আবাসনের গেট দিয়ে গাড়ি করে বেরোনর সময় সুবীর দেখতে পেলেন লোকটাকে। গেটের ঠিক বাইরে। জিন্স আর রঙচটা জামা পরা, মুখে দাড়ি, চোখে একটা হিংস্র ভাব। কালকেও ছিল। কে লোকটা? কী চায়? সুবীর ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললেন। গাড়ির কাচ নামিয়ে হাত দিয়ে সিকিউরিটির ছেলেটাকে ডাকলেন। বাইরের গরম হাওয়া ঢুকে পড়ল খানিকটা। ছেলেটি কাছে আসতে সুবীর একটু চাপা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “এই লোকটাকে দেখছি রোজ ঘুরঘুর করছে। কে লোকটা জানো? এখানে কী করছে?” সিকিউরিটির ছেলেটি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কোন লোকটা স্যার?” সুবীর গেটের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। বোধহয় সুবীরকে সিকিউরিটি ডাকতে দেখে সরে পড়েছে। ব্যাপারটা আরো সন্দেহজনক। ... ...
“We will not be a party to this crime”.বুদ্ধিজীবীদের হাওয়া বুঝে সুবিধাজনক অবস্থান গ্রহণ । গিরগিটির মত রংবদলানো । কায়দা করে ডি-লিট হাতানো। বিভিন্ন সরকারী সংস্থায় অভিভাবকত্বের চেয়ার দখল যখন আমাদের গা সওয়া এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে প্রায় প্রতিপন্ন তখন তুরস্কে জীবনের বাজী রেখে ৮৯ টি ইউনিভার্সিটির ১১২৮ জন শিক্ষাবিদ এবং বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬৫ জন গবেষক এবং শিক্ষাবিদ গত জুলাই মাস থেকে তুরস্কের কুর্দ জনতার ওপর ধারাবাহিক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে “We will not be a party ... ...
গাছ |And I don't want the world to see meCoz I don't think they’d understandWhen everything’s meant to be broken,I just want you to know who I amক্যাফের দরজাটা খোলা মাত্র মাঝারি ভল্যুমে চালানো গান কানে ঝাপটা মারলো| রাজপুর রোডটা শেষ হওয়ার কিলোমিটার টাক আগে‚ ডান হাতে রামকৃষ্ণ মিশনটা ছাড়ালেই বাঁ দিকের নেমে যাওয়া রাস্তাটার মোড়েই এই ক্যাফে| ছিমছাম ও পরিপাটি| একটা দেওয়াল শুধুই কাঁচের হওয়ার ফলে‚ দিব্বি দেখা যায় সবুজে মোড়া পাহাড়ের সারি| সাথে উপরি পাওনা হিসেবে রয়ে ... ...
মানুষ লেখালিখি শুরু করার ঢের আগে থেকে মৌখিক পরম্পরার শ্রুতিসাহিত্যের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছিলো। পৃথিবীর সর্বদেশে প্রাচীন শাশ্বতসাহিত্যের বিভিন্ন ধারা কথকতার সূত্রেই লোকপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো। হোমারের ইলিয়াড থেকে ঋগবেদ, মহাভারত, রামায়ণ ইত্যাদি এই শ্রুতিপরম্পরারই অঙ্গ। 'সাহিত্য' শব্দটির শিকড় লুকিয়ে আছে 'সহিত' শব্দটির সঙ্গে। অর্থাৎ এই শিল্পটি একা মানুষের খেলাধূলা নয়। স্রষ্টা ও গ্রহীতার পারস্পরিক সম্পর্কের দ্বান্দ্বিক সমীকরণের সঙ্গে তার সার্থকতা নিহিত আছে। যেমন শ্রদ্ধেয় সুধীর চক্রবর্ত ... ...
সেই একই কেস। “দেখ মা, এরা নিজেরা ভুল করেছে, তার পানিশমেন্ট পেয়েছে। দে ডোন্ট ডিজার্ভ সিমপ্যাথি।” ‘“ভুল করেনি, এদের ঠকানো হয়েছে। দুটো এক নয়।” “দে চোজ দ্য রঙ মেন। দেয়ার ফল্ট।” “কাগজ পড়িস? প্রোপোজাল রিজেক্ট হয়েছে বলেও অনেক ঘটনা ঘটে। তারও দরকার হয় না, জাস্ট প্রেজেন্সই অনেক কিছু করে।” “কিছুই বুঝলাম না।” “খামবুনির ঘটনা মনে আছে? মেয়েটি গ্যাংরেপড হয়ে খুন হয়। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল, কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটির কি দোষ ছিল?” ... ...
দুটো জিনিস নিয়ে আজকাল খুব কনফিউশন। এক, গুডি পাড়বার দিন অনেকে বাংলা হরফে হিন্দু নববর্ষ উইশ করছেন। দুই, বাংলাদেশের ১৪ই এপ্রিলটা সঠিক পয়লা বৈশাখ না পশ্চিমবঙ্গের ১৫ই এপ্রিল, সেই নিয়ে বিবাদ। সেখানেও হিন্দু মুসলমান চলে আসছে। ... ...
আঁধার ছাতে চুল এলোমেলো করা হাওয়া দেয়। এখানে আকাশে আজ মেঘ কম। কৃষ্ণপক্ষের মৃদু চাঁদ আর অজস্র তারার মেলা। কন্যা হঠাৎ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আমায়, ওপরে আঙ্গুল দেখিয়ে নতুন শেখা কবিতা বলে - দেখো মা - হাওয়া বয় শনশন তারারা কাঁপে হৃদয়ে কি জং ধরে পুরোনো খাপে কি বললি বাবু! মনে হঠাৎ একটা ফুলঝুরি জ্বলে ওঠে। মেয়েকে আঁকড়ে ধরে ওর কাঁধে চিবুক রেখে আকাশে চোখ পেতে দিই। ওগো প্রেমেন বাবু আজ নতুন করে তোমার কথার মানে বুঝেছি আমি। হাসিখেলা দুখমেলা স্মৃতির বাঁকে, আঁখিতারা তারা জুড়ে মাকেই আঁকে। হৃদপাতে সরোবর - হোথা মায়েরা থাকে। ... ...
পশ্চিমি রূপকথা জগতে সবচেয়ে চেনা যে মেয়ে, তাকে নিয়েই প্রচুর কথাবার্তা আর আলোচনা। বারবার বদলে গেছে সে। কেন? কী কারণে? তাই নিয়েই আমার ভাবনা। ... ...
টাইম মেশিনে চড়ে এই পৃথিবীর কোন শহরে ফিরে যেতে পারি, যাবো বার্লিনে । ঝরিয়া, পাইকপাড়ার বাড়িতে বসে বাল্য, যুবা কাল থেকে গত শতাব্দীর ইতিহাসের যে পর্ব এবং স্থানটি আমাকে আকৃষ্ট করে রেখেছে সেটি তিন দশকের বার্লিন। এতো স্বল্প সময়ের মধ্যে পতন ও অভ্যুদয়ের ঘনঘটা আর কোথাও চোখে পড়ে নি । ওয়ান্স আপন এ টাইম নয়, এই সময়কালকে যেন ধরা ছোঁয়া যায় , এই তো সেদিনকার কথা! নিতান্ত ভাগ্যক্রমে ইতিহাসের এই ঘুরন্ত রঙ্গমঞ্চের সেট, উইংস,তার পিছনের দৃশ্য পট শুধু চোখে দেখি নি , মঞ্চের মাঝখান দিয়ে হেঁটেছি –কথা বলে ইতিহাস , ভিলহেলমস্ত্রাসেতে বিসমার্কের অফিস যেখানে বসে তিনি আফ্রিকা খণ্ড খণ্ড করছেন, হিটলার ওই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মশাল যাত্রা দেখছেন , তিরিশে জানুয়ারি ১৯৩৩, এক নম্বর ঊনটার ডেন লিনডেনে আডলন হোটেল , পারিসার প্লাতস, গ্রুনেভালডের পথ যেখানে রাথেনাউ প্রাণ হারালেন, ফ্রিডরিখস্ত্রাসে স্টেশন, আপোলো থিয়েটার, আলেক্সান্দার প্লাতস , কুডামে সুবেশ নরনারী : বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম এখনও দাঁড়িয়ে , এই তো আজকের সন্ধ্যায় বিসমার্ক আলেতে জ্বলবে আলবার্ট স্পেয়ারের ডিজাইন করা পথবাতি। ... ...
কয়েকটি মন্দির দেখি বনজঙ্গলে ঢাকা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এত বড় ঐতিহ্য। কিছু করছেন না? কে করবে? সবাই শিবলিঙ্গ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এদিকে কত ভালো ভালো মন্দির পড়ে আছে। তার মুখেই শুনলাম, ঠিক মতো বেতন হচ্ছে না, অস্থায়ী কর্মী বেশি। ... ...
ওরা তোমাকে হত্যা করে কোথায় কবর দিয়েছেআমাকে কিছুই জানালো নাসেই থেকে পুরো স্বদেশ তোমার কবর হয়ে গেলোমাতৃভূমির প্রতি ইঞ্চি মাটিতে, যেখানে তুমি নেই সেখানেও তুমি জেগে উঠলে।ওরা ভেবেছে, তোমাকে গুলি করে হত্যা করবেকবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।কিন্তু ওরা মূলতঃবিপ্লবের বীজ বপন করেছে।(এপিটাফ/ এর্নেস্তো কার্দেনাল/ অনুবাদ-পারভেজ চৌধুরী)এক অন্তর্বতী আলোর গহ্বরের মধ্যে দিয়ে এঁকে বেঁকে চলেছে যে স্মৃতির মালা সেই উপাখ্যানের পুরোভাগে এক মানুষ জ্যোতির্বলয়ের মাঝখান ... ...
দিনা বরাবরই জে’র খুব প্রিয়। অনেক পরে, একদিন এই দিনা জে’র চোখে চোখ রেখে বলবে সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করতে চায়। দিনাকে জে তাঁর বোনের হাতে সঁপে দিয়েছিলেন, সে সম্পূর্ণ মুসলিম ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত। কিন্তু তার পছন্দের মানুষটি ধর্মে পার্সি, নাম নেভিল ওয়াদিয়া। জে ক্ষুব্ধ হবেন, আর ইতিহাস ঘরের ইজিচেয়ারে বসে দোল খাবে আর মুচকি হাসবে। দিনার মা কে? সেটা কি সত্যিই ভুলে গেলেন নাকি জে? বার্ধক্যের ভ্রম না নিয়তি এড়িয়ে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা? ... ...
যেদিকে দুচোখ যায় প্রতিভার ছড়াছড়ি। ফাঁকা খাটে তোষক পেতে শুয়ে আছে প্রতিভা, স্যানিটাইজার মেখে স্নান করছে প্রতিভা। পাবজির মাঠে অষ্টপ্রহর গুলি চালানোর বুদ্ধিতে ঠাসা ঘিলুগুলোর গুহার আঁধার তাই গমগম করছে সামান্য মোটিভেশন পাখির আর্তনাদে । কেউ বানাচ্ছে রোবোট, কেউ বানাচ্ছে এক্সটেনশন কর্ড। তবে বুদ্ধি যার যার, ফলাফল সবার। অতএব বিদ্যুতের লাইনের MCB যাচ্ছে নেমে সকলের, গরমে লোকজন যাচ্ছে ঘেমে। এনট্রপি টঙে তুলে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে মই গেছে হারিয়ে..... ... ...
ভারতীয় আর্মির তরফে সংসদ ভেঙে দিয়ে ক্ষমতা হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে। এয়ারমার্শালের নির্দেশে গতকাল দেশের সবকটি রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছে যাতে প্রধানমন্ত্রী দেশে না ফিরতে পারেন। রাষ্ট্রপতি আর্মি চিফের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন দেশে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যৌথভাবে রাষ্ট্রপতি শাসন ও মার্শাল ল চলবে। তিনি সবকটি রাজ্যসরকারকে বরখাস্ত করতে রাজ্যপালদের আদেশ দিয়েছেন। শোনা গেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দী এবং জে এন ইউ বন্ধ করা হয়েছে। দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে। সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে একটি ব ... ...
(১)আমার বিয়ের সময় অনির্বাণের কয়েকজন বন্ধু বড়কাকাকে দেখে বেশ চমকে গিয়ে বলেছিলঃ “উরিব্বাস! ইনি কে জানিস? এ কে বাসু! ইউনিভার্সিটিতে সবাই এনাকে ভগবান বলে মানে।“ আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, “ধুর! ওটা তো বড়কাকা!” ১৮ই জুলাই ২০১৬ তে অর্থাৎ বড়কাকার কাজের দিন ঠিক সেই ব্যাপারটাই আবার হল। নানান ক্ষেত্র থেকে অতিথিরা এসেছেন যারা বড়কাকাকে শ্রদ্ধা করতেন, ভালবাসতেন, তাঁরা “স্যর” বলে উল্লেখ করে নানা কিছু স্মৃতিমন্থন করছেন, অতীতচারণা – ইউনিভার্সিটির কথা, ওনার পড়ানোর কথা… আর আমার মনে হচ্ছে - “ধুর! ওটা তো বড়কাক ... ...
পঞ্চাশের দশকে এক ব্রাজিলিয়ান এন্টমোলজিস্ট (পোকামাকড় নিয়ে গবেষণা করে যারা তাদেরকে এন্টমোলজিস্ট বলে) একটা কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে বসেন। তিনি ভাবছিলেন, কিভাবে হানি বি বা মৌমাছিদের তৈরি মধুর স্বাদ আরও বেশি বাড়ানো যায়। নরমাল টেস্টে মন ভরছিল না আরকি... তাই তিনি একটা কাজ করে বসলেন। তিনি ইউরোপিয়ান হানি বি এর এর বিভিন্ন প্রজাতির সাথে আফ্রিকান হানি বি এর ক্রস করে হাইব্রিড জাত তৈরি করেন। কিন্তু এর ... ...
(দক্ষিণ কলকাতা নিয়ে এই সিরিজটা শুরু হল। চলবে নিজের মর্জিমাফিক। নিয়মিত, এবং অনিয়মিত, যখন যেটা ইচ্ছে) “ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্চে মানুষের সাজানো বাগান" দক্ষিণ বাংলা থেকে বাঘের গর্জন ভেসে আসে। নৌকো দোলে উনিশশো সাতাত্তর সালে। ধরা যাক, এভাবেই শুরু। ধরা যাক, বাঘের হুংকার অথবা নৌকোবিলাস, এ সমস্তই একটা ছক বন্দী ক্লাসিফিকেশনের ঘেরাটোপ, যে অবয়বের মধ্যে বন্দী হয়ে ছিল এক মিথিকাল অস্তিত্ব। তার নাম দক্ষিণ কলকাতা। কেন বাঘের গর্জন? কেন না, এই ... ...