এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খ্যাঁটন  হেঁশেলে হুঁশিয়ার  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • ডিডি-র কিচাইন–৫

    ডিডি
    খ্যাঁটন | হেঁশেলে হুঁশিয়ার | ০৪ মার্চ ২০২১ | ৩০৪৭ বার পঠিত
  • খানা-সংস্কৃতি ভাই! ইদানীং ফ্যাশন ওইটাই! শুধু খেলে হাঁসফাঁস করে হবেনি কো, জানতে হবে ইতিহাস, ঝাড়তে হবে দেরিদা-ফুকো! কিন্তু যদি উলতো গাই? এ বাজারে এট্টু অপোসংস্কিতি ফলাই! রাখুন ও সব লবচবানি, রাঁধুন মাটন কেওরামি! কে বলে তাতে পড়বে ঢিঢি? রেসিপি দাতা স্বয়ং ডিডি


    খাদ্যসংস্কৃতি। শুনেছেন তো কথাটা? এতটা বয়স হল, তবে তো জানতে পারলাম খাওয়াটাও একটা সংস্কৃতি। নাচ, গান, নাটক, লেখালেখি... এইসবই তো জানতাম কালচারের আঙিনায় পড়ে। যেমন উল্লেখ করবেন, অমুকচন্দ্র তমুক এক বিখ্যাত অভিনেতা, বা প্রবন্ধকার বা চিত্রশিল্পী। আগে তো কখনও শুনিনি—ইনি হচ্ছেন শ্রদ্ধেয় তমুকবাবু, দেশের এক তন্নিষ্ঠ খাইয়ে লোক, বলে কারও পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। এটা নতুন, ইদানীং যেমন তর্কশিল্পীও বাজারে খুব খাচ্ছে পাবলিকে।

    আগে ধরুন খেয়ে পছন্দ হলে বলতাম, কী ফাটাফাটি হয়েছে! বা অমন কিছু। খারাপ লাগলে এক কামড় দিয়ে নাক সিঁটকে সরিয়ে দিতাম। ব্যাস, খাবার সমালোচনা ওখানেই শেষ। তবে খুব অন্তরঙ্গ মহলে বিপুল খেয়ে মেঘগর্জনের মতন ঢেঁকুর তুললেও লোকে খারাপ ভাবত না। রাঁধিয়ে খুশিই হতেন।

    কিন্তু এখন লোকে চায় বিভিন্নভাবে খাবারের গুণাগুণের সূক্ষ্ম বিচার। গন্ধ, টেক্সচার, প্রিয়দর্শন কি না, কেমন রং এবং অবশ্যই স্বাদ।

    তা ধরুন তিরিশ বছর ধরে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে বসবাস করেছি। সব সময়েই ফ্যাকটরিতেই কাজ ও সেখানকার ক্যান্টিনে খাওয়া—যা অনেক সময়েই লাঞ্চ তো নয়, লাঞ্ছনামাত্র, সেগুলোই খেয়েছি। উপায় কী?

    সবই স্থানীয় তরকারি—আইডেন্টিফাই করা অসম্ভব। কিন্তু নির্দ্বিধায় গিলে নিতাম কাঁকরোল, চিচিংগা, ধুঁধুল বা আরও কীসব। নাম না জানলেও বিভিন্নভাবে ক্লাসিফাই করে রাখতাম।
    যেমন ধরুন টেক্সচার ছিল তিনরকমের—কচকচে, ল্যাৎপ্যাতে আর হড়হড়ে। রংও তিনটি—যেমন বেবাক সবুজ, খুনখারাপি লাল ও ডায়রিয়া হলুদ। গন্ধ হচ্ছে টকটক, গড়গড়ে ও পিওর মূলো। খেতে প্রায় সবই এক।

    চিফ কেমিস্টও বাঙালি। তিনিও ঠিক ধরতে পারতেন না, বলতেন, ব্লটিং পেপার তো ডেফিনিটলি আছে আর সেটা গাঁদাল পাতার রসে ম্যারিনেট করেছে। কিন্তু অ্যাসবেস্টস দিয়ে এরকম ম্যাজেন্টা রংটা আনল কী করে?

    আর দইও সবসময়ে খাওয়া যেত না। এক চামচ মুখে দিতেই পায়ের নখ থেকে ব্রহ্মতালু পর্যন্ত ঝনঝন করে উঠত—এইসা টক। চারিদিক থেকে তৃপ্তির হুসহাস আওয়াজের মধ্যে আমি স্তম্ভিত হয়ে বসে থাকতাম।

    বাধ্য হয়েই আমি, ওই একবারই, একটা নতুন খাবার ‘আবিষ্কার’ করেছিলাম। সেটি কলার রোল। বাড়িতেই করতে পারেন। শেষপাতে একটা কলা থাকত। সেটিকে বরাদ্দ দুটি আটার রুটির মধ্যে দিয়ে রোল বানিয়ে খেয়ে নিন। যেমন সিম্পল তেমনই স্বাস্থ্যকর।

    এই নিয়ে বেশি লেখাও যাবে না। সবারই তো ৫৬ ইঞ্চি সেন্টিমেন্ট—কার কোথায় আঘাত লেগে যাবে, কে জানে?

    বাংলাদেশের সাইফুর রহমানের লেখায় পড়লাম ধৃতিকান্ত লাহিড়ি চৌধুরী মহাশয় ‘দেশে দেশে মোর ডিশ আছে’ কইতেন ও স্বচ্ছন্দে বাদুড় খেতেন। আরে না রে বাবা, না। তখন কোভিড-টোভিড কোথায়। সে তো অনেকদিন আগের কথা, তখন বাদুড়েরাও খুব ভালোমানুষ ছিল। আর ভ্লাদিমির নবোকভ, যখন নভেল-টভেল লিখতেন না, তখন খেতেন প্রজাপতি আর হেমিংওয়ের প্রিয় ছিল কাঠবিড়ালি শিকার করে খাওয়া।

    মেদিনীপুরের দিকে ‘কাকমারা’ নামে তেলুগুভাষী একগোষ্ঠী আছে, যাদের প্রিয় খাদ্য কাক (ওনাদের সম্পর্কে একটু খোঁজ নিতে চাইলে পড়ুন উমা ভট্টাচার্যের ছোটো লেখা ‘বিচিত্র জনজাতি কাকমারা’)। সম্প্রদায়ের নামই হয়ে গেল খাদ্যাভ্যাস নিয়ে। খুবই পোলিটিকালি ইনকরেক্ট আরও উদাহরণ তো নাকের সামনেই, মছলিখোর (বঙ্গালি), বা ছাতুখোর (পশ্চিমা), বা জাস্ট তেঁতুল। ইশকুল জীবনে অনেক জেলায় অনেক স্কুলে পড়েছি—সেখানে আমার বাঙাল পরিচয় প্রকাশ পেতে সহপাঠীদের সে কী হাসি! আঙুল তুলে একজনা বলে “তোরা তো শুঁটকি খাস।” চারিদিকে সশব্দ নাসিকাকুঞ্চন। এর থেকে খারাপ আর কী হয়? আচ্ছা, এই যে ভেতো বাঙালি—সেটা ভাতের থেকেই তো নাকি ভীতুর অপভ্রংশ?

    যে ফরাসি জাত ৩৬০ ডিগ্রি সংস্কৃতিতে গলা অবধি ঠেসে আছে, তাদেরকে লোকে অপমান করে ‘ফ্রগ’ বলে? কেন? না, ওদের প্রচণ্ড কালচার্ড মেনুতে ব্যাঙের ঠ্যাংও আছে। শুধু ওই একটি কারণেই। ভাবতে পারেন? খাদ্যসংস্কৃতির আনাচে কানাচে কত যে সব এরকম অলিগলি আছে, সে হিসেব কে রাখে, বলুন?

    খুব শখ চাগলে মুরশিদাবাদের মুর্গ ইয়াখনি খেতে পারেন। একটি জোয়ান মোরগকে খুব শক্তিশালী বিষ আটার সাথে মিশিয়ে খাইয়ে দিন। সেটি মারা গেলে তার বিষাক্ত মাংস খাওয়ান আর-একটি মোরগকে, সেটি মারা গেলে… এরকম করে কয়েকবার করলে শেষে একটি মোরগই থাকবে, বিষক্রিয়ায় যার পালক সব পড়ে যাবে, কিন্তু সে বেঁচে থাকবে। একেবারে রোমহর্ষক ব্যাপার। ব্যাস। সেটিকে রান্না করে বাদশাকে খেতে দিন। তারপরে বুঝে নিন বাদশাহের জমজমাট ক্ষমতা! এর থেকেও আরও এলাহিভাবে তৈরি হত একধরনের জাফরানি মুর্গ, সেটি বিস্তারিত ভাবে পড়ুন এই গুরুচণ্ডালিতেই প্রকাশিত শ্রীযুক্ত ন্যাড়াবাবুর ‘খানাকুল’ লেখায় (সার্চ মারুন)। তবে এইসব খাওয়ার মূল উদ্দেশ্যে ছিল এক বলবর্ধক হেকিমি দাওয়াই তৈরি করা। ‘ভোজ কয় যাহারে’, ঠিক তেমনটি নয়।



    দাঁড়ান, দাঁড়ান, আর-একটা নবাবি রূপকথা বলি। কোনো লিংক-টিংক নেই, তথ্যপ্রমাণাদি কিছুই দিতে পারবো না। সাক্ষীও না।

    পুরাকালে, দুই নবাবে খুব রেষারেষি ছিল, মানে ফ্রেন্ডলি ঝগড়া। কার সুইকার বেশি ভালো, সেই নিয়ে। তো এক নবাব অন্যজনকে ডেকে নেমন্তন্ন করে খাওয়ালেন সাত রঙের পুলাউ। সাতরকমের রঙের চালের এক রামধনু ভোজ। খেতে যেরকমই হোক, সভায় ধন্য ধন্য পড়ে গেল। দ্বিতীয়জন রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের প্রাসাদে ফিরে পালটা নেমন্তন্ন করলেন, সবাই উদ্‌গ্রীব, এইবারে না জানি কী হয়। তো খাবার এল প্রকাণ্ড থালায়, জাস্ট একচামচ ফ্যাটফ্যাটে সাদা ভাত। তার সাথে কিস্যু না, খালি ঘড়া ভরতি করে ঠান্ডা জল। আমন্ত্রিত নবাবের তো জিভের বদলে চোখে জল চলে এল। ওই একচামচ ভাতে কী হবে?

    ওইখানেই তো ম্যাজিক। ঘিয়েতে জারিয়ে জারিয়ে সেই চাল এমনই গুরুপাক যে কয়েকদানা পেটে যেতেই প্রাণ আইঢাই। ভুঁড়ি ফেটে যায় আর কী। তখন ওই ঠান্ডা জল গিলে গিলে স্বস্তি। বুঝুন, সংস্কৃতি কাকে বলে।

    আধুনিক এই খাদ্যসংস্কৃতির একটা বড়ো প্রস্তাব হচ্চে কোনো খাবারই ফ্যালনা নয়। ইটি বাড়ির খাবার আর সেটি কায়দার রেস্তোরাঁয় বসে ইংরেজিতে অর্ডার দিয়ে খাব—অমন ফারাক নেই। আমি তো থাকি ব্যাংগালোরে—এখন দেখছি স্পেশালিটি বাঙালি রেস্টুরেন্টে তেলেভাজা, বোঁদে, ঝালমুড়ি এইসব তো বেশ পুরোনো হয়ে গেছে, একেবারে সর্বভারতীয় খাবার যেমন খিচুড়ির এক্সক্লুসিভ দোকান হয়ে গেছে, হয়েছে শিঙাড়ারও (সামোসা মশাই সামোসা)। ঠান্ডাঘরে বসে খান বা বাড়িতে অর্ডার দিয়ে নিয়ে আসুন, পাবেন গুড়ের চা-ও।

    কলকাতায় কি পাওয়া যাবে কোনো খাবারের দোকানে পান্তা ভাত বা ফ্যানা ভাত? আলুসেদ্দো ডিম সেদ্দো বা বড়া ভাজার সাথে? এখন তো খুবই চালু ব্র্যান্ডেড চানাচুর। দু-তিনরকমের নাড়ুও বিক্‌কিরি হচ্ছে শপিংমলে। তা আমাজনে নাকি পয়সা দিলে ঘুঁটেও সাপ্লাই করে, এসব খাবার তো তুচ্ছু।

    আর অ্যামবিয়েন্স?

    লেখক শংকর বলেছিলেন সাহেবমেমদের দেশে থিম রেস্টুরেন্টে কীরকম খুঁটিনাটির দিকে নজর। এ আপনার ধাবা নামে রেস্টুরেন্ট খুলে কোনের দিকে একটা আস্ত ট্যাক্সি বসিয়ে আর দেয়ালে কয়েকটা টায়ার ঝুলিয়ে দিলেন বা ফিশারম্যান কোভে ছাদের থেকে একটা মাছের জাল ঝুলিয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললেন ওরকম গাজোয়ারি ‘ডেকরেশন’ বা ওইরকম শৌখিন মজদুরি নয়।

    উনি সাজেস্ট করেছিলেন, হোক একটা বাঙালি রেস্তরাঁ, মাটিতে পিঁড়ির উপর বাবু হয়ে বসুন, খাবার আসুক কাঁসার থালায় আর বাটিতে। মেনু হবে একেবারে ছাপোষা আর ঘরোয়া। এক বৃদ্ধা পিসিমা গোছের মহিলা হাতপাখার বাতাস করতে করতে বলবেন, “আর দুটি ভাত দিই?” “কাতলার ওই পেটিটাও নাও না বাছা, কাঁটা কম হবে?” পান চিবুতে চিবুতে চলে যাওয়ার সময় সহাস্য জ্যাঠামশাই গোছের একজন সস্নেহে বলবেন, “পেট ভরে খেয়েছেন তো? হেঁহেঁহেঁ।” এইরকম।

    এসব শুনে এক প্রাজ্ঞ ব্যক্তি আরও বললেন, উত্তম প্রস্তাব। বেশ পোটেনশিয়াল আছে। দুটো তিনটে হুলোবেড়াল থাকলেই বা মন্দ কী? আপনি মাছ খাবেন আর সে জুলজুল করে তাকিয়ে মাঝে মধ্যেই থাবা উঁচিয়ে মিয়াও ফ্যাঁস আওয়াজ করবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে, খবরদার ওই ভাটিয়ালি বা রবীন্দ্রসংগীত নয়। সাইকেল রিসকার প্যাঁকপোক, অটোর মেঘগর্জন, বাসের ব্রেক কষার আওয়াজ আর দূরাগত কিছু ঝগড়াঝাঁটি, মৃদুস্বরে কিছু সম্পূর্ণ দিশি অসভ্য কথা, আর স্লোগানের মন্দ্রধনি। আপনেরা যাঁরা উদ্যোগী বীরসিংহ, তাঁরা ভেবে দেখতে পারেন।
    এই সপ্তাহে খান মাংসের কেওড়ামি।

    মাংস বা মুরগি—ওই যেমন রান্না করেন, আস্ত মশলা, প্যাঁজ, আদা-রসুন, লঙ্কা, হলুদ, ধনে, জিরে আর অপশনাল টমেটো। এইবারে একেবারে নামানোর আগে একটু কেওড়ার জল দেবেন।

    ভালো করে পড়েছেন তো? ‘একটু’ আর ‘কেওড়ার জল’, দুটোই ইম্পর্ট্যান্ট। ওই কেজিখানেক মুরগি/মাটন হলে একছিপিই যথেষ্ট। আর শুনুন, বাজারে (মানে দেশে) দুইধরনের কেওড়া পাওয়া যায়। একটা থাকে ছোটো শিশিতে—সেটি কত জিবির কে জানে? ভীষণ স্ট্রং। ওটা দেবেন না। একটু নার্ভাস হয়ে হাত কাঁপলেই হয়ে গেল। রান্না তো বটেই, পুরো বাড়িটাই কেওড়াময় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়টি ডাইলুটেড ভার্শান, মানে keora water—দেশে ডাবর কোম্পানির পাওয়া যায়, আমি এটাই ইউজ করি।
    যদি শান বা ওরকম নামি কোম্পানির ‘কোর্মা’ মশলা পান, তো চুপচাপ সেটা দিয়ে রেঁধে সামান্য কেওড়ামি করুন। দেখুন, গেস্টরা কী বলে? আমার পরিচিত কয়েকজন তো স্রেফ কেঁদে ফেলেছিলেন।




    ১) ডিডি মহাশয়ের একাহিনির বীজ যে আবদুল হালিম শরর-এর বিখ্যাত কেতাব ‘হিন্দুস্তান-মে মশরিকি তমদ্দুন কা আখরি নমুনা ইয়ানি গুজ়িশ্তা লখনও’-তে (হিন্দুস্তানে প্রাচ্য সংস্কৃতির শেষ নমুনা অর্থাৎ হারানো লখনও) রয়েছে তা সন্দেহাতীত। শরর-বর্ণীত কাহিনিটা এরকম— শুজা উদ-দৌলার জমানায় নবাব সালারজঙ্গ্‌-এর রকাবদারের ছিল সবথেকে ডাকসাইটে রকাবদার—মাসে ১২০০ টাকা মাইনে, ‘যেমনটা ইতিহাসে আর কোনও রকাবদার পাননি কোনওদিন।’ এই রকাবদার স্রেফ সালারজঙ্গ্‌ বাহাদুরের জন্য রাঁধতেন এমন একটি পোলাও, যা হজম করার হিম্মত আর কারও ছিল না। একদিন নবাব শুজা-র বড়ো খোয়াহিশ হল এই পোলাও চাখার। এত্তেলা পাঠালেন সালারজঙ্গ্‌কে—‘জনাব, আপনার সেই মশহুর পুলাও আমাকেও খাওয়ান না একদিন।’
    ‘অবশ্যই আলম-পনা। আজই পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনার দস্তরখওয়ান লাগার আগেই।’
    তারপরেই সালারজঙ্গি হাঁক—ওরে কে আছিস, রকাবদারকে বলে দে আমার জন্য যে পুলাও হয়, আজ হবে তার দ্বিগুণ। খবর হয়ে গেল বাওর্চিখানায়। রকাবদার সোজা হাজির সালারজঙ্গ্‌-এর আরামখানায়। ‘কী ব্যাপার হুজুর? আমি তো আপনার জন্য ছাড়া আর কারও জন্য খানা পাকাই না।’
    ‘নবাব খোদ খেতে চেয়েছেন। আর তুমি বলছ রাঁধতে পারবে না?’
    ‘ঠিক! পারব না। আপনার জন্য ছাড়া আর কারও জন্য না, তিনি যেই হন না কেন।’
    হুকুম অচিরেই গলে গেল অনুরোধে, শেষে খোশামদ— রেঁধে দাও ভাই একবার।
    অনেক কাকতি-মিনতির পর রকাবদারের জবাব, ‘ঠিক হ্যায়। দেব। কিন্তু শর্ত আছে।’
    ‘কী শর্ত আবার?’
    ‘পুলাও আপনি নিজে হাতে নবাবের কাছে নিয়ে যাবেন। নবাবের সামনে বসে তাঁকে খাওয়াবেন। কয়েক গরসের বেশি কিছুতেই খেতে দেবেন না। সঙ্গে রাখবেন প্রচুর ঠান্ডা জল। রাজি?’
    ‘রাজি ভায়া। যাও এবার হেঁশেল যাও দেখি।’
    সেই পুলাও নিয়ে সালার হাজির হলেন শুজার খাস দিওয়ানখানায়। কয়েক গরস মুখে দিয়ে শুজার আহ্লাদ আর ধরে না। কিন্তু এরই মধ্যে সালারজঙ্গ্‌-এর বাধা—আর না আলম-পনা, এই থাক। শুজাউদ-দৌলা যে চাহনিটা দিলেন তাকে বাংলায় বলে ভস্ম-করে-দেওয়া। এবং যেভাবে খেতে থাকলেন তাকে বাংলাতে বলে—গোস্তাখি মাফ—গোগ্রাসে গেলা। আর কয়েক গরস খাওয়ার পরেই নবাব বুঝলেন। কী যেন একটা ঘটছে। গলা একেবারে শুকিয়ে আসছে— কয়েক মুহূর্তে মনে হল তাঁর ছাতিটা ফেটে যাবে তৃষ্ণায়। শেষে সালারজঙ্গ্‌-এর নির্দেশে তৈরি রাখা ঠান্ডা পানি প্রাণ ভরে খেয়ে ধড়ে প্রাণ এল তাঁর। এমনই ছিল সেই রকাবদারের রোয়াব!—সম্পাদক নীলাঞ্জন হাজরা




    গ্রাফিক্স: সায়ন কর ভৌমিক
    ভিতরের ছবি: মনোনীতা কাঁড়ার

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খ্যাঁটন | ০৪ মার্চ ২০২১ | ৩০৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 14.139.196.16 | ০৪ মার্চ ২০২১ ১৭:৪৫103162
  • ওহ ডিডি! কতা হবে না। 

  • dc | 2405:201:e010:5030:7816:ad94:b996:494e | ০৪ মার্চ ২০২১ ২০:৪৭103163
  • অসাধারন লেখা, দুর্দান্ত লেখা। দুবার পড়ে ফেল্লাম :-)

  • Du | 47.184.33.160 | ০৪ মার্চ ২০২১ ২২:১৪103164
  • কেঁদে ই ফেললেন ? :)) 

  • খুব শক্তিশালী বিষ আটা | 165.225.8.115 | ০৪ মার্চ ২০২১ ২২:৪৪103166
  • এই জিনিষটা ঠিক কি আর কোথায় কিভাবে পাওয়া যায়? নাকি কালের কপোলতলে বিলুপ্ত? 

  • Ramit Chatterjee | ০৫ মার্চ ২০২১ ০৮:৫৮103173
  • ধুত্রর বীজ দিয়ে তৈরি করুন। তবে কাউকে দেওয়ার আগে নিজে টেস্ট করে নেবেন। এখনো অব্দি কোনো কমপ্লেন জমা পড়েনি।

  • সম্বিৎ | ০৫ মার্চ ২০২১ ১০:৫৩103176
  • এটা খানাকুল সিরিজের জন্যে লিখে রেখেহছিলাম, পোস্ট করা হয়নি। এই কিচাইনের সূত্রে মনে পড়ল।


    ------------

    আমার শ্বশুরমশাই অরুণকান্তি দাস সরকারী চাকরিতে পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় কাজ করেছেন। "মৌলানা সাহবের দাওয়াত" শিরোনামে নিজের যৌবনের একটা অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন - 
     
    "মৌলানা সাহেব একজন সম্ভ্রান্ত ধনী কৃষক। ... ছেলের বিয়েতে আমাদের দাওয়াত দিলেন। ... খাওয়ার ডাক পড়লে মৌলানা সায়েবের সঙ্গে গেলাম ভোজের জায়গায়। মেঝেতে পাতা ফরাস, তার উপরে ফুটখানেক উঁচু লম্বা করে টেবিল পাতা, আর তাতে সাদা চাদর বিছানো। বসার পর ঐ টেবিলে খাবার দিয়ে গেল। অনেকটা বাফে বা নিজে-নিয়ে-খান গোছের ব্যাপার। পদের মধ্যে জবরজং কিছু নেই। কিছু ভাজাভুজি, কাবাব, বিরিয়ানি আর মাংস। মাংসটাই আসল। রেওয়াজী খাসি আর জম্পেশ করে পেশাদার রাঁধুনির রান্না। মৌলানা সায়েব হুঁশিয়ারি দিলেন মাংস এক বা দু টুকরো খেয়ে আস্বাদ করে তারপরে আরো নিতে। নেমন্তন্নবাড়িতে এসে এমন কথা শুনে একটু অবাকই হলাম। বিডিও সায়েবও সম্ভ্রান্ত মুশলমান, তিনিও আগে দু টুকরো খেয়ে তারপরে বেশী নেবার নির্দেশ দিলেন। আমি কিছুটা কাবাব খেয়ে ঠিক দু টুকরো মাংসই তুলে নিলাম। সঙ্গে নান রুটি।
     
    "ভোজবাড়িতে সেদিন ঐ দু টুকরো মাংসও খেয়ে উঠতে পারিনি। অসাধারণ স্বাদ-গন্ধযুক্ত ঐ তুলতুলে নরম একটুকরো মাংস খেতেই আমি নাজেহাল হলাম। জিহবা এড়ে গেল ঘি আর মশলার কারসাজিতে। তখন বোঝা গেল বারংবার হুঁশিয়ারীর কারণ। খাওয়াশেষে পরিবেশিত হয়েছিল পৈটিক গন্ডগোল থেকে বাঁচানোর জন্য এক বিশেষ পানীয়।" (বানানবিধি বদলাইনি।)
     
    এইটা পড়ে আমার আব্দুল হালিম শররের বইতে পড়া একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল -
     
    লক্ষ্ণৌর হাকিম বন্দে মেহেন্দি রইস লোক ছিলেন। খানা-পিনা আর পহেন্নায় তাঁর মতন সৌখীন লোক মেলা ছিল ভার। 
     
    একবার এক পালোয়ানকে বাড়িতে দাওয়াত দিয়েছেন। সে পালোয়ানসায়েব প্রাতঃরাশই সারেন কুড়ি সের দুধ আর দু-আড়াই সের শুখা ফল, কাঠবাদাম, পেস্তা ইত্যাদি দিয়ে। দুপুরে ও রাতে আহার্য্য বলতে দু-আড়াই সের রুটির সঙ্গে একটা প্রমাণ সাইজের খাসির মাংস। বলা বাহুল্য, সায়েবের চেহারাটাও খোরাকির উপযুক্ত।
     
    দাওয়াতের দিন, প্রাতঃরাশের সময় হয়ে গেছে, তখনও খাবার আসেনি। পালোয়ানসায়েব উশখুশ করছেন। উশখুশ ছটফটানিতে পরিণত হল। তখনও খাবারের দেখা নেই। পালোয়ানপুঙ্গবের অবস্থা যখন কাহিল হয়ে এসেছে, তখন হাকিমসায়েব "দেখি তো কী হল" বলে ভেতরপানে গেলেন। এরও অনেক পরে, যখন শ্রীমান পালোয়ান খিদে আর সইতে পারছেন না, হাকিমসায়েব অন্দর থেকে একটা খ্বান পাঠালেন। পহ্লবি ভাষায় ট্রে-কে বলে খ্বান, যেখান থেকে দস্তরখ্বান। তো খ্বান আসতে দেখে পালোয়ান খুব খুশি। কিন্তু পাত্রর ঢাকনা খুলতেই তার মুখ গেল শুকিয়ে। পাত্রে দু-চার চামচ ভাত, এক গাল হয় কি হয়না। চটেমটে সে তক্ষুনি উঠে বেরিয়ে যায় আর কী! কোনরকমে বাবা-বাছা করে তাকে নিরস্ত করা হল। পালোয়ান থালা উপুড় করে ওই পক্ষীর-আহার পরিমাণ খাবার এক ধাক্কায় মুখে পুরে উদরাসাৎ করে ফেলল। তার ক'মিনিট পরে তার হুকুম হল পানি নিয়ে আসার। পানি খাবার পাঁচ মিনিট পরেই আবার পানি আর্জি, আর সেই সঙ্গে শুরু হল একের পর এক ঢেঁকুর। 
     
    এতক্ষণে অন্দর থেকে সার দিয়ে খাবারের নান পদ আসতে শুরু করেছে। সাজানো হচ্ছে দস্তরখানে। পোলাওয়ের পাত্র দেখিয়ে হাকিমসাহেব তাঁর অতিথিকে অনুরোধ করলেন, "আপনি যে পোলাও খেলেন সে পোলাও আর এটা একই পোলাও। দয়া করে আরও নিন।" পালোয়ান কানে হাত ঠেকিয়ে বললেন, "মাপ করবেন, আর এক দানা খাওয়ারও জায়গা নেই পেটে।" 
  • Nirmalya Nag | ০৬ মার্চ ২০২১ ২১:৫০103201
  • দারুণ। পড়েই খিদে পেয়ে গেল।

  • shyamalendu Biswas | 115.187.40.78 | ২৭ এপ্রিল ২০২১ ১০:২৪105221
  • লাস্টটাইম নন্দীগ্রামে নয়, হরিপুরে। ২০০৬ সাল।শীতকাল।পরমাণু বিদ্যুত প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনের  তথ্যচিত্র  তৈরির নিমিত্ত মূল রাস্তা ছেড়ে গ্রামে ঢুকেছি সকাল সাতটা।বসতবাড়ী,ধানের গোলা,সজনে গাছের  ছায়া মাখানো গুলজারেরইজাজত ছবির  জাপানি ফ্রেম গৃহস্তের পুকুরে গোয়ালের ধারে লটকে  আছে।তারপর সবজি খেত মাটির  রাস্তা,তেঁতুল গাছ,নলেন গুড়ের ভাঁটি,বট গাছের ছায়ার মায়া  টপকে একদম সমুদ্রের ধারে মাছের খটিতে পৌছতে পৌছতে দশটা বেজে গেলো।বাসনা ছিল আঁখো দেখি হাল মানে কয়েকশো মাছের  খটি থেকে উৎখাত হতে  পারেন এমন ফিশারমেনের অন্দরের  কথা ক্যামেরাবন্দি করা । সমুদ্রের ঠাণ্ডা হাওয়া ও অস্থায়ী চায়ের দোকানের আবহে ক্যামেরা চালু করার আগে প্রায় দু  ঘণ্টা আমাদের  ইন্তারভ্যু দিতে হোল । কী কাজ কী কথা সেটা  বড়ো কথা নয় আগে বলো তুমি(তোমরা)  কোন   দলভুললে চলবে না,মেদিনীপুর   নন্দীগ্রামের আগে দু-দুবার স্বাধীন হয়েছিল,এই বহিরাগতের ধরাধামে ল্যান্ড করার দশ বছর আগে।হরিপুরও স্বদেশৗ,ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। বারোটা বেজে   গেলোপ্রয়োজনীয় সাক্ষাৎকার শেষ হোল প্রায় দেড়টায়এদিকে পাকস্থলীতে আট দফা ভোটের  মহড়া।ফলে মগজে অক্সিজেনের ঘাটতি ।পাঁচ   হাত দূরে প্রবীণ দম্পতির অস্থায়ী চালাঘর ডিপ-টিউবওয়েলের পাশে।পান,বিড়ি, পার্লে-জি,সিগারেট,লেবেঞ্চুস,চানাচুর,ডিস্পিরিন,কান খুসকি, গুটকার দোকানের এককোনে ছোট একটি কেরোসিন স্টোভ,শিরে হাঁড়ি শোভিত,দন্তবিকশিত।দম্পতি সংসার পাতেন ( না,হাওয়া  বদলাতে দক্ষিণ সমুদ্র তীরে আসেন ?) প্রতিবছর,যে-কদিন  মাছ ধরা ও সমুদ্রের বেলাভুমিতে মাছ  শুকোনোর  মরশুম।  মাসীমা,ভাত  খামুতো মাসীমা  রাজি ।দিম্ভাত ।নীড় ছোট ক্ষতি নেই... গুনগুন করতে করতে বালিতে সদ্য সমুদ্র ফেরত নৌকোর লো এঙ্গেল শট নিয়ে আধ ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে বাধ্য হলাম। সমুদ্রের নোনা হাওয়া   ও গভীর নলকূপের অতি ঠাণ্ডা জলের  যৌথ সঙ্গতে  কাকস্নান সেরে  কাঁপতে কাঁপতে মাসীমার পাতা মাদুরের আসনে বসে গরম  গরম মোটা লাল চালের ধোঁয়া ওঠা ভাত, পেঁয়াজ শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দেওয়া মুসুর ডাল ও ডিমের ঝোলে ডুব দিলাম,তিনজন। একটু ধাতস্থ হয়ে চোখ গেলো হাঁড়ির কোনে রাখা ছোট একটি বাটির দিকে। লালচে রঙের(এ রং,সে রং নয় )টাটকা  চুনো মাছের  চচ্চড়ি,নিজেদের জন্য রেঁধে রেখেছিলেন।লজ্জাহীন,বলে ফেললাম ,মাসিমা  একটু হবে? তারপর, এতো বছর, নন্দীগ্রাম,সিঙ্গুর,ইউ-পি-এ,সিঙ্ঘু সীমান্ত ,শীতলখুচি,সেকেন্ড ওয়েভ,থার্ড ওয়েভের  আক্রমণের মুখেও, টাগরায় টিকে আছে,উদাসীন চুনো মাছের ঝাঁঝালো ঝাল।আ-হা।  প্রবীণ দম্পতিকে মাছের ঝালের জন্য  অতিরিক্ত মুল্য  দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সফল হই নি।               

     

  • পিউ | 115.187.55.7 | ২২ আগস্ট ২০২১ ১৭:১৮497007
  • হ্যাঁ; ঐ ক্যাওড়া ছানাটে জিবি নয়কো, ইনফিনিটি হর্স পাওয়ারের...বাআআপরেএ কী ঝাঁআআআঝ
  • পিউ | 115.187.55.7 | ২২ আগস্ট ২০২১ ১৭:২৬497008
  • ঠিক বটে ঐ গাঁদাল পাতার রসে ম্যারিনেট করা ব্লটিংএর তলকালী টে খেইছিলাম বটে ভেলোর হাঁসপাতালে...তবে অ্যাসবেস্টসের মনমাতানো ম্যাজেন্টা তাতে ছিলোনা; ঐ সিপিয়া দিয়ে শ্মশাণ-কালী বন্ন ছেলো...বল্লুমতো তলকালী
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন