এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক

  • খিড়কী  থেকে  সিংহদুয়ার

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ০৬ এপ্রিল ২০২২ | ১২৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সাপের মত রেললাইন। এ ওকে জড়ায়। আবার ও ওকে ছাড়ে। অন্যদিকে বাঁকে। বর্ষার ধারায় চকচকে। স্লিপারগুলো পিছল। সামান্য। এ পথে এমনিতে হাঁটা মানা। বড়দের বারণ কেই বা কবে শুনেছে। মাটির থেকে খানিকটা উপরে রেললাইন। ফাঁকা, ফাঁকা। নির্জন। পাশে বসতি নেই। তাই রেললাইনের উপর চাদর পেতে আড্ডাও নেই। নেই সংসারের ডেয়ো-ঢাকনা শুকোনোও।
     
    সকালবেলায় কোনদিকে তাকানোর সময় হয় না। তখন শুধু ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ানো। ওড়না কোমরে জড়িয়ে। ছোট, ছোট। ট্রেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ট্রেনই জেতে। আগে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে ঢোকে। রু হাঁফাতে হাঁফাতে ছোটে। শেষমুহুর্তে এসে দরজার হাতল ধরে। শেষকামরার। কেউ না কেউ টেনে তুলে নেয়। কেউ না কেউ বকে। এইভাবে কেউ ট্রেন ধরে! বললে কি হবে! স্বভাব! সকালে সময় নেই। বিকেলটা নিজের। কোন তাড়া নেই। রু নিজের মনে গুণগুণ করে। আর স্লিপার থেকে স্লিপারে লাফায়। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়লে এপথ বর্জন। তখন গুটি গুটি মেন গেট দিয়ে বেরোতে হয়। ছাতা মাথায়। তারপর রিক্সায় ওঠা। মজা হয় যখন ঝকঝকে দিন।
     
    বা টিপটিপিয়ে বৃষ্টি পড়ে। রু প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সোজা নেমে আসে লাইনে। ট্রেনের টাইমটেবল জানা। কখন কোন লাইনে আসে। ট্রেন দেখা যায়। শোনাও যায়। কান-ফাটানো হুইসলের শব্দ। জমির কাঁপনও। বোঝা যায়। সাধারণ সতর্কতাটুকুই যথেষ্ট। তারপর স্বাধীনতা। আকাশটুকু । বাতাসটুকুও। সবটুকু একার। এই সময়টার জন্য। জুতোতে লেগে পাথর ছিটকায়। পাথরের সঙ্গে রু উড়িয়ে দেয় মনখারাপ। বন্ধুদের অকারণ মিথ্যে কথা বলার কষ্ট। মেয়ে বলে বেশি নম্বর পাস শোনার অপমান। এদিকে হাওয়ায় হাওয়ায় কামিজের ওড়া। দেখার কেউ নেই। ছাতা-টাতা খোলে না রু। বৃষ্টির দানা মুখে মাখে। শাওন আসিল ফিরে। কখনো কখনো ট্রেন আসে। নিরাপদ জায়গায় সরে যায়। ট্রেন দ্রুত ছোটে। হাওয়ার ঝাপটায় দোলে রু। বৃষ্টির ফোঁটারাও এলোমেলো হয়। রু’র ছেলেমানুষি জাগে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। মামার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ট্রেনের দিকে হাতনাড়া। হঠাৎ জোরে জোরে হাত নাড়তে থাকে। ট্রেনের কেউ দেখে না। কেউ দেখে।  অচেনা লোক। কি ভাবে তাতে কি এসে যায়!  
     
    ফোঁটাগুলো বড় হয়। বর্শার ধার জোড়ে। এইবার পা চালায় রু। সামনেই নীচে নামার সিঁড়ি। ভয়ানক পিছল। আর ভাঙ্গা ভাঙ্গা। খুব সাবধানে নামতে হয়। এদিক ওদিক হলেই মুশকিল। সিঁড়ির মুখেও এঁটেল মাটির ঢিপি। পাতালরেলের কাজ হচ্ছে। চারদিকে মাটি আর মাটি। রেললাইনের তলায় একটা টানেল। খাওয়া-খাওয়া পিচের রাস্তা। এপাশ- ওপাশ জুড়ে দেওয়া। খোঁদলগুলো জলে ভরে উঠেছে। রু কাপড়ের জুতোর থেকে নাছোড়বান্দা কাদা ছাড়ায়। এক চিলতে পেভমেন্টএ পা ঠুকে ঠুকে। পরিচিত কেউ পাশ দিয়ে যেতে যেতে হাঁক দেন। তাড়াতাড়ি বাড়ি যাও। জোর বৃষ্টি আসছে। ব্যাগ আঁকড়ে ধরে ছুট লাগায়। তবু শেষরক্ষা হয় না। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নাবে। বাড়ির গলিতে ঢোকার আগেই। বাড়ির দরজায় পৌঁছে বেল বাজাতে বাজাতে ঝুপ্পুস ভিজে। দরজা খুলতে খুলতেই বকুনি। ছাতাটা কি ব্যাগেই থাকার জন্য? তখন মনে পড়ে, এই যাঃ! ছাতাখানা ছিল বটে।
     
    তাড়াতাড়ি ব্যাগের থেকে বই বার করে। সব ভেজা। ফ্যানের তলায় শুকাতে দেয়। তারপর হুড়মুড়িয়ে স্নানে ঢোকে। জলের শব্দের সঙ্গে কানে আসে, মার চেঁচানি। গরম তেল রাখলাম। গা মুছে ভালো করে ডলে ডলে লাগাবি। হুড়মুড়িয়ে ছোটবেলা আসে। স্কুল থেকে ভিজে ফিরলে এটা মাস্ট। লাগিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা ছিল বাবার। কবে যেন বড় হয়ে গেল।
    বড় এক কাপ চা জোটে। বড়ই আরাম। বর্ষণস্নাত ঠান্ডা শরীরে। দুহাতে জড়িয়ে রাখে উষ্ণতাটুকু। মা তখন রান্নাঘরে। রাতের খাবার বার করছেন। ফ্রিজ থেকে। টুকটাক গল্প হয়। কলেজে কি হয়েছে। মা’র স্কুলে।     বাবা তখনও পড়াচ্ছেন। বাইরের ঘরে। জনা পাঁচেক ছেলেমেয়ে মন দিয়ে পড়া শুনছে। তাই গলা তোলা যায় না। ওদের অসুবিধা হবে। চাপা গলাতেই গল্প চলে। হঠাৎ কি মনে পড়ে। ছোটে দোতলার বারান্দায়। জুঁই ফুলের বাস।  ম-ম করছে ছোট্ট বারান্দাটা। বাইরে বৃষ্টি তখনও অঝোরে। রু গ্রিলের ফাঁক দিয়ে গলির মুখটা দেখতে চায়। রাস্তার আলো নেভানো।  বাড়িগুলোর থেকে আলো পিছলাচ্ছে। সেই আলোয় গলির মোড়টা চিকচিক করছে। জল জমছে। ব্যস। আগামী এক দুদিন কলেজ বন্ধ। কখন পাম্প চলবে। তবে জল নামবে। কবে কি হবে ভেবে লাভ নেই। এখন চুপ করে শোনা যাক। বৃষ্টির শব্দ। পাশের বাড়ীর অ্যাসবেসটসের ছাদে। একটানা, একঘেয়ে সুর। তবু একটা ঝিমঝিমে ভাব ধরানো। অনেকটা লোকসঙ্গীতের মত। রু ঘরে এসে ক্যাসেট হাঁটকায়। কিছুতেই পছন্দের সুর খুঁজে পায় না। মন চাইছে চাপা উষ্ণতা, ঘন স্বর। প্রিয়জনসঙ্গ। এক জোড়া উষ্ণ ঠোঁট। চাইলেই কি মেলে?     
     
    ***
     
    খেলাধুলা একদম ভালোবাসে না রু। ধারেকাছে থাকে না। বাড়ীর সবাই হুমড়ি খেয়ে ক্রিকেট খেলা দেখে। টিভি যেখানে থাকে, তার কাছেও যায় না খেলাচলাকালীন। শুধু গল্পের বইতে ডুবে থাকে। সেই রু একটা কান্ড করে বসে। স্কলারশিপের টাকা হাতে এসেছে। একটা সাইকেল কিনে ফেলে। চালাতে শেখে নি আগে। বাড়িতে সাইকেলও ছিল না। তাই শেখারও সুযোগ নেই। দুএকদিনের জন্য মামাবাড়ি যেত। মফঃস্বল। সেখানে সাইকেল ছিল। দাদাদের পিছনে ঘুরত। শিখিয়ে দে না বলে ঘ্যান ঘ্যান করত। কিন্তু হত আর না। এইবার একদিন এক বন্ধুকে নিয়ে দোকানে যায়। পছন্দ করে। কিনে ফেলে। ‘মেয়েদের সাইকেল চালানোর কি দরকার’ এইসব বলার সুযোগ দেয় না কাউকেই। ঝকঝকে নতুন। আভন। কি আনন্দ! একজন দিদিকে বলা হল। শেখানোর জন্য। ভোরবেলা তার সঙ্গে বেরোত। প্যাক্ট হল, রাস্তার অ্যাডভেঞ্চার বাড়িতে বলা যাবে না। কাছেই বিশাল মাঠ। সেখানে ফুটবল খেলা হয়। সকাল-বিকাল। অনেকগুলো দল। অনেকগুলো গোলপোস্ট। তার মধ্যে দিয়ে বাই বাই সাইকেল ছুটল। পিছন পিছন দিদি। খেলুড়েরা প্রথমে ক্ষেপে বোম। পরে তারা বুঝল। এ তো না শিখলে মাঠ ছাড়বে না। তখন ওরাই পিছন পিছন ছুটত। তারপর একদিন দিদি অনুমতি দিল। মাঠ থেকে রাস্তায়। মাঠের অধিকার ফিরে গেল ছেলেদের হাতে। রু’র জীবন অবশ্য একই রকম ইভেন্টফুল।  ধাক্কা মেরে তরকারির ঝুড়ি উলটে ফেলে দেওয়া। নিজে নর্দমায় পড়া। এসব ঠিক ছিল। শেষকালে একদিন একজনকে ধাক্কা মারল।  তিনি তখন রাস্তার ধারে প্রাতঃকৃত্য করতে বসেছিলেন। আরোহী ও ভদ্রলোক দুজনেই গড়াগড়ি। ভাগ্যিস সাইকেল অন্যদিকে পড়েছিল। এই খবরটা বাড়িতে এসে পৌঁছালই। রু কাউকে বোঝাতে পারল না। দোষটা তো ভদ্রলোকেরই। রাস্তায় ... ছি ছি। অত আলোচনার মধ্যে সাইকেল উঠে গেল চিলেকোঠার ঘরে। ব্যস।  

    (ক্রমশঃ )
     
    (সমতট  বর্ষ ৫১ সংখ্যা ৩ ও ৪ এ পুর্ব প্রকাশিত )
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৬ এপ্রিল ২০২২ | ১২৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:০৬506071
  • আরে!! সাইকেল নিয়ে গড়াগড়ি খেলেই কেমন সাইকেলে তালা পড়ে যায় মেয়েগুলোর।  আর আমি কিনা ভাবতাম আমারি দোঢ কেন ঠিক করে পারি নি।
  • Swati Ray | 117.194.41.181 | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ২০:১৭506080
  • অথচ দাদা-ভাই রা গড়াগড়ি খেলে তাতে একটু না পড়লে শিখবে কি ভাবে !
  • | ০৬ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩৮506082
  • হ্যাঁ হ্যাঁ ওইটুকু আর লিখি নি। 
     
    আমি ভাবতাম আমারি দোষ।
  • Surajit Das | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৪৬506145
  • পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন