কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
মজুমদার মশাই সেদিন নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিলেন দুই সুন্দরী শিল্পীকে বোঝাতে 'হেথা শুধু বাণী... দরশ নাহি জানি'। তবে ওই এক অনুষ্ঠানে ওনার নিশ্চয়ই পদোন্নতি নিশ্চিত হয়েছিল ... ...
চাইলেই গেরুয়া পরা যায় না। রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার সুবাদে দেখেছি প্রথম স্তরে ব্রহ্মচারীরা সাদা পরতেন। সেখান থেকে গেরুয়ায় উত্তরণের জন্য পরিশ্রম করতে হত। ঐতিহাসিকভাবে গেরুয়া বসনের উৎস যেটুকু শুনেছি তা হল- সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী বা ভিক্ষুরা কোনো মূল্যবান বস্তু এমনকি সাধারণ বস্ত্রও উপহার নিতে পারতেন না গৃহীদের কাছ থেকে। পরিত্যক্ত বস্ত্র সংগ্রহ করে মাটি দিয়ে রঙ করে পরতে হত। সেখান থেকেই গৈরিক রঙের জন্ম। গিরিমাটির রঙকে গৈরিক বলা হত। ... ...
ফচকেমির গল্প ... ...
ফচকেমির গল্প ... ...
ফচকেমির গল্প... ... ...
গ্রীস-রোম-মিশর-জর্ডান অনেক দেশের গল্প হল। কিন্তু ভারতের ব্যাপারে এক হরপ্পা ছাড়া আর কিছু বলা হয়নি এখনও। আপনারা হয়তো ভাবছেন যে প্রাক-ইসলামী ভারতে কবরের থেকে শবদাহই বেশী হত, অতএব প্রাচীন ভারতের অন্ত্যেষ্টি শিল্প নিয়ে বিশেষ বলার নেই। পঞ্চভূতে বিলীন হওয়াটাই যেখানে উদ্দেশ্যে সেখানে সমাধি নিয়ে আড়ম্বর হয়তো থাকবে না। তাহলে বলি আপনারা ভুল ভাবছেন। গুপ্ত-পূর্ব যুগের ভারতের সবচেয়ে বড় আকারের স্থাপত্যগুলো অন্ত্যেষ্টিশিল্পই। এগুলিকে আমরা স্তূপ বলি। ... ...
আর সে কারণেই এই পরিবারটি থাকেন ছায়াবৎ। কলকাতার হু'জ হুদের দরবারে তাঁদের তেমন ছায়া পড়ে না। হুগলি জেলার ইতিহাসেও ঠাঁই মেলে না এই প্রবাসী পরিবারের। উত্তরাখন্ডের কলোনিয়ান মেমরিতে এক সামান্য স্কুল মাস্টারের বা তাদের মেয়ের কথা ধরা পড়ার কোন কারণ নেই। আবার উত্তরাখন্ডের ক্রিশ্চিয়ান ইতিহাস যখন লেখা হয় তখনও সেখানে স্থানীয়দের ঠেলায় মিশনের কর্মী বাঙ্গালী পরিবারটি জায়গা পান না। সময়ের ঘুর্ণিতে হারিয়ে যাওয়াই তাঁদের ভবিতব্য। ... ...
আবাসনের গেট দিয়ে গাড়ি করে বেরোনর সময় সুবীর দেখতে পেলেন লোকটাকে। গেটের ঠিক বাইরে। জিন্স আর রঙচটা জামা পরা, মুখে দাড়ি, চোখে একটা হিংস্র ভাব। কালকেও ছিল। কে লোকটা? কী চায়? সুবীর ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললেন। গাড়ির কাচ নামিয়ে হাত দিয়ে সিকিউরিটির ছেলেটাকে ডাকলেন। বাইরের গরম হাওয়া ঢুকে পড়ল খানিকটা। ছেলেটি কাছে আসতে সুবীর একটু চাপা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “এই লোকটাকে দেখছি রোজ ঘুরঘুর করছে। কে লোকটা জানো? এখানে কী করছে?” সিকিউরিটির ছেলেটি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কোন লোকটা স্যার?” সুবীর গেটের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। বোধহয় সুবীরকে সিকিউরিটি ডাকতে দেখে সরে পড়েছে। ব্যাপারটা আরো সন্দেহজনক। ... ...
এই বোরখা হিজাব নিয়ে নতুন তাণ্ডব ঠিক এখনই কেন? ... ...
লতা মঙ্গেশকর -- বিশাল মাপের এক শিল্পী চলে গেলেন। তাঁকে শেষ বিদায় ও শ্রদ্ধা জানালাম। এবং তার পরে কয়েকটা "শাস্তিযোগ্য" কথা লিখলাম। ... ...
দুপুরে কলকাতার এক সিনেমা হলের বাইরে খবরের কাগজ নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল শিবরাম। কোন চেঁচানো না, কোন তোষামোদ না। কেবল দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাতে থাকল সে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কারোর অপেক্ষা করছে গভীর আগ্রহে। ... ...
দেখে মনে হবে আগুন লেগেছে, বা, তরল লাভা প্রবাহ। ... ...
শুনছি, কোভিডে আসলে কেউ মারা যায়নি। তাও কিছু "বানানো গল্প" এখানে বললাম। ... ...
মাত্রাছাড়া হয়ে গেছে "এগিয়ে চলা" "জনপ্রিয়" মিডিয়ার এই ছ্যাবলামো। এ আর সহ্য করা যায়না। ... ...
এই আধ্যাত্মিকতা এদেশের মানুষের নিজস্ব জীবনবোধ, ভারতের জাতীয়তাও এই চেতনাই। কাউল-সেন দম্পতির উদাহরণ এইজন্য প্রাসঙ্গিক ছিল এই লেখায়। গান্ধীজি মানুষকে মানুষের সমাজকে রাজনীতির থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। গান্ধীজি বিভিন্ন আন্দোলন যখন উঠিয়ে নিয়েছেন, সেইসব পদক্ষেপ নিয়ে কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু, দেশবাসীর বিরাট অংশের কাছে তারপরও গান্ধীজির জনপ্রিয়তা হ্রাস হয় নি। এবং আমরা দেখতে পাই, অসহযোগ থেকে আইন অমান্য, সবকটি ক্ষেত্রেই আন্দোলন তুলে নেওয়ার কারণ রাজনৈতিক নয়, সামাজিক। রাষ্ট্রনীতি রূপায়ণের থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন সমাজের ক্ষমতায়নকে, সাম্যের লক্ষ্যে সমাজসংস্কারকেও। ... ...