থাপ্পড়ের রকম ফের ... ...
ধেড়েখোকার প্রত্যাবর্তনের পর কিছুদিন রগড়ারগড়ি চলবে। তৃণমূল বলবে ,ঘরের কার্তিক ঘরে ফিরে এল। বিজেপি বলবে ,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো। তথাগত রায় প্রায় থ্রিলারের ভাষায় টুইট করবেন, কে এস ডি এ গ্যাং ( কৈলাশ আর দিলীপ ছাড়া গ্যাংয়ের বাকি দুই সদস্যের নাম আমার মনে থাকে না) মমতা ট্রোজান হর্স ঢুকিয়ে ছিল বিজেপিতে। তবে এসব দুদিন বাদে থেমে গেলেও একটা ব্যাপার নিশ্চিত বামপন্থীদের নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে বেশ কিছুকাল কামড়া কামড়ি চলবে। ... ...
দেশদ্রোহ বিষয়ক আইনের ধারা ও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ... ...
প্রথম উপন্যাসে প্রোজ্জ্বল কোনো দার্শনিক প্রস্তাবনা, ন্যারেটিভের জটিলতা , ব্যক্তিমনের অন্তর্লীন শুলুকসন্ধানে প্রবৃত্ত হন নি। একেবারে সোজাসাপটা গল্প বলতে চেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর জোরের যে জায়গাটা সেটা হল এই কাজটুকু তিনি ভীষণ আন্তরিকতা আর সততার সঙ্গে করতে পেরেছেন। ... ...
জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন খেলাধুলোর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই, থাকা উচিত নয়। কিন্তু এটাও তো সত্যি যুদ্ধ বাধানোর অপরাধে জার্মানি ১৯২৪, ১৯২৮, পশ্চিম জার্মানি ১৯৪৮ সালে, জাপান ১৯৪৮ সালে অলিম্পিকে যোগদানের অনুমতি পায় নি ; একই কারণে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে জার্মানির দ্বার রুদ্ধ ছিল – একমাত্র বিশ্বকাপ যেখানে জার্মানি খেলেনি। রাশিয়ার আফঘানিস্তান দখলের প্রতিবাদে ১৯৮০র মস্কো অলিম্পিক বয়কট করে পশ্চিমের কিছু দেশ ; বদলা নিতে ওয়ারশ চুক্তির দেশ গুলি (ব্যতিক্রম রোমানিয়া) লস এঞ্জেলস অলিম্পিক বয়কট করে। ... ...
এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৮২৩-২৪ সালে দেশে কলের সুতো এল। হাতে বোনা সুতোর থেকে তার দাম কম। ধীরে ধীরে বাজার ছেয়ে গেল কলের সুতোয়। টিঁকে রইল শুধু খুব মিহি সুতো আর খুব মোটা সুতো, যা পরে দেশের গরীরগুর্বোরা। সেই সময়ে ১৮২৮ সালের সমাচার দর্পনে এক সুতাকাটুনির দুঃখভরা চিঠি বেরোল, তিনি দৈনিক দুই তোলা সুতো কেটে দিনে এক টাকা আয় করতেন। এই কাজ করে তিনি সাত গন্ডা টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, এগার গন্ডা টাকা দিয়ে শ্বশুরের শ্রাদ্ধ করেছেন, ভাত কাপড়ের কোন চিন্তা ছিল না। কিন্তু কলের সুতো এসে তার আয়ের উপায় কেড়ে নিয়েছে। তাঁর দৈনিক কাটা সুতোর পরিমাণ আর আয়ের হিসেব দেখে অবশ্য একটু অবাকই লাগে। কারণ ১৮২২-২৩ সালেও নাকি ক্ষীরপাই, রাধানগরে কোম্পানির কাটুনিদের মাসিক আয় ছিল ৩ টাকা আর মালদহে ২টাকা ৮ আনা। অসামান্য দক্ষতা ছাড়া এই আয় সম্ভব না। তাই আমরা ব্যক্তির দুঃখে দুঃখিত হই, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জয়গান গাইব নাকি মেয়েদের আয়-হরণের দুঃখে কাতর হব তা ঠিক বুঝে উঠি না। ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
রেমডেসিভির বিষয়ক দু-একটি কথা। দেখা যাচ্ছে যে ধরণের প্রমাণের ভিত্তিতে রেমডেসিভিরকে আমেরিকার এফ ডি এ ছাড়পত্র দিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রমাণ খুব জোরালো নয়। এতৎসত্ত্বেও ভারতে রেমডেসিভির নিয়ে এক ধরণের উন্মাদনা তৈরী হয়েছে কি? ... ...
কুলদা রায়ের সাহিত্য নিয়ে একটি লাইভ আলোচনায় আমন্ত্রিত হয়ে কিছু কথা বলার সুযোগ হয়েছিল স্বয়ং লেখকের উপস্থিতিতে। তার থেকে অনেক বেশি কথা না বলা থেকে গিয়েছিল, সময় সংক্ষেপের কারণে । সেই বলা এবং না বলা কথা, যা ছিল ঐ আলোচনার একটি প্রস্তুতি পর্বের নোট ,পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। ... ...
সেই হিসেবে দেখলে সুভাষ শেষ দিন পর্যন্ত মোটামুটি ফিট ছিলেন গড়পড়তা বাঙালির থেকে। তার পিছনেও ছিল বিধান রায়ের তৈরী করে দেওয়া ডায়াট চার্ট। বিধান রায় বুঝিয়েছিলেন যে সুভাষ যদি ওই সেনার পোষাক পরে ইমেজ গড়ে তুলতে চান, তাহলে নিজের ভুঁড়ির ব্যাপারটা কন্ট্রোলে রাখতে হবে। কারণ ভুঁড়িওলা যুদ্ধ সেনা প্রধান খুব এক দৃশ্য সুখকর নয়। বিধে-দার সেই পরামর্শ মেনে চলেছিলেন আজীবন সুভাষ। কেবল সেবারে এমিলি-র সাথে বিয়ের পর অষ্ট্রিয়াতে যে দুই মাস ছুটি কাটিয়ে এলেন তখন বেশ খানিকটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ... ...
[ আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পড়ে গেল সে ফাইলে। আর ফাইলের ওপরে মোটা কালো স্কেচ পেন দিয়ে লেখা হ’ল ‘Allergic to ……” সালফার। এই মামুলি অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন এর আগে আর কোথাও এত গুরুত্ব দিতে দেখিই নি। আর এই এ্যালার্জির কারণেই দেখি কতো পেশেন্টের কতো রকমের সমস্যা হ’তে।] ... ...
[ আমার চোখে দেখা আর হৃদয়ে্র অনুভবে জারিত এই ছোট্ট ছোট্ট চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনাগুলি এখনো মোছেনি আমার মাথার স্মৃতিকোষগুলোর থেকে। তার থেকে তুলে আনা এই মণি-কাঞ্চনগুলোয় যেমন পেয়েছি সাক্ষাৎ ভগবানদের, তেমনি কিছু কিছু সাংঘাতিক ঘটনা নেহাৎ-ই সহ্য করেছি উপায়ান্তরহীন যাপনে। ক্রোধে ফেটে পড়েছি মননে। রক্তচাপ বাড়িয়েছি বারংবার – মধ্যবিত্ত মনোভাবনায়। পেয়েছি আচম্বিত বাড়ানো হাত - অকাতর অকৃপন স্পর্শে। কৃতজ্ঞতাও হয়তো অব্যক্ত ছিল আমার পক্ষে সে সময়। তো এইসব ছিন্নবিচ্ছিন্ন ঘটনার কিছু রেশ গ্রন্থিত করছি প্রাণের আনন্দে। এখনো বেঁচে আছি, বেঁচে আছে আমার প্রজন্ম। তাই ভগবানের নামকীর্তন যেমন করেছি অক্লেশে, আবার সেই ‘আতঙ্ক’ চলচিত্রের মতো যেন কিছুই দেখিনি আমি হয়ে পাল্টেছি চরিত্র কিম্বা স্থান-নাম। মহাবীর-বুদ্ধ-নানক-রামকৃষ্ণের পুণ্যভুমিতে আজ হিংসা পৌনঃপুনিকতায় ছড়াচ্ছে বিদ্বেষের লাল আগুন। যে আগুন শুধুই ভস্ম-জন্ম আহ্বান করে। নিরুপায় আমি করজোড়ে মার্জনা চাইছি আমার এটুকু অপৌরুষেয়তার।] ... ...
মুখবন্ধ:গত এক বছর ধরে জ্যাক কেরুয়াকের "wake up" নামে বুদ্ধজীবনী ও সুরঙ্গমা সূত্রের ওপর লেখা একটি বইয়ের অনুপ্রেরণায় একটি বই লিখেছি। পুরো একত্রিত অবস্থায় আপনাদের জন্য এখানে তুলে রাখলাম। এক বছরের গবেষণা, একটু একটু করে লেখা। বাংলায় এর আগে হয়ত বুদ্ধদেবের জীবনী নিয়ে লেখা হয়েছে, বৌদ্ধ ধর্ম নিয়েও লেখা হয়েছে (রাহুল সাংকৃত্যায়ন, বাণী বসু (মৈত্রেয় জাতক), শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা), তথাপি যেটা নিয়ে সেভাবে লেখা হয়নি সেটা বৌদ্ধ সূত্র নিয়ে, থেরাবাদ বৌদ্ধধর্ম নিয়ে, থেরিগাথা নিয়ে। আশা করব আপনারা পড়বেন, ... ...