এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মকবুল ফিদা হুসেন - জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১০৮১৪ বার পঠিত
  • বিনোদবিহারী সখেদে বলেছিলেন, “শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন সম্বন্ধে শিক্ষাব্রতীরা আজও উদাসীন। তাঁরা বোধহয় এই শিক্ষাকে সৌখিন শিক্ষারই অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছেন। শিল্পবোধ-বর্জিত শিক্ষা দ্বারা কি সমাজের পূর্ণ বিকাশ হতে পারে?” (জনশিক্ষা ও শিল্প)

    কয়েক দশক পরেও, পরিস্থিতি বদলায় নি। হয়তো, কিছুটা অধঃপতনই হয়েছে।

    শিল্প বা শিল্পীর প্রতি সাধারণ মানুষের অবজ্ঞা বা অনীহা চোখে পড়ার মতো। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও, যাঁরা এমনকি বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিষয়ের চর্চা করে থাকেন, তাঁরাও রীতিমতো গর্বের সাথে বলে থাকেন, মডার্ন আর্ট নিয়ে আমি ইন্টারেস্টেড নই। সত্যি বলতে কি, ছবিটবি আমি তেমন বুঝি না, এই কথাটা বেশ আঁতলেমি করে বলা যায়। আর এর থেকেই বোঝা যায়, চিত্রশিল্প বিষয়ে আমাদের অবজ্ঞার শিকড় ঠিক কতোখানি গভীরে।

    অথচ, শিল্পশিক্ষার প্রয়োজন শুধুমাত্র শিল্পী তৈরী করার জন্যে নয়। শিল্পরস অনুভবের জন্যেও এই শিক্ষা সমান জরুরী। আমাদের প্রাত্যহিকতার মাঝেই যে সুন্দর লুকিয়ে থাকতে পারে, তার অনুধাবনের জন্যে কিছুটা আর্ট এপ্রিসিয়েশনের দীক্ষা থাকা জরুরী। নান্দনিকতার বোধ ছাড়া মানুষ কি সম্পূর্ণ হতে পারে!!

    সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে, কোনো জায়গায় কোনো বন্ধু বেড়াতে গেলে, তার কয়েকশো ছবি আমাদের দেখা হয়ে যায়, বা বলা ভালো, দেখে ফেলতেই হয়। সেই সুন্দরের অভিঘাত কয়েক সেকেন্ড মাত্র। আমাদের মেঘ ঢেকে যায় লক্ষ জিবি ডিজিটাল জাঙ্কে। যিনি ছবি দেখলেন, আর যিনি বেড়াতে গিয়ে ছবি তুলে আনলেন, দুজনের কারোরই মনের মধ্যে, সেই সুন্দরের দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রভাব রইলো কি?

    তা-ই যদি থাকতো, তাহলে আমাদের পারিপার্শ্বিক কি এমন অবাধে ছেয়ে যেতে পারতো কুৎসিত অসুন্দরে?? বেমানান অট্টালিকা গজিয়ে উঠতে পারতো কি হেরিটেজ বিল্ডিং-এর পাশে? শতাব্দীপ্রাচীন সৌধের গায়ে লাগানো যেতো মন্ত্রীর পছন্দের রঙের পোঁচ?

    শিল্পকে ভালোবাসাও তো এক আজন্ম সাধনা। অবনীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “দুই ধরণের সাধনা থেকে এক দল হল আর্টিস্ট অন্য দল হল রসিক। আর্টিস্ট হবার তপস্যা এবং আর্ট বিষয়ে সমঝদার হওয়ার সাধনা - দু দিকেই রস উপভোগের সঙ্গে অনেকখানি কর্মভোগ জড়ানো রইলো তবে হল মানুষ পাকা আর্টিস্ট বা পাকা সমঝদার। এই দুই দল, আর্টিস্ট ও সমঝদার - এরা দুজনেই ক্রিয়া করছে বিভিন্ন রকম কিন্তু ফল পেতে চলেছে এক। রস পাওয়া নিয়ে কথা - খেলা করে রস, খেলা দেখে রস।” (রস ও রচনার ধারা - বাগীশ্বরী শিল্প প্রবন্ধাবলী)

    অবন ঠাকুর কথিত সাধনা যদি কিঞ্চিৎ জটিল হয়, নিদেনপক্ষে নিয়মিত শিল্পকলা দেখার অভ্যেসটুকু থাকলেও, অন্তর্নিহিত নান্দনিকতার বোধখানা জাগ্রত হয়, আশেপাশের জগৎটা দেখার নজর বদলে যায়, তার লাভও কিছু কম নয়।

    পশ্চিমী দেশে শৈশব-কৈশোর থেকেই বিভিন্ন আর্ট গ্যালারী দেখাতে নিয়ে যাওয়ার চল রয়েছে। সে দেশের ছিমছাম মনোমুগ্ধকর শহর রাস্তাঘাট ইত্যাদির পেছনে, আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি, এই অভ্যেসের ভূমিকাও কম নয়।

    দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের দেশে, সুপ্রাচীন শিল্প-ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও, আমরা শিল্প বিষয়ে চূড়ান্ত নিস্পৃহ। আমরা একগাদা পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে তৃতীয় শ্রেণীর সিনেমা দেখতে মাল্টিপ্লেক্স যাই, আরো একগাদা পয়সা খরচ করে পপকর্ন কিনি, তবু বছরভর পসরা সাজিয়ে বসে থাকা আর্ট গ্যালারী যাওয়ার কথা ভাবি না। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার দিয়ে ড্রয়িং রুম সাজাই, তবু সামান্য কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে উঠতি প্রতিভাবান শিল্পীর ছবি সংগ্রহ করে সেই দেওয়াল আলো করি না।

    যাক গে, এতো গৌরচন্দ্রিকা যে প্রসঙ্গে, সেই কথায় আসা যাক।

    আজ হুসেন, অর্থাৎ মকবুল ফিদা হুসেনের জন্মদিন।

    স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রকর, খুব সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বটে, তাঁর জন্মদিনটির উল্লেখমাত্র নেই কোনো মিডিয়ায়।

    ১৯১৫ সালে, আজকের দিনটিতে জন্ম হয়েছিলো তাঁর। মহারাষ্ট্রের পান্ধারপুরে, যদিও শিকড় গুজরাটেই। শৈশবেই হারান মা-কে। মাদ্রাসায় ক্যালিগ্রাফি শেখার সময় আগ্রহ জাগে চিত্রশিল্পে। বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাই। তাঁর আঁকা ক্যানভাসের চেয়ে কিছু কম বৈচিত্র‍্যপূর্ণ নয় তাঁর জীবন।

    শোনা যায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বাইয়ের ফুটপাথে যখন থাকতেন তিনি, তার উল্টোদিকে একটা বড়ো বিলবোর্ড আঁকা হচ্ছিলো। বিলবোর্ড আঁকিয়েরা দুপুরের খাবার খেতে যান রঙ-তুলি ফেলে। ফিরে এসে দেখেন, তাঁদের কাজ শেষ করে রেখেছেন, ফুটপাথে থাকা একটি ছেলে। হ্যাঁ, কোনো গ্রিডের ব্যবহার ছাড়াই, বিলবোর্ড আঁকা শেষ।

    জানি না, এই ঘটনা সত্যি, না কি নিছকই মিথ। হুসেন মানুষটাই তো মিথে ঢাকা। লার্জার দ্যান লাইফ। জীবনের প্রতি মুহূর্তে, যিনি চমকে দেবেন আমাদের।

    শৈশবে মা-হারানো যিনি আজীবন খুঁজে যাবেন নিজের মাকে। অন্য নারীর মধ্যে। আর, যেহেতু মায়ের মুখ তাঁর মনে পড়ে না, তাই তাঁর ক্যানভাসের নারীদের মুখাবয়ব, ফেসিয়াল ফিচার্স রয়ে যাবে অনির্দিষ্ট অস্পষ্ট, আমরণ।

    রাজ্যসভার সেলিব্রিটি সাংসদ হিসেবে, যিনি মৌন থাকলেও (সব সেলিব্রিটি সাংসদই তো মুখে কুলুপ এঁটেই থাকেন), নিজের অভিজ্ঞতা ছবির ভাষায় সাজিয়ে তার নাম দেবেন সংসদ উপনিষদ।

    বলিউডি ফিল্মের বিজ্ঞাপন আর বিলবোর্ড এঁকেই তাঁর প্রথম জীবন কেটেছিলো। আর, তার প্রভাব স্পষ্ট হুসেনের বাকি জীবনের ছবিতে। বৃহদায়তন ক্যানভাসে কাজ, দ্রুত লম্বা তুলির আঁচড়, কয়েকটি তুলির টানেই ছবিকে স্পষ্ট ভাষা দেওয়া। হ্যাঁ, কোনো এক জায়গায়, হুসেন মিনিমালিস্ট, অসম্ভব নিজস্ব রঙ-আঙ্গিকের ব্যবহারের পরেও।

    দুশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের অনিবার্য অঙ্গ, নিজস্ব অতীত ঐতিহ্য বিষয়ে শ্রদ্ধা হারানো, বা হারাতে বাধ্য হওয়া৷ ভারতবর্ষও ব্যতিক্রম নয়। দেশজোড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অংশ হিসেবেই শুরু হয় আমাদের অতীত শিল্প-ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের শিল্প-আন্দোলনও। বেঙ্গল স্কুল অফ আর্টের এই শিল্প রেনেসাঁ-র পুরোধা ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। তাঁর ছায়া রয়ে যায় কয়েক দশক জুড়ে।

    স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে, দেশভাগ দাঙ্গা অনিশ্চয়তার মুহূর্তে, প্রয়োজন হয় নতুন শিল্পভাষার। আর, তাছাড়া, বেঙ্গল স্কুলের প্রাচ্য আঁকড়ে অতীতচারিতার সময় তখন বিগতপ্রায়। পশ্চিমে, ইম্প্রেসানিজম কিউবিজম মডার্নিজম সুররিয়ালিজম নিত্যনতুন পরীক্ষানিরীক্ষার স্রোত আছড়ে পড়ে এই দেশেও। প্রসঙ্গত, উল্লেখ করি, ভারতীয় ছবিতে আধুনিকতা আনার একটা বড়ো কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথের। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, তিনি তেমন করে আধুনিক এক শিল্প-আন্দোলনের জন্ম দিতে পারেন নি। হয়তো একেবারে শেষ বয়সে ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন, সেই জন্যেই, শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায়, চিত্রশিল্পে রবীন্দ্রপ্রভাব বৃহত্তর ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।

    ফ্রান্সিস নিউটন সুজা আর মকবুল ফিদা হুসেনের নেতৃত্বে সৃষ্টি হয় নতুন এক যুগের। তৈরি হয়, বোম্বে প্রোগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপ। পরবর্তীকালে যাঁরা এই গ্রুপে যোগ দেন, তাঁরা সকলেই আধুনিক ভারতীয় চিত্রকলার কিংবদন্তী। তায়েব মেহতা, আকবর পদমসি, রামকুমার, সৈয়দ রাজা, কৃষেণ খান্না সবারই উত্থান এই প্রোগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপ থেকেই। এঁরা প্রত্যেকেই স্বক্ষেত্রে স্বরাট, এবং ভারতীয় ছবির আন্তর্জাতিক বাজারের, অন্তত আর্থিক অঙ্কের হিসেবে, অনেকটাই এঁদের সুবাদে।

    আশ্চর্য এইটাই, যে, একই আর্ট গ্রুপের অন্তর্গত থাকলেও, এঁরা প্রত্যেকেই নিজস্বতা রাখলেন অটুট। এঁদের মধ্যেও, হুসেন অনন্য, কেননা পাশ্চাত্য চিত্রাঙ্কন রীতির সাথে দেশজ লোকশিল্পের আঙ্গিক বা দেশীয় কন্টেন্ট এমন করে মেলাতে সফল হওয়া, প্রায় নজিরবিহীন।

    বিনোদবিহারী বলেছিলেন,
    “শিল্প-সৃষ্টির মোটামুটি তিনটি পথ -
    ১. সমাজের ব্যাপক তাৎপর্য সম্বন্ধে চেতনা।
    ২. সমকালীন অবস্থা-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত শিল্পের আঙ্গিক।
    ৩. ধ্যান-ধারণার পথে স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞানের সাহায্যে শিল্পসৃষ্টি।
    এই তিনটি আদর্শ একে অন্যের পরিপূরক বললে ভুল হবে না।” (শিল্প-জিজ্ঞাসা)

    এই তিনটি পথেই সিদ্ধিলাভ করার প্রায় অনন্য নজির হুসেনের। আর, তার সাথে, ছবি আঁকার সবকটি মাধ্যমেই তাঁর অনায়াস, অলৌকিক দক্ষতা।

    যাক সে কথা, হুসেনের জীবন বা তাঁর চিত্রকলা নিয়ে বিশদ আলোচনা এই শ্রদ্ধার্ঘ্যের উদ্দেশ্য নয়। সেই জ্ঞান বা পাণ্ডিত্যও আমার নেই।

    শিল্পীবন্ধু বা গ্যালারির সাথে যুক্ত মানুষ যাঁরা, তাঁদের কাছ থেকে কিছু গল্প শুনেছি। খ্যাতির শীর্ষে উঠেও, খালি পায়ে (তাঁর অন্যতম বিশেষত্ব) চাঁদনি চকের রাস্তায় হেঁটে সাবির হোটেলে চায়ে ডুবিয়ে পরোটা খাওয়ার গল্প। কিম্বা, মেট্রো রেলের সুবাদে গর্তে ভরা কলকাতায়, বহুতল বিল্ডিং-এর উঁচু তলায় কর্পোরেট বড়ো কর্তার পার্টি থেকে মুখ্য আকর্ষণ হুসেনের নিখোঁজ হয়ে, কাদায় ভরা খন্দ পার হয়ে মজুরদের ঝুপড়িতে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়ার গল্প। মিতবাক, মৃদুহাস্যময় মানুষটি, সাধারণ মানুষের সংস্পর্শচ্যুত হন নি কখনো। নতুন আঁকিয়ের প্রদর্শনীতে অনেকসময় পৌঁছে যেতেন, অপ্রত্যাশিতভাবেই। প্রশংসায়-উৎসাহে ভরিয়ে দিতেন পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের।

    বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক্সিবিশন করতে বলা হলে, আটচল্লিশ ঘন্টার নোটিশে, রাত জেগে, নাওয়া খাওয়া ছেড়ে, গ্যালারি ভরিয়ে তোলেন নতুন চিত্রকর্মে।

    আবার, দরাজ হৃদয় মানুষটি, স্রেফ ভালোবেসেই, গ্যালারির মালিককে দিয়ে যান তাঁর একগুচ্ছ অনবদ্য ড্রয়িং।

    দেশকে ভালোবাসতেন। খুব খুউউব গভীর আর নিবিড় সেই ভালোবাসা। ষাটের দশক থেকেই, পশ্চিমী উন্নত দেশ থেকে এসেছে নাগরিকত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ। নিলে, হয়তো, খ্যাতি ছড়াতে পারতো আরো বেশী দূর পর্যন্ত। সেই সত্তর দশকের শুরুতেই তো পিকাসোর সাথে যৌথ এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

    না, তিনি দেশ ছেড়ে যান নি।

    তিনি জানতেন, দেশ আর দেশের মানুষের মধ্যেই তাঁর শিকড়৷ সেই মাটির রসসিঞ্চন ব্যতিরেকে, তাঁর ছবি অসম্পূর্ণ, প্রাণহীন। দেশের সংস্কৃতি, অতীত ঐতিহ্যকে তিনি প্রকৃত অর্থেই আত্মস্থ করতে পেরেছিলেন। মিথ-পুরাণ-ইতিহাস সবকিছু থেকেই তিনি পেতেন তাঁর ছবির রসদ।

    দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া, বা তাঁকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, ধর্মান্ধ অসহিষ্ণুতার এক অনন্য নজির। এই লজ্জা আমাদের।

    প্রবাসের নিঃসঙ্গতায়, মৃত্যুর আগের সপ্তাহেও, তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। একটি বিকেল বা সন্ধ্যের জন্যে হলেও, নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলেন ভারতবর্ষের বাতাসে।

    তাঁর স্বপ্নকল্পনার সেই ভারতবর্ষ তখন কী ভেবেছিলো?

    আজ, মকবুল ফিদা হুসেনের জন্মদিন।

    আসুন, তাঁর আঁকা ছবি দেখি।

    আসুন, ছবি দেখার অভ্যেস তৈরী করি। নতুন ছবি-আঁকিয়ের দিকে বাড়িয়ে দিই উৎসাহের হাত।

    এক অসহিষ্ণু অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে, আসুন, হুসেনকে, মনে রাখি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১০৮১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • -- | 781212.194.231223.132 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৯62038
  • গল্প, উপন্যাস, রিপোর্টাজ তিনটে সমগ্রই পরিমার্জিত, পরিবর্ধিত সংস্করণ একুশ শতক। এর বাইরে রিপোর্টাজ সমগ্রের দ্বিগুণ ভল্যুম অগ্রন্থিত রিপোর্টাজ ম্যাটার অনিশ্চয় চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত সংগ্রহে। আর চারটে গল্প এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি যে পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেটা লুপ্ত ও দুষ্প্রাপ্য বলে।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৮62042
  • বোধিঃ

    লেখাটার খবর ওপরে দেওয়া আছে। উপন্যাস সমগ্র-তে আছে, আমি কিনেছিলাম অফবিট পাবলিশিং থেকে, সেটা এখন পাওয়া যায় কিনা জানি না, পরে 'একুশ শতক' থেকেও প্রকাশিত। সোমনাথ (?) বলেছে। দেজ-এ গিয়ে খোঁজ করতে পার, অথবা,এখান থেকে ঠিকানা ইত্যাদি পাবে। অফবিট (https://tinyurl.com/yazn8u7b), আর একুশ শতক (http://www.calcuttayellowpages.com/adver/109901_contact.html)। ঠিকানা দুটোরই ঠিকই আছে মনে হয়।
  • | 340123.99.121223.135 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২০62043
  • ওক্কে, থ্যাংক্স গুরু।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:০৪62044
  • এই টইয়ের ঠেলায় পড়ে এই আমি যে আমি , ছবি টবি আদৌ ইড়িমিড়িকিড়ি টান অথবা গাব্লুগুল্বু থোপা থোপা রঙ ছাড়া কিছুই বুঝি না, সেই আমার পর্যন্ত গগন ঠাকুরের কিছু সিঁড়িওলা ছবি দেখা হয় গেল গুগলমামার কল্যাণে। এক সিঁড়ি চাতালে জ্ঞানদানন্দিনী আর স্বর্ণকুমারী গল্প করছেন, তাও দেখা হয়ে গেল। ঃ-)
  • -- | 781212.194.90090012.206 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০৮62045
  • অফবিট খুঁজে সময় নষ্ট করার মানে নেই। দীপেন্দ্রনাথের সব রচনাবলীর বর্তমান প্রকাশক একুশ শতক। পরিমার্জিত পরিবর্ধিত সং।সম্পাদক একই, অনিশ্চয় চক্রবর্তী। মোহিনীমোহন এর পিছনের সরু রাস্তা টপকে যে বাড়ির একতলায় এবং মুশায়েরার দোকান, সেই বাড়ির সামনের সারিতে এ টি এম এর পাশেই একুশ শতকের দোকান।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৬62046
  • বিদ্যাসাগর টাওয়ার।
  • | 2345.110.895612.168 (*) | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২২62047
  • ওকে, গুড।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন