ঢাক পেটাও কাঁসর পেটাও ওগো করুণাময়ী প্রহড়ী পেটায় রাত বারোটায়,লাগছে শ্রী ময়ী;নমো নমো নমোমেলে সুর মম তা, লিখলে পুরস্কারটা মিলবে ঘরে শ্রী!
‘পুরাতত্ত্ববিদেরা শুরুতে এমন কথায় কিছুতেই আস্থা রাখতে পারেননি যে প্রাণীর এমন সজীব ও জীবন্ত প্রতিফলন সেই তুষার যুগের মানুষের পক্ষে করা সম্ভব ছিল।‘: আর্ণস্ত গমব্রিশ, ‘দ্য স্টোরি অফ পেইন্টিং, ১৯৫০।‘বৃষ কক্ষ (হল অফ ব্যুলস) ল্যাসকো গুহাচিত্র, ফ্রান্স : পুরাতণ প্রস্তরযুগের এই গুহাচিত্রটি (এখানে ছবিতে মূল গুহাচিত্রের অনুকৃতি বা রেপ্লিকা দেখা যাচ্ছে) খ্রিষ্ট পূর্ব ১৬,০০০-১৪,০০০ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে আঁকা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। চিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪৪.২৫ ফুট। ১৯৪০ সালে চারটি বালক বনে খেলার সময় নিতান্ত আকষ্মিকভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ল্যাসকোর এই গুহা আবাসন আবিষ্কার করেছিল বা খুঁজে পেয়েছিল বলাই ভাল। প্রায় ১৭,০০০ বছর আগের ৬০০ ছবিতে ভরা এই গুহার দেয়ালগুলো নানা জাতের ... ...
আমার অপ্রকাশিত কবিতাটির এখনো জন্ম হয়নি।বিষন্নতায় ঘেরা একটি অপ্রকাশিত কবিতা,সঠিক শব্দ চয়ন আর রুচিশীল অলংকারের বেশ অভাব রয়েছে। — শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষায় আছি।এখন আমি বড্ড একা,একা আমি সেই অপ্রকাশিত কবিতার মতোই।বিষন্নতার রেশ কেটে,কোনো একদিন সুখের নদীতে পাল তোলা নৌকার মতো গতিশীল হয়ে;কবিতাটি প্রকাশ হবে সবার জন্যে।আপাতত, কবিতাটি একা, ঠিক আমার মতোই।কবিতাটির এখনো জন্ম হয়নি,জন্ম হবে এক দিন।এই আধার রাত্রি শেষ করে, জানান দিবে ভোরের নতুন সূর্যের মতোই প্রাকাশিত হবে কবিতাটি সবার মাঝে।প্রকাশ হবে কবিতাটি,সবুজ ঘাসের শীর্ষে জমে থাকা শিশিরের বিন্দু,মিটমিট হিরের কনার মতো করেইকবিতাটি প্রকাশিত হবে।কবিতাটির জন্ম হয়নি এখনো, প্রেম - ভালবাসা, আদর-স্নেহের বেশ অভাব রয়েছে। সব পিছুটানের অবসান কাটিয়ে, কবিতাটি প্রকাশ পাবে একদিন তোমাদের মাঝে।কবিতা সাহস, ... ...
❝একটি গ্রাম, একজন মানুষ।একজন ধনী ব্যক্তি, একজন ডাকাত।একটি রাস্তা, একজন পথিক দূরে আরো দূরে, কোথাও একটি শরাইখানা।এই বুঝি সব কিছু মিলিয়ে যাবে কোনো এক ধমকা হাওয়ায়।❞
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারে কংগ্রেস বা বিজেপি—যেই শাসন ক্ষমতায় আসুক, তাদের মাথায়—মাঝে মাঝেই একটা পোকা নড়ে ওঠে। হিন্দিকে এইবার সারা দেশে যে করেই হোক চালাতে (ওরফে, চাপাতে) হবে। এই সব শাসক দল জানে, বাস্তবে এটা কোনো দিনই আর সম্ভব হবে না। শাসন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে হয়ত সরকারি নথিতে, বিজ্ঞপ্তিতে, হুকুমনামায়, দরখাস্তে, রেল বা ব্যাঙ্কের কাগজপত্রে, হিন্দিকে আরও বেশি করে জায়গা ছেড়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু ওই অবধিই। ওর চাইতে বেশি আর কিছুই করা যাবে না। করতে গেলেই অশান্তি হবে। এমনকি নিজেদের দলের ভেতরেও। নীতিন গড়করি বিজেপি-র সভাপতি হলে হিন্দিতে ভাষণ দেবেন, আবার বেঙ্কাইয়া নাইডু সভাপতি হলে ইংরেজিতে বলবেন। সোনিয়া গান্ধী হিন্দিতে বলতে পারেন, কিন্তু শশী ... ...
৭৭ বছর আগের একটি সরকারি বিজ্ঞাপণের কথা - এটা ১৯৪৫ সালের জুন মাসে (বাংলা ১৩৫২ আষাঢ়) দেশ পত্রিকার সংখ্যায় এই অ্যাড টা বেরোয়। অ্যাড দিয়েছে - গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ইনফরমেশন এন্ড ব্রডকাস্টিং ডিপার্টমেন্ট। দেশের নাগরিকদের হিসেবে করে খরচা করতে উপদেশ দিচ্ছে সরকার। অফিসিয়াল স্বাধীনতা তখনও আসে নি। এর আগেই ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষ হয়ে গেছে। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ এর মধ্যে এশিয়ায় তিনটে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ হয় - ভারতে বাংলায়, চিনে হেনান এ , আর, ভিয়েতনামের টোনকিন এ -- এই তিনটে দুর্ভিক্ষকে 'ম্যান মেড' বলা হয় - ভারতে ব্রিটিশদের, চিনে জাপানিদের এবং ভিয়েতনামে ফ্রেঞ্চ/আমেরিকানদের যথাক্রমে দায়ী করা হয় দুর্ভিক্ষগুলোর জন্য। বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী মন্দা, দুর্ভিক্ষ সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব খারাপ। যুদ্ধের খরচ চাপানো হল ভারতের মানুষের ওপর। বাড়াবাড়ি রকমের ইনফ্লেশন প্রথম দেখল ভারতবাসী - মিন্টে ... ...
যে কোন লেখ্য বস্ত বা কনটেন্টের ‘বক্তব্য‘ নিয়ে পাঠকভেদে মতামতের ভিন্নতা থাকে বা থাকতেই পারে। কিন্ত লেখার মান ভাল হলে (মৌলিক বা অনূদিত যাই হোক না কেন) ঘোরতর বৈরীও সেটা প্রশংসা করবেন। যেমন, এই অন্তর্জাল পত্রিকাতেই ‘কালী স্তব‘-এর ইংরেজি অনুবাদ আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অসাধারণ মনে হয়েছে। একই অনুবাদক জেমজ জয়েসের রচনায় একাধিক প্রেমপত্র অনুবাদ করেছেন। সেই ‘প্রেমপত্রে‘র কনটেন্ট নিয়ে দুই কিশোর-কিশোরী সন্তানের অভিভাবক হিসেবে যতই মনে দ্বিধা থাক, অনুবাদকের ভাষা জ্ঞান খুবই ভাল। ভয়ানক অশালীন ও ভয়ানক রগরগে চিঠিও বাংলা ভাষার খুব কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন ব্যবহারের কারণে তবু একবার চোখে বুলানো যায়। তবে, আজ জেমস জয়েসের দ্বিতীয় যে প্রেমপত্র অনুবাদক অনুবাদ করেছেন- ... ...
হঠাৎ করে কুসুমের মনে আসে, গোপনে কিছু বাঙালি ছেলে চট্টগ্রাম কালুরঘাটে একটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র খুলেছিল। সেটা একবার চেষ্টা করে দেখলে হয়। অনেক কসরৎ করে রেডিওর কাটা বারবার এদিক ওদিক করে একটি ক্ষীণ আওয়াজ পান। কানে রেডিওটা চেপে ধরে বুঝতে পারেন বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুরো ঢাকা শহরে কারফিউ।রেডিও থেকে শুনে যতটুকু বোধগম্য হোল, পুতুল এবং নার্সটিকে জানালেন। ওদের মুখ ভয়ে ত্রাসে শুকিয়ে প্রায় আমসির মতন। রান্নাঘরে যা আছে তাই ফুটিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বললেন। জানেন না, সামনের দিনগুলো কী দুরাবস্থায় কাটবে। আরেকটি দিন এবং রাত কাটে আতঙ্কের সাথে।(ছয়)পরদিন ২৭ শে মার্চ কয়েকঘন্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়। বাইরে তাকিয়ে ... ...
আজ আমার হরিদাসীর কথা মনে পড়ল। হরিদাসী কোনো নারী নন, 'আমি তোর হরিদাসী' একটা গান। সেটার কথা মনে পড়ল একটা খবর দেখে। কর্ণাটকে কাজে গিয়ে বাংলাদেশী সন্দেহে গ্রেপ্তার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পলাশ অধিকারি, স্ত্রী শুক্লা অধিকারি, এবং তাঁদের শিশুপুত্র। এর সঙ্গে হরিদাসীর কি? খুব জটিল কিছু না। মনে পড়ার কারণ হল মিলে যাওয়া। গানের একটা লাইন ছিল, "দিল্লি কিংবা ব্যাঙ্গালোরে / বাংলা বললে হাজতে পোরে / থাকিস যদি ঝুপড়ি ঘরে / ধরবে পুলিশ ভেবে বাংলাদেশী।" সেটা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবার কারণে। আর কিছু না। ওই একই সঙ্গে আরও একটা জিনিস মনে পড়ে গেল। গত বেশ ক'বছর ধরে আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদবিরোধী একগুচ্ছ গান-টান ... ...
ফাল্গুনী মজুমদার- তাঁর নামে আমি বিভ্রান্ত হয়েছিলাম এবং তাঁকে নারী ভেবেছিলাম- তিনি জানিয়েছেন যে তিনি ‘পুরুষ‘ এবং বলেছেন যে মেয়েদেরও ছেলেদের মতই সমান জৈবিক চাহিদা রয়েছে। সে কেন লজ্জা করবে? অথচ, আমাদের মত দেশগুলোয় বিয়ের আগ অব্দি একটি মেয়ের কাণের কাছে মা বা মাতৃ-স্থানীয়ারা ক্রমাগত ‘পুরুষ ভীতি‘ই প্রচার করে এবং ঠিক মেয়েটির বিয়ের দিন থেকেই তারা ‘মাতামহী‘ হবার আশা করতে থাকে। কিন্ত শৈশব থেকেই এই ‘ইঞ্জেক্ট‘ করা পুরুষভীতির কারণে বিয়ের দিনেও বহু উচ্চশিক্ষিতা মেয়ে কান্না-কাটি করে। আজকাল বিয়ে না করেও মেয়েরা ‘চলতে পারে‘ বলে কেউ কেউ করেই না। এমনকি হালের মার্কিনী মুল্লক কেমন কে জানে- নৈরাজ্যবাদী এমা গোল্ডম্যানের লেখায় সেসময়ের ... ...
ফাল্গুনী মজুমদারকে আমি ‘নারী‘ ভাবলেও তিনি জানালেন তিনি পুরুষ এবং আরো বললেন যে জৈবিক চাহিদা সবার সমান। মেয়েরা কেন মুখ ফুটে বলতে পারবেন না? এই ‘রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশে‘র কথা বাদই যাক যেখানে শৈশব থেকে বিয়ের দিন অবধি একটি মেয়ের কাণে মা বা মাতৃ-স্থানীয়ারা লাগাতার ‘পুরুষ ভীতি‘ প্রচার করে এবং মেয়ের বিয়ের দিন থেকে ‘মাতামহী‘ হবার অপেক্ষা শুরু করে। কিন্ত লাগাতার এই ‘ইঞ্জেক্ট করা‘ পুরুষ ভীতি মেয়েটির মনোজগতে কি হাল করে তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিয়ের দিনে বহু উচ্চশিক্ষিত, কর্মজীবী নারীরও নিদারুণ ভীতি ও কান্না-কাটি থেকে। আজকাল ‘বিয়ে‘ না করেও মেয়েদের চলে বলে কেউ কেউ করেও না। বঙ্গদেশ বাদই দিই...হালের মার্কিনী ... ...
আমার ‘সাহিত্যে শালীনতা অশালীনতা-১‘-এর উত্তরে ‘আরে‘ নামে কোন ভ্রাতা, ভগ্নী বা ভ্রাগ্নী (তৃতীয় লিঙ্গ হলে) জানিয়েছেন যে জয়েসের চিঠিটা অধুনা কালের হোয়াটস এ্যাপ বা মেসেঞ্জারের ‘সেক্স চ্যাটে‘র মত। পৃথিবীতে বিভিন্ন মানুষের বেড়ে ওঠা যেহেতু বিভিন্ন রকম, ‘সেক্স চ্যাট‘ সম্পর্কে সবার সম্যক ধারণা না-ও থাকতে পারে। তবে আমাদের আলোচনার মানুষটা যেহেতু জয়েস, কাজেই তাঁর চিঠিও ‘সাহিত্য‘ ত‘ বটে। যেমন, রবীন্দ্রনাথের ‘ছিন্নপত্র‘-ও সাহিত্য। তাতে উপস্থাপণা করছেন আবার মলয় রায় চৌধুরী। সাহিত্য না ভেবে উপায় আছে? এছাড়া জয়েসের ‘ইউলিসিস‘-এ লিওপোল্ড ব্লুমের স্ত্রী মলি ব্লুমের এমন কিছু শারীরিক বিবরণ দেওয়া হয়েছে যা ঐ মিলার-নবোকভ-লরেন্সদের লেখার মতই। শুধু শুধু আমরা বলি ‘জয়েস-জয়েস!‘ প্রকাশক বলে একটু ... ...
আজকাল বাঙ্গালী নারীরাও দৈহিক কামনার প্রকাশে অকুণ্ঠ... এমনটা তবে ধরে নিতে হচ্ছে! যেহেতু এই অন্তর্জালে আমার গতকালের একটি ছোট প্রতিবাদ পত্রের উত্তরে আজ ‘ফাল্গুনী মজুমদার‘ (নারীই ধরে নিচ্ছি নাম থেকে) নামের কেউ প্রতিবাদ করেছেন। তাঁকে অনুরোধ করব দয়া করে এই পত্রিকাতেই প্রকাশিত জেমস জয়েসের চিঠিটি এবং বিশেষত: তার বাংলা অনুবাদটি পড়ে নিতে। ‘সেক্সুয়্যাল পলিটিক্স‘-এ কেট মিলেট এক হাত বা দশ হাত নিয়েছেন লরেন্স, মিলার সহ যাবতীয় পুরুষ লেখককে যাদের ছিল ‘Phallologocentrism ‘-এর বাতিক। সম্ভব নয় মিলেটের অমন বইটা হুবহু এখানে তুলে দেয়া। এছাড়া জীবন সংগ্রামের আরো নানা ঝামেলা আছে। তবে সারা পৃথিবীর যত পৌরুষগর্বী সাহিত্য যেখানে নারী কিনা নিছকই যৌন ... ...
বাঙ্গালী পাঠক আজো বড় হতে পার লা না।কুয়োর ভেক হয়েই থাকল। ভারতীয়েরা বিশেষ করে আতেল বাঙ্গালী ( চায়ের দোকানে গেলেই দেখা পাবেন) ভাবে সাহিত্যে শীল অশ্লীল বিচার করবার গুরু দ্বায়িত্ব তেনাদের পরে। সাহিত্যে বলা যায় আমি ভাত খাব কিন্তু বলা বিধেয় নয় আমি তোমার সাথে কামকেলি করব।
প্রথম শিল্পবিপ্লব কি মা কালী করেছিলো? তার সংকেত কি রাখা আছে পুরাণে? বিষ্ণু নিদ্রায় রয়েছে। আর সেই সময় মধু আর কৈটভ বিষ্ণুর কানের মল থেকে তৈরী হয়ে ব্রহ্মাকে খেতে গেলো। ব্রহ্মা মহামায়ার স্তব করলে মহামায়া কালী বিষ্ণুর ঘুম ভাঙালো আর বিষ্ণু বধ করলো তাদের। তাদের মেদ দিয়ে তৈরী হলো মেদিনী বা পৃথিবী। গল্পটাতো জানা। এই গল্পকে সংকেত ধরলে আরেকটা গল্প বেরিয়ে আসে। বিষ্ণুকে নগদ নারায়ণ ধরলে সেই হলো আদি ক্যাপিটালিষ্ট। পূর্বের যৌথ সমাজ ভেঙে বিষ্ণু তৈরী করেছিলো ব্যবসায়ী সমাজ, বিনিময় প্রথা, দুধ সাগর আর সর বা উদ্বৃত্তের লেনদেন। যৌথ সমাজে সকলে সমান ভাগ পেতো। ধনতন্ত্রে শ্রমিক পেতো কেবল পারিশ্রমিক আর লাভ নিতো ... ...
সাহিত্যে শালীনতা-অশালীনতার পরিধি:সাহিত্যে শালীনতা-অশালীনতা নিয়ে প্রচুর তর্কাতর্কি হয়েই থাকে। সে বিষয়ে মতামত দেবার আগে আত্ম-পরিচয় জানানো যাক। পাথর যুগেও ত‘ মানুষ লিখতো। পাথরের বুকেই লেখা হয়েছে অতীতের যত আইন সংহিতা, কবিতা বা গল্প, রাজ-অনুজ্ঞা। কাজেই এমনটাই আমার পরিচয়। শোনাতে একটি ‘প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে‘র নামের মত শোনাচ্ছে...তবু। হ্যাঁ, আমি ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়‘ প্রকাশক। একাই প্রভু, একাই ভৃত্য আমার প্রতিষ্ঠানের। যাহোক, যে বিষয়ে কথা বলতে খাতা খোলা সেটা হলো হাংরি প্রজন্মের নামী কবি ও লেখক মলয় রায় চৌধুরী প্রেমিকা নোরার কাছে যে প্রেমপত্র লিখেছিলেন সেটায় দু/এক মিনিট চোখ বুলিয়েই আঁতকে উঠতে হয়েছিল। আজ আবার জনৈক অনুবাদক প্রচন্ড দু:সাহসে সেটা অনুবাদও করেছেন। কোনমতে ... ...
শ্রী মানে লক্ষ্মী আর ধী মানে জ্ঞান। শ্রী-কে লক্ষ্মী আর ধী-কে জ্ঞান বলার অর্থ কী?শ্রী = শ+র+ঈ। শ হলো শক্তি, র হলো আবর্তন আর ঈ হলো অস্তিত্বের সক্রিয় করণ। কোন শক্তি আবর্তিত হয়? সূর্য, চন্দ্র, ঋতু এরা আবর্তিত হয়। এই আবর্তনের ওপরেই অস্তিত্ব টিঁকে আছে। শীতে খাদ্যাভাব, গ্রীষ্মে বর্ষায় খাদ্যের পুনরায় আবির্ভাব। এই ভাবে অস্তিত্ব বারে বার সক্রিয় আর নিষ্ক্রিয় হতে থাকে। যে শক্তি এইভাবে চলে যায় আর ফিরে আসে সেই হলো লক্ষ্মী। তাই লক্ষ্মী চঞ্চলা। স্থীর হয়ে সে থাকে না। অতীতে খাদ্য ছিলো শিকার আর কৃষি থেকে প্রাপ্ত সম্পদ। আর এ দুই সম্পদই ঋতু নির্ভর বলে সম্পদ আর তার ... ...
নিজের ব্লগ চেয়ে অনেক বার মেইল করেও সাড়া পাচ্ছি না। নিশ্চয়ই কোনো গুরুচণ্ডা৯ সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু কী সমস্যা বুঝতে পারছি না।
হাওয়ার দেওয়ালে ঝুলে আছি;বড় শঙ্কা হেসামনে মোচ্ছবে সামিল চিকন পুতুল-পিছনে ধর্মরাজ ;খড় ,মাটি আর বাঁশঠিক যেন সামনে যুদ্ধ, পিছনে পরিস্থিতি! হাওয়ার দেওয়ালে ঝুলে আছি -লাটাই ছিঁড়ে বেরিয়েছি সেই কবে !কিছু নাছোড়বান্দা সুতো জট পাকাচ্ছে-যেন ওড়ার আকাশটাও ইতিমধ্যে বিক্রী হয়ে যায়! মুখোশে ঢাকা এক উদ্ধত দালাল মুদ্রার মাধ্যাকর্ষণ মাপছে-আর আঙুল তুলে কি সব বকে চলেছে এক নাগাড়ে। রাত্রি এক এক করে সমস্ত অলঙ্কার খুলে রেখেআমাকে অনিবার্য পথ দেখাচ্ছে।আমি মুখ থুবড়ে পড়েছি রাত্রির সুচারু কালিমায়! ঈশ্বর সময় নষ্ট করেন না।-জানতে চাইলেন আমার শেষ ইচ্ছা!বুঝলাম,আমি কিনারায়! আমার উত্তরে ছাই দিয়ে হঠাৎ-তীব্র দংশনে আমার হৃদপিন্ড তছনছ হলো!-আর হাওয়ার দেওয়াল খসে পড়লো ,বদ রক্তের টানাপোড়েনে!অশেষ গহন খাদে, বা মহাশূন্যে বোধহীন ... ...
আমাদের বাড়ির অদূরে রেলওয়ে ময়দানে কালীপুজো উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বসতো মস্ত এক মেলা । অর্ধশতাধিক বছর ধরে এই মেলা এলাকার মানুষদের সম্বৎসরের বিনোদনের উৎস ছিল । হ্যাঁ বিনোদন তো বটেই, কারণ নিস্তরঙ্গ জীবনে তখন ঢেউ তোলার মতো উপকরণ খুব একটা বেশী ছিলনা । তাই মেলার মাঠের নাগরদোলা, পুতুলনাচের তাঁবু, কিম্বা ভ্রাম্যমাণ চিড়িয়াখানার আকর্ষণ কিছু আলাদাই ছিল । হাফপ্যান্টুল আমরা অবশ্য তালপাতার বাঁশি, টিনের ব্যাঙ কটকটি, কিম্বা পোড়ামাটির গুলিতে লম্বা রবারের সুতো লাগানো-রাংতা মোড়া-ইয়ো ইয়োর বাঙালি সংস্করণ পেয়েই দিব্য খুশী থাকতাম । কিন্তু মা-কাকিমা-জ্যেঠিমাদের কাছে এই মেলা ছিল গৃহস্থালির হরেক রসদ সংগ্রহের আকর। লোহার সাঁড়াশি, বেড়ি, কাঠের তৈরী লবন রাখার পাত্র, ... ...