শুক্কুরবার রাতের কবিতার পাতায় আজ প্রকাশিত হলো কবি ও গদ্যকার বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাগুচ্ছ। ... ...
... ...
সাংবাদিকরা ভেবেছিলেন তাঁরা শ্রমিক নন। তাই বুঝে উঠতে পারেননি চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে ঠিকা শ্রমিকের চেয়ে বেশি অধিকার দাবি করা যায় না। আর জোট বেঁধে দাবি পেশ করার অধিকার না থাকলে কোন অধিকারই থাকে না। ... ...
রজতাভ দত্ত বা গৌতম ঘোষ ধৈর্য্য ধরার কথা বলছেন বটে, কিন্তু তাঁরাও জানেন, তেমন অবকাশ টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই নেই। ... ...
প্রয়োজন আছে, তবে সে তুলনায় মান নেই বা দাম। প্রাইভেট টিউটররা যেন ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। আমাদের রোজগার নেই, ক্রমশ ফুরোচ্ছে নুন-পান্তা। ঘিরে ধরছে অচেনা দারিদ্র্য আর অবসাদ। ... ...
কেউ কি বলতে পারেন, কবে করোনার টিকা আবিষ্কার হবে? কবে এই টিকা বাংলাদেশ পাবে? কবে বা ফুরাবে এই দুঃসময়? জানি না, কবে স্বপ্নের রেস্তোরাঁটি আবার খুলতে পারবো! ... ...
আশৈশব লিঙ্গ-বৈষম্যের শিকার এক তরুণীর বিদ্রোহ। বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে তার যাচিত ও অযাচিত সম্পর্কের অভিজ্ঞতা। তার স্বাধীনচেতা মনের পায়ে সমাজের বেড়ি। নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা কোন্ পথে—এ সবের মধ্যে দিয়েই সে প্রশ্নের খোঁজ-করা একটি উপন্যাস। পড়লেন মীরাতুন নাহার। ... ...
কলকাতার ধোঁয়া, ধুলো, শব্দ-ব্রহ্ম ও ব্যস্ততা থেকে বাঁচতে দক্ষিণ শহরতলির এক নিরালা অঞ্চলে নতুন ফ্ল্যাট নেয় ত্রিদিব ও বন্যা। কিন্তু তাদের নিরুপদ্রব জীবনে নেমে আসে এক নতুন উপদ্রব। তাদের শান্তি ও স্বস্তি ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। অস্থির ত্রিদিব ভেবে পায়না কী করবে? গুরুচণ্ডা৯তে পূর্বপ্রকাশিত শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য্যর লেখা ছোট গল্প 'আউশভিত্স' এর শ্রুতি কাহিনী বা অডিও স্টোরি প্রকাশ পেল ইউটিউবে স্টোরিওয়ালাস প্রোডাকশনস-এর হাত ধরে। ... ...
খাভিয়ের সেরকাস। সাম্প্রতিক স্প্যানিশ সাহিত্যের অন্যতম প্রধান নাম। ম্যাজিক রিয়েলিজম-এর ধারায় বিশ্বাসী নন তিনি। বরং মনে করেন রিয়েলিজম-এর মাঝেই ঝিলিক দেয় ম্যাজিক। তাঁর লেখালিখি আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক। সেরকাসের বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘সোলদাদোস দে সালামিনা’ (সালামিনার সৈনিকেরা) পড়লেন স্প্যানিশ ভাষার শিক্ষক ও তরজমাকার জয়া চৌধুরী ... ...
কামাখ্যা দেবীপীঠ। তীর্থস্থানই শুধু নয় নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি সংস্কৃতির পীঠ। তারই উৎসব, বিশ্বাস, পরম্পরা, রূপকথা, ব্রত ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে স্পন্দমান মানুষের জীবন নিয়ে একটি সাম্প্রতিক অসমিয়া উপন্যাস বাংলা তরজমায় পড়লেন তৃষ্ণা বসাক। ... ...
কুররাতুলায়েন হায়দার। স্বাধীনতা-পরবর্তী জমানায় উর্দু সাহিত্যের বহুধাপ্রবাহিত আধুনিক ধারার একটি বিশেষ স্রোতের অন্যতম পথিকৃৎ—যা প্রবাহিত মূলত মনের বিচিত্র উপত্যকা দিয়ে। বহুবর্ণময় তাঁর সাহিত্যের চরিত্রগুলি—এদেশের, বিদেশের, নানা জাতের, নানা শ্রেণির, নানা ভাষার। তেমনই কথাসাহিত্যের বিভিন্ন ধারায় ছিল তাঁর অবাধ গতায়াত— উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, ভ্রমণকহিনি। সমসাময়িক অন্যান্য উর্দু সাহিত্যিকের থেকে তাঁর দরিয়ার প্রবাহ ভিন্নতর। আলোচনায় লেখক ও উর্দু থেকে বাংলা ভাষায় সাহিত্য-তরজমাকার সঞ্চারী সেন। ... ...
মেরে ভি সনমখানে। লেখক কুররাতুলায়েন হায়দার। প্রথম প্রকাশ ১৯৪৯। সমসময়ের ঘটনাক্রমের প্রেক্ষিতে লেখা এ উপন্যাসের কাহিনি। দেশভাগের বিভ্রান্ত, রক্তাক্ত দিনকালের ছবি, উপমহাদেশের অসংখ্য মানুষের ওপর তার মর্মন্তুদ প্রভাবের দলিল। ২০০৪ সালে ইংরেজি তরজমা করেন তিনি নিজেই—মাই টেম্পলস টু। পড়লেন দময়ন্তী। ... ...
হাতপাখা থেকে কুঁজো-কলসি, এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে হরেক দৈনন্দিন কাজের জিনিসও ছিল পরমাশ্চর্য শিল্পে সজ্জিত। আজ তার সিংহভাগ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার মুখে। মাটির সরা এমনই এক শিল্পের চমৎকার উদাহরণ। এই লুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যের বিষয়ে একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন লেখক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক রঞ্জন সেন। ... ...
তিন নবীন কবির তিনটি বই। ‘এই প্রজন্মের নারীকবিদের কালো কবিতা এসব। মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয় মেয়েদের এই যাপনের মধ্যে।’ পাঠ করে লিখছেন কবি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়। ... ...
কিন্তু টিন গুদাম, দর্মা লাইন, এবং ২৪ নং বাড়িতে লুটের প্রেক্ষিত কী ছিল? আমরা জানতে পারি যে এর পিছনে এমন কিছু কারণ রয়েছে, যার শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত, আর রয়েছে ইন্ধন জোগানোর ঘটনা। ভাটপাড়া বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং তৃণমূলের যুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অর্জুন সিংহের ছেলে পবন সিংহের বিরুদ্ধে মদন মিত্রকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়। অর্জুন সিংহ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজয়ী হওয়ার ফলে, তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। আর তার ফলেই ভাটপাড়া বিধানসভায় বিধায়কের আসনটি খালি হয়। মদন মিত্রের কাছে এটা ছিল ‘ওয়াটারলুর যুদ্ধ’র সমান। ... ...
ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। বললেন, 'যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে তখন কি করব? বাড়ির বাইরে তো বেরোতে পারবো না? না না..... এখন টেস্ট করা যাবে না। এমনিতেই কোথা থেকে টাকা জোগাড় করবো সেই চিন্তায় ঘুম নেই।' ... ...
ছেলেটার কিছুই করার নেই তখন, কিছু করার ইচ্ছেও নেই বোধ হয়। টিলা থেকে নেমে একটু হাঁটা-চলা করে আবার এসে বসলো ঐ টিলার ওপরেই। ঝোলা গোছের কিছু একটা সঙ্গে ছিলো তার, সেটা থেকে বের করলো মিইয়ে যাওয়া একটা মুড়ির মোড়ক, সেটা খুলে মুড়িটা খেয়ে খানিকটা হেঁটে একটা ঝর্ণার জল খেয়ে নিলো পেট ভরে, তারপর আবার ঐ টিলার ওপরেই ফিরে এসে শুয়ে পড়লো চিৎ হয়ে। সন্ধ্যে হয়ে এসেছে তখন, ওপরের নীল আকাশটায় লেগেছে সূর্যাস্তের রঙের ছোঁয়া, ভাসমান এক-একটা সাদা মেঘ এসে সেই নীল ক্যানভাসে লাল-কমলা রঙের ওপর ছোট ছোট প্যাটার্ণ তৈরি করছে; সেই অপরূপ দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যেন বুজে এলো তার ক্লান্ত চোখ দুটো, না জেনেই ঘুমিয়ে পড়লো সে। ... ...
মেয়েদের সবার নাম হয় গুলরুখ , গুলচেহরা বা গুলবদন । আরেক গুলরুখের আনাগোনাও শুনতে পেয়েছিলাম আরও বেশ কিছু পরে । ইতিহাসে এইসব গুলরুখদের নাম লেখা থাকে না । সেই গুলরুখের ভালোবাসার সখী ছিল জাহান আরা । গুলরুখ, জাহান আরার জন্য কত নতুন গান বাঁধত । কত নাচের মুদ্রা শিখত শুধুমাত্র শাহজাদির মন মাতানোর জন্য । এরকমই একটা সন্ধে নিয়ে এসেছিল গুলরুখের যত্নে শেখা নাচ , জাহান আরার সামনে । সবে সন্ধে নেমেছে । একটা একটা করে বাতিদানে বাতি জ্বালিয়ে দিচ্ছে মহলের মেয়েরা । টানা বারান্দায় সারি দিয়ে প্রদীপ । সে যে কী অপূর্ব দৃশ্য ! ... ...
সেদিন বাজারের কাছে অনিলদার সংগে দেখা। দেখলাম আরো রোগা হয়ে গেছেন। হাতে একটা লাঠি। আমায় দেখতে পান নি।আমিই এগিয়ে গিয়ে কথা বললাম। খুব খুশি আমায় দেখে। বললেন - তোমার বৌদি চলে গেছে জানো। হঠাৎ তিন দিনের জ্বরে চলে গেল। একা হয়ে পড়েছি বড্ড, বুঝলে। চোখেও কম দেখি আজকাল। তাই বই পড়াও বন্ধ। তারপর একটু চুপ করে রইলেন, তারপর বললেন - আমি এখন এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকি বাসু। না, স্ব-ইচ্ছায়। ছেলেটা নিজে দেখেই বিয়ে করলো এক সময়। আমায় বলতে পারছিল না। ওর মাকে বলে যে আমার শ্বেতী থাকাটা ওর হবু বৌএর পছন্দ নয়। আমরা সংগে না থাকলে সে বিয়ে করতে পারে। আমি বলি - বিয়ে করুক ও। কলকাতার দিকে ফ্লাট কিনুক। আমি কিছু টাকা দিচ্ছি। ... ...
অতিমারি এবং লক ডাউনের আড়ালে, পার্লামেন্টকে এড়িয়ে এই নতুন শিক্ষানীতি পাস করিয়ে নেওয়া হল। আয়তনে বিশাল, বাইরেটা কথার ফুলঝুরিতে উজ্জ্বল এই নীতিকে টুকরো টুকরো করে বোঝার চেষ্টা হয়েছে। দেখা হয়েছে কী ভাবে স্কুল লেভেল থেকেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে দাস বানাবার যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। এই নীতির শুরুতেই বলা হয়েছে অতি উচ্চ গুণমানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া হবে নার্সারি থেকে ১২ ক্লাস অব্দি ভারতীয় শিশু, কিশোর-কিশোরীকে। বিশ্বব্যাংক ঋণ দেবে, ফলে তার মনমতো করেই তৈরি হল এই পলিসির আগাপাশতলা। তবে টাকা দেওয়া হবে কিন্তু কেবলমাত্র বিশেষ বিশেষ প্রোগ্রামে। তেমনি একটি প্রিয় প্রোগ্রাম STARS যা আগেই চালু করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ব্যাপারটি কী সেটা অনেকেই জানেন। ... ...