এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৬৩৯২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৬৩৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৪৫521689
  • এলেবেলের থেকে চান্নং দুটো লেখা চেয়ে ছেপেছিল। ওখানেই ইতি গজ কারণ বিদ্যাসাগর নিয়ে ঝামেলি। পরবাস বা অন্য কোনও ওয়েবজিনে এলেবেলে লেখে না, লেখা পাঠায়ও না। এখানেই এত এত খেউড়প্রেমী থাকতে অন্যত্র খেউড়ের আসর বসানোর কথা সে ভাবতেও পারে না। ইন ফ্যাক্ট জেগে আছি কিংবা ঘুমিয়ে পড়েছিতে যে তার একটা পুরনো লেখা ছাপা হয়েছে, এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ খবরটিও সে জানত না। 
  • খ্যাক খ্যাক | 167.160.91.250 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৪৯521691
  • আরে সেইটা বলুন। আমরা খেউড় করে করে কিরকম এটেনশন দিই আপনাকে? ফেবুতে ত কেউ পোঁছে না। গুরুতেই আপনি ফিরে ফিরে আসেন। জীবুদার স্টাইলে ধানসিড়ি নদীটির তীরে।
     
    যাই বলুন, নিননিছাদের আপনি ভালোবাসেন।
  • খ্যাক খ্যাক | 167.160.91.250 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০০:৫২521693
  • পরবাসের ভবভূতি ত আপনাকে বাঙ্গলার উদীয়মান খেউড় লেখক হিসেবে মেনে নিয়েছেন। এ কি কম এচিভমেন্ট? উনিশ শতকে গুড়গুড়ে ভটচাজ, বিশ শতকে সজনীকান্ত আর একুশে দেবোত্তম। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়!
  • dc | 2401:4900:1cd1:f2fe:bc48:d9f2:1454:c200 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:১২521697
  • তাহলে এই টই থেকে দুটো জিনিষ জানতে পারলাম। 
     
    বিবুদা নিজে কোথাও সাঁতার কাটার কথা লিখে যাননি। তাই যদি হয়, তাহলে এটা ভক্তদের বানানো গুল্প বানানোর ভালো চান্স আছে। 
     
    বিবেকানন্দ মেমোরিয়াল নামে বকচ্ছপ জিনিষটা আরেসেসের একটা লোকের উদ্যোগে বানানো। উইকিতে পড়লাম সেই সময়ের তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ওটা বানাতে চাননি, বলেছিলেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হবে। ঠিকই বলেছিলেন, তবে আরেসেসের মাকিয়াভেলিয়ান ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে গেছিলেন। 
  • | 2405:8100:8000:5ca1::2a3:8451 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৩১521699
  • এলেবেলেকে পত্রিকাগুলো পাত্তা দেয় না জেনে দুঃখ পেলাম। রিসার্চ মেটিরিয়াল পেতে ওঁকে গুরুর শরণ নিতে হচ্ছে এটাও স্যাড।
  • খিক | 2405:8100:8000:5ca1::55:45cf | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৫৯521701
  • এলেবেলের এই রামমোহন বিদ্যাসাগর বিবেকানন্দ খেউড় সিরিজটা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। আরও জমিয়ে কিছু করুন। ধরুন আলেকজান্ডারের দিগ্বিজয়। আলেকজান্ডার আত্মজীবনী বা চিঠিপত্রে এ নিয়ে লিখেছেন? নাকি পুরোটাই ভক্তদের গুল্প? ধরে ধরে ছাল ছাড়িয়ে নিন। হয়ে যাক এসপার ওসপার।
  • Mir | 2405:8100:8000:5ca1::1ea:ed8e | ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৩521702
  • আরএসএস সম্পর্কে নিন্দাই শুনেছিলাম। তাদের পজিটিভ কাজ তুলে ধরার জন্য এলেবেলেকে ধন্যবাদ জানাই। সরকারের যা করা উচিত ছিল তারা করে দিয়েছেন।
  • মুচকি | 43.251.171.41 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৭521717
  • বিবেকানন্দ কোত্থাও কাউকে না বলে বা না লিখে কেন বেছেবুছে ওই ষোড়শ বর্ষীয় বালককেই বলেছিলেন?
    ১৬/১৭/১৮/১৯/২০ হলেও কিছু এসে যায় না কারণ বিবেকানন্দের এই মোক্ষম স্বীকারোক্তিটি ....
    ------
    কুম্ভকোনাম কলেজের বিএ ডিগ্রি পেয়ে মাদ্রাজ ল কলেজে ভর্তি হওয়া মানুষটি "ষোড়শ বর্ষীয় বালক" কিনা জানা গেল? এইগুলো লিখতে কী সেই বিশেষ ফেটিশই কাজ করে?
     
    তাহলে রক-এ যাওয়া অপ্রমাণ করতে বিবেকানন্দের নিজের লেখা চিঠিতে উল্লেখিত কমা-টির মিসইন্টারপ্রিটেশন করেই হচ্ছে না, স্বামী বিরজানন্দ, শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, স্বামী গম্ভীরানন্দ সবাইকে RSS-এর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাবাদী বলতে হচ্ছে। 
     
    কেন? না, সর্বজ্ঞ, ইংরিজি পণ্ডিত, মহাগুরু রাজাগোপাল বলিয়াছেন, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা সবাই concocted আর বলিয়াছেন He clearly wrote about meditating in the temple. 'The last bit of Indian rock' meant the tip of the mainland, not any island. এঁকে "বোঝা" ঠিক বলতে হলে উপরের ছ-জনকে মিথ্যেবাদী হতে হয়। আর উপরের ছ-জন সত্যবাদী হলে " 'কাগুজে সিংহী' : মার্গারেট নোবেল ", "মিথমুক্ত বিবেকানন্দ", 'শ্রীরামকৃষ্ণ : হারানো কথা', "Ramakrishna: Kali's Child and Lover", "স্বামী বিবেকানন্দের বাংলা - প্রকৃত লেখক কে?" -এই সব বইয়ের লেখক রাজাগোপালের আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যায়।
     
    এবার "ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে" ফ্রেজটা মা কুমারীর মন্দিরের বর্ণনাজ্ঞাপক হলে মন্দিরটাকে পাথরটুকরোর উপরে অবস্থিত হতে হয়, যা বাস্তবে নয়। আর ওর মানে tip of the mainland হলে স্বীকার করেই নেওয়া হচ্ছে দুটো আলাদা জায়গায় বসার কথা হচ্ছে, মন্দিরে ও পাথর টুকরায়। শুধু টুকরাটি সমুদ্রমধ্যস্থ হওয়াটা রাজাগোপালের না-পসন্দ, সুতরাং তার ভক্তেরও।
     
    এখানে রাজাগোপালের একটা সুবিধে হল তিনি গোটাগুটি মিশন ও বিবেকানন্দর সমস্ত ভক্তদের ব্ল্যাটান্টলি মিথ্যেবাদী বলছেন ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে। ফলে তাঁর হিসেবে এসব ঢপ তারা ১৮৯৩ থেকে, ১৮৯৭ থেকে, ১৯১৩ থেকে, ১৯১৯, ১৯৫৩, সবসময়েই দিতে পারেন। কিন্তু শিষ্যটি ফেঁসে গেছেন ঢপটিকে RSS -ইনফ্লুয়েন্সড বলে থিয়োরাইজ করতে গিয়ে। ফলে তাঁকে এখন প্রমাণ করতে হচ্ছে ১৯৬৩-র পরে এইসব ঢপ টাইম ট্রাভেল করে অতীতে প্ল্যান্ট করে আসতে হয়েছিল। অথবা, ১৮৯৩, ১৮৯৭, ১৯১৯, ১৯৫৩ -এসব কিছু নেইই। সমস্ত ইতিহাস ১৯৬৩-র পরে রচিত। খুবই কঠিন কাজ, বিশেষত পুরোনো বইপত্র পত্রপত্রিকা যখন টুকটাক পাওয়াই যাচ্ছে। এই জন্যে বলেছিলাম, নিজের ইন্টারপ্রিটেশন লোকের লেখার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সময় একটু সাবধান হতে। তা কে কার কথা শোনে?
     
    স্বামী শ্রদ্ধানন্দ রচিত "অতীতের স্মৃতি" বইটার প্রথম সংস্করণ পাওয়া গেল ?
     
     
  • q | 2405:8100:8000:5ca1::61:d438 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৭521724
  • এত চটাচটির কি আছে? রাজাগোপালের ভক্তরা ওনার একটা মন্দির বানিয়ে ফেলুন না। এখানে কয়েকজন আছেন দেখলাম। খুঁজলে আরো পাবেন। রাজাবাবু নিজেই হয়ত স্পনসর করে দেবেন।
  • Wiki | 42.110.145.39 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪২521726
  • মাত্র সাতাশ বছরে  সারা  ভারত  পরিক্রমণ  শুরু I  পায়ে  হেঁটে  দীর্ঘ পথ  চলা I ঊনত্রিশ  বয়সে  কন্যা  কুমারী  মন্দির  দর্শন I  শেষ  প্রস্তর  খন্ডের  ওপর  বশে  ধ্যান  করার  প্রবল  বাসনা I  সাঁতরে  পার হবার  প্রবল  ইচ্ছে  জাগতেই  পারে I  এই  সব  লোকজন  ইমোশন  ড্রিভেন  হয়ে  অনেক  অসাধ্য  সাধন  করতেই  পারেন I বিরাট আশ্চর্য্যের কি  আছে ?
    পেছন পাকা ​​​​​​​ডিসি  কি ​​​​​​​ইনফারেন্স ​​​​​​​করলো  সেটার ​​​​​​​কোনো  গুরুত্বই ​​​​​​​নেই ​​​​​​​I 
     
  • Wiki | 42.110.145.39 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৩521727
  • #বসে 
  • dc | 2401:4900:1f2b:78cf:bc06:8dc7:ae0c:64a1 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৭521728
  • এইটা উইকিবাবু এক্কেবারে ঠিক বলেছেন। বিবুদার কোটিখানেক ভক্ত আছে, আমি কি বললাম তাতে তাদের থোড়াই আসে যায় laugh
     
    শুরু থেকে আমি শুধু আমার কথাই বলছি। বিবেকানন্দ রাকে ঘুরতে গিয়ে আমার মনে হয়েছিল ওরকম হঠাত করে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐ পাথরটায় গিয়ে ওঠা খুব টাফ, কারন ডিসটান্সটা বেশ খানিকটা, আর ওখানে ঢেউও প্রচুর। বিশেষ করে বিবুদা যেখানে সাধারনত সমুদ্রে সাঁতার কাটতেন না। ওনার মনের জোর ছিল, ভালো বক্তাও ছিলেন, কিন্তু তাই বলে স্রেফ মনের জোরে অতোটা সাঁতার কেটে ফেলবেন, সেটা আমার মনে হয়নি। আর বিবুদাকে নিয়ে অনেক গুল্প তো আগে থেকেই চালু আছে, যেমন উনি নাকি কোথায় কোথায় যখন তখন ঠাকুর দেখে ফেলতেন ইত্যাদি, তাই ভেবে নিয়েছিলাম এটাও ওরকমই আরেকটা গুল্প। এই টইতে নানান আলোচনা পড়ে মনে হলো সেই সম্ভাবনা রয়েই গেল, অন্তত আমার কাছে। এই তো হলো ব্যপার। 
  • | 2405:8100:8000:5ca1::185:601c | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৮:২২521732
  • বিবুদার নয় কোটিখানেক ভক্ত, এলেবেলেরও তো গুটিকয় ভক্ত থাকা লাগে। নইলে খুব একতরফা হয়ে যায় কেসটা।
  • এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:১১521733
  • প্রথম থেকেই যেটা চলছে সেটা হচ্ছে গুচ্ছের স্পেকুলেশনের চাষ এবং এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। সেই কারণে গুচ্ছের অপ্রাসঙ্গিক জিনিসপত্র সাঁটা চলছে দেদারসে, কোনটার কোন সংস্করণ কবে থেকে আছে কিংবা কখন যোগাড় করে ওঠা গেল অথবা আমার নাগালে আছে কিন্তু আপনার নাগালে নেই জাতীয় কলার তোলা চলছে। ফাউ হিসেবে রাজাগোপালকে অকথ্য গালাগাল দেওয়া তো আছেই। 
     
     আর শুরু থেকেই মূল জায়গাটা বুঝতে ভুল হচ্ছে বলে অমুকের বয়স কত ছিল, তিনি কোথায় কী বিশাল পোবোন্দো ফেঁদেছিলেন, আরও পোবোন্দো ফেঁদেছিলেন কি না, দূরত্ব পৌনে তিনশো নাকি সাড়ে চারশো মিটার জাতীয় অবান্তর কথার চাষ হয়েই চলেছে।
     
    মন্তব্যগুলোতে একবারের জন্যও "স্বামী বিরজানন্দ, শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, স্বামী গম্ভীরানন্দ সবাইকে RSS-এর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাবাদী" বলা হয়নি। এক স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ছাড়া প্রত্যেকে কবে কী বলেছেন তার উল্লেখ করা হয়েছে। এবং তার জন্য গোটা বিবেকানন্দপিডিয়া ঘাঁটার সময়ও নেই, প্রয়োজনও নেই। একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে কোথাও "১৯৬৩-র পরে এইসব ঢপ টাইম ট্রাভেল করে অতীতে প্ল্যান্ট করে আসতে হয়েছিল" বলা হয়নি। এখন কারও যদি রাজাগোপালের ওপর কারণে বা অকারণে খার থাকে, তার দায় আমাকে কেন নিতে হবে? কাজেই ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে লাভ নেই।
     
    মূল প্রতিপাদ্য হল - নরহরি চক্রবর্তী যখন ‘ভক্তিরত্নাকর’ লেখেন, তখন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে কেদারনাথ দত্ত নামক জনৈক জোচ্চোর সেই বইকে ভাঙিয়ে ইতিহাসের কেমন বিকৃতি ঘটাতে পারে এবং তাতে সঙ্ঘীরা কেমন মদত দিতে পারে। তেমনই দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতা আরেসেসের সুবিধা হবে বলে জেনেশুনে মিথ্যাচার করেছিলেন, এমনটা নয়। সর্বোপরি তাঁদের বয়ানে বিন্দুমাত্র মিলও নেই। কিন্তু ওই কেদারনাথ দত্তের মতো ঠিক একইভাবে একনাথ রানাডে নামক জনৈক জোচ্চোর ওই রেফগুলো ভাঙিয়ে স্থানীয় সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও ইতিহাসের বিকৃতি ঘটায় যে বিকৃতির সঙ্গে জুড়ে থাকে মিশনের প্রত্যক্ষ মদত এবং রাষ্ট্রের সক্রিয় সহায়তা। লেখাটিতে তো বটেই, এমনকি একটি মন্তব্যেও বিবেকানন্দ সম্পর্কে কোনও অশ্রদ্ধাসূচক কথা বলা হয়নি। বিবুদাও লেখা হয়নি। সুতরাং বিবেকানন্দের শ্রাদ্ধ না করলে চলে ক্যামনে স্পেকুলেশনের চাষ অব্যাহত থাকলে কিছু করার নেই। 
     
    সব শেষে বলব, ১৮৯৭ সালে রামস্বামী শাস্ত্রী বিবেকানন্দের থেকে যে কথা শোনেন তার ৬৮ বছর পরে সে কথা চিঠি লিখে জানালেই সেটা ধ্রুবসত্য হিসেবে ধরে নিতে হবে, এমন দায় সবার না-ও থাকতে পারে। এর সমর্থনে অনেক স্বামী অমুকানন্দ অনেক কিছু লিখতেই পারেন, কিন্তু তাকে নির্বিবাদে বিশ্বাস করে নেওয়ার ভক্তি সবার না-ও থাকতে পারে। এর কারণ হিসেবে বহু আগে আপনি নিজেই বলেছেন "ভক্তদের লেখা জীবনীগ্রন্থে ভক্তির আতিশয্য না-থেকে ঐতিহাসিকের পুঙ্খানুপুঙ্খতার আশাই বা লোকে কেন করে কে জানে"। 
     
  • দীপ | 2401:4900:3bd5:b21d:2d2c:8bb6:f60a:8910 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:২০521734
  • অদম্য বিরিঞ্চিবাবা ! জিও বাবা! 
    বাবাই সত্য আর সব মিথ্যা!
  • Wiki | 2402:3a80:1983:3e55:278:5634:1232:5476 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৮521735
  • Narendra was known for his prodigious memory and the ability at speed reading. Several incidents have been given as examples. In a talk, he once quoted verbatim, two or three pages from Pickwick Papers. Another incident that is given is his argument with a Swedish national where he gave reference to some details on Swedish history that the Swede originally disagreed with but later conceded. In another incident with Dr. Paul Deussen's at Kiel in Germany, Vivekananda was going over some poetical work and did not reply when the professor spoke to him. Later, he apologised to Dr. Deussen explaining that he was too absorbed in reading and hence did not hear him. The professor was not satisfied with this explanation, but Vivekananda quoted and interpreted verses from the text, leaving the professor dumbfounded about his feat of memory. Once, he requested some books written by Sir John Lubbock from a library and returned them the very next day, claiming that he had read them. The librarian refused to believe him, until cross-examination about the contents convinced him that Vivekananda was indeed being truthful.[43]
    বিবেকানন্দ  এর স্মৃতিশক্তি  নিযে কিছু  গুল্প I এটা কী উইকি বাবা লিখছে I 
  • dc | 2401:4900:1cd1:f2fe:8066:1b1e:a966:123a | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩০521736
  • ডিসট্যান্সটা যাই হোক না কেন, এখনকার দিনে কেউ যদি লঞ্চে করে ওখানটা পেরোন, তাহলে ঐ প্রচুর ঢেউ আর বেশ খানিকটা দূরত্ব দেখে মনে প্রশ্ন আসবেই যে এক ভদ্রলোক সত্যিই সাঁতার কেটে পেরিয়েছিলেন, নাকি ওটা ভক্তদের বানানো গুল্প। অন্তত যারা বিবুদা বা অন্য যে কাউকেই হ্যালো এফেক্ট বাদ দিয়ে দেখতে চান, আর যারা জানেন যে আমাদের দেশে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সাইবাবা ইত্যাদি ইত্যাদিদের নিয়ে প্রচুর মিথ চালু আছে, তারা র‌্যাশনালি সন্দেহ করতেই পারেন। তার ওপর এখন দেখছি উনি নিজে নাকি সাঁতার কাটা নিয়ে কিছু লেখেননি। কাজেই................ 
  • গাঁজা | 2a02:ec0:209:10::4 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৩৫521737
  • উৎসাহেতে গরম হয়ে তিড়িং বিড়িং নাচে,
    কখনও যায় সামনে তেড়ে, কখনও যায় পাছে।
    এলোপাতাড়ি ছাতার বাড়ি ধুপুস ধাপুস্ কত!
    চক্ষু বুজে কায়দা খেলায় চর্কিবাজির মত।
    লাফের চোটে হাঁপিয়ে ওঠে গায়েতে ঘাম ঝরে,
    দুড়ুম ক'রে মাটির পরে লম্বা হয়ে পড়ে।
  • logic | 2405:8100:8000:5ca1::1e9:40e1 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:৫০521738
  • কথা মন্দ নয়। অনেকে চন্দ্রাভিযানকে র‍্যাশনালি সন্দেহ করে। পৃথিবীর গোলাকৃতিকে গুল্প ভাবে। রোমিলা থাপার টাপারকে তো উড়িয়েই দেয়। পয়েন্ট আছে।
  • hmm | 2405:8100:8000:5ca1::318:6d60 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:২৭521740
  • প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রোতাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রামকৃষ্ণ মিশন যে জীবনী প্রকাশ করে, একনাথ রানাডে সেই অনুযায়ী স্থানীয় সরকার  ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরোধিতার সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে নেহরুর সমর্থনে ঐতিহাসিক স্মারকটি গড়ে তুলতে সমর্থ হন।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:121b:f4eb:8616:fd00 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৪521741
  • বিবেকানন্দের স্মৃতিশক্তি নিয়ে কথাগুলো পুরো গুল্প নাও হতে পারে। ভারতে তো মুখস্থবিদ্যার প্রাধান্য চিরকালই। লোকে নাকি পুরো বেদ মুখস্থ করত। কোরান মুখস্থ করলে আবার উপাধি আছে, হাফেজ না কি যেন বলে।
  • Wiki | 2402:3a80:1983:3e55:278:5634:1232:5476 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৪৪521742
  • তাহলে  বোঝাই  যাচ্ছে বিবেকানন্দ এর  মধ্যে  অর্ডিনারি  নেহি  এক্সট্রা অর্ডিনারি  পাটর্স  ছিলো !
    মনের জোর ছিলো  সাংঘাতিক | সমুদ্রে  সাঁতার  তো  তুশ্চু !
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:88a7:883:ac39:d1f7:7ef4:c774 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৪৯521743
  • মুখস্থবিদ্যা ভারতে এক্সট্রাঅর্ডিনারী নয়। এটাই পয়েন্ট ছিল।
  • ক্ষিদ্দা | 2405:8100:8000:5ca1::f7:f80f | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৫০521744
  • ভারতে তো সাঁতারের চল খুবই। এটুকু সাঁতার যে অনেকেই কেটেছেন তার ভিডিও তো দেখাই গেল। মিহির সেন এক বছরে পাঁচ মহাদেশের সমুদ্রে সাঁতার কেটেছিলেন। জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন সিপিএম ওঁর জীবন দুর্বিষহ করে দেয় সে আলাদা কথা।
  • Wiki | 2402:3a80:1983:3e55:278:5634:1232:5476 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২১:০১521745
  • পয়েন্ট টা ফালতু I স্মৃতিশক্তি  অভ্যেস করে  বাড়াতে হয় | এর  জন্য মনের  ওপর  কন্ট্রোল লাগে I  
    এটাই  উইকি তে  লেখা  না  হলে ,লোকজন  গুল্প  বলে  তোপ দাগতো I 
    এই  উইকি তেই  স্পষ্ট  লিখেছে সাঁতার  কেটে  সমুদ্র  মাঝে  রকে  উঠেছিলেন I  একই  উইকি  দুজায়গায়  দুরকম  লিখছে I  অর্থাৎ  উইকি  যে  যখন  পারে  আপডেট  করে  দিতে  পারে I 
    কে  সমুদ্র  দেখে  কি ভাবলো সেটা  যুক্তি  নয়  I  প্রত্যক্ষয়দর্শী র  বিবরণই  মোর  এক্সেপ্টেবল I 
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:f2fe:8066:1b1e:a966:123a | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২১:০৫521746
  • বিবেকানন্দের স্মৃতিশক্তি নিয়ে কথাগুলো সব গুল্প তো নাই হতে পারে! আবার কিছু যে শিওর গল্প তা নিয়েও কোন সন্দেহ নেই। যেমন উনি কতোবার যেন ভগবানের দেখা পেয়েছিলেন, নাকি রামকৃষ্ণ দেখিয়েছিল, ওরকম একটা কিছু। ওগুলো তো ক্লিয়ার মিথ বিল্ডিং। তো কিছু যখন গুল্প চালু আছেই, তখন অন্য সুপারহিউম্যান ফিট এর গল্প গুলোও এক চামচ নুন সহকারেই নেওয়া উচিত। কন্যাকুমারীর ঐ জায়গাটায় প্রচুর ঢেউ, অতোটা দূরত্ব একজন ইনএক্সপেরিয়েন্সড লোকের পক্ষে না পেরতে পারাটাই স্বাভাবিক। কাজেই এই গল্পটা গুল্প হওয়ার চান্স ভালোই। 
  • হ্যাহ্যাহ্যাহ্যা | 2405:8100:8000:5ca1::31b:4d5d | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২১:০৬521747
  • লাখ লাখ লোক প্রতি বছর গ্রাজুয়েট হয় কাজেই মোদিও হয়েছে। প্রচুর লোক সাঁতার কাটে সমুদ্রে কাজেই বিবুও কেটেছে। একদম খাকিপ্যান্টিয় যুক্তি।
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::1ef:34fa | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২১:০৯521748
  • "কে  সমুদ্র  দেখে  কি ভাবলো সেটা  যুক্তি  নয়  I  প্রত্যক্ষয়দর্শী র  বিবরণই  মোর  এক্সেপ্টেবল I"
     
    সরি, এইটা ঐতিহাসিকদের যুক্তি হতে পারে। সোস্যাল মিডিয়ার র‍্যাশনাল আলাদা।
  • মুচকি | 43.251.171.41 | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২১:৪০521749
  • যদিও এই সপ্তাহাধিক সার্কাসে আপনি যে ক্রমান্বয়ে বিবেকানন্দের সাঁতরে "রক" এ যাওয়া, সেখানে ধ্যান করাকে ঢপ ও গুল্প বলেছেন, মিশন, জীবনীগ্রন্থের লেখকদের (স্বভাবতই সে-বইয়ের সম্পাদক/প্রকাশককেও) এবং প্রত্যক্ষদর্শী, স্বকর্ণশ্রোতা সকলকে জোচ্চোর ও মিথ্যাবাদী বলেছেন এবং RSS-এর সঙ্গে আঁতাত করে ফেব্রিকেটেড প্রমাণ সাজানোর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন সে ব্যাপারে ফোরামে সম্ভবত দ্বিমত পাওয়া যাবে না, তবু ভবিষ্যতের পালটি খাওয়ার প্রতিবন্ধক হিসেবে প্রমাণগুলি একত্রে রেখে গেলাম।
     
    "১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ... বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, ... প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। ...আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে ..." (১৭ জুলাই)~~~ এই আপনি মূল লেখায় বইটির প্রথম সংস্করণের সম্পাদক প্রকাশক স্বামী বিরজানন্দ থেকে পরবর্তী সংস্করণের প্রকাশক সম্পাদক স্বামী গম্ভীরানন্দ, স্বামী মুমুক্ষানন্দ ও সংশ্লিষ্ট সকল লেখককে জোচ্চোর ও মিথ্যাবাদী বললেন।
     
    "১৯১৩ থেকে ২০ বছর একটা কাঁচা ঢপবাজি চলল। তারপর প্রায় ৪০ বছর সেই ঢপকে বেমালুম গিলে ফেলা হল। ফের প্রায় ৪৫ বছর হতে চলল সেই ঢপকে ফের উসকে দেওয়া হয়েছে।"  (এলেবেলে | ২১ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৮) ~~~ এই আপনি বইটির সকল সম্পাদক/প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট সকল লেখককে আবার ঢপবাজ বললেন। (হিসেবটা ২০-৪৫-৪৫ হবে অবশ্য)
     
    "সদাশিবম পিল্লাই-এর গুল্পটা .... তখনও পর্যন্ত কারও মাথায় এই গুল্প ও গুল্পের সাক্ষী হিসেবে দুই দক্ষিণ ভারতীয় ভদ্রলোককে ব্যবহার করার সুবুদ্ধি উদয় হয়নি। এটা হল কবে? না যেই ৭০ সালে জলে ভাসে শিলার গুল্পটা জনমানসে প্রতিষ্ঠিত হল, অমনি ঝোলা থেকে দুই বেড়ালকে টেনে বের করা হল গুল্পটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে।" (এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৪৭) ~~~ এই আপনি শ্রী সদাশিবম পিল্লাই ও শ্রী রামসুব্বা আইয়ার কে মিথ্যাবাদী বললেন। শ্রী আইয়ারকে যতবার মিথ্যাবাদী বা মিথ্যা সাক্ষী বলছেন ততবার স্বভাবতই স্বামী বিরজানন্দকেও মিথ্যাবাদী বলছেন, কারণ তিনিই রামসুব্বা আইয়ারের দেখা পান, ও বক্তব্য শোনেন। একথা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ 'অতীতের স্মৃতি" গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন বলে তাকেও স্বভাবতই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করছেন।
     
    "আরেসেসের এই কর্মকাণ্ডকে নিঃশর্ত সমর্থনকারী মিশনের এই 'ঘটনা'-র প্রমাণ হাজির করতে ওই ঠিক মিনিটখানেকই লাগে। চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা ..." (এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৮) ~~~ এই আপনি বললেন আরেসেস-কে সাপোর্ট দিতে মিশন ফেব্রিকেটেড প্রমাণ হাজির করেছিল।
     
    ডাঁহা মিথ্যা এতটাই পল্লবিত হয় যে শেষ পাথর টুকরোটা ...কিছুতেই পাশের পাথরের টুকরোটায় হয় না। (এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৩) ~~~ এই আপনি আবার বিবেকানন্দর রক-এ সাঁতরে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিথ্যাবাদী বললেন।
     
    ওই সদাশিবম পিল্লাই-এর গুল্পটা ১৯৫৩ সালের আগেই হবে। তিনজনকেই হাজির করা হয়েছে ওই মন্তব্যে। তারপর ১৯৭৯-তে আরেসেস-এর অর্ডারমাফিক সাপ্লাই। (এলেবেলে | ২৩ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪৬) ~~~ এই আবার শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী সবাইকে মিথ্যাবাদী বললেন। প্রমাণগুলিকে RSS এর স্বার্থে সাজানো বললেন।
     
    এবারে গুল্পটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে ... আসরে নামলেন স্বামী গম্ভীরানন্দ। যুগনায়ক বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড, ১৩৭৩) গ্রন্থে তিনি জানালেন ... যদিও একটা মিললে অন্যটা না মেলারই কথা।  (এলেবেলে | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২১:০৯) ~~~ এই স্বামী গম্ভীরানন্দকে মিথ্যাবাদী বললেন। RSS এর প্রয়োজনে মিথ্যা প্রমাণ সাজানোর দায় দিলেন।
     
    যে লোক ত্রিবান্দমে থেকে কন্যাকুমারীর গপ্পো ঝাড়েন, তাঁকে শঙ্করীপ্রসাদ বা অন্য কেউ বিশ্বাস করতে পারেন, (এলেবেলে | ২৪ জুলাই ২০২৩ ২৩:১৫) ~~~ এই আবার কে এস রামস্বামী শাস্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বললেন।
     
    ১৮৯৭ সালে রামস্বামী শাস্ত্রী বিবেকানন্দের থেকে যে কথা শোনেন তার ৬৮ বছর পরে সে কথা চিঠি লিখে জানালেই সেটা ধ্রুবসত্য হিসেবে ধরে নিতে হবে, এমন দায় সবার না-ও থাকতে পারে।  (এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৯:১১)~~~ আবারও স্বামী গম্ভীরানন্দকে যিনি চিঠি পেয়েছিলেন অথবা কে এস রামস্বামী শাস্ত্রীকে যিনি চিঠি লিখেছিলেন, ধ্রুব-অসত্যবাদী তথা মিথ্যাবাদী বললেন।
     
    প্রবুদ্ধ ভারত থেকে রামস্বামী শাস্ত্রীর লেখার পরের পার্টটা দিতে পারবেন না ধরে নিয়ে দিয়েই দিচ্ছি। তাঁকে অবিশ্বাস করা না-করার সিদ্ধান্ত নিতে কাজে লাগতে পারে। আপনার না, অন্যদের।
     
    স্বামী বিরজানন্দের সঙ্গে ১৯১৯ সালে রামসুব্বা আইয়ারের দেখা হওয়ার ঘটনা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ লিখিত "অতীতের স্মৃতি" গ্রন্থে উল্লিখিত। সে বইয়ের প্রথম সংস্করণ ১৯৫৬। মানে মন্দির তৈরির সম্ভাবনারও অনেক আগে। তাই প্রত্যক্ষদর্শীদের প্ল্যান্ট করা হয়েছিল ১৯৬৩ তে RSS এর সুবিধে করার চাহিদায়, এই যুক্তি ওই সংস্করণের বইটির ১৯১৯ এর মোলাকাতের উল্লেখ দেখলে ধসে যেতে পারে।
     
    আর হ্যাঁ, আমার কাছে এসব কোনো বই টই নেই। কাজেই কলার তোলার প্রশ্নই নেই।  তবে আমি তো আর এসব আউলবাউল লিখতে যাইনি। যিনি লিখেছেন তাঁর কাছে লেখার ব্যাকাপ থাকা প্রত্যাশিত। এখন দেখা যাচ্ছে ব্যাকাপ বলতে দুটি "টার্শিয়ারি" রেফারেন্স আর আপন মনের মাধুরি মিশানো RSS এর ধামাধরার উপপাদ্য। শেষ পোস্টে যে মেকাপ দেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন, নিজে পড়ে দেখলেই দেখবেন আগের পোস্টগুলির গালবাদ্যের সঙ্গে সেটা একেবারেই মিলছে না, যুক্তি হিসেবেও না। যাইহোক, ভালো থাকবেন। আর কিছুই বলার নেই।
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন