গত কালের প্রায় পূর্ণাঙ্গ আদালতের বিবরণী। এআই এর অনুবাদ নয়। কানে ইংরিজি শুনতে শুনতে তাৎক্ষণিক অনুবাদ। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাবানুবাদ। কিছু অংশ ছোটো করা হয়েছে। মোটামুটি কী হয়েছে বুঝতে পারবেন। তাতেও মিডিয়ার বিবরণের থেকে ভালো। কারণ, তারা শুধু পছন্দমতো টুকরো তোলে। আর আরেকটা কথা। ছাত্রদের আইনজীবী আসলে ছিলেন দুজন। তাঁরা ছাত্র এবং ডাক্তারদের প্রতিনিধি। লেখা হয়েছে ছাত্রদের আইনজীবী বলে। ... ...
ব্যাপারটা হল, আমি কবিতা খারাপ লিখিনা। কিন্তু জাস্ট সাহসের অভাব আছে বলে প্রকাশ করিনা (অনেকেই ভাবেন আমি খুব সাহসী, কিন্তু সেটা গুল) । সাহসের অভাব কেন বুঝিয়ে বলি। কদিন আগেই 'এখনও যে দর্শক, সে ব্যাটাই ধর্ষক' শুনে অনুপ্রাণিত হয়ে একটা বিখ্যাত রবীন্দ্রকাব্য লিখেছিলামঃ অন্যায় যে কহে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে যেন 'তৃণ'সম দহে। ... ...
কর্মবিরতির জেরে সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রবল সংকট সংক্রান্ত কিছু খবর এবং ভিডিও সামনে এসেছে। এর আগেই খবর ছিল বিচা চিকিৎসায় সাতজন রোগির মৃত্যুর (টেলিগ্রাফ)। আজক একটি খবর এসএসকেএম এর। সেখানে বলা হয়েছে, কার্ডিওলজিতে মাত্র একজন ডাক্তার উপস্থিত (বর্তমান)। আরজিকরেও রোগী ভর্তি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ (বর্তমান)। একটি ভিডিওও সামনে এসেছে। দুর্ঘটনায় আহত হন এক যুবক। তাঁকে আরজিকরে পাঠানো হলে ভর্তি করা যায়নি। কোনো ডাক্তার ছিলেননা। বিনা চিকিৎসায় মারা যান যুবক। অভিযোগ জানিয়ে মা বলেছেন, সুবিচার চাই। আন্দোলনরত ডাক্তাররা একে অস্বীকার করে কোনো বিবৃতি এখনও দেননি। দিলে আপডেট করে দেওয়া হবে। ... ...
দুর্নীতি নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষের নাম-ধাম করে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাইনি (এর আগে কিছু থাকলে দেখিয়ে দেবেন, জুড়ে দেব)। আজ ডাক্তার নেতা বিষাণ বসুর লেখা পেলাম । পুরোটা প্রাসঙ্গিক নয়, বড়ও, তাই নিজের মতো করে ছোটো করে লিখলাম। মূল পোস্টের লিংকও থাকবে নিচে, পুরোটা পড়ে নিতে পারেন। বিষাণ লিখেছেন, গত কয়েকবছর ধরেই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মেডিকেল কলেজগুলোয় বিক্রি হয়। পরীক্ষার কত ঘণ্টা আগে কে প্রশ্ন পাবে, তার উপর দাম নির্ভর করে। অর্থাৎ পরীক্ষার আধঘন্টা আগে পেলে একরকম দাম, দুই ঘণ্টা আগে পেলে আরেকরকম (বেশি দাম)।কেনাবেচা কিন্তু সবার জন্য নয়। প্রশ্নপত্র বিক্রির সার্কিটের মূল কেন্দ্র - রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। সুহৃতা পাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তখন থেকেই এই ব্যবস্থার শুরু। সঙ্গে চক্রের পরিচালক হিসেবে মূল - অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। সুহৃতা উপাচার্য থাকাকালীন নিজের ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেন্টর’ হিসেবে নিয়োগ করেন - ছেলে নিয়মিত মাসোহারাও পেত - নিয়োগ ঘটে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ ছাড়াই। এছাড়াও ছেলের নবগঠিত কোম্পানিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের কন্ট্র্যাক্ট পাইয়ে দেন। সন্দীপ ঘোষ, সুশান্ত রায়, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস প্রমুখ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। ... ...
১। শতরূপ ঘোষ সন্দীপ ঘোষের ভাইপো। অসত্য ২। পুলিশের দাবী, ঘটনাস্থলে বাইরের লোক ছিলেন না। ( আগের সেকশনের পয়েন্ট ২০) আংশিকভাবে অসত্য। খুব সম্ভবত দুজন ডাক্তার ছিলেন, অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। ( ১০০% নিশ্চিত না। কিছু বদল হলে বদলে দেওয়া হবে) ... ...
যতক্ষণ কোনো প্রকল্প ধর্ম, ধর্মতত্ত্ব এবং ধর্মীয় মৌলবাদের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায় ততক্ষণই তা ভালো। ধর্মনিরপেক্ষতার সীমাবদ্ধতার বিপরীতে বিপুল ধার্মিক জনতার নৈতিক বোধকে অসাম্প্রদায়িক লক্ষ্যে চালিত করার এ এক উপায় হতে পারে। তবে এই উপমহাদেশে রাষ্ট্রশক্তির কাছে মৌলবাদ প্রশ্রয় পায়। সেখানে লোকধর্ম তার বিরুদ্ধে কতটা শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়তে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ... ...
এটা আগস্ট ৩১ পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত নোট। যাঁদের ধৈর্য্য আছে একটু দেখতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ গেলে ধরিয়ে দেবেন। ভুল থাকার সুযোগ কম, তবু বাইচান্স কিছু থাকলে বলবেন। জুড়তেও থাকুন। আমিও থাকব। আপডেটও করব সময় মতো। সূত্রগুলোর লিংক সবকটা রাখা হয়নি। থাকলে সেটাও দেবেন। আমিও দেব। আর দয়া করে এই সুতোয় আবোলতাবোল লেখা থেকে বিরত থাকলে ভালো হয়, আমার কাছে এক নম্বর পয়েন্টটাই প্রতিবাদের জন্য যথেষ্ট। ... ...
কিছু মনে করবেননা, আপনাদের গোয়েন্দা-গল্পগুলো অত্যন্ত খাজা হচ্ছে। লালমোহনবাবুর রহস্যরোমাঞ্চের চেয়েও। কেউ কেউ অবশ্য এগুলোকে সাংবাদিকতাও বলছেন, কিন্তু এর নাম ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম হলে, আমার নামও মারাদোনা। একটা অডিও ক্লিপ নিয়ে আকাশ-থেকে-পড়া শুনে মনে হচ্ছে সত্যিই মঙ্গলগ্রহ থেকে আপনারা এইমাত্র ল্যান্ড করেছেন। সেই জন্যই আপনারা জানেনা, ক্লিপটা সত্যি হোক মিথ্যে হোক, পশ্চিমবঙ্গে ওইরকম করেই মৃত্যুসংবাদ দেওয়া হয়। শুরুতে ভাঙা হয়না। কাজটা ভাল না মন্দ সে অন্য কথা, কিন্তু ওইরকমই হয়। ওতে রহস্যের কিচ্ছু নেই। আত্মহত্যা বলার মধ্যেও কিস্যু রহস্য নেই। ... ...
সারা জীবনে এই প্রথম কোনো প্রশাসনিক প্রধানকে ফাঁসির দাবী করতে দেখলাম। অভিষেক আরও এক ধাপ এগিয়ে এনকাউন্টার বলেছিলেন, এখন বলেছেন, কই সন্দীপকে গ্রেপ্তার কর। পাবলিক এনিমি যখন হয়েই গেছে, ওই ব্যাটাকেই বলি দেওয়া যাক, এরকম ব্যাপার। পুরোটাই উন্মাদনা তৈরির চক্কর। এমনিতেই সন্দীপ ঘোষকে পারলে লোকে ধরে ফাঁসি দিয়েই দেয়। আরও ছজন ডাক্তারের নাম বাজারে ঘুরছে দেখলাম, "আমাদের হাতে ছেড়ে দিন" দাবী সহ। কে তালিকা বানায়, কে ছেড়ে দেবে, কার হাতে দেবে, কে জানে। এবার অবশ্য খুব কেয়ারফুলি মুসলমান নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মোট কথা, সবাই সব জানে, শুধু সিবিআই ছাড়া। যেটা বাকি আছে, সেটা হল জাস্টিস ফর সঞ্জয় রাই পোস্টার বেরোনো। ... ...
আরজিকরও রাজনীতিই নয় তো? ... ...
এই ডামাডোলে, মূল দাবীটা কিন্তু ভুলতে দেওয়া যাবেনা, যে তদন্ত এবং বিচার চাই। আরেকটা জিনিসও কিন্তু নজর এড়াচ্ছে, যে, এই লম্বা সময়ে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা কার্যত খোঁড়া। এমনি এমনি না, একজন ডাক্তার খুন হয়েছেন এবং জুনিয়ার ডাক্তারদের যথাযথ কিছু দাবীও আছে। দাবীগুলো সুসংহত ভাবে আসেনি, এক এক করে এসেছে। আদালতে আইনজীবী সুবিচারের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবী করেছিলেন। তারপর আসে অধ্যক্ষ সহ কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণের দাবী। এবং নিরাপত্তার দাবী। এই কটা একসঙ্গে না এলেও, মোটের উপর যথাযথ। এবং সবই মোটামুটি নানা পক্ষ মেনে নিয়েছে। ... ...
এ সমস্ত ঐতিহাসিক মতাদর্শগত নৈতিক অবস্থানের জায়গা থেকেই বিজেপি দলটি দেশের ঘটে চলা ক্রমবর্ধমান ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্বপূর্ণ জাতি হিংসা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদী-পিতৃতান্ত্রিক নারী হিংসা ও ধর্ষণের পক্ষ নেয়। এমন অবস্থান তারা নিজেদের দলের ভেতরেও অনুশীলনের ক্ষেত্রে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করে। এর ফলে রাজ্য বিজেপি দলটির ভেতরেও নারী নেত্রী, কর্মীর আত্মহত্যা খবর সমাজের বুকে উঠে এসেছে। এখন এরাই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অসহায়তার সুযোগে, ফাঁক তালে এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলে আর.জি.করের মর্মান্তিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রাজনৈতিক সৎকার করতে চাইছে। এ কী রাজ্যের নারী সমাজের অপমান বলে গণ্য হবে, নাকি বিজেপির ঐতিহাসিক মতাদর্শগত নৈতিকতার সন্মানের পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃতি পাবে? ... ...
বীরদের মিছিল আসছে। তাদের যে গপ্পোটা প্রথম থেকেই বিপুলভাবে ছড়ানো হচ্ছে হোয়াটস্যাপ এবং অন্যান্য সমাজমাধ্যমে, নিশ্চয়ই প্রায় সবাই পড়েছেন। হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটির বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটা কোনো একজন একা ঘটায়নি। ঘটানো সম্ভব না। খুনের আগে নিঃসন্দেহে হয়েছে গণধর্ষণ।যারা করেছে, তাদের মধ্যে আরজিকরের অধ্যক্ষ ছিলেন। তা ছাড়া, যারা সঙ্গে ছিল সবাই সংখ্যালঘু। একজন ছাড়া, যাকে তৃণমূল-নেতার ছেলে ভাবা হয়েছিল। এবং গল্পে আছে একটি মেয়েও, সেও সংখ্যালঘু, যে নাকি নির্যাতিতার বেস্ট ফ্রেন্ড, এবং পুরোটা চলার সময়, সে নির্যাতিতার হাত চেপে ধরে ছিল। ... ...
১৯৭৭ সাল। সকাল সকাল ইন্দোরের মহারানী ঊষারাজে ট্রাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ড( অধুনা হোলকার স্টেডিয়াম)-এ ইন্ডিয়া ট্যুরে আসা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব( এম.সি.সি) আর বম্বে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে ক্রিকেট ম্যাচ। রেডিওয় খেলার ধারাবিবরনী শোনার জন্য শত ব্যস্ততার মধ্যেও কান পেয়েছেন শহরের জনতা। কিন্তু এ কী! চেনা সব পুরুষ কন্ঠের পাশাপাশি খেলার প্রতিটি বল- প্রতিটি ব্যাটিং স্ট্রোক আর ফিল্ডিংয়ের প্রতিটি মুভমেন্টের ধারাভাষ্য দিচ্ছেন এক মহিলা কন্ঠ! শ্রোতারা অবাক হয়ে জানলেন কখনও হিন্দি আর কখনও বা চোস্ত ইংরেজিতে খেলার এমন অনায়াস ধারাবিবরণী দিয়ে চলা এই মহিলা ধারাভাষ্যকারের নাম চন্দ্রা নাইডু। ... ...
আদালতে ঠিক কী হয়েছে, এই নিয়ে নানা মাধ্যমে নানা জল্পনা চলছে। পুরোটা নিজেই পড়ে নিন। ট্রানস্ক্রিপ্টের অনুবাদ করা হয়েছে এআই দিয়ে। অনুবাদ আড়ষ্ট হতে পারে, ছোটোখাটো ভুলভ্রান্তিও থাকতে পারে, কিন্তু ব্যাপারটা মোটামুটি এই রকমই। একটু কষ্ট হলেও পড়ে নিয়ে মতামত তৈরি করুন। ... ...
সুমন দে বলেছেন ২০২২ স্বাস্থ্যরত্ন তাঁরা দিয়েছেন আরজিকর প্রতিষ্ঠানকে, ব্যক্তি সন্দীপ ঘোষকে না। ঠিক কথা। ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠানের তফাত আমরা জানি। প্রতিবার এক্সিট পোলে এবিপি যে গোল্লা পায়, সেটা প্রতিষ্ঠানটা অপদার্থ বলে। ব্যক্তি সুমন দে নিশ্চয়ই হাতে বাক্স ধরে এক্সিট পোল করতে বেরোননা। তা, মানতে কোনো অসুবিধে নেই, প্রতিষ্ঠান হিসেবেই আরজিকর ২০২২ সালে ছিল একটি রত্ন, এশিয়ায় কত নম্বর একটা যেন। ... ...
এতদিনে সব্বাই নিশ্চয়ই সুবিধাজনকভাবে ভুলে গেছেন, যে, পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগদুর্নীতি নামক একটি বস্তু নিয়ে একদা সিবিআই তদন্ত করছিল। তার একমাত্র ফলাফল ছিল, না, দুর্নীতির পান্ডাদের শাস্তিদান নয়, কিছু শিক্ষকের চাকরি যাওয়া। সেটা এখনও সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই আছে। তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি, অনেক গরম-গরম কথা চালাচালি হয়ে গেছে। "গোপন সূত্র" থেকে অনেক কিছু বেরিয়েছে মিডিয়ায়। তাতেই শান্তি। দুর্নীতিগ্রস্তরা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, যাদের আগাপাস্তালা শাস্তির প্রয়োজন ছিল, সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু তাতে কী। ... ...
একখানা কথা বললে আবার অনেকেই রেগে যাবেন, কিন্তু বলতেই হবে, যে, বাংলাদেশ নিয়ে খোয়াব দেখবেননা। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপারটাই আলাদা। ওখানে প্রচুর রক্ত ঝরেছে, অন্তত ৬০০ মানুষ মারা গেছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে, পরে কত কেউ জানেনা। ওটার পুনরাবৃত্তি হওয়া কাম্যও না। এছাড়া, এপারের অ্যাকটিভিস্টরা আন্দোলন বলতে কার্নিভাল বোঝেন, লাঠিতেই কাতর হয়ে পড়েন, দোষের কিছু নেই আমিও পড়তাম। কিন্তু রাষ্ট্রবিপ্লব করতে হলে গুলি-টুলি চলার কথা। তার চেয়েও বড় কথা হল, দখল করবেন টা কী। পশ্চিমবঙ্গ কোনো রাষ্ট্র না। দখল করতে হলে দিল্লি দখল করতে হবে। কলকাতা দখল করলে খুব বেশি হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। আনন্দবাবুর শাসন হবে। ওই অবধিই। ... ...
১৯শে আগস্ট, ১৯৩৬, ভোরের আলো ফুটতে তখনো দেরী খানিকটা। গ্রানাদার ঠিক বাইরে যে মেঠো রাস্তাটা জুড়েছে ভিজনার আর আলফাকার শহর-কে, সেইখানে থামলো একটি গাড়ি – দরজা খুলে একে একে নেমে এলেন চারজন বন্দী আর পাঁচজন বন্দুকধারী সৈন্য। বন্দীদের দুজন নৈরাজ্যবাদী বুলফাইটার, একজন পক্ককেশ স্কুলশিক্ষক যাঁর একটি পা কাঠের, আর চতুর্থ ব্যক্তিটির পরণে একটি ব্লেজার আর শাদা পাজামা, অন্ধকার আন্দালুশিয়ান আকাশের নীচে উদ্যত মাউজার রাইফেল আর অ্যাস্ট্রা-৯০০ পিস্তলের নিশানার তাঁরা হেঁটে যাচ্ছেন আল পেরিয়ে একটি জমিতে, জলপাই গাছের সারি উজ্জ্বল ভাসমান হয়ে আছে ঘাতকদের গাড়ির তীব্র হেডলাইটের আলোয়। ওঁরা জানেন সেই রাত্রিটির শেষ নেই। ... ...