এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ফুরসতনামা... (পর্ব ১)

    রাণা আলম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৯ জুলাই ২০১৭ | ৯২৮ বার পঠিত
  • প্রথমেই স্বীকারোক্তি থাক যে ফুরসতনামা কথাটা আমার সৃষ্ট নয়। তারাপদ রায় তার একটা লেখার নাম দিয়েছিলেন ফুরসতনামা, আমি সেখান থেকে স্রেফ টুকেছি।আসলে ফুরসত পাচ্ছিলাম না বলেই অ্যাদ্দিন লিখে আপনাদের জ্বালাতন করা যাচ্ছিলনা। কপালজোরে খানিক ফুরসত মিলেছে, তাই লিখছি, অতএব ইহা ফুরসতনামা। টোকার কথা হচ্ছিল, আম্মো আমার ভাই অর্কের খান কতক গপ্পো টুকে দিই।

    অর্ক কে মনে আছে কি? আমার সেই ভাইরত্নটি যে কিনা ক্লাসিকাল গাইয়ে (এর চেয়ে বেশি ইন্ট্রো চাইলে অর্কের গানের রেওয়াজ চলার সময় সামনে বসিয়ে দেবো)।অর্কের মতে ও সব পরীক্ষা ভালো দ্যায়, খালি গণতান্ত্রিক দ্যাশে যেহেতু মতামতের ভিন্নতার সহবস্থান সর্বজন স্বীকৃত, তাই পরীক্ষকের সাথে মতের মিল না হওয়াতে ও মার্কস পায়না। অবশ্যি, মার্কস কে কবেই বা কে পেয়েছে? তিনি তো সেই অ্যাকখান থিওরি ঝেড়ে বিদেয় হলেন আর দুনিয়াশুদ্ধু লোক তাই নিয়ে ঝামেলা করে যাচ্ছে।

    পড়াশুনোর সময়কালে অর্ক একবার মন দিয়ে ইতিহাস পরীক্ষা দিয়েছিল। গুপ্তযুগ ক্যানো স্বর্ণযুগ, তার গুচ্ছের ব্যখ্যান দিয়েছিল। কিন্তু কড়া পরীক্ষকের তা মোটেই পছন্দ হয়নি। তিনি ক্লাসে ক্যানো অর্ক টু দ্য পয়েন্ট উত্তর লেখেনি তাই নিয়ে বকাঝকা করেছিলেন। পরের পরীক্ষাতে প্রশ্ন এলো ‘মোগল সাম্রাজ্যের পতনে কি ঔরঙ্গজেবের ভূমিকা ছিল?”। অর্ক একটি মাত্র শব্দ লিখে এসেছিল, “হ্যাঁ”।

    কলেজের পরীক্ষার সময় অর্কের ইতিহাস ছিল পাশের বিষয় হিসেবে। পাশের সাবজেক্ট সেকালে কেউ খুব একটা পড়তোনা। আমার ভাই হবার সুনাম রাখতে গিয়ে অর্কও কিছু পড়েনি। অর্ককে দেখে তার বাকি তিন বন্ধুও কিছু পড়েনি। তবে বাকি তিন বন্ধু নেহাত অদৃষ্টের উপর ভরসা রাখেনি। তারা বই-টইও নিয়ে এসেছিল।এক বন্ধু বই রেখেছিল বাথরুমে। আরেক বন্ধু একতলার একটা ফাঁকা ঘরে। আরেক বন্ধু বাইরে গাছের তলায়।
    যারা এইভাবে পরীক্ষা দ্যায়, তাদের একঘন্টা পরেই বাথরুম যাওয়ার দরকার পড়ে। অর্কের সেই তিন বন্ধুও ব্যতিক্রম হয়নি।প্রথমজন যেকিনা গাছের তলায় বই রেখে গেছিল সে বাইরে গিয়ে দ্যাখে দারোয়ান ঝাড় দিয়ে গাছের পাতার সাথে বইটাকেও হাওয়া করে দিয়েছে। সে তুম্বো মুখে ফিরতে পরের জন দায়িত্ব নিয়ে বাইরে গেলো। সে একতলায় একটা ফাঁকা ঘরে বই রেখেছিল। গিয়ে দ্যাখে সে ঘর তালা লাগানো। তার কথায়, “ ঘরে তো নয়, কপালেই তালা পড়েছিল”। সেও ফেল মেরে ফিরতে তিন নম্বর যেকিনা বাথরুমে বই রেখেছিল সে শেষ ভরসা হিসেবে বই দেখতে বেরলো। সে গিয়ে বইটা সহি-সালামত পেলো বটে কিন্তু তার আগেই এক বা একাধিক ভাগ্যবান যেসব কোশ্চেন কমন পড়েছিল সেগুলো বই থেকে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে।সে পরীক্ষার রেজাল্টে সেই তিনজনের নাম সাদা কালিতে ছাপা হয়েছিল।

    পরীক্ষার কথা এলে নিজেই বা বাদ যাই ক্যানো? হায়ার সেকেন্ডারি তে বায়োলজি পরীক্ষাতে আমি আর ব্যাঙ্গা (এ লোকটা পরে আইন কানুন জগতের কর্তাব্যক্তি হয়েছে, তাই সহি নামটা লিখবো না) একবীজপত্রী এবং দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পার্থক্য লিখেছিলাম গুণে গুণে ছাব্বিশটা।এবং সবকটা বানানো। বেচারা পরীক্ষকের কি হাল হয়েছিল তখন বুঝিনি। বুঝলাম যখন নিজে পরীক্ষক হলুম।

    স্নাতক স্তরের এডুকেশন সাবজেক্টে পাশকোর্সের একটা প্রশ্ন ছিল স্কুলে স্টুডেন্টদের ‘ম্যাল অ্যাডজেস্টমেন্ট’ বা অপসঙ্গতি কি এবং কিভাবে ঘটে। মোটামুটিভাবে যেসব উত্তরগুলো পেয়েছিলাম সেগুলো নিচে সাজিয়ে দিচ্ছি।
    একজন লিখেছে শিক্ষকরাই হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের অপসঙ্গতির নায়ক।

    আরেকজন লিখেছে শিক্ষিকারা ছোটোখাটো পোশাক পরে আসেন, তার ফলে ছাত্ররা কুমন্তব্য করতে বাধ্য হয়।এর মাধ্যমে তাদের অপসঙ্গতি ঘটে।

    এক মহানুভব লিখেছে সহপাঠিনীরা ঠিক করে কথা বলেনা, তার ফলে সহপাঠীদের অপসঙ্গতি ঘটে।
    তবে সেরা উত্তর দিয়েছিল আরেকজন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ছিল ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বা সঙ্গতিবিধানের শর্তগুলো কি কি?

    তিনি লিখেছিলেন, ‘সঙ্গীত সাধনা খুব ভালো জিনিস। সঙ্গীত সাধনার মাধ্যমে চেতনার উন্মেষ ঘটে। ইমন, ভৈরবী ইত্যাদি রাগ-রাগিনীর সাধনার ফলে জীবন পরিপূর্ণ হয়। প্রত্যেকের ইচ্ছা না থাকলেও সঙ্গীত চর্চা করা উচিত”।

    অনেক খাতাই কল্পনাশক্তিতে ভরপুর হয়। তারা গুচ্ছের বানিয়ে লিখেও শূন্য পায়। এরকমই একটা খাতায় একটা আজব উত্তর দেখেছিলাম। প্রশ্নটা ছিল ‘রচনাধর্মী প্রশ্নের অসুবিধাগুলি কি কি?”।জঘন্য হাতের লেখায় মোট পাঁচটা পয়েন্টে উত্তর পেয়েছিলাম। দুনম্বর পয়েন্ট ছিল, হাতের লেখা খারাপ হলে পরীক্ষক ইচ্ছে করে কম নাম্বার দেন। আর পাঁচ নম্বর পয়েন্ট ছিল, রচনাধর্মী প্রশ্নে পরীক্ষার্থী ইচ্ছেমতন যা খুশী লিখতে পারে।
    এত সৎ উত্তর খুব কমই দেখা যায় আর কি।

    অবশ্যি, সৎ উত্তর সবসময় হজম হয়না। আমার এক দুর্মুখ মাস্টার মশাই অতিশয় স্পষ্টবক্তা ছিলেন। লোকাল কাউন্সিলর ভোট চাইতে গেছেন। সকালে দুধ নিয়ে মাস্টার মশাই ফিরছেন। কাউন্সিলর একগাল হেসে বললেন,
    ‘সার, ভোট টা দেবেন তো?’

    মাস্টার মশাই মুখের উপর বলেছিলেন, ‘তুমি অতিশয় দুষ্ট লোক।তোমাকে ভোট দেওয়া উচিত না”।
    এখন অবশ্যি, মাস্টারমশাইরা কিস্যু দেখতে পান না। দেখতে পেলে তাদের বরুণ বিশ্বাস হয়ে যেতে হয় নতুবা চুপ থেকে সার্কাস দেখতে হয়।

    সৎ উত্তর নিয়ে আরেকটা কথা আছে। তখনও বিয়েটা করে উঠতে পারিনি। সায়ন্তিকার বাবাকে পটাবার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। সে চেষ্টাতেই একদিন সায়ন্তিকাকে বললুম,
    ‘তোমার বাবাকে বলেছো যে পত্রিকাতে আমার কবিতা ছাপা হয়?’
    মন দিয়ে আইসক্রীম খেতে খেতে সায়ন্তিকা বললো,
    ‘ তোমাকে বলেছি যে আমার বাবা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্টান্ট ডিরেক্টর?’
    ঢোঁক গিলে বললুম, ‘হ্যাঁ। প্রথম দিন থেকেই শুনে আসছি। তবে থানার দারোগার বাইরে কিছু মনে হয়নি’।
    চোখ পাকিয়ে সায়ন্তিকা বললো, ‘বাজে কথা রাখো। আমি যদি বাবাকে বলি তোমার কবিতা পত্রিকাতে ছাপা হয় তাহলে বাবা পাঠকদের পক্ষ থেকে তোমার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের ক্লেম করবেন’।

    সেই ব্যথাতেই কবিতা লেখা ছেড়ে দিলুম।অবশ্যি, তাতে বাংলার কবিতাজগতের কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে শোনা যায়নি। আর সায়ন্তিকার মতে আমার বাজে বকার অভ্যেসটাও ছাড়া উচিত। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে বাজে বকার পরিমাণটাও বেড়ে যাচ্ছে। ও হ্যাঁ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুঁড়ি। ৮বি তে যাবার জন্য আমি আর সায়ন্তিকা একসাথে রিকশাতে উঠতে গেলে রিকশাওলা করুণ চোখে আমার দিকে তাকান। তার ভাবার্থ হল যে ক্যানো আমি একটা রিকশাতে একা যাচ্ছিনা অথবা তিনজনে গিয়ে ক্যানো দুজনের ভাড়া দিচ্ছি।

    আমার ডাক্তার সেদিন আমার বাড়ি এসেছিলেন। তার জন্য একটু এটাসেটা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তিনি কিছুই খাচ্ছিলেন না। আমি আবার খাবারের প্লেট পড়ে থাকতে দেখতে পারিনা।বাধ্য হয়েই শিক কাবাবের প্লেট দুটো নিপীড়িত মানবতার স্বার্থে সাফ করছিলাম। ডাক্তার আমার রিপোর্টগুলো দেখতে দেখতে বিরক্ত চোখে (ট্রাম্প যেভাবে কিম জং এর দিকে তাকান)আমার খাওয়ার দিকে তাকিয়ে জিগালেন,
    ‘একপ্লেট কাবাবে কত ক্যালোরি থাকে জানেন?’
    এম্নিতেই দুপ্লেট কাবাব একসাথে খাওয়া বেশ কঠিন কাজ। তাও সামলে উত্তর দিলাম,
    ‘জানিনে। তবে এটা জানি যে না জানলেও খেতে অসুবিধে হয়না’।

    বাকি রিপোর্টগুলো না দেখেই ভদ্রলোক রাগ দেখিয়ে উঠে পড়লেন। কাবাব খেতে ক্যালোরির হিসেব রাখাটা জরুরী নয় এটা জানা কি রাগের কারণ হয় নাকি? নিশ্চয়ই বাড়িতে বউ এর সাথে ঝগড়া করে এসেছেন।

    আমার এক সর্বজ্ঞানী দাদা বলেছিলেন যে বিয়ের পর শান্তিতে থাকার একটাই উপায়। সর্বদা মাথায় রাখতে হবে, ‘সবার উপরে বউ সত্য, তাহার উপরে নাই’।আর সব বিষয়ে সবসময় একমত হতে হবে- আমেরিকা থেকে আরশোলা অব্দি।
    আর না হলে?, আমার জিজ্ঞাসা ছিল।
    ‘জীবনটা কাশ্মীর সমস্যা হয়ে যাবে’-দাদার উত্তর।

    কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম। কথা দিয়েই শেষ করবো। আমাদের অনেক সময় অনেক কথা কাউকে বলার থাকে। পরে বলবো ভেবে আর বলা হয়না। আমার এক মাস্টার মশাই ছিলেন।অধ্যাপক নিত্য দাস।এবং তিনি সায়ন্তিকারও মাস্টারমশাই বটে।স্যার খুব ভালোবাসতেন আমায়। অথচ আমি প্রফেশনাল লাস্টবেঞ্চার ছিলাম। রেজাল্ট হত মাঝারি।নাটক, ডিবেট, লিটল ম্যাগ এইসব নিয়েই থাকতাম।কপালজোরে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলাম, স্যার খুব খুশী হয়েছিলেন। কথা চেয়েছিলেন যাতে এবার অন্তত রেজাল্টটা ভালো করে কলেজে পড়াই। আমার নিজের অবহেলাতেই রেজাল্ট হয়নি। স্যারের সাথে আর দেখা করতে যাইনি লজ্জায়।স্যার ফোন করলে তুলতাম না। এরমধ্যে একটা আধা-সরকারী চাকরি জুটলো। অ্যাকাডেমিকের নেশাটা তখনও যায়নি। নতুন করে পড়াশুনো শুরু হল।

    অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে যেদিন কলেজের ভাবী অধ্যাপকদের তালিকায় নাম বেরলো, তার আগেই স্যার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।আমার আর স্যারের সাথে কথা বলা হয়নি।

    কোনোদিন বলতে পারিনি, ‘স্যার, আমি কথা রেখেছি’।

    সোয়া-তিরিশেও বুকের ভিতরে কথার কান্না জমে থাকে। না বলতে পারার কষ্ট মেঘ হয়ে থাকে।সময়ে না বলতে পারলে তা বয়ে বেড়াতে হয় আজীবন।

    ভালো থাকবেন স্যার। আমার আর সায়ন্তিকার প্রণাম রইলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৯ জুলাই ২০১৭ | ৯২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kihobejene | 83.189.88.246 (*) | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৪:৫৭61284
  • rana, as usual khub bhalo laglo ... congrats on the new job ... btw, nitya jethu r katha ta pore mon ta kharap hoye gelo; nitya jethu kamala jethima (jara chenena nitya babur stree) dujonei aaj aar nei ... eta bhable mon ta kharap hoye jai ... nitya jethu r kaache porechi and it was a great experience ... bhalo theko
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.240.99.55 (*) | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৫:৪০61285
  • রানা আলম,

    দারুণ লেখা ! রম্য রচনা হিসেবে খুবই ভালো লেগেছে !

    মনোজ
  • dd | 59.207.59.56 (*) | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৬:০০61286
  • বাঃ,বাঃ।
  • | 144.159.168.72 (*) | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৮:৪৫61287
  • একদম রানা স্টাইল। দিব্বি ফিকফিক করে হাসতে হাসতে পড়তে পড়তে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
  • de | 69.185.236.54 (*) | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪৮61288
  • দিব্বি হয়েচে -
  • AS | 53.251.175.223 (*) | ২১ জুলাই ২০১৭ ১০:৩১61289
  • বাহ
  • Du | 57.184.8.117 (*) | ২২ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫২61290
  • 'সাদা কালিতে নাম' ঃ)))
    যথারীতি গ্রোগ্রাসে পড়ে নিলাম।
  • Sanjukta Mukherjee | 126.203.201.155 (*) | ২৩ জুলাই ২০১৭ ১০:৩২61291
  • jothariti osadharon vai. tomar lekha porar jonno opekkha kore thaki. tumi nirash korona konobar i.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন