এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • কুসুম 

    Jayeeta Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৭ জুন ২০২৩ | ৩১০ বার পঠিত
  • আগের পর্বের রেশ...
    (সে অনেক বছর আগের কথা)
    ....
    বৈঠকখানার ঘরটায় আলো জ্বলে উঠেছে রোজকার মতো। একজন দুজন করে আসবে। সাহিত্য আড্ডা গান।
    বাড়িটা কুসুমের। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত। মধ্য বয়স দুজনেরই।
    আজ দোল পূর্নিমা।
    _ কেমন দোল খেলা হলো মিহিরবাবু?
    _ নাহ। আমার কোনো বন্ধু নেই রঙ খেলার।
    _ বোলপুর যান নি?
    _ হ্যাঁ, প্রবোধদা সেখানের রাজবাড়ির লোক। আমি গেলে খুব খাতির।
    _ তাই নাকি?
    _ ওখানে গেলে পাগল হয়ে যাই।
    _ তবে থাক গিয়ে কাজ নেই। কুসুম মাথা নীচু করে একটা নতুন ছোটো পত্রিকা ওল্টায়।
    _ তুই দোল খেলিস নি কুসুম?
    _ নাহ। আপনার প্রাণের বন্ধু তো আছে সে রঙ খেলে না বুঝি।
    _ কে?
    _ কেন নরেনবাবু। তিনি তো আপনার প্রাণাধিক প্রিয় বন্ধু।

    বাতায়ন প্রান্তে কুসুম গোধূলির রঙ দেখতে ব্যস্ততা দেখায়।
    আজ ইজাজ আসবে দেরীতে। মাগরিবের নামাজ সেরে ..............

    বিকেলের এই বৈঠকে আজ তর্ক উঠেছে "মাল্যবান" উপন্যাসটি নিয়ে ..............

    কুসুম লেখিকা। নামের থেকে দেবী ও দাসী দুটোই বাদ দিয়েছে ..............
    সারা সকাল কেটে যায় আজকাল রুগী নিয়ে।
    অপরাধী মনে হয় নিজেকে কুসুমের, মহত প্রাণগুলি নিয়ে এরূপ মিছিমিছি খেলা ..............

    (শেষ পর্ব)

    _ কি হয়েছে, জ্বরটা বাড়লো?
    _ নাহ কিছু না।
    কুসুমের মনে কাঁটা। এখানে লুকিয়ে আছে নোংরা রাজনীতি। ইজাজের যাওয়া উচিত হয়নি। কিছু অশুভ লোক ধর্মের তাশ পাশা খেলে এই গ্রহে। উন্নত বা উন্নতকামী উভয় দেশেই। শুধু প্রাণ যায় গরীব মানুষের। তাদের প্রাণের দাম "ঘটনা দুঃখজনক"। আজ শান্তির প্রাণ বাঁচল।কাল আর কারো প্রাণ যাবে।
    গোটা এলাকা ফুঁসছে, কুসুমের, ডাক্তারদিদির ওপর আক্রমণে।
    আজ সারাদিন যেন এক বিভিষিকাময় দিন .............. পূর্ব স্মৃতি কড়া নাড়ে দরজায়।

    গত বছর জানগুরুর সালিশি সভায় সবার মাঝে বুড়ি আদরমণিকে এমন প্রহার করা হলো সে সেখানেই প্রাণ হারালো। সঙ্গে চার আরো নারী অসহায়ভাবে পড়ে পড়ে মার খেয়ে হাসপাতালে। ওরা পরে খবর পায়। কখনও সামান্য বচসা, জমি বিবাদ, প্রতিশোধ শুধু নয় সম্পূর্ণ অন্ধ বিশ্বাসের এই হত্যার হিসেব মর্মান্তিক। কুসুম ভাবছে এখনও সার্ভে বলছে গত বছর পর্যন্ত শেষ পাঁচ বছরে যেখানে গড়ে পঞ্চাশ থেকে ষাট জনকে ডাইনি সন্দেহে পুড়িয়ে, পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেই দেশে মার্ক্স বোঝাতে যাওয়া হাস্যকর পাগলামি।

    তবে এই বিশ্বের প্রগতিশীল দেশে দেশেও একসময় নির্মম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে ডাইনি সন্দেহে। ইতিহাস রক্তের দিনলিপি লেখে।
    ১৬৯২, সালেম গ্রাম, ম্যাসাচুসেট্সের কাছে। প্রথম বলি হয় ডাইনি সন্দেহে ব্রিজেত বিশপ।

    কুসুম আপন মনে বলে
    _ ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে পাশ্চাত্য সভ্যতা ডাইনিপ্রথার নামে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ হত্যা করেছেন। শুধুমাত্র সালেম ট্রায়াল খ্যাত এই ডাইনি সন্দেহে প্রায় দেড়শো জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
    _ তাহলে আমাদের দেশ পেছিয়ে কোথায় আর। রেহানাদি মুখ খোলেন প্রথম।
    _ ফারাক সময়ের, ১৬০০ থেকে ১৭০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে মূলত ডাইনি প্রথার নথি পাওয়া যায়।
    _ ব্রিটেনের মাদার শিপটন নামে খ্যাত মহিলা পুরোহিত ছিলেন দেখতে কদাকার এবং শারীরিক বিকৃতির শিকার, কিন্তু তাঁর জ্ঞান ছিলো নস্ত্রাদামুসের সমান। আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়।

    নরেন নিজেই কুসুমকে টিটেনাস দিচ্ছে। একটা হাত চেপে আছে সে নরেনের। সেই স্পর্শে লেগে আছে না ফোটা ফুলের পরাগ।
    মূলত আদিবাসী ও অন্ত্যজ সমাজের নারীরা আমাদের দেশে ডাইনি প্রথার বলি।
    _ সেটা কতটা কুসংস্কার আর কতটা কূট রাজনীতি বলা মুশকিল। সম্পত্তি লুঠ একটা বড়ো কারণ। - বিমলবাবু রায় দেন ।

    হাতটা ধরে আছে নরেন। কুসুম অনেকটা বলে চোখবন্ধ করে। জ্বরটা বাড়ছে। তার উচ্চ রক্তচাপ, আজ কয়েকটি চোট তারও লেগেছে শান্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে।

    _ পরে অবশ্য আমেরিকা ও জার্মানি সহ অন্যত্র নিষিদ্ধ হয়েছে এ প্রথা, আছে শুধু এই পোড়া দেশে।

    মিলি কলকাতার কলেজ থেকে ছুটিতে এসেছে। "আর কতদিন" - ক বলে। খ ও শ আজ এসেছে। তারা যৌবনের দ্যুতিতে অস্থির। তারা  সন্ত্রাসের জবাব সন্ত্রাসে চায়। না। এখন সে সময় নয়।

    _ কিসের সাম্যবাদ, কিসের বিপ্লব, কাদের জন্য আর কারাই বা চায় বিপ্লব - ইজাজ দৃশ্যত হতাশ।
    _ চারা পোঁতা হয়েছে জল দাও। অশিক্ষার আর কুসংস্কার দূরীকরণ কর্মসূচী নিতে হবে - বামপন্থী আন্দোলনের ভিত নিম্নবর্গের উন্নতি সাধন। শোষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন। ডাইনি প্রথাও সেই শোষনের রাজনীতির বাইরে নয়।

    আজ একজন শান্তি বাঁচল। বাঁচে নি সনকা তার দ্বিতীয় স্বামীর দ্বারা অন্ত:সত্ত্বা হবার অপরাধে ----

    _ এ বিপ্লব মননের বিপ্লব, প্রসাশন ক্ষমতা চায় যে কোনো মূল্যে। মানসিক পরিবর্তন আনতে হবে নিয়মিত - মিহির বলে।

    আজকের ঘটনা সম্প্রচারিত হয়েছে গনমাধ্যমে। বিডিও কাল তদন্তে আসবে।
    কুসুমের মনে হচ্ছে এর আড়ালে গভীর ষরযন্ত্র রয়েছে।
    সময় কম। সে শর্ত ভেঙেছে। যে কোনো মুহূর্তে রাত নেমে আসবে .....

    কুসুম দ্রুত কাজ করতে থাকে।

    গ্রামসমাজের সঙ্গে শহরের রাজনীতির অনেক তফাত। এখানে কোনো আদর্শের কথা চলে না। অনেক মানুষ দেশের নামটাও জানে না। তারা বেঁচে থাকার লড়াই করতে করতে অমানুষ হয়ে গেছে। এখানে রক্তই ফয়সলা করে। শান্তার বেচেঁ ফেরায় তপ্ত আদিবাসীসমাজ। তাদের রোষের আঁচে বাতাস জোগাচ্ছে আঞ্চলিক রাজনীতি। ব্লক অফিস দখল নিয়ে দ্বন্দ। তারা কুসুমকে আর বাড়তে দিতে চায় না।

    কুসুম নতুন এক গুপ্ত দল গঠনের কারিগর মাত্র। যে দল বর্তমান দলের থেকে পৃথক। এখানে ক একজন দলিত চাষী পরিবারের শিক্ষিত যুবক। তার গায়ে মাটির গন্ধ। খ পড়াশোনা করেছে তার বাবার বন্ধ কারখানা, অনাহার আর মায়ের চোখের জল দেখতে দেখতে। শ এর মা গৃহপরিচারিকা ছিলেন, সেই অসমসাহসী মেয়ের গায়ে ঘাম। এরা বিভিন্ন জেলায় কাজ করছে। তৈরী করছে এক বিকল্প দল প্রকৃত শ্রমিক, চাষী, মজদুর যেখানে হবে নেতা। শিক্ষিত মানুষ, মিডিয়া, শিক্ষকরা যাদের পেছনে স্থান পাবে।

    কাজটা কঠিন। অসম্ভব নয়। অমলকান্তি বলতো স্বপ্ন দেখা বন্ধ না হয়।

    ভগ্নদূতের মতো সন্ধ্যায় শিবু এসে খবর দেয় ভুবনডাঙার ওপারে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হচ্ছে। আদিবাসীদের গ্রামের সালিশি বুঝিয়েছে শান্তা মুসলমান ঘরে রাত কাটাচ্ছে তাই ইজাজ তাকে বাঁচাতে এসেছিলো। শান্তাকে নিয়ে গেছে মুসলমানরা। এমন গুজব ভানুপাড়ায়।

    কুসুম উত্তেজনায় উঠে বসে। মিহিরবাবু ও বিমলবাবু ওসির সঙ্গে কথা বলে। বাকীরা ছুটে যায় দাঙ্গা থামাতে। কুসুম বুঝতে পারছে সময় আগত।

    সমস্ত লিংক এর সাহায্য চায়, খবর পৌঁছে দেয় দিল্লী থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিতে যাদের সঙ্গে তাদের গোপন আঁতাত।

    _ আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে যে কুসুম, আর প্রাণ না যায় এ ইতরের দেশে। আমি যাই।
    _ সাবধানে যেও নরেন, নিজের খেয়াল রেখো - আপন মনেই বলে  কুসুম, নরেন তো কখনই চলে গেছে।

    দরজায় দাঁড়িয়ে কুসুম। তমসাচ্ছন্ন সামনের পৃথিবী। আগুন। শুদ্ধ করে, দগ্ধও।

    _ আমার এক্ষুনি যাওয়া প্রয়োজন কুসুম। নরেন একা। যেতে দাও।
    _ না ইজাজ, নরেনের সাথে লোক আছে। ওরা তোমাকে চায়।
    _ তবে আমি যাব। এরা অবুঝ এদের বোঝাতে দাও, আমি লুকিয়ে থাকবো ভয়ে তা কি হয় কুসুম।
    _ না তোমাকে যেতে দেবো না, প্রাণ থাকতে না - দুটি জ্বরতপ্ত হাত চেপে ধরে ইজাজের হাত।

    ইজাজ বিহ্বল হয়।
    সারা রাত জেগে কাটে। ভোরের দিকে জ্বরটা নেই। পূব আকাশে লালিমা।
    ইজাজ শিশুর মতো নিদ্রামগ্ন ।

    শালবনের ভেতর দিয়ে হেঁটে যায় কুসুম মসজিদের দিকে। আজান প্রায় শেষ।
    চারিদিকে শিশিরবিন্দু। কোথাও নেই কোনো দ্বন্দ্ব। পৃথিবী এখন শান্ত। স্থির।
    গাছেরা নিবিড় ভাবে দাঁড়িয়ে সারিবদ্ধতায়। সমতার নীরব ভঙ্গিমায় ।
    সব অস্ত্র নিথর। সব সন্ত্রাস ক্লান্ত হয়ে গেছে অবশেষে।
    মসজিদের সোপানে নিরাবরণ চরণ রাখে কুসুম।

    সেই মুহূর্তে নিঃশব্দ শিশিরের মতোই চাতালে ছড়িয়ে পড়ল রক্ত। দমকে দমকে রক্ত উছলে পড়ে। পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে ছোরা তরুলতার মতো শরীর লুটিয়ে পড়েছে। আবছা স্বপ্নের মতো মিলিয়ে যায় আততায়ী।
    তখনও গম্বুজের মাথায় অনুরণন।
    আল্লাহ হু আকবর
    আশহাদু অাল লাই লাহা ইল্লা
    আশহাদুআন্না মোহাম্মাদারুর রাসুলাল্লাহ
    হাই‌য়ে আলাসসালাহ্
    হাই‌য়ে আলালফালাহ্
    আসসালাতু খাইরুম মিনাননাউঁম
    আল্লাহ হু আকবার আল্লাহু আকবার
    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
    অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো।

    (কেটে গেছে অনেকগুলো বছর এরপর)

    মুহূর্ত জুড়ে জুড়ে সময় হয়, সময় জুড়ে জুড়ে কাল। দিন কেটে গেছে। মাসও। সময়মতো কতগুলো বছর।
    ভানুপাড়ায় কোনো এক রাত্রিকালীন দাঙ্গার খবর বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গেছে কিভাবে যেন।
    আন্তর্জাতিক প্রতিনিধির পদার্পণ পাল্টে দিয়েছে আদিবাসী গ্রাম। এখানে শৌচাগার। সরকারি স্কুল। পিচঢালা পথ চলে গেছে এঁকে বেঁকে। ভানুপাড়ায় পুলিশ ফাঁড়ি।
    তড়িঘড়ি আদিবাসী উন্নয়নের প্রকল্প চালু।
    তবু বসন্তের শেষদিনে একটা মেলা হয়। বিরাট মেলা। হিন্দু মুসলমান, আদিবাসী, সুফি, সন্ত, বাউল সবাই আসে। বিদেশীরা আসে। কুসুম-মেলা।
    না কোনো পূজো হয়না। মসজিদে মিলাদ হয়। এবাদত হয়।
    একটা জীর্ণ বাড়ির বৈঠকখানায় আজো আলো জ্বলে। নিয়মিত আসে মিহিরবাবু, বৃদ্ধ বিমলবাবু, জ্যোতিপ্রকাশ ইত্যাদি।
    এবাড়িতে পার্টি অফিস। তাদের শক্তি ও সদস্য অনেক। কিন্তু এ বাড়িতে কুসুমের কোনো ছবি নেই। সূর্যনগরেই নেই।
    আছে মনে মনে কুসুম। প্রতিটা হৃদয়ে।
    বিশ্বাস আর আদর্শ একটা ধারণা তাই ভারতের এই নতুন সাম্যবাদী দলটিতে ছবি ও মূর্তি নিষিদ্ধ। এক মন এক বিশ্বাস নিয়ে তারা নবজাগরণের পথে।
    কুসুম বেঁচে থাকে সূর্যনগরের ধূলায় বাতাসে বিশ্বাসে। রোগ হলে সবাই কুসুম দিদির কাছেই কৃতজ্ঞ থাকে। তার রক্ত এখানে এনে দিয়েছে সুষ্ঠু প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র।
    শুধু নরেন কোনো কোনো রাতে সহসা আনমনা হয়, ইজাজ পাকাপাকি আশ্রমবাসী।
    ভোরের আজানে মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে যায়।
    শালবনে ভোর বেলা অশ্রু ঝরে পড়ে।
    রেহানা একটি মলিন ছবি পেয়েছিলো। আবছা এক যুবক। সুদর্শন, তেজদীপ্ত চোখ। কুসুমের শাড়ির ভাঁজে। আলমারীতে।
    না, অমলকান্তির প্রকৃত নামের কেউ খোঁজ করে নি। হয়ত এই দেশের সব উচ্চশির আদর্শবান সাম্যবাদী যুবকের নাম অমলকান্তি।

    "কুসুম" অমলকান্তিদের সেই বিপ্লবের নাম।

    ___
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১৭ জুন ২০২৩ | ৩১০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন