শান্তশিষ্ট সিংহ যেন দৈত্যকুলে প্রহ্লাদহিরণ্যকশিপুর আজো সীমাহীন দম্ভ ;ষড়যন্ত্র জারি রাখে রাজা রুপী জল্লাদনৃসিংহ বেরিয়ে আসে ভেঙ্গে ফেলে স্তম্ভ!
ষণ্ড তবু তাড়া করে শিং বাগিয়েধেড়ে ইঁদুর পালিয়ে বেড়ায় ধ্যাধেড়িয়েগুঁফো ইঁদুর ভয়ঙ্কর ভীষণ পাজিবউ পালালে হাজার বউ হতে রাজি।
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে যান্ত্রিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে রাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। বৈদ্যুতিক তারের ইনসুলেশন , সাইকেল ও গাড়ির টায়ার যুদ্ধাস্ত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি করতে রাবারের প্রয়োজন হতো। কয়েক টুকরা রাবারের অভাবে অনেক সময় ভারী যন্ত্রপাতির উৎপাদন আটকে যেত।.সিন্থেটিক রাবার আবিষ্কারের আগে বৈশ্বিক চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হতো আমাজন জঙ্গলের রাবার গাছ থেকে। একক পরাশক্তি হিসেবে বৃটেনের রাবারের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। রাবারের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নেয় রাবার উৎপাদনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন স্থাপনের।.এই উদ্দেশ্যের লন্ডনের রয়েল বোটানিকাল ইনস্টিটিউট 1876 সালে হেনরী উইকহ্যাম নামে এক ব্রিটিশ পর্যটককে দায়িত্ব দিয়ে আমাজনে পাঠায়। নৌকা নিয়ে আমাজনের গভীরে ঢোকার ... ...
দু বছরের পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে। খবরের কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্গ বছর দুয়েক আগে অহোম সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সুকাফাকে বহিরাগত চৈনিক আখ্যা দিয়েছিল। তাতে কারো কারো ভাবাবেগে আঘাত লাগে। আসামে মামলা হয়। এই 'অপরাধ'এ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেপ্তরের নির্দেশ দেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। যদিও, গর্গকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়নি। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের দিকে আঙুল ওঠে। এর পর আদালত নতুন পরোয়ানা জারি করে গর্গকে গ্রেপ্তার করার জন্য কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গর্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতার আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়ে গুয়াহাটির আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেয়। আসামে গেলে গর্গকে গ্রেপ্তার তো ... ...
ধেড়ে ইঁদুর পড়ল ধরাঅমনি কি আর খুলল কারাযাঁতাকলের পড়ল ছায়াবিপর্যস্ত অর্শ মায়া।
রাত দেড়টা বাজল। নপরাজিত আর মনসিজের সঙ্গে শিমিকা আর আলিয়া এখনও সিজলার বার থেকে বেরোয় নি। শিমিকা মনসিজের পিঠে একটা চাপড় মেরে বলল, ' চল ইয়ার .... থাইল্যান্ড থেকে ঘুরে আসি .... ' । সঙ্গে সঙ্গে আলিয়া নেচে উঠল, ' ইয়েস ... ইয়েস ... ফ্যান্টাস্টিক ... নো পয়েন্ট অফ ওয়েস্টিঙ টাইম .... ওখানে আমাদের একটা রিসর্ট আছে .... সো লেটস ফিক্স ...নেক্সট স্যাটারডে ... ' । সকলেরই কয়েক রাউন্ড করে চড়ানো হয়ে গেছে। কত হাজার টাকার বিল হবে তার ঠিক নেই। সেটা অবশ্য কোন 'ইস্যু' না। মস্তি করতে গেলে এই পেটি অ্যমাউন্ট নিয়ে 'ব্রুড' করলে হয় না। সকলেরই পকেটে ক্রেডিট কার্ড ... ...
তোমার ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছে নদীর জলেএই নদীতে টাকার কুমির থাকে লোকে বলে!হায়রে জনকনড়বে টনকছবিটা যদি গিলে ফেলে !?নিরামিষাশী কুমির নাকি কালো মুদ্রা খায়খাল কেটে এনেছে তাকে সেই ভরসায়!সাদা কালোফ্লপ হলোএখন তাকে কে তাড়ায়!?
সম্প্রতি নয়া সংসদ ভবনের মাথায় নির্মিত অশোক স্তম্ভকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে ভারতীয় রাজনীতি। অনেকের অভিযোগ অশোক স্তম্ভে উপস্থিত সিংহ মূর্তিতে হিংস্রতা আনবার ফলে সম্রাট অশোক ও দেশের শান্তিপ্রিয় সহিষ্ণু ভাবমূর্তিতে স্পষ্ট ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেকেই অশোক স্তম্ভে উপস্থিত সিংহ মূর্তিতে হিংস্রতা আনবার বিষয়টিকে সমর্থন জানাচ্ছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কের অবসান করতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে ভারতবর্ষের জাতীয় প্রতীক অর্থাৎ অশোক স্তম্ভের সাথে মহান সম্রাট 'অশোকের' নাম জড়িয়ে এবং সম্রাট অশোকের আদর্শের বার্তাবাহক এই স্তম্ভ। বহু ঐতিহাসিকের মতে সম্রাট অশোক ছিলেন সমগ্র বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নরপতিদের মধ্যে একজন। ইতিহাস এমন বহু শাসকের ... ...
আছে যতো কুমড়োপটাশআস্তে আস্তে হচ্ছে ফটাশবাজছেনা ঢাক চড়াম চড়ামজেলখাসিতে ভরছে ড্রামনব অন্নে পরছে পোকাকেউ বা চালাক কেউ বা বোকাপদ্মবনে আনন্দ বায়ুগরম শিক নরম পায়ুগেরুয়া মাথায় বিহারি ঘোলমারাঠা দেশে এক্সট্রা ঝোল
....
...
....
ছোটোবেলায় উঠোন ছুঁয়ে যাওয়া চাঁদের আলো এক আকাশ তারাদের নিয়ে মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতো! আর আমরা যারা তখনো সিলেবাসের চাপ কী জানতাম না তারা অমলকান্তির মতো আলুকাটা, ঘুগনি খেতে খেতে বলতাম দেখ দেখ চাঁদ দৌড়াচ্ছে।
বাঙালি চলতি হাওয়ার পন্থী, তাকে ক্যালেন্ডারের দুয়ো দেখাতে যাওয়া অর্বাচীনের কাজ।তাই বৈশাখ মানেই অলওয়েজ পঁচিশ।এর বাইরে আমাদের বাংলা তারিখ মনে রাখার কোনো হুলিয়াই নেই, এই সবই আবার মনে রাখার সংস্কৃতি দেখানোর তাগিদে।তাই আমিও বচ্ছরকার প্রথম দিন পয়লা না পহেলা লিখব বলে দ্বন্দ্বে পড়ি।নত্ব-সত্ব না জানা লোকেদের এসব হয়.. মুগ্ধবোধ পড়িনি তাই মনে যা আসে তাই লিখে দিই।কিন্তু আরেকটা নতুন নববর্ষের ঠিক আগে আগেই যখন এই লেখা লিখছি, তখন নববর্ষ মনে আমার একটা গোটা দিনকেই মনে হয়, যা সেই চৈত্রের শেষ বিকেল থেকে শুরু হয় আর বৈশাখের প্রথম দিনেই শেষ।শুধু কি তাই?এতটুকুতেই শেষ?হালের বাঙালির এক সপ্তাহের নিউ ইয়ার ইভ, এক পক্ষকালের ... ...
তপস্যা প্রদীপ দে অনেকতো হল এবার মাটিতে নামো, দেখো কত ধানে কত চাল? স্বর্গ থেকে নিচের নরক দেখতে খুবই সুন্দর লাগে না? আর লাগে এই অভুক্ত হাড়লিকলিকে মানুষগুলোকে দেখতে? এই নরকেও তারা তোমাকে দামী সিংহাসনে বসিয়ে ফলমূল না হলে, নিদেনপক্ষে গুঁজিয়া নকুলদানা দিয়ে আদর আপ্যায়ন করতে করতে রাত কাবার করে দেয় কিন্তু একটা সময়ে তাদেরো মনে হাজার কৌতূহলী প্রশ্ন আসে তুমি আছোতো সিংহাসনে নাহোক অন্ততপক্ষে স্বর্গে?নাহলে যে সবাই ধোকা খেয়ে বোকা বনে যাচ্ছে …ঠিক যেমন করে ধোকা দিচ্ছে ভেকধারী সাধু সন্ন্যাসীরা। ভালো প্রফেশন! মজায় দলবদ্ধ ভাবে পুরিষ্ট নাদুসনুদুস শরীর এসি গাড়িতে চড়ে বাজার করা থেকে ভাষণ দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ মহান দায়িত্বে ... ...
আজ বাইশে শ্রাবণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস।মহাকালের চেনাপথ ধরে প্রতিবছর বাইশে শ্রাবণ আসে। এই বাইশে শ্রাবণ বিশ্বব্যাপী রবী-ভক্তদের কাছে একটি শূন্য দিন।‘আমারই জন্মদিন মাঝে আমি হারা’সত্যিই আজ তোমাকে খুবই প্রয়োজন। তুমি কোথায় 'গুরু' ? "সভ্যতার সংকট" মূহুর্তে সমাজের এই "অচলায়তন"-এর প্রাচীর ভাঙবে কে?পঞ্চক ও সুভদ্র আজ কোথায়???আজ একশত বছর ধরে বন্ধ বাঙালি দরজা, খুলবে কে?এবার যে তোমার আসার সময় হয়েছে, গুরুদেব আপনার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনি এলে তবেই আমাদের মুক্তি... ... ...
মাছ খাইবা ইলিশি, চাকরি করিবা পোলিশি - এটি একটি ওড়িয়া ভাষায় প্রচলিত প্রবাদ। মানেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আজকে বাঙালির রসনায় মাছের সেরা মাছ ইলিশ নিয়ে দু চার ক্থা। প্রথমেই বলি ছোটবেলার স্মৃতি। বাবাকে দেখতাম মাঝে মাঝে অফিস ফেরৎ হাতে ইলিশ ঝুলিয়ে ফিরতেন। তখন মনে হয় সান্ধ্যকালীন বাজারে গঙ্গার ঘাটে ইলিশ উঠত। বিক্রেতারা সুন্দর কায়দায় ইলিশের মুখে দড়ি দিয়ে ক্রেতাদের হাতে দিতেন। বেশ হাতে ঝুলিয়ে আনা যেত। এভাবে কখনো কখনো জোড়া ইলিশও আসতে দেখেছি। সেদিন বাড়িতে অবধারিতভাবে খিচুড়ি হতো। মার হাতের খিচুড়ি, সুরভী বা ঝর্নার গাওয়া ঘি আর ইলিশ মাছ ভাজা, বাইরে বৃষ্টি, এর পরে সিধে বেহেশত যাওয়াটাই ... ...
অবন মনের ক্যানভাসে তুমি বাউল দু'বাহু তুলেতারই জন্মদিনে তে কবি 'মৃত্যুঞ্জয়' হলে !এখন শ্রাবণ প্রলয় প্লাবনঅশনি আকাশ তলে !!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ – ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) / (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। আমরা প্রায় সকলেই অবহিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম 'ভানুসিংহ ঠাকুর' ৷ কিন্তু তিনি বাল্যে ও কৈশোরে যে আরও আটটি ছদ্মনামে ... ...