এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কাঁসাই পাড়ের পিন্টুদা

    কুশান গুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ | ১১৯০ বার পঠিত
  • কাঁসাইয়ের থেকে আনুমানিক একশো দেড়শো মিটার দূরে মাটির বাঁধ। কংসাবতী ব্রিজ আড়াআড়ি এই বাঁধকে দ্বিখন্ডিত করেছে। আশির দশকে সেই বাঁধ ধ'রে  ক্যানালের দিকে হেঁটে যেত এক তরুণ। তাকে দেখলেই সদরঘাট ও গান্ধীঘাট অঞ্চলের ছেলেছোকরারা এই গান ধরত:

    'ওরে, ট্যাংরা তবু কাটন যায়,
    মাগুর মাছে ক্যাটক্যাটায়,
    আর, শিঙ্গি মাছটা মারল কাঁটা,
    পরাণ যায় জ্বলিয়া রে!
    কি মাছ ধরিছ বড়শি দিয়া?
    ও দরদী, কি মাছ ধরিছ বড়শি দিয়া?'

    যাকে উদ্দেশ্য করে এই গান, সেই দরদী, 'বামুণ ঘরের পিন্টা' , মিটমিট ক'রে হাসত, কোনো উত্তর দিত না।

    পিন্টুদা বয়সে আমার চেয়ে বছর দশেকের বড় ছিল। লুঙ্গির ওপর একটা ফতুয়া বা রংচটা জামা পরত, একটু ব্যস্ততার ভঙ্গিতে দ্রুতই হাঁটত, চটি ফটফটিয়ে। মুখে একটা হাসি লেগেই থাকত। দেখতে ছিল অনেকটা পুরনো সাদা কালো হিন্দি ছবির কমেডিয়ান 'জনি ওয়াকারে'র মত। প্রতিটি পাড়ায় সেই আশির দশকে এক ধরণের বাপে খেদানো মায়ে তাড়ানো বেকার যুবকদের দেখা মিলত, পিন্টুদা ছিল এদেরই প্রতিনিধি।

    পিন্টুদাকে পাড়ার কেউ কেউ বলত 'আঁশাপেতি ('আঁশপেত্নী') । আসলে পিন্টুদার প্রবল নেশা ছিলো মাছ ধরার। নেশা না বলে পেশা ব'ললেই বেশি ভাল মানাত। খালে, বিলে, নদী, নালায় পিন্টুদা ছিপ ফেলে মাছ ধরতে যেত। পিন্টুদার গা থেকে মাছের গন্ধ বেরোত।

    এহেন পিন্টুদার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা হলো ক্যারাম খেলার সুবাদে। পিন্টুদার ক্যারাম খেলায় দক্ষতা ছিলো সাবলীল, আর ছিলো অফুরন্ত সময়। একটা অননুকরণীয় নিজস্ব ভঙ্গিতে আলগোছে স্ট্রাইকার টেনে নিয়ে মধ্যমা ও তর্জনীর আঙ্গুল দিয়ে সে স্ট্রাইকার দিয়ে অবলীলায় গুটি পকেটস্থ করত। সঙ্গে অদ্ভুত এবং উদ্ভট কমেন্টস। নিজের গুটিগুলিকে পকেটস্থ করার পাশাপাশি বলতে শোনা যেত,'গুটির পজিশন ভালো নেই', ব'লতে ব'লতেই স্ট্রাইকার দিয়ে প্রতিপক্ষের সাজানো গুটির বাগান সে তছনছ করে দিত।

    হঠাৎ এক দুপুরে ক্লাবঘর কার্যত ফাঁকা, পিন্টুদা বলল, 'এসো, বাজি রেখে গেম খেলা যাক।' পিন্টুদার মত দক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে ক্যারামে বাজি রেখে গেম খেলা সেই ক্লাশ এইটের আমার পক্ষে বাতুলতা ছিলো, কিন্তু একশো গ্রাম ঝাল চানাচুর বাজি শুনে এককথায় রাজি হয়ে গেলাম।

    এবং, প্রথম বোর্ড টা আমিই জিতলাম। এরপর পিন্টুদা যাচ্ছেতাই ছড়াতে শুরু করল। এমনকি পিন্টুদার হিট, এমতাবস্থাতেও আমিই বোর্ড পেলাম। কিন্তু হারতে হারতেও পিন্টুদা বাইরে মুখে সেই মিটিমিটি হাসিটা বজায় রাখল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, গেম আমিই জিতলাম। পিন্টুদা কথা রাখল। ভাটুর দোকানে গিয়ে শালপাতায় মোড়া একশো গ্রাম ঝাল চানাচুর কিনে আমার হাতে তুলে দিল।

    এর কিছুদিন পর পিন্টুদা আমাকে প্রস্তাব দিল, 'রন্টু, মাছ ধরতে যাবে?' এর আগে ছিপ ফেলে, ছানি জাল দিয়ে অল্পবিস্তর মাছ ধরেছি পুকুরে। বলাই বাহুল্য, রাজি হয়ে গেলাম। নির্দিষ্ট দিনে পিন্টুদার সঙ্গে ব্রিজ পেরিয়ে কাঁসাইসংলগ্ন 'আনিকেট' ব্যারাজের পাশের ক্যানালে একটা জায়গায় আমরা বসলাম। সঙ্গে গোটা আটেক ছিপ, মাছের টোপ, গামছা, টুপি ইত্যাদি। আমার এলেম একটা ছিপ সামলানো অবধিই। একটুও বানিয়ে বলছি না, পিন্টুদা ছ' সাতটা ছিপ  সামলাতে লাগলো অবিশ্বাস্য দক্ষতায়।

    মাছ পড়তে শুরু করল। পুঁটি, ট্যাংরা, নেদাস কই, মাঝারি সাইজের চিংড়ি,কই, ল্যাঠা, মাগুর এইসব। পিন্টুদা চিংড়ি ধরার অভিনব টেকনিক শেখাল। চিংড়ি ফাতনা ধীরে ধীরে টানে, ফাতনা একসময় উলম্ব হয়ে যায়, তখন আস্তে আস্তে ছিপ টেনে চিংড়ি তুলতে হয়। পিন্টুদার কাছ থেকেই শিখলাম যে জিওল মাছ খুব পেটুক হয়, সহসা ফাতনা ডুবিয়ে টোপসহ কাঁটা এরা সিধে পেটে টেনে নেয়। একবার একটা মাছ কাঁটা টেনে জলের মধ্যে পড়ে থাকা বোল্ডারে টেনে নিয়ে গেল, ছিপের সুতো কাঁটা আটকে গেল। পিন্টুদা গামছা পরে এক কোমর জলে নেমে ছিপ, কাঁটা উদ্ধার করে আনল।

    দিনের শেষে আমার সম্বল ছিলো হাতে গোনা গোটা কয়েক মাছ, যা ওজনে মেরেকেটে পঞ্চাশ গ্রাম হবে কিনা সন্দেহ। অন্যদিকে পিন্টুদা মাছ ধরেছে বিস্তর। পিন্টুদা নিজের থলি থেকে বেশ কিছু মাছ তুলে আমার থলিতে চালান করল। বাড়িতে এসে আমি ক্রেডিট নিলাম যে সব মাছ আমিই ধরেছি।পরে পিন্টুদার সঙ্গে মাছ ধরতে আরো গিয়েছি কয়েকবার, বিভিন্ন জায়গায়। কি এক আশ্চর্য প্রক্রিয়ায় নদীমাতৃক দেশের সন্তান পিন্টুদা মাছেদের সম্ভাব্য অবস্থান জেনে গিয়েছিল। কখন নদীর কোন জায়গা, কখন খাল, কখন বিল, কোথায় অল্পক্ষণের মধ্যেই প্রচুর মাছ শিকার হয়ে যাবে, এসব সহজাত দক্ষতায় বলে দিত পিন্টুদা।

    একটা ঘটনা স্পষ্ট মনে আছে। কাঁসাই ব্রিজের ঠিক তলায়, নদীতে পিন্টুদার সঙ্গে মাছ ধরছি, হঠাৎ আমার ছিপে প্রবল টান। ধরে রাখতে পারছি না। পিন্টুদা এসে ছিপ ধরে জল থেকে তুলল। ছিপ বেঁকে গেছে। একটা প্রায় এক হাত লম্বা সাপের মত বস্তু জল থেকে উঠে হাওয়ায় কাঁপছে। শব্দ হচ্ছে 'হিসহিস'। বিরল দৃশ্য। পিন্টুদা ডাঙ্গায় তুলে সুতো সমেত পাথরে বারবার আছাড় মারল। কিছুক্ষণ ছটফট করে ওটা মরল। মাছের মতই দেখতে, ঈষৎ হলুদ আভা, আমি ভেবেছিলাম ওটা বানমাছ। কিন্তু, পিন্টুদা বলল, 'ওটা লেতুড়। মাছ নয়'। দ্যাখা গেল, উক্ত 'লেতুড়',  কাঁটাটি
    উদরস্থ ক'রে ফেলেছে।পিন্টুদা বললো, 'দাঁড়াও, এর একটা ব্যবস্থা করি।'  বাঁধের লাগোয়া অঞ্চলে কিছু মানুষের বসবাস। ছন ছাওয়া ভাঙা ঘর, দরমার দেওয়াল। পিন্টুদার সঙ্গে গেলাম। অবলীলায় পিন্টুদা একটা বাড়ির দাওয়ায় ঢুকে গেল। 'বৌদি, বৌদি' ক'রে ডাকতে এক মহিলা বেরিয়ে এলেন। 'বৌদি, তোমরা লেতুড় খাও?', ব'লতে মহিলা ইতিবাচক উত্তর দিলেন। বঁটি বেরুল। 'লেতুড়' কেটে পেট থেকে কাঁটাও বেরুল।

    কলেজে পড়াকালীন পিন্টুদার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। 1993 এর কোনো এক সময়ে হঠাৎ আচমকা পিন্টুদার সঙ্গে দেখা। সেই অমলিন হাসি। বলল, 'বোম্বাই গেছলাম। কাজ ক'রে ফিরেছি। তিন হাজার টাকা ইনকাম করেছি'। এই কথা বলার সময় পিন্টুদার চোখেমুখে এক ধরণের সার্থকতা ফুটে উঠেছিল।

    পিন্টুদাকে অনেক বছর দেখিনি। সেই কংসাবতীর তীর, সেই পাড়া হারিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে অনেক চেনা মুখ।

    আজ হঠাৎ লিখতে গিয়ে মনে হলো, ক্যারামে বাজি ধরে পিন্টুদা মনে হয় ইচ্ছে করেই গেমটা আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ | ১১৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 561212.96.560112.224 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৭63013
  • লেখাটা খুবই সুখপাঠ্য ! লেতুড় কি বান মাছের আরেক নাম ? পিন্টুদার মতো মানুষ এখন বিরল।
  • শর্মিষ্ঠা | 7845.11.788912.4 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২৩63014
  • খুব সুন্দর লেখা ,আর ও লে খা চাই
  • Sampad Roy | 23.50.892323.120 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৫63015
  • Ki misti lekha... Kongsaboti ar hariye jauaa para tar
    jonnyo ekta odvut kosto hochhe...

    Vabchi easily jite jauaa game gulo
    Ki echhe kore heray jauaa chilo..
  • Sampad Roy | 23.50.892323.120 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৫63016
  • কি মিষ্টি লেখা. কংসাবতী আর হারিয়ে যাওয়া পাড়া টার
    জন্য একটা অদ্ভুত কষ্ট হচ্ছে.

    ভাবছি জীবনের সব easily জিতে যাওয়া গেম গুলো কি ইচ্ছে করে হেরে যাওয়া ছিল!
  • Moidul | 781212.227.1256.107 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:২২63017
  • Chomotkar lekha... Muchdhorar obhinobo kayeda,Pintuda, chotoshohor, ochena nodeetir chhobi guli sposto hoye golpo bolar dokkhotaye...
  • কুশান গুপ্ত | 238912.66.9004512.252 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৩63018
  • সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই সামান্য লেখা পড়ে মন্তব্য দেওয়ার জন্য।

    প্রতিভাদির প্রশ্নের উত্তরে জানাই লেতুড় বান মাছ নয়। অন্তত পিন্টুদা এটা বান মাছ বলে স্বীকার করেনি। সম্ভবত এটা কোনো জলীয় সাপ।

    সম্পদের কমেন্ট আমার মনেরই কথা যেন।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০১63019
  • সুন্দর লেখা, ভাল লাগল
  • ন্যাড়া | 676712.137.234523.77 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:১০63020
  • চমৎকার লেখা। সুকির মাছ ধরার লেখার কথা মনে পড়ল। আরেকজনও কেউ লিখেছিলেন।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:২২63021
  • মলয় লিখতেন মাছ ধরা নিয়ে।
    কল্যাণীর লেকে জলে নেমে চিংড়ি ধরে, তাই পুড়িয়ে খাওয়া - এসব মনে পড়ল
  • Deb | 23.219.781212.195 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৪৩63022
  • বেশ ভাল্লাগলো।
  • মহুয়া সেনগুপ্ত | 781212.203.897812.186 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭63023
  • খুব ভালো লাগল। আগে পড়েছি মনে আছে।
  • ঝরা | 7845.11.894523.78 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪০63024
  • খুব সাবলীল ঝরঝরে লেখা। সমস্ত দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল। এইরকম লেখা আরো পড়ার জন্য মুখিয়ে রইলাম।
  • Anindita Das | 7845.11.230123.43 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৩63025
  • Nirendranath Chakrabortyr Swapney Dekha Ghorduar Kobitar oi lokti mone hoi Pintudai chilen, Jake Kashai Nodir Shako periye jete dekhe kobir mone hoyechilo "Ore moneo ko emoni EKTA bBarir Swopno tana?Ore chokhe o ki gondho chorae Gopon Hasnuhana?"
  • Tim | 2378.36.341212.201 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:০৬63026
  • বাহ খুব সুন্দর পিন্টুদার গল্প। এই "অকাজের" মানুষগুলো হারিয়ে গেছেন এখন।
  • Ranjan | 238912.66.2334.34 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৩২63027
  • Ki sundor lekha! Mone pore gelo Amar o emon ek Pintu da chió, je amay gongay saNtar katte sikhiechilo। Ar dekhiechilo Ki bhabe nodite saNtar dewa mosher pithe chapte hoi। Erokom birol sikhkha kebol Pintu da-rai dite pare। Odbhut ekta bhalo-laga bisonnota dhorie dilo। Osadharon lekha!
  • কুশান গুপ্ত | 340112.215.3456.145 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৭63028
  • 'অরণ্য', 'ন্যাড়া', 'দেব', 'মহুয়া', 'ঝরা', 'অনিন্দিতা','টিম', 'রঞ্জন'- সবাই প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানবেন। বিগত কয়েক বছর ধরে নস্টালজিয়া চেপে ধরেছে, সেই জায়গা থেকেই লিখছি, প্রতারক স্মৃতিই ভরসা এখন।

    ভাল থাকুন, বন্ধুরা।
  • kumu | 238912.77.1234.60 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫১63029
  • লেখাটি বড় ভাল লাগল।ডিটেল গুলো চমৎকার।
    পিন্টুদা কী করত?মাছধরা ছাড়া?
  • Tapas Dey | 1267.12.0178.194 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ১১:১৯63030
  • Khub sunder pranjol o sabolil bornona...bhalo laglo , aro lekhar prottyasate roilam
  • Nahar Trina | 89900.227.90012.5 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৩63032
  • পিন্টুদার মতো মানুষদের হারায়ে যাওয়াই হয়ত ভালো। হাত ফসকে উড়ে যাওয়া খুব পছন্দের ঘুড়ির প্রতি মানুষের আজন্মের মায়া জড়িয়ে থাকে। পিন্টুদারাও সেরকম, সেই প্রিয় ঘুড়ির মতো, মায়া নিয়ে মনের আকাশে আজীবন ছায়া ফেলে যাবেন। ..... কুশানদা, এই চমৎকার সাবলীল লেখাটা ভীষণ ভাবে মন ছুঁয়ে দিলো। আরো লিখে তামা তামা করে দিন। শুভেচ্ছা জানবেন।
  • কুশান গুপ্ত | 342323.176.1278.127 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:১৩63033
  • সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
    'অনিন্দিতা', নীরেনবাবুর কবিতাটি চমৎকার উল্লেখ।করেছেন। 'অরণ্য', কোন মলয়ের লেখার কথা বলেছেন? লিঙ্ক পাওয়া যাবে?
    'কুমু', পিন্টুদা ব্যবসা করতে চেয়েছিল, কিন্তু পুঁজি পায় নি। বম্বেতে মাঝে চলে যায়। ফলে, পিন্টুদা যে কোথায় গেছে জানি না।
    নাহার তৃণা, হয়ত আপনি ঠিকই বলেছেন। একসময় যখন কৈশোরে পিন্টুদার সঙ্গে জলে বিলে কাটিয়েছি তখন কি ভেবেছিলাম, একদিন শুধু প্রতারক স্মৃতি দিয়েই এসব ধরতে হবে? কতটুকু ধরতে পারে স্মৃতি?
  • সিকি | 670112.202.120123.74 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৮63034
  • বড় মায়াজড়ানো লেখা। কেমন যেন মনে হয়, এই পিন্টুদাকে, পিন্টুদার মত কোনো মানুষকে এককালে আমি চিনতাম।
  • কে | 670112.51.5667.173 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১০:১৩63035
  • কি খুঁজছেন?
    মানুষটাকে, না সময়টাকে, না কি সেই ছেলেটাকে???
    লেখা মন কাড়ে
  • Bappa | 2345.110.9003412.193 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২৭63036
  • Aajkal Kar ফাস্ট লাইফ’e emon jibon harea geche। তাই এমন manush r এমন Samparko gore othe না। এতো sundor shabdo chayan ও lekhar flow chhobir moton chokher samne sei dingulo hajir kore দিয়েছে। R ও lekha porar opekkhay roilam।
  • সোমা | 7845.11.672323.143 (*) | ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৫৫63037
  • প্রানবন্ত লেখা, ঘটনা গুলি ছবির মতো চোখের সামনে ভাসছিল....লিখতে থাকুন,আরও পড়তে চাই...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন