এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আজি এলো হেমন্তের দিন......

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ জুন ২০১৬ | ৭৫৮ বার পঠিত
  • '.... আমাদের সময়কার কথা আলাদা। তখন কে ছিলো? ঐ তো গুণে গুণে চারজন। জর্জ, কণিকা, হেমন্ত, আমি। কম্পিটিশনের কোনও প্রশ্নই নেই। ' (একটি সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা মিত্র)
    ---------------------------
    বাবার কাছে গল্প শুনেছি। সাতচল্লিশ-আটচল্লিশে সেন্ট পলস কলেজে পড়াকালীন তিনি সেখানে ছাত্রসংগঠনের সাংস্কৃতিক সচিব ছিলেন। সেই সময় ভবানীপুরের দীর্ঘ সুদর্শন ছেলেটি, যে গল্প লেখে ( দেশ পত্রিকাতে ইতোমধ্যে তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়ে গেছে) আর আবাল্য বন্ধু 'গায়ক' সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের চাপে এদিকওদিক গান গেয়ে বেড়ায়, তার কাছে বাবা'রা গিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে কলেজ সোস্যালে গান গাইবার অনুরোধ নিয়ে। অবশ্য ইতোমধ্যে তার বেশ কিছু রেকর্ড করা হয়ে গেছে, শৈলেশ দত্তগুপ্ত, কমল দাশগুপ্তের সুরে। ১৯৪৪ সালে সে নিজের সুরে প্রথম রেকর্ড করে, '' কথা কয়োনাকো, শুধু শোনো''। মোটামুটি এই সময়েই 'প্রিয় বান্ধবী' ছবিতে তার গাওয়া ''পথের শেষ কোথায়....'' বিশেষ লোকপ্রিয়তা পেয়ে যেতে কলাম্বিয়া কোমপানি তাকে দিয়ে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড করেছিলো। দু'টি গান, ''আমার আর হবে না দেরি'' আর '' কেন পান্থ এ চঞ্চলতা'' সত্তর বছর পরেও মানুষ শোনে। জর্জদা বলতেন, হেমন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের সেকেন্ড হিরো। প্রথম হিরো ছিলেন অবিসম্বাদী পঙ্কজকুমার।
    ------------------------------------
    অনুষ্ঠানে পৌঁছোতে একটু দেরি হয়েছিলো যুবকটির। সেই শাদা হাতা গুটোনো শার্ট আর ধুতি, দীর্ঘ পদক্ষেপ। এসেই সোজা মঞ্চে, পর্দা ওঠার আগেই গান ধরা হয়ে গেলো তাঁর, '' আমার আর হবেনা দেরি ......'' । বাবার ভাষায় কলকাতার সতত অতিকথনশীল ছাত্রদল মূহুর্তে নিশ্চুপ। গায়নভঙ্গি পঙ্কজকুমারের মতো, কিন্তু পেশকারি অনেক আধুনিক । আর তাঁর কণ্ঠসম্পদ ? শৈশবকাল থেকে অসংখ্যবার শোনা ''আমার আর হবে না দেরি'', যা আমাদের শ্রবণে প্রায় একটি নৈসর্গিক সম্পদ, সম্পূর্ণ ভিন্ন মনোনিবেশ নিয়ে শুনছি এখন। এই গানটি রেকর্ড করার সময় হেমন্তের বয়স ছিলো মাত্র চব্বিশ বছর। তাঁর উচ্চারণ, ডিক্শন, সুর লাগানো, লয় ধরে রাখার পরিণত সামর্থ্য এবং সর্বোপরি সংযমবোধ, রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের এক নতুন ভাষ্য তৈরি করতে পেরেছিলো। মনে রাখতে হবে এই সময় জর্জদা'র কোনও একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড প্রকাশিত হয়নি। হেমন্তের 'শিক্ষক' বলতে শৈলেশ দত্তগুপ্ত, যাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রশিক্ষণের কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতা ছিলো বলে জানা যায়না। সাহানা দেবী, কনক দাশের রেকর্ড হয়তো শুনেছিলেন তিনি, কিন্তু তাকে তালিম বলা যায়না। তিনি ছিলেন পঙ্কজকুমারের 'কানশুনি' শাগির্দ। অভিজাত বৃত্তের বাইরে সাধারণ শ্রোতারা যে দুজন অসাধারণ শিল্পীর রবীন্দ্রসঙ্গীতকে নিজের বলে গ্রহণ করেছিলেন, সেই পঙ্কজকুমার মল্লিক আর কুন্দনলাল সহগল ছিলেন তাঁর পথপ্রদর্শক। কিন্তু আজ একই সময়ে এই তিনজনের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড শুনলে বেশ বিস্ময়বোধ হয়। যখন দেখি পঙ্কজকুমার তাঁর গায়নে, বিশ শতকের প্রথম ও দ্বিতীয় দশকের শিল্পীদের মতো সুর লাগানোর রেশ পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারছেন না। যদিও রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্পষ্ট উচ্চারণের যে বাধ্যতা পরবর্তীকালে অবশ্যকৃত্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিলো, তার ভগীরথ ছিলেন পঙ্কজকুমার । এ ছাড়া কুন্দনলালের বাংলা উচ্চারণের মধ্যে অনুকরনীয় নিশ্চয় কিছু ছিলোনা এবং তাঁর সুর লাগানোর ধরনটি ছিলো একান্তভাবে উর্দু গজলের ধাঁচে। এই দুজন 'দ্রোণাচার্যে'র রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনার অভিজ্ঞতা স্বীকার করেও হেমন্ত কিন্তু সম্পূর্ণ নিজস্ব এবং সেকালের পক্ষে প্রায় চমকে দেওয়া একটা পরিশীলিত পরিবেশনার সাফল্য অর্জন করে ছিলেন। অথচ তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ন পারদর্শিতার যে বিপুল স্বীকৃতি তিনি পেয়েছিলেন সাধারণ আম শ্রোতার থেকে, তার ভগ্নাংশ সাধুবাদও তিনি পান'নি 'এলিট' শ্রোতামহলে।
    -------------------------------------
    আশির দশকে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের লোকপ্রিয় শৈলী বিষয়ে আলাপচারিতায় সুভাষ চৌধুরিকে বলেছিলেন, ''.... এক এক জন exceptional গায়কের গলায় আমরা গানের (রবীন্দ্রসঙ্গীতের) সুন্দর চেহারাটা বা শ্রেষ্ঠ চেহারাটা খুঁজে পাবো। অন্যদের ক্ষেত্রে পাবোনা এবং বিচারটা সব সময়েই Bestকে দিয়ে হবে। আরেকটা জিনিস- সব ঘরে ঘরে রবীন্দ্রসঙ্গীত চলছে- সেই ঘরে ঘরে গাওয়াটা তো আমরা প্রামাণ্য গাওয়া বলে ধরতে পারবো না।''
    এখানে সুভাষ যোগ করেন, ''.. মুশকিল হচ্ছে কি - Popular গাইয়ের গলায় তো এটা Popular হচ্ছে। সেখানে এটার সাদামাটা চেহারা পাচ্ছি। খুব Popular গাইয়ে কিন্তু তিনি - সেখানে খুব সাদামাটা চেহারা পাচ্ছি।''
    ---------------------------------
    তখন সত্যজিৎ বলেন, ''..... এই তো হেমন্তই দেখনা (হাসি) অবশ্য এটা আবার উঠে গেল (হাসি)...... কিন্তু কথা হচ্ছে হেমন্তবাবুর গলায় ধরুন এটা নেই। একজন আমি বলছি যে এটা নেই-ই (জোর দিয়ে), সেক্ষেত্রে লোক কিন্তু হেমন্তবাবুর গলায় এটা শুনতে চাইছে। আপনি যে প্রশ্নটা তুলছেন সেটাতো চিরকালের আর্টের একেবারে গোড়ার প্রশ্ন। সাধারণ, মানে Lowest common denominator এর কাছে তার চেহারাটা কীরকম, তারা কী পছন্দ করছে, সে তো আমাদের সাহিত্যেও আছে, ফিল্মেও আছে, গানেও থাকবে। এটাতো নতুন কিছু না। কিন্তু তারা যখন classical গান শুনতে যাচ্ছে তারা তখন ভালটাই চাইবে - যারা classical গানের বোদ্ধা। কিন্তু যেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত এসে যাচ্ছে সেখানে তো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে ঐখানেই যে খুব সাধারণ লোকেরা ঐ popular গানটাই পছন্দ করবে। এটা তো পাশাপাশি থাকবেই। এটার কোনও রাস্তা নেই।'' এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভবিষ্যত বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি বলেন, ''..... রবীন্দ্রসঙ্গীত in a pristine form, মানে ভালো form, রবীন্দ্রসঙ্গীতের চল তো থাকবেই।''
    ------------------------------------
    সুতরাং এটা স্পষ্ট যে একটা প্রভাবশালী ও স্বীকৃত শ্রোতাগোষ্ঠীর কাছে হেমন্ত বা তাঁর গায়নভঙ্গি Exceptional বা Best নয়, সেটা নেহাৎ 'Popular' এবং এখানে Popular শব্দটি প্রকারান্তরে উৎকর্ষের অভাবই সূচিত করছে। আবার Pristine ফর্ম, যা কি না 'ভালো' form, সেটাই বা আদতে কী কী লক্ষণকে আশ্রয় করে গঠিত হয়? সুতরাং এটা স্পষ্ট যে একটা প্রভাবশালী ও স্বীকৃত শ্রোতাগোষ্ঠীর কাছে হেমন্ত বা তাঁর গায়নভঙ্গি Exceptional বা Best নয়, সেটা নেহাৎ 'Popular' এবং এখানে Popular শব্দটি প্রকারান্তরে উৎকর্ষের অভাবই সূচিত করছে। আবার Pristine ফর্ম, যা কি না 'ভালো' form, সেটাই বা আদতে কী কী লক্ষণকে আশ্রয় করে গঠিত হয়? এখানে উল্লেখযোগ্য, যে দু'জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও স্বীকৃত শ্রোতা এই আলোচনাটি করছেন তাঁরা স্পষ্ট কোনও বিশেষ নজির উপস্থিত করছেন না, Pristine formটি আসলে কোন শিল্পী সঠিকভাবে ধারণ করতে পারেন। এই মোড়টিতে এসে আলোচনাটি একটি অন্ধগলিতে আটকে যায়, যেখানে শ্রোতারা আপন আপন শ্রবণ অভ্যেস ও অভিজ্ঞতাকে নির্ভুল ভেবে নিশ্চিন্ত থাকেন।
    ------------------------------------
    হেমন্ত বলতেন যে তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষকের নাম 'স্বরবিতান'। তিনি দোকান থেকে স্বরবিতান কিনে আনতেন আর হারমোনিয়মে সুর টিপে গান বাঁধার মহলা চালিয়ে যেতেন। গুরুবাদী 'শুদ্ধতা'পন্থীদের পক্ষে রীতিমতো স্যাক্রিলেজ বলা যেতে পারে। কিন্তু যেকোনও গান, বিশেষতঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত' যাঁদের কথা ভেবে রচিত হয়েছিলো , যদি তাঁরা শঙ্খ ঘোষের অভিজ্ঞতা অনুসারে শুধু মধ্যবিত্ত রুচিপ্রকৃতির মানুষই হ'ন, তাঁদের কাছে বিপুল সমাদর লাভ করেছিলো। একথা একশোভাগ সত্যি যে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে ফেলে শিল্পের মূল্যায়ণ করা যায়না, কিন্তু সেই ফর্মুলাটি কি হেমন্তের রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে? সর্বকালের কথা বলতে পারিনা, কিন্তু আমার নিজের দেখা অন্ততঃ তিনপ্রজন্মের বাঙালি শ্রোতার প্রতিক্রিয়া দেখে বলতে পারি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন মানুষের হৃদয়ের গভীর তন্ত্রী'কে স্পর্শ করতে সক্ষম এবং তার নজির আমরা এখনও দেখতে পাই।
    --------------
    দূরদর্শন পূর্ববর্তী যুগে, যে সময় বাঙালি শ্রোতা বিভিন্ন ছোটোবড়ো আসরে সরাসরি শিল্পীদের থেকে বাংলাগান শোনার সুযোগ পেতো, তখন একটি প্রথা বেশ প্রত্যক্ষ ছিলো। শিল্পীরা অনুষ্ঠানের প্রথম নিবেদনটি শুরু করতেন রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে। যাঁরা পূর্ণসময়ের বা বহুস্বীকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ন'ন, তাঁরাও মুখবন্ধ হিসেবে রবীন্দ্রসঙ্গীতকেই আশ্রয় করতেন শ্রদ্ধাসহকারে। এখনও হয়তো কেউ কেউ করে থাকেন। কয়েকজনের কথা আমার নিজের মনে আছে। মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, পিন্টু ভট্টাচার্য, নির্মলা মিশ্র, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা তো এই মূহুর্তে মনে পড়ছে। এই প্রথাটি প্রথম শুরু করেছিলেন হেমন্ত। প্রশ্ন উঠতে পারে পঙ্কজকুমার ন'ন কেন? তাঁর সমস্ত পরিবেশনায় তো রবীন্দ্রসঙ্গীত আবশ্যিক অংশ হয়ে থাকতো। এই প্রসঙ্গে বলা যায় পঙ্কজকুমারের সময় থেকে হেমন্তের সময়ের মধ্যে বাংলাগানে একটা বড়ো পালাবদল ঘটে গিয়েছিলো। হেমন্তের শ্রোতাদের মধ্যে রবীন্দ্রপ্রজন্মের মানুষ কেউ ছিলেন না বললেই চলে। উপরন্তু নানা আর্থসামাজিক কারণে শ্রোতাদের মানসিকতার ফ্রেমও আমূল বদলে গিয়েছিলো। নতুন প্রজন্মের বাঙালি শ্রোতাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের গান সমান মর্যাদায় গ্রহণ করানোর প্রয়াসে এই সব শিল্পীর যোগদান অন্যধরণের তাৎপর্য বহন করে। হেমন্ত ছিলেন তাঁদের পথিকৃৎ।
    ---------------------------------------------
    রবীন্দ্রসংগীত নামক শিল্পধারাটির একজন অতিস্বীকৃত দিগগজ সুবিনয় রায় হেমন্তের রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্বন্ধে বলেছিলেন, "বলেছিলেন, “হেমন্ত যেভাবে সুর লাগায় সেটা বাংলা গানের পক্ষে আদর্শ। সা রে গা মা দু’রকমভাবে লাগানো যায় গলা দিয়ে, একটা sophisticated, অন্যটা unsophisticated। হেমন্ত unsophisticatedভাবে সুর লাগায়। এর তুলনা নেই। ওর গান নির্বাচন অতুলনীয়। কোনটা ও justice করতে পারবে ওটা ঠিক বুঝতে পারে। তার বাইরে বেরোয় না। এই গুণ খুব কম শিল্পীর থাকে। তোরা ভাবিস হেমন্ত-র ক্লাসিক্যালের উপর দখল নেই - সেটা একদম ভুল। আমি তো বহুদিন ধরে ওর সঙ্গে মিশছি, আমি জানি। নিজে গলা দিয়ে ওই চর্চাটা করেনি, কিন্তু ভেতরে ক্লাসিক্যাল সেন্স প্রখর। ওর মত উচ্চারণ বাংলা গানে খুব কম শোনা যায়। ‘প্রাঙ্গণে মোর শিরীষ শাখায়’, ‘কেন পান্থ এ চঞ্চলতা’ ভালো করে শুনিস, দেখবি মনে হবে ঝর্ণা বইছে”।
    ------------------------------------------------------
    আমাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে, এতো এতো গান শোনো সারাদিন, কিন্তু কোন গান তোমাকে সব চেয়ে বেশি তদ্গত করে রাখতে পারে? কোনও চিন্তা না করেই বলি, হেমন্তের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত। একটা উপমা মনে পড়ে যায়। কথামৃতে আছে। নুনের পুতুল সাগরে গেলো জল মাপতে। মাপা আর হলো না, নিজেই মিলে গেলো সাগরের জলে। হেমন্তের হাত ধরে রবীন্দ্রসাগরে যাই। কখন মিলে যাই ঐ জলে বুঝতে পারিনা। তিনি নিজে তো আমাদের অনেক আগেই মিশে গেছেন। অনন্ত সাগর হয়ে গেছেন, আমাদের বুঝতে না দিয়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ জুন ২০১৬ | ৭৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | 127.214.68.238 (*) | ১৬ জুন ২০১৬ ০২:১৪55065
  • আজ তাঁর জন্মদিন। রোজই তিনি আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাই আলাদাভাবে তাঁকে স্মরণ করার হেতু বিশেষ নেই। তবু যেকোনও বাঙালির কাছে তিনি একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকেন। অন্ততঃ আমি তো তাই ভাবি। তাঁকে নিয়ে আমার একটা পূর্বপ্রকাশিত তুচ্ছ লেখা তর্পণ হিসেবে এখানে রাখলুম, বিনম্র শ্রদ্ধায়....
  • শিবাংশু | 127.214.68.238 (*) | ১৬ জুন ২০১৬ ০৫:০৭55066
  • আমার আর হবে না দেরিঃ-

    -----------------------------
    কেন পান্থ এ চঞ্চলতাঃ-

    -------------------------
    পথের শেষ কোথায়ঃ-
    পুরোনোটা পাওয়া গেলোনা। নতুনটিই থাক...

    --------------------------
    প্রাঙ্গনে মোর শিরিষশাখায়ঃ-
  • bhagidaar | 106.2.247.250 (*) | ১৬ জুন ২০১৬ ০৭:৪১55067
  • এটা চিপ্‌কে রাখি
  • Pramit | 213.99.216.227 (*) | ২১ জুন ২০১৬ ০৩:০৭55068
  • অপূর্ব লেখা শিবাংশু দা। আপনার লেখা নিয়ে আর নতুন করে কি বলব। "প্রাঙ্গণে মোর শিরীষশাখা" নিয়ে এক জায়্গায় শুনেছিলাম যে একবার শ্রদ্ধেয় জর্জ বিশ্বাসের কাছে এক ছাত্র এসে এই গান টি শিখতে চান, তখন উনি বলেন যে এই গান টি হেমন্তের রেকর্ড থেকে শিখে নিন। ওঁর চেয়ে ভালো আর কেউ গাইতে পারবেন না।
  • Abhyu | 85.137.6.107 (*) | ২২ জুন ২০১৬ ০১:১২55069
  • একটা ডুয়েটও পাওয়া যায়
  • Abhyu | 34.158.253.128 (*) | ২৯ জুন ২০১৬ ০৪:১৪55070

  • Ranjan Roy | 192.69.131.58 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ০১:০৬55074
  • ষাটের দশকের নগরায়ণের মধ্যবিত্ত অনুভূতিজনিত রোম্যান্টিকতা ও প্যাথোস হেমন্তের কিছু আধুনিক গানেও ধরা পড়েছে বলে মনে হয়। যেমনঃ
    " একটি পাখির এতটুকু বাসা ভেঙে গেছে আজ ঝড়ে" বা " শোনো, বন্ধু শোন! প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা"।
  • maximin | 127.248.138.122 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ১২:২১55071
  • খুব ভালো লাগলো।
  • | 213.99.211.18 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ১২:৩৭55072
  • আরে ম্যাক্সিমিন দি, বহু দিন বাদে। কেমন আছো?

    ভাট এ এসো।
  • Ranjan Roy | 192.69.131.58 (*) | ৩০ জুন ২০১৬ ১২:৪৩55073
  • বার বার শুনছি--প্রাঙ্গণে মোর, আর হবে না দেরি।

    অনেক ধন্যবাদ!
  • পৃথা কুণ্ডু | 7845.15.0190012.243 (*) | ০৪ মে ২০১৯ ০৫:৫৩55075
  • লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। একটা অনুরোধ -- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে চলেছি। লেখার সন্ধানে আছি। আপনার লেখাটি পেতে পারি?
  • কল্লোল | 342323.191.8945.168 (*) | ০৪ মে ২০১৯ ০৬:৩৫55076
  • প্রাঙ্গনে মোর শিরিষশাখায় শুনে বারবার গাঁয়ের মনে পড়ে যাচ্ছে।
    কেন?
    সুরের স্ট্রাকচার না কবিতার ছন্দ ? কোনটা এমন ভাবাচ্ছে?
    নাকি আমার সঙ্গীতমূঢ়্তা?
  • কল্লোল | 342323.191.8945.168 (*) | ০৪ মে ২০১৯ ০৬:৩৬55077
  • **গাঁয়ের বধূ
  • শিবাংশু | 561212.187.6745.50 (*) | ০৪ মে ২০১৯ ১০:২৮55078
  • @পৃথা কুণ্ডু,
    লেখাটির একটি পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ রয়েছে। যদি ইনবক্সে যোগাযোগ করেন তবে পাঠাতে পারি।

    @কল্লোলদা,
    এই দুটো সংস্করণ শোনো। তাঁর লয়প্রয়োগ, নাট্য-আবেদন ও সুর লাগানো কীভাবে বদলে গেছে সময়ের সঙ্গে বোঝা যাবে। কতো কী যে শেখার আছে। তোমার প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবে। প্রথমদিকের স্ট্যাকাটো সুর লাগানো কীভাবে গভীরগামী অন্বেষণ হয়ে দাঁড়ালো তার ইশারা আছে এখানে। কবিকে খুঁজে পাওয়ার সিদ্ধি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।


  • পৃথা কুণ্ডু | 7845.15.891223.207 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৪:১০55079
  • কিভাবে ইনবক্স এ যোগাযোগ করবো বুঝে উথতে পারছি না। যদি অনুগ্রহ করে মেল আইডি জানান তাহলে ভাল হয়
  • শিবাংশু | 561212.187.6745.26 (*) | ৩০ মে ২০১৯ ০৪:৪৫55080
  • @পৃথা কুণ্ডু,
    লেখাটি এই লিংক থেকে নিতে পারেন। লেখাটি যদি বইয়ে প্রকাশিত হয়, জানতে পারলে ভালো লাগবে,

    http://www.guruchandali.com/blog/2019/05/24/1558716555676.html
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন