এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ডিমনিটাইজেশন ১

    Sushovan Patra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ মে ২০১৭ | ১৭৩২ বার পঠিত
  • আইজাক স্যার বলেছেন, ‘বাইরের থেকে বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল গতিশীল থাকবে’। আর বাজারে না খাটিয়ে, ব্যবসা তে না লাগিয়ে ঘরে পুঁতে কিম্বা তোয়ালা মুড়ে লুকিয়ে রাখলে কালো টাকাও চিরকাল কালোই থাকবে। স্থিরই থাকবে। ধারে, ভারে তো বাড়বেই না, বরং মুদ্রাস্ফীতির কালগর্ভে আজকের ষোলআনা দু'দিন পরে বারো আনা হয়েও আপনার কপালে নাচতে পারে। আজ থেকে দেড়শো বছর আগে অর্থনীতির এই মৌলিক সত্যটা অনুধাবন করেই ঐ দাড়িওয়ালা বুড়োটা লিখেছিলেন, ‘পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজি জমিয়ে নয় বরং বাজারে খাটিয়েই মুনফা লাভ হয়।’ এই জন্যই দেশের কালো টাকার বেশির ভাগটা আজ সিনেমার চিত্রনাট্যের শেষ দৃশ্যের রহস্য উন্মোচনের জন্য কোন ভিলেনের ঘরের নিচে লোকানো নেই। বরং আছে একেবারে আপনার চোখের সামনে। আছে রিয়েল এস্টেট বিজনেসের ইটে, আছে সিমেন্ট গাঁথা অট্টালিকা সেজে, আছে নিউক্লিয়ার ডিলের আস্থা ভোটে বিরোধী সাংসদ কিনে সরকার বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে, আছে বাংলার মানুষের নির্বাচিত পঞ্চায়েত ভেঙ্গে দেবার শাসক দলের ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে, আছে নেত্রীর আঁকা ছবি ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পার্টি তহবিলে পৌঁছে দেবার কৌশল হয়ে, আর আছে ‘হাওলা’র মত কতশত চ্যানেলে ঘুরে বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা হয়ে।
    কালো টাকা মানে শুধু লুকানো টাকার জমে থাকা ভাণ্ডার নয়। কালো টাকা মানে যেকোনো কর ফাঁকি। কালো টাকা মানে যেকোনো অনুমোদিত সীমার বাইরে লেনদেন। ঐ যে মেজিয়ার কয়লা খাদানে ১০০টন কয়লা তুলে খাতায় কলমে ৮০টনের হিসেব দেখালেন -কালো টাকা। পুলিশ কে ঘুষ দিয়ে নদী থেকে দু গাড়ি বালি বেশী তুললেন -কালো টাকা। কালীঘাটের জাগ্রত দেবী কে সন্তুষ্ট রাখতে ভাইদের তোলা দিলেন -কালো টাকা। পার্টি ফান্ডের ১লক্ষর অনুদানে কুড়ি হাজারের রশিদ কাটলেন –ওটাও কালো টাকা। আসলে কালো টাকায় কোন কালো দাগ নেই, আইডেন্টিটি ফিকেশন মার্ক নেই। তাই আপনি হয়ত কালো টাকা দেখছেন প্রতিদিন, হাতেও নিচ্ছেন প্রতিদিন, কিন্তু চিনতে পারছেন না।
    আনুমানিক ভাবে, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক রিপোর্ট এবং কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ৮ তারিখের প্রেস বিবৃতি অনুসারে দেশের মোট কালো টাকা পরিমাণ দেশের জি.ডি.পি‘র এক চতুর্থাংশের সমান। অর্থাৎ ২০১৫’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের জি.ডি.পি যদি হয় ১২৬.৫ ট্রিলিয়ন, তাহলে ঐ সরল ত্রৈরাশিকেই কালো টাকা ৩৫ লক্ষ কোটি। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২০১৫-১৬’র বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী বাজারে নগদ ৫০০ টাকার নোট রয়েছে ১৬৫০ কোটি। আর ১০০০ টাকার নোট ৬৭০ কোটি। যার সম্মিলিত অর্থমূল্য ১৭ লক্ষ কোটির একটু বেশী। সেই টাকারও এক চতুর্থাংশ কালো টাকা ধরে সহজ হিসেবে কষলে, এই নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তে সর্বোচ্চ ৪ লক্ষ ২৫ হাজার কোটির কালো টাকা উদ্ধার হতে পারে। আবার ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোটের মাধ্যমে বাজার থেকে তুলে নেওয়া অর্থের সম পরিমাণ অর্থ ২০০০ টাকার বা ৫০০ টাকার নতুন নোট ছেপে বদলে ফেলার খরচাও প্রায় ১২ হাজার কোটি। সুতরাং, সবের ধন নীলমণি হয়ে পড়ে রইলো আনুমানিক ৪ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি। যা দেশের মোট কালো টাকার মাত্র ১৩%। বাকি ৮৭% কিন্তু যেমন ছিল তেমনই রইলো। রইলো ২৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বৃহৎ কর্পোরেট'দের বকেয়া ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণে, রইলো রেভেনিউ ফোরগেনে’র নামে প্রতিবছর বিগ বিজনেস হাউসগুলোকে ছাড় দেওয়া কর্পোরেট ট্যাক্সে, রইলো আর্থিক কারচুপি করে লন্ডনে বসে থাকা বিজয় মালিয়া, ললিত মোদী’দের পকেটে, আর রইলো সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।
    এই সত্যিটা প্রধানমন্ত্রীও বিলক্ষণ জানেন। আর জানেন বলেই, ২০১৩’তে গোয়ার বিলাসবহুল হোটেলে বিজেপি’র পার্লামেন্টারি বোর্ডের মিটিং-এ প্রধানমন্ত্রী পদের মনোনয়ন পেয়েই তিনি টুইট করেছিলেন “দেশের একটা বাচ্চা ছেলেও জানে কালো টাকা আছে সুইস ব্যাঙ্কে। আমাদের কি সেটা ফিরিয়ে আনা উচিত নয়?” প্রধানমন্ত্রী বিলক্ষণ এটাও জানেন যে শুধু নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সেই সুইস ব্যাঙ্কের এক ছটাক টাকাও দেশে ফিরে আসবে না। দীর্ঘসময়ের প্রেক্ষাপটে কালো টাকার রমরমাও ম্লান হবে না। আসলে নোট বাতিল তো ১৯৪৬’এ কিম্বা ১৯৭৮’র জানুয়ারি'তেও হয়েছিল। কিন্তু কালো টাকা’র এই বাড়বাড়ন্ত থামেনি। বরং অর্থনীতির বেহাল অবস্থার খেসারৎ চুকিয়ে পরের সাধারণ নির্বাচনে গো-হারা হয়েছিলো মুরাজি দেশাই’র জনতা সরকার।
    তবুও বেশ হয়েছে নোট গুলো সব বাতিল হয়েছে। আমাদের দু-একদিনের কষ্টে যদি দেশের প্রাসাদসম কালো টাকার কিঞ্চিতও ফিরে আসে, তাহলে না হয় তাই আচ্ছা। গোরু তে ৮০% মানুষের জিন খোঁজা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একদিন যদি জাল নোটের ব্যাপারীদের খুঁজতে বসেন, তাহলে তাই আচ্ছা। ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’র চ্যাংড়ামি করা হিন্দু নেতা, আর তিন তালাকের সমর্থনে ভাষণবাজি করা মৌলবি গুলো যদি একদিন ব্যাঙ্কের লাইনে গা ঘেঁষে রিকুইসিট ফর্ম ভরেন, তো তাই আচ্ছা। অ্যালিস্টার কুকের টিমের বিরুদ্ধে জালিয়ানওয়ালাবাগের প্রতিশোধে উদ্যত গোটা দেশবাসী একদিন যদি রাজনৈতিক দল গুলোর আয়ের উৎস জানতে চেয়ে বসে, তাহলে তাই আচ্ছা। কৃষ্ণের অষ্টোত্তর শত নামজপা ছেড়ে একদিন যদি নিতাই মেলায় অর্থনীতির তর্কের তুফান ওঠে, তো তাই আচ্ছা। কালো টাকার ‘হ্যাভ আর হ্যাভ নটসে' দেশটা যদি একদিন আড়াআড়ি ভেঙ্গে পড়ে, তাহলে তাই আচ্ছা। মানুষ যদি ভাবতে শেখে ধর্মের বিভেদ নয় তাঁদের এক সুতোয় বেঁধেছে তাঁদেরই পেটের খিদে, তাহলে তাই আচ্ছা। এই সংখ্যালঘু শাসকদের সঙ্গে সংখ্যাগুরু শোষিত মানুষ গুলোর একদিন...একদিন যদি ‘ভীষণ রাগে যুদ্ধ বাঁধে’, তাহলে না হয় তাই আচ্ছা। সেদিন নাজিবরা আর ২৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকবেনা সেনোরিটা, সেদিন হয়ত নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্যানিকে প্রত্যন্ত গ্রামের তীর্থরাজিরা আর মরবে না সেনোরিটা , সেদিন হয়ত “বড়ে বড়ে দেশো ম্যা অ্যাসি ছোটি ছোটি বাত” আর একটাও হবে না সেনোরিটা…
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ মে ২০১৭ | ১৭৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 52.110.164.226 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ০১:২৭59728
  • কিন্তু চোখে পড়ার মতন কোনো ডিজিটাইজেশন হয়েছে?
    ভীম এয়াপ -কেউ ইস্যুজ করছে?কাউকে রেফার করলে দশ টাকা পাবেন।
    বরঞ্চ কার্ডে এতো ফ্রড হচ্ছে যে লোকে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ইউজ ও কমিয়ে দিয়েছে।
  • dc | 132.174.106.139 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ০২:০১59729
  • ভীম অ্যাপ এর ইউসেজ ডেটা তো কোথাও দেখিনি। অ্যাপ বা ইউএসএসডি বেসড ট্র্যান্সাকশান ট্র্যাকশান পেতে মনে হয় অন্তত ১-২ বছর লাগবে, ছ মাসে মনে হয়না সেরকম কিছু হবে বলে। আমাদের দেশে ইকমার্সের ভল্যুম বাড়তেও কয়েক বছর সময় নিয়েছে বোধায়।

    আর ফ্রডের জন্য ক্রেডিট আর ডেবিট কার্ডের ব্যাবহার কমে যাচ্ছে কি? মানে ভল্যুম না ফ্রিকোয়েন্সি, নাকি দুটোই কমছে? এরকম ডেটা থাকলে লিংক দিন, পড়ে দেখি।
  • dc | 132.174.106.139 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ০২:৩১59730
  • এখানে ভীম আর ইউএসএসডি বেসড ট্র্যান্সাকশান ডেটা পেলামঃ

    http://www.npci.org.in/documents/RETAIL_PAYMENTS_STATISTICS.pdf

    এখানে দেখছি ভীম অ্যাপের ট্রানসাকশান ভল্যুম আর ভ্যালু দুটোই সমানে বাড়ছে। ভীম ট্রান্সকশানের ভ্যালু জানুয়ারিতে ছিলো ১৭, ফেব্রুয়ারিতে ১৯, মার্চে ২৪। মোটামুটি রাইসিং ট্রেন্ড, যদিও এতো শর্ট টার্মে কিছু বলা যায়্না।

    (ডেটায় জল কতো মেশানো আছে জানিনা)।
  • অনামী | 170.62.7.250 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ১০:২৩59722
  • আসল কথা হলো, ৬ মাস অতিবাহিত, কিন্তু হিসাব কই? কত টাকা জমা হলো, কত কালো টাকা নষ্ট হলো? নির্লজ্জ সরকার চুপ কেন? অর্থিনীতিতে কি প্রভাব পড়লো, কি লাভ হলো আর কি লোকসান হলো? কাশ্মীরে পাথর ছোড়া যুবকদের আর মাওবাদীদের মেরুদন্ড কতটা ভাঙলো? এর মধ্যেই দুকান কাটা মোদী সরকার গ্রোথ ডাটাতে জালিগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। মিথ্যেবাদী জালিয়াতদের সরকার কেবল বৃহৎ পুঁজির দালালি করতে আর দেশকে "বৈদিক" যুগে ঠেলে দেওয়ার জন্যে তৎপর|
  • dc | 132.174.106.139 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ১১:৪৮59723
  • এখানে একটা ভালো হিসেব দেওয়া হয়েছেঃ

    https://scroll.in/article/836854/so-how-did-that-demonetisation-thing-work-out-for-you

    তবে আমার মতে লেখাটা অসম্পূর্ণ, লং টার্ম ভিউ নিয়ে কিছু আলোচনা নেই (মাত্র ছ মাস পর অবশ্য এর বেশী সম্ভবও না)। সময় পেলে পরে এই লেখাটার প্রেক্ষিতে কিছু লিখব।
  • সিকি | 116.205.30.156 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ১১:৫২59724
  • এর পরের স্টেপে এক বছরটাও মাত্র লাগবে।
  • dc | 132.174.106.139 (*) | ০৮ মে ২০১৭ ১২:০৫59727
  • আমার মতে অন্তত তিন থেকে পাঁচ বছর পর অ্যানাইজ করলে বোঝা যাবে ডিমনির পরে ভারতের মানুষের ক্যাশ স্পেনডিং হ্যাবিট কিছু পাল্টেছিল কিনা। এতোটা বেশী সময় লাগবে কারন আমাদের দেশে ক্যাশের রেশিও অ্যাবনর্মালি হাই, সরকার যদি কন্টিনুয়াসলি ক্যাশে স্পেন্ড করার প্রবনতা কমানোর চেষ্টা না করে আর যদি কন্টিনুয়াসলি ডিজিটাল ইন্স্ট্রুমেন্টে ইনসেনটিভ না দেয় তাহলে ডিমনির থেকে যে লাভ হয়েছিল তার কোন লং টার্ম এফেক্ট আসবে না। ডিমনির ফলে ডিজিটাল ট্রান্সাকশানের প্রবনতা ওভারল বেড়েছে কিনা আর ফর্মাল ইকোনমি এক্সপ্যান্ড করেছে কিনা এই দুটো জানতে হলে আরো ক বছর দেখতে হবে।
  • সিকি | 158.168.96.23 (*) | ০১ জুন ২০১৭ ১০:৪১59733
  • তুলতেই হল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন