এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে গরু: দেশ কোনদিকে? # পর্ব - ১

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ আগস্ট ২০১৬ | ১৮৫৩ বার পঠিত
  • প্রচারক। শাস্ত্র বলে গরু আমাদের মাতা।
    বিবেকানন্দ। হ্যাঁ, গরু যে আমাদের মা, তা আমি বিলক্ষণ বুঝেছি—তা না হলে এমন সব
    কৃতি সন্তান আর কে প্রসব করবেন?
    [“স্বামী-শিষ্য-সংবাদ”; স্বামীজীর বাণী ও রচনা, ৯ম খণ্ড]

    ভারতেও “নাসা”!

    আপনারা ভাবছেন, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে নাসা (NASA) নামক যে সংস্থাটি মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সাথে সংযুক্ত, তারা বুঝি আমাদের দেশেও কোনো শাখা খুলছে বলে আমি খবর পেয়েছি! আর সেটাই আপনাদের জানাতে এসেছি। না, না। ভারতে মহাকাশ ও মিসাইল নিয়ে কাজের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই ইসরো (ISRO)-র উপরে দেওয়া আছে। আমি আপনাদের যেটা জানাতে চাই তা হল, ভারতেও অন্য এক “নাসা” ইদানীং খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে এ হচ্ছে কিছু মানুষের নাসা, অর্থাৎ, নাসিকা; বিশুদ্ধ বাংলায় যাকে সবাই বলে থাকেন নাক।

    পাঠকবৃন্দ নিশ্চয়ই এই দামি খবরটা এখনও পাননি। অথচ, এই মাস দুয়েক আগেই দেখেছেন, রাজস্থানের যোধপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হোস্টেলে কাশ্মীরি ছাত্রদের ঘরে গোমাংস রান্না হচ্ছে বলে কিছু দেশভক্ত ছাত্রের নাসা ঠিক গন্ধ পেয়ে গেল এবং তারা পুলিশকে খবরও দিয়ে দিল। পুলিশও তাদের নাসা ব্যবহার করেই সেই সব বেয়াদপ ছাত্রদের ঘরে পৌঁছে গেল এবং তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল। গোটা রাজস্থানের কোথাওই কিন্তু গরুর মাংস পাওয়া যায় না। বহুকাল ধরেই নিষিদ্ধ বলে। কিন্তু তবুও স্রেফ “নাসা”-র জোরেই এই সন্ধান কার্যটি সুসম্পন্ন হল!

    কিছুদিন আগে আলিগড় শহরের এক বিজেপি পুরসভা সদস্যা হঠাৎ স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে বসেন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে নাকি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য শুধু নাসা নয়, সেই সঙ্গে ক্যান্টিনের মেনু কার্ড দেখার জন্য খুব শক্তিশালী “লেজার” চক্ষুও নাকি ব্যবহৃত হয়েছিল বলে খাস খবরে প্রকাশ। থানা অনেক গয়ংগচ্ছ করে তদন্ত-ফদন্ত করে শেষ পর্যন্ত জানতে পারে, গরু নয়, মোষের মাংসই বিক্রি হচ্ছিল। সেই হিন্দুত্ববাদী পুরমাতা মহাশয়ার নাসারন্ধ্রদ্বয় গন্ধ চিনতে বোধ হয় সামান্য ভুল করে ফেলেছিল।

    তবে সব সময় তো আর ভুল হয় না। এই যেমন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এরকমই একটি ঘটনা সারা ভারতেই তুমুল হইচই ফেলে দিয়েছিল। উত্তর প্রদেশের দাদরি জেলার বিস্রা গ্রামে সেদিন সন্ধেবেলায় কোনো এক মন্দির থেকে দুই যুবক জোর গলায় মাইকে ঘোষণা করতে থাকে যে সেই গ্রামের মহম্মদ আখলাক সাইফির বাড়ির ফ্রিজে গোমাংস রান্না করে রাখা আছে। কী করে জেনেছিল? কেন, সেই “নাসা”? নাসার ক্ষমতা তো সকলেই জানেন। সেই পরিবার রাতে যখন খেতে বসবে, এক বিশাল উত্তেজিত গোমাভক্ত বাহিনী সেই বাড়িতে ঢুকে অত্যন্ত সহিষ্ণু বৈদিক মনু-শংসিত হামলা চালিয়ে লাঠি রডের সস্নেহ আঘাতে বৃদ্ধ আখলাক সাইফিকে হত্যা করে। বাধা দিতে গিয়ে সুবুদ্ধির অভাবে নারী শিশু সহ পরিবারের অনেকেই আহত হয়। অখিলেশ যাদবের “সমাজবাদী” সরকার সুযোগ বুঝে ঘটনাটিকে ঘটতেও দেয় এবং তার জেরও চলতে দেয় যাতে বিজেপি ভোটের রাজ্য-রাজনীতিতে সমালোচনার মুখে পড়ে। অন্যদিকে দেশের গেরুয়া সঙ্ঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘটনাটির পক্ষে সাফাই গাইতে এবং অভিযুক্ত হত্যাকারীদের যে কোনো মূল্যে আইনের বিচার থেকে বাঁচাতে।

    ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এরকম কিছু হিন্দুত্ববাদী গোরক্ষক “নাসা”-ই গত ১৮ মার্চ ২০১৬ দুই মোষ-চারক মুসলমানকে গরু-পাচারি হিসাবে “সনাক্ত” করে ফেলে এবং তদন্ত বিচার ইত্যাদি আধুনিক বিরক্তিকর দীর্ঘসূত্রী প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার বদলে সন্দেহ থেকে শাস্তির সিদ্ধান্ত ও তাকে সক্রিয় রূপদানের পথে দ্রুত ধাবমান করে তোলে। দুজনকে হাত বেঁধে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে গাছের ডাল থেকে ঝুলিয়ে দেয়। যাঁদের ধারণা, ভারতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক হিংস্রতা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের তুলনায় এখনও অনেক পিছিয়ে আছে, তাঁদের ভ্রম নিরসনের উদ্দেশ্যেই সঙ্ঘ“নাসা”-র এই সব সর্বনাশা পর্যায়ক্রমিক অভিযান!!

    তবে এই গোমুখী-“নাসা” সাংঘাতিক এক ফরোয়ার্ড আপারকাট খেয়ে একেবারে ধরাশায়ী হয়ে গেছে সম্প্রতি গুজরাতের উনা গ্রামের এক “সামান্য” “বিচ্ছিন্ন” ঘটনার পরে। চারজন দলিত বর্গের যুবক মৃত গরুর ছাল বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় কতিপয় গো-সন্তানগণ তাদের রাস্তায় ধরে ফেলে এবং গরু হত্যা হয়েছে বলে শোরগোল তুলে তাদের চারজনকেই প্রচণ্ড মারধোর করে। যথারীতি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। একে তো তারা শাসক দলের কথায় ওঠেবসে। তার উপর তাদের মধ্যেও গোভক্তের সংখ্যা গোমাতার দয়ায় খুব একটা কম নেই। সমস্যা হয়েছে এই যে, সারা গুজরাতের দলিত জাতির মানুষেরা তারপর থেকে এককাট্টা হয়ে ঘোষণা করেছেন, তাঁরা এখন থেকে আর কোথাও মৃত গরুর ছাল চামড়া ছাড়াতে যাবেন না। এই কাজ এখন থেকে উচ্চবর্ণের গোপুত্ররাই করুক। তাঁরা বেশ কিছু মরা গরুর লাশ সরকারি অফিসের সামনে রেখেও দিয়ে যান কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় ট্রায়াল-নমুনা হিসাবে।

    বিজেপি অবশ্য এমনিতে এতে একেবারেই ভেঙে পড়েনি। ভুল-টুল স্বীকার করার রাস্তাতেও যায়নি। কোথাও কোনো ভুল বা অঘটন হচ্ছে বলেই তারা মনে করছে না। একটি হিন্দুরাষ্ট্রের রাম রাজত্বে যেরকম হওয়ার কথা, এ তারই আভাস মাত্র। অতএব, বর্তমান সঙ্ঘ পরিবার প্রেরিত কাণ্ডকারখানাকেই তারা সকলকে বলছে মেনে এবং মানিয়ে নিতে; যাদের তাতে অসুবিধা হবে তারা যেন পাকিস্তানে চলে যায়। কিন্তু উত্তর প্রদেশে ভোট এগিয়ে এল! ভারতে হিন্দু যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সে তো ওই দলিতদের মাথা গুণেই। নইলে ব্রাহ্মণ ভূমিহার ক্ষত্রিয় আর কজন? গুজরাতে ভয়ানক অশান্তি দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীদেবী ইস্তফা দিয়ে বসে আছেন! ন-রে-ন্দ্র- দা-মো-দ-র মো-দী—যিনি ভারতের আদানি আম্বানি প্রমুখ আট দশ জনের কল্যাণ কামনায় ধ্যানস্থ হয়ে দেশের আর প্রায় কোনো বিষয়েই মুখ খুলবার অবসর পাচ্ছিলেন না, অবশেষে গোপুত্রদের বলতে বাধ্য হয়েছেন, তারা যেন কটা দিন (উত্তর প্রদেশের ভোট পর্যন্ত, আপাতত) মা-কে একটু ছেড়ে রাখে!!

    সব কিছু দেখে শুনে দেশের বুদ্ধিজীবীদের এক বিরাট অংশ বহুকাল ধরেই তীব্র ভর্ৎসনায় মুখর হয়ে আছেন, সঙ্ঘ পরিবার সর্বত্র যেভাবে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার এক সহিংস পরিবেশ গড়ে তোলার নিরন্তর অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে। এই সমস্ত ঘটনা, দেশে গৈরিক অসহিষ্ণুতার এই ক্রমবর্ধমান প্রদর্শন, বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে, গোটা দেশের বিবেকের সামনে একটা বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছিল। আমরা কি আবার এক সাংস্কৃতিক দেশ বিভাগের দিকে এগোচ্ছি? তাঁরা সবাই তো আর পালটা-হিংসা ঘটাতে পারেন না। যারা এই ভাবে দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়িয়ে তুলে সহিংস আগ্রাসনের পথে এগিয়ে চলেছে তাদের এঁরাও পিটিয়ে দিতে পারেন না। তাঁদের হাতে যে সমস্ত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপায় আছে তাঁরা তারই ব্যবহার করে চলেছেন। অগণিত রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী বিজ্ঞানী অভিনেতা চলচ্চিত্র পরিচালক তাঁদের পুরস্কার ফেরত দিয়ে চলেছেন। যে রাষ্ট্র সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবার বদলে অসহিষ্ণুতা সহিংসতাকেই বাক্য ও আচরণে প্রশ্রয় দিয়ে চলে তার সঙ্গে সংস্রব রাখতেও তাঁরা ঘৃণা বোধ করছেন।

    ভারতীয় ঐতিহ্য

    আমি এখানে এই গোমাংস-কেন্দ্রিক বিতর্কের সামাজিক-রাজনৈতিক পৃষ্ঠভূমি সম্পর্কে দু-চারটে ভিন্ন কথা বলতে চাই। যা নিয়ে সচরাচর আলোচনা হয় না—এরকম কিছু অভিপাদ্য।
    গোমাংস ভোজন নিয়ে বর্তমানে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সহ-সংগঠনগুলি যতই হইচই চালিয়ে যাক, তার পেছনে যে খুব একটা তথ্য বা যুক্তির সমর্থন নেই—এটা কোনো বড় কথা নয়। ওদের কোন কথাটাতেই বা থাকে? তার চাইতেও বড় কথা হল, একটা সম্পূর্ণ ঐতিহ্য বিহীন দাবিও যে সাধারণ হিন্দু জনমানসকে ঐতিহ্যের নামেই কিছুটা হলেও প্রভাবিত করতে পারছে সেই সমস্যা নিয়ে আমাদের অনেক বেশি করে মাথা ঘামাতে হবে। আমরা যদি সেই দিকে নজর না দিই, তাহলে একটা বেশ বড় আকারের ভুল হয়ে যাবে।

    এই কথা আজ সকলেই নানা সূত্রে কম বেশি জেনে গেছেন যে হিন্দুদের ধর্মীয় বা পবিত্র কোনো প্রামাণ্য শাস্ত্রগ্রন্থেই গোমাংস ভোজনের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা তো নেইই, উপরন্তু বহু জায়গাতেই গোমাংস ভক্ষণের স্পষ্ট নির্দেশ এবং কোথাও কোথাও বেশ ফলাও বর্ণনা আছে তার (পরবর্তী অনুভাগ দ্রষ্টব্য)। একটা সময় ছিল, যখন গৃহস্থের বাড়িতে ব্রাহ্মণ অতিথিকে বলাই হত গোঘ্ন, কেন না, তাঁরা কারোর বাড়িতে পদার্পণ করলে গৃহস্বামী তাঁদের নরম কচি বাছুরের মাংস রান্না করে খাওয়াতেন, না হলে তাঁদের নাকি বেজায় গোঁসা হয়ে যেত। ব্রহ্মতেজে শাপ-টাপ দিয়ে যাকে হাতের কাছে পেতেন কোপাগ্নিতে ভস্ম করে দিতেন! কোনো সংস্কৃত নাটকে দেখানো আছে, গুরুগৃহে বসবাসকারী শিষ্যরা একদিন খুব উৎফুল্ল যে ঘরে একজন সুব্রাহ্মণ অতিথি আসবেন বলে ভালো খাওয়াদাওয়া হবে, নধর বৎসটিকে কেটে রান্না করা হবে। আবার অন্য কোনো নাটকে বলা আছে, কেউ আসছে খবর পেয়ে গৃহস্থ আগে-ভাগেই তার বাড়ির ভালো হৃষ্টপুষ্ট গাভীগুলিকে দূরের মাঠে চরতে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যাতে অতিথি এলে তাদের কোনোটিকেই কেটে রান্না করতে না হয়।

    এই বিষয়ে ঊনবিংশ শতাব্দে বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ রাজেন্দ্রলাল মিত্র খুব গভীর গবেষণা করেছিলেন। তাঁর লেখা দু-খণ্ড The Indo-Aryans বইয়ের প্রথম খণ্ডে একটা (ষষ্ঠ) অধ্যায়ই ছিল Beef in Ancient India এই নামে, যেটা তিনি আলাদা পুস্তিকাকারেও প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে প্রথম এন ডি এ সরকারের (১৯৯৯-২০০৪) আগমনের আগে পর্যন্ত সেই বই বা প্রবন্ধের আলোচিত বক্তব্য নিয়ে কোথাও কেউ আপত্তি করেনি। কেন না, তাতে বেদ, ব্রাহ্মণ, মনুস্মৃতি, ও অসংখ্য সংস্কৃত সাহিত্য থেকে প্রচুর সূত্রোল্লেখ সহ উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি দেখিয়েছিলেন: প্রাচীন ভারতে দীর্ঘকাল ধরে গোমাংস ভক্ষণ একটা সাধারণ খাদ্য রীতি হিসাবে চালু ছিল। [Mitra 1967] জ্ঞানী ব্যক্তিদের বিশ্বাসে মিলুক আর নাই মিলুক, তাঁরা বুঝতেন যে এর বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। বাবা সাহেব আম্বেদকরও তাঁর একটি প্রবন্ধে এক সময় এই বিষয়ে খুব তথ্যপূর্ণ আলোচনা করেছিলেন। [Ambedkar 1990, 323-28.] তারপর আরও অনেকেই। [Lal 1954-55. Sankalia 1967. Chakravarti 1979. Ilaiha 1996. Jha 2002.]

    প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা ২০০০-০১ সালে তাঁর Holy Cow: Beef in Indian Dietary Traditions গ্রন্থটি বের করার পর বিগত বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে সঙ্ঘ পরিবারের ভক্তরা তাঁর বইয়ের কপি নানা জায়গায় জড়ো করে পুড়িয়ে সঙ্কেত দিতে শুরু করে, ঐতিহাসিক তথ্যকে তারা কী চোখে দেখে। চার দিক থেকে মামলা মোকদ্দমা করে বইটাকে আইনের বেড়াজালে আটকে দেবার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। শুধু তাই নয়, টেলিফোনে প্রাণ নাশের নানা রকম হুমকির কারণে অবস্থা এমন হয়ে ওঠে যে তিনি শেষ অবধি পুলিশ পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ক্লাশ নিতে যেতেন। [Puniyani 2001; Reddy 2001.]
    গোহত্যা নিবারণে নরহত্যাও সই কিনা!!

    ঊনবিংশ শতাব্দ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কালে উত্তর ভারতের একদল হিন্দু কট্টরপন্থী নেতা গোহত্যা নিবারণ ও গোরক্ষা সমিতির নাম দিয়ে একটা আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। বিশেষ করে, স্বামী দয়ানন্দ এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনা উদ্বোধনের এক ভ্রান্ত পথ বেছে নেন। একটা সময় থেকে তাঁদের পেছনে আরএসএস-পন্থীরাও দাঁড়িয়ে পড়ে। তাঁরা পৌরাণিক কিছু ইতস্তত বিক্ষিপ্ত সূত্র উল্লেখ করে বলতে চাইতেন, গরু নাকি শাস্ত্রে আমাদের মাতা হিসাবে ঘোষিত। মৃত্যুর পর গরুর লেজ ধরেই নাকি স্বর্গ যাওয়ার পথে বৈতরণী নদী পার হতে হবে। অতএব হিন্দুদের গরুর মাংস খাওয়া চলবে না শুধু নয়, অন্যদেরও এই সুপবিত্র গোচারণভূমিতে গোমাংস ভোজন করতে দেওয়া হবে না।

    আমরা এখানে পুরনো শাস্ত্র ধরে ধরে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালাব না। সেই সব এখন যথেষ্ট সুপরিজ্ঞাত তথ্য। তবে সংশয়বাদীদের জন্য এবং নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমরা প্রথমে সংক্ষেপে কিছু কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থিত করব। সত্য জানার আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।

    শাস্ত্রের নজির

    উপরে উল্লেখিত উৎস গ্রন্থসমূহে আলোচনার ভিত্তিতে এখানে আমি ধর্মবিশ্বাসী হিন্দুদের কাছে গ্রাহ্য কয়েকটি পরিচিত শাস্ত্রগ্রন্থ ও সাহিত্য থেকে প্রাচীন কালে ভারতে গোমাংস ভক্ষণের কিছু কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। আরও অনেক তথ্যই হয়ত দেওয়া যেত। তবে মনে হয়, আন্তরিকভাবে বুঝবার ইচ্ছে থাকলে আপাতত এতেই কাজ হবে।

    ঋগবেদ ১০/৮৭/১৬-১৯: গোমাংস ভোজীদের বিরুদ্ধে উচ্চারিত মন্ত্র থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়, এরকম ভোজন প্রচলিত ছিল। য়াতুধান গোষ্ঠীর লোকেরা গরুর মাংস খেত বলে অন্যদের তাদের উপর রাগ ছিল। এই রাগের কারণ গরু পবিত্র এবং অভক্ষ্য বলে নয়, এর কারণ, সেই সময়ে বিভিন্ন জনজাতির লোকেদের মধ্যে সীমিত খাদ্যের যোগান নিয়ে পরস্পর ঝগড়াঝাঁটি।

    ঋগবেদ ১০/৮৫/১৩-১৪: মাঘ মাসে বিবাহ অনুষ্ঠানে ষাঁড় কেটে রান্না করা হত। দেবরাজ ইন্দ্র গরুর মাংস ভোজনে খুবই পটু ছিলেন। তিনি বলছেন, একজনের জন্য পনের থেকে একুশটা অবধি ষাড় বধ করে রান্না করা হত (ঋগবেদ ১০/৮৬/১৪)।

    ঋগবেদ ৮/৪৩/১১: বেদের আর এক গুরুত্বপূর্ণ দেবতা অগ্নিও নাকি ষণ্ড ও বন্ধ্যা গোমাতার মাংস ভোজনে আগ্রহী ছিলেন বলে তাঁকে যথাক্রমে উক্ষান্ন ও বসান্ন বলা হয়েছিল।

    ঋগবেদ ১০/৭৯/৬: এতে বলা হয়েছিল গরুকে তলোয়ার অথবা কুড়াল দিয়ে কাটতে হবে।

    ঋগবেদ ১০/৮৯/১৪: যজ্ঞে বলির জন্য তো বটেই, ভোজনের উদ্দেশ্যেও গবাদি পশুর মাংস কাটার জন্য কসাইখানার উল্লেখ আছে।

    ঋগবেদ ১০/১৬/৭: শ্রাদ্ধে শুধু আমিষ নয়, যে কোনো মাংস নয়, বিশেষ করে গরুর মাংস খাওয়ানোর নিয়ম ছিল।

    মজার কথা হল, ঋগবেদে ষোল জায়গায় গরুকে অঘ্ন্যা (অর্থাৎ, অবধ্যা) এবং তিন জায়গায় ষণ্ডকে অঘ্ন্য (অবধ্য) বলা হয়েছে। মহাদেব চক্রবর্তী এর মধ্যে বৈদিক যুগের আর্য-অনার্য সমস্যার ছায়াপাত দেখেছিলেন। আমার ধারণা, এর মধ্যেও ছিল সেকালের মানুষদের মধ্যে জনজাতিগত সাংস্কৃতিক বিভিন্নতার ছাপ।

    তৈত্তিরীয় ও ঐতরেয় ব্রাহ্মণে তালিকা করে দেখানো হয়েছে কোন দেবতাকে কেমন গরু বলিদান দেওয়া হবে: বিষ্ণুর জন্য বামন ষাঁড়, ইন্দ্রকে বাঁকা শিংওয়ালা ষাঁড়, রুদ্রের জন্য লাল বন্ধ্যা গরু, সূর্যের জন্য শ্বেত বন্ধ্যা গরু, ইত্যাদি। বলি দেওয়া পশুর মাংস নিশ্চয়ই ফেলে দেওয়া হত না। এখন ছাগ বলি দিয়ে লোকে যা করে, তখনও গোবলিদানের পরে বৈদিক জনজাতির লোকেরা একই কাজ করত।

    শতপথ ব্রাহ্মণে প্রখ্যাত ব্রহ্মজ্ঞ যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি খুব গর্ব করেই জানাচ্ছেন, তিনি গোমাংস ভক্ষণ করতে ভীষণ ভালোবাসেন, যদি তা কচি বাছুরের মাংস হয় (৩/১/২/২১); লক্ষণীয় হল, একই ব্রাহ্মণের অন্যত্র এর আবার বিরোধিতা করা হয়েছে (১/২৩/৬-৯)। এর ব্যাখ্যাও মনে হয় সেই সময়কার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে জনজাতীয় সাংস্কৃতিক পার্থক্যের আলোকেই বুঝতে হবে।

    সাংখ্যায়ন-সূত্র (১/১২/১০) মতে, বিবাহের রাতে কনের বাড়িতে কন্যার পিতা এবং বর-কনের আগমনের দিনে পাত্রের পিতাকে একটি করে বন্ধ্যা গরু কেটে মহাভোজনের ব্যবস্থা করতে হত।

    বৌধায়নের ধর্মসূত্রে মাংসাশী প্রাণী, পোষা পাখির মাংস খেতে নিষেধ করা আছে। আর কিছুই নিষিদ্ধ নয়। অর্থাৎ, গরুও নয়।

    আপস্তম্ব ধর্মসূত্র (১/৩/১০) নির্দেশ দিয়েছিল, অতিথি আপ্যায়নে, পিতৃশ্রাদ্ধে এবং বিবাহের অনুষ্ঠান উপলক্ষে গরু কেটে মাংস রান্না করে খাওয়াতে হবে; (১৫/১৪/২৯) বলেছিল, “গরু এবং ষাঁড় পবিত্র বলেই এদের খাওয়া যায়।” আপস্তম্ব (২/৭/১৬-২৬) এবং পরাশর গৃহ্যসূত্র (৩/১০/৪১-৪৯) মতে শ্রাদ্ধে অতিথিদের গরু বা ষাঁড় কেটে মাংস রান্না করে খাওয়াতে হবে। বশিষ্ঠ-সূত্রে (১১/৩৪) আবার বলা হয়েছে, এরকম অনুষ্ঠানে কোনো সদ ব্রাহ্মণ অতিথি মাংস খেতে অস্বীকার করলে অনন্তকাল ধরে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। খাদির (৪/২/১৭) ও গোভিল সূত্র (৪/৭/২৭/৫৪) অনুযায়ী নতুন গৃহ নির্মাণ করার সময় গৃহস্বামীকে বাস্তুদেবতার কাছে একটি কালো গাভী বলি দিতে হবে।

    পাণিনি (৩/৪/৭৩) গোঘ্ন শব্দটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন, বাড়িতে রাজা, ব্রাহ্মণ, গুরুদেব, পুরোহিত, অথবা গুরুগৃহ থেকে পুত্র সন্তান ফিরে এলে আনন্দের প্রকাশ হিসাবে ষণ্ড অথবা বন্ধ্যা গরু কেটে মাংস রান্না করা হত। শতপথ (৩/৪/১২) এবং ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও (১/৩/৪) একই কথা ব্যক্ত হয়ে আছে।

    মনুসংহিতায় (৫/১৮) আচার্য মনু দুই সাড়ি দাঁতওয়ালা সমস্ত প্রাণীর মাংস খেতেই অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা যতদূর দেখেছি, গরুর মুখেও দুই সাড়ি দাঁতই আছে। অতএব অন্তত মনুস্মৃতি অনুযায়ী গোমাংস ভোজন অসিদ্ধ নয়। তিনি সমস্ত প্রকারের মাংস খেতে পরামর্শ দিয়েছেন (৫/৩০), কেন না, একই ব্রহ্মা খাদ্য ও খাদক, সবই সৃষ্টি করেছেন। ভয় দেখিয়েছেন, যজ্ঞ করার সময় ব্রাহ্মণরা ভালো ভালো মাংস না খেলে পরবর্তী একুশ জন্মে যজ্ঞে বলির পশু হয়ে জন্মাতে হবে (৫/৩৫)। মনুর টিকাকার মেধাতিথি এবং রাঘবানন্দ এই ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতাই রাখেননি। [Bhandarkar 1940, 77.] মধুপর্ক প্রস্তুতিতে অন্যতম উপাদান হিসাবে গোমাংস ব্যবহার করার ব্যাপারে মনু (৩/১১৯-২০) পরিষ্কার ভাষায় নির্দেশই দিয়ে গেছেন। যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতিরও একই বিধান (১/১০৯-১০)। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রও এই ব্যাপারে খুব নিষ্ঠার সাথে শাস্ত্রপন্থী (২/২৬/২৯)।

    মহাভারতের বনপর্বে (২০৮/১১-১২) রাজা রন্তিদেবের গল্প বলা হয়েছে, যিনি প্রতিদিন নাকি দু হাজার প্রাণী বলি দিতেন এবং তার মধ্যে অবশ্যই গাভীও থাকত। উদ্যোগপর্বে একটি কাহিনিতে আছে এরকম একটি সাংঘাতিক ঘটনা: অগস্ত্য মুনি রাজা নাহুশাকে অভিশাপ দিয়ে স্বর্গ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, কারণ সেই রাজা বৈদিক বিধান অমান্য করে গরু বলি দিতে অস্বীকার করেছিল এবং সেই কাজ করার সময় একজন বিশিষ্ট ব্রাহ্মণকে অপমান করেছিল।

    ভবভূতি তাঁর “উত্তররামচরিত” নাটকে দেখিয়েছিলেন, গৃহে বশিষ্ঠ মুনি আসবেন বলে বাল্মীকি একটি নধর গরু বলি দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর “মহাবীরচরিত” নাটকে কবি এও দেখিয়েছেন, বশিষ্ঠ মুনিও তাঁর গৃহে বিশ্বামিত্র, জনক, জামদগ্ন্য, প্রমুখ ঋষিকে আপ্যায়ন করার তাগিদে একটি হৃষ্টপুষ্ট বাছুর কেটেছেন এবং অতিথিদের বলছেন, রান্না হচ্ছে গাওয়া ঘি দিয়ে, একটু পরেই ঠাকুরকে ভোগ দিয়ে তাঁদেরকে খেতে বসিয়ে দেওয়া হবে।

    সেকালে মানুষের বিচারবুদ্ধি যে কিঞ্চিত ঠিকঠাক ছিল, তার প্রমাণ হচ্ছে, চরক সংহিতায় চিকিৎসাবিদ গর্ভবতী মহিলাদের এবং সন্ন্যাস রোগগ্রস্তদের গরুর মাংস খেতে বিশেষভাবে উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন।
    আশা করা যায়, উপরের সংক্ষিপ্ত শাস্ত্র পর্যালোচনা থেকে প্রাচীন ভারতের ভোজন ঐতিহ্য সম্পর্কে খানিকটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে। এটা সকলেই বুঝতে পারবেন যে ভারতের সেকালের অধিবাসীদের ভোজনের পছন্দসই দ্রব্য তালিকা বিশ্বের অপরাপর দেশের সমকালিক মানুষদের তুলনায় তেমন বিরাট কিছু আলাদা ছিল না। ভাত ডাল রুটি শাক সবজির পাশাপাশি যেখানে যেমন তারা সংগ্রহ করতে পেরেছেন, সেই অনুযায়ী নানা প্রকারের মাছ, বিভিন্ন প্রাণীর মাংস ইত্যাদি আমিষ ভোজনও করেছেন। স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিয়ম মেনেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ আগস্ট ২০১৬ | ১৮৫৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১০:৪৬55392
  • খুব ভালো লাগলো পড়ে। এই লেখা গুলো ফেবুতে কিভাবে শেয়ার করে ? করতে চাই।

    কিছু প্রশ্ন আছে, যদি আরো কিছু তথ্য দিতে পারেন। ব্রাহ্মণ দের ডায়েট নিরামিষ এর দিকে ঝুকে গেলো কেন ? সেটা কি শুধুই খাদ্যাভাব, নাকি অন্য কোনো ইনফ্লুয়েন্স? এই ফুড হ্যাবিট চেঞ্জ এর পেছনে কি কোনো দ্রাভিদিয়ান বা অন্য প্রভাব আছে, যেটা বাকি ভারতে ছড়িয়ে গেছে ?
    সাউথ এ কাজ করার সময় তামিল ব্রাহ্মণ দের প্রচুর উৎপাত সহ্য করতে হয়েছে, তারা এসে বারবার খোটা দিতো বাঙালি ব্রাহ্মণ রা মাছ মাংস খায় কি করে ?
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১১:৩৬55393
  • এতো কারন বোঝাবো ক্যানো ? এতো নজিরই বা দেখাবো ক্যানো ? যে কোনো ফার্ম এনিম্যাল খাওয়া যাবে , যার ইচ্ছে খাবেন যার ইচ্ছে নয় খাবেন না । এটা সকলের অধিকার । এই শাস্ত্র ঘেঁটে নজির দেখানো এপ্রোচ টা বিদ্যাসাগরের সময় কাজ দিয়েছে কারন উল্টোদিকের লোকগুলো ত্যাঁদোড় ছিল বাঁদর নয় । কিন্তু এখন যারা উল্টোদিকে ওরা জেনেশুনে টেক্সট কে চেঞ্জ করছে । কাজেই সেই টেক্সট নিয়েই মারামারি করেলাভ আছে মনে হয়না । একটা লিমিট এর ওপর ডাইভারশন হয়ে গেলে পুরো মডেলটাই উপড়ে ফেলে দেওয়া বেটার । আগে কবে কী হয়েছে দেখার দরকার নেই ।

    2016 সালের খাদ্য অধিকার আইন তৈরী হবে এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড ফার্ম রুলিং মেনে । বিজ্ঞানসম্মত পথে । যা কিছু ফার্মিং করে উৎপন্ন তা খাওয়া যাবে । যা কিছু সরাসরি প্রকৃতির তা যাবেনা । জঙ্গলের প্রাণী আইইউসিএন রেড লিস্ট অনুযায়ী এব্যান্ডান্ট হয়ে গেলে ধরে খাওয়া যাবে । আবার সংখ্যায় কমে গেলে যাবেনা ।

    এই বেদ -ইতিহাস এপ্রোচটা মহা গোলমেলে । আজ যাজ্ঞবল্ক্য খুঁজে গরু খেতে হবে , কাল মেয়েরা কোন কোন রাইটস পাওয়ার অধিকারী তার সমর্থন খুঁজতে হবে পুরান থেকে । এইসব গোবর ঘেঁটেই দিন চলে যাক আর কি ।

    আমার মনে হয় , গরু শুধু গরু না । গো সংস্কৃতি একটা প্রতীক । যা আমাদের গোবর ঘাঁটতে শেখায় মাংস খাওয়ার বদলে । তারপর আমরা গরুর পেছনে মাথা ঢুকিয়ে তর্কে মেতে যাই । কাজেই সবার আগে গোবর ঘাঁটা বন্ধ হোক ।
  • Debabrata Chakrabarty | 55.250.246.135 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০১:০৯55412
  • @Avhyu আপনি মনে হয় ঠিকই জানতেন সন্ন্যাস রোগ অর্থে সেরিব্রাল অ্যাটাক টাইপ , এইটা পেলাম হাসান আজিজুল হকের আগুণপাখি (আবার সেই পাখি ! ) " উঠোনে ধান মেলে দেওয়া ছিল, গিন্নি সেই ধান নাড়াতে যেয়ে হোঁচট খেয়ে, না কি এমনি এমনি, পড়ে গেল। আমরা ছুটে তাকে তুলতে গ্যালম। হালকা মানুষ, বয়েস হয়েছে, শরীর শুকিয়ে গেয়েছে, তুলতে কষ্ট হল না আমাদের। ... ই রোগের নাম সন্ন্যাস রোগ। ই রোগেই বাপজি মরেছিল। মাথার শিরে ছিড়ে যায়, মাথার ভেতরে শরীলের সব রক্ত জমা হয়ে দইয়ের মতুন থকথকে হয়ে ..." যাই হোক সেই অবস্থাতেও গরু খাওয়ার নিদান সুতারং উচ্চ রক্তচাপ জনিত অসুখই হবে । হার্টের রোগ নয় একথা নিশ্চিত ।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০১:২২55413
  • মৃগী=এপিলেপ্সি।
    সন্ন্যাস= সেরিব্রাল অ্যাটাক।
    কর্কট রোগ= ক্যান্সার।
    যক্ষ্মা= টিবি।

    সূত্রঃ
    আমাদের সংযুক্ত পরিবারের কেসগুলো।
  • dc | 132.174.152.16 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০১:৩৩55414
  • গোরু না খেয়ে গাওয়া ঘি খেলে বোল্ট আরো জোরে দৌড়তে পারতো কিনা সেই নিয়ে এখন জোর বিতর্ক চলছে।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০২:০৬55396
  • একক কে প্রশ্নঃ সিরিয়াসলি।
    "পুরো গোবরের গুষ্টিকেই ঘুঁটে বানিয়ে আগুনে দেওয়া দরকার সেইজন্যে ।"
    --- কী করে বানাবেন যদি একটু বলেন?
    আর ৯৫% ভারতবাসী বিশ্বাস করে যে শাস্ত্রে গোহত্যা মাতৃহত্যার মত মহাপাপ--নিশ্চয়ই লেখা আছে।

    আগে এই বহুলপ্রচারিত ঢপটা কে একস্পোজ করা দরকার।
    তার সঙ্গে দরকার খাদ্য নির্বাচনের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে কথা বলা।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.63 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০২:২৮55415
  • কিন্তু বোল্ট নাকি আদৌ গরু খায়না ? কিছু "নাসিকা " কেবল সেই বিষয়ে গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে ? এই লিংক টা আর এস এস চালায় নাকি কে জানে !

    Dear Dr. Udit Raj, Usain Bolt Does Not Eat Beef To Win Medals http://www.sakshipost.com/sports/2016/08/30/dear-dr-udit-raj-usain-bolt-does-not-eat-beef-to-win-medals
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩৭55397
  • কোনোকিছুই ঢপ নয় । আপনি সামনা ফলো করেন দত্তাত্রেয়-র লেখা ? ওরা এই সমস্ত পয়েন্টের কাউন্টার করার জন্যে গুচ্ছ গুচ্ছ "ব্যাখ্যা" লিখে রেখেছে । আরে ইতিহাস বলে আমরা যা জানি সেটা কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিই না । জাস্ট একটা রাজনৈতিক লিখন পদ্ধতি । তার আবার আসল -ঢপ কী ? ব্রাহ্মণ রা গরু খেত এটাও যেমন সত্য একটা রাজনীতি তেমনি কামধেনুর ঘটনা -গরু কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ইকোনমির ইতিহাস ও রাজনীতি । ওই পাঁকে ঢুকলে শুধু একাডেমিক তুলো ওড়ানো ছাড়া কিস্যু হবেনা । সিম্পল ভাট শুধু । "হিন্দু " এনটিটি তাই তো পলিটিকাল । এটাকি কোনো এনথ্রোপোলজিকাল এনটিটি নাকি যে আপনি প্রমান করছেন হিন্দুরা "গরু খেত " বা " গরু খেতোনা " । একটা পলিটিকাল এনটিটি ডুবিয়াস নেচারেই বিহেভ করবে ।

    দুরকম জিনিস আছে । যা বিজ্ঞানে প্রত্যক্ষ আর যা রাজনীতি । ইতিহাস -সত্যি-মিথ্যে -ঢপ এই শব্দগুলোর কোনো মানে নেই । তাও বুঝতুম যদি এটা শিক্ষিত দেড় দেশ হতো যে চলো ইতিহাসের গল্পগুলোকেই নিজেদের রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা যাক , তাহলে কিছু লাভ ছিল । কিন্তু এটা অশিক্ষিতের দেশ । এখানে ওসব সময় নষ্ট ।

    আলাদা করে "করার " তো কিছু নেই । অভিন্ন ফার্মিং এন্ড স্লটারই আইন নিয়ে সরকারপক্ষ কে চাপ দিতে হবে । তাতে গরু খাওয়া যেমন সিদ্ধ হবে , সংখ্যায় বেড়ে গেলে নীলগাই মারাও যাবে । কোনদিকেই ইমোশনাল ধুতির কোঁচা ধরে বসে থাকার দরকার নেই ।

    এটা তো পাওয়ারে থাকা পার্টি শয়তানি করে ঝামেলা বাড়াচ্ছে । নইলে এতো বড়ো দেশে কেও গরু খাবেনা -কেও মা বলবে -নিজের মতো কল্পকথায় বিশ্বাস রাখবে , রাখুক না ! অন্যকে খোঁচাচ্ছে আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর বেসে ।

    এক লাইনে বলছি , বিজেপি তেওঁ বহু লোক ওই যাজ্ঞবল্ক্য ইত্যাদি পড়েছে । ইন্টারনেট এ কোন গাড়োল বিজেপির হয়ে চেঁচায় সেটা বিজেপি না । ওরা জেনেশুনেই যা করার করে । কারণ এটা আইডেন্টিটি পলিটিক্স । আইডেন্টিটি পলিটিক্স এ ঢপ -সত্যি বলে কিছু হয়না । তুই নাকি কাল সাদা কে বলেছিস লাল , মানে বলেছিস । এটাকে পলিটিকালি কম্ব্যাট করুন , ইকোনোমিক্যালি কম্ব্যাট করুন , অভিন্ন আইন আন্তে সরকার কে চাপ দিন । একাডেমিক তুলো উড়িয়ে আত্মপ্রসাদ ছাড়া কিছু হবেনা । কোটি কোটি ব্যাখ্যা -প্রতিব্যাখ্যা জোৎস্নায় পলিথিন হয়ে ভারতের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে । লোকে সেটাই ক্যাচ করবে যেটা তার আইডেন্টিটি পলিটিক্স কে সার-জল দেয় । নট নেসেসারিলি যেটা যুক্তিযুক্ত ।
  • dc | 132.174.152.16 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৩৯55416
  • এমনিতে বোল্ট বিফ খায় কিনা সেটা কোন ইস্যুই না। গৌমাতাকেই খাক আর নাটবল্টুই খাক, সেটা বোল্টের পার্সোনাল চয়েস ঃ) তবে দেবব্রতদা এটা দেখুনঃ

    http://www.gq.com/story/the-real-life-diet-of-usain-bolt

    One admittedly small advantage to being the fastest person, ever, is having your own cook. Bolt starts the day with a simple egg sandwich, spends 20 minutes in the weight room, then has a light lunch of pasta with corned beef, or, if he needs to go light on meat, fish.

    আর

    http://www.telegraph.co.uk/usain-bolt-worlds-fastest-man/0/rocket-fuel-what-does-usain-bolt-eat/

    এই লিংক গুলো মোটামুটি অথেনটিক বলেই মনে হয় কারন বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে। সাক্ষীপোস্টের লিংকে ডেট দেখছি আজকের, কাজেই সন্দেহজনক।
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০২:৪৩55398
  • আরেকটা ব্যাপার ।

    গরু নিয়ে প্রবন্ধে যেটা দেখিনা । যদি ভারতীয় প্রজাতির গরু শ্লটারিং ধরা যাক বন্ধই হয় একচুয়াল প্রব্লেম কতটুকু একটু বুঝিয়ে বলবেন ? ফুড রিসোর্স -ইকোনোমি এইসব এঙ্গেল থেকে ।

    পুরো মার্কেট তো বাফ চেয়ে আছে । এবার বিদেশ থেকে আনা গরু কাটলেই হয় । তারা কেও গোমাতা নয় আর সেগুলো নিয়ে বিজেপির মাথাব্যথা নেই । নন গো মাতা গরুদের মোষেদের ফার্মিং করুন -কেটে খান । প্রব্লেম কী ?

    জাস্ট ফুড রিসোর্স -ইকোনোমি ধরেই বলুন । খবর অধিকার থাকা উচিত সেটা আলাদা কথা ।
  • অভি | 37.63.183.241 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:১৬55399
  • এককের শেষ বক্তব্যে দুটো পয়েন্ট বলার। এক, আমাদের পেডিয়াট্রিক সার্জারির হেডস্যর বাচ্চাদের প্রোটিন এনার্জি ম্যালনিউট্রিশন দেখলে সাজেস্ট করতেন বড়া গোস্ত খাওয়ার জন্য। বগড়ি রাজাবাজারের অল্পবিত্ত মুসলিম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওটা খুব সস্তার প্রোটিন সোর্স, স্যর খুব বলতেন। স্টেক ফ্যাক্টরির বিদেশী ফার্মিংজাত প্রোটিন এইভাবে অ্যাফর্ড করা যাবে কিনা জানি না। দুই, যারা ফ্রিজে গরুর মাংস আছে শুনেই মারতে আসছে, তারা কি আদৌ মেলাবে সেটা কোনদেশি গোমাতা? মানে সেই আলোচনার সুযোগ কি আদৌ মিলতে পারে বলে মনে হয়?
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:২৫55400
  • বিজেপির সাইট দেখুন । অলরেডি গান গেয়ে রেখেছে মোষ এবং বিদেশী গরুরা গোমাতা নয় । এক্সপোর্টের স্বার্থে করা । এক্সপোর্ট আর ইকোনোমি বড় স্বার্থ । বলছিনা যে মেনে নেবেই , কিন্তু কায়দা করে মানানোর একটা জায়গা আছে ।

    বিদেশী গরুর প্রোডাকশন কেপাসিটি বেশি । অনেক বেশি মাংস । আমেরিকার মতো কর্ন খাওয়ালে হুলিয়ে গায়ে গতরে বাড়বে । অন্যদিকে ,

    আর "সস্তার প্রোটিন সোর্স " মানে স্বাস্থ্যকর এটা কীকরে ধরে নিচ্ছেন ? চোরাই গরু -অসুস্থ্য গরু কে ততোধিক অসুস্থ্য শ্লটারিং ইউনিটে জবাই করা হয় বলে কেজিপ্রতি কম খরচ পরছে । হাইজিন মেন্টেন করে করাটাই তো যুক্তিযুক্ত ।
  • অভি | 37.63.184.25 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪২55401
  • ওটা কস্ট বেনিফিট অনুসারে অপটিমাইজ করা সম্ভবত। তার বেশি দামে অ্যাফর্ড করবে না, তাই অগত্যা। কিন্তু, আমার এই দেশী বিদেশী পার্থক্যটা কিকরে লোকজন সামলায় এটা দেখার খুব ইচ্ছে। এমনিতেই গোরক্ষীদের সমাজবিরোধী বলে মোদী একাংশকে একটু অভিমানী করে তুলেছেন। এবার আরো বিভাগ তৈরি হলে কোনটা সহীহ গোরক্ষা আর কোনটা মেকি এই নিয়েও তুমুল বাওয়াল হবে।
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৪৭55402
  • কোনো না কোনো রাস্তা ওপেন করতে হবে । এরকমও করা যায় যে ইন্ডিয়ান রা বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রি খুলে গরুর মাংস সাপ্লাই করুক । নো শ্লটারিং । এই মডেল ভুটান ফলো করে । ম্যাক্সিমাম বীফ কনসাম্পশন কিন্তু ভুটানে স্লটার নিষিদ্ধ বৌদ্ধ ধর্মের কারণে । এদিকে নেপাল বা ভারত হয়ে যে মাংস ঢোকে তাতে ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার দেড় লগ্নী ফিফটি ফিফটি । দিব্য চলছে ।
  • π | 233.231.43.148 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৩:৫২55403
  • অমিতবাবু, এই পাতার উপরে ফেসবুকে শেয়ারের অপশন আছে। ফেসবুকের আইকনে ক্লিল করলেই হবে।

    আর এমনিতেও এই পাতার লিঙ্ক দিলেই শেয়ার করা যাবে।

    তাছাড়াও, গুরুর ফেসবুক পেজে ( গ্রুপ না) এটি শেয়ারড। সেখান থেকেও করতে পারেন।
    https://www.facebook.com/guruchandali/
  • avi | 37.63.184.1 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৪:০০55417
  • অভ্যুদা, লিঙ্কটা পড়লাম, দিব্যি। এগুলোর স্বীকৃত পরিভাষা আছে কিনা ঠিক জানি না। একই রোগের নানান নাম এবং একই নামে নানান রোগ খুব দেখা যায়। তবে সন্ন্যাস যদি সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়, তার পিছনে কার্ডিয়াক কারণ থাকার সম্ভাবনা যথেষ্টই থাকে। হাই ব্লাড প্রেসারে হেমরেজিক অ্যাটাক খুব হয়, যেটার বর্ণনা লেখা হয়েছে। হাই বিপি এমনিতেই কার্ডিয়াক রিস্ক ফ্যাক্টর। আবার ইস্কেমিক অ্যাটাক, যেটা সেরিব্রাল থ্রম্বোসিসে হয়, তার পিছনে কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া জনিত কারণ যথেষ্ট দেখা যায়। সন্ন্যাস এপিলেপ্সি হলে অবিশ্যি এসব আসবে না। :-)
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৪:১০55404
  • ধন্যবাদ পাই।
  • দেব্ব্রত | 37.63.149.166 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৫:৩৮55418
  • ডিসি, আমারও মনে হয় এই সাক্ষীপোস্ট খুব একটা নির্ভরযোগ্য কিছু নয়,এই বিতর্ক হওয়ার পরে কেউ একটা তৈরি করে বাজারে নামিয়েছে। যাই হোক অশোক বাবুর পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায়।
  • ashoke mukhopadhyay | 69.97.223.15 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৬:০৮55405
  • বাপ্ রে! একটা ভাগ পাতে দিতেই এত মন্তব্য!! সামলাব কি করে? সব না হলেও কিছু প্রশ্নের উত্তর পরের পর্ব গুলোতে পাওয়া যাবে। আপাতত একটা কথা বলে রাখি। লেখাটার প্রথম খসড়া কয়েকজনকে পড়িয়েছিলাম। তাতে শাস্ত্রের উল্লেখ ছিল না। "বহুচর্চিত" বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম। ব্যতিক্রমহীন ভাবে সকলেই বললেন, নজিরগুলো দিতে। এক জায়গায় নাকি এক সাথে পেলে সুবিধা হয়।
  • She | 126.202.193.232 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৪৬55419
  • খাসা লেখা। কিন্তু চাড্ডিরা মানবে না। বলবে ওগুলো ছহি সোর্স নহে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:০৪55406
  • আহা শুধু যাজ্ঞবল্ক্য কেন আম্মো কচি বাছুর খুব্বালোবাসি।

    এই লেখাটা চমৎকার। গোমাতার সন্তানদের পড়ানোর জন্য একেবারে ঠিকঠাক।

    সন্ন্যাস রোগ মানে হার্ট অ্যাটাক না? সেটায় গোমাংস মানে রেডমিট খেতে বলছে? তার মানে চরকের আমলে রেডমিটকে কোনও থ্রেট বলে ধরা হত না?
    এইটা লেখক বা কেউ যদি বিস্তারিত কিছু বলেন তো ভাল হয়।
  • avi | 125.187.32.69 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫৯55407
  • সন্ন্যাস রোগ বোধ হয় এপিলেপ্সিকে বলে।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৯:০৪55408
  • ওহ তাই?
    তাহলে আর প্রশ্ন নাই।
  • Debabrata Chakrabarty | 55.250.246.135 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১১:৩৬55409
  • সন্ন্যাস রোগ সম্ভবত উচ্চ রক্তচাপ জনিত অসুখ কে বলে ' স্ট্রোক ' ইত্যাদি যেমন হিট স্ট্রোক - এই রোগটির বাংলা তরজমা করলে দাড়ায় অত্যধিক তাপজনিত সন্ন্যাস রোগ।
  • Abhyu | 125.187.60.53 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১১:৩৭55410
  • আমার আবার ধারণা ছিল সেরিব্রাল অ্যাটাককে সন্ন্যাস রোগ বলে। কোনো ঝামেলা ছাড়া মারা যায় বলে। ক্লিয়ারলি ভুল জানতাম। গুগুল করেও দেখলাম http://drbashirmahmudellias.blogspot.in/2014/10/blog-post_78.html

    লেখাটা ভালো।
  • Abhyu | 125.187.60.53 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১১:৩৭55411
  • অভি ডাক্তার না? ভুল বলবে না :)
  • avi | 233.191.54.8 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১২:২৬55394
  • এমনি তর্কে দেখেছি প্রচুর গোপ্রেমী এগুলো প্রথমেই মেনে নেয়। তার পর বলে আগেকার যুগে তো সতীদাহও হত, সেগুলো তো বন্ধ হয়েছে। তেমনি গোহত্যার মতো কুপ্রথাও বন্ধ করতে হবে। অনেকে বলে, শাস্ত্র নয়, লোকাচারটাই বড়। আর প্রেক্ষিত বুঝতে হবে এটা তো সবাই বলে।
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৪55395
  • ওই কারণেই ওই রাস্তায় তর্ক করাটা একদম ফিউটাইল । সবচে বড় বিপদ হলো আজ আমি যাজ্ঞবকও সংহিতা ঘেঁটে দেখালুম লোকগণ হালুম হালুম করে গরু খাচ্ছে , কাল বেবুনের দাপনা ভাজা খাওয়ার সময় কোন সংহিতা ঘাঁটবো ? বা হতেই বাড়ে সেখানে লেখা আচেহ বেবুনের দাপনা ভাজা খাও খুব খারাপ । তখন ?

    পুরো গোবরের গুষ্টিকেই ঘুঁটে বানিয়ে আগুনে দেওয়া দরকার সেইজন্যে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন