্ধীকে নেতা হতে দেখে ইন্দিরা গান্ধীর আত্মা সগগে যেমন আঁতকে উঠেছিল, তেমনি করে আমার প্রতিবেশিনী আঁতকে উঠলেন।তারপর সন্দেহের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাতে তাকাতে বজ্জাত বেড়ালটাকে নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লেন।

    আমি মনে মনে ভাবলুম যাক, এবার বেড়ালের হাত থেকে রেহাই পাওয়া গেলেও পাওয়া যেতে পারে।
    পরপর দুদিন সামনের ফ্ল্যাটের জানালা বন্ধ। মুখর প্রতিবেশিনী এবং তার বিড়াল, কারুরই পাত্তা নেই। বেশ খুশ মেজাজে “দৃশ্যদূষণ থেকে রেহাই পাইবার সহজ উপায়” গোছের একটা ফেবু-আর্টিকেল নামাবো ঠিক করলাম। সে রোববারে খাসির মাংস আর ইলিশ মাছ একসাথে হাজির। যাকে বলে বোলবোলাও ব্যাপার।
    সকাল দশটা নাগাদ রান্নাঘর থেকে নিতান্তই বিপন্ন মানবতার স্বার্থে একটা খাসির মাংসের পিস হাতে করে বারান্দায় এসেছি।সবেমাত্তর কামড় দিতে যাবো, এমন সময় সামনের ফ্ল্যাটের জানালাটা সপাটে খুলে গেলো।দেখলাম কান্নাভেজা চোখে আমার প্রতিবেশিনী। জড়ানো গলায় জিগালেন,
    “আমার সোনু কে পাচ্ছিনা অনেকক্ষণ। আপনি দেখেছেন কি?”

    ক্ষমাশীল পাঠক, এই সোনু নিগম নন, এটা সেই হাড়বজ্জাত বেড়ালটার আদুরে নাম। আমি সোনু কে দেখিনি বা দেখার ইচ্ছেও নেই, এটাই বলতে যাচ্ছিলাম। অ্যামন সময় আমার হাতের মাংসের পিসের দিকে মাননীয়া প্রতিবেশিনী তাকালেন এবং আর্ত চিৎকার সমেত ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ফেইন্ট’, সেই দশা প্রাপ্ত হলেন।
    প্রতিবেশিনীর বাড়ির লোকজন ছুটে এলেন। আমাকেও যেতে হল। গুচ্ছের সাক্ষীসাবুদ, দলিল দস্তাবেজ দিয়ে প্রমাণ করতে হল যে আমি বেড়ালখেকো নই, ওটা নেহাতই নিরামিষ খাসির মাংসের টুকরো। এবং এও কথা দিতে হল যে ভব্যিষতে আর কখনই কোনো বেড়ালকে খাবোনা, তার অপহরণে যুক্ত থাকবনা বা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে কল্পনা করবনা।

    এসব ঝামেলা শেষে বাড়ি ফিরলাম। মা জানালেন যে খানিক আগেই আমার প্রতিবেশিনীর আদরের বেড়াল সোনুবাবু ডাইনিং এর জানালা দিয়ে ঢুকে ইলিশ মাছের সবথেকে বড় টুকরোটা নিয়ে গন থ্রু দ্য উইন্ড মানে হাওয়া হয়েছেন।

    বেড়াল-বিতাড়ন যজ্ঞ টজ্ঞ কিছু একটা করতে হবে এবার। প্রতিবেশিনী বিতাড়ন হলেও আপত্তি নেই।

    বেড়াল থেকে অন্যত্র আসি। কদিন আগেই আমাদের বাঙালিয়ানা নিয়ে বিস্তর তক্কো হয়েছিল।কোনো একটি ক্লাসের পাঠ্যপুস্তকে একটি সংখ্যালঘু কন্যা তার আত্মীয় পরিজনেদের কি নামে ডাকে তারই বর্ণণা দেওয়া ছিল। দিকে দিকে বার্তা রটিল যে এই খালা, ফুফু,চাচী ইত্যাদি ডাকের প্রবর্তনের মাধ্যমে আদতে বাঙালিয়ানার সতেরটা বাজছে। এসব আরবি শব্দের অনুপ্রবেশেই বাংলা ভাষা তার মর্যাদা হারিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার সোয়া তিরিশ বছর বয়সে আব্বা, খালা, চাচী ইত্যাদি শব্দ বলেও আমার বাঙালিয়ানা বিপন্ন হয়েছে এমনটা টের পাইনি কিন্তু।

    বাংলা ভাষা যে একটি মিশ্র ভাষা এবং এখানে গুচ্ছের দিশি-বিদেশি শব্দ এসে মিশেছে, এটা আমাদের মাথায় এলনা। এবং মজার বিষয়টা হলে যে বা যারা এই বাংলা ভাষার, বাঙালিয়ানার মান-সম্মান খোয়া যাচ্ছে বলে চেল্লানি শুরু করছিলেন তাদের অনেকের বাড়িতেই মাম্মি,ড্যাডি,আঙ্কল,আন্টি ইত্যাদি সম্বোধন চলে এবং এই বিজাতীয় শব্দগুলির যথেচ্ছ ব্যবহারেও তাদের বাঙালিয়ানার অ্যাদ্দিন বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি।

    শুধুমাত্র, তার পাশের বাড়ির সংখ্যালঘু কিশোরী কি নামে তার আত্মীয় স্বজনদের ডাকে সেটা জানলেই মহাভারত অশুদ্ধ হবে আর কি।

    আমার দেশ কি তাহলে পালটে যাচ্ছে? কে জানে...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ এপ্রিল ২০১৭ | ৭৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 57.29.243.26 (*) | ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৬59517
  • অনেকদিন বাদে রাণা ..
  • | 116.193.250.195 (*) | ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১১59518
  • ব্যারালের মতন হতচ্ছাড়া প্রাণী আর হয় না। এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে একমত।

    লেখা যথারীতি দুর্দান্ত!
  • Arindam | 213.132.214.85 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:১১59519
  • ' “পেপারে লিখেছে দূর্ভিক্ষের সময় মানুষ বেড়াল কেটে খেত। বেড়ালের মাংস নাকি বেশ ঝাল ঝাল লাগে ভালো করে রাঁধলে”।(এটা সত্যিই কোথাও একটা পড়েছিলাম।)'

    "বেড়া" গল্পটা বেমালুম ভুলে মেরে দিয়েছেন দেখছি!
  • reek | 94.246.168.11 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৯:২৯59520
  • ভাগ্যিস বেড়ালকে পুজো করে না এদেশে নইলে আপনার হয়ে যেত আজ ।
  • Sanjukta Mukherjee | 127.205.175.147 (*) | ২৪ এপ্রিল ২০১৭ ১০:০৮59521
  • khub valo. ami o beral premi. beral take majhe majhe khete dao, r o churi korbena.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন