এই মরশুমের অন্য খেলাটি কৌতুহলোদ্দীপক। আফগানিস্তানের অর্থনীতি চলে আফিম, ফল ও বন্দুকের কুটির শিল্পের উপর। ফল ছাড়া দুটি পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে বেআইনী। কিন্তু কিন্তু কিন্তু - আজারবাইজানের তেল করাচীর বন্দরে আনতে গেলে আফগানিস্তানের জমিনে কব্জা লাগবে। চীন-পাকিস্তান সেই কারনেই তালিবানের পাশে। করাচী থেকে রাস্তা তৈরীর কাজ বহুকাল ধরে চীন চালাচ্ছে। এই সাফল্য যতটা তালিবানেদের তার চেয়ে বেশী চীনের। ... ...
ঘটনা এখন এক্সপ্রেস নয়, রাজধানীর স্পীডে দৌড়ুচ্ছে। দু’দিনের পর আজ ফুরসৎ পেলাম, তাই লিখে রাখছি। আগেই বলেছি, গতকাল আমাদের বুড়ার যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে বোম্বাগড়ের যুবরাজের শ্রাদ্ধ। ... ...
ঝড় বয়ে গেল। এ’বছরের প্রথম কালবোশেখি। আঁধি মানে ধুলোর ঘূর্ণি, কিন্তু এটা ছিল অন্যরকম। এতে আমগাছের বৌর বা মুকুল ঝরে যায়, কাঁচা ঘরের চাল ওড়ে আর বৃষ্টির সঙ্গে ‘ওলে’ বা শিল পড়ে। তারপর কয়েকদিনের জন্য টেম্পারেচার নামে, লোকের মুখে হাসি ফোটে। ক’দিনের জন্য লু’ বা গরম হাওয়ার হলকার থেকে নিস্তার পাওয়া। সে সবই হোল। ... ...
এই সমস্ত, সবই আসলে পাঠ্য। বাতাস তাদের সবার মলাট সরিয়ে দিচ্ছে প্রতিদিন, শনশন শব্দে আমাদের কানে এসে বলছে, “পড়ো, পড়ো”। ... ...
আঁধার ছাতে চুল এলোমেলো করা হাওয়া দেয়। এখানে আকাশে আজ মেঘ কম। কৃষ্ণপক্ষের মৃদু চাঁদ আর অজস্র তারার মেলা। কন্যা হঠাৎ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমায়, ওপরে আঙ্গুল দেখিয়ে নতুন শেখা কবিতা বলে - দেখো মা - হাওয়া বয় শনশন তারারা কাঁপে হৃদয়ে কি জং ধরে পুরোনো খাপে কি বললি বাবু! মনে হঠাৎ একটা ফুলঝুরি জ্বলে ওঠে। মেয়েকে আঁকড়ে ধরে ওর কাঁধে চিবুক রেখে আকাশে চোখ পেতে দিই। ওগো প্রেমেন বাবু আজ নতুন করে তোমার কথার মানে বুঝেছি আমি। হাসিখেলা দুখমেলা স্মৃতির বাঁকে, আঁখিতারা তারা জুড়ে মাকেই আঁকে। হৃদপাতে সরোবর - হোথা মায়েরা থাকে। ... ...
ছুঁতে ছুঁতেই মনে হচ্ছে অনেকটা ছুঁয়ে ফেললাম, একটা উনিশ বছর। এই চরাচর এর মতো ছুঁয়ে যাওয়া আমায় একটা পাড়া, শৈশব , বড়ো হওয়া বেঁধে দেয়। যেই পাড়াতে নাগরিকত্ব পেতে পাড়াতুত দাদাদের চোঁখ আমাকে স্বজনের মৃত্যু মনে করায়। তবুও কি সহজেই বেপাড়া গুলো নিজের হয়ে যায়। আসলে সেইসব পাড়ারা বাঁধ মানেনা। তাই এই বসে থাকা বদ্রীদাস টেম্পল রোডেও মাঝে মাঝে চরাচর এসে ধরা দেয় পূর্ণিমার আগের রাতে। আমি দীনেন্দ্র স্ট্রিট, গৌড়িবাড়ী লেন হয়ে এক একটা নতুন পাড়া খুঁজে ফিরি। ... ...
সেটা বোধহয় ১৯৫৭ সাল। শিশু বিদ্যাপীঠস্কুলে দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম দশক পূর্ণ হওয়া নিয়ে বড় দিদিমণি অনেক কিছু বললেন। আর কমিউনিস্ট পার্টি তখন ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়’ শ্লোগান ছেড়ে দিয়ে বেশ কোমরবেঁধে ইলেকশনে নেমেছে। ... ...
তারপর দুজোড়া লবকুশকে নিয়ে সীতা নয় লাবণ্য এগিয়ে যায় অশোক বন নয় তপোবন মানে অশোক নগরের দিকে। পায়ে পায়ে চলতে চলতে মাধ্যমিক পরীক্ষা এসে গেল আমার - ১৯৮৭ সাল। ফলও বেরোল। মাধ্যমিকে যে ইস্কুল থেকে ফার্স্ট হয়, সে একটা চ্যালেঞ্জ কাপ পায়। কুড়ি বছর আগে ওটা মঞ্চে উঠে মায়ের নেওয়ার কথা ছিল। বিধির বিধানে হয়নি। কুড়ি বছর পরে কাপটা আমি পেলাম।নিবেদিতা ইস্কুলের যেসব দিদিরা মাকে আর আমাকে, দুজনকেই পড়িয়েছেন, তাঁরা আমাকে উপলক্ষ করে ওটা মাকেই দিলেন। অন্তত তাঁদের শরীরী ভাষায় সে কথাটা প্রকাশ পাচ্ছিল। ... ...
প্রতিটা তারের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত জুড়ে রয়েছে ঝুলতে থাকা সারি সারি ছোট বড় জলের ফোঁটা। বৃষ্টি থেমে গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে, তবে হাওয়া দিচ্ছে না বলে এখনও ফোঁটাগুলো আটকে আছে, মনে হল আমার জন্যই আটকে আছে। একটা ফোঁটায় আঙুল ছোঁয়াতে গিয়ে হাত লেগে গেল তারে, জলের বিন্দুরা ভিজে ছাদের ওপর টুপটুপ করে ঝরে পড়ল। ... ...
হিন্দি সিনেমার গান শুনে বাঙালি কেন উলুতপুলুত হয়, আপাতদৃষ্টিতে বোঝা মুশকিল। যে ঘরানার গানের শ্রেষ্ঠ লিরিক নাকি 'মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়', অর্থাৎ কিনা 'আমার কিছু মালপত্তর তোমার কাছে পড়ে আছে' আর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ লিরিক তর্কযোগ্যভাবে 'বিড়ি জ্বালাইলে', অর্থাৎ কিনা 'সিঁড়ির নিচে বিড়ির দোকান', সে গান শুনলে এমনিই ভদ্রজনের মাথা হেঁট হয়ে যাবার কথা। হিন্দি বলয়ের কথা আলাদা, ওদের এরকমই কপাল। ইউপি-বিহারে আধুনিক কালে কোনো জীবনানন্দ জন্মাননি। আর অতীতের গৌরব যা ছিল, সেসব স্টিমরোলার চালিয়ে কবেই ফ্ল্যাট ... ...
লম্বাটে পুরোনো নকশার জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম আনমনে। এমন সময়ে কাক ভেজা, হেলমেট পরা লম্বা চওড়া হুঁকুজ মামা ঢুকলেন ঘরে। আমি খাটে পা ঝুলিয়ে বসা। চোখাচোখি হয়ে গেল। হেলমেট খোলা থমকে গেল। আমার দিকে কয়েক মূহূর্ত তাকিয়ে বললেন, মাইমা! পাশ থেকে মায়ের হাসির শব্দ শুনলাম। এ মাইমার নাতনি গো হুঁকুজদা, আমার মেয়ে। মায়ের গলা শুনে সম্বিৎ ফিরে হুঁকুজ মামা বললেন, রাজকুমারী, তুমি! এ তোমার মেয়ে? তারপর কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক হয়ে বললেন, হঠাৎ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এতদিন পরে লাবণ্য মাইমা কোথা থেকে এল? সেদিনই জানতে পারলাম, আমি আমার দিদিমা লাবণ্যপ্রভার দ্বিতীয় সংস্করণ। মুখ, চুল, গায়ের রং সবই এক। আমার নিজের তো স্মৃতি নেই। যাঁরা দুজনকেই দেখেছিলেন, তাঁরা বলতেন। তখন থেকেই লাবণ্যর কথা জানতে ইচ্ছে করতো। ... ...
কামাখ্যার যোনিপূজার ধুপেরধোঁয়ার সঙ্গে আজকের সতীর যোনি থেকে টেনে বের করা অন্ত্রের কুন্ডলীতে স্বাধীনতা পরাধীনতা মিলেমিশে এক হয়ে যায়। এখনকার দুর্গার লড়াইটা সেখান থেকেই– ... ...
অনেক রাত্রে ঘুম ভেঙে গেল। ঘরের মধ্যে আলো জ্বলছে। কাকামণির বুক পিঠ জুড়ে ব্যান্ডেজ; ভালরকম লাঠির ঘা খেয়েছে। ঘরে ডেটলের গন্ধ। ছোটকারা নাকি পার্কাসার্কাস বাজারের এক কোনে ফার্স্ট এইডের ক্যাম্প খুলে অনেক আহত চাষির শুশ্রুষা করেছে। তাঁদের ফুল সার্ভিস দিয়েছেন আসাদ মেডিকেল হলের ডাক্তার গণি। ছোটকা ঠাকুমাকে বলছিল – পুলিশ ভিড় ছত্রভঙ্গ করার জন্যে লাঠিচার্জ করেনি, পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্যে করেছে। একেবারে রাস্তায় ফেলে থেঁতো হওয়া অব্দি মেরেছে। ... ...
ক্রিস্টোফার বুকার লিখিত দ্য সেভেন বেসিক প্লট হ্যোয়াই উই টেল স্টোরিস বইটির আলোচনা। ... ...
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখিত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি বইটির আলোচনা। ... ...
মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন লিখিত রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি নামক বইটির আলোচনা। ... ...
MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে। ... ...