এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মেমোরিজ ইন মে

    অবন্তিকা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩০ মে ২০১৬ | ৯১৩ বার পঠিত
  • এখন, মানে ঠিক এখনই, এই মুহূর্তে, এই সাবলীল দিবসাবসানে, তোমার পাশে কিছুক্ষণ বসতে ইচ্ছে করল l যদিও তুমি জানো এই ইচ্ছেটা সাময়িক l অথবা দীর্ঘমেয়াদী কোনও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস l যেমন জানো, গন্তব্যগামী বড় রাস্তা পেরোতে গিয়ে কাল পটাং করে ছিঁড়ে যাবে প্রিয় হলুদ কালো স্লিপারের স্ট্র্যাপ l দাঁড়িয়ে পড়ব, বিড়ম্বিত হবো, মুহূর্তকাল, অথবা গোটা ব্যাপারটা খুব স্মার্টলি হ্যান্ডল করে সেফটিপিনওয়ালা চটিসমেত চড়ে বসব ওলা-মিনির সবজেটে সিটে l সবটাই নির্ভর করবে সেইদিন, সেই মুহূর্তটার ওপর l ওই কেব্লে যাওয়া, ওই স্মার্টনেস – সব l তুমি জানো এই সমস্তটাই l তবু চেনা আলোও তো মাঝে মাঝে আওড়াতে হয় l বলতে হয়, পুড়ে যেতে যেতে আর পোড় খেতে খেতে যে যে আভ্যন্তরীণ সন্নিকর্ষে এতদিন মাথা নুইয়েছি, তাদের প্রত্যেকের নাম শাল্মলী, যাদের কথা তুমি এর আগেও শুনেছ বহুবার!
    ***

    শাল্মলীকে খুব মায়ের মতো দেখতে l শাল্মলী সে, যে এক্কেবারে মায়ের মতো নয় l গোঁড়া নয়, ধার্মিক নয়, সোনার গয়নায় অবশেসন নয়, বুকের ওপর ওড়না নয়, সম্পর্ক মানে বিবাহ নয়, রাজনীতি মানে পলিটিকাল পার্টি নয়, মেলানকলি মানে ডিপ্রেশন নয় l শাল্মলী মানে গান l টিপটিপ আর ঝমঝমের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটারা যেমন ঝিরঝিরে হয়ে ওঠে, শাল্মলী একটা তেমন গান l সমস্ত দিন বাজে l একটানা l বাজতেই থাকে l একটা বাজে, বিচ্ছিরি, বিরস দিন যেমন প্রবল বিদ্রোহে প্রেম হয়ে ধরা দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখায়, শাল্মলী তেমনি l শাল্মলী মানে স্লোগান l অচেনা কমরেডের মুখে মুখে ফেরে যখন, তৃপ্ততা জাগে, আর ঈর্ষাকাতরতা l এবং যে শাল্মলী মায়ের মতো, সে কাঁচা মুগডালে মেথি ফোড়ন আর বিউলির ডালে হিং-মৌরির অভ্যাস l ভুলে মেরে দিতে দিতে রাজিয়ার রান্না জিভে বিস্বাদ ঠেকলে আপনিই মনে পড়ে যাওয়ার অভ্যাস l কান্না পেতে পেতে বমি পেলো আর অমনি চোখ বুজে মনে হল কানের লতির পিছনে ঠান্ডা জলের আছরা দিয়ে দিচ্ছে কেউ l জোড়া ভুরুর মাঝে খুব ছোট্ট একটা রং-মিলান্তি টিপ l কাগজ পড়তে পড়তে বেতের চেয়ারে ঢুলে পড়েছে ভরদুপুরবেলা, আর পাতা টেনে দেখছি সত্যি ঘুম কিনা l আঁচল চিবোলে নাকি কাপড়ে বাজে গন্ধ হয়? তবু তো চিবোনো চাই l শাল্মলী... শাল্মলী... শাড়ি পরবে একদিন? বাটিক প্রিন্ট খয়েরি শাড়ি? আর জোড়া ভুরুর মাঝে ছোট্ট, খুব ছোট্ট একটা রং-মিলান্তি টিপ?

    “Sid’s mother was ever smiling, ever happy, always positive, a bit mystique. Her maiden name is Vatnagar. She studied in shantiniketan kalabhaban and she went to baroda… The school of arts… She never wanted to become a painter, rather to become an art curator. She loved tasar sarees, she wears long sleeve blouses. Yeah she looks like you, but, she is not you. My Sid’s mother is much more gracious, this is my only memory of her. Please don’t take it away from me.”
    ***

    “ইয়ে রাতে ইয়ে মৌসম নদীকা কিনারা ইয়ে চঞ্চল হাওয়া”

    কিছু কিছু শব্দের কোনও ভাষান্তর হয়না l পূনম কপূর বেখুদি-র বাংলা বা ইংরেজি সিনোনিম বলতে পারেনি একটা শব্দে l বোঝাতে চেয়েছিল আপ্রাণ l ‘যব তুম কভিতায়েঁ লিখতি হো, অউর সোচতে সোচতে খিড়কি কে বাহর দেখতি হো, লেকিন অসল মে কুছ দেখতি নহী, তো উও হ্যায় বেখুদি’ l আত্মবিস্মৃতি? নাহ l কোয়াড্রিপ্লেজিয়ার ইথেন ম্যাস্কারিনাস একটা অন্ধকার ঘরে আচমকা ঢুকে পড়া আলোর সরলরেখা বেয়ে নাচতে নাচতে উঠে যাচ্ছে উঁচুতে, অনেক উঁচুতে l ‘কে তেরা জিক্র হ্যায়, যব যব করতা হুঁ, মেহেকতা হুঁ, বেহেকতা হুঁ, চেহেকতা হুঁ...’ বহু চেষ্টাতেও কখনও অনুবাদ করে ওঠা হয়নি বাংলায় l এরকমই না-পারাজনিত ওলটপালট লাগাগুলো পেয়ে বসে হঠাৎ হঠাৎ l যা যা ঠিক যে যে ফর্মে ভেবেছিলাম, চেয়েছিলাম, তেমনটা ঘটল না, পাওয়া হল না বলে l ঘটলেও কি খুব খুশি হওয়া হয়ে উঠত? নাকি এই ঝড় ঝাপটাগুলোর অভাব করতাম তখন? পোস্তবাটা মাছভাজা আর মুসুরডাল ঘ্যাঁট চচ্চড়ির মতো ভাতের ভেতর সাপ্টে সাপ্টে মেখে একা একা কী একটা যেন খেয়ে ফেললাম কিসুই আলাদা করা গেল না l আজ তোমার ঘরে ফিরতে রাত ভোর হবে l তুমি থাকলে একে একে মেখে দিতে সব l কিন্তু আজ তো অসুখ করেনি! তাও স্রেফ খেতে ইচ্ছে করছে না বলে মেখে দিতে l দিতে? মাতৃত্ব তো একটা বোধ ! বোধেরও কি উদযাপন হয়? হয় বৈ কী! পিউবার্টির সময়টায় মেনস্ট্রুয়েশানের দিনগুলো খুব ক্লান্তিকর l প্রবল তলপেট ব্যথায় সক্কালবেলা দক্ষিণের জানলার ধারে শুয়ে শুয়ে নারকেলের পাতা দেখছি l বাড়ির পাশের কোকো বাগানটা তখনও আছে l কেটেকুটে সাফ করে বাড়ি তৈরি শুরু হয়নি l পরশু বাংলা পরীক্ষা l বাবা বাজার থেকে এসে একটা গরম জলের বোতল আর রচনা বিচিন্তা নিয়ে পাশে বসেছে l ‘পড়ছি l শোন l’ পেরে যাব পরশু l ভাষাকে ভালোবেসেছি বরাবর l তুমি জানো l বাবাও বোধ হয় জানে l
    ***

    “I hate life being caged. Caging everyone… putting them in boxes… panchhi dekho to pinjre me daal do, khubsoorat machhli dekho to aquarium me rakh lo… non-sense! Why do you want to box everybody! Set them free! Let them be where they are!”

    সেদিনও বর্ষা নেমেছিল l অনাবিল, অনিকেত, আর অন্তরীণ বর্ষা l বারদেউড়ির বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠে একটা আন্ডার-কনস্ট্রাকশন স্কুল l প্রাইমারি থেকে হাই হবে l তাই দোতলায় ইঁটের কাঠামো তোলা হচ্ছে l গরমের ছুটিতে ওইখানেই তিন-তিনটে অঙ্গনওয়াড়ির সম্মিলিত সেন্টার l ক্রমশ হয়ে-ওঠা মস্ত ক্লাসঘরের মাঝে চেয়ার টেবিল আর বিস্তর লাল টিকিট l পাল্লাহীন জানলা দিয়ে প্রবল বৃষ্টির ছাট আসছে অনর্গল l সোনালিদি তৎপর l বাচ্চাগুলো ভিজে যাবে যে! একের পর এক টিকিট বেরোচ্ছে l সঙ্গে ফ্রি-এর ওষুধ l মেয়েটা সঙ্গেই ছিল দিনভর l আমার সঙ্গে, শাল্মলী নামের মেয়েটা l শরীরে না হোক, এসএমএসে, জড়িয়ে মড়িয়ে l ‘এত সংবেদনশীলতা নিয়ে বাঁচবি কীকরে সোনা! কষ্ট পাবি রে... জীবনভর...’ আরো বেদনা, আরো বেদনা/ প্রভু দাও মোরে আরো চেতনা/ দ্বার টুটায়ে, বাধা ছুটায়ে, মোরে করো ত্রাণ... চপল তার বাবু অথবা প্রেমিক জমিদারমশায়ের শয্যাশায়ী স্ত্রী গোপাকে আলতো আদরে হাত ধরে নামাচ্ছে খাট থেকে – একসাথে নাচছে তারা – মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ l
    ‘ম্যাডাম রুমাল দেবো? জলের ছাটে চশমাটা বড্ড ভিজে গেছে আপনার!’
    ***

    “Waise bhi… who am I to decide whether they should stay in a box or they should be set free? May be we have to accept these little boxes in the world? And without these lots of boxes we won’t survive?”

    সকলি ছেড়ে গেল, নদী ও নির্ঝর
    নিয়ন ল্যাম্পপোস্ট, পুরনো বাতিঘর,
    আঙিনা, চৌকাঠ, নিভৃত চিলেকোঠা
    সকলি ছেড়ে যায় আমাকে একা ফেলে

    যা কিছু আপনার, এবং আদরের
    প্রনত হতে চেয়ে ঘুরেছি নিঃসীম
    সকলি চলে যায়, শূন্য বিস্ময়

    এই যে এত মেঘ নামছ অবিরাম
    আমাকে নিয়ে যাবে, অনতিদূরে কেউ?
    যেতে তো চাইছিই, অচেনা দুর্গম
    আমাকে শাল্মলী পারলে বুকে নাও

    নিবিড় যন্ত্রণা ছুঁয়েছে অন্তর
    মিলিয়ে যাবে দ্রুত পুরনো বাতিঘর
    নিয়ন ল্যাম্পপোস্ট যেটুকু আলো দেয়,
    সেখানে বসে আছি, অবাক, অসহায়

    ভিন্ন কাম শুধু? ভিন্নপ্রেম নয়?
    সকলি ছেড়ে গেল? সকলি ছেড়ে যায়?
    এভাবে যেতে আছে? এভাবে যেতে হয়?

    ও প্রিয় শালবন এভাবে যেতে নেই
    ও প্রিয় যৌবন একলা যেতে নেই,
    ও প্রিয় শৈশব
    ও প্রিয় সংস্রব
    ও প্রিয় বিপ্লব

    না বলে যেতে নেই

    (ফার্স্ট পার্সন/ ৩০ মে ২০১৩/ সন্ধে আটটা)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩০ মে ২০১৬ | ৯১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বেচামণি | 11.39.39.133 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০১:৩১54749
  • বহুদিন বাদে ঋতুপর্ণর ছবিতে যেমন মায়া জড়ানো থাকে তেমনই পরতে পরতে মায়া জড়ানো একটি বাংলা গদ্য পড়লাম।ধন্যবাদ অবন্তিকা।বড় সাবলীল ও সমকালীন আপনার কলম।শুধু একটাই অনুযোগ।লেখাটা তো আরও একটু যেতেই পারতো।নদীর মতোই।তিরতির।আরও একটু না হয় ছুঁয়েই থাকতো ভাষাটাকে
  • dd | 116.51.24.144 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৫:০৩54750
  • প্রথমেই ঝট করে একবার পড়ে তারপর খুঁটিয়ে খু`টিয়ে আবার পড়লাম।

    ভালো লাগলো। আর অন্তের কবিতাটাও। চমৎকার।
  • Prativa Sarker | 233.191.30.4 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৫:৪৯54751
  • এতগুলো শাল্মলীকে পেলাম বিচ্ছিন্ন অথচ সংযুক্ত স্মৃতিমালায়। বিনি সুতোর মালা তো মালা ই । সব মিলে কিন্তু একটা অনুভব, যার প্রকট অর্থ নেই, জবাবদিহির দায়ও না। এ যেন সত্যি সেই শব্দাবলী যাদের ভাষান্তর হয় না।

    আরো একবার টুপি খুলছি শেষের কবিতাটার জন্য ।
  • কবিতাটা | 132.177.93.1 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৫:৫২54752
  • কার লেখা?

    ছুঁয়ে গেল। শীতল মায়াময় স্পর্শ।
  • san | 11.39.33.89 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৫:৫৩54753
  • ভাল লাগল।
  • Ekak | 53.224.129.58 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৬:১২54754
  • সাত সাত সাত সাত ....বাহ বেশ ।
  • Arpan | 24.195.231.101 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৬:১২54755
  • মায়াময়, পুরনো বাসা আনাচ কানাচ খেলার জায়গা সব ছেড়ে আসার সময় যেরকম অনুভূতি হয়।
  • অবন্তিকা | 11.39.39.236 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৬:৫৬54756
  • অন্য কারো হলে তো কোট আনকোট বা কবির নাম কিছু একটা দিতুম। নাম এবং সময়কাল কবিতারই। বাকি অংশ গত দু'সপ্তাহে আলাদা আলাদা তিনদিনে বসে লেখা। কন্টিনিউইটি ব্রেক করেছে কিনা জানিনা।
  • kc | 198.71.217.245 (*) | ৩১ মে ২০১৬ ০৭:০৬54757
  • লেখাটা সোসো। কবিতাটা খুব সুন্দর। আমার কবিতার খাতায় তুলে রাখলাম।
  • বেচামণি | 11.39.36.27 (*) | ০১ জুন ২০১৬ ০২:২৫54759
  • অন্য মতামতগুলো পড়ে আবার একটু লেখা জরুরী মনে করছি।অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে শেষের কবিতাটা ভালো বাকি টা নয়।বুঝলাম না ঠিক।সবটা মিলিয়েই তো একটা গদ্য।কবিতা ছবির আংশিক সংলাপ নির্মেদ গদ্য সবটা মিলিয়ে তো একটাই লেখা।ওভাবে আলাদা করা যায় নাকি!!একটা নির্মাণ তো সবটা মিলিয়েই সৃষ্টি হয়ে ওঠে।সার্বিক।অবন্তিকার লেখাটি এতই সাবলীল ও সমকালীন নাগরিক অক্ষরে লেখা তাই এই মুগ্ধতা।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ০১ জুন ২০১৬ ০২:৩২54758
  • ফার্স্ট পার্সন মনে থাকবে।
  • sosen | 117.77.89.95 (*) | ০১ জুন ২০১৬ ০৫:২৭54760
  • ভালো লাগল অবন্তিকা।
    মেমোরিজ ইন মার্চ বড়ো প্রিয় এমনিতেই
  • aranya | 154.160.226.91 (*) | ০১ জুন ২০১৬ ০৮:৫৫54761
  • খুব ভাল লাগল।
    বড় দ্রুত দিন কাটে আজকাল, কাটে মাস, বছর ঘুরে যায়, বয়স বাড়ে, স্মৃতি তৈরী হয় না কোন
    এমন লেখা পড়লে মনে হয় সত্যিই যে হারিয়ে গেল প্রিয় কত কিছু
  • d | 144.159.168.72 (*) | ০২ জুন ২০১৬ ০৫:১০54762
  • ভাল লাগল।
  • ranjan roy | 192.69.76.251 (*) | ০২ জুন ২০১৬ ০৬:৪৫54764
  • অবন্তিকার লেখা, বিশেষ করে কবিতাটা অসাধারণ লাগল। এমন সৎ ও আন্তরিক!!
  • অবন্তিকা | 11.39.37.62 (*) | ০২ জুন ২০১৬ ০৭:২২54765
  • কড়ি... থুড়ি... কোবতে দিয়ে কিনলাম। :D
  • কেনারাম/মাগধী প্রাকৃত | 113.250.68.138 (*) | ০২ জুন ২০১৬ ০৯:১৫54763
  • অসাধারণ কবিতা। এর আগে অবন্তিকার গল্পের কাঠামোগত ত্রুটি নিয়ে যেমনটা মনে হয়েছে সোজা সাপটা বলেছি। তবে এ কবিতা দিয়ে কেনারাম নামে এক রগচটা যুবকের হৃদয় অবন্তিকা সত্যি কিনে নিলেন।
  • lokkhichara | 113.24.85.104 (*) | ০৫ জুন ২০১৬ ০৪:৫৩54766
  • ছবি না থাকলে কবি টিকে এত বাহবাই কেউ দিত না---- লা লা লা, রাম পাম পাম।।।তুমি না থাকলে---(অঞ্জন দা মাপ করবেন আশা করি, বাকিদের থেকে আশাও রাখি না :P :D )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন