এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তোমাকে ভাবাবোই ভাবাবো

    অবন্তিকা পাল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ নভেম্বর ২০১৩ | ৭৫২ বার পঠিত
  • ব্যাপারটা প্রথম চোখে পড়েছিল খবর কাগজের পাতাতেই। “সরকারি হাসপাতালে কাজ করা নার্সদের পোশাকের পরিবর্তন ঘটতে চলেছে এ রাজ্যে। নার্সিং-গাউন পরা অবস্থায় নার্সদের দেখা যাবে না। এবার নার্সদের শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরে ডিউটি করতে দেখা যাবে।“
    উদ্যোগ প্রশংসনীয়? নিঃসন্দেহ নই। ঠিক এইরকম এক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছিল বেশ কয়েক বছর আগে, শিক্ষিকাদের সালোয়ার কামিজ পরা নিয়ে। পুনরাবৃত্তি সেই একই ঘটনার, এবার, কিছুটা প্রগতিশীলতার মোড়কে।

    যেমনটা ঘটে থাকে:

    আমাদের রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীবিভাজন মূলতঃ এইভাবে করা যায়-
    ১. মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল- ১২টি এম.বি.বি.এস-এর, ২টি আয়ুর্বেদের, ১টি ইউনানির, ও ৫টি হোমিওপ্যাথির
    ২. কিছু স্পেশলাইজড হাসপাতাল- যেমন ক্যান্সার, নিউরোসার্জারি ইত্যাদি
    ৩. প্রতিটা জেলায় একখানা করে জেলা সদর হাসপাতাল
    ৪. তার অধীনে মহকুমা বা সাব-ডিভিশনাল হাসপাতাল
    ৫. শহর ও গ্রাম ভেদে তার নিচে পুরসভা হাসপাতাল এবং গ্রামীণ হাসপাতাল
    ৬. গ্রামীণ স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত ব্লক হাসপাতাল, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও পঞ্চায়েত চিকিৎসা কেন্দ্র

    এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে যেসব নার্সরা পরিসেবা দিয়ে থাকেন তারা সরকারি কর্মচারী হিসেবে গণ্য হন। এদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি রাজ্য সরকারের কর্মী, কেউ আবার জাতীয় গ্রামীণ সাস্থ্য প্রকল্পের অধীনস্থ। পোশাকবিধির পরিবর্তন ঘটলে এরা সকলেই তার অন্তর্ভুক্ত হবেন। ২০১১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী পশ্চিমবাংলার জনসংখ্যা ৯ কোটি ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৩৬, যাদের মধ্যে শতকরা নব্বই শতাংশ মানুষ চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি প্রতিষ্ঠান অভিমুখী হন। তারা কেউই বোধ হয় অনবগত নন যে, খাস কোলকাতার বুকে গড়ে ওঠা হাসপাতালগুলো ছাড়া প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানেই সেবিকারা প্রধানত সাদা, আর ফিল্ডে কাজ করা ‘সিস্টার দিদিরা’ নীল, সবুজ, গোলাপি বা হলুদ শাড়ি পরিহিতা। ডাক্তারদের তুলনায় রোগিনী বা রোগীর অনেক কাছাকাছি পৌঁছতে হয় এইসব সেবিকাদের, সান্নিধ্যে থাকতে হয় অনেকটা বেশি সময়, দিন বা রাতের তোয়াক্কা না করে। রাতের প্রশ্ন আলাদা করে উঠল কেন? উঠল নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, কারণ বহু গ্রামীণ হাসপাতালেই সূর্যাস্তের পর কোনো সিকিউরিটি গার্ড থাকে না। সুতরাং আত্ম-রক্ষার তাগিদে নার্সরা শাড়িতে স্বচ্ছন্দ্য হন। এ অনেকটা সেই মা-ঠাকুমাদের ‘জোরে কথা বলতে নেই, বড় হলে দৌড়তে নেই’ আপ্তবাক্য মেনে চলার মতো। উপরন্তু গাউন একটি পশ্চিমি পোশাক, যেটায় অধিকাংশ মধ্যচিত্ত বাঙালি পরিবার এখনো সড়গড় নয়। তাই ইন্টার্ণশিপ শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশের সাথে সাথে নার্সরা তাঁদের অনভ্যাসের বল্কল দ্রুত ঝেড়ে ফেলে ফিরে আসেন সেই বারো হাত বস্ত্রখন্ডে, যার জাতীয় নাম, শাড়ি।

    যেমনটা বলা আছে:

    ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ট্রেনী নার্সদের ইউনিফর্ম হবে স্কার্ট-ব্লাউজ বা গাউন। শ্রেণী অনুযায়ী পাল্টাতে পারে তাঁদের কোমরবন্ধনীর রং। আর কর্তব্যরত রেজিস্টার্ড নার্সরা পরতে পারেন শাড়ি অথবা গাউন, সঙ্গে বেল্ট বা অ্যাপ্রন, পছন্দ অনুযায়ী। এগুলো প্রযোজ্য হাসপাতালে কাজ করা নার্সদের জন্য। যাঁরা ফিল্ডে কাজ করেন, পদ অনুসারে বদলে যায় তাঁদের শাড়ির রং- এঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু গাউন নৈব নৈব চ।

    শ্লীল-অশ্লীল:

    আচ্ছা, শ্লীলতা-অশ্লীলতাকে সংজ্ঞায়িত করে কে? কোন নিরিখে? কে ঠিক করে গোড়ালিঝুল শাড়ি রুচিশীল পোশাক আর হাঁটুঝুল গাউন রুচিশীলতার পরিপন্থী? আমরা সকলেই তো নিজের সামাজিকতা, নিজের অভ্যাস, নিজের সংস্কৃতি, নিজের বেড়ে ওঠার সাপেক্ষে ও স্বপক্ষে যুক্তি সাজাই! আর স্বাচ্ছন্দ্য? সেও তো নিজের নিজের! তাহলে শ্লীল পোশাক কি সেটাই, যা বিপরীত লিঙ্গের যৌনতার উদ্রেক ঘটায় না, বা সরলীকরণ করে বলা যায়, যৌনাঙ্গে সুড়সুড়ি দেয় না? কিন্তু সেটাও তো ব্যক্তি নির্ভর! তরুণ নাট্যকার বন্ধু কোনো এক সালোয়ার কামিজ পরিহিতা মহিলাকে দেখে কটুমন্তব্য করেন, কেননা তার পোশাকটি বৃষ্টিতে ভিজে লেপ্টে ছিল গায়ে! আর চল্লিশোর্ধ বন্ধু সাংবাদিক মনে করেন শাড়িই নাকি পৃথিবীর সেরা যৌন পোশাক! অতএব? শ্লীল-অশ্লীল নির্ধারণ করবে কে? কোন নিরিখে? ১৮৩৫ সালে স্থাপিত মেডিকেল কলেজের নার্সরা পশ্চিমি পোশাক ‘গাউনে’ সজ্জিত হয়েছিলেন। সেটা ছিল ইংরেজ আমল। পোশাক পরিবর্তনের উদ্দেশ্য যদি ভারতীয় ঐতিহ্যের ধারা বহন হয়, তাহলে তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এই পরিবর্তন যদি ব্যক্তি স্বাচ্ছন্দ্যকে বিঘ্নিত করে, তবে তার তীব্র নিন্দা করি। একবিংশ শতাব্দীর কোনো আধুনিকা নার্স গাউনে নিজেকে মানানসই করে তুলতেই পারেন, হতেই পারে ব্যস্ততা বা দ্রুততার সময়ে, কিম্বা অপরেশন থিয়েটারে, ওড়না অথবা আঁচল সামলানোর চেয়ে প্যান্ট-শার্ট পরাকেই তিনি মনে করেন যুক্তিযুক্ত। তাহলে কি স্ট্যানডার্ডাইজেশন ব্যাপারটাই তুলে দেয়া উচিত? যদি মহিলা ডাক্তারদের ক্ষেত্রে পোশাকের খাঁড়া না ঝোলে, তবে নার্সদের ওপর এ অত্যাচার কেন? চিন্হিতকরণ, যে উনি সেবিকা, উনি মহিলা ডাক্তারের চেয়ে কিঞ্চিত পিছিয়ে থাকা? নাকি সেই নিরাপত্তাই উদ্দেশ্য, যাতে কোনো পুরুষ রোগী বা তার কোনো পুরুষ আত্মীয়, অথবা হাসপাতালের কোনো পুরুষ কর্মী পোশাক দেখে তার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস না পায়? বলুন তো, কটা গ্রামীণ হাসপাতালে সেবিকাদের জন্য পোশাক বদলানোর আলাদা ঘর আছে? কোনো একটা পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত ঘরে, এমনকি কোথাও কোথাও ডিউটিরুমের দরজা বন্ধ করেও সেবিকারা পোশাক বদলাতে বাধ্য হন। কেননা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ শুনতে অভ্যস্ত ছিলেন না, আজও নন বোধ হয়। তাই নির্দেশ আসে, কোনভাবে ম্যানেজ করে নেওয়ার। যেমনটা অরুণা করত, অরুণা শানবাগ, অধুনা মুম্বইয়ের এক মিউনিসিপালিটি হসপিটালের ট্রেনী নার্স। প্রতিদিন পোশাক খুলতে আর পরতে তাকে যেতে হত বেসমেন্টের ডগ-সার্জারির ঘরে আর এভাবেই কোনো একদিন ছোট্ট মেয়ে অরুণাকে ধর্ষণ করে সেই হাসপাতালেরই এক নিম্নপদস্থ কর্মী শোহনলাল বাল্মিকী। সময়টা ১৯৭৩। প্রসঙ্গত বলি, অরুণার ইউনিফর্ম ছিল শাড়ি।

    পরিবর্তন-পরিমার্জন:

    “The first problem for all of us, men and women, is not to learn, but to unlearn.”
    যে সমাজে এই ভিতটাই এখনো মজবুত নয় সেখানে পোশাকের ওপর ফরমান জারি করে নারীর নিরাপত্তা দেওয়া কতটা সম্ভব? আজ থেকে দশ বছর আগে একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বেসরকারি সংস্থার একদল কর্মী আসেন সেক্স এডুকেশন দিতে। ছাত্রীদের বাবা মায়ের কাছে নোটিস পৌঁছনোর পর বেশকিছু অভিভাবক এসে জানিয়ে যান, তাঁদের মেয়েরা ওইদিন স্কুলে উপস্থিত থাকবে না। এমনকি এখনো এই গোত্রের অভিভাবকরা বিরল নন! তাঁরা মনে করেন একটা কো-এডুকেশন স্কুলে একইসাথে ছাত্রী ও ছাত্রদের সেক্স এডুকেশন দিলে সেটা তাদের মনের ওপর কুপ্রভাব ফেলতে পারে! আর কবে বাঙালিত্বের খোলস ঝেড়ে মানুষ হব হে মুগ্ধ জননী! একদিকে কনজিউমারিজমে খুলতে খুলতে অন্তর্বাসে এসে ঠেকছি, অন্যদিকে ঢাকতে ঢাকতে ‘স্লিট আই’ ! কী নিদারুণ প্রহসন তাই না! যাঁরা পোশাকের বদল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নততর করার দায় দায়িত্বও তো তাঁদের ওপরেই বর্তায়। এমন কোনো শিক্ষা যা নারীকে একটা স্বাভাবিক, সাধারণ ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব হিসেবে মর্যাদা দিতে শেখায়, বিপরিতকামী পুরুষের যৌনতার উপকরণ হিসেবে ভাবতে নয়। এমন কোনো শিক্ষা যা মানুষকে চারপেয়েদের থেকে পৃথক করে ও যৌনতার উদ্রেক ঘটলেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। এমন কোনো শিক্ষা যা কাঙ্খিত বস্তু বা ব্যক্তিকে যেকোনো মূল্যেই লাভ করতে হবে, মায় ধর্ষণের মূল্যেও, ইন্দ্রিয়ার্থসাধনের এই ভয়াবহ দুর্ভাবনায় আঘাত করে। শ্লীলতাহানি এভাবে বন্ধ করা যায়, সেকেন্ডারি সেক্স অরগ্যানের ওপর আলখাল্লা চড়িয়ে নয়।

    ওরাও সমাজের আরেক স্তম্ভ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ধারক-বাহক। নারী। সেবিকা। কেমন হয়, যদি নার্সদের জন্যও চালু করা যায় কোনো বিশেষ অ্যাপ্রন, ডাক্তারদের আদলে, যেটা তাঁরা চড়িয়ে নেবেন পচ্ছন্দসই পোশাকের ওপর, খুলে নিতে পারবেন খুব সহজেই, যেকোনো জায়গায়, কাজ শেষ হলে? কেমন হয়?

    ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ নভেম্বর ২০১৩ | ৭৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 122.79.37.203 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:০৩45957
  • লেখা টি বিসয়্মুখী কিন্তু একটু অতিকথন দোষে দুষ্ট। আমাদের সমাজে সালোবার কামিজ খুব ই চালু পোশাক এবং ভীষণ রকম সামাজিক ও রুচিশীল।অবাঙালি ও মুসলিম সমাজে এটি একটি প্রচলিত ড্রেস। মোদ্দা কথা হলো সালোয়ার কামিজ পড়লে , কারো আপত্তি থাকার কথা নয় বরং কাজের সুবিধা। বিদেশে নার্স রা স্কার্ট ব্লাউস বা ফ্রক ছেড়ে এখন trouser ও শার্ট এ অভ্যস্ত। সুতরাং নির্দেশিকা টি বাস্তববাদী এবং যুক্তিযুক্ত।
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০১:১২45980
  • যাক পিঠের ঘামাচি একটু কমলো। ওনাকেও চুলকে দে রোবু, ওনার মনে হয় হিংসে হয়েছে
  • sm | 122.79.37.4 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০২:০৪45981
  • @blank

    স্যালিকল,স্যালিকল, স্যালিকল মলম'
    দাদ, হাজা, চুলকানি তে দেয় আরাম
    স্যালিকল মলম !
  • siki | 132.177.87.37 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:০৬45982
  • কি ক্যাও মাইরি। কেমন সেই মক্কা আর ক্রীতদাস আর ঝুনো নারকোল পারা হয়ে গেল ব্যাপারটা।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৬45958
  • ১। লেখাটি খুবই সময়োপযোগী এবং যথাযথ।

    ২। "Comment from sm on 27 November...

    বিদেশে নার্স রা স্কার্ট ব্লাউস বা ফ্রক ছেড়ে এখন trouser ও শার্ট এ অভ্যস্ত।"
    "বিদেশ" মানে? কোন বিদেশের কথা লিখলেন?
  • sm | 122.79.36.107 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:১৭45959
  • @ বিদেশ মানে এখানে UK র NHS এর কথা বললাম ।
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:২৭45960
  • NHS কি কোনোরকম নির্দেশিকা জারি করেছিলো? সেরকম কিছু মনে পড়ছে না। করে থাকলে একটু লিংক দেবেন। এবং শাড়ি সম্পর্কে অবস্থানটা কী?
  • sm | 122.79.36.107 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৩৭45961
  • el fantastico , NHS এ ডাক্তার দের এপ্রন পরা , টাই পরা ও ঘড়ি পরা নিসিধ্ধ। কারণ এতে ইনফেকশন রেট বাড়ে। এ নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা যেকোনো NHS এর সাইট এ পাবেন। trouser অতি অবশ্য ই নার্স রা নিজের সুবিধার জন্য পরেন।
    আপনার শাড়ি র সাথে সহাবস্থান এর প্রশ্ন তা বোকা বোকা লাগলো তাই উত্তর দিতে অপারগ। দয়া করে ওপরের পোস্ট গুলি ভালো করে পড়ুন।
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৪৩45962
  • অর্থাৎ ট্রাউজার পরতেই হবে এরকম এনএইচএস বলেনি। Nuff said

    আর শাড়ি সংক্রান্ত প্রশ্নটাই আপনি বোঝেননি বোঝা যাচ্ছে।
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৪৪45963
  • এনএইচএস-এর কথা তুল্লেন যখন, তখন আশা করি nuff said শব্দবন্ধের মানে সম্পর্কে আপনি অবহিত।
  • sm | 122.79.36.107 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৫০45964
  • আমি কোথাও দাবি করিনি NHS বলেছে যে trouser পড়তে হবে। এটাকে আমি নার্স দের পোশাক পরার স্বাভাবিক বিবর্তন হিসেবে দেখি। আমার আবার মনে হচ্ছে আপনি শাড়ি সংক্রান্ত একটি ভুলভাল প্রশ্ন করে, তাকে defend করতে লড়ে যাচ্ছেন।
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৩45965
  • ঃ-)

    লেখাটা শুরু একটা নির্দেশিকা এবং তার যৌক্তিকতা নিয়ে। স্বাভাবিক বিবর্তন নির্দেশিকা দিয়ে হয় না বলেই জানি। এবং নির্দেশিকাটিতে সালোয়ার/শাড়ি দুটোই আছে। আপনি সালোয়ারের পক্ষে লিখলেন অথচ শাড়ি সম্পর্কে নীরব, আবার এও বল্লেন যে নির্দেশিকাটি যুক্তিযুক্ত ("সুতরাং নির্দেশিকা টি বাস্তববাদী এবং যুক্তিযুক্ত")

    আমার মনে হয় আরেকবার nuff said বলা উচিত।
  • sm | 122.79.36.107 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১০:০৩45966
  • দেখুন, না বোঝার চেষ্টা করলে, মাথায় গজাল মেরে ও বোঝানো যাবেনা। আমি এক বার ও শাড়ি পরে কাজ করার বিরোধী নই। আমি বলতে চেয়েছি শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ যে যেটায় সছন্ধ তার সেটাই পরা উচিত। এটাই স্বাভাবিক বিবর্তন। নির্দেশিকা সে টাকেই সমর্থন করেছে ও স্বীকৃতি দিয়েছে, তাই নির্দেশিকা টি যুক্তিযুক্ত। আশা করি বোঝা গেল।
  • el fantastico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১০:০৮45967
  • আমি আগে একটু হেসে নি। ক্ষি চাপ মাইরি।

    যে যে পোশাকে স্বচ্ছন্দ আর নির্দেশিকা দিয়ে ফরমান জারি করার মধ্যে তফাতটাই আপনি জানেন না।
  • sm | 122.79.36.107 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১০:১৫45968
  • আবার ভুল ভাল বকছেন। নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয় নি শাড়ি পরে কাজ করা যাবেনা। এটা এতদিন যে স্ট্রিক্ট ড্রেস কোড ছিল সেটাকে একটু শিথিল করা হলো। নিজে ই বলছেন nuff said , আবার নিজেই পর পর পোস্ট করছেন, আবার অকারণে হাসছেন ! সুস্থ থাকুন, চাপ নেবেন না।
  • el fantastico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১০:১৮45969
  • নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে শাড়ি বা সালোয়ারই পরতে হবে, অন্য কিছু পরা যাবে না।

    সত্যি হাসছি। ম্মু এর প্রত্যাবর্তন হল মনে হয়।
  • sm | 122.79.36.147 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০০45970
  • "নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে শাড়ি বা সালোয়ারই পরতে হবে, অন্য কিছু পরা যাবে না।"
    এই বাক্য টি দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন? এর আগের একটি পোস্ট এ লিখেছিলাম NHS এর, নির্দেশিকায়, এপ্রন, টাই, ঘড়ি পরে কাজ করা নিষেধাগ্গা জারি হয়েছে। যেকোনো নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ই হলো পরিমার্জন ও ভুল ত্রুটি সংশোধন।
    এই নির্দেশিকা টি শিথিল করা হয়েছে এবং সালোবার কামিজ কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি আমার যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। অন্য কোনো ড্রেস যেমন নার্সিং গাউন পরা যাবেনা কেন, তার কারণ একমাত্র যারা নির্দেশিকা টি দিয়েছেন তারা ই ব্যাখা করতে পারবেন। সেটা তাদের জিগালেই ভালো হয় । আপনি nuff said ইত্যাদি প্রভৃতি বলে পর পর যুক্তিহীন পোস্ট করে যাচ্ছেন কেন? মানে টা আপনার কাছে পরিস্কার তো? আমার অবশ্য আপত্তি নেই।
  • sosen | 24.139.199.11 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০১45971
  • অবন্তিকার লেখাটি ভালো লেগেছে।
    রঙিন এপ্রন এবং হেড ড্রেস থাকলেও আমি অবশ্য ইউনিফর্ম এর পক্ষপাতী। শাড়ি সালোয়ার চোদ্দ রকম জিনিস না রেখে ফ্রক রাখা অবশ্যই সুবিধাজনক। শাড়ি এবং সালোয়ার কামিজ কোনটাই খুব কাজের পোশাক নয়। খোলা পাযে অসুবিধা থাকার কথা নয় লম্বা মোজার প্রচলন থাকলে।
    ফ্রক ইউনিফর্ম-এ সেবাকর্মীদের অনেক সহজে চিহ্নিত করা যায়। সেটা এই ধরনের কাজের পক্ষে সুবিধাজনক। ট্রাউজার-শার্ট ও সুবিধাজনক।
    ঐতিহ্য কাজের জায়গার বাইরে থাকলেই ভালো।
  • sm | 122.79.36.147 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০৯45972
  • @ sosen , আমার মনে হয়, সালোয়ার কামিজ টি রাখা হয়েছে কমিউনিটি নার্স ও ওয়ার্কার দের কথা মাথায় রেখে। গ্রাম ও শহর দু জায়গা তেই এটি খুব গ্রহণ যোগ্য ড্রেস এবং সমাজে আদৃত। কাজের জায়গায় শাড়ি র চেয়ে বেশি সুবিধাজনক। পরিবর্তন ধীরে হলেও হচ্ছে, এটাই আসার কথা।
  • sm | 122.79.36.147 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১১:০৯45973
  • আশা
  • রোবু | 177.124.70.1 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:১৬45974
  • এসেম কি ভুলভাল বকতে পারে মাইরি!!
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:২০45975
  • দাদা, অঙ্ক কী কঠিন!

    তবে এইটা জেনে বেশ ভালো লাগলো - "যেকোনো নির্দেশিকার উদ্দেশ্য ই হলো পরিমার্জন ও ভুল ত্রুটি সংশোধন।"

    সত্যি?
  • sm | 122.79.37.133 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:২৩45976
  • @রোবু, এত পরস্পরের পিঠ চুলকোন কেন? আপনার কোনো যুক্তিযুক্ত পয়েন্ট থাকলে লিখুন না। না থাকলে নিজেদের মধ্যে শলা পরামর্শ করে লিখুন। বেশি চুল্কলে ঘা হবে , মলম পাবেন না উপশমের জন্য।
  • রোবু | 177.124.70.1 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:২৬45977
  • আমরা আলোচনা করেই লিখছি। ঠিক হয়েছে একজন আপনাকে ভুলভাল বলব, আরেকজন যুক্তিযুক্ত পয়েন্ট তুলবে।
    এ ছাড়াও আরো গোপন স্ট্র্যাটেজি আছে।
  • sm | 122.79.37.133 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৩৬45978
  • আমার তো মনে । হচ্ছে আপনারা দু জনেই ভুলভাল বকছেন। যুক্তিযুক্ত ভাবে তো কেউই লিখছেন না। একজন ভুলভাল প্রশ্ন করলেন, আরেকজন তাকে দৃষ্টিকটু ভাবে সাপোর্ট করতে এলেন। আপনার গোপন স্ট্রাটেজি গোপন করে রাখুন, খুলবেন না, পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। ভালো থাকুন আর পিঠ চুলকিয়ে যান। আপনি কিন্তু প্রথম জনের চেয়ে বেশি ছড়াচ্ছেন। দেখা যাক এবার আসরে আর কে নামে।
  • রোবু | 177.124.70.1 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৪১45979
  • এখনো ৩৪ এলো না?
  • Arpan | 190.215.57.207 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৫:০৭45983
  • হতই।

    সবাই "সুযোগের অপেক্ষায়" ছিল! ;-)
  • el fantástico | 125.112.74.130 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:০৯45984
  • আমার গপ্পোটা মনে নেই। থোড়া হেল্প পিলিজ। ক্যাপ্টেন হ্যাডকেরটা কী?
  • সিকি | 132.177.183.206 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২০45985
  • হ্যাঁ রে বাবা। লোহিত সাগরের হাঙর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন