এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তুমি গান্ধার, তুমিই নিষাদ

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬ | ১৩৬৯ বার পঠিত
  • পরাণপ্রিয়, কেন এলে অবেলায়....
    -------------------------------
    'মনে এক রমণীর বসবাস সকল সময়।
    তাকে ভালোবাসতেই হয়।
    বাইরের সব ভালোবাসা
    তাই ভাসা ভাসা।
    তুমিও যখন এসো ঘরে
    দেয়ালেই শুধু ছায়া পড়ে
    ঘরের ভিতরে তুমি নেই।
    যা বলি তোমাকে,
    বলি সে-রমণীকেই। ' ( সঞ্জয় ভট্টাচার্য)
    প্রতিটি রাগের অন্দরমহলেই হয়তো এক রমণীর বসবাস সকল সময়। হয়তো আমার মনে শুধু তার ছায়া পড়ে, ঘরের ভিতর সে আসেনা। তবুও আমার সকল গান.....
    ---------------------------------
    এখন যেমন পিলু'কে নিয়ে পড়েছি। প্রশ্ন উঠতে পারে এতো এতো কুলীন রাগ থাকতে কেন পিলু? কারণটা হয়তো এই যে এই রাগটির ব্যঞ্জনা আমার মতো লঘুচরিত্র মানুষের মানসিকতার সঙ্গে বেশ মেলে। এর একটা শাস্ত্রবিরোধী চপলতা আছে, যে জন্য এই রাগে কখনও খেয়াল গাওয়া হয়না। সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ রাগ হওয়া সত্ত্বেও এ এক ইতরজনের প্রেয় সুর। এর শরীরী আবেদন প্রচ্ছন্ন থাকেনা। সেরিব্রাল স্থিরতার চাইতে চঞ্চল শৃঙ্গারমুখর আবেগ একে অধিক সার্থক করে তোলে। অওধের নওয়াবরা ঠুমরি নামক শৈলীটিকে বিকশিত করার আগে শাস্ত্রদেবতার দরবারে পিলু ছিলো একেবারে অন্ত্যজ অস্তিত্ব। মজার ব্যাপার হলো অন্য পরে কা কথা, টপ্পাও সম্ভবত পিলু'তে গাওয়া হতোনা। কারণ দেখছি বাংলা নাগরিক গানের যিনি ভগীরথ, সেই নিধুবাবু বহু জনপ্রিয় রাগে টপ্পাসহ নানা ধরনের গান বাঁধা সত্ত্বেও পিলুতে কোনও গান বাঁধেননি।
    ------------------------
    পিলু কাফি ঠাটের অংশ। এই ঠাটের ভীমপলশ্রীর সঙ্গে তার মিল আছে। কিন্তু বেশি মিল আছে আর এক ম্যাজিক রাগ ভৈরবীর সঙ্গে। কোমল গান্ধার, কোমল ধৈবত আর কোমল নিষাদের বিভিন্ন ধরনের মিশ্রণ কীভাবে এক অন্যধরনের মায়া মানুষের কানে সৃষ্টি করে তা নিয়ে বহুকাল ধরেই ভাবছি। এই স্বরগুলির মধ্যে কী কানের ভিতর দিয়া মরমে পশে যাওয়ার কোনও অজানা ফর্মুলা রয়েছে? পণ্ডিতরা হয়তো বলতে পারবেন। কিন্তু যাঁরা শাস্ত্রীয় মার্গের সুরচর্চা থেকে অনেক দূরে, অর্থাৎ ইতরযানী শ্রমজীবী মানুষজন, তাঁদের সঙ্গীতচর্চার মধ্যে পিলুর সুর খুব সহজে জায়গা করে নিয়েছে। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের লোকসুর ও লোকগানের জঁরগুলি, যেমন হোরি, ফাগুয়া, চৈতা বা ভক্তিগীতি ও শৃঙ্গারগীতি, সবারই পিলুভিত্তিক সুরের প্রতি স্পষ্ট আনুগত্য দেখা যায়। পিলু'র সে অর্থে কোনও 'শুদ্ধ' রূপ নেই। তীব্র স্বর বা কোমল স্বর কীভাবে প্রয়োগ করা হবে সে নিয়ে পণ্ডিতেরা বিশেষ লাঠি ঘোরান না। প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো যাই গাওয়া বা বাজানো হোক না কেন, তা'কে শ্রুতিমধুর হতে হবে। আমার মতো ইতরশ্রোতারা তো প্রাথমিকভাবে সঙ্গীতের কাছে তাই চেয়ে থাকেন। তাই বোধ হয় প্রাজ্ঞ শ্রোতার কাছে এই সব রাগের বিশেষ কদর নেই, যেমন পিলু বা ভৈরবী। আমরা আম আদমিরা এই দুটি রাগের সঙ্গে মিলে মিশে জীবন কাটিয়ে দিই। কবি বলছেন, আমাদের জন্ম হয়েছিলো কোনও এক বসন্তের রাতে। সেই বসন্ত, যে ধুলোখেলার নেশায় ধরে রাখে ইতরযানী রুচি, যার বিপুল শারীরবৃত্ত যাপন ঘিরে থাকে সংখ্যালঘু মননবৃত্তের সেরিব্রাল জগৎ। এই দুই স্রোতের মিলনবিন্দুর অভিঘাত চিরকাল মানুষের মনে ভালোবাসার বীজপত্র অঙ্কুরিত করে যায়।
    ----------------------------------
    'বঁধুর কাছে আসার বেলায় গানটি শুধু নিলেম গলায়
    তারি গলার মাল্য করে করবো মূল্যবান....'

    বাঙালিরা যখন গান কম্পোজ করেন, কয়েকটি বিশেষ রাগের প্রতি তাঁদের অধিক পক্ষপাত থাকে। বাংলা নাগরিক গান যাঁর হাতে জন্ম নেয়, সেই নিধুবাবু গানের সুর করার সময় যে রাগগুলির প্রতি অধিক নির্ভরশীল ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও দেখি মোটামুটি সেই সব রাগের ছায়া সুর করার সময় এসে পড়ে। এর মধ্যে প্রথম তালিকায় থাকে, ভৈরবী, খমাজ, বেহাগ, পুরিয়া, য়মন, কানড়া, কাফি। পরের তালিকায় ধরা যেতে পারে পরজ, ললিত, মালকোষ, তোড়ি, হামির, কেদার ইত্যাদি। এই লিস্টিটা রবীন্দ্র-পূর্ববর্তী প্রায় সব বাংলা সুরকারদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, ভক্তিসঙ্গীত বা রঙিন গান, উভয়তঃ। পিলু এসে যুক্ত হয় প্রথম রবীন্দ্রনাথের রচনাতেই। পরবর্তীকালেও এই পক্ষপাতের ধারার ইতরবিশেষ হয়নি। কারণ এই সব রাগাশ্রয়ী সুরগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং যেহেতু মানুষ গানের কাছে প্রথমতঃ আশ্রয় খোঁজার জন্যই আসে, তাই চেনা গাছের ছায়াই অধিক কাম্য।
    -------------------------
    শুধু যে বাঙালি শ্রোতারাই এই সব সুরে স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজে, তা নয়। এটা প্রায় সর্ব ভারতীয় ব্যাপার। শচীনকত্তা ছিলেন ভৈরবীর রাজা, পুত্রের ঝোঁক ছিলো খমাজে। পিলু'কে মাথায় করে রাখতেন ও পি নৈয়র। নৌশাদসাহেবেরও পিলুর প্রতি বেশ পক্ষপাত ছিলো। ও পি নৈয়র ১৯৫৪ সালে ' আরপার' ছবিতে শমশাদ বেগমকে দিয়ে গাইয়ে 'কভি আর কভি পার' গানটি সুপারডুপার হিট করেছিলেন। তার পর থেকে পিলুর উপর তাঁর হয়তো একটা দুর্বলতা জন্মায়। অবশ্য তিনি যে দেশের লোক, অর্থাৎ পঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের লোকগানে পিলুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে, যা হয়তো তাঁর কান'কে শৈশব থেকেই মজিয়েছিলো। তাই পিলুনির্ভর সুর তাঁর গানে ফিরে আসতো। এই নিয়ে কেউ একজন কটাক্ষ করায় তিনি বলেন পিলুর সুরের মধ্যে এতো রকম সম্ভাবনা আছে যে মানুষের সব রকম আবেগ, আকর্ষণ, আশ্লেষকে তা অবলীলায় ধরে রাখতে পারে। সে সময়ই প্রায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ১৯৫৮ সালে বিভূতি মিত্র পরিচালিত 'ফাগুন' ছবিতে আট-ন'টি গানের সব গুলিই পিলু-আশ্রিত সুরে কম্পোজ করেছিলেন। সঙ্গে রাগ বসন্তের কিছু অনুষঙ্গ ছিলো। প্রায় সব গানই হিট হয়েছিলো, কয়েকটি সুপার হিট। সিনেমাটি অকিঞ্চিৎকর, কিন্তু গান গুলি আজও বেঁচে আছে। ' এক পরদেশি মেরা দিল লে গয়া', 'সুন জা পুকার', 'পিয়া পিয়া ন লাগে মোরা জিয়া', ইত্যাদি। সেই থেকে যে ট্র্যাডিশন শুরু হয়েছে আল্লা রাখা রহমান পর্যন্ত তার জয়যাত্রা অক্ষুণ্ণ।
    ----------------------------------
    আমাদের চিরকালীন শাস্ত্রীয় ও উপশাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে প্রাচীনতম রেকর্ড পাচ্ছি ১৯০৮ সালে গাওয়া অচ্ছনবাইয়ের পিলু। তার পর কে নেই সেই তালিকায়? সুরের ঈশ্বরকোটী আবদুল করিম, বড়ে গুলাম, ভীমসেন ছাড়া ইন্দুবালা, সিদ্ধেশ্বরী দেবী, রসুলন বাই, বেগম আখতার, রোশনারা বেগম, প্রভা আত্রে, গিরিজা দেবী, শিপ্রা বসু এবং অজয় চক্রবর্তী সব্বাই আছেন। এতো গেলো কণ্ঠসঙ্গীতে। বাল্যকালে আমার প্রথম শোনা রাগ পিলু পণ্ডিত রবিশংকরের সেতারে, মিশ্র পিলু, সঙ্গে আল্লারাখা, চব্বিশ মিনিটের বাজনা, এই রাগটির সঙ্গে আমাকে চিরকালের জন্য বেঁধে ফেলে। পরে শুনি তাঁর আগে বাজানো দশ মিনিটের পিলু ঠুমরির রেকর্ডটি, সঙ্গতে চতুরলাল। আরো পরে অনুষ্কার সঙ্গে রঙ্গিলা পিলু। কিন্তু একটি স্মৃতিচারণে তিনি বলেছিলেন ইয়েহুদি মেনুহিনকে সম্মত করে তাঁর সঙ্গে যুগলবন্দির রেকর্ডটিই তাঁর বিশ্বজয়ের প্রথম সোপান। এখানেও রাগটি ছিলো পিলু। তাঁর গুরুভাই নিখিল বন্দোপাধ্যায় এবং অপরজন অফতাব-এ-সিতার বিলায়ত খান সাহেব বড়ো করে বাজিয়ে রাগ পিলু রেকর্ড করেছিলেন। এই বাজনাগুলি শুনলে বোঝা যায় এই সব গুরুরা তথাকথিত অল্পপ্রাণ পিলু রাগের মধ্যে কী সম্ভাবনা আবিষ্কার করেছিলেন। এছাড়া আমার চিরকালের প্রিয় পিলুর উপস্থাপনার লিস্টিতে আছেন পণ্ডিত বুধাদিত্য, পণ্ডিত শিবকুমার, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ, উস্তাদ শাহিদ পরভেজ, উস্তাদ রইস খান, উস্তাদ আসিফ আলি খান, পণ্ডিত ব্রিজ ভূষন কাবড়া এবং সরোদের দুই দেবতা উস্তাদ আলি আকবর ও উস্তাদ আমজাদ আলি।
    -----------------------------------------
    চিরকালের জন্য কোনও নির্জন দ্বীপে নির্বাসিত হলে উস্তাদ বড়ে গুলামের 'সঁইয়া বোলো তনিক মোহে রহিও ন জায়' অবশ্য সঙ্গে যাবে, তৎসহ তাঁর ঘরের আরেক দুর্লভ সঙ্গীত প্রতিভা গুলাম আলি সাহেবের গাওয়া সেই একই গান অন্য মেজাজে, তাও যাবে।
    ------------------------------
    মানুষের আত্মা মানে কি তার ভিতরে নিরন্তর বেজে যাওয়া সুরের স্বরলিপি? সব শেষের যাত্রায় যাবার গান বেঁধেছিলেন আমাদের গুরু।
    "পার হবো কি নাই হবো তার খবর কে রাখে,
    দূরের হাওয়া ডাক দিলো এই সুরের পাগলাকে...."
    ছাই হয়ে আবার মাটিতে মিলিয়ে যাবার আগে আমাদের ভিতরের গানগুলি আবার চরাচরের কাছে ফিরে যায়। সেটাই কি পুনর্জন্ম?
    ---------------------------------
    অগণ্য, অসংখ্য পিলুর জাদু বিভিন্ন দৈবী জাদুকরদের শিল্পকাজ থেকে কয়েকটির লিং এখানে রাখছি । নিতান্ত অগোছালো, অবিন্যস্ত লিস্টি।।। কিন্তু কখন নির্জনে আমাদের এই কাদামাটির পৃথিবী থেকে তুলে একটু উপরে ধরে রাখে কিছুক্ষণ। স্বর্গ আর কোথায় থাকতে পারে?
    হমীনস্ত, হমীনস্ত....
    ------------------------------------

    উস্তাদ বড়ে ঘুলাম আলি খানঃ


    পণ্ডিত রবিশংকরঃ

    উস্তাদ আলি আকবর খানঃ

    পণ্ডিত ভীমসেন জোশিঃ

    ইন্দুবালাঃ

    পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ

    পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়াঃ

    রসুলন বাইঃ

    কৌশিকী চক্রবর্তীঃ

    উস্তাদ বিলায়ত খানঃ

    পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়ঃ

    উস্তাদ রইস খানঃ

    উস্তাদ ঘুলাম আলিঃ

    শিপ্রা বসুঃ


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ এপ্রিল ২০১৬ | ১৩৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | 113.193.57.40 (*) | ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:২২53052
  • এঁরাও থাকুন কয়েকজন....,
    ---------------------------
    পিয়া ভোলো অভিমান ( বেগম আখতার)


    আমার শ্যামপাখি মনফাঁদে (রামকুমার চট্টোপাধ্যায়)


    পরাণপ্রিয়, কেন এলে অবেলায় (সুকুমার মিত্র)

    -------------
    চন্দন কা পলনা, রেশম কি ডোরি


    অবকে বরস ভেজো
    https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=f8Lp2A9ErAc

    ঢুঁড়ো ঢুঁড়ো রে সাজনা


    যাইয়ে আপ কঁহা জায়েঙ্গে


    কভি আর, কভি পার


    নদীয়াঁ কিনারে হেরাই


    পিয়া পিয়া ন লাগে মোরা জিয়া
    https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=3A6AH6Pw-hU

    সুরমাই অঁখিয়োঁ মেঁ
    https://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=V5qMS-K8eYY
  • ঈশান | 214.54.36.245 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১০53054
  • আহা। কেউ লিং না দিলে বড়ে গুলাম আলি আর শোনা হয়না। সভ্যতার অভিশাপ আর কি। আগে লোকে কষ্ট করে ক্যাসেট কিনে চালিয়ে বাড়িতে এমনিই শুনত। রিওয়াইন্ড ফরোয়ার্ড করে করে। এখন চাদ্দিকে ইউটিউব থইথই করছে, হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। তবু শোনা হয়না। বেদনা খুঁচিয়ে তোলার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম। :-)
  • quark | 24.139.199.12 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৪৮53053
  • বেশ লাগলো! নতুন কিছু বলার ক্ষ্যামতা নেই, লিস্টে একটা যোগ দিয়ে যাই

  • ranjan roy | 24.96.120.205 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৬ ০২:০৬53055
  • হমীনস্ত্‌! হমীনস্ত্‌! ওয়া হমীনস্ত্‌!

    বুধাদিত্য দিয়ে শোনা শুরু করলাম। প্রথম যৌবনে ওর বাড়িতে সামনে বসে সুরবাহারে শোনা স্মৃতি ফিরে এল।

    সারাদিন এই লিংগুলো নিয়েই কেটে যাবে।

    শিবাংশু,
    কবে রিটায়ার করে কোলকাতায় স্থায়ী ভাবে আসছেন? অপেক্ষায় আছি।
  • শিবাংশু | 127.197.253.229 (*) | ০১ মে ২০১৬ ০৫:৪০53056
  • quark, ঈশান, রঞ্জন,

    অনেক ধন্যবাদ।

    ঈশান ঠিকই বলেছেন। আয়োজনের প্রাচুর্যে আবেগের স্রোত শুকিয়ে যায়। প্রথম যখন চাকরিতে ঢুকি, একটা এলপি রেকর্ড কিনতে বেতনের শতকরা দশভাগ চলে যেতো প্রতি মাসে। কিন্তু সে 'বিলাসিতা'কে বাহুল্যবোধ করিনি কখনও। একমাসে ভীমসেন কিনে পরের মাসের দিকে তাকিয়ে থাকতুম জর্জদার নতুন এলপিটা কতোক্ষণে তুলে আনতে পারবো। এখন সব কিছুই এতো সুলভ, তবু সময় দিতে পারাটা বিলাসিতা হয়ে গেছে।

    রঞ্জন,
    আমিও অপেক্ষা করছি। যে সব সুসময়ের অপেক্ষায় আমাদের দিন যায়, কথা বেড়ে ওঠে।
  • pi | 192.66.21.89 (*) | ০২ মে ২০১৬ ০৬:০৫53057
  • জমিয়ে রেখেছি।

    আর এই যোগানের প্রাচুর্যের যুগে শোনার অভ্যেস চলে যাওয়া খুব সত্যি, থেকে থেকেই মনে হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন