সেদিন খুব ভোর ভোর সৌমিত্র হাজির হলেন উত্তমকুমারের বাড়ি। সেখান থেকে দুজনে গড়ের মাঠে যাবেন উত্তমকুমারের গাড়িতে করে। এমনটাই চলছিল বেশ কয়েকদিন। এমনিতে উত্তমকুমার আর সৌমিত্র দুইজনাই একদম সাহেবী টাইম মেনটেন করতে ভালোবাসেন। সৌমিত্র পৌঁছালে দুজনে এককাপ করে চা খেয়েই বেড়িয়ে যেতেন গাড়ি নিয়ে। অন্যদিনের মত বাড়ি ঢুকেই সৌমিত্র হাঁক দিলেন, “বৌদি, চা দাও”। কিন্তু সেদিন আশেপাশে উত্তমকুমারকে দেখা গেল না। বরং বাড়ির ভিতর থেকে দাদার আওয়াজ ভেসে এল, “পুলু, তুই খানিক বসে চা খা – আমি আসছি”। ... ...
যখনই এমন মাধুর্য এসে হানা দেয় জীবনে... তখনই আমরা ভেসে চলি আনন্দে। ... ...
যত গভীরে ঢুকব দেখব তত মজার ব্যাপার – যেহেতু শুরু করেছিলাম যদুবাবুর চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে লেখাটি উল্লেখ করে, তাই আজকের পর্ব শেষ করি যদু বাবুর লেখা দিয়েই। ওই পর্ব একজায়গায় উনি লিখেছেন, “উৎক্ষেপণের ঠিক ৭৩ সেকেন্ডের মাথায় চ্যালেঞ্জার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বিস্ফোরণে – সাতজন নভচরের সকলেই প্রাণ হারান মুহূর্তেই”। এই যে “মুহুর্তে প্রাণ হারানো ব্যাপারটা”, এটা চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা নিয়ে অনেকে লেখাতেই দেখা যায় – আদপে এটা একটা মিথ। এমনকি যেটাকে ‘বিষ্ফোরণ’ বলে জেনারেলাইজ করা হয় সেটা ‘ক্রু কম্পার্টমেন্টের’ জন্য প্রযোজ্য নয় – স্পেস শাটলটা ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছিল, বিস্ফোরণে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায় নি। মহাসমুদ্রে আছড়ে পড়ার মুহুর্তেও ক্রু কম্পার্টমেন্টটি ছিল অক্ষত, এবং তার ভিতরে ক্রু এবং প্যাসেঞ্জারের অনেকেই বেঁচে ছিলেন তখনো! এই “মুহুর্তে প্রাণ হারানো” আর “মহাসমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়ার পর মৃত্যু” এই দুই পৃথক তথ্য কি রুট কজ অন্যালিসিস-কে প্রভাবিত করতে পারে? পারে, প্রবল ভাবেই পারে। ... ...
বিগত কয়েকশো বছরের সময়সীমা জুড়ে ধর্মকে কেবলই সরতে হয়েছে ‘ইতিহাস’ নামক নাটকটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক চরিত্র থেকে ক্রমশ গুরুত্বহীন হতে থাকা পার্শ্বচরিত্রে । একেই পণ্ডিতেরা আজ বলছেন ‘সেক্যুলারাইজেশন’, বাংলায় হয়ত বা কোনও মতে বলতে পারি ‘ধর্মনিরপেক্ষীভবন’ । এ প্রক্রিয়ার তিনটে দিক । প্রথমত, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর থেকে ধর্মের রাশ আলগা হয়ে যাওয়া, প্রশাসন-অর্থব্যবস্থা-সেনা-শিক্ষাব্যবস্থা এইসব থেকে ধর্মের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া । দ্বিতীয়ত, জ্ঞান-চিন্তা-শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির জগতে আধুনিক বিজ্ঞান যুক্তিবাদ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের দ্বারা ধর্মের তাত্ত্বিক পরিসরটি দখল হয়ে যাওয়া । এবং তৃতীয়ত, ব্যক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ও মনোজগতে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত ক্রমশ আলগা হয়ে আসা । বোঝা যায়, প্রক্রিয়াটি অনতিসংক্ষিপ্ত, জটিল, বহুমাত্রিক, বহুস্তরীয় । ‘সেক্যুলারাইজেশন’ নিয়ে চর্চা, কাজে কাজেই, খুব সোজা না । ... ...
ওয়াই একজন তরুণ প্রফেসর; মাত্র কয়েকবছর আগে সে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনিওর পেয়েছে। ব্রুকলিনের ক্যাম্পাসে তাকে যে অফিসটা দেওয়া হয়েছে, সেটা ছোটো হলেও তার পছন্দসই। সে প্রকৃতপক্ষে ক্যানেডিয়ান, তার কলেজজীবন কেটেছে টরন্টোতে। আন্ডারগ্র্যাডে সে জেডের ছাত্র ছিল। নিজের রিসার্চ কম্যুনিটিতে জেড একজন নামকরা গবেষক; যদিও তাদের আগ্রহ আলাদা আলাদা বিষয়ে বলে ওয়াই জেডের সাম্প্রতিক কাজগুলো সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিল না। গত তিনবছরে জেডের কোনো পেপার সে পড়েনি। ... ...
সামনে দিগন্তজোড়া ক্যানভাসে চলছে রঙে রেখায় ছবি আঁকা। কমলা থেকে লাল হয়ে মেরুণ হয়ে সূর্য টুপ্পুস করে নেমে যায়, ডুব দেয় দিবাঙে। বিশাল উপত্যকা ছড়িয়ে থাকে রূপোলি থেকে নীল হয়ে পার্পল হয়ে যাওয়া দিবাঙের ধারাগুলো বুকে নিয়ে, কমলালেবু গাছেরাও সেজে ওঠে লাল কমলার নানা শেডে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে আরো পঁয়তাল্লিশ মিনিট কি একঘন্টা পশ্চিম আকাশ ধরে রাখে রঙের ছোপ। ওখান থেকে নেমে ভেতরের প্রাঙ্গনে এসে দাঁড়াই, খাবারঘরের জানলা দরজা দিয়ে লালে লাল আকাশ আর মাথার উপরে পেট্রোল ব্লু আকাশ ধীরে ধীরে মুছে নেয় মনের উপর লেপ্টে থাকা কালো অন্ধকার। ‘কলুষ কল্মষ বিরোধ বিদ্বেষ হউক নির্মল,হউক নিঃশেষ-‘ সুচিত্রা মিত্রর জোরালো বলিষ্ঠ গলার সাথে মিশে যেতে থাকে আমার গলা। ... ...
ফচকেমির গল্প ... ...
কাশ্মীর সমস্যাকে আবেগ ও অনুভূতির জায়গা থেকে দেখতে হলে স্মৃতিকথার গুরুত্ব আছে। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের হত্যা,উচ্ছেদ, উদবাস্তু হওয়া যেমন সত্য, সাধারণ কাশ্মীরী মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ইতিহাসও কম মর্মবেদনার নয়। তাই এসমস্ত কিছুকে সামগ্রিক ভারসাম্যের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এই আলোচনার অবতারণা। এখানে দৃষ্টিকোণ মূলত বইগুলির লেখকদের। ... ...
আসল কথা হল, রামমন্দির হয়ে গেছে। বাবরি মসজিদ নিয়ে কথা বলে না আর কেউ। এবার আমরা যাবো মথুরা। শাহী ইদগা ভেঙে সেই জায়গায় মাখনের হাঁড়ি বসাবো (যদিও মাখন-ইতিবৃত্ত বেন্দাবনের, মথুরায় কেষ্টা পিউবার্টি পেরিয়ে গেছিল)। ইতোমধ্যেই কোর্টে কেস ঠুকে দিয়েছি। জিতে গেলে তো কথাই নেই, না জিতলেও, কে আটকায়? ... ...
১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ চার্টারের অন্যতম ফাউনডার মেম্বার ইউক্রেন।সমীর সার আরও বলেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগ দেবার সময়ে ইউক্রেনকে স্বতন্ত্র হয়ে যাবার (রাইট টু সিসিড) অধিকার দেওয়া হয়, সংবিধানের ৬৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী। মহান অক্টোবর বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগ দেয় নি। দেশের মধ্যে বিবদমান নানা দলের লড়াই চলছে সেই সুযোগে সোভিয়েত ইউনিয়ন বন্ধুর হাত বাড়িয়ে বলল – আহা, আপোষে ঝগড়া ঝাঁটি করো না। এসো আমার ঘরে এসো। আমি তোমার বড়ো ভাই। গলে মিলো। সেটা ১৯২২। সেই আলিঙ্গন থেকে মুক্তি চাইছে ইউক্রেন। ... ...
নামদাফায় যদিও বিগ ক্যাট প্রজাতির চার রকম প্রাণীর (টাইগার, লেপার্ড, স্নো লেপার্ড, ক্লাউডেড লেপার্ড) সন্ধান পাওয়া যায় তবে এতটা নীচে লোক চলাচলের পথের এত কাছে তারা আসে না, বলা ভাল তাদের আসার দরকার হয় না (ভাগ্যিস!), জঙ্গল এখনো যথেষ্ট ঘন এবং জঙ্গলের অনেকটাই মানুষের, অন্তত শহুরে মানুষের জন্য প্রায় অগম্য স্থান। কিন্তু চোরাই কাঠ পাচারকারিদের উৎপাতে বেমক্কা বন নিধনের ফলে নামদাফার জীববৈচিত্র্য অনেকটাই ঝুঁকির মুখে। আর কতদিন তথাকথিত উন্নয়নের জাঁতাকল ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নামদাফা বাঁচবে জানি না, এখনো অন্তত অনেকটাই আছে। এমনকি নদীর ওইপারের কোর এরিয়াতে না ঢুকলেও প্রজাপতিই যে কতরকম দেখা যায়, পাখি সেও তো কতরকমই দেখা যায় আর দেখা যায় নানারকম রঙ বেরঙের পোকা। ও হ্যাঁ নামদাফায় কিন্তু প্রচুর অজস্র জোঁক। এখানে পাঁচ রকম বিভিন্ন প্রজাতির জোঁক দেখা যায়। শুকনো আবহাওয়ায় এমনিতে জোঁক কম হলেও ডিসেম্বরেও কিছু জোঁক দিব্বি মানুষের গোড়ালি কিম্বা জুতোমোজা ও জিন্সের ফাঁক গলে পায়ের গোছে ঝুলে পড়েছে। ... ...
দেবান বাংলোটা এমন জায়গায় যেখান থেকে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত কিছুই দেখা যায় না। কিন্তু সূর্যাস্তের দেড়ঘন্টা পরেও নদী পেরিয়ে জঙ্গলের ওই কোণায় যে দক্ষিণ পশ্চিম আকাশ তার দিগন্তরেখা ঘেঁষা আঁচল টকটকে লাল হয়ে থাকে। গোটা আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে, আমলকি গাছের মাথায় হীরের দুলের মত ঝকঝকে সন্ধ্যাতারা, আস্তে আস্তে একটি দুটি করে রাতের ক্লাসে হাজিরা দিচ্ছে অন্য তারারাও, তবুও দিগন্তের আঁচল তখনো লাল থেকে গাঢ় লাল হয়ে মেরুণ হয়ে আসছে আর সেই রঙটুকু ফোটাতেই যেন অল্প একটু তুঁতেনীল লেগে আছে উপরে। ... ...
ছেলেবেলার শবেবরাতগুলো ছিল বেশ আদরের। সকালে শীতের আমেজ। রোদ ঝলমল। বিকেলে হাল্কা ঠান্ডার উলের হাফ শোয়েটার। রমজান মাস আসছে।তারই আনন্দমুখর ট্রেলার শবেবরাত। স্মৃতি গুলো আজও মনে বাঁসা করে আছে। ক্ষনে ক্ষনে ঝিলিক দেয়। মনের অতল গভীরে কিজানি আবার মিলিয়েও যায়। মধুর স্মৃতি, আবার বেদনারও বটে। এ বেদনা মধুরতা গুলো নতুন করে ফিরে না পাবার বেদনা। এ বেদনা কাঁদায় না। শিহরণ জাগিয়ে যায়। শৈশবটা গ্রামে কাটিয়েছি। মুসলিমপ্রধান গ্রাম। নাম শাহনগর। ধর্মীয় গোঁড়ামি তেমন ছিল না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গানবাজনা, নাটক, ... ...
পাশের গ্রাম বিসলি থেকে সাইমন এলেন কাল সন্ধ্যেয়। মা ইউক্রেনিয়ান, তাঁর বাবা জন্মেছেন মুসুরিতে, ইংরেজ , কলকাতার ডন বসকো স্কুলে পড়েছেন! সাইমনড় স্ত্রী ইরিনা ইউক্রেনিয়ান দিদিমা নাৎসিদের অগ্নি চুল্লী থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ইংল্যান্ডে আসেন। সাইমন একদা বার্লিনে কাজ করেছেন ভালো জার্মান বলেন। আমাদের সংগ্রহশালা থেকে টিনের খাবার, জামা কাপড় নিয়ে গেলেন। জানা গেলো এতো সামগ্রী জড়ো হচ্ছে যে এবার যাত্রা হবে ট্রাকে। সারি সারি ট্রাক চলেছে পোল্যান্ডের দিকে। ওষুধ পত্র পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে ছোট প্লেনে। বালিগঞ্জের বিভিন্ন ফারমাসি থেকে আমার যোগাড় করা দুশো আমক্সিসিলিন উঠবে সেই প্লেনে। ঘড়ির কাঁটার মতো চলছে কাজ। ... ...
ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো সামাজিক বিধি-বিধান থেকে অথবা আশঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তির আশায়। কিন্তু সেই ধর্মই এখন সারা বিশ্বের অন্যতম উদ্বেগের মূল কারণ ... ... ...
এই যুদ্ধ প্রতি মুহূর্তে ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাদের পরিবারকে এবং পূর্ব ইউরোপের অনেক বন্ধুজনকে। আমার রোমানিয়ান স্ত্রীর কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালটা গল্পে পড়া কাহিনি নয়। মাখনের জন্য দীর্ঘ লাইন। কাঠের টুল পেতে হোম ওয়ার্ক করেছে সেখানে। যে কোনো বিরোধী মতামতের মানুষকে পাড়া থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখেছে নিয়মিত। অত্যন্ত গোপনে রেডিও ফ্রি ইউরোপ শুনেছে বাবার পাশে বসে। চাউসেস্কু শহর ভ্রমণে বেরুলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পতাকা নেড়েছে। সেটাই নিয়ম ছিলো। ... ...
এই ভয়ঙ্কর ঘৃণা, হিংসা, যুদ্ধ এবং মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার দিনে, পরিবেশ ও জলবায়ু ধ্বংসের দিনে সাধারণ মানুষ কি লড়াই করতে আদৌ পারবে? না কি ১%'এর নিপীড়নে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে? আমি আমার কথা লিখলাম। ... ...
দেবযানী ভট্টাচার্য লিখিত কলিকাতার কসবি কিস্সা বইটির আলোচনা। ... ...
এই ধরুণ যেমন আমরা সবাই জানি নায়ক সিনেমায় উত্তমকুমারকে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের খন্যান স্টেশনে চা-খেতে নামিয়ে মাষ্টার স্ট্রোক দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনদিন ভেবে দেখেছেন কি এত স্টেশন থাকতে খন্যান কেন? এখনকার খন্যান স্টেশন আর সেই ১৯৬৫-৬৬ সালের খন্যান স্টেশনের মধ্যে যদিও অনেক পার্থক্য, কিন্তু তখনো খন্যান স্টেশনের একদিকে ছিল তালান্ডু আর অন্যদিকে পান্ডুয়া। তাহলে খন্যান কেন? ... ...
অনেক অনেক দূরে শাল বনের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একটা লাল মাটির পথ ছিল আর পথের শেষে ছোট্ট একটা গ্রাম। সেই গ্রামে একটা ছোট্ট মেয়ের বাড়ি। জানি এ পর্যন্ত পড়েই আপনারা ভুরু কুঁচকে ভাবছেন, এ আর নতুন কথা কি? পথের শেষে গ্রাম থাকবেই আর সে গ্রামে যে একটা না একটা মেয়ে থাকবে সেও তো জানা কথাই। এ আর নতুন কি? আহা, ধৈর্য ধরে একটু শুনুনই না. হয়তো নতুন কিছু আছে এ গল্পের শেষে। যাকগে যা বলছিলাম, গ্রামের সেই ছোট্ট মেয়ে একটা কুঁড়েঘরে থাকে তার মা বাপের সাথে। মেয়ের নাম বাহামনি, না আপনাদের সিরিয়ালের নয়, এ ... ...