এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মনে করি আসাম যাবো জোরা পাঙ্খা টঙাইবো

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৪৩১৩ বার পঠিত
  • আসাম তার চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জি প্রকাশ করেছে। জায়গা হয়নি ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের। বাদ পড়ারা আবেদন করতে পারবে। অনেকের কাছেই এই তালিকা বিস্ময় হিসেবে এসেছে। সংখ্যা এত কমে যাবে ভাবেনি খোদ বিজেপি সরকার। তার ওপরে এই উনিশ লাখের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা বেশি। এতে আরও ক্ষিপ্ত বিজেপির নেতারা। যেই আওয়াজ তুলে এত ঘটা করে এই নাগরিক তালিকা করা হল তা পুরোটাই ভেস্তে যেতে বসেছে। রাজ্যের গণপূর্ত, স্বাস্থ্য ও অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রীতিমত হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই তালিকা নিয়ে। বাংলাদেশী মুসলিম তাড়ানোর যে পরিকল্পনা ছিল তাদের তাতে বেশ বড় রকমের বাধাই পড়ে গেল বলা চলে, অন্তত তাদের দৃষ্টিতে।

    আমি সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত না। উনিশ লাখের পড়ে যে ছয় হাজার আছে শুধু ওই ছয় হাজারো যদি ভিটে হারায় কিংবা তারপরে যে ছয়শ সাতান্ন জন আছে সে ছয়শ সাতান্ন জন মানুষও যদি এই আজগুবি পরিকল্পনার বলি হয় তাহলেও তা অমানবিক হবে, জঘন্য অপরাধ হবে। আসাম বাংলাদেশীরা গিয়ে সব বসে আছে, প্রথম প্রথম শুনছিলাম এক কোটি বাংলাদেশী আসামে থাকে। মাথা চুলকাই, মাথা ঘামাই, ঘাম পড়ে কিন্তু হিসেব মিলে না। এত বাংলাদেশী ভারতের এত রাজ্য থাকতে আসামে গিয়ে কী করে? কোন অদ্ভুত কারনে আসাম রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মনে হয়েছে প্রচুর বাংলাদেশী আসামে আসন গেড়ে বসেছে, সমস্ত আয় রোজগার ছিনিয়ে নিচ্ছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষ দেখে অনুমান করছে? বোধ করছি “চল মিনি আসাম যাবো” বলে যে লোক সঙ্গীত আছে তা শুনে উনারা এমন ভেবে নিয়েছেন। না হলে তো আর কারন দেখি না।

    সে যে কারনেই হোক। তিনারা বলেছেন অবৈধ বাংলাদেশিদের তাড়াবেন। আবার আশেপাশের রাষ্ট্রে হিন্দু নির্যাতিত হলে ভারত সরকার তথা বিজেপি সরকার তাদের কে আশ্রয় দিবেন। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে? তিনারা আসলে মুসলিম তাড়াতে চাচ্ছেন। মুসলিম তাড়ানোর এই পরিকল্পনায় বাদ পড়াদের মধ্যে হিন্দু নাম বেশি! কী একটা অবস্থা! সে যাই হোক, বাংলাদেশকে নিশ্চিত থাকতে বলেছেন ভারতীয় সরকার। এই তো কয়েকদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় এসে বলে গেলেন এই নাগরিক পঞ্জি টঞ্জি যেটাই হোক তা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর আগেও বহুবার এই সুরে গান গেয়ে গেছেন তারা। আমরা আছি এমন এক জায়গায় এই সুরের তালে মাথা দোলান ছাড়া বিশেষ কিছু করতেও পারছি না। আমাদের তরফ থেকে এখন একমাত্র চিন্তা বা দুশ্চিন্তা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কতজন টিকে আর তাদের নিয়ে ভারত সরকার কী করে? অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে, ভারত কাউকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিবে না বলে যে আশ্বাস দিচ্ছে তাতে আমরা আশ্বস্ত হয়ে বসে থাকব? না হয়েই বা কই যাব? আমরা আশ্বস্ত হতে পারি কই? ঘর পোড়া গরু আমরা। মায়ানমার সমস্যা শুরুর সময়ও নানা আওয়াজ পেয়েছি আমরা। এইটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে চুপ করে ছিলাম আমরা। সরকার পর্যন্ত এই ছেলে ভোলান বুঝ বুঝে চুপ করে থেকেছিল। ফলাফল? এখন ঘাড়ে দশ লাখের ওপরে রোহিঙ্গা! আমরা এখন সিঁদুর দেখে যে ভয় পাব তা আর আশ্চর্য কী? যদিও বাংলাদেশ সরকার এবারও একই সুরে তাল ধরে আছে, অন্তত সামনে তাই মনে হচ্ছে। ভিতরে ভিতরে কিছু করছে কী? আল্লাই জানে! কিছু করার কতদূর সম্ভাবনা আছে কে জানে। ভারত আজকে বলছে এদের ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখবে। কিন্তু কিছুদিন পড়ে ঈদ উপহার বলে যদি কিছু ঠেলে দেয় এদিকে আমাদের কী করার থাকতে পারে? মোদীর ভাইয়ের তো লক্ষণ ভাল না, এই উপহারের ধাক্কা সামলাতে পারব আমরা? সব না দিয়ে কিছুই যদি দেয়? বলল কিছু অন্তত নেন আফা! নোবেল পুরস্কারটাও এখনো দিল না, কে জানে তখন কী করে বসে আমাদের সরকার!

    তাদের আশ্বাসে যে বিশ্বাস করব কোন যুক্তিতে? আজকেই খবরে দেখলাম যেই মন্ত্রী এই তালিকায় বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বলেছেন তিনি আবার বলছেন বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করে অবৈধ নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হবে। তিনি বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তাই শেষ কথা নয়। দারুণ না? আমার ফসলেই তো আমার তরী ডুবে যাচ্ছে, আর কাকে তুলব এখানে? ভারতের সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভাল থাকা সত্ত্বেও কী আমরা এরপরেও আশা করব আমাদের চিন্তার কিছু নাই? এত বড় দেশ ভারত, কতভাবে তার ওপরে নির্ভরশীল আমরা। লক্ষ্মী সোনা বলে কত কীই তো ধরায় দিচ্ছে ভারত আমাদের। এবারও আদর করে কিছু ঠেলে দিলে কী করব? খুব করে অভিমান করা ছাড়া তো আর কিছুই করার থাকবে না আমাদের।

    আমাদের বাঁচার রাস্তা হচ্ছে ভারতীয় জনগণ। ভারতের সুস্থ ভাবে চিন্তা করতে পারে যারা সেই সমস্ত মানুষ। যারা বলবে এটা অন্যায়, যারা বলবে এটা ভারতের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। যারা বলবে দিন দিন হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর যে পথে ভারত হাঁটছে তা ভারতের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না। যারা শক্ত করে বলবে আসামের পড়ে প্রতিটা রাজ্যে যদি এমন জনগণনা শুরু হয় তাহলে দেশে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে তা ভারতবর্ষের জন্য অশনি সংকেত নিয়ে আসবে। বাংলাদেশকে এই পরিস্থিতিতে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে সেই সমস্ত মানুষের জোরাল অবস্থান দরকার এখন। যদি ভারত সরকার জোর করে মেহমান পাঠিয়ে দিতে চায় তাহলে আমরা কূটনীতিক ভাবে, শক্তিতে, অর্থে কোন দিক দিয়েই এই অযাচিত মেহমানদের আসা ফেরাতে পারব না। ভারতীয় জনগণের শুভ বুদ্ধি, প্রবল প্রতিবাদ যদি এমন কাজ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে নচেৎ আমি অন্তত অন্য কোন রাস্তা দেখি না আর।

    বাস্তু ভিটা হারানোর দুঃখ রেডক্লিফ জানে না, নেহেরু জিন্না জানে না। হুট করে একদিন নিজের বাসভূমি হারিয়ে ফেলার অনুভূতি জানে না আরামে গদিতে আসন গেড়ে বসা এখনকার নেতারাও। তারা রাজনীতি বোঝে, ক্ষমতা বোঝে, ভূমিপুত্র থেকে নিমিষে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বুঝে না। ওই কষ্ট বোঝা সম্ভব না তাদের পক্ষে। আর তাই ইচ্ছা মত নিজেদের খেয়াল খুশি মত মানুষের ভাগ্য নিয়ে নাড়াচাড়া করে। এদের খেয়ালে ভাতের অভাবে, মনুষ্য খাদ্যের অভাবে ঘাস লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হয় তাদের যারা একদিন সুস্থ সুখী সুন্দর জীবন যাপন করত। আমরাও জানি না আসলে ওই কষ্টের কথা। আরামে বসে থেকে বলতেই পারি এমন কথা। কিন্তু আমরাও প্রথমে তাদের কথা ভাবিনি, এতগুলা মানুষ ভিটে হারা হচ্ছে, তারা এখন কই যাবে? কী করবে? শেষ পর্যন্ত কী আছে তাদের ভাগ্যে এগুলা পড়ে ভাবছি আমরা। প্রথমেই আমরা ভাবছি তোমরা যা ইচ্ছা তাই কর দাদারা, কই রাখবা তাদের রাখ তোমরা, শুধু আমাদের দিকে ঠেলে দিও না। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম গুলোও একই রকম করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। সবারই যত না ভিটে হারানো মানুষদের জন্য চিন্তা তার চেয়ে বেশি চিন্তা আমাদের দিকে ঠেলে দিবে না তো? আমরা অসহায় আসলে, এই ভাবে চিন্তা করার জন্য লজ্জিত কিন্তু সত্য হচ্ছে একজন বাংলাদেশী হিসেবে অন্য চিন্তা প্রথমে করার সত্যই মনে হয় সুযোগ নাই।

    মানুষের জয় হোক, মানবতার জয় হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৪৩১৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.676712.124 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৩47745
  • লেখাটি কিছুটা এলোমেলো ও দুর্বল বলে মনে হলো, সরি।

    "... বোধ করছি “চল মিনি আসাম যাবো” বলে যে লোক সঙ্গীত আছে তা শুনে... "

    মোটেই এটি লোক সংগীত নয়, আদিবাসী গান, ব্রিটিশ আমলে ক্রিতদাস হিসেবে আসামে চা শ্রমিক হিসেবে আদিবাসীদের নিয়োগের দুঃখগাঁথা বিব্রত হয়েছে এই গানে। এর সাথে আসামে বাংগালী বসতি স্থাপন বা নাগরিকপঞ্জির কোনো সম্পর্ক নাই।

    তবে নাগরিকপঞ্জির লক্ষ্য বাংলাদেশকে চাপে রাখা, উপলক্ষ "বিদেশি" চিহ্নিত করে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে ভোটের বাজার নিশ্চিত করা, এই প্রচ্ছন্ন ভাবনার সাথে একমত।
  • বিপ্লব রহমান | 237812.69.563412.123 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৪47746
  • পুনশ্চঃ শিরোনামে দুটি শব্দের বানান ভুল খুব দৃষ্টিকটু। এসব একজন লেখকের লেখার মানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    এসব অতিলেখন বা আপ্ত ভাবনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি না, ভেবে দেখবেন, বিনীত অনুরোধ রইল। শুভ
  • বিপ্লব রহমান | 237812.69.563412.123 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৭47749
  • r2h,

    আপনার মন্তব্যে দুই নোক্তা। প্রথমত, "আদিবাসী গানের লোকসংগীত হতে কোন বাধা আছে কি?"

    বুঝতে ভুল হলো কী? অথবা বোঝাতে।

    "চল মিনি আসাম যাব" গানটি দোতরা ও গিটারে প্রচুর গাওয়া হচ্ছে, সে অর্থে এই গানের বাউল রূপ বা লোক সংগীত হতে কিছু বাধা আছে বৈকি।

    আগেই যেমন বলেছি, "ব্রিটিশ আমলে ক্রিতদাস হিসেবে আসামে চা শ্রমিক হিসেবে আদিবাসীদের নিয়োগের দুঃখগাঁথা বিবৃত হয়েছে এই গানে। এর সাথে আসামে বাংগালী বসতি স্থাপন বা নাগরিকপঞ্জির কোনো সম্পর্ক নাই।"

    কাজেই একে অন্য কোনো গান বলে চালিয়ে দিলে আসামের চা বাগান ও আদিবাসী চা শ্রমিক নির্যাতনকেই ভূলিয়ে দেওয়া হয়। চা শ্রমিককে অভিবাসী (সেটেলার) বলাটাও বোধহয় আরেক বিভ্রান্তি।

    কল্লোল দা'র লেখার লিংক পাওয়া যাবে?

    দ্বিতীয়ত,

    "ভারত কি চাইলেই বাংলাদেশকে বাধ্য করতে পারে এই মানুষদের আশ্রয় দিতে?"

    মোড়লিপনায় বা রাজকূটে অবশ্যই পারে, আইনত বা যুক্তিতে নয়।

    বিতর্কের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.676712.252 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০৪47747
  • *সংশোধনী (প্রথম মন্তব্য) ঃ বিব্রত = বিবৃত হবে, টাইপো
  • r2h | 237812.69.453412.176 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:১৩47750
  • মূল আলোচনা থেকে ডাইগ্রেস করতে চাইনা, তবু, কল্লোলদা (বা/ এবং অন্যরা) কিছু বলবে? চল মিনি লোকসংগীতের পর্যায়ে পড়তে পারে না কিনা সেইটা নিয়ে।

    দ্বিতীয়টা, হ্যাঁ, মোড়লপনা থেকে চাইতে পারে, কিন্তু এই বিষয়ে কোন আন্তর্জাতিক আইন নেই? দুটো সার্বভৌম দেশে, একজনের কব্জির জোর থাকলেই এরকম হতে পারে?
  • r2h | 236712.158.455612.192 (*) | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৩47748
  • আদিবাসী গানের লোকসংগীত হতে কোন বাধা আছে কি?

    আর,
    'চল মিনি আসাম যাবো
    দেসে বড় দুখ রে
    আসাম দেসে রে মিনি
    চা বাগান ভরিয়া'
    -এটা সেটলারদের গান নয়?

    এই গানটার ইতিহাস ভূগোল নিয়ে কল্লোলদা লিখেছিল অন্যত্র।

    প্রসঙ্গান্তরে, ভারত কি চাইলেই বাংলাদেশকে বাধ্য করতে পারে এই মানুষদের আশ্রয় দিতে?
    (এটা জানতে চাইছি, ধারনা নেই।)
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | 237812.68.454512.144 (*) | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৫১47751
  • বিপ্লব ভাই, বানান ভুলের তো কোন ক্ষমা নাই, কাজেই মাথা পেতে নিতেই হবে। তবে সব দোষ এডিট করার ব্যবস্থা না থাকা। পোস্ট হয়ে গেল তো গেল! শিরোনামে ভুল যখন খেয়াল করেছি তখন কাম শেষ।
    চল মিনি আসাম যাব কথাটা কোন প্রেক্ষিতে বলছি তা একটু বোঝার চেষ্টা করে দেখবেন। আমি ইয়ার্কির ছলেই বলছি যে এই গান শুনে হয়ত তারা ভাবছে সবাই আসাম গিয়ে বসে আছে। না হলে কীভাবে ধারনা হয় এত বাংলাদেশী আসাম গিয়ে বসে আছে! শিরোনাম অন্য কিছু হলেই হয়ত ভাল হত। কিন্তু আমি আমিই, অত চিন্তা করে কোনদিন কিছু লিখি নাই।
    তারপরের কথা হচ্ছে এই গান লোকসঙ্গীত হতে পারবে না বলে যে যুক্তি দিলেন তা কতখানি যুক্তিযুক্ত? কোন লোকসঙ্গীতটা এখন গিটার দিয়ে বাজান হচ্ছে না? গিটার দিয়ে বাজালেই লোকসঙ্গীতের মান চলে যায়? আর লোকসঙ্গীত থাকে না! ভেবে দেখবেন।

    r2h, ভাই আন্তর্জাতিক আইন দিয়েই যদি সব হত তাহলে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে কয়দিন পর পর লাশ পড়ত না। তাহলে আমরা পানির জন্য চিৎকার করতাম না, কোন আইনে এগুলা করে ভারত সরকার? কোন আইনে উজানে বাঁধ দিতে পারে? কোন আইনে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে এসে উঠেছে? আপনি লিখে রাখতে পারেন, যদি ভারত চায় তাহলে কোন শক্তিই ফেরাতে পারবে না এই পুশ ব্যাক। এবং আমি যেটা লিখেছি তাই বিশ্বাস করি, আপনাদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিবাদ, প্রবল জনমতই পারে এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
  • বিপ্লব রহমান | 236712.158.676712.56 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৭47752
  • "চল মিনি আসাম যাব কথাটা কোন প্রেক্ষিতে বলছি তা একটু বোঝার চেষ্টা করে দেখবেন। আমি ইয়ার্কির ছলেই বলছি যে এই গান শুনে হয়ত তারা ভাবছে সবাই আসাম গিয়ে বসে আছে। না হলে কীভাবে ধারনা হয় এত বাংলাদেশী আসাম গিয়ে বসে আছে!"

    ভাইজান, একটি সিরিয়াস প্রসংগে এই গানের ভুল ব্যবহার খুবই অপ্রসংগ, আগরতলার সাথে চৌকির তলার মিল যেন। ইয়ার্কি কি সবখানে চলে?

    তাছাড়া একটি ক্রিতদাস আদিবাসী গোষ্ঠীর নির্মম ইতিহাসের গান "লোক সংগীত" কি না, এই এঁড়েতর্ক বহুত হইছে। আপাতত এই প্রসংগে ইস্তফা দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন